বারান্দায় দাঁড়িয়ে সকাল দেখি।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/১০/২০০৯ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভোরে যে সূর্যটা কুয়াশার চাদর সরিয়ে পৃথিবীর বুকে নিজের আগমন বার্তা জানায় মিষ্টি কোমল রোদের ঝলকানি দিয়ে, বিকালেই সেই সুর্যটা লাল আবীর অঙ্গে মেখে নিস্তেজ হয়ে হারিয়ে যায় আধারের বুকে। ক্লান্তির অবসাদ মোচনের জন্য বিশ্রাম খোঁজে আধারের কোলে। এই ভাবেই কেঁটে যায় দিন আসে রাতের মায়াবী সৌন্দর্য। চাঁদ-তারার সাথে জোনাকীর আলো মিশে রাতে যে মায়াময় পরিবেশ তৈরি হয় সেটাই সকালে মিলিয়ে যায় রোদের ঝলকানির সাথে। হারিয়ে যায় শিশিরের মত সবুজ ঘাসের বুকে। প্রকৃতির নিয়মে চলে দিন-রাতের এই আগমন-নির্গমন খেলা। সময় বয়ে যায়, দিন গড়িয়ে রাত পেরিয়ে মাস যায়, বছর যায়, কমে আসে জীবনের আয়ু। সব খেলাই সাঙ্গ হয়,একদিন ফুরায় জীবনের লেনদেন।

দিন-রাতের এই পালাবদল নিয়মতান্ত্রিক এবং গতানুগতিক। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনা। কিন্তু দিন -রাতের রূপের বদল হয়, চরিত্রের ভিন্নতা দেখায় যায়, রোদ আর মেঘের খেলা চলে, আলো আধারের পালাবদল হয়, কোনো স্বার্থের সংঘর্ষ হয় না, দাবী-দাওয়া নিয়ে মতবিরোধ হয় না, চাওয়া-পাওয়া নিয়ে কষ্টের উদ্ভব হয় না। চোখের কোণে নোনা জল জমে না। পৃথিবীর আদি থেকে অন্ত এভাবেই চলবে দিন আর রাতের স্বার্থহীন পালাবদল, আগমন আর নির্গমনের মঞ্চায়ন।

দক্ষিণের খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে রূপালী আলো অঙ্গে মেখে থালার মত চাঁদের দিকে তাকিয়ে প্রকৃতির নিয়মের কথা ভেবে একটা দীর্ঘঃশ্বাস ছাড়ল চৈতী। থালার মত চাঁদটার দিকে তাকিয়েই ভাবল, কবি মনে হয় এই চাঁদটাকে দেখেই ক্ষুদার তাড়নায় ঝলসানো রুটি মনে করেছিল। এই বিশাল প্রকৃতি যেখানে নিয়ম মেনে চলে, প্রতিদিনের রুটিনের ব্যত্যয় করে না, সেখানে ক্ষণস্থায়ী মানুষের জীবন কত বৈচিত্যময়, কত অনিয়ম আর উত্থান-পতনে ভরা। সকালের ভালবাসা বিকালের রোদ মিলিয়ে যাবার আগেই হারিয়ে যায় স্বার্থ, অবিশ্বাস বা সন্দেহের অসহিষ্ণু উষ্ণ তাপে। সুখের ভাবনা পাপড়ী মেলার আগেই ঝরে পরে অনাকংক্ষিত কীটের অতর্কিত হামলায়। স্বপ্নের মোহ ফুরিয়ে যাবার আগেই বিনা নোটিশে চলে আসে দুঃস্বপ্ন।

চৈতী নিজের জীবনের বৈচিত্যময়তার রহস্য খোঁজে পায় না। সব কিছু ধরার আগেই যেন শুন্যে মিলিয়ে যায় নিমিষে। জীবনের হিসেবের খাতায় ডেবিট ক্রেডিটের অমিল যেন স্বাভাবিক। সময় রাত একটা, চৈতীর চোখে ঘুম নেই, সারা দিনের ভাবনাটা যেন এই রাতের সৌন্দর্যে যৌবন প্রাপ্ত হয়। মনকে গ্রাস করে অনিয়ন্ত্রিত উম্মাদনায়। কিছুদিন আগ পর্যন্ত যে ছিল জীবনের একমাত্র পরম কাঙ্ক্ষিত,যার পৃথিবীতে চৈতীর আগমন ছিল অবাধ, রঙ্গিন প্রজাপতির মত উড়ে বেড়ানোর নিরাপদ বাগিচা, কর্ম ব্যস্ত এক দিনের পড়ন্ত বেলায় এসে সেই চঞ্চল হঠাৎ করেই নিষিদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হয়। পলকের নিমিষে অজানা মানুষের মত জনস্রোতে হারিয়ে যায়। পুরানো স্মৃতির বস্তাটা ফেলে রেখে চলে যায় নূতন স্মৃতি কুড়ানোর আশায়। কিন্তু চৈতী পারেনা বস্তাটাকে ফেলে আসতে, আবার পারেনা নিজের ঘাড়ে চেপে বহন করতে। তবু হেচড়ে টেনে নিয়ে চলে রাত থেকে রাত, দিন থেকে দিন।

