দুই দশ ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২১/০২/২০১০ - ২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“মামণি, মামণি”।

মেয়ের আচামকা ডাকে দুপুরের কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে যাওয়ায় মেজাজ খারাপ করে সাথে সাথে জবাব দেন না সিগ্ধা। ‘ডাকুক গে, থাক। এমন অসময়ে কেউ ডাকে? কি এমন মরার দরকার, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে দুনিয়া উজাগার করার?’ ভাবতে ভাবতে আবার একটু তন্দ্রামত লেগে আসে। সেই সাত সকালে নাস্তা বানানো, অফিসে নিয়ে যাবার জন্য স্বামীর লাঞ্চের প্যাক তৈরি, বাচ্চাকে ঘুম থেকে তুলে স্কুলে যাবার জন্য তাড়া দেওয়া, তার সাথে আবার ইদানীং যুক্ত হয়েছেন দেশ থেকে আসা শ্বশুড়ও।

প্রথম যখন এখানে সে আর তার স্বামী দু’জনে মিলে পড়ালেখার জন্য ঘাঁটি গাড়ল, তখন সবার সে কি মানা। ‘বিয়ে করেই বৌকে নিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছ!’ কিছু করার ছিল না। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া, একই ব্যাচের হলেও শাওন- স্নিগ্ধা কেউ কারো পূর্বপরিচিত না। সমাবর্তনের দিন প্রথম দেখা, সেখানেই পরিচয়। হুট করে একদিন বাসায় বিয়ের প্রস্তাব। সেই প্রস্তাবে সোজাসুজি মানা করে দিলেও মা’র উৎসাহেই ছেলেপক্ষের সামনে আসা। সেখানে হবু পাত্র হিসেবে শাওনকে দেখে একটু নিমরাজি ভাব, যেটা মা’র “বিয়ের সময় মেয়েদের লজ্জায় রাজি হয়েও নিমরাজি ভাব দেখানো” তত্ত্বে উড়ে যায়। তাই, দু’দিন ছেলে-মেয়েতে পরিচয়ের সুযোগ, ১ সপ্তাহের মাথায় কথা-বার্তা পাকা, আর ১ মাসে বিয়ে।

ঠিক মধ্যবিত্ত বলা যাবে না স্নিগ্ধার শ্বশুড়পক্ষকে। ফ্ল্যাট নেই, কিন্তু গাড়ি আছে; সেদ্ধ চালের ভাত খান না; মধ্যবিত্তের মত মাসের শেষে এসে হিসেবি অর্থব্যয় নেই, কিন্তু অনাবশ্যক খরচে আপত্তি; মধ্যবিত্তের নানাজনের সাথে মানিয়ে চলার যে ক্ষমতা সেটা আর যে ‘ইগো’ সেটাও আছে; গ্রামের বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া হয়না, কিন্তু, তাদের সাথে যোগাযোগ আছে। স্নিগ্ধার সবচেয়ে যেটা ভাল লাগে সেটা হল এদের একান্নবর্তী পরিবার। শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি, বড়ভাই, ভাবি, এক ননদ, আর ভাই-ভাবির দুই পিচ্চি নিয়ে সংসার। আর, সবচেয়ে বিচিত্র যিনি, তিনি স্বয়ং শ্বশুড়, মো: মোজাফফর আহমদ। রাশভারি মানুষ, কিন্তু অনাবশ্যক ভাব-গাম্ভীর্য নেই; হাসিঠাট্টা করেন না, কিন্তু সবসময় হাসিমুখ; কিছু চাইলে না করেন না, সরকারি চাকরি করতেন, এখন অবসর। নাতিদের নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল, পিচ্চিগুলোও তিনি অন্ত:প্রাণ; বাবা-মা অফিসে আছে, কী বাসায়, কিছু যায় আসে না, তিনি থাকলেই হল। এবং কেন যেন বাসার সবাই; এমনকি ভাবিও তার অন্ধভক্ত। কিছু হলেই সবাই বাবা-বাবা। এত বড় হয়েছে, নিজেও এখন বাবা, তাও বড় ভাই এখনো কিছু করতে যাবার আগে ২ বার মোজাফফর সাহেবের সাথে আলোচনা করেন।

