সুপারভাইজড হওয়া ও সুপারভাইজ করা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২১/১২/২০১২ - ৭:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তিন ল্যাব ঘুরে যে ল্যাবে থিতু হয়েছি তার কর্ণধার হলেন ডেনমার্কের এক সত্তর ছুঁই ছুঁই ভদ্রলোক। ছ'টা গ্র্যাড স্টুডেন্ট, অনেকগুলো আন্ডারগ্র্যাড, কোন ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই - একজনের থেকে আরেকজনের প্রজেক্ট অনেক ভিন্ন - তবু তিনি হাসিমুখে সামলে যাচ্ছেন সব। এ ভদ্রলোককে যত দেখি তত অবাক হই।

আমাদের ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি এক দশকেরও বেশি সময়। ছোটখাট গাট্টুগুট্টু মানুষ, গুটগুট করে হাটেন, তাঁর ভুলোমন নিয়ে, মিষ্টি খাওয়ার শখ নিয়ে আমরা প্রায়ই হাসাহাসি করি তাঁর সামনেই। ল্যাবে কেউ তাঁকে দেখে ভয় খায় না, বা সমীহ করে দাঁড়িয়ে পড়ে না। কারণ উনার স্বভাবটাই এই, রাগটাগ হন না। ল্যাবে যার যখন ইচ্ছা আসে, বেশিরভাগ দিনই উনি সবার আগে ল্যাবে এসে বসে থাকেন, এসে ল্যাবের বাতিটাতি জ্বালান। দিনের অর্ধেকেরও বেশি পার হয়ে যাওয়ার পরেও কারো ছায়াটি দেখতে না পেলে মাঝে মধ্যে হাঁক ডাক ছাড়েন, where is everybody, huh? ঐ পর্যন্তই। নিশাচর গ্র্যাডদের সাথে কালেভদ্রে দেখা হয় তাঁর।

সাপ্তাহিক ল্যাব মিটিং এ প্রতিটা গ্র্যাড স্টুডেন্ট এর পাশাপাশি উনিও পেপার প্রেজেন্ট করেন, খুব বেশি সুন্দর করে যে দেন তাও না। মাঝে মধ্যে আবার লজ্জাও পান যে ভালো করে স্লাইড বানান নি। প্রশ্ন করলে যথাসাধ্য উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন, না পারলে কোন ভান ভণিতা ছাড়াই বলেন, আমি জানি না। তারপর মুখচোখ বাঁকিয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন।

সেদিন গুটগুট করে হাঁটার সময় একগাদা কাঁচের টেস্টটিউব ধাক্কা মেরে ভেঙে ফেললেন, একটু পরে দেখা গেল, আমরা গ্র্যাড স্টুডেন্টরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, উনি একটা ব্রাশ নিয়ে ট্রে নিয়ে নিচু হয়ে বসে বসে মেঝে পরিষ্কার করছেন। আমরা কেউ ভদ্রতা করেও হাত লাগানোর চিন্তা মাথায় আনিনি।

ল্যাবের সাথে উনার লাগোয়া অফিস রুম, যখন যে কেউ ডাক দিয়ে কথা বলতে পারে। উনি ঘুরঘুর করতে থাকলে আমরা প্রায়ই থামিয়ে লম্বা আলাপ শুরু করে দেই। যে কোন কিছু নিয়ে আলাপ! কয়েকদিন আগে হাতে করে একটা কাগজের প্লেন নিয়ে এসে আমাকে দেখাচ্ছিলেন, এটা আমার ফ্যামিলি মিটিং এ পেয়েছি!

উনি আমাদের বস হলেও সুপেরিয়রিটি দেখানোর কোন চেষ্টাই কখনও করেন নি। যে কোন মিটিং এ সময় দিলে তাতে একদম ঠিকঠাকমত হাজির হবেন। মেইল এর উত্তর দিতে একটুও দেরি করেন না। আমাদের বিভিন্ন দরকারে রিসার্চ এর উপর ডকুমেন্ট লিখতে হয়। একদম হাবিজাবি প্রথম ড্রাফট পাঠালেও একটুকু সমস্যা নেই। বরং উনিই বলেছেন, ধাপে ধাপে ডকুমেন্ট লিখতে। প্রথম ধাপে কেবল লজিক্যাল ফ্লোটা খেয়াল রাখ, গ্রামার, সেনটেন্স যাচ্ছেতাই হোক, অসুবিধা নেই। দ্বিতীয়টাতে লেখা ঠিক কর, তৃতীয়টাতে মোটামুটি লেখা দাঁড়িয়ে যাবে, ছোটখাট সমস্যা থাকলে ঠিক করে দেব, and you can send me as many drafts as you want.

কিছুদিন আগে একটা অ্যাপ্লিকেশন এ কিছু ব্যক্তিগত বিষয় লিখতে হয়েছিল। উনার রেকমেন্ডেশন চাইতে গেলে উনি আমার অ্যাপ্লিকেশনটা দেখতে চাইলেন। আমি পুরো অ্যাপ্লিকেশনটা পাঠিয়ে দিয়ে মেইলে লিখে দিলাম, অ্যাপ্লিকেশনের শেষে আমার পার্সোনাল স্টেটমেন্ট আছে, আমি ওটা শেয়ার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করব না। উনি পরে আমাকে জানালেন যে উনি পেজগুলো মুছেই দিয়েছেন উনার ফোল্ডার থেকে।

আরো টুকিটাকি অনেক গল্প আছে। একবার একটা ডাটা কোন রকম লেবেল ছাড়া উনাকে পাঠিয়ে দিলাম, উনি বসে বসে জিনিসটাকে পাওয়ারপয়েন্টে নিয়ে লেবেল টেবেল দিয়ে তারপর আবার আমাকে পাঠালেন, আমি ত ঢোঁক গিললাম, ইক্!

উনি এত বেশি স্বাধীনতা দেন যে ভয়ই লাগে রীতিমত, আমরা অপব্যবহার করছি না ত? আমাদের মধ্যে একজন একদিন থাকতে না পেরে বলেই দিল, বস্! আমরা তোমার থেকে আরও ফিডব্যাক আশা করি, তুমি ত কখনও আমাদের দোষ বল না! উনি বলেন, হ্যা.. ঠিক, কিন্তু দেখা গেছে দোষ দেখিয়ে দেয়ার চেয়ে উৎসাহ দিয়ে গেলে স্টুডেন্টরা আরও ভাল করে।

এই বয়সেও সাইন্স এ দুর্বার আগ্রহ। রিটায়ার করার বয়স পার হয়ে গেছে কবে! এখনও পিএইচডি স্টুডেন্ট নিচ্ছে নতুন নতুন। অনেক ল্যাবই একই কাজ বছরের পর বছর করে যায়। আর উনি বছর দুই হল ল্যাবের রিসার্চ ফোকাস পুরো বদলে ফেলেছেন। কয়েকদিন পরপর কী একেকটা করে সার্জারি হয়। তার পর দিন আবার ল্যাবে এসে হাজির।

