মরুযাত্রা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৮/২০১০ - ৮:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[এখানে সংযুক্ত ছবি-১]

মরুযাত্রা

মনমাঝি

(১ম পর্ব)

One Moment in Annihilation’s Waste,
One Moment, of the Well of Life to taste –
The Stars are setting, and the Caravan
Draws to the Dawn of Nothing – Oh make haste !
-- Omar Khayyam*

(১)

প্রাচীন মিশরী মরুভূমির বুকে পিঠ ঠেকিয়ে মাথার উপর প্রাগৈতিহাসিক তারার মেলার মধ্যে কোন এক নিহারীকাপুঞ্জে হারিয়ে গেছি। এমন সময় আমার সমগ্র অস্তিত্ব বিবশ করে চারিদিকে ঝমঝমিয়ে নামলো এক আদিম নিরবতা আর শুন্যতার মহাসমুদ্র। স্থান-কাল নিয়ে আমার পরীক্ষাটা বোধহয় একটা সন্ধিক্ষনে পৌঁছে গেছে।

বাহারিয়া নামে পশ্চিম মরুভূমির এক মরুদ্যান থেকে বেরিয়ে প্রায় সারাদিন মরুভুমির বুক চিরে ড্রাইভ শেষে নিরুদ্দেশের মাঝখানে কোন এক ‘উদ্দেশে’ এসে পৌঁছেছি মনে হয়। রাতের মত তাঁবু ফেললাম এমন এক জায়গায় যাকে বলা যেতে পারে – প্রাকৃতিক ভাষ্কর্যের এক অপ্রাকৃতিক প্রদর্শণীশালা (এখানে দেখুন)। এখানকার অপার্থিব নির্জনতার - নির্জনতা আর অপার্থিবতা দুটোই যেন আরো দুর্ভেদ্য করে তুলেছে বালি ফুড়ে বেরুনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১৫-২০ ফুট উঁচু অদ্ভুত কিছু চুনাপাথরের মূর্তি। মানুষের বানানো কিছু নয়, অথচ দেখতে গায়ে কাঁটা দেয়ার মত নানা রকম জীবন্ত প্রাণী আর ঘটনার ভাস্কর্যের মত! এখানে আছে মুর্গি ও ডিম, আছে ঘোড়ামুখো, আছে আইসক্রিম, আছে পারমানবিক মাশরুম মেঘ – যাকে আমাদের একজন নাম দিয়েছে ‘হিরোশিমা’, আছে এমন আরো অনেককিছু। এ যেন বিশাল জায়গা জুড়ে কোন এক ভিনগ্রহের পরিত্যাক্ত ওপেন-এয়ার গ্যালারি।

জায়গাটা কায়রো থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে, আর বাহারিয়া থেকে বোধহয় ১৫০-২০০ কিলো, সাহারা মরুভূমির মধ্যে। বেশির ভাগ পথই মরুপথ ধরেই এসেছি, যার শুরু বাহারিয়ারও আরো ২০০ কিলোমিটার পেছনে আল-ফাইয়ুম থেকে।

কায়রো থেকে সকাল সকাল রওনা দিয়ে, আল-ফাইয়ুম হয়ে আমরা দুপুরের আগে আগেই বাহারিয়া পৌঁছে একটা মোটেলে চেক-ইন করি। ছয় জনের একটা গ্রুপ – সবাই বাংলাদেশি। দুজন বাদে বাকিদের সাথে ইজিপ্টেই পরিচয়। সামান্য বিশ্রাম নিয়ে তাড়াতাড়ি লাঞ্চ সেরে নিতে নিতেই আমাদের পূর্ব-নির্ধারিত দুই বেদুঈন গাইড এসে হাজির, তাদের মরুযাত্রার উপযোগী খাবার-দাবার আর মালপত্রে ঠাসা ফোর-হুইলার নিয়ে। আমরা ল্যান্ডক্রুজারে উঠে পড়লাম তাড়াতাড়ি, দারুন এক রোমাঞ্চকর অভিযানের প্রত্যাশায়।