বিয়ের পরপরই শাওনের ছুটোছুটি শুরু। অস্ট্রেলিয়ায় ভর্তির জন্য চেষ্টা করছিল, পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জবাব এসেছে, তাই ভিসা, পাসপোর্ট নিয়ে ছুটোছুটি। কি এক কথাপ্রসঙ্গে শাওনের মাথায় স্নিগ্ধাকেও সাথে করে নিয়ে যাবার পোকা ঢোকা, রেজাল্ট ভালো থাকায় ভাগ্যক্রমে এক বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তির সুযোগ হয়ে যাওয়া, নিজের জন্য আগে একবার দৌড়াদৌড়ির অভিজ্ঞতা থাকায় খুব কম সময়ের মাঝেই শাওনের কল্যাণে একই ফ্লাইটে দেশছাড়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।
এমন সময় হুট করে বেঁকে বসেন শাওনের বাবা। দেশের বাইরে যাবার জন্য অতগুলো টাকার খরচ, ওখানে গিয়েও প্রথম কয়েকমাস চলার খরচ, সব মিলিয়ে একটা বেশ বড় অংক। অত অল্প সময়ে সব টাকার জোগাড় করা মোটামুটি অসম্ভব। এরমাঝে একবার স্নিগ্ধা তার বাবা-মা’র কাছ থেকে টাকা আনার কথা তোলায় একটা বিশ্রী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মোজাফফর সাহেব হঠাৎ করেই তেলে-বেগুনে রেগে উঠেন একথা শুনে। তার পুত্রবধূর পড়ার খরচ তিনি জোগাড় করতে পারছেন না, এটাই যেন তার মনোকষ্টের কারণ। যত যাই হোক, শাওনের শ্বশুড়বাড়ি থেকে কোন অর্থসাহায্য নেবেন না, এ ব্যাপারে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তার এই হামবড়া ভাব দেখে স্নিগ্ধারও জেদ চেপে যায়। সে যাবেই যাবে। শুরু হয় শ্বশুড়- পুত্রবধূর চাপান-উতর। একদিন হঠাৎ শাওন একটা স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে ফেলে স্নিগ্ধার জন্যে।
যথাসময়ে ফ্লাইট, তারপর তো অস্ট্রেলিয়া। অনেক কিছু ছেড়ে আসা লাগল, সাথে করে এক নতুন ধরনের অনুভূতি সঙ্গী করে আনা “ঘৃণা”। শাওনের বাবার প্রতি ঘৃণা।

‘পত্র পল্লবী’র জন্ম এখানেই। এখানেই বেড়ে ওঠা। পড়াশুনার পর শাওনের চাকরিসূত্রে এখানেই থেকে যাওয়া। আস্তে আস্তে এখানেই থিতু হওয়া। বছর বছর দেশে ঘুরে আসা। গত কয়েকবছর ধরে পল্লবীর স্কুল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় আর যাওয়া হয়নি। তাই, তার দাদা-নানা দু’পক্ষের কারো সাথেই তেমন পরিচিতি নেই। চারিদিকের পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে পল্লবীও চমৎকার ইংরেজি বলে, বাসায় বাংলাটা চালু থাকলেও পল্লবীর এখনো সেটা তেমন একটা রপ্ত হয়নি। তাই, এখনো ‘মা-বাবা’ না বলে ‘মাম্মা/ পাপ্পা’তেই বেশি অভ্যস্ত। এ নিয়ে শাওনের মনে আক্ষেপ থাকলেও তেমন একটা গা করে না। এমনি সময়ে হঠাৎ একদিন মোজাফফর সাহেবের আগমন। আর এসেই যথারীতি প্রথম দিনেই পল্লবীর মন জয় করে নেওয়া। স্নিগ্ধা খুঁজেই পায় না, কি যাদু আছে উনার মধ্যে? চেনা নেই, জানা নেই, প্রথম দিনেই যে মেয়ে মা’কে ছাড়া একমুহূর্ত থাকতে পারে না, সেই আজ রাতে দাদা’র কাছে গল্প শুনবে বলে তাকে বিদায় করে দিলো? ইতিমধ্যে অনেক দিন হয়েছে, আগের সেই রাগ নেই, অনেকখানি থিতিয়ে এসেছে। তাই কিছু না বলে আগামীকালের স্কুলের কথা মনে করিযে বেরিয়ে আসে।
গত কিছুদিন থেকেই লক্ষ্য করেছে, মোজাফফর সাহেবের সাথে পল্লবী কি নিয়ে যেন ফিস ফিস করছে। জিজ্ঞেস করলেও বলে না। খাতায়ও কি যেন লেখালেখি করছে। সেদিন পল্লবীর স্কুল বন্ধ। তাকে বাসায় রেখে কেনাকাটা করে বাসায় ফিরে দেখে আশেপাশের আরো ১০/১২ জন বাচ্চা ঘিরে রেখেছে মোজাফফর সাহেবকে, আর তার কোলে বসে পল্লবী কি যেন আঁকছে। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ, কেউ আঁকছে, কেউ কাগজ কাটছে, কেউ আঠা লাগাচ্ছে, পুরো ড্রইংরুম যেন একটা স্টুডিও, সব এলোমেলো। তার হঠাৎ প্রবেশ যেন অনাহুত, তাল কেটে যায় সবার, সবাই হা করে সব কাজ বন্ধ করে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। কেমন একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ, বাচ্চাদের হাঁফ ছাড়ার সুযোগ করে দিয়ে তাড়াতাড়ি অন্য রুমে চলে যায় সে।