এই গেল সুপারভাইজরের কথা। এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি।

গত পাঁচ মাস ধরে একটা গ্রুপ খুলেছি ফেসবুকে, ভাল মনের মানুষগুলো যেন আত্মউন্নয়ন আর মোরাল সাপোর্ট পায় - সে আশায়। কিছুটা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজকর্ম চালাতে হচ্ছে, কারণ এটাও একটা ভার্চুয়াল ক্লাশরুমের মতই। টাস্ক আছে, ডিসকাশন আছে, তর্ক বিতর্কও আছে। প্রথমে যখন শুরু করলাম, ১১ জন সদস্য নিয়ে, সবার ভীষণ আগ্রহ। ভাল ভাল আলোচনা চলল মাসখানেক। ধীরে ধীরে গ্রুপের কলেবর বাড়তে থাকল, উৎসাহেও ভাটা পড়তে থাকল। অ্যাডমিন হিসাবে বুঝতে পারছিলাম, কী যেন হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে। কী করব? কীভাবে সবাইকে এনগেজ রাখব? লিডাররা কীভাবে রাখে?

তখনই আবার বুঝলাম, অন্য যে কোন সংগঠনের সাথে এর পার্থক্য আছে। লিডাররা বেশির ভাগ সময়ই আগে থেকে জানে সংগঠনটার উদ্দেশ্য কী। লিডারদের লক্ষ্য থাকে সবাইকে সেই লক্ষ্যে পরিচালিত করা। আমি যেই গ্রুপটা চালাচ্ছি সেখানে মূল লক্ষ্যটা গুরূত্বপূর্ণ না, বরং প্রক্রিয়াটা গুরূত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা সদস্য মূল্যবোধ ধরে রেখে যুক্তির মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করবে, নিজেকে জানবে, চিনবে, উন্নত করবে.. সুতরাং এটা কোন কোম্পানির বা পলিটিক্যাল পার্টির মত না, এটা অনেকটা আমাদের ল্যাবের মত। যার যার কাজ সে সে করে, কিন্তু সবার মধ্যে একটা মিল আছে। সবাই একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিজেকে গড়ে তুলছে।

ওটা বোঝার পর থেকেই আমি আমার কেশহীন গুটগুটে সুপারভাইজরের প্রতি মনোযোগী হলাম। দেখলাম, স্বাধীন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন স্বত্ত্বা গড়তে হলে নিজের মধ্যে কোন অহংবোধ রাখা যায়না। আমি গোঁয়ারের মত একটা প্রজেক্ট ধরে বসে ছিলাম অনেকদিন। উনি প্রথম থেকেই বুঝেছিলেন ওটা কাজ করবে না, একটু গাঁই গুই করে আর কিছু বলেন নি। আট মাস খরচ করে নিজেই যখন বুঝলাম, উল্টো তাকে চার্জ করলাম, তুমি যদি জানতেই কাজ করবে না, আগে বল নি কেন? উনি বলেন, তুমি ওটা নিয়ে এত আগ্রহ দেখাচ্ছিলে - আমি তোমাকে নিরাশ করতে চাইনি। উনি নিষেধ করলে কি ভাল হত? বোধহয় না! আমার সবসময় মনে হত, ঐ প্রজেক্ট টা বেশি ভাল।

উনি নিজে উনার ফিল্ডে বেশ হোমড়াচোমড়া ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও এমনভাবে আমাদের সাথে কথা বলেন, পুরাই মনে হয় যে আমরাও উনার সমান জানি। কোন প্রশ্ন করতে দ্বিধা হয়না, কী মনে করবে এই ভয়টা নেই। অথচ আমার নিজের গ্রুপে ডিসকাশন চললে কিছু না জেনেও কেমন যেন আমার আঁতলামি ফলাতে ইচ্ছা করে। বুঝলাম, না জানলেই হামবড়া ভাবটা মাথা চাড়া দেয় বেশি!

উনার সাথে থেকে এখন আরও বুঝছি, পিএইচডি একটা প্রক্রিয়া। শেখার, উদ্ভাবনের, ব্যর্থতার, উঠে দাঁড়ানোর - সব মিলিয়ে ঝুলিয়ে জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার ভারে কুঁজো হয়ে যাওয়ার কথা। দুঃখের বিষয়, তার বদলে কেন যেন প্রায়ই নাকটা আকাশে উঠে যেতে চায়।

নূসরাত


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কথার মাঝখান থেকে হুট করে ইংরেজি বাক্য শুরু করে দেওয়াটা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কারো কথা কোট করতে গেলে হয় সম্পূর্ণ বাক্য ইংরেজিতে অথবা বাংলায় অনুবাদ করে দেওয়াটা আপনার লেখার মান এবং পাঠকের স্বস্তি দুই দিক থেকেই জরুরি।

নূসরাত  এর ছবি

এই জন্যই সচলে লিখতে শুরু করেছি। অন্য কোন ব্লগে লেখার মান উন্নত করার জন্য কেউ অত বলেনা। সবসময় মাথায় থাকবে। অনেক ধন্যবাদ! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে এটি আপনার প্রথম লেখা কিনা জানিনা, লিখতে থাকুন। আপনি পারবেন।

''দিবাকর''

নূসরাত  এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অবনীল এর ছবি

স্বাধীন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন স্বত্ত্বা গড়তে হলে নিজের মধ্যে কোন অহংবোধ রাখা যায়না।

সম্পূর্ণ একমত। অবনত মস্তক শ্রদ্ধা আপনার সুপারভাইজারের প্রতি। আপনারো সৌভাগ্য বলতে হবে এরকম একজন মেন্টর পেয়েছেন। তার জন্য খানিকটা হিংসা।

আপনার ফেসবুক পেজের নাম বলুন। যোগ দিতে ইচ্ছুক। শুভেচ্ছা।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

নূসরাত  এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ! হাসি

গ্রুপে যোগ দিলে খুবই খুশি হব। ছোট্ট একটা ডিসক্লেইমার: বড্ড বেশি ধর্মের আনাগোনা ওখানে। এই ব্যাপারটায় অসহিষ্ণু হলে মিনিটে মিনিটে তেতে উঠতে হবে। তবে সহ্য করতে পারলে আমরা আপনার থেকে অনেক শিখতে পারব আশা করছি।

অবনীল এর ছবি

আপনি যেকোন টপিক নিয়ে সচলে ব্লগ লিখতে পারেন। সুচিন্তিত, শালীন এবং যুক্তিপূর্ণ লেখার জন্য এর থেকে ভালো প্লাটফর্ম আপনি পাবেন না। স্বীকার করছি এখানে হয়ত অধার্মিক লোকের আনাগোনা বেশী (আমি সহ), তবে আপনার ধর্মীয় মতাদর্শে আঘাত দিয়ে কোন কমেন্ট পাবেন না। তবে যুক্তির যাতাকলে হয়তো পিষ্ট হতে পারে এটুকু বলতে পারি।
সোনাব্লগের সদস্য হয়ে যুদ্ধাপরাধী সমর্থকদের দল ভারী করবেন না। একজন বিবেকবান মানুষের প্রতি দাবী থাকলো।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

নূসরাত  এর ছবি

জানে শান্তি পাইলাম। এইরকম করে বাকিরা বললেও ত হয়! ধন্যবাদ!