লেখাপড়ায় ভালো ফলাফল আর সুন্দর প্রোফেশনের স্বপ্নে চৈতী যখন বিভোর, ক্লাসের নোট, গ্রপ স্টাডিতে যখন ব্যস্ত, দিনের সময় কখন রাতে হারায় চৈতীর কাছে যখন অজানা, তেমনি এক বিকালে নিজের বান্ধবীর বাসায় পরিচয় হয়েছিল চঞ্চলের সাথে। চঞ্চল ছিল বান্ধবী মিমির মামাতো ভাই। চঞ্চল তখন মাত্র এমবিএ শেষ করে একটা প্রাইভেট ফার্মে যোগ দিয়েছে। দেখতে স্মার্ট, এক কথায় বলা যায় যে কোনো মানুষকে আকর্ষণ করার মত সব গুণই ছিল চঞ্চলের মাঝে। তাই আপদমস্তক লেখাপড়ায় পাগল চৈতী সেই দিন চঞ্চলের চোখের দিকে তাকিয়ে চোখ ফেরাতে পারেনি। পারেনি নিজেকে সামলে নিতে, পারেনি নিজের মধ্যে বেড়ে উঠা আবেগী চৈতীকে নিয়ন্ত্রন করতে। তাইতো চঞ্চল কথা বার্তার এক পর্যায়ে মোবাইল নাম্বার চাইলে চৈতী না করতে পারেনি। পারেনি পড়া লেখার ফাঁকে গল্প করার লোভ সংবরণ করতে। তাইতো ছুটির দিন গুলিতে সারা রাত কথা বলেছে অজানা ভালো লাগায়, আবেগী উম্মাদনায়।

চৈতী সেই থেকে খাতায় হিসাব বিজ্ঞানের চূড়ান্ত হিসাব মিলানোর সাথে জীবনের হিসেব মিলাতে থাকে, স্বপ্নের আঁকাআঁকি করে সাদা পৃষ্ঠায়। ঘুমে -জাগরণে রঙ মাখে সেই স্বপ্নের স্কেচে। ছোট সাজানো গুছানো ঘরের একটা ছবি ধারন করেছিল বুকের বাম পাশে পাজড়ের গভীরে। লাল, নীল, হুলুদ, বেগুনী রঙ ছড়িয়েছিল সেই ঘরের দেয়ালে। আজ সেই ঘরের দেয়ালে সাদা ফ্যাকাশে রঙ, টিকটিকি আর মাকড়সার বাসা। টিউব লাইট বা এনার্জি সেইভিংস লাইটের পরিবর্তে আধার, কখন বড় জোর ডিম লাইটের মৃদু আলো।

ইন্টার্নী শেষ করে সবে মাত্র স্বপ্নের পথে পা বাড়ানোর সময়, দিনের রৌদ্রোজ্জল আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করার সন্ধিক্ষণ, বসন্তের হাওয়ায় নিজেকে পাগল করার দিনে কালবৈশাখী ঝড় চৈতী প্রত্যাশা করেনি। মানুষের জীবনটাই একটা অপ্রত্যাশিত গোলক ধাঁধা, কখন কী ঘটে আগ থেকে বলা যায় না, আন্দাজ করা যায় না। যে চঞ্চল চৈতীকে না দেখে, কথা না বলে থাকতে পারত না, সেই চঞ্চল আজ নূতন জীবনের জয়গান গায়, স্বপ্নের চোখে নূতন স্বপ্ন বপন করে। আগামী দিনের সুখের নিশ্চয়তার জন্য যত্ন নেয়, পরিচর্যা করে নূতন স্বপ্নের।