হঠাৎ করে কিছু একটা মনে পড়ায় ধরফর করে উঠে বসে সে। এটা পল্লবীর কন্ঠ না? আবার ভাল করে শুনতে থাকে। হ্যাঁ, তাই তো, যে মেয়ে ঠিকমতো মা বলতে পারে না, সেই আজ “মামণি” বলছে। ছুটে বিছানা থেকে নেমে মেয়েকে খুঁজতে থাকে। আওয়াজ লক্ষ্য করে পেছনের উঠানে এসে একেবারে থ হয়ে যায় সে। শোলা আর কাঠ দিয়ে একটা অবকাঠামো তৈরি করেছে সব বাচ্চারা মিলে, তাদের নেতৃত্বে আছে পত্র আর তার নানা। একটু ভাল করে তাকাতেই অবকাঠামোটার একটা পরিষ্কার অবয়ব ফুটে ওঠে তার চোখের সামনে। যে অবকাঠামোর সাথে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পরিচয়, যার জন্য তার মাতৃভূমির নাম পৃথিবীর বুকে অঙ্কিত সেই ভাষার দাবির প্রতি সম্মান রেখে বানানো শহীদ মিনার তৈরি করেছে বাচ্চারা। এই প্রথমবারের মত শ্বশুড়ের প্রতি শ্রদ্ধায় নুয়ে আসে তার মাথা। আরেকটু কাছে যেতেই দেখে সবার গালে অ, আ, ক, খ, ১, ২ বিভিন্ন বর্ণমালা আঁকা। দূরে থেকে বাচ্চাদের এই উৎসাহ দেখতে থাকে সে হাসিমুখে।

হঠাৎ করেই সবার মাঝে কিসের যেন সাড়া পরে যায়, সবাই একসাথে লাইন ধরে গাইতে থাকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় সেই গানটি গাইতে থাকে, যে গানটি শুনলে এখনো একই সাথে বেদনা, আর তীব্র সুখানুভূতির একটা মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয়। বাচ্চাগুলোর সুরটা ঠিক থাকে, কিন্তু উচ্চারণ বেশ জড়ানো, তারপরও শুনতে ভাল লাগছে। আস্তে আস্তে এগিয়ে গিয়ে বাচ্চাদের কাতারে গিয়ে নিজেও গলা মেলায়। একহাতে ধরে রাখে পত্র’কে, আরেক হাত রাখা মোজাফফর সাহেবের হাতে। দুই প্রজন্মের মাঝে এক সেতুবন্ধন।

- মুক্ত বয়ান


মন্তব্য

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

ভাল লাগল আপনার গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি

থ্যাংকু। থ্যাংকু। হাসি

- মুক্ত বয়ান

রাগিব এর ছবি

ভালো লাগলো গল্পটা।

কিন্তু, গোপনে এক তারকা কে দাগালো? তারকা ব্যাপার না, কিন্তু এই গল্পের মতো নির্বিরোধ লেখাতে খারাপ লাগলো কার? বা কেনো? বানান ভুল তো চোখে পড়লোনা তেমন। এছাড়া আর কী কারণ? একটু কৌতুহলী ...