স্যাম এর ছবি

চলুক! সুমন দার কথা টা আমারো মাথায় থাকবে - সচলে এই একটা সুবিধা - একজনের লেখা থেকে বহুজন আরেকটু সতর্ক হয় বা এভাবে বলা যায় আরেকটু বেটার লেখা দেয়ার ব্যাপারে উপকৃত হয়। লেখক কে ধন্যবাদ ব্যাপারটা এপ্রিশিয়েট করার জন্য - অমন সুপারভাইজার পেলে এমন তো হবেই তাই না? দেঁতো হাসি

নূসরাত  এর ছবি

আবার জিগস! দেঁতো হাসি

আউটসাইডার  এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো। আপনার অধ্যাপকের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। আপনাদের দেখে মাঝে মধ্যে হিংসে হয়, আপনারা কেমন ভাবে একসাথে বসে সারাদিন কাজ করতে পারেন। আমি ব্যাবসায়'এর ছাত্র, আমাদের হিসেব সম্পূর্ণ আলাদা।

তারপরও দু'একজন অধ্যাপককে পেয়েছি জীবনে যাঁরা সত্যিই অসাধারণ। দুজনের কথা বলতেই হয়। একজন ছিলেন রেশিও এ্যানালিষ্ট আরেকজন মাল্টিন্যাশনাল ষ্ট্রাটেজি'র। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞাণ নিয়ে তাদের সাথে অনেকবারই অহেতুক তর্ক করেছি, কিন্তু তারা কোন সময় বিরক্তি বা রাগ দেখান নি।অথচ তাদের বিষয়ে তারা একেকজন বস। আমি একটা জিনিসই শিখেছি, জ্ঞাণ মানুষকে সত্যিই বিনয়ী হতে শেখায় আর অল্পবিদ্যা অহংকারী। আমি দু'একটা বিষয়ে মোটামোটি জানি কিন্তু একই সাথে এও জানি যে এমন অন্য শত শত বিষয়ে আমি একেবারে গন্ডমূর্খ।

নূসরাত  এর ছবি

হ্যা, ওটাই! আমার পিআই কত সহজে স্বীকার করে না জানলে! আর গ্র্যাড স্টুডেন্টগুলির ভাবসাব দেখে মনে হয়... থাক না বলি!

শাব্দিক এর ছবি

আপনার লেখা ভাল লাগল। নিরহংকারী মানুষদের আমি খুবই পছন্দ করি। এদের অন্য গুণগুলি এই গুণটির কারণে আরো বেশি প্রস্ফুটিত হয়।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নূসরাত  এর ছবি

ঠিক বলেছেন! অহংকার দেখলে গা জ্বলে আজকাল।

মাজহার এর ছবি

এতো ভালো প্রফেসর? হাসি মন খারাপ অ্যাঁ

নূসরাত  এর ছবি

মন খারাপ করলেন কেন রে ভাই?

ইফতেখার রনি এর ছবি

দারুন একটা লেখা!

ইফতেখার রনি

নূসরাত  এর ছবি

খুশি হয়ে গেলাম! হাসি

বাইটকোডার এর ছবি

না জানলেই হামবড়া ভাবটা মাথা চাড়া দেয় বেশী !

নূসরাত  এর ছবি

চলুক

কিষান এর ছবি

ভালো লাগলো। চলুক

আপনার প্রতি হিংসা হচ্ছে, আর শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা দেঁতো হাসি

নূসরাত  এর ছবি

হ্যা, সত্যিই আমি ভাগ্যবান! কিন্তু সমস্যা কী জানেন, এরপর অন্য কোথাও পিআই মন মত না হলে তাল মেলাতে পারব কি না কে জানে!

shurjo somoy এর ছবি

এরকম শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা ।
এরকম মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ।

আমি চিন্তা করি যে খারাপ লোক হলে ঠিকই কাজ উসুল করে নিত, ভাল হওয়াটা নিশ্চয়ই তার অপরাধ নয় । সুতরাং যখন উনি বলেন থাক আমি করে নিবোনে, তখন তাড়া থাকলেও যতটুকু পারি করে দিয়ে আসি।

নূসরাত  এর ছবি

হুম! এভাবে করে উনি প্রেশারটা আমাদের উপরই ফেলেন। কারণ এমন একটা মানুষকে ঠকাতে হলে আমি খুব খারাপ হতে হবে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

এরকম একজন প্রফের সাথে কাজ করা নিশ্চয় খুব আনন্দের ব্যাপার।
আপনার লেখাটার সুর খুব সহজেই ধরতে পারলাম, আরো লিখুন।

নূসরাত  এর ছবি

হাসি

সত্যপীর এর ছবি

ডুয়াল পোস্ট।

নূসরাত আপনি সোনাব্লগে লেখেন কেন?

..................................................................
#Banshibir.

কুমার এর ছবি

সচলায়ত নীতিমালা:
সচলায়তনে প্রকাশিত লেখাগুলি ৭২ ঘন্টার জন্যে অনন্য থাকতে হবে, এবং অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে, মুদ্রিত মাধ্যমে বা মুদ্রিত মাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে পূর্বপ্রকাশিত হতে পারবে না। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশের ক্ষেত্রে এ নিয়মটি প্রযোজ্য নয়।

পীরসাব, আপ্নে আড়ালে আবডালে সুনাব্লগে কি করেন? সব ঠিকঠাক তো? জাঝাকাল্লাহ খায়রান।

সত্যপীর এর ছবি

জামাত শিবির শুয়ারগুলার গতিবিধি নজরে রাখি।

..................................................................
#Banshibir.

নূসরাত  এর ছবি

হ্যা, আমি ভেবেছিলাম ৩৬ ঘন্টার নিয়ম, আসলে ৭২ ঘন্টা। পরে আর হবে না।

ঐ ব্লগে ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনা সহজে প্রকাশ করা যায়, গালি খেতে হয় না। ওটা আইডিয়াল প্ল্যাটফর্ম না, কিন্তু বাংলায় ইসলাম নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা শেয়ার করার অন্য কোন জায়গা নেই। কিন্তু ওখানে যুক্তি দিয়ে কথা বলার মত মানুষ হাতে গোনা যায়। বুঝতেই পারছেন, একটা শূণ্যতা আছেই। বেস্ট হত যদি সচল, সরব - এই প্ল্যাটফর্মগুলি ধর্ম নিয়ে মানসম্মত লেখার ব্যাপারে আরো একটু উদার হত। কেন হয়না, সেটাও জানি। তাই অভিযোগও করতে পারছিনা।