রাত বাড়ে চোখের ঘুমও দূরে সরে, দুর্বা ঘসের উপর যেমন শিশির জমে তেমনি চোখের পাপড়ীর উপর নীরবে নোনা জল জমে। নিঃশ্বাস ঘন হয়, শ্বাস-প্রশ্বাসে হিমেল বাতাসও উষ্ণ হয়,স্মৃতির এ্যালবাম পাতা মেলে, হারানো স্বপ্নেরা তারার সাথে দূরের আকাশে জলমল করে, বুকের গভীরে কষ্টের একটা বড় ক্ষত হয়, কেউ দেখেনা, বুঝেনা, শুধু ভুলে যাবার জন্য শান্ত্বনার বাণী শোনায়। কেউ হারানোর হাহাকার শোনে না। কেন চঞ্চল নিজেকে আড়াল করল চৈতীর কাছে অজানা, শুনেছে অনেক কিছু, কিন্তু নিজেকে বুঝাতে পারেনি। মিমিকে প্রথম থেকেই সন্দেহ করেছিল, সেই সন্দেহটাই সত্য হলো কোন এক সন্ধ্যায় শানাইয়ের সুরে, মন্ত্রের বুলিতে আর কাগজে স্বাক্ষরের প্রক্রিয়ায়। স্বপ্ন এত ঠুনকো হয় এর আগে চৈতী জানতো না, জানবে কী করে এর আগে যে বই ছাড়া চৈতী অন্য স্বপ্ন দেখার অবসর পায়নি। স্বপ্ন কিশোরের রঙিন ঘুড়ি, সূতা কেঁটে গেলেই আকাশে বিলীন হয়ে যায়। যেখানে হারায়, সেখান থেকে আর ফিরে আসে না। যে পায় সেই মালিকানা দাবী করে, প্রকৃত মালিককে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু বলার থাকে না।

মিমি যখন বিয়ের কার্ডটা এগিয়ে দিয়ে বলেছিল আসবি কিন্তু, তখন চৈতী অনেক আনন্দে, উচ্ছ্বাসে মিমিকে জরিয়ে ধরে বলেছিল, "আসবো মানে, সাতদিন তোর বাসায় থাকবো, তোর বর কে জ্বালিয়ে মারবো।" কিন্তু পরের মুহূর্তেই কার্ডের ভেতরের বরের নাম পড়ে চৈতীর সুন্দর ফর্সা বদনখানি মলিন হয়ে গিয়েছিল। অনেক কষ্টের চোখের জল আটকাতে পারলেও, মিমির সামনে থাকতে পারেনি। বাসায় আসার জন্যে সিএনজিতে উঠেই কেঁদেছিল অনেক ক্ষণ। বাসায় ফিরে নিজেকে আর সামলাতে পারেনি, হাউমাউ করে কেঁদেছে, চোখের নোনা জলে বালিশ ভিজিয়ে ঘুমিয়ে গেছে, তবু কষ্টের মেঘ মন থেকে সরাতে পারেনি। মৃত স্বপ্নেরা অক্টোপাসের মত ঘিরে ধরেছে প্রতিটি মুহূর্ত।

"ঘুম হইতে নামাজ অতি উত্তম" মোয়াজ্জিনের মধুর এই আহবান ইথারে ভেসে এসে অবচেতন চৈতীকে চেতনা ফিরিয়ে দিল। দু'হাতে গালের ওপর চিকচিক করা নোনা জল মুছে নিল। মাথার উপর কাপড়টা টেনে দিল। ঠান্ডা বাতাসে শরীর যে হিম হয়ে গেছে সেটা এতক্ষণ বোঝতে পারেনি, চেতনা ফিরে পেয়ে ঠান্ডা অনুভব করল ভীষণ। তবুও রুমে ফিরে গেল না। ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকল বারান্দায়। আশেপাশের গাছের মগ ঢালে বসে থাকা পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে চারিদিকের নিস্তব্ধতা কেঁটে গেল। রাতের আলো আস্তে আস্তে সরতে শুরু করল। আরেকটা নূতন দিনের সূচনার প্রস্তুতি, নিয়মের পালাবদলে আরেকটা নূতন দিনের আগমনের বার্তা। চৈতী চেয়ে চেয়ে দেখল ভোরের লাল আভা সরিয়ে কী করে সূর্য পৃথিবীতে অবতরণ করে। কীভাবে প্রকৃতি স্বার্থহীন ভাবে নিয়ম মানে, কীভাবে পরম মমতায় ভালোবাসে স্বাগত জানায় নূতনকে। চৈতী ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে খোলা বারান্দায়, দু'চোখে নোনা জল, শরীরে সোনার রবির মিষ্টি আলো, বুকের গভীরে ক্ষত, আর আশাহত মন নিয়ে।