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা হা!
ভাইয়া, আপনি পারেনও বটে!!
যার ভালো লাগেনি, সে ১ রেটিং দিয়েছে। কি আর করা আছে? তবে, আমিও আপনার সাথে একমত, একটু বিস্তারিত বললে আমার জন্য সুবিধা হত, ভবিষ্যতে ভুলগুলো সংশোধন করে নিতাম। হাসি

ধন্যবাদ ভাইয়া। হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বাহ, চমৎকার লাগলো লেখাটা। সুন্দর গল্প।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক থ্যাংকু।
তবে, আপনাদের কাছে আরো বেশি দাবি, সমালোচনা করার জন্য। হাসি

- মুক্ত বয়ান

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হে হে সমালোচনাও আসবে। প্রথমে একটু তেল দেয়া, তারপরে ঘষা হো হো হো

অতিথি লেখক এর ছবি

এক্টু রইয়া-সইয়া দিয়েন কিন্তু!!! হাসি
আগে থেইকা বলে দেওয়ায় সুবিধা হল, পিঠা "ছালার বস্তা" বাইন্ধা আসি!! হাসি :)

- মুক্ত বয়ান

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হে হে। হো হো হো
========
ভালো লাগল।
পাঁচ তারা দিয়ে কতদূর নেয়া গেল দেখি।
আরো লিখুন, মুক্ত।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধইন্যাপাতা। হাসি
খুব একটা লাভ হইল না ভাইয়া, আরেকজন কে যেন আবার ১ তারা দিছে!! তাই এখন ২ তারা!!
এইসব বাদ্দেন। লেখা কেমন হইছে বলেন। হাসি

- মুক্ত বয়ান

ধুসর গোধূলি এর ছবি

চমৎকার করে লিখেছেন। চলুক

... তাদের নেতৃত্বে আছে পত্র আর তার নানা।
'দাদা' লিখতে চেয়েছেন বোধ'য়।

যে অবকাঠামোর সাথে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পরিচয়,...
এতো পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে? প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নয় কেনো! গল্পের ভাবের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয় বা বিদ্যালয় কথাটাই বেশি মানাতো মনেহয়।

লিখুন আরও, অনেক অনেক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধইন্যাপাতা ভাইয়া এন্তার, এন্তার। হাসি

যে অবকাঠামোর সাথে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পরিচয়,...

ভাইয়া, পোস্ট লিখে প্রিভিউ দেখে বেশ কিছু বানান ঠিক করছিলাম, এই লাইনটাও চোখে পরেছিল, তখন ঠিক করার কথাও মাথায় ছিল, কিন্তু, পরে আর মনে নেই!!

এমন একটা সংশোধনী দিতে চাই,

যে অবকাঠামোর সাথে বিদ্যালয় থেকেই পরিচয়, আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যার সাথে নিত্য সাহচর্য।

আরো কোন পরামর্শ?

- মুক্ত বয়ান

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরেকটা ব্যাপার আছে। শিরোনামের ব্যাপারটা।

শিরোনামটা সাধারণত হয় গল্পের / লেখার বিষয়বস্তুকে ধারণ করে। "দুই দশক" জিনিষটা গল্পের ভেতরে কোথাও দেখলাম না। না সরব, না নীরব! এই শিরোনাম কিন্তু একটা লেখার মুখ, পরেরবার এটা হয়তো আপনার মনোযোগ একটি একটু বেশিই দাবী করবে।

আরেকটা জিনিষ। সচলে, শিরোনামের ঘরে কোনো এইচটিএমএল বা বিবি কোডের ক্ষমতা কাজ করে না। দিয়ে লাভ নেই। শুধু শুধু শিরোনামটা একটু বদখত দেখাবে, এই যা! এটার দিকেও একটু মনোযোগ দেয়া দরকার।

শুভেচ্ছা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া এতক্ষণে ভাল করে খেয়াল করলাম। মন খারাপ
পুরাই বোকামী হইছে। টাইপো টাইপো। মন খারাপ
শিরোনামটা হওয়ার কথা ছিল দুই দশ ১
১. এটা একুশের গল্প
২. শেষে দু্ই প্রজন্মের দুই সদস্যের মাঝে একজনের সেতুবন্ধন রচনা।
বিরাট টাইপো। মন খারাপ :(