আপাতত, আমার স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, ধর্মের আলোকে জীবনবোধ - এসব লেখা ফেসবুকে আর সোনার বাংলায় লিখব। লেখার কোয়ালিটি বাড়াতে আর ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন করার সুযোগ আছে (পুরোপুরি ধর্ম বাদে) এমন জিনিস সচলে লিখব। সরবের পাঠকরা ১৮-২৮ এর মধ্যে বেশি। ওখানে মিক্সড, যেটা মনে হয় ওদের কাজে লাগতে পারে।

আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী বলেছে আমি এস বি তে লিখি শুনলেই নাকি সচল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে। হো হো হো যদি তাই হয়, তাহলেও খুব একটা আফসোস থাকবে না, কারণ, তার মানে আমি এখানে যা শেখার আশা করে এসেছি তা ওরা এমনিতেও দিতে পারত না। পরমতসহিষ্ণুতা কঠিন জিনিস, যখন নিজের গায়ে এসে লাগে দেঁতো হাসি

সাম্য এর ছবি

ওটা আইডিয়াল প্ল্যাটফর্ম না, কিন্তু বাংলায় ইসলাম নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা শেয়ার করার অন্য কোন জায়গা নেই

ছাগুব্লগে লেখার চেয়ে আমি বরং আমার আধুনিক চিন্তাভাবনা নিজের কাছেই রেখে দিতাম।

কিন্তু ওখানে যুক্তি দিয়ে কথা বলার মত মানুষ হাতে গোনা যায়। বুঝতেই পারছেন, একটা শূণ্যতা আছেই

আহা, কী মোলায়েম ভাষা ছাগুব্লগের প্রতি!

আপাতত, আমার স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, ধর্মের আলোকে জীবনবোধ - এসব লেখা ফেসবুকে আর সোনার বাংলায় লিখব। লেখার কোয়ালিটি বাড়াতে আর ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন করার সুযোগ আছে (পুরোপুরি ধর্ম বাদে) এমন জিনিস সচলে লিখব। সরবের পাঠকরা ১৮-২৮ এর মধ্যে বেশি। ওখানে মিক্সড, যেটা মনে হয় ওদের কাজে লাগতে পারে।

দেশে আমার কিছু বন্ধু-বান্ধবদের দেখতাম একই মোবাইল সেটের জন্য ৩/৪টা সিম কিনে রাখত। এরপর দু'দিন পরপর মোবাইলে সিম বদলাত, আজ গ্রামীণ, কাল বাংলালিংক, তো পরশু টেলিটক, যে যখন যেরকম অফার দিচ্ছে। আপনার মন্তব্য দেখে কেন যেন সেগুলো মনে পড়ে গেল।

আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী বলেছে আমি এস বি তে লিখি শুনলেই নাকি সচল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে

সোনার বাংলা নামটা লিখতে লজ্জা পান ভাই যে 'এস বি' লিখতে হয়? আর আপনার শুভাকাংক্ষীদের জিজ্ঞেস করে একটু জানাবেন কি এখন না পর্যন্ত কাকে/কাদেরকে সচল থেকে 'ঘাড় ধাক্কা' দিয়ে বের করা হয়েছে?

হিমু এর ছবি

সোনাব্লগকে প্রমোট করার কারণে আশরাফুল কবীর রাসেল নামে এক ছদ্মবেশী ছাগুর অতিথি অ্যাকাউন্ট সম্ভবত মডারেটররা বাতিল করে দিয়েছেন।

নূসরাত  এর ছবি

ভাই রে ভাই, আমার কোন ব্লগ প্রমোট করার কোন শখ নাই। জিজ্ঞাসা করাতে উত্তর দিয়েছি।

হিমু এর ছবি

আমি বলছিও না যে আপনি সচলে এসে শুরুতেই সোনাব্লগকে প্রমোট করার মতো কাঁচা কাজ করবেন। সাম্যের প্রশ্নের জবাবে একটা প্রিসিডেন্সের উদাহরণ দিলাম শুধু।

অরফিয়াস এর ছবি

আশরাফুল কবীর রাসেল- এর প্রতি আগেই সন্দেহ ছিল, এ কিন্তু এখনও বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্য করে বেড়ায় প্রায়ই।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আশরাফুল কবীর কি ওইটা যে, খালি তেল চুপচুপে মন্তব্য করত? আর মন্তব্যের শেষে একটা বাঘের মুখের ছবি দিত?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তানজিম এর ছবি

হিমু ভাইয়ের প্রেমে দিওয়ানা খাইছে

অরফিয়াস এর ছবি

হ। এখনও বাঘের ছবিওয়ালা মন্তব্য করে সে। রেগে টং

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তানজিম এর ছবি

তবে এই বান্দা ক্যাম্নে হাচল হইল এইডাতে অবাক হইসি !
পোস্ট পড়ার আগেই তেলের ডিব্বা আলগা কইরা দিসিল একবার দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

হয় সে কাষ্ঠুভুদাই, নয়তো খুবই অধ্যবসায়ী ছাগু। অ্যাকাউন্ট বাতিল করার পরও কিসুই হয় নাই এমন ভাব করে কমেন্ট-পোস্ট চালিয়ে যাচ্ছে।

সত্যপীর এর ছবি

আপনি ইসলাম নিয়ে লেখেন না ক্রিকেট নিয়ে লেখেন তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নাই। কথা হলো, যে ব্লগে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির শুয়ারদের খোঁয়াড় সেইখানে আপনার ব্যক্তিগত ভাবে লিখতে কেমন লাগে? ইসলাম নিয়ে আপনি আলাপ করছেন কিছু ব্যক্তির সাথে যারা খুন ধর্ষণ লুটপাটের প্রমানিত অপরাধী।

নাকি আপনিও তাদের একজন?

..................................................................
#Banshibir.

নূসরাত  এর ছবি

না, আমি তাদের একজন না। অনেক পোস্ট দেখলে মাথা গরম হয়ে যায়। কখনো যেচে পড়ে ঝগড়াও করেছি। কিন্তু ঐ যে, নিজে না থাকলে পুরোপুরি বোঝা যায়না - ব্লগে কিছু সত্যিকারের ভাল চিন্তাবিদ আছেন। তাঁরা রাজনীতি নিয়ে কথাও বলেন না। আমার পোস্ট বা কমেন্ট ফলো করার সময় আপনাদের হবে না জানি, হলে দেখতেন হাবিজাবি পোস্টে আমি প্রতিবাদ করে এসেছি, বিশেষ করে আগা মাথা ছাড়া ব্যক্তি আক্রমণমূলক পোস্টে।

যাই হোক। বাইনারি স্টাইলে অ্যাক্সেপ্ট অর রিজেক্ট নীতিতে চললে ঠিক আমার মনের মত মানুষ, প্ল্যাটফর্ম কোথাও পাব না। তাই ছেঁকে নেই। আর সাম্যকে অনুরোধ করছি 'প্লুরালিজম' নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখতে, উপকৃত হবেন আশা করি।

সত্যপীর এর ছবি

আমি আপনার পোস্ট কমেন্ট ফলো করেছি। ৮৩টি পোস্ট পড়িনি, ৫/৬টা পড়েছি। কমেন্ট সহ। আপনাকে প্রশ্ন করার আগেই এটা করেছি।

