আর এক মেধাবীর অকাল মৃত্যু

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৫/২০১০ - ৭:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবার এক মেধাবীর অকাল মৃত্যু হল।[ সংবাদটি পড়তে ক্লিক করুন অথবা ক্লিক করুন]
নাম খন্দকার খানজাহান(আমি সঠিক বানানটা জানিনা, ভুল হলে আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)। ডাকনাম সম্রাট। বুয়েটে প্রথম বর্ষের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র।
বুয়েটে নতুন সাময়িকীর ক্লাস শুরু হয়েছে গত ২২শে মে। এখনও এক সপ্তাহ ঠিকমত পার হয়নি।
ছেলেটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা বুঝতে পারি, তার মনের মধ্যে এসময় কি চলছিল।
বুয়েটে ভর্তি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ছিল উচ্ছ্বসিত। সাথে চোখ ভরা স্বপ্ন।
আজ সকালে সেই স্বপ্নগুলোর মৃত্যু হল।
আজ সকালে উঠে কি ভেবেছিল সম্রাট? ভেবেছিল কি তার স্বপ্নগুলোর এমন মৃত্যু হবে?
বোনের বাসায় যাচ্ছিল সে। হয়তো বোনকে বলতে নতুন অভিজ্ঞতার কথা। হয়তো বোনটাকে একনজর দেখতে। হয়তো...
অনেক হয়তো হতে পারে। সেগুলো আজীবন হয়তো হয়েই থেকে যাবে।
কিন্তু এভাবে আর কত মেধাবীর প্রাণ যাবে?
কিছুদিন আগেও বুয়েটের প্রধান ফটকের সামনে এক বুয়েট শিক্ষার্থী টেম্পুর আঘাতে আহত হয়েছিল। তখন সাময়িকভাবে টেম্পু চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন আবার তা স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমারই এক সহপাঠী সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়। সেমিস্টারের ক্লাস শেষ হবার পরের দিনের ঘটনা এটা। মেরুদন্ডে আঘাত পেয়েছিল। সে ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় সে এখন সুস্থ। কিন্তু গত সেমিস্টারে সে পরীক্ষা দিতে পারেনি। জীবন থেকে ছয়টা মাস তার চলে গেল।
এমন হবে কেন? কেন সড়কগুলো নিরাপদ নয়? কেন আমরা এব্যাপারে সচেতন নই?কেন?
যখন খবরটা শুনি তখন এক ক্লাসের মাঝখানে ছিলাম। এখানে ওখানে ফোন করে জানলাম ঘটনা কি।
খারাপ লাগছে। সম্রাটের মা-বোনকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। মাত্র ১০ ঘন্টা আগেও যে ছিল, তার হঠাৎ এই নেই হয়ে যাওয়াকে কিভাবে মেনে নেবে সবাই?
কোন সরকারই এর প্রতিকার দিতে পারলো না।
আমরা আসলে জিম্মি। বাজারে ব্যবসায়ীদের হাতে, বাসা-বাড়িতে বাড়িওয়ালাদের হাতে, রাস্তায় সড়ক মালিকদের হাতে।
কয়েকদিন আগে তারানা হালিমের এক আত্মীয় মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে একটু ঢাক-ঢোল পিটানো হলেও এখন আবার তা চুপ।
প্রতিদিন রাস্তাঘাটে যে কত ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে তার হিসাব বের করা যাবে না। যায় না বিধায় তা পরবর্তীতে এরকম বড় বড় ঘটনার জন্ম দেয়।
আজকের ঘটনার পর আমার সহপাঠীদের দেওয়া তিনদফা দাবীর সাথে আমি একমত পোষণ করি। অনেক আগে থেকেই ছাত্রদের দাবী ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইডেন কলেজ এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা। কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে গা-ছাড়া ভাব দেখানোয় সম্রাটের আজকের এ পরিণতি।
বাস চালক ও মালিকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে এধরনের ঘটনার কোন মীমাংসা হয় না। চালক ও মালিক উভয়েই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এবারও হয়তো তাই হবে।
সরকার কি একটু চেষ্টা করলে পারে না এ ধরনের ঘটনাগুলো যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা নিতে? সদিচ্ছার এত অভাব কেন? আর কত ঘুষ খেয়ে এসব রুটে বাস চলাচলের অনুমতি দেবে কর্তৃপক্ষ?
মাত্র উনিশ বছর বয়েসে মারা গেল সম্রাট। ছেলেটার একটা ছবি পেলাম ডেইলি স্টারে। সেটাই এখানে তুলে দিলাম।
দুপুরে জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যাবার কথা।
আমি সম্রাটের মৃত আত্মার শান্তি কামনা করছি। সেই সাথে আশা করি সরকার এর সুষ্ঠ বিচার করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