এই ঘটনার পর বছর পেরিয়ে গেছে, স্মৃতির পাতাতেও ধুলো জমেছে কিছুটা। ফলে এর পরের কাহিনি ঐ ধুলো জমা টুকরো স্মৃতি থেকেই লেখা। চোখে দেখার বিবরনের থেকে মনের দেখার অভিব্যক্তিই এখানে প্রাধান্য পাবে।

আমাদের এই মরুযাত্রার ইংরেজি নাম ‘ডেজার্ট সাফারি’। এই সেই ডেজার্ট বা ‘মরুভূমি’, যার সম্পর্কে এত পড়েছি – কত ‘ওয়েস্টার্ন’, কত আরব্য-পারস্য উপন্যাস, কত উপকথা-রূপকথা-ইতিকথা, কতকিছু – কিন্তু জীবনে এই প্রথম নিজের চোখে দেখছি। চোখে-মুখে-চুলে-ত্বকে সর্বাঙ্গে অনুভব করছি। কেমন যেন লাগছে। জীবনের রঙ অন্য রকম লাগছে! তার উপর এসেছি এক দম-আটকানো জনাকীর্ন, ভ্যাপসা, জনঘনজলবৃষ্টিবন্যাশাসিত, সবুজ পিচ্চি একটা দেশ থেকে – যেখানে এখন আর তিল ধারনের ঠাঁই নেই। মরুভূমির এই উষর-ধূসর-অপার শুন্যতা আমার অস্তিত্বের ভিত নাড়িয়ে দিল। মরুরাজ্য আমার মত এক নবাগতকে এমন অভ্যর্থনা জানাবে তা আগে ভাবতেই পারিনি।

[এখানে সংযুক্ত ছবি-২]

উটের পিঠে নয়, আমাদের যাত্রাটা ছিল একটা আধুনিক ফোর-হুইল-ড্রাইভেই। কিন্তু ঝাঁকি খেতে খেতে গাড়িসুদ্ধ প্লেনের মত প্রায় শুন্যে উড়াল দেয়া, ঝড়ের সাগরে খোলামকুচির মত হেলে পড়া – নাচতে থাকা, বিশাল বালিয়াড়ির মাথায় ওঠার জন্য শক্তি সঞ্চয় করে বুনো বাইসনের মতো তেড়ে যাওয়া, আবার সেখান থেকে বা অন্য কোন উচ্চতা থেকে মরুভূমির যৌনাবেদনময় অচিন পিচ্ছিল বক্রতা ঘেষে দুর্দমনীয় গতিতে ঝাপ দেয়া -- আর এইসব কিছুর সাথে সাথে পাকস্থলিতে খালি-খালি ভাব, পেটের পেশীতে সঙ্কোচন আর সারাদেহে এ্যাড্রেনালিনের টাইফুন – এক কথায় অপুর্ব, রোমহর্ষক। কিন্তু সভ্যতার সাথে সব সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে এই শত-সহস্র মাইলব্যাপী উষর - অপার শুন্যতার প্রায় অনন্ত বিস্তৃতির মধ্যে হারিয়ে যাওয়া, এক অচেতন-অনন্ত-অদম্য নাস্তির বুক চিরে এক সচেতন অস্তির অবিরাম নিঃসঙ্গ সংগ্রাম – দুর্বোধ্যভাবে শিরশিরিয়ে উঠে কল্পনার স্নায়ুতন্ত্রে, নাড়া দিয়ে যায় আমার মত ‘গিজগিজ’ জগতের প্রাণীর অস্তিত্বের মর্মমূলে।