আমি কি দেখেছি জানেন? আমি দেখেছি আপনার পোস্টে নানান চিহ্নিত জামাতি শিবির অ্যাকটিভিস্ট/অ্যাপোলজিস্ট এসে আহা কি সুন্দর মরি মরি আরো লিখুন আপু ইত্যাদি করে গেছে, আর আপনি তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছেন। তাই বলেছিলাম "ইসলাম নিয়ে আপনি আলাপ করছেন কিছু ব্যক্তির সাথে যারা খুন ধর্ষণ লুটপাটের প্রমানিত অপরাধী।"

১ বছর ৮ মাস ২০ দিন ধরে আপনি জামাতিদের ব্লগে লিখছেন, ৮৩ পোস্ট প্রায় ১৩০০ মন্তব্য, আবার সেখানে কিছু "সত্যিকারের ভাল চিন্তাবিদ" পেয়ে গেছেন, আপনাকে আর কি বলব। আপনি তাদেরই একজন।

নূসরাত রহমান আপনি অবশ্যই তাদের একজন।

..................................................................
#Banshibir.

নূসরাত  এর ছবি

সত্যপীর, আপনি আপনার মত করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতেই পারেন। আমি আর কী বলব!

মানুষের কাজগুলির পেছনে তার নিজস্ব ফিলোসফি থাকে, তাই না? আপনি মনে করেন প্রমাণিত অপরাধির সাথে ইসলাম নিয়ে আলাপ করা উচিৎ না। বা হয়ত কোন আলাপই করা উচিৎ না। আমি মনে করি তার অপরাধের জন্য শাস্তি দাবি করা আর তার সাথে ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন করা - দু'টো একসাথে করা যায়। যে কারণে সচলে ইসলাম নিয়ে অফেন্সিভ পোস্ট থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র শেখার জন্য আমি এখানে লিখতে শুরু করেছি।

সোনার বাংলা ব্লগের একজন জানতে চেয়েছেন - "আমেরিকা ইরাক আফগানিস্তানে এত অত্যাচার করছে, ইজরায়েল কে সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে - তারপরেও আমি কীভাবে মুসলিম হয়ে আমেরিকায় থাকি।" আপনি কি আপনার কথার সাথে উনার কথায় কোন মিল পাচ্ছেন?

হিমু এর ছবি

আপনি কি আমেরিকায় বসে আমেরিকার শাস্তি দাবি করেন? নাকি খালি ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন করেন?

অবাঞ্ছিত এর ছবি

চলুক

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সত্যপীর এর ছবি

আমি মনে করি তার অপরাধের জন্য শাস্তি দাবি করা আর তার সাথে ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন করা - দু'টো একসাথে করা যায়।

হা হা হা হা। করেন ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন খুনী ধর্ষক লুটেরা জামাতিদের সাথে। আপনাদের ডিসকাশন দীর্ঘজীবি হৌক। অতীত ভুলে এগিয়ে যান সামনে। আমিন।

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

আমি সোনাব্লগে ওনার পোস্টগুলো দেখলাম। কোথাও কারো অপরাধের শাস্তি দাবি করে তো কিছু বলতে দেখলাম না। ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশনও দেখি নাই। মিষ্টি মিষ্টি গোলগোল কথা আছে প্রচুর।

খালি "বিবাহেচ্ছুক ভাই ও বোনেরা" পোস্টটা রিসোর্সফুল।

সত্যপীর এর ছবি

হ্যাঁ দাম্পত্য নিয়ে উনি অনেক জানেন।

ওনার ব্লগে ৮৩ পোস্ট, ৬ পাতা। প্রতি পাতা থেকে র‍্যান্ডমলি একটাদুটা পোস্ট পড়সিলাম কালকে রাতে। শিবিরের চিহ্নিত ুতিয়াদের কমেন্ট ভরা। আর নূসরাত ম্যাডাম তাদের ধন্যবাদ দিয়েই চলেছেন, বিরাম নাই। ১ বছর ৮ মাস সোনাব্লগে থেকেও উনি মন্তব্যদাতা শিবির তা না জেনে ধন্যবাদ দিয়ে থাকলে ভুদাই, আর জেনে ধন্যবাদ দিলে জ্ঞানপাপী। এখানেও খেয়াল করেন হিম্ভাই উনি কৌশলে সোনাব্লগ জাস্টিফাই করতে চাচ্ছেন একাধিক প্রতিমন্তব্যে। এইটা জামাতিই।

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

সাত বছর আগে জামাতের সিডনি শাখার নেতার মেয়ে এবং গাজীপুরের কুখ্যাত এক রাজাকারের ভাতিজি সামুব্লগে নূসরাত আপার রোল পালন করতেন। উনিও গোলগোল ইসলামী কথা বলতেন অনেক। ক্রমশ ওনার আলখাল্লা ফুঁড়ে প্রকাণ্ড এক লেজ বেরিয়ে এলো। তাগুতি পোলাপান খোঁজখবর করে জানলো উনি খান্দানী ছাগু।

আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, ছাগুদের ব্লগ চালাতে নূসরাত আপুর মতো দুই চারজন "আপু" দরকার হয়, যারা কচি ছাগুদের সাথে টুকিটাকি খুনসুটি করে, দাম্পত্য নিয়ে কথাবার্তা বলে, আর আল্লাহকে নিজেদের গান্ধা যাত্রায় সিট খালি পেলে বসিয়ে পোস্ট দেয়। উনি সচলায়তনে শুরুতেই যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, যে সোনাব্লগে ইসলাম নিয়ে লিখে তিনি স্বস্তি পান, ঐটা ইন ফ্যাক্ট খুব সূক্ষ্ম কিন্তু সবল একটা ছাগু প্রচারণা, যে সোনাব্লগ মূলত ইসলামের কথা বলে, জামাতে ইসলামের নয়।

এনিওয়ে, লেজস্বিনী নূসরাত আপাকে এখানেই আলবিদা জানাই আমরা। ওনার ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশনগুলির অভাবে আমরা চিরকাল ভুদাই থেকে যাবো।

নূসরাত  এর ছবি

কস্কি মমিন!

আলতাইর এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

হিমু এর ছবি

সোনাব্লগে প্লুরালিজমের হাতেকলমে প্রয়োগ করে দেখবেন নাকি নূসরাত? আজই জামাতশিবিরের খুনী-আলবদরদের ধুয়ে ফেলে একটা পোস্ট দিয়ে সোনাব্লগে প্লুরালিজম কায়েম শুরু করে দিন না।

আপনার হিসাব একদিক দিয়ে ঠিকাছে। লোকে রান্নাঘরে রাঁধে, শোবারঘরে শোয়, স্নানঘরে গোসল করে, টয়লেটে হাগে। কিন্তু টয়লেট থেকে হেগে বেরোনোর সময় পাকসাফ হয়ে বেরোয়। পেছনে গু নিয়ে খাবার টেবিলে বসে পড়লে প্লুরালিজম হয় না, প্লুরালিজমের দোহাই কপচানোও তখন হাস্যকর লাগে।

ধুয়ে ফেলুন। ওপরের দুটি প্যারাগ্রাফের আলোকেই।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হিমু এর ছবি

আপনার শুভাকাঙ্খীরা আপনাকে ঠিকই বলেছেন।

নূসরাত  এর ছবি

বেশ! যাব বের হয়ে! বললাম না.. আফসোস থাকবে না। কেবল সোনার বাংলা আর সচলায়তন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ - এটা মনে করে খুব মজা লাগবে।

হিমু এর ছবি

আপনাকে সেই নিরাফসোস "খুব মজা" দিতে পেরে আমাদেরও ভালো লাগবে।

সত্যপীর এর ছবি

দ্রোহীদাই ঠিক। পতি পাঁচজনে সাড়ে চাইরটা ছাগু এহন।

..................................................................
#Banshibir.