সম্রাটের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

গাড়ি চাপা পড়ে কেউ মারা গেলে যানবাহনের চালকের নামমাত্র শাস্তি হয়। শাস্তি কঠোর করা না হলে এমন ঘটতেই থাকবে।

২০০১ সালে [অথবা ০২] বুয়েটের ব্যাঙ্কের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মারা গিয়েছিলেন [চমন আরা চম্পা]। আমরা ক্লাস বাদ দিয়ে পলাশীতে গিয়ে দেখি কুড়ি মিটারের মতো রাস্তা রক্তে লাল হয়ে আছে। কয়েকজন ছাত্র নাকি মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক সার্জেন্টকে গিয়ে বলেছিলো, ভাই বাসটাকে আটকান। সার্জেন্ট উত্তর দিয়েছিলো, বাস আটকানো আমার কাজ না। পোলাপান তৎক্ষণাৎ ধোলাই শুরু করার পর সার্জেন্ট মোটর সাইকেল নিয়ে ভাগে। একটু পর পুলিশের বড় কর্তারা যখন গাড়ি নিয়ে হাজির হয়, তখন শ তিনেক ছাত্র জমে গেছে পলাশীতে। তারা নেমে শুরু করলো ধমকধামক, এইখানে কী করেন, এইখান থেকে যান। পোলাপান দিলো ধাওয়া। একটু পর দাঙ্গা পুলিশ এসে শুরু করলো লাঠি চার্জ। সেই বাস আর বাসচালকের কিসুই হয় নাই।

উইনার এর মালিকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। সম্প্রতি সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুর জন্যে ক্ষতিপূরণ পরিশোধের আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত, এই দৃষ্টান্ত প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনার জন্যে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাই, ক্ষতিপূরণ পাওয়াটা অবশ্যই বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক বড় সাফল্য। আশা করি ভবিষ্যতেও এমন নজির আরও দেখা যাবে।
কিন্তু সম্রাট ছিল একমাত্র ছেলে। বুঝতেই পারছেন তাকে ঘিরে বাবা-মার কি পরিমাণ আশা ভরসা ছিল। ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই ক্ষতি কি পুষিয়ে নেয়া যাবে?
শেষ বয়সে সম্রাটের মা-বাবা টাকা দিয়ে কি করবে যদি ছেলেই সাথে না থাকে?
আমার মা হলে আপনি হাজার কোটি টাকা দিলেও সে মেনে নিতে পারতো না।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

হিমু এর ছবি

ক্ষতিপূরণ তো কখনও ক্ষতির সমান হয় না। সম্রাটের পিতামাতা টাকার বিনিময়ে পুত্রশোক ভুলে যাবেন, সে প্রস্তাব আমি করছি না। ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে বাসমালিক আর বাসচালকের শাস্তি এবং সচেতনতার জন্যে। বাংলাদেশে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় না বলেই যানবাহনের মালিকেরা চালকদের দেখেশুনে নিয়োগ করে না, আর চালকরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

উপযুক্ত বক্তব্য। সহমত।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

রাব্বানী [অতিথি] এর ছবি

সম্রাটের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা।

হিমু ভাই যে ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন ঐ ঘটনায় সিভিলের মাসুম ভাইতো পুলিশের লাঠিচার্জ এর সময় দৌড়াতে গিয়ে গর্তে পড়ে মারাত্নকভাবে পা ভাঙ্গেন। ফলে উনার ১ টার্ম লস হয় এবং ২/৩ টার্ম পায়ে শেকল টাইপের কি যেনো পরে হাঁটতে হয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি পিটস্‌বার্গ শহরের পাশে ছোট্ট একটা উপশহরে থাকি। এখানে বৃদ্ধদের জন্য একটা ওল্ডহোম আছে। হোমের পাশেই রাস্তার ওপারে গ্রোসারী আর ওষুধের দোকান। বৃদ্ধরা রাস্তা পার হয়ে প্রায়ই যাওয়া আসা করে ওপারে।

