আমার রুমমেটগন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৬/১২/২০১০ - ৫:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ভার্সিটির ছাত্রাবাসে শুরুর দিকেই একটা সিট মিলিয়া গেল।শুনিয়াছিলাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ফ্রেশম্যান হিসেবে সিট পাইতে তীর্থের কাক সাজিতে হয়। যাহাই হোক, এ বিষয়ে আমাকে তেমন দুর্ভোগ পোহাইতে না হইলেও হলগমনের পুর্বে মাসিমনির কিছু ধ্বংসাত্মক এবং ‘দংশাত্মক’ কথাবার্তায় ঠিকই কপালের ভাঁজে বিশাল খাঁজ জমিয়া গেল।সদা ছিদ্রান্বেষী মাসিমা হলজীবনের অনাহুত সম্ভাব্য দুর্দশাগুলি সম্পর্কে খুব যত্ন করিয়া একখানা ঝাঁজালো লেকচার দিলেন।
মাসিমার ভাষ্যমতে- হলে বিভিন্ন স্বাদের, বিভিন্ন মেজাজ আর মর্জির বড়ভাইগন থাকেন। কেউ কেউ থাকিতে পারে যারা সারারাত আপিম ফুঁকিয়া, জুতা শুঁকিয়া, সম্মুখে ঝুঁকিয়া ঝিমাইবে আর পরদিন ভোর সকালে বদনার নলে মুখ ঢুকাইয়া চুঁ চুঁ শব্দে পানি পিয়াইবে। কেউবা আবার সারাদিন দাদাগিরি আর ন্যাতাগিরি সারিয়া রাত্তিরে ক্যাঁথার তলে ধারালো ছুরিকা আর প্রেয়সী নায়িকার পোষ্টার লইয়া বেঘোরে নিদ্রা যাইবে। হয়তো কেউ সায়াহ্নে চান করিয়া, কেতাদুরস্থের ভান ধরিয়া, পাশ্চাত্যের তানহীন ‘ধাতব’ গান সশব্দে চালাইয়া রুমশুদ্ধ চাংগে তুলিবে; কেউ তাহাতে তিতিবিরক্ত হইলে, প্রীতি-সম্প্রিতী ভুলিয়া ধরনী-ক্ষিতিরে দ্বিধা হইতে শাপশাপান্ত করিবে, বিপ্রলাপ করিবে।
এমনই যখন পরিস্থিতি তখন আবার তাতে উপরি বিভীষিকা হিসেবে যুক্ত হইল- জংগী আতঙ্ক। ‘বাংলা ভাই’ নামক এক দুর্ধর্ষ জংগাধিপতি তখন মুটামুটি একজন মহাপরাক্রান্ত জাতীয় বীর,যাহার আজ্ঞাবহরা পটকা ফুটাইয়া- লোক মারিয়া জান্নাত লাভের আশায় ছড়াইয়া ছিটাইয়া আছে দেশময়। যখনই পত্রিকা বা সাময়িকী খুলা হইত তখনই, গুল্মগাত্রে দোদুল্যমান কদু কিম্বা শসার ন্যায় ঝুলন্ত মরদেহ দেখিয়া যতকিঞ্চিত কুতসিত বিনোদন এবং ততোধিক রক্ততঞ্চক-বিভীষিকা ভজঘট পাকাইয়া মস্তিষ্কজাত মানবীয় অনুভূতিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করিয়া বসিত।
জংগীবাদের এমন সুবর্ন সময়েই আমার হলেতে আগমন।সিঁড়ি ভাংগিয়া গোটা পাঁচস্তবক ইমারতারোহন করিয়া, প্রথম দৃশ্যেই মেজাজটা বিগড়াইল। দেখি, আবর্জনা আর খুচরা কাগজপত্র খুবই অযত্নে এইদিক ঐদিক পড়িয়া আছে। যত্রতত্র পরিত্যাক্ত খাটিয়া, উচ্ছিষ্ট ব্যঞ্জনবেষ্টিত বাসনপত্র কিম্বা ভাংগাচুরা শেলফগুলি মিলিয়া একটা জীবন্ত ডাস্টবিনের ভাব আনায়ন করিতেছিল। ইত্যবসরে, আমার জন্য স্থিরীকৃত রুমে যাইয়া সামান্য বিচলিত হইলাম। কারনটা রুমে অবস্থানরত একমাত্র বড়ভাইয়ের শারীরিক আবহ। দেখিলাম, গৌর মুখমন্ডলখানি উদার শ্মশ্রুকাননে প্রায় ঢাকা পড়িয়াছে। দাঁড়ির দৈর্ঘ্য আমার চিত্তে কেমন জানি একটা বাড়ি দিয়া যাইতেছিল। তাহার উপর- ভাইসাহেবের খাড়া নাকের নিচে একগুচ্ছ তেজস্বী গুম্ফের গরিমায় ওষ্ঠের ঔজ্বল্য ঢাকা পড়িয়া গিয়াছে প্রায়। তাঁহার পরনে ছিল চেকঅলা লুঙ্গি, গায়ে হালকা ধরনের টি-শার্ট। আমার দিকে কোনপ্রকার দৃষ্টি না হানিয়া কীবোর্ড হাতড়াইয়া কী এক জাতোদ্ধার করিয়া যাইতেছিলেন। আমি হালকা সেলাম ঠুকিয়া রুমে প্রবেশ করিলাম আর অনুমতি লইয়া দরজার পাশের বিছানার এককোনে গিয়া বসিলাম। ভাইসাহেব নিতান্তই সৌজন্যের বশবর্তী হইয়া আমার নামধাম জিজ্ঞাসিলেন, আমার জন্য নির্ধারিত ফাঁকা জায়গাখানি দেখাইয়া দিলেন।তবে তিনি মুখ খুলিবামাত্র আমার অন্তর কিছুটা যেন বিগলিত হইল। অবয়বে তাঁহার যতটাই জান্তব এবং নিষ্ঠুর ভাব কন্ঠে ততটাই রমনীয় কমনীয়তা। এমন ভুবন মোহিনী কন্ঠস্বর একজন সম্ভাব্য জংগীকে কতটুকু মনস্তাত্বিক অ্যাডভান্টেজ প্রদান করিতে পারে সেই সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা আমাকে কিছুকক্ষনের জন্য জাপটাইয়া ধরিল। কথা প্রসংগে তিনি নিজের পূর্ননাম আমাকে জানাইয়া দিলেন। নামের মধ্যে বড়ই মধুরতা। একটা জান্নাতি সৌরভে যেন মৌ মৌ করিতেছিল শব্দগুলি। না জানি কোন পুন্যবান মৌলানা এই শ্রীযুক্ত নামখানি রাখিয়াছিলেন কে জানে। হেনকালে পানি পান করিবার ছলে যখন আসন ছাড়িয়া উঠিলাম, একটা জায়গায় আমার নেত্রযুগল ঠিকযেন সাঁটিয়া গেল। ভাইজানের টেবিলের উপর দেখিতে পাইলাম ছোট্ট একখানি পুস্তিকার উপর স্পষ্ট অক্ষরে লিখা- “মুজাহিদের কথা”। তাহা দেখিয়া আমার পানকৃত জল হজম না হইয়া সরাসরি নির্গম হইয়া যাইতে ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িল।