নূসরাত  এর ছবি

হাসি you are welcome!

নীল মৃন্ময়ী এর ছবি

চলুক

হিমু এর ছবি

আপনার ইন্টেলিজেন্ট ডিসকাশন খুব ভালো লেগেছে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এরকম খোলামেলা মন্তব‌্য ভালো লাগে।

নূসরাত  এর ছবি

আমার কথা কইলেন? নজ্জা পাইলাম!

অরফিয়াস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ফাহিম হাসান এর ছবি

নূসরাত আপনি সোনাব্লগে লেখেন কেন?

প্রশ্নটার উত্তর আমারও জানা দরকার

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গুড ক্যাচ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রু এর ছবি

আপনার ভাগ্য আসলেই ভালো। রিসার্চ প্রফেসররা সাধারনত এত উদার হয়না, কারণ তাদেরকেও ফান্ডের হিসাব রাখতে হয়।

আরো লিখুন।

সত্যপীর এর ছবি

আপনি কি সোনাব্লগের রু? শিবির ইছাস ভালোবাসায় সপসপে এই পোস্টটা কি আপনার?

..................................................................
#Banshibir.

রু এর ছবি

ভাগ্যিস আপনার মন্তব্যটা চোখে পড়লো। নাহলে তো আমার আমার নাম কলঙ্কিত হয়ে যেত। না, আমি এই 'রু' না, আমি সচলের রু। সোনাব্লগের সাথে কোনরকমের সম্পর্ক নাই।

সত্যপীর এর ছবি

আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আপনি আমাদের সচলের রু, ঠিক আছে চলুক

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

দু:ক্ষিত হওয়ার কিছু নাই। সোনা ব্লগে আরেকটা রু আছে জানলে আমি নিজে থেকেই বলে রাখতাম কেউ যেন আমাকে আর তেনাতে গুলিয়ে না ফেলে। -রু

নীল মৃন্ময়ী এর ছবি

প্রিয় নুসরাত আপু, আমি আপ্নার লেখার একজন ভক্ত। ফেইসবুক বা ব্লগ সবখানেই আপনার লেখা পড়া হয়েছে এবং বেশ ভালো লেগেছে। আপনাকে সচলায়তনে দেখে বেশ খুশি হয়েছিলাম আমি কারণ আমারো আপনার লেখা সোনার বাংলা ব্লগ এ পড়তে অস্বস্তি হত। মনে হত আপনি এত ভালো লেখেন, তাহলে ওখানে কেন? আপনার কাছে একটা অনুরোধ, যদি সচল আপনাকে লেখতে না দেয় তবে নিজের ফেইসবুক নোটেই নাহয় লিখুন। আর সরব তো আছেই। কিন্তু দয়া করে সোনার বাংলা ব্লগ ছেড়ে দিন। আপনার লেখা পড়ে তরুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। ইসলাম পালন মানেই যে জামাতকে সমর্থন না এটা এখনকার জেনারেশন কে বোঝানোর জন্য আপনার মত মানুষের দরকার। তাই আমার কথাটা একটু বিবেচনা করে দেখবেন প্লীজ

নূসরাত  এর ছবি

নীল মৃন্ময়ী, ধন্যবাদ! সরবের সাথে আমার চুক্তি হচ্ছে আমার তিন রকম লেখার মধ্যে দুই রকম ওখানে দেয়া যাবে। হালকা পাতলা ইসলামের ছোঁয়া আছে (প্রকৃতি থেকে শেখা, রিলে রেস) ওগুলো, বা একেবারেই নেই (সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট সিরিজ, আর্ট অব এপ্রিসিয়েশন, দাম্পত্য) ওগুলো। তাফসির টাইপ কিছু দেয়া যাবে না। আমি মেনে চলার চেষ্টা করছি।

সচলে লিখতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে আমার বর। ও বলেছে "যুক্তি দিয়ে লিখলে অবশ্যই ওরা খোলা মনে গ্রহণ করবে" - সেই আশায় আছি। কিন্তু যুক্তি দিয়ে যদি আমাকে প্রমাণ করতে বলা হয় কেন আমি ইসলামকে মনে প্রাণে ভালবাসি - সেটা কীভাবে করব? ওটা ত একটা বোধের ব্যাপার। সোনার বাংলায় জামাতিরা লেখে, সচলেও ত মুখফোঁড় লেখে। তাহলে??

"একটা প্ল্যাটফর্মে লিখলেই তাদের সব লেখার সাথে একাত্মতা প্রমাণিত হয়" - এই চিন্তাটাতেই ত আমার আপত্তি। আমার যে গ্রুপের কথা বললাম, সেখানে এক ভদ্রলোক কিছু বলার আগেই কুফরি ট্যাগ লাগানো শুরু করেন। কিচ্ছু বলা যায় না, কাফির! তো কী হয়েছে? আমাদের চিন্তা করা বন্ধ হয়ে গেছে? থাকুক উনি উনার বিশ্বাস নিয়ে, আর কিছু না হোক, কেন উনার কথা মানতে পারছি না, সেটার ঝালাই ত হবে প্রত্যেকবার!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সোনার বাংলায় জামাতিরা লেখে, সচলেও ত মুখফোঁড় লেখে। তাহলে??

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সোনার বাংলায় জামাতিরা লেখে, সচলেও ত মুখফোঁড় লেখে। তাহলে??

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুজন চৌধুরী এর ছবি

নুস্রাতাপা আপনার মুখফোড়ের লেখা কেমুন লাগে?