গাড়ী চলাচলের কোন ডিজাইনেটেড স্টপ বা লাইট না থাকলেও প্রবীনদের কথা ভেবে পথচারী চলাচলের জন্য রাস্তার মাঝখানে একটা অংশ চিহ্নিত। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় পথচারী বা বাই-সাইকেলারোহী থাকলে তারা সর্বাগ্রে প্রায়োরিটি পাবে। পথচারীর জন্য চিহ্নিত অংশ হলে তো কথাই নেই।

তো সেদিন ওখান দিয়ে যেতে গিয়ে দেখি এক বুড়োকে আঘাত করেছে কোন এক গাড়ী। অ্যম্বুলেন্স এসেছে, পুলিশ এসেছে কিন্তু কোথাও কোন মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে মজা দেখছে না। ফেরার পথে দেখলাম অবস্থা আরও গুরুতর। পুরো রাস্তাই বন্ধ আর পুলিশ নিয়ন্ত্রিত।

যে পয়েন্টটা ফোকাস করতে চাই সেটা হল এরকম ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষের অংশগ্রহন নিয়ে। যেহেতু আমাদের পুলিশ/লিগাল সিস্টেম এই ব্যপারগুলোর সুষ্ঠ নিয়ন্ত্রন/সমাধান করতে পারে না, তাই জনগনের নাক গলাতে হয়। এতে যেটা হয় সেটা হল ফোকাসটা বদলে যায়। পুলিশ তখন দুর্ঘটনার তদন্ত করতে এসে ব্যস্ত হয় জনতার রোষ সামাল দিতে। ততক্ষনে আসল অপরাধী পগারপার। তারউপর আছে ঘুষের ব্যাপার এবং অন্যান্য অনিয়ম।

যেহেতু দোষীর কিছু করা যায়নি, ঘটনার পুনারাবৃত্তি ঘটতেই থাকে। এবং এভাবেই চলতে থাকে দুষ্টচক্রটি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

একদম মনের কথাটি বলেছেন মাহবুব ভাই। আমি ছাত্র হিসেবে নই নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে বলছি।
আইন যদি তার সঠিক পথে চলতো তাহলে ছাত্ররা আজ গাড়ি পোড়াতো না।
আর এক জায়গায় দেখলাম একজন লিখেছেন

খুবই দুঃখজনক ঘটনা, তবে বাংলাদেশের বুয়েটের ছাত্ররা যদি মনে করে দুঘর্টনা ঘটলেই ভাংচুর করতে হবে, তবে তা বুয়েটের জন্য লজ্জাজনক। অবশ্য বাংলাদেশে লজ্জা জিনিসটি খুবই বিরল।

এবিষয়ে বলি বুয়েট বলেই যে ভাংচুর করতে হবে বা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে এমন কোন কথা নেই। আমরাও মানুষ। আমাদেরও অন্য সবার মত রাগ ক্রোধ আছে।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপাইন যদি ফিস বাড়ানোর প্রতিবাদে নিজেদের ক্যাম্পাস ভাংচুর করে তাহলে ভাই লজ্জা নিয়ে আমার বলার কিছু নাই।
আমি আজ স্পটে থাকলে অবশ্যই আমার বন্ধুদের, আমার বড়-ছোট ভাইদের পাশে থাকতাম।
তাছাড়া টিভিতে যাদের দেখলাম তাদের অধিকাংশই বাইরের, অপরিচিত মুখ।
আর একটা জিনিস- খালি সিস্টেম, চালক আর পুলিশকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদেরও দোষ আছে, কারণ সিস্টেম আমাদের, চালক আর পুলিশ আমরাই। এ নিয়ে আজকে একটা লেখা দেবার ইচ্ছা আছে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

এনকিদু এর ছবি

যে পয়েন্টটা ফোকাস করতে চাই সেটা হল এরকম ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষের অংশগ্রহন নিয়ে। যেহেতু আমাদের পুলিশ/লিগাল সিস্টেম এই ব্যপারগুলোর সুষ্ঠ নিয়ন্ত্রন/সমাধান করতে পারে না, তাই জনগনের নাক গলাতে হয়। এতে যেটা হয় সেটা হল ফোকাসটা বদলে যায়। পুলিশ তখন দুর্ঘটনার তদন্ত করতে এসে ব্যস্ত হয় জনতার রোষ সামাল দিতে। ততক্ষনে আসল অপরাধী পগারপার। তারউপর আছে ঘুষের ব্যাপার এবং অন্যান্য অনিয়ম।