কিছু পরেই দরজায় খটাশ শব্দ করিয়া দৃশ্যপটে দ্বিতীয় ব্যক্তির প্রবেশ। পরনে সাদা ফতোয়া আর একখানি ঢোলামত প্যান্ট যাহার প্রসার পায়ের গোড়ালির যথেষ্ট উপরেই থামিয়া গিয়াছিল। পূর্বের জনের মত ভুর্জপত্র না গজাইলেও তাঁহার মুখমন্ডলেও দৃষ্টিগ্রাহ্য পরিমান দাঁড়ি অস্তিত্বশীল ছিল। চোখে মুখে একটা যান্ত্রিক কাঠিন্য, আর কন্ঠস্বরো বেশ ভারি।তাঁহার ভাবভংগি এমন যে এক্ষুনি খুন করিয়া বসে। তিনি আসিয়াই আমার আপদমস্তক জীবনবৃত্তান্ত জানিবার জন্য শশব্যস্ত হইলেন যেন। সেই সময়ে মাসিমনির একটা উদ্ধৃতি বারংবার মনে পড়িতেছিল-“দেখিস কোন জংগীর পাল্লায় পড়িলে তাহারা কিন্তু তোর নাম ঠিকানা সব জানিতে চাইবে”। এইলোকের কথাবার্তার ধরনও ছিল উদ্ধত। আমাকে একের পর এক বেফাঁস প্রশ্নে জর্জরিত করিয়া যাইতেছিলেন আর আমিও বুঝিয়া শুনিয়া প্রত্তুত্তরে সচেষ্ট হইতেছিলাম। উনার প্রশ্ন হইতে আমার পিতা-পিতৃব্য মাসী-মাতুল কিম্বা বাস্তুভিটার সম্যক বিবরন- কিছুই বাদ গেলনা।তারপর তিনি নিজের নাম বলিলেন। এই নামও বেশ লম্বা চওড়া ইসলামিক নাম। কোনরুপ বাংলা শব্দের লেশমাত্র নাই। আরবি-ফার্সি শব্দসমেত বিশাল নামখানির গূঢ়ার্থের কূল কিনারা করিতে পারিলাম না মোটেও।বিবিধ প্রশ্নের উত্তর করিতে করিতে যখন হাঁপাইয়া উঠিয়াছি তখন তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন- ‘যার খাটে বসিয়া আছ, তার সম্পর্কে কিছু জানো??’ আমি অসহায় ভংগিতে নেতিবাচক উত্তর করিলাম।
-‘সে তোমাদের এলাকার লোক। এবং আমাদের বন্ধুমহলে খুবই বিখ্যাত’
গড়বড়টা বাঁধিল এখানে। আমার গ্রামের বাড়ি দক্ষিনবংগের উপকন্ঠে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পর্বতে,অরন্যে বিশাল উম্মুক্ত জংগী প্রশিক্ষন কেন্দ্র চালু রহিয়াছে বলিয়া এক পত্রিকায় পড়িয়াছি। সেখানকার কতিপয় জংগীপ্রবর নাকি প্রকৌশল বিদ্যার পরাকাষ্ঠা দেখাইয়া লতাগুল্ম এক জায়গায় জড় করিয়াই তাহাদিয়া একের পর এক প্রানঘাতী বোমা তৈরী করিয়া সগৌরবে ফুটাইয়া চলিতেছেন। কিঞ্চিত প্রপাগান্ডা মনে হইলেও অমন গল্প অবিশ্বাস করার মত সাহসীও আমি ছিলাম না। আর যখন দেখিলাম আমি যাহার সিটে পশ্চাতদেশ গাঁড়িয়া ভদ্রতাজ্ঞানহীন ভাবে বসিয়া আছি যিনি কিনা ওই জায়গার লোক, বন্ধুমহলে বিখ্যাত; আমি বুঝিলাম নিশ্চই অজগরের মুখে ছাগশিশু আসিয়া পড়িয়াছে। এইবার শুধু গিলিয়া লইবার পালা।
আমাকে প্রায় ধমকাইয়া যন্ত্রমানব সেই ভাইজান বলিলেন- ‘কি কার্য কর? রুমে আসিয়াছ এখনো রুমমেট সবার নামটা পর্যন্ত ঠিকমত জানা নাই।’ শুনিয়া আমি অত্যধিক নাচার হইয়া পড়িলাম। এমন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম এই পর্যন্ত না জানার কারনে যুগপত লজ্জিত ও ভীত হইলাম। হয়তো এই তৃতীয় ব্যক্তিই ইহাদের সর্দার। তাঁহার নামে অবশ্যই রহিয়াছে ঐশ্বরিক বাতাবরণ।‘ইবনে’ কিম্বা ‘বিনতে’র গাঁথুনিতে নিশ্চই তাঁহার নামের ব্যাপ্তি ও বদান্যতা বাদবাকিদের নামের দৈর্ঘ্য ও সৌকুমার্য- উভয়কেই ছাড়াইয়া গেছে। সম্ভাব্য এই জংগীখানার নৃপতিকেই যদি চিনিতে না পারিলাম তাহলে গর্দান ধড়ে ছহীহ ছালামতে অধিষ্ঠিত থাকিবারই নিশ্চয়তা কী?
দুরু দুরু বক্ষে, মিনমিনাইয়া আমি জিজ্ঞাসিলাম- ‘এই ভাইজানের নাম কী জানতে পারে এই অধম’
তিনি বলিলেন,- “ওর নাম সঞ্জয়, সঞ্জয় দাশগুপ্ত”
………….