নীল মৃন্ময়ী এর ছবি

আপু আমি ফেইসবুকেও আপনার একজন সাবস্ক্রাইবার। এই মুহুর্তে যখন ইসলামিক মনোভাবের অনেকের মধ্যে জামাত প্রীতি খুঁজে পাচ্ছি তখন আমি আপনার পোস্ট, স্ট্যাটাস এগুলো খুব মন দিয়ে ফলো করেছিলাম যে আপনি ওই গ্রুপের কিনা। কিন্তু খুব ভালো লেগেছে আপনার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, স্বাধীনতা নিয়ে সচেতনতা দেখে। নিচে আপনাকে নিয়ে যেভাবে আলোচনা চলছে আমার খুব খারাপ লাগছে। সচলে অনেক ভালো ভালো লেখা প্রকাশ হয় বলে সচল পড়ি কিন্তু এটা মুখফোঁড় দের মত লেখকদের ই জায়গা। আপনার নয়। ভালো থাকবেন

সত্যপীর এর ছবি

মুখফোঁড়ের সমস্যা কি? খুইলা কন।

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ছি ছি কী বলছেন এসব! মুখফোঁড় খুব খারাপ খুব খারাপ, খালি ব্যাথা দেয়।

যেই মানুষের টলারেন্স লেভেল এত লো সে সচলে কী ইন্টেলেকচুয়াল লেখা দিতে চাইছিল আমার বড় জানতে ইচ্ছা করে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

মাঝে মাঝে মজার দরকার আছে, এইটা হইল উত্তম জাঝা লেভেল মঝা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হালকা পাতলা ইসলামের ছোঁয়া

কী? চিন্তিত

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

একটা অ্যাড এর কথা মনে পইড়া গেল, খাইছে

যেন কাশফুলের নরম ছোঁয়া

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা খুব ভালো লাগলো কিন্ত কমেন্ট পড়েতো পুরাই টাস্কিত। ইসলাম এবং জামাতে ইসলাম দুইটাই যে এক জিনিষ মনে করে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে তো সন্দেহ জাগে। সচলে নাস্তিক যেমন আছে ধর্মানুসারীও তেমনি আছে; কিন্তু জামাত শিবিরের বেলায় সবার অবস্থান পরিষ্কার। আশা করবো আপনার বিচারবুদ্ধির উদয় হবে (যদিও জানি সম্ভাবনা একেবারেই শূন্য)।

ফারাসাত

নীল মৃন্ময়ী এর ছবি

চলুক

নূসরাত  এর ছবি

জামায়াত ইসলামির সাথে ইসলামকে আমি মেলালাম কখন? জামায়াত ইসলামি কে সাপোর্ট করে সেটা তার নিজের ব্যাপার। আমি সাপোর্ট করিনা। যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমার সাথে ইসলাম নিয়ে কথা বলবে ততক্ষণ আমিও কথা বলব। এইটাই ছিল আমার যুক্তি।

যাই হোক। আর মনে হয় কথা বলে লাভ নাই। লেখায় কমেন্ট করলে থ্যাংক ইউ দিলে ছাগু হয়ে যেতে হয় - এত চমৎকার লেবেল আমার জানা ছিল না রে ভাই! ইপ্সিত চম্পাকলি কে সাবধান করে দিয়েন, উনাদের লেখায় কয়েকবার আমার মন্তব্যে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন উনারা।

হিমু এর ছবি

ওনারা পরের পোস্ট করামাত্রই আপনার এই লেখার লিঙ্ক দিয়ে সাবধান করে দিয়ে আসব নাহয়। টেনশন নেবেন না একদম।

সত্যপীর এর ছবি

ঈপ্সিত চম্পাকলি শিবির করেন না। উনাদের থ্যাঙ্কিউ আর দ্য স্লেভের থ্যাঙ্কিউ এক জিনিস না।

..................................................................
#Banshibir.

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

উপরে নানাবিধ আলোচনা দেখলাম। আপনার নানাবিধ যুক্তিও দেখলাম। আমি সচল হিসেবে আপনাকে সহজে বলি,

কোন যুক্তিতেই জামায়াতের সঙ্গ গ্রহনযোগ্য না। ত্যানা প্যাঁচায়ে লাভ নাই। কেবল জামায়াতের সঙ্গ নয়, জামায়াত সহনশীলতাও গ্রহনযোগ্য না। এই সহজ কথাটা বুঝতে পারেন, যদি আপনার মনে হয় যে জামায়াত সহনশীলতা একটা অপরাধ, তাহলে সচলে লিখতে থাকুন। এইটা না বুঝতে পারলে সচলে আপনাকে দেখতে চাইনা। সচলে জামায়াত সহনশীল একটা মাছিও দেখতে চাইনা।

বাংলায় সহজে বলেছি। ত্যানা প্যাঁচানোর চেষ্টাও করেন না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নূসরাত  এর ছবি

জামায়াত সহনশীলতা একটা অপরাধ - এত স্পষ্ট করে বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!

আমি যদি এর পরে আবার এখানে লিখি - এক্সাক্টলি কী করা হবে? (ত্যানা প্যাচাচ্ছি না কিন্তু, জানতে চাচ্ছি)

হিমু এর ছবি

অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যাতে আপনার আর আমাদের সময় বাঁচে। সম্ভবত আপনার আর কোনো লেখা বা মন্তব্য প্রকাশিত হবে না।

নূসরাত  এর ছবি

আসলেই সময় বাঁচল। ধন্যবাদ হাসি

কালো কাক এর ছবি

আপনার সোনারব্লগের লেখাগুলোয় চোখ বুলালাম। আপনি জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছেন, আর বাকিরা এসে হাওয়া দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন তো কোথাও দেখলাম না। একজন বকে যাওয়ার আর বাকিরা তাল দেয়াকে ডিসকাশন বলে নাকি ঐ ব্লগে ?

তারেক অণু এর ছবি

গত পাঁচ মাস ধরে একটা গ্রুপ খুলেছি ফেসবুকে, ভাল মনের মানুষগুলো যেন আত্মউন্নয়ন আর মোরাল সাপোর্ট পায় - প্রফেসর সাহেবের নিরহংকারের এত প্রশংসা করলেন আর এইটা কি বললেন! অ্যাঁ

ভাল মনের মানুষ কি আপনি জাজ করেন নাকি? নাকি আপনার গ্রুপে আসলেই ভাল মনের মানুষ হওয়া যায়- এত ফালতু একটা লাইনের পর আপনার লেখা কী করে প্রকাশিত হল তাই নিয়ে অবাক হচ্ছি।

বাংলায় ইসলাম নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা শেয়ার করার অন্য কোন জায়গা নেই-- মস্করা করছেন নাকি! ইসলাম কি আধুনিক যে সেটা নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা করবেন?? কোন যুগে থাকেন আপনি, ২০১২ তে এসে ধর্মকে আধুনিক বানাচ্ছেন? আপনার মতো চিন্তা ধারার মানুষদের জন্য একটা কথাই যথেষ্ট- It is not knowledge, thatswhy it is called faith.

চরম উদাস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
এক হপ্তা আগে গড়াগড়ি দিয়া হেসে নেই, তারপর ফিরে এসে কারণ বলবো নে।

নাফিসা এর ছবি

এক হপ্তা? চিন্তিত পিল্লিজ লাগে, এখুনি বলেন!

কল্যাণ এর ছবি

কি মিয়া, কারণতো এহনতরি কন্নাই!!