সহমত


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সম্রাটের পরিবারের জন্য সমবেদনা।

---------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সম্রাটের পরিবারের জন্য সমবেদনা রইল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিন্দ্য এর ছবি

কিছুই বলার নেই।খুব মন খারাপ হয়েছে খবরটা শুনে।

লীন এর ছবি

কোনো এক দুর্ঘটনার পরে নাকি ঘাতক চালকের উক্তি ছিলো এমন যে প্রতিদিনই তো এমন ঘটনা ঘটছে, মানুষ মরছে। এতো চিল্লাপাল্লা করার কী আছে। আরেক চালক বলেছিলো যে বাস কর্মচারীদের স্পর্শ করার ক্ষমতা কারও নাই।
কাজেই, আমি মন্তব্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছি।

______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি

______________________________________
লীন

অতিথি লেখক এর ছবি

আর একটা ঘটনা আমার মনে পড়ে যেখানে চালক বলেছিল তার মালিক এসে তাকে ছাড়ীয়ে নেবে, তার কিছুই কেউ করতে পারবে। এত সাহস হয় কোথা থেকে তাদের?
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

মর্ম এর ছবি

আমরা ধীরে ধীরে অমানুষ হচ্ছি কিনা জানিনা তবে এটা জানি এমন ঘটনাও আমাদের কাছে এখন একটা খবর ছাড়া কিছুই না।

এখন হয়তো বুকে চাপমত লাগছে, মনটাও খারাপ কিন্তু দুদিন পরেই আর কিছু মনে থাকবেনা।

সবার জীবন চলবে আগের মত।
সম্রাটের ক্লাসের কাছের কজন তাকে মনে রাখবে কদিন, ওদের কাছেও ও একদিন ফিকে হয়ে আসবে।

অপরিমেয় বোঝা নিয়ে সম্রাটের পরিবার বেঁচে থাকবে।

সম্রাট নেই, থাকবেনা। তাতে কার কী এসে যায়?!

সম্রাট ওপারে অপার শান্তি পাক, এ কামনা করা ছাড়া আর কি করতে পারি আমরা ওর জন্য? মানুষ বড় অসহায় কখনো কখনো।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

স্বাধীন এর ছবি

জাহিদের ব্লগেও একই মন্তব্য করেছি।

খুবই দুঃখজনক এবং খুবই হতাশাজনক ঘটনা। এ রকম অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমার মতে ওভারব্রীজ কোন কার্যকরী সমাধান নয়। সমাধান একমাত্র, বিডিয়ারের মত, বুয়েট, মেডিকেল এবং ঢাবিকে ঘিরে একটি বলয় করে দিতে হবে যার ভেতর দিয়ে কোন প্রকার গাড়ী চলাচল করতে পারবে না, শুদ্ধু মাত্র অনুমদিত (বিশ্বাবিদ্যালয়ের নিজস্ব এবং সেখানে বসবাসরত কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের গাড়ী) গাড়ী ও রিক্সা ব্যাতীত। এবং এই লক্ষ্যে এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শিক্ষক , সকলে মিলে, একত্রে সরকারকে তাঁদের এই দাবী আদায়ে বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজন ঐক্য।

সম্রাটের শোকসপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা রইল।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কষ্ট এবং হতাশার সঙ্গে সমবেদনা জানালাম। আহারে! বাচ্চা একটা ছেলে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সমস্যার মূলে হাত না দিলে এরকম হতেই থাকবে। ইন্সিওরেন্স এবং বড় পেনাল্টি একটা উপায় হতে পারে। কিন্তু এসব করবে কে?

সমবেদনা ছাড়া আর কিছু দেবার নেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিন্তু এসব করবে কে?

এটাই হল আসল প্রশ্ন। অসংখ্য সমাধান। যেটা খুশি নেওয়া যায়। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবেটা কে?

অতিথি লেখক এর ছবি

কিন্তু এসব করবে কে?

এটাই হল আসল প্রশ্ন। অসংখ্য সমাধান। যেটা খুশি নেওয়া যায়। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবেটা কে?
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

অতিথি লেখক এর ছবি

কিন্তু এসব করবে কে?