দলছুট।

পাদটীকাঃ
নিজেকে যাচাইয়ের জন্য এই লেখা। বানান কিম্বা বাক্য চয়নে ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন এবং ধরিয়ে দিয়ে উপকৃত করবেন। ভালো লেখার আকাঙ্ক্ষা চিরদিনের। সেই আগ্রহ থেকেই লেখার চেষ্টা করলাম। ভালো না লাগলে ব্যর্থতার দায় ভার নিয়ে চলে যাব।


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বেশ কিছু বানান ভুল আছে, আমার মুখে সেটা শোভা পায় না, নিজেই এত ভুল লেখি যে কি বলব, তাই আলমগীর ভাইয়ের কাছে শরনাপন্ন হইতে উপদেশ দিলাম। উনার এই নরম্মাল আপনাকে আলো দেখাইতে সাহায্য করবে।
http://www.apona-bd.com/downloads/banan-bangla-spell-checker/
লেখা শেষ করে একটু পড়ে দেখবেন, শুরুতে আমিও লিখেই পোস্ট করে দিতাম, পড়ে দেখতাম না। সমালোচনা করতে গেলি আমি মাত্রা অতিক্রম করি, তাই সেই কাজ আর করার চেষ্টা করলাম না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

হিমু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দলছুট।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ ভাই। আপনার লিংকের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি এখনো আমার সীমাবদ্ধতা থেকে বেড় হয়ে আসতে পারিনি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, আপনাদের পরামর্শ মাথায় রেখে কাজ করছি।

"সমালোচনা করতে গেলি আমি মাত্রা অতিক্রম করি, তাই সেই কাজ আর করার চেষ্টা করলাম না।"

মনে হয় লেখাটা আপনার ভালো লাগেনি বা আমি আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি, তার জন্য দুঃখিত। আমি আপনাদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকবো। দোয়া করবেন এবং পরামর্শ দিবেন যাতে আমি আমার সীমাবদ্ধতা গুলি অতিক্রম করতে পারি।
কষ্ট করে পড়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ।

দলছুট

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ঠিকই বুঝেছেন, তবে ক্ষমা প্রার্থনার কোন প্রয়োজন তো দেখছি না। লেখা চালিয়ে যান, লিখতে লিখতে না লেখা ভালো হবে। আমার দৃষ্টিতে আপনার লেখনির সমস্যা হল আপনার গল্প বলার ধরনটায়। যেমন, আমি হয়ত বলতাম, "আজকে নীলক্ষেত গেছিলাম তেহারী খাইতে", আপনে লেখবেন, "জামা জুতা পরে বাইরে এসে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম, তখন কাক এসে গায়ে পাকু করে দিল, তারপরে তা অল্পের জন্যে মাথা মিস করে ঘাড়ে পড়ল, তখন বিড়বিড় করে বললাম, 'যা শালা মিস হয়ে গেল', তারপরে একখানা রিকশায় উঠে বসে আকাশ দেখতে দেখতে আর হাতির পুলের কারেন্টের তারে বসে থাকা কাকের ক্ষেপনক্ষেত্র হতে মাথা বাচিয়ে যেতে থাকলাম কাটাবন অভিমুখে, পথে রিকশায় বসে বসে একখানা লেখার কথা চিন্তা করতে করতে নীলক্ষেতের কাছে এসে মনে পড়ল যে সাথে টাকা নাই, তারপর রিকশা ঘুরিয়ে বাসায় গিয়ে টাকা এনে আবার রওনা দিলাম নীলক্ষেতের পথে, তারপর ১ঘন্টা জামে বসে বসে যখন শিকড় গজালো বলে, তখন এসে পৌছালাম তেহারীর দোকানের সামনে, নেমে গিয়ে ২ প্লেট তেহারী সাটালাম।"