এইচটিএমএল কোড কাজ করেনা, এই তথ্যটা জানা ছিল না ভাইয়া। পরামর্শের জন্য থ্যাংকু। হাসি

পরবর্তীতে এই ব্যাপারগুলায় আরো মনোযোগ অবশ্যম্ভাবী। হাসি

- মুক্ত বয়ান

তিথীডোর এর ছবি

শিরোনাম ভাল্লাগেনি তবে গল্প ভাল্লেগেছে!! হাসি
কিছু বানান ভুল আছে, ঠিক হয়ে যাবে...
লিখুন আরো!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার আগের গল্পেও আপনার এমন মন্তব্য। মন খারাপ
দু:খু পাইলাম। মন খারাপ

গল্প ভালো লাগার জন্যে ধইন্যাপাতা। হাসি
একটু উপদেশ দেন তো ভাই নামের ব্যাপারে। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। হাসি :)

- মুক্ত বয়ান

তিথীডোর এর ছবি

* একতারকা কাহিনী বড়ই ধোঁয়াটে!
ভালো না লাগার গোপন প্রকাশরুপটি আমার অপটু মস্তকের বোধগম্যতার বাইরে!!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো না লাগার গোপন প্রকাশরুপটি আমার অপটু মস্তকের বোধগম্যতার বাইরে!!

সহমত জানাইলাম। হাসি

- মুক্ত বয়ান

টিউলিপ এর ছবি

ভালো লাগল।
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধইন্যাপাতা । হাসি

- মুক্ত বয়ান

ব্রহ্ম দৈত্য [অতিথি] এর ছবি

সুন্দর!! ভালো লেগেছে গল্পের দৃশ্যপট।
অচল আমি, না হলে হয়তো পঞ্চতারকা হাকাতাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

মুখে বলেছেন, তাতেই কৃতার্থ। হাসি
আপনিও লিখুন। লিখতে লিখতে সচল হয়ে যাবেন। হাসি
ধন্যবাদ।

- মুক্ত বয়ান

নাশতারান এর ছবি

গল্প ভালো হয়েছে।
শিরোনাম ভালো লাগেনি।
গল্পটা শুরু করেছেন সাম্প্রতিক কথা দিয়ে। তারপর চলে গেছেন ফ্ল্যাশব্যাকে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে আবারো বর্তমানে। সে হিসেবে গল্পের শুরু আর শেষটা একই বিন্দুতে মেলার কথা। সেটা হয়েছে বলে মনে হয়নি।
বানানের কথা একটু বলি। শ্বশুর-এ "র", শ্বাশুড়ি-তে "ড়"। ধড়ফড়-এ "ড়"।
আমি এমন কিছু বোদ্ধা নই। চোখে লাগল, তাই বললাম।
লিখতে থাকুন হাত খুলে। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে আজিব!
আপনেরে তো আগেই মন্তব্য করছি, কিন্তু, সেটা আসলো না ক্যান?
যাই হোক,
শুরুটা হয়েছে, "মামণি, মামণি" দিয়ে, এরপর ফ্ল্যাশব্যাকে চলে যায় গল্প। প্রায় শেষদিকে এসে

হঠাৎ করে কিছু একটা মনে পড়ায় ধরফর করে উঠে বসে সে।

এর মাধ্যমে আবার বর্তমানে ফিরে আসে।
দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে মনে হয় আপনার। মন খারাপ
ভবিষ্যতে আরো ভালো করে লেখার আশা রাখি। হাসি
ধইন্যাপাতা।

- মুক্ত বয়ান

নাশতারান এর ছবি

সেদিন পল্লবীর স্কুল বন্ধ। তাকে বাসায় রেখে কেনাকাটা করে বাসায় ফিরে দেখে আশেপাশের আরো ১০/১২ জন বাচ্চা ঘিরে রেখেছে মোজাফফর সাহেবকে, আর তার কোলে বসে পল্লবী কি যেন আঁকছে। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ, কেউ আঁকছে, কেউ কাগজ কাটছে, কেউ আঠা লাগাচ্ছে, পুরো ড্রইংরুম যেন একটা স্টুডিও, সব এলোমেলো। তার হঠাৎ প্রবেশ যেন অনাহুত, তাল কেটে যায় সবার, সবাই হা করে সব কাজ বন্ধ করে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। কেমন একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ, বাচ্চাদের হাঁফ ছাড়ার সুযোগ করে দিয়ে তাড়াতাড়ি অন্য রুমে চলে যায় সে।