নিজেকে মনে হচ্ছিল অচেনা ডাঙায় আছড়ে পড়া মাছের মত – অথবা অবরুদ্ধ প্রেশার-কুকারের ভাল্ব থেকে উদ্দাম গতিতে বেরিয়ে এসে এক ধাক্কায় অদৃশ্য বাতাসে বিলীন হয়ে যাওয়া বাষ্পের মত। ঠান্ডা বাতাসের সাথে হঠাৎ ধাক্কা খেয়ে ঐ অকস্মাৎ মুক্তিপ্রাপ্ত উদ্দাম তপ্ত বাষ্পের মিলিয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে ঠিক কি প্রতিক্রিয়া হতো, যদি তার একটা মন থাকতো ? নিশ্চয়ই আমার মত! এ এক অনির্বচনীয়, দেহাতীত অনুভূতি। [এখানে সংযুক্ত ছবি-৩]

ভেবে দেখলে, এই ফানাপ্রাপ্ত বাষ্পের রূপক মনে হয় একাধিক ভাবে প্রযোজ্য। আমিও তার মতই ছিটকে বেরিয়ে পড়েছি। আমার হোমটাউন ঢাকাকে হাজার হাজার মাইল পেছনে ফেলে দেশকালের মনোদৈহিক ব্যাপ্তি ভেদ করে কোন অধরার উদ্দেশে অন্ধবেগে ছুটে চলেছি এখনো জানিনা। তবে আপাততঃ এখন ইজিপ্টে। পুরো দেশটাই কিছুদিন ধরে ঘেটে বেড়াচ্ছি – উত্তরে নীলনদের মোহনা বা আলেকজান্দ্রিয়া থেকে দক্ষিনে আবু সিম্বেল, পূবে সিনাই থেকে বর্তমানে পশ্চিমে পশ্চিম (লিবিয়ান) মরুভূমি পর্যন্ত।

এয়ারপোর্ট, ট্রানজিট, মেঘ-নদী-সাগর-পর্বত, কায়রোর হিমবাহের মত ধেয়ে আসা ট্রাফিক আর তার ঐতিহাসিক স্থানগুলি, গাজী সালাউদ্দিনের দুর্গ, মুকাদ্দিম, শহরের মধ্যে নীলনদের ওপর প্রেমিকদের সেতু ‘কুবরি গামা’য় বহু রাত পর্যন্ত সুন্দরী ললনাদের স্রোত বা তার নিচে নদীবক্ষে ভেসে বেড়ানো রেস্টুরেন্ট ও বেলি-ড্যান্সার সমৃদ্ধ বিনোদনতরী, নগরীর নতুন অংশে চৌকষ পশ্চিমা পোশাক পরিহিত নারীপুরুষের স্রোত বা পুরনো অংশের ঐতিহ্যবাহী আবায়া-আবৃত দরিদ্র মানুষগুলি্র পায়চারি, অত্যাধুনিক অপেরা-মিউজিয়াম-গ্যালারি, গলির ভিতরের শীসা আর কালো-কফির দোকানগুলি বা তার ভেতরে বুড়ো আর নিষ্কর্মাদের অনন্তকালকে পকেটবন্দী করে ব্যাকগ্যামন খেলে যাওয়া, ভূমধ্যসাগর-পারের আলেকজান্দ্রিয়া নগরীর রোমান্টিক-করুন ঐতিহাসিকতা, সিনাই ও লোহিত সাগরের ধর্মীয় আকর্ষন, গিজাতে পিরামিড বা আবু সিম্বেলে পাথুরে পর্বতের খাড়া গা ঘেষে ভিতরে বিশাল মন্দির আর বাইরে সেই গা খুদে তৈরি দৈত্যাকৃতি মূর্তির সারির রূপধারন করে অহমের অভ্রভেদী মিনার, কর্নক মন্দিরের রাজসিকতা বা লু্কজরের বাদশাহি উপত্যকার মাটির নিচে ফুসতে থাকা অমরত্ব ও চিরস্থায়ীত্বের প্রাচীন গোপন বাসনা – এ সব কিছুই অন্ধকার মহাশুন্যে গ্রহ-নক্ষত্রের আলেয়ার ফুটকির মতো আমার পাশ ঘেষে ছুটে গেছে। আমি তাদের বিয়ারিং পাইনি এই এতদিন পর্যন্ত।