সহজ কথাটা পেচিয়ে বলেন, এজন্যে আপনার লেখা পড়তে গেলে হোঁচট খাই, আর দয়া করা "ক্ষমা করবেন" "আর আসবো না" ধরনের কথা বলবেন না, এখানে সবাই স্বাগতম, আমি নিজেও অতিথি, হাত পা খুলে মন খুলে লিখুন। সহজ সাবলীল লেখা বলতে কি বুঝেন আপনে জানি না, তবে সচলে অনেক লেখা আছে, বই পড়ার সময় আপনার নাই, এখানেই নাহয় পড়ুন। লিংক দিতে গেলে আজকে আর শেষ করা যাবে না।

http://www.sachalayatan.com/poribortonshil/23160
এই লিংকে অনেকগুলো দুর্দান্ত লেখা আছে, পড়ুন, লেখুন, ২টাই পাশাপাশি চলুক সমানতালে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভালো লেখার আকাঙ্ক্ষা চিরদিনের। সেই আগ্রহ থেকেই লেখার চেষ্টা করলাম। ভালো না লাগলে ব্যর্থতার দায় ভার নিয়ে চলে যাব।

দলছুট - আগেকার ঘটে যাওয়া সমস্ত কিছু বাদ দিয়েই বলছি, লেখাটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েই বলছি - ভালো লাগলো না মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

স্নিগ্ধা আপু আমি মনে হয় এখনো আমার সীমাবদ্ধতা গুলি অতিক্রম করতে পারিনি। আপনাদের পরামর্শ মাথায় রেখে চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখা যাজ কতদূর পারি।
আর একটা কথা অতীতের সব কথাই আমি পরামর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছি।
ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
দলছুট।

ভুতুম এর ছবি

আমি নিজে মোটেও ভালো লিখিনা, তাই সমালোচনা করতে দ্বিধা করি। তবু একটু করে বলি, কাহিনীটা বড্ড বেশি গতানুগতিক লাগলো। আর বর্ণনার পারস্সপেক্টিভটাও আমাকে ঠিক আপন করে নিতে পারলো না। আপনার আকাঙ্ক্ষা আছে, চেষ্টা চালিয়ে যান, অবশ্যই আরো লিখুন, ঘষুন-মাজুন সেই লেখাগুলোকে, এরপর উপস্থাপন করুন, নিশ্চয়ই পাঠকপ্রিয়তা পাবেন। শুভেচ্ছা রইলো।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভুতুম ভাই। আপনার শুভ কামনার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।
দলছুট।

অতিথি লেখক এর ছবি

এখনকার প্রচলিত যুদ্ধে জেতার পূর্ব শর্ত হল গতি, আপনার লেখায় আরেকটু গতি চাই।

শুভ কামনা রইল।

স্বপ্নদ্রোহ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। চেষ্টা করবো গতি আনার।
দলছুট।

রানা মেহের এর ছবি

দক্ষিণের খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে রূপালী আলো অঙ্গে মেখে থালার মত চাঁদের দিকে তাকিয়ে প্রকৃতির নিয়মের কথা ভেবে একটা দীর্ঘঃশ্বাস ছাড়ল চৈতী।

সময় রাত একটা, চৈতীর চোখে ঘুম নেই, সারা দিনের ভাবনাটা যেন এই রাতের সৌন্দর্যে যৌবন প্রাপ্ত হয়। মনকে গ্রাস করে অনিয়ন্ত্রিত উম্মাদনায়।

লাল, নীল, হুলুদ, বেগুনী রঙ ছড়িয়েছিল সেই ঘরের দেয়ালে। আজ সেই ঘরের দেয়ালে সাদা ফ্যাকাশে রঙ, টিকটিকি আর মাকড়সার বাসা। টিউব লাইট বা এনার্জি সেইভিংস লাইটের পরিবর্তে আধার, কখন বড় জোর ডিম লাইটের মৃদু আলো।

কিন্তু পরের মুহূর্তেই কার্ডের ভেতরের বরের নাম পড়ে চৈতীর সুন্দর ফর্সা বদনখানি মলিন হয়ে গিয়েছিল।

এই কথাগুলো যে লেখায় থাকে সে গল্প ভালো লাগে কীকরে? মন খারাপ

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সব সময় সমালোচনা শ্রদ্ধার সাথেই গ্রহণ করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দলছুট।

হিমু এর ছবি

চৈতীর সুন্দর ফর্সা বদনখানি মলিন হওয়ার জায়গাটায় এসে অনুভব করলাম, আমি নয়নজলে ভাসি মন খারাপ ... বড়ই করুণ গল্প রে ভাই! বড়ই করুণ!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