শেষকথনঃ সঞ্জয়দা কোনভাবেই জংগীর সর্দার নন তা নাম দেখেই আঁচ করে নেয়া যায়।তাছাড়াও উনি বড়ই নিরীহ প্রকৃতির একজন মানুষ। দৃঢ় মুখের, একটু ঘাড়ত্যাড়া টাইপ ভাইয়ের নাম আদিল। ফয়সাল হিসেবেও তাকে অনেকে চেনেন। পিত্রালয় থেকে সদ্য ঢাকা-আগমন জনিত অবসাদ আর প্রাক-সেমিস্টারিয় ব্যস্ততার কারনে হয়তো সেই নির্দিষ্ট সময়টাতে তার দাঁড়ি কামানো হয়নি, এবং তাকে অমন অবস্থায় পরে খুব একটা দেখিনিও। তিনি একটু কষা প্রকৃতির হলেও তা বোম ফাটিয়ে নরকে চালান করে দেয়ার মত সহিংস পর্যায়ের নয়। আর প্রথমজন আর কেউ নন, এখানকার পরিচিত মুখ ‘পোয়েট তারেক’- আমাদের প্রিয় তারেকভাই। সেই সময় ‘মুজাহিদের কথা’ বইটি তাঁর অদম্য জ্ঞানপিপাসারই উপজাত মাত্র; জংগী সংশ্লিষ্টতা তো দূরের কথা, যার কবিতার তোড়ে সুরে-শয়তানে একপেয়ালায় শরাব গেলার জোগাড়। দাঁড়ি গোঁফের অমন ভয়ানক ক্যামোফ্লেজে তিনি নিজের দেবদুত সুলভ মুখাবয়ব প্রায়সই ঢেকে রাখেন কারন তিনি হয়তো সেগুলো কামাতে ভুলে যান, নয়তো চুলদাঁড়ির ভার না সইলে তার কবিচৈতন্য ঠিক কাজ করেনা- এমন কিছু একটা হবে।

ধৈবত


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আনন্দ লভিলাম।

অনুচ্ছেদসমূহের মাঝে দূরত্ব খানিক বাড়িলে বেশ হয়।



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। প্রথম পোস্ট বলে সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারি নি। পরের বার থেকে পোস্টানোর সময় এ ব্যাপারটা ঠিক করার চেষ্টা করব

ওসিরিস এর ছবি

ধৈবত, তোমার বাংলা দেখিলে আমার ঈর্ষা হয়। লেখা বড়ই কুদ্রতী হইসে।। চলুক।।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

অতিথি লেখক এর ছবি

মৃত্যুদেবের ঈর্ষার পাত্র হইয়া বড়ই সন্তস্ত্র হইলাম, সম্ভবত এই কারনেইর উচ্চ মাধ্যমিকে বাংলায় এ মাইনাস পাইয়াছিলাম। যাহাই হোক, দেবতারে ধন্যবাদ

ধৈবত

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এইরুপ বাহুল্যদোষে দুষ্ট এবং জীবন্মৃত সচল তারেক রহিমের উপস্থিতিদোষে আজিব লেখাটি দেখিয়া লগিন করিলাম।

স্বাগতম ধৈবত। কৌপীন আঁটিয়া লিখিতে থাকো বাবা জীবন্ময়।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

তারেক ভাই কে লইয়া লিখিতে পারিয়া নিজেকে ধন্য মনে করিতেছি। আর কৌপীন আঁটিব, যদি তুমি উহা খরিদ করিয়া দিয়া যাও বন্ধু, নতুবা লিখিতে হইবে নগ্ন হইয়াই।
সু.রি কে ধন্যবাদ

ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

রম্যরসে তৃপ্ত হইলাম। সঞ্জীব চ্যাটার্জী ধাচের লেখা পড়িতে কিঞ্চিৎ বেগ পাইতে হইলেও সমুদয় অংশ পড়িয়া সবিশেষ প্রীত হইলাম।

অনন্ত আত্মা

অতিথি লেখক এর ছবি

শ্রমক্লিষ্ট হইয়া পড়িবার জন্য ধন্যবাদ। আমার পড়াশুনার গন্ডি নিতান্তই সীমিত বলিয়া 'সঞ্জীব চ্যাটার্জী' র সহিত সবিশেষ পরিচয় নাই। তবে এখন খোঁজখবর লইয়া দেখিব। আবারো একবার ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে ধৈবতের কল্যাণে বিখ্যাত হয়ে গেলাম দেখি......

আর ধৈবতের বাংলাজ্ঞান...কি আর বলব; আমি তার লেখা আগেও পড়েছি। এইরকম ভাষার ব্যবহার আমি স্বপ্নেও করতে পারি না; অবিশ্বাস্য!!!!!!!!!!!!!! বাংলা সম্পর্কিত আমার সমস্ত হ্যাংলা হাবভাব এইরকম লেখার তোড়ে এক্কেরে ভোংলা হইয়া গেছে!!!!!

সচলায়তন কবিতায় তারেককে পেয়েছে; এবার পাইল তার রুমমেট যে গদ্য লিখায় একেবারে ইউনিক্‌; চ্রম!!!!!!!!!

আমরা আরও চাই এমন অমৃত সুধা...চালাইয়া যাও ধৈবত ভাই; আচ্ছা ধৈবত মানে কি???(কিছু মনে নিও না, আমার বাংলাজ্ঞান সম্পর্কে তুমি ভালই জানো)

-অতীত

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, এখানে অনেক ভদ্রলোক আছেন। মাফ চাইলাম, আমারে অন্তত এইজায়গায় পঁচাইয়েন না

আর ধৈবত মানে কি আমিও জানি না। আচার খাইতে নিসিলাম, তখন শব্দটা ঠোংগার মধ্যে পাইছি, তাই মাইরা দিছি

ধৈবত

আবির [অতিথি] এর ছবি

সচলের ঐশ-র্য দিনে দিনে বাড়ছে দেখি!

অতিথি লেখক এর ছবি

এই অপরিচিত আবিরের মুখে ফুলচন্দন পড়ে লেপ্টে যাক

ধৈবত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বাহ, বেশ মজাদার!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

অদ্রোহ এর ছবি

এসেই গেলি তবে, জান্তুম জান্তুম...আসলিই যখন তখন আবার সটকে পড়ার মওকা খুঁজিসনে যেন, এখন সময় কিবোর্ডে ঝড় তোলার।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই হাঁড়কাপানো শীতে কীবোর্ডে ঝড় তুলতে গেলে মেটাকারপাল খসে যাবে রে মাইরি। তারচে বরং একটু রয়েসয়েই আগানোর চেষ্টা করি.....

ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

তারা দেয়ার সাধ্য তারামাতা কোনদিন দিলে ইয়ানো আসিয়া আমি লাখো তারা বর্ষণ করিয়া যাইব। জরুর।

পাঠককুল ঠিকই ধরিয়াছেন। ধৈবত আমগো ব-দ্বীপের সেকেন্ড সঞ্জীব চ্যাটার্জী।
এইমাত্র দ্যাখসনাড়ী দ্যাখিলাম। ধৈবত মানে ধা। সা রে গা মা পা ধা-এর ধা।

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা সুমিত্রা তনয় 'সৌমিত্র্য'ই হোন, কিম্বা সাত্যক পুত্র 'সাত্যকি'ই হোন, তিনি যে লঙ্কাপুরীতে, কুরুক্ষেত্রে ঝড় তুলে- দিগ্বিদিক 'জয়' করে তারা দেবার অধিকার হাতিয়ে নেবেন তা বলাই যায়। কিভাবেই না আমার নামের অর্থ বার করে দিলেন
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

ধৈবত

নাহিয়ান [অতিথি] এর ছবি

ব্যকরণ আমি ভালো বুঝি না, তাই ভাষার ব্যবচ্ছেদেও যেতে পারছি না। তবে এতটুকু বুঝেছি যে লেখা টা আমার ভালো লেগেছে। এরকম আরো লেখা পরার আশায় রইলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার দোস্ত নাহিয়ান হলে 'তোকে বিয়াপক ধন্যবাদ'; অন্য কেউ হলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য

ধৈবত

শামীম এর ছবি

শেষটায় কেমন জানি তাড়াহুড়া মনে হইলো -- এইটা লেখার স্বার্থকতাও হইতে পারে।

চমৎকার লাগলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অত্যন্ত ভালো লাগলো। বর্ণনাভঙ্গি প্রাঞ্জল এবং সুখপাঠ্য। বেশ ক্লাইম্যাক্সও এনেছিলেন। ধন্যবাদ ভাই।

======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ

ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

স্বাগতম ধৈবত।

তৃতীয় বারের মত পড়লাম লেখাটি। তোর এই ধরণের লেখায় মন্তব্য করবো করবো করেও কেন যেন করা হয় না। কেমন যেন ভয় হয় একটু!
চালিয়ে যা। কৌপীন আঁটিয়া নেবার বুদ্ধিটা কিন্তু খারাপ না।

দৃপ্র

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা এতবার পড়ে সময় নষ্ট করার জন্য তোর কাছে কৃতজ্ঞ। এবার তুইও একটা 'দৃপ্র' কিছু চালিয়ে দিয়ে যাত্রা শুরু কর

ধৈবত

আরিফ জেবতিক এর ছবি

মজা পেলাম। স্বাগতম।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে

দ্রোহী এর ছবি

ঘাবড়িয়ে গিয়েছিলুম! শেষটায় এসে প্রাণ ফিরে পেলুম। হাসি


কাকস্য পরিবেদনা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ঘাবড়ে দিয়ে, পরে আবার জীবনদান করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ

ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

ওরে ঐশ রে, তুই ধৈবত হলি কবে থেকে রে? চোখ টিপি

---আশফাক আহমেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

পল্টুকে শেখাতে কিভাবে নামেতে পল্টি দিতে হয়

ধৈবত

হিমাগ্নি [অতিথি] এর ছবি

"গুল্মগাত্রে দোদুল্যমান কদু"
হাসতে হাসতে পইড়া গেলাম...
ভাইজান, আমারও কিন্তু বিয়াপক দাঁড়ি... চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

এইবেলা সেইসব দাঁড়িওয়ালাদের দৌরাত্মের মন্দভাব কিছুটা মন্দীভূত হইয়াছে বলিয়া, দাঁড়ি বাড়াবাড়ি রকমের বড় করিয়া তাহা দিয়ে গাড়ি টানিলেও সমস্যা নাই। ভয় পাইব না-

ধন্যবাদ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

লেখা ঠিকাছে। কিন্তু একটা জায়গায় খটকা আছে।
'জঙ্গী' হতে হলে কি তাহলে কেবল মুসলিম নাম থাকা লাগে? অন্য নাম থাকলে সে জঙ্গী হতে পারে না?

বলছিলাম, আপনার বলা এই অংশটুকু নিয়ে-

সঞ্জয়দা কোনভাবেই জংগীর সর্দার নন তা নাম দেখেই আঁচ করে নেয়া যায়।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুগোদা,
কেন যেন আপনার বক্তব্য আমার কাছে পরিষ্কার হলোনা। (অই ধৈবত, তুই বুচ্ছস নি?)
আমি কি ধরে নিব যে আপনার সাথে বাংলাদেশের কোন পার্শি, জৈন, অথবা খিরিস্তান জঙ্গীর চিন-পরিচয় আছে?
অবশ্য গেল বিম্পির আম্লে আমগো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার প্রশাসন এক হেন্দু আত্মঘাতী জঙ্গীরে উদ্ভাবন করচিলো। মালাউনডা কুলুহু আল্লা বইলা বোম ফাটাইলেও নিজে কাফির হইয়া মরল, জান্নাত পাইবো না, আপ্সোস। কাজেই আপ্নের কথা ঠিক হইলেও হইবার পারে।
আপনি ছদ্মনামের প্রতি ইঙ্গিত করলে অবশ্য আলাদা কথা।

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধূ গো দা
প্রথমেই আমার সালাম নিন, কষ্ট করে এই গরীবের লেখা পড়ে দেখার জন্য।
আর হ্যাঁ, হতেই পারে। এ সম্ভাবনা অবশ্যই কোনভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যাই হোক ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে ভবিষ্যতে শুধরে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ এট্টু দেবেন আরকি..
আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ

ধৈবত

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লেখায় গতি আছে, বর্ণনাও মজার। বানান ভুলের আধিক্য অপ্রীতিকর।
সাধু ভাষায় রম্য গতানুগতিক মনে হয়। মুখার মতো লেখকেরা অবশ্য গতানুগতিকতার ভিতরেই অসাধারণ। আপনিও অসাধারণ হয়ে উঠবেন, লিখতে থাকুন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমেই বলাই দা কে অসংখ্য ধন্যবাদ। বানান ভুলের দুর্বলতা আমার আছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আর সাধু ভাষায় রচনার ক্ষেত্রে ভুলের সম্ভাবনা আরো বেশি বেড়ে যায় বলে আমার মনে হয়। তবুও এই ব্যাপারটায় আমি আরও সতর্ক হব আর তাতেও ভুল করলে সেটা শব্দ ধরে ধরে দেখিয়ে দিলে বিশেষভাবে উপকৃত হব। আপনাদের মত সংবেদনশীল পাঠকের আরো সাহায্য আর প্রেরণা কামনা করছি। আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ

ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

আর আরেকটা ব্যাপার। একটা ডিজিটাল বাংলা স্পেল চেকার অথবা এনকার্টা-অক্সফোর্ড এর অনুরুপ ডিজিটাল বাংলা অভিধান কী ডেভেলাপ করা যায়না? শুনেছিলাম অভ্র টীম নাকি এ নিয়ে কাজ করছে...ব্যাপারটা নিশ্চিত নই।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মজা লাগলো পড়তে। বুয়েটে কি এলাকা দেখে হলের সিট নির্ধারণ দেয় নাকি? নইলে কবি ড়েক, সঞ্জয়, আপনারই অঞ্চলের কেমন করে হলেন? চিন্তিত

সঞ্জয়দা কোনভাবেই জংগীর সর্দার নন তা নাম দেখেই আঁচ করে নেয়া যায়।
- ইসলামী জঙ্গী ছাড়াও সন্ত্রাসী কিন্তু অন্যরকমও হয়, তাই না? আসলে হয়ত লেখার মজা ধরে রাখতে ঐভাবে লিখেছেন।

একটা জিনিস -

‘ইবনে’ কিম্বা ‘বিনতে’র গাঁথুনিতে নিশ্চই তাঁহার নামের ব্যাপ্তি
বিনতে (daughter of) ব্যবহৃত হবে মেয়েদের জন্যে, ছেলেদের জন্যে বিন (son of)। ঠিকই আছে, খালি একটু হোঁচট খেলাম পড়তে গিয়ে, এমনিতে গড়গড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল।
লিখতে থাকুন। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, 'বিনত' আর 'বিন' এর এই পার্থক্যটা আমি লেখাটা পোশটানোর পর নেটে সার্চ দিয়ে খুঁজে পেয়ছিলাম, কিন্তু তখন যা ভুল হবার হয়েই গেছে। তাই দুঃখিত সবার কাছে। আর এরকম ছোট খাট ভুলগুলো আংগুল দিয়ে ধরিয়ে দিলে আমি খুবই খুশি হব যাতে ভবিষ্যতে আরো শুদ্ধভাবে উপস্থাপন করতে সতর্ক হই।

যাযাবর ভাইকে ধন্যবাদ।

আর যেহেতু সঞ্জয়দা, তারেক ভাই একই জায়গার- এটা জানেন নিশ্চই আপনি তাদের পরিচিত, হয়তো আমাকেও চিনে থাকতে পারেন তাদের রুমমেট হিসেবে। তাই এই নিকের আড়ালে আসল মানুষটি কে তা যদি একান্তই গোপনীয় ব্যাপার না থাকে, তাহলে ফাঁকে ফোকরে জানিয়ে দেবেন আশা করছি।

ধৈবত

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি শুধু তারেককে চিনি। সঞ্জয় আর আপনি একই এলাকার, তা পোস্টে বলেছেন। একই জায়গার রুমমেট হবার ব্যাপারটা মজার লেগেছে। হাসি

খুটখাট ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। লেখালেখি চলুক। চলুক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভালোই অভিজ্ঞতা। লিখে চলুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

মজা প্লাম। আরও আসুক। হাসি

কুটুমবাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি
ধন্যবাদ

ধৈবত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।