হঠাৎ করে কিছু একটা মনে পড়ায় ধরফর করে উঠে বসে সে।

অন্য রুমে গিয়ে যে স্নিগ্ধা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, খেয়াল করিনি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

জনাব,
শিরোনাম বুঝতে পারি নাই।
গল্প বড়ই মনোরম হইয়াছে। উপভোগে আনন্দ পাইলাম।
আশা করিতেছি ভবিষ্যতে আপনার কাছ হইতে এরুপ আরো অনেক সুন্দর লেখা পাইব।

ইতি,
মনজুর এলাহী

অতিথি লেখক এর ছবি

শিরোনামে টাইপো ছিলো। এখন ঠিক করা হয়েছে। হাসি
ভালো লাগার জন্যে ধইন্যাপাতা। হাসি

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

মডু'কে ধইন্যাপাতা। হাসি
শিরোনামের টাইপোটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য। হাসি

- মুক্ত বয়ান

অদ্রোহ এর ছবি

কি এমন মরার দরকার, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে দুনিয়া উজাগার করার?

এখানে উজাগার হবে নাকি ??

যাই হোক ,লেখা সম্পর্কে বলি ,প্লট মোটামুটি টিপিক্যাল ,তবে এই দিনের মাহাত্ম্য বিচারে এই অনুমেয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই ।গল্পের মেসেজটা স্পষ্ট ,আর গল্প বলার সহজিয়া ঢঙ এর কারণে খুব একটা ঠোক্কর খেতে হয়নি কোথাও ।কিছু টাইপো আছে ,সবকিছু মিলিয়ে এই দিবসের সাথে মোতামুটি সাযুজ্যপুর্ণ গল্প ।

অদ্রোহ

অতিথি লেখক এর ছবি

"উজাগার"এর ব্যাপারটা ঠিক পরিষ্কার হল না রে। মন খারাপ
ঠোক্কর খেতে হয় নাই, এ জন্যেই অভিনন্দন। হাসি

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগল।

---------------
আলোর ছটা
---------------

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

- মুক্ত বয়ান

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

খুব মিষ্টি লাগলো গল্পটা। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। বেশি মিষ্টি ভালো না। একটু পানি মিশায়ে খান!!! হাসি :)

- মু্ক্ত বয়ান

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্প ভালো, প্লট ভালো।...

সমস্যাটার কথা বলি। প্লটটা বহু পুরোনো, ব্যবহ্রত - ক্লিশে। এমন পুরোনো একটা প্লটে নতুনত্ব আনার যে দরকারটা ছিলো, সেটা অনুপস্থিত। আপনার আগের গল্পটা কিন্তু এটার চেয়ে অনেক ভালো লেগেছিলো...

বানান নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর নাই। একটু মনোযোগেই ঠিক হয়ে যাবে...
_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

থ্যাংকু থ্যাংকু।
নতুনত্ব আনার একটা চিন্তা ছিল, কিন্তু, পরে সেটাকে আর লেখায় রূপ দিতে পারি নাই। এটা আমারই ব্যর্থতা, নি:সন্দেহে। গল্পের মূল প্লট যেটা ছিল, আর যেটা লেখা হল, দুইয়ের মাঝে বেশ খানিকটা দূরত্ব আছে। ভবিষ্যতে হয়ত এটা নিয়ে আবারো কোনদিন বসবো। হাসি
ধইন্যাপাতা।

- মুক্ত বয়ান

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার লেখা। লিখতে থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অ:ট: পাঠকদা, আপনার লেখা কি ইদানীং পাই না। মন খারাপ
খুব খারাপ। মন খারাপ

ট: থ্যাংকু ভাইয়া। হাসি

- মুক্ত বয়ান

রাহিন হায়দার এর ছবি

চলুক

সহজ সুন্দর ভাষা।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধইন্যাপাতা ভাইয়া। হাসি

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব কমন প্লট, কিন্তু তবুও ভাল লাগছে ।
কোমল কোমল ভাব আছে ।

শেয়ার দিস নাই খোমাখাতায়?

বোহেমিয়ান

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।