দেখেন, ভোরটা ভালো করে দেখেন।

ভোর হবার একটু পরে মুসল্লিদের নামাজের জন্য বের হওয়া, পাশাপাশি স্বাস্থ্যসচেতন আঙ্কেলদের প্রাতঃভ্রমন আর মাঠাওয়ালা (শীতকালে খেজুরের রসওয়ালাও বটে) এবং কিছু রিকশার ইতং বিতং-ও দেখতে ভুলবেননা।

আপনার বই পড়ার পাশাপাশি অবজার্ভেশন ও বাড়াতে হবে বলেই মালুম হচ্ছে।

বিচ্ছিরি বানানের প্রকোপ কমেছে, গাঁথুনি দুর্বলতর-ই রয়ে গ্যাছে। একটু সবল করুন, নয়তো স্যালাইন না, পরে কোরামিন ইন্জেকশন (ডাগদর ভাই, নাম ঠিক কইছি?) দিয়েও দাঁড় করানো যাবেনা। ভাড় হয়েই থাকতে হবে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

সিমন ভাই, আপনার বিদ্রুপ,বিতৃষ্ণা আর বিরুক্তিমাখা সমালোচনা গুলি আমার জন্য আশীর্বাদ। কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দলছুট।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গল্পের কাহিনী বাদ দিলে বর্ণনাটুকু আমার কাছে একেবারে খারাপ লাগেনি। আপনার নাম যদি আমি না জানতাম তাহলে নিঃসন্দেহে ৪ দিতাম। গল্প লেখা একটু কঠিন। জিনিসটা ভিতরে থাকতে হয়, নাহলে লিখতে সময় লাগে, বারবার চেষ্টা করতে হয়।

এই লেখার শুরুটা আমি বলবো বেশ ভালো। গল্প হিসেবে নয়, শুধুই লেখা হিসেবে, প্রথম চার প্যারা সত্যিই ভালো লেগেছে। তবে একেকজনের ভালোলাগা তো একেক রকম, তাই সবার হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে।

আপনি চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। সফল হবেনই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার নাম না জানলে ৪ দিতেন, নাম জানা থাকায় দিলেন না, তার মানে কী আমার কাছে আপনার প্রত্যাশা অনেক? নাকি আমার ওপর রাগের কোন বহিঃপ্রকাশ?

বর্ণনাটুকু ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। আপনার পরামর্শ ও সুন্দর সমালোচনা আমাকে নূতন পথ দেখাবে আশা করি।

ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
দলছুট।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

না না তা নয়। রেটিং কিন্তু করেছি। আমি যেটা বলতে চেয়েছি আপনার নাম দেখে আমি ইনফ্লুয়েনস্ড হইনি। নাম জানা না থাকলে যেটা দিতাম সেটার কথাই বলেছি।

আপনার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। লিখতে থাকুন।

মৃত্তিকা এর ছবি

খুব একটা খারাপ লাগেনি। কাহিনী দুর্বল। সেটি ছাড়া বর্ণনা মোটামুটি ভালো লাগলো।

অসংখ্য সমালোচনার মুখোমুখি থেকেও আপনি যে পিছিয়ে বা মুষ্‌ড়ে পড়েননা, সেটা দেখে ভালো লাগে। বই পড়ুন, সময় নিয়ে লিখুন আর বানানটা খেয়াল করুন। সন্দেহ হলেই অভিধান দেখে নিন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চালিয়ে যান ভাই। দেখবেন- একদিন আপনিও...

______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

অতিথি লেখক এর ছবি

দলছুট ভাই.. আপনার লেখার কথাগুলো অনেক প্যাচানো মনে হয়।
আপনি এক কাজ করুন না... দিনপঞ্জী টাইপের লেখা দেন...পরে ধীরে ধীরে না হয় গল্প লিখবেন।
আমিও তো হাবিজাবি লেখার উপরেই আছি। পরে গল্প টল্প মাথায় ওভাবে কাজ করলে লিখবো। গল্প গাঁথা এত সহজে এত তাড়াতাড়ি হবার না।
তারপরও আপনার যে চেষ্টা আছে...একদিন সফল হবেনই। শুভ কামনা রইলো।
/
ভণ্ড_মানব

সাফি এর ছবি

দলছুট ভাই আমার কাছেও বর্ণনার বাহুল্য গল্পের গতিকে টেনে ধরে বলেই মনে হয়। তবে, আপনার ধৈর্য্য আছে, আপনাকে দিয়ে হবে হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।