এটাই হল আসল প্রশ্ন। অসংখ্য সমাধান। যেটা খুশি নেওয়া যায়। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবেটা কে?
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

নাশতারান এর ছবি

মানুষের জীবন বোধ হয় সবচেয়ে সস্তা এখন। বুয়েটের ছাত্র না হয়ে বাসচালক হলেই ভালো করত সম্রাট।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

লীন এর ছবি

খুব কষ্ট লাগছে এই লাইনটা পড়ে। কিন্তু এটাই বুঝি কঠিন বাস্তব।

______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি

______________________________________
লীন

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্রাটের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

তাসনীম এর ছবি

সম্রাটের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

সম্রাটের পরিবারের জন্য সমবেদনা রইল। আশির দশকের শেষদিকে ফার্মগেটে একবার ভোরবেলায় ট্রাকের আঘাতে নিহত হয়েছিল ৬ বা ৭ জন স্কুলের বাচ্চা। ট্রাক চালকের ফাঁসির দাবীতে তেঁজগা রণক্ষেত্র ছিল প্রায় এক সপ্তাহ। দফায় দফায় যুদ্ধ হয়েছে তেঁজগার ট্রাক স্ট্যান্ডদের চালকদের সাথে ছাত্রদের। ছাত্রদের দাবি ছিল ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফাঁসি দিতে হবে।

শেষ পর্যন্ত শুনেছিলাম ট্রাক চালকের পাঁচ বছরের জেল হয়েছে। এটাকে শাস্তি না বলে পুরস্কার বলা উচিত। আমি বাংলাদেশে কাউকে অপরাধের জন্য উপযুক্ত শাস্তি পেতে খুব কম দেখেছি। সম্ভবত এই কারণেই অপরাধও বাড়ছে।

মাঝে মাঝে মনে হয় ২৪ ঘন্টায় ফাঁসির মত কঠিন শাস্তি দিতে পারলে মনে হয় ভালোই হোত...

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারও মাঝে মাঝে মনে হয় এমন কিছু থাকলে খুবই ভালো হত।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

ঐশী [অতিথি] এর ছবি

আমরা সম্রাটের আত্মার শান্তি কামনা করতে পারি, তার বাবা-মা কে সমবেদনা জানাতে পারি; কিন্তু যে স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে, তাকে ফেরাতে পারব না কখনই।
এভাবে প্রতিদিন অকালে ঝরে যায় অসংখ্য জীবন, অসংখ্য স্বপ্ন।
আমরা কি পারি না একটু সচেতন হতে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর সচেতনতা সড়ক দুর্ঘটনা আর আইনের এই শিথিলতার চিত্রকে বদলে দেবেই একদিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরো নতুন নতুন অনেক বলেও কি আসলেই কিছু বদলাবে ? বদলে যাবে , বদলে দিতে পারি আমরা ? অনুভূতির আস্ফালন ছাড়া ..........

প্রখর-রোদ্দুর

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলব বুঝতে পারছিনা। সম্রাট আমার বুয়েটের বন্ধু দের বন্ধু। ভাবছি আজকে এই ঘটনা আমার পরিবারে ঘটলে কি হত? পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

গাড়ি চাপা পড়ে কেউ মারা গেলে যানবাহনের চালকের নামমাত্র শাস্তি হয়। শাস্তি কঠোর করা না হলে এমন ঘটতেই থাকবে। গাড়ির লাইসেন্স দেয়া তে কোন ত্রুটি থাকতে পারে? আপনাদের কি মনে হয়?

http://www.facebook.com/home.php?#!/profile.php?id=100000857404268

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলব বুঝতে পারছিনা। সম্রাট আমার বুয়েটের বন্ধু দের বন্ধু। ভাবছি আজকে এই ঘটনা আমার পরিবারে ঘটলে কি হত? পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

গাড়ি চাপা পড়ে কেউ মারা গেলে যানবাহনের চালকের নামমাত্র শাস্তি হয়। শাস্তি কঠোর করা না হলে এমন ঘটতেই থাকবে। গাড়ির লাইসেন্স দেয়া তে কোন ত্রুটি থাকতে পারে? আপনাদের কি মনে হয়?

http://www.facebook.com/home.php?#!/profile.php?id=100000857404268

ইফতেখার রাজিব রুপাই

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ছেলেটা আমার ডিপার্টমেন্টের ছিলো...ক্লাস করেছে মাত্র পাঁচ দিন- হয়তো ক্লাস চলার ফাঁকে কোন একসময় তাকে দেখে থাকবো...এখন আর দেখার সুযোগ নেই...
তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই...

_________________________________________

সেরিওজা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।