[এখানে সংযুক্ত ছবি-৪]

(২)
For some we loved, the lovliest and the best
That from his Vintage rolling Time has prest,
Have drunk their Cup a Round or two before,
And one by one crept silently to rest.*

কি যেন বলছিলাম? ও হ্যাঁ, পশ্চিম মরুভূমির বুক চিরে ছুটে চলেছি। গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে বালু আর শুন্যতার সাগরের দিকে অপলক তাকিয়ে আছি। সেই অসীম আদিম শুন্যতা – যার ভেতর দিয়ে নিশ্চয়ই অনেক ইতিহাস, অনেক সভ্যতা, অনেক দিগ্বিজয়ী বীর ও তাদের সৈন্যবাহিনী রথ হাঁকিয়ে গেছে যুগে যুগে তাকে জয়ের বাসনায় – কিন্তু না, সেই শুন্যতা - সেই শুন্যতাই রয়ে গেছে। বেমালুম হজম করে ফেলেছে বাকি সবাইকে। সবকিছুকে। নিঃশেষে। সেই সর্বব্যাপী শুন্যতার প্রায় স্পর্শগ্রাহ্য অমোঘতা ঠিক জানালার বাইরেই যেন ভয়ঙ্কর নিরবতায় হাসতে হাসতে আমাদের সাথে সাথে ছুটে চলেছে। দেখতে দেখতে নিজেকে ভীষন ক্ষুদ্র আর অপ্রাসঙ্গিক মনে হল, আবার আশ্চর্যজনকভাবে এক অদ্ভুত শান্তি আর মেনে নেওয়ার মনোভাবে ছেয়ে গেল মন একই সাথে। ল্যান্ডক্রুজারের ক্ষুদ্র, উষ্ণ, নিরাপদ গর্ভে বসে থাকতে থাকতে মনে হচ্ছিল আমরা যেন শুন্যতা থেকে শুন্যতার মধ্য দিয়ে শুন্যতার পানেই ছুটে চলেছি অবিরাম, মধ্যখানে অর্থময়তা আর অস্তিত্বের ক্ষনিকের উষ্ণ বুদ্বুদ তৈরি করার সংগ্রাম করতে করতে। এ যেন বৃহত্তর পরিসরে মানুষের অভিযাত্রারই এক সংক্ষিপ্তসার। তবে আগে হোক - পরে হোক, বুদ্বুদ্গুলি শেষমেশ ফেটে যায়ই।

উষর মরুভূমিতে শুন্যতার অপার বিস্তৃতির বুক চিরে ছুটতে ছুটতে সব অঙ্কই যেন আস্তে আস্তে মিলতে শুরু করলো, যতই আমি শুন্যতার এই মহাপরিকল্পনায় আমার অনিবার্য ভূমিকার সাথে শান্তিস্থাপন করতে থাকলাম।
[এখানে সংযুক্ত ছবি-৫]
...........................................
* এই লেখায় ব্যবহৃত সবক’টি চতুষ্পদীই (‘রুবাঈ’) এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড অনুদিত (২য় সং) ওমর খৈয়ামের ‘রুবাঈয়াত’ থেকে নেয়া হয়েছে।
# আলোকচিত্রীঃ ছবি ১, ৪, ৫: আমর সোলিমান [ব্যবহারের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত]


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবিগুলো কে সংযোগ করবে ভাই সাহেব দেঁতো হাসি