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

এইজন্যে কবি বলিয়াছেন পুন্দাও দেঁতো হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

অবনীল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি =))

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

পুন্দাও শুনিয়া হাসতে হাসতে মইরা গেলাম। গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তারানা_শব্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
হাসতে হাসতে অজ্ঞান হয়ে গেলাম!!! এতো সুন্দর গলা আর গান বহুদিন শুনি না গড়াগড়ি দিয়া হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

আনু-আল হক এর ছবি

আরে এই মহিলা (বা মহিলারূপী ছাগু তথা ছাগী) তো ভয়ানক! সোনারবাংলা ব্লগের নাম আগেই শুনছি; এমনই বিশ্বস্ত মানুষের মুখে শুনছি যে কখনোই ওই পাড়ায় যাতায়াতের প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করি নাই। এ-পোস্টের উছিলায় গিয়া “নূসরাত রহমান”-নামধারী ব্লগারের পোস্টগুলাতে একবার চোখ বুলায়ে আসলাম। ইনি যে দাবী করলেন, ইসলাম নিয়া নাকি উনারা ”ইন্টালেকচুয়াল ডিসকাশন” করেন (খুবই ইন্টরেস্টিং; ছাগুদের সঙ্গে ইন্টলেকচ্যুয়াল ডিসকাশন গড়াগড়ি দিয়া হাসি !!!)। তো আমি কয়েকটা পোস্ট পইড়া কোনোটার মধ্যেই ইন্টলেকচ্যুয়াল কিছুর আলামত পাই নাই। এমনকি এই মহিলা, অসাম্প্রদায়িকও না (একটা কোনো লেখা পাই নাই যেখানে অসাম্প্রদায়িকতার কোনো আভাস আছে; বা রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়াও কোনো একটা রচনা নাই এই অসামান্য “ইন্টলেক্ট”-এর)। বরং নিষ্ঠাবান সাম্প্রদায়িক। তার লেখার পরতে পরতে ইসলামের সুপিরিয়রিটির কথা আছে। ইসলাম নিয়ে কথা বলা এক কথা, কিন্তু ইসলামকে (বা অন্য কোনো ধর্মকে) শ্রেষ্ঠতম জাহির করার মধ্য দিয়ে অন্য ধর্মগুলোকে প্রকারান্তরে নিচুমানের প্রমাণ করার একটা প্রয়াস থাকে; আর এটাই উগ্রপন্থার প্রথম পাঠ। জাকির নায়েক যে-কাজে হাত দিয়েছেন, ইনি সে-কাজের একজন একনিষ্ঠ কর্মী; ড. জাকির নায়িকা হওয়ার বাসনা ইনার। আমি নিশ্চিত এই মহিলা বিশ্বজুড়ে উগ্রপন্থীদের একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ করতেসেন। "ফিলিস্তিনের ঘটনায় হতবিহ্বল কতিপয় মুসলিম" শিরোনামের লেখাটার মন্তব্যের এক জায়গায় ইনি নিজে কমেন্ট করেছেন: “ইসলামের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার উৎসাহটা ছড়িয়ে দিন আশপাশে! " বুঝসেন তো কাহিনী???

এদের প্রাথমিক টার্গেট হয় ধর্মের কথা শুনাইয়া মানুষের সমর্থন আদায়, এরপর মোক্ষম জায়গায় আঘাত। ইহাই ছিলো সাইদীর কৌশল। সাইদী কিন্তু শুরুর দিকে জামাতের লোক হিসেবে বক্তিমা করতো না; পরে হঠাৎ করেই একেবারে জামাতের তরফে এমপি ইলেকশন!!!

এতো এতো সুরা নিয়ে কথা কইলেন, কই একবারও দেখলাম না কুরআনের ‘বিতর্কিত’ বিষয়াশয় নিয়ে আলোচনা করতে! কুরআনে যে সাধারণ গণিতের নিয়েমেই অসার, সম্পত্তির ভগ্নাংশের যোগফল ১ হয় না (নিচের বিতর্ক, দেখুন) এ-সরল বিতর্কের কোনো আলামত নাই কেন?

Sura 4:11-12 and 4:176 state the Qur'anic inheritance law. When a man dies, and is leaving behind three daughters, his two parents and his wife, they will receive the respective shares of 2/3 for the 3 daughters together, 1/3 for the parents together [both according to verse 4:11] and 1/8 for the wife [4:12] which adds up to more than the available estate. A second example: A man leaves only his mother, his wife and two sisters, then they receive 1/3 [mother, 4:11], 1/4 [wife, 4:12] and 2/3 [the two sisters, 4:176], which again adds up to 15/12 of the available property.

সূত্র: http://answering-islam.org/Quran/Contra/

এবং এই পোস্টেই ইনার কমেন্ট দেখেন: “সরবের সাথে আমার চুক্তি হচ্ছে আমার তিন রকম লেখার মধ্যে দুই রকম ওখানে দেয়া যাবে। হালকা পাতলা ইসলামের ছোঁয়া আছে (প্রকৃতি থেকে শেখা, রিলে রেস) ওগুলো, বা একেবারেই নেই (সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট সিরিজ, আর্ট অব এপ্রিসিয়েশন, দাম্পত্য) ওগুলো। তাফসির টাইপ কিছু দেয়া যাবে না। আমি মেনে চলার চেষ্টা করছি।”

ইনি “তিন রকম” লেখা লেখেন এটা বড় কথা না, ইনি নিজে সেটা জানেন। সচেতনভাবেই ইনি যেখানে যে-মাল ঢালা যায় সেরকমভাবে ঢালেন। এবং এ-বিষয়ে সরবের সঙ্গে ইনার নাকি চুক্তিও হয়েছে!!! (সরব সম্পর্কে তেমন জানি না; কেউ জানাইলে বাধিত হইতাম) এবং ইনি নিজেই বলতেসেন, ইনি তাফসীরও করেন। পুরাই সুশীল ছাগী!!!!

রায়হান আবীর এর ছবি

♪ অংক না মিলে যদি ক্যালকুলেটর নিয়ে গুন বিয়োগ যোগ ভাগ গুন দাও... ♪

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

পুন্দাও এর ইমোটিকন এখন সুমায়ের দাবী শয়তানী হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

স্যাম এর ছবি

চলুক দেঁতো হাসি

কুমার এর ছবি

ছাগুকটের জন্য ক্রেডিট পদ্ধতির দাবীও জানায়া গেলাম।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আগে কিছুক্ষণ হাইসা নেই গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো হো হো হো

আপনে তো ছাগুদের থেকেও খারাপ। ছাগুদের তো একটা রঙ থাকে। আপনে তো এক এক প্লাটফর্মে এক এক রঙ নিয়ে লিখতে চান। আপনে যেখানে সোনাব্লগে ইসলাম নিয়ে ইন্টেলেকচুয়াল আলাপ-আলুচনা করতে পারেন, সচলে আপনার আসার দরকার পড়ল কেন বুঝলাম না! যারা ইসলাম নিয়ে ইন্টেলেকচুয়াল আলাপ-আলুচনা বুঝতে পারে তারা অন্যান্যু বিষয় বুঝবে না, এইটা ঠিক মাথায় ঢুকল না।

সচলে কিছুদিন ঢুকলেই তো বুঝতেন এখানে কোন ইন্টেলেