ভক্ত হতে ভাল লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৪/০১/২০১২ - ২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি মনে হয় বেশীই সাধারণ। বুদ্ধি যেমন তেমন শুদ্ধি একটুও নাই। ক্রিয়েটিভিটি নাই, এই জন্যেই তাড়াতাড়ি ভক্ত বনে যাই; ভাল লাগলেই! আমার ক্রিয়েটিভিটির লেভেল প্রাইমারির পর খুব একটা বাড়েনি। প্রাইমারি স্কুলে প্রেম পীরিতি নিয়ে কিছু ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা করছিলাম পরে আর আগায় নাই। বলতে না পারা প্রেমিকদের জন্য গোপন প্রেম বোর্ড, যেখানে সব কিশোর কিশোরিরা মন খুলে তাদের পছন্দের জনের নাম লিখে রাখতে পারবে কিংবা বাড়ির ছাদের উপরে গাছ লাগাইয়া (পরে আমার আইডিয়া চুরি হইয়া গেছেগা) বিদ্যুৎ উৎপাদন, গরম কমানো আর ফলমূল পাওয়ার ত্রিমূখী ফর্মূলা। পরে ভাইবা দেখলাম এইসব যখন হবার নয়, উরাধুরা লাইফ ই ভাল। কিছু হওনের চিন্তা বাদঃ দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাওদাও ফুর্তি কর।

আমি জীবনে প্রথম যে জিনিসটার ভক্ত হই তা হল টারজান কার্টুন, ইত্তেফাকের দ্বিতীয় পাতায় বের হত। একমাত্র চাচার বাসায় পেপার রাখা হত, তাও আবার সেই চাচা আমাদের স্কুলের ই হেড মাস্টার। আমার চাচাদের মেজাজে বাড়ির পুলাপাইনকূল থরহরিকম্প। পুলাপাইনরে ধমকাধমকি করাটার দায়িত্ব তারা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালন করতেন। পেপার পড়াও মার্বেল খেলার মত গর্হিত অপরাধ ছিল, পুলাপাইন পাকনা হইয়া যাবে, বই (মুভি) দেখা শিখবে ব্লা ব্লা ব্লা। তাও চাচা স্কুল থেকে এসে একটু ঘুমাতেন, বিছানার কাছ থেকে চুরি করে পড়তাম ইত্তেফাকের তিন কি চার ফ্রেমের কার্টুন। সেই থেকে ভক্ত হলাম এডগার রাইস বারোজের। আরেকটু পাকনা হতেই হাতে পেলাম "সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক" দস্যু বনহুর। শুধু একটা দস্যু বনহুর পাওয়ার জন্য মাইল কে মাইল হেটেছি, দুপুরে চাটি মেরেছি কত বদ্ধদুয়ারে, গাছের পেয়ারা নিজে না খেয়ে খাইয়েছি বন্ধুদের, ছেড়ে দিয়েছি কত পাওনা আইসক্রিম খাওয়া, করেছি কত চুরি, এড়িয়ে গেছি কাজিনদের চুড়ির রুনুঝুনু। ক্লা্স এইট পর্যন্ত অন্ধভক্ত ছিলাম বনহুরের। স্বপ্নে দেখতাম দস্যু হব, দুইটা আইডেন্টিটি থাকবে; শহরে বউ থাকবে মনিরা আর দস্যু জগতে নূরী। থাকবে রহমতের মত দুর্দান্ত অনুচর, ফলমূল ছাড়া কিছুই খামুনা। বাড়ির পাশেই গাজিপুরের বিখ্যাত শালবন থাকায় দস্যু হওয়াটা অবধারিতই মনে হচ্ছিল। প্রায় প্রতিটা বই ই পড়েছি বনহুর সিরিজের। মাঝে মাঝে দস্যু বাহরাম, দস্যু মুন লাইট হানা দিয়েছে কিন্তু সত্য ও ন্যায়ের প্রতীকের সাথে তারা পারবে কেন?

বদলে দিল মাসুদ রানা। মাসুদ রানার আমি প্রথম বই পড়ি বিদেশি গুপ্তচর। আসলে এই বই আমি বনহুরের আগেই পড়ি ক্লাস থ্রি তে থাকতে, ধান রাখার চাঙ্গারে বসে বসে। (কোনভাবে হয়ত বইটা থেকে গিয়েছিল সেখানে)। কিন্তু আর বড়দের খাবারে ভাগ বসাতে পারিনি কখনোই, বই কেনার সামর্থ্য ছিল না কখনোই। বিদেশি গুপ্তচরের প্রায় প্রতিটা লাইন আমার মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। "সিনর ম্যাচ আছে আপনার কাছে?" আজীবন মনে থাকবে। তারপর ঝাপিয়ে পড়লাম রানার পেছনে; ইচ্ছে বদল হলঃ তখন ইচ্ছে করত রানার মত অনর্গল ফ্রেঞ্চ বলতে। এইগুলা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ট্যাগ লাগানো থাকাতে সাধারণ বিজ্ঞান বই অসাধারণ কাজ দিয়েছিল।

সুকুমার রায় সমগ্র পেয়েছিলাম স্কুলের সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায়; ভক্ত ও হই সাথে সাথে। সুকুমার কি পরিমাণ রসিক ছিলেন ভাবলে অবাক লাগে। তার সবকিছুই প্রিয়। আর তার ছেলের। সম্ভবত সত্যজিৎ রায় ছিলেন সবচে বহুমূখী বাঙালি প্রতিভা। আমি পুরো সত্যজিত প্যাকেজের ভক্ত ছিলাম, এখনো আছি।

এরপর ভক্ত হই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের। প্রিয় ব্যাটসম্যান কেন রাদারফোর্ড আর মার্টিন ক্রো। ৯৪ থেকে ৯৬। এরপর একদল ক্রিকেটার বের হয়ে যাওয়ায় আমিও দল খুজতে থাকি। বাংলাদেশে অন্ধভক্ত ছিলাম একজনেরই, আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ১৬ ই ডিসেম্বর ৯৫ এ বিজয় দিবস ক্রিকেটে আশফাক আলি রাহাদের এক ওভারে ২১ রান নিয়ে মোহামেডান কে চ্যাম্পিয়ন করেছিল বুলবুল; নিজে অপরাজিত ছিল ৯৯ রানে। চরম ভক্ত ছিলাম তার, আর মোহামেডানের। বুঝতেই পারছেন মোহামেডানের ভক্ত হলে একজনের কথা চলেই আসেঃ সাব্বির। রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বিরের খেলা দেখতে কত দাঁড়িয়ে থেকেছি বড়লোক পড়শির জানালার কাছে; আর তারা দেখত কিনা মুভি অফ দা উইক! শেম।

চলে আসে ৯৬ বিশ্বকাপ, এইখানে ভক্ত হই শ্যেন ওয়ার্ন নামের এক লেগ স্পিনারের। একজন মানুষ কতটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারে ওয়ার্নি তার একটা উদাহরণ হতে পারে। সাথে ছিল “তরে ত গোনায়ই ধরিনা” চাহনি, আর অসাধারণ বোলিং। আমার দেখা সেরা বোলার।

শচীন টেন্ডুলকারের ভক্ত হই ৯৬ এর শেষদিকে। আমার অনেক বন্ধু পাকি সাপোর্টার ছিল; তারা বলত আজহার ভাল খেলুক, আর শচীন ০ মারুক; আর ভারত হারুক। তখনো শচীনকে মার্ক ওয়াহ’র চেয়ে বড় ভাবতে পারতাম না। ঢাকা কলেজে পড়ি, ক্লাস নাই; জীবনের সুবর্ণক্ষণ চলছে তখন। তো মনোযোগ দিয়ে সারাদিন খেলা দেখতাম। খেলা দেখতে দেখতে মনে হল এর চেয়ে ভাল ব্যাটিং করা সম্ভব না। ব্র্যাডম্যান, ভিভও আমার কাছে শচীনের পরে আসে। (এইখানে একটা মজার কথা বলিঃ কাল পার্থে আমার হোটেলের টেনিস লনের পাশে বসে সিগারেট ধরাচ্ছি এমন সময় এক অজি দেখি হাত বাড়ায়া কয়ঃ গুড অন ইয়্যা মাইট, লাইটার চায়। তার পরে জইমা গেল তার সাথে, মজার পাব্লিক; কয় ইউর ফাকেন গাইস (ক্রিকেটার্স) গেভ আস এ বিগ হোয়াক, ডিডন্ট ইয়া? আমি বিনীত ভাবে কইলাম ভবিষ্যতে আরো দেয়ার ইচ্ছে আছে। মনে করছিলাম হালায় মুহাহাহা হাসি দিব। ভদ্রভাবে দলের খোজখবর নিল। সাকিবের কথা কইলাম। ভাবছিলাম কইলজায় চাপটা দিমু (ব্র্যাডম্যান) তখন হালায় নিজেই কইল আমার মনে হয় শচীন এই ট্যুরে ১০০ তম সেঞ্চুরিডা করলে আমি একজন অজি হিসেবে খুবই গর্বিত হমু। আরো অবাক কইরা কইল ভাই যে যাই কউক আমি মনে করিনা শচিনের চেয়ে ভাল কেউ ছিল, ইভেন নট দ্য রেস্টিং ব্রাডি জেন্টলম্যান (ব্র্যাডম্যান))। উল্লেখ্য এইটা খুবই অস্বাভাবিক, অজিরা চরম আত্মগরিমাপূর্ণ জাতি; নিজেদের ছাড়া আর কাউরে নিয়া মাথা ঘামায়ানা এবং গোনেওনা; বিশেষ করে ব্র্যাডম্যানের ব্যাপারে এদের উন্নাসিকতা অনেক অনেক উচুতে। শচীন এটা করেছে স্রেফ খেলা আর ইমেজ দিয়ে।

নায়ক রুবেলের ভক্ত ছিলাম ক্লাস ফাইভ থেকে নাইন পর্যন্ত। কত ক্লাস যে ফাকি দিয়েছি হিসাব নাই। সম্ভাব্য প্রেমিকার হাতছানি এড়িয়ে চলে গেছি বনরুপা কিংবা শাপলা সিনেমার রুপালী পর্দায়। রুবেলের সাথে ড্যানিসিডাক বা ইলিয়াস কোবরা থাকত ভিলেন হিসাবে। মনে হত দুনিয়ার সেরা একশন দেখছি, রুবেল ইংরেজি ছবি করে না কেন এইটা নিয়াও বালক মন প্রশ্ন তুলত।

এক কিশোরী টিভি অভিনেত্রীর ভক্ত হয়েছিলাম অনেক দিনঃ শিলা আহমেদ। দারুণ অভিনেত্রী হতে পারত। আমি ভক্ত হয়েছিলাম চেহারা দেখে, আর ছিল তার হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ এক্সপ্রেশন।
টিভি অভিনেত্রী হিসাবে ভাল লাগত শমী কায়সার কে। শমী র কোন নাটক মনে হয় আমি স্কুল লাইফে বাদ দেই নি। বাংলাদেশের অভিনেতাদের মধ্যে হুমায়ূন ফরিদী’র চরম ভক্ত ছিলাম। সংশপ্তকে ‘রমজান’ হঠাত একদিনে ‘মাস্টার’ কোথাও কেউ নেই য়ে ‘রাগী উকিল’ সব চরিত্রেই অনবদ্য।

এন্থনি হপকিন্স এর ডাই হার্ড ভক্ত, আর ভক্ত জ্যাক নিকলসনের। দুইজনের নিখাদ অভিনয়ের দরুণ। হপকিন্স, নিকলসন দুইজনেরই আরেকটা মিল চরম ভয়েস আর চেঞ্জওভার এর ক্ষমতা। সাইলেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস, দি এজ, ফ্র্যাকচার, রেড ড্রাগন, হ্যানিবল, মিট জো ব্লাক,......হপকিন্সের সব মুভির ই ভক্ত আমি আসলে।