ছবিগুলো থাকলে লেখাটা পড়তে আরো ভালো লাগতো।

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

স্যরি। কাজটা 'ভাই সাহেবের'ই দেঁতো হাসি । তবে জীবনে এই প্রথম কোন ব্লগে পোস্ট করলাম। প্রথম মৌলিক লেখাও বটে। তাই টেকনিকাল খুটিনাটিগুলি ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারি নাই। এই লেখার জন্য ৫ টা ছবি বেছেছিলাম। কিন্তু পোস্ট করার সময় নির্ধারিত ওয়েব ফরমের 'রচনা'-শীর্ষক ইনপুট টেক্সটবক্সের নীচে ছবি এটাচ ও আপলোড করার জায়গায় ডেস্কটপ থেকে ১টার বেশি ছবি এটাচ করার কোন অপশন দেখলাম না। একাধিক ছবি একসাথে এটাচ করতে চাইলে কি করবো একটু বুঝিয়ে দেবেন প্লিজ ? তাহলে ২য় পর্বে এই সমস্যাটা এড়ানো যাবে।
এধরনের আরো কিছু প্রশ্ন ছিল - কিন্তু কাকে বা কোথায় জিজ্ঞেস করবো বুঝতে পারছিনা। যেমন ধরুন - মূল লেখা যে টেক্সটবক্সে দিতে হয়, সেখানে কি যেকোন এইচটিএমএল ট্যাগ দেয়া যাবে? ব্লগপোস্টের সাথে আপলোড না করে যদি ছবিগুলি আলাদাভাবে ছবি হিসেবে আপলোড করে তারপরে লেখার মধ্যে লিঙ্ক দিয়ে দেই তাহলে কি ছবিগুলি পেইজের সাথে একসাথে লোড হবে? ব্লগপোস্টের টেক্সটবক্সে এইচটিএমএল ট্যাগের মাধ্যমে লিঙ্কড ছবির অবস্থান, এলাইন্মেন্ট, ডিস্পলে সাইজ নির্ধারন করে দেয়া যাবে? একবারে ফ্রন্টপেইজে-২০০৩-এ লিখে কোডসহ পেইস্ট করে দিলে কেমন হয় ?

যাইহোক, কিছু ছবি কিন্তু এখনো দেখতে পারেন। মূল লেখাটার মধ্যে ২য় প্যারাগ্রাফে "(এখানে দেখুন)"-- এই শব্দদুটার মধ্যে কিন্তু একটা লিঙ্ক দেয়া আছে ছবির জন্য!

-- মনমাঝি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

প্রথম লেখা হলেও আগে মন্তব্য তো করেছেন হাসি

এইচটিএমএল নেয়। আপনি ফ্লিকারের ছবি এমবেড করতে পারেন। এমবেড কোডটা বসিয়ে দিলেই হবে।

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

মরুযাত্রা (সংযুক্ত ছবি-২)

Test.

রোমেল চৌধুরী [অতিথি] এর ছবি

সাবলীল স্বচ্ছতোয়া বর্ণনা । ছবি না দিলেও যেন কল্পনায় ষ্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি । অসাধারণ লেখাটির জন্য কৃতজ্ঞতা না জানালে নিজেকে অপরাধী মনে হয় ।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাল লাগল। চলুক।

মাঝে মাঝে বিশেষণের ঘনঘটায় একটু বেশি ভারী মনে হয়েছে।

ফাহিম এর ছবি

হুমম... এরকম আরও বেশী ঘোরাঘুরি করতে থাকুন আর হাত খুলে লিখতে থাকুন। ভ্রমন কাহিনী বা ট্রাভেলগ পড়তে ভালোই লাগে। মনে হয় নিজেও ঘুরে আসা গেল!

ভালো ট্রাভেলগের উদাহরণ এইখানে

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো। মন্তব্যের ঘরে ছবিগুলো দিয়ে দিন। তাহলে পড়তে দেখতে আরো আরাম হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

যাক আপনার পোস্টের দেখা মিল্‌লো তাহলে। বিশেষণ আর তুলনার চাপে বিষয়বস্তুর বর্ণনা একটু চাপা পড়েছে। অসুবিধা নেই, পরের পর্বে সেটা পুষিয়ে দেবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।