শার্লক হোমসের ভক্ত দুনিয়া জোড়া ভক্ত; আমিও। আমি পুরা হোমস সমগ্র পড়েছি ২৭ বার। ভবিষ্যতে আরো পড়ব ইচ্ছা আছে। কন্যান ডয়েল খুব খারাপ কাজ করেছে একটাঃ ডিটেকটিভ উপন্যাসের একটা সীমারেখা বানিয়ে দিয়ে গেছে; অন্যসব দুঁদে গোয়েন্দাদের ও হোমাসের কাছে শিক্ষানবিশ মনে হয়।

ব্লগে একজনেরই ভক্তঃ মূখফোড় চৌধুরি। আদমচরিত এর মত স্যাটায়ার আবুল মনসুর আহমেদ ছাড়া কাউকে করতে দেখিনি। আবুল মনসুর আহমেদের রিলিফ ওয়ার্ক আমাদের পাঠ্য ছিল মেট্রিকে। পড়ে যোগাড় করে পড়লাম তার অন্যান্য সব বই। বাংলা একাডেমি তার সমগ্র বের করেছে। আবুল মনসুর আহমেদ স্যাটায়ার বস। কিছুদিন পড়েছি শায়ের খান কল্লোল ও।

হুমায়ূন আহমেদের চরম ভক্ত। এই সময়েও। এই নিয়ে পরে বিশদ বলার ইচ্ছা রইল।

সব সময়ই ভক্ত ছিলাম, থাকবঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অনেকে দল খারাপ খেললে গালাগালি করে, বাজে কথা বলে, সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে; আমি করিনা। এইসব ছেলেরাই আমাদের জাতীয় গৌরবের অনেক দিন এনে দিয়েছে, আবারো দেবে। ব্যর্থতায় পাশে না থাকলে কিসের সমর্থক।

যারা ধৈর্য্য নিয়ে ‘শিক্ষামুলক কিছু নাই’ ‘সামাজিক বৈকল্য সঞ্চালিত’ লেখা পড়লেন তাদের ও ভক্ত হয়ে রইলাম।
ভক্ত হতে ভাল লাগে।

------------------------------------
শ্যামল
ayon99eএটyahoo.com


মন্তব্য

উচ্ছলা এর ছবি

আপ্নে চরম রসিক...আপনার লেখার স্টাইলটা এক্কেবারে আমার মনের মতো হাসি

একটা ব্যাপার কমোন পড়ছেঃ রুবেল দেঁতো হাসি

'নাক টিপলে দুধ বেরোয়' বয়সে একবার আম্মা থাপ্পোর দিয়েছিল ডালের বাটিতে পানি ঢেলে দেয়ার জন্য। বিকেলে আব্বা মান ভাঙ্গাতে "লড়াকু" দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল থিয়েটারে। ( আপ্নের আব্বা আমার আব্বার মত এত প্রোগ্রেসিভ ছিল না, আই বেট) দেঁতো হাসি

শ্যামল এর ছবি

রুবেলের সব ছবিতেই 'কবিতা' কেন যে নায়িকা থাকত, আল্লায়ই জানে।

হাসিব এর ছবি

রুবেলের ড্রেসটা সেরাম। সাথে নায়িকা ৩০+ সেকেন্ডের সময় মাটিতে বসে যেরকম ভাবে ঘষটায় ঘষটায় আগাইতেছিলো সেইটাও মনে ধরছে।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

শ্যামল এর ছবি

লইজ্জা লাগে

চরম উদাস এর ছবি

কি হইলো, লজ্জায় টমেটু হইলেন কেন?

শ্যামল এর ছবি

দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লিখুন লিখুন! দারুণ আপনার লেখা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শ্যামল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শ্যামল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শ্যামল এর ছবি

দেঁতো হাসি

সচল জাহিদ এর ছবি

যারা ধৈর্য্য নিয়ে ‘শিক্ষামুলক কিছু নাই’ ‘সামাজিক বৈকল্য সঞ্চালিত’ লেখা পড়লেন তাদের ও ভক্ত হয়ে রইলাম।

আমি পড়লাম আর সেই সাথে একজন ভক্ত আশেকান পেলাম দেঁতো হাসি

বেশ লিখেন আপনি। আরো লেখা চাই।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শ্যামল এর ছবি

তুমি কইলে ভালা লাগে।
আপনার ভক্ত তো হলে থাকতেই।
চমৎকার সব ড্রেস আপ কইরা ঘুইরা বেড়াইতেন, পড়াইতেন ও সিরাম। আর এখন সচলে।

খালি খেলাধুলায় আপ্নেরে পাওয়া যাইতনা, এইডা একটা আফসুস!!

সচল জাহিদ এর ছবি

এতক্ষনে চিনছি ভাইডি। খেলাধুলার কথা আর কইয়না, আমার কি দোষ কও, ক্রিকেট খেলতে ফিল্ডিং করতে গেলে বন্ধুরা কইত টাকি মাছ ধরতেছি, ফুটবলে খালি লাথিগুতা খাইতাম, তাই ছোটবেলা থেকে বুইঝা গেছি ঐডা আমার কাম না, এইজন্য খালি গ্যালারীতে বইসা চিল্লাই !!! তয় এককালে বোম্বাষ্টিং কিন্তু সিরাম খেলতাম দেঁতো হাসি


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

shafi.m এর ছবি

চলুক

শাফি।

ফারুক হাসান এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল্লাগলো দোস্ত।

ঢাকা কলেজে পড়ি, ক্লাস নাই; জীবনের সুবর্ণক্ষণ চলছে তখন।

ক্লাস তো আসলে আছিলোই, আমরা করতাম না খাইছে

শ্যামল এর ছবি

শোন শোন কবিতা শোনঃ

যে ক্লাস ফিরে আসে স্যারদের অকরুণ সঞ্চিত
মধুমাখা উঠোনে;
তার তরে প্রণতি।
(কিংবা মানবের সাথে তার হয়নাকো দেখা)
হে...হেহেহেহহে।

বাধ্য না হইলে ক্লাসে যায় কোন পাগলে?

স্বাধীন এর ছবি

কি যেন একটা বাদ পড়ে গেলো, ফুটবলেরও যে ভক্ত সেটা বললে না চিন্তিত

সচলে স্বাগতম শ্যামল । লেখা মজারু হয়েছে (y)।

শ্যামল এর ছবি

চিপাচুপা দিয়া রইয়া গেছে অইটা। যাই হোক, ভালই হইছে আরেক পর্ব লেখন যাইব। চক্ষু খুইল্যা গুট্টি খেলুম, গুট্টি...
আপ্নেরে চিনি নাই, দোষ ত্রুটি মার্জনীয়। মন খারাপ

শ্যামল এর ছবি

থ্যাঙ্কস বস। দেঁতো হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

কত স্মৃতি গর্ত থেকে তুলে আনলেন! শচিন না লারা - এই তর্ক করতে করতে হাতাহাতি হয়ে গিয়েছে বন্ধুদের সাথে। এখন নিজের দেশের প্লেয়ারদের নিয়ে তর্ক করি- কী যে ভাল লাগে।

চমৎকার একটা লেখা। আমি নিজেই তো আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম। চলুক

শ্যামল এর ছবি

ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!
জীবনে প্রথম ভক্ত পাইলাম।
বস আপ্নেরে লাল সালাম। চোখ টিপি

সবজান্তা এর ছবি

ব্যাপক !

অনেকদিন পর একটা লেখা একদম রেলগাড়ির মতো দ্রুতবেগে পড়ে ফেললাম, এতোটাই সাবলীল ! আরো লিখেন।

শ্যামল এর ছবি

দেঁতো হাসি
ধইন্য।
আপ্নে কি শার্লক হোমস? ফডু দেইখা চিনা চিনা লাগে।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চমৎকার লেখেন আপনি!!! নিয়মিত লিখবেন আশা করি!!!


_____________________
Give Her Freedom!

তিথীডোর এর ছবি

মজা পেলাম। খাইছে
লেখা চলুক। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দ্যা রিডার এর ছবি

চলুক

শ্যামল এর ছবি

হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

ভক্ত হতে আমারও ভালো লাগে। আপনার আরো লেখা পড়তে চাই।

শ্যামল এর ছবি

আপনি কার কার ভক্ত সেটা নিয়ে লিখে ফেলুন না একখান।

babunee এর ছবি

লেখা তা খুব ভাল লাগল। অসাধারন।

শ্যামল এর ছবি

দেঁতো হাসি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

তাপস শর্মা এর ছবি

বস। আপনি হাসা কতা কন - উসামা বিন লাদেনের লগে আপনার আঁতাত নাই তো ?? ঐ বেডা কি মরছে না আপনি লুকাইয়া রাখছেন।

লেখায় উল্লেখিত দু একজন মানুষের সাথে পরিচয় নাই, বাকি গুলান জব্বর - গব্বর। আপনার ফ্যান লিস্টে আমার নাম উঠাইছি অনেক আগেই হাসি ......... সো আর এদিক ওদিক না তাকাইয়া , 'আওয়াজ নিচে' কইরা ছিড়া ফাইরা লিখতে থাহেন দেঁতো হাসি

শ্যামল এর ছবি

ওস্তাদ কি যে কন, শরম লাগে। লইজ্জা লাগে
কারে চিনেন না?

লেখা আসেনা বড়ভাই, লেখা বড় ত্যক্ত করে।
লেখুম, যদি পারি নিয়মিতই। ভাল থাকবেন।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

শ্যামল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

লেখা মজারু হয়েছে। চলুক

শ্যামল এর ছবি

ধন্যবাদ জানবেন।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক অনেক ব্যাপার মিলে গেল, বিশেষ করে ইত্তেফাকের টারজান ! আমি তো পেপার থেকে কেটে রাখতাম পরের দিনই!
চলুক লেখা, রিও ডি জেনিরো থেকে শুভেচ্ছা ।

শ্যামল এর ছবি

আপনার আগামি ২ মাসের গন্তব্য নিয়া একটা পোস্ট দেন, ফাটাফাটি হবে।

দ্রোহী এর ছবি

আপনি দারুণ লেখেন! প্রচুর রসের সমাহার আপনার লেখায়। চলুক

শ্যামল এর ছবি

দেঁতো হাসি

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ইশ! কত কথা মনে করিয়ে দিলেন, ইত্তেফাকের টারজান, দস্যু বনহুর, মাসুদ রানা। আহারে! সাবলীল লেখা, ঝরঝর করে পড়ে ফেলেছি। চমৎকার।

শ্যামল এর ছবি

সেই যে আমার নানা রঙ্গের দিনগুলি।

টিভির এডগুলাও সিরাম আছিল। আর আছিল মনের মুকুরে সকালের টিভি অনুষ্ঠান, রেডিওতে সৈনিক ভাইদের জন্য গানের অনুষ্ঠান দূর্বার...... দেঁতো হাসি

শাব্দিক এর ছবি

হাসি আপনার ভক্ত হইলাম।

শ্যামল এর ছবি

দেঁতো হাসি

পথের ক্লান্তি এর ছবি

সিরাম লাগল। আপনের ভক্তের খাতায় নাম ল্যাখাইলাম। হাসি

শ্যামল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
হ্যাপি হ্যাপি ভেরি হ্যাপি।

জ়াভেদ জামাল  এর ছবি

ভালো লিখছেন.......... আরো লেখা চাই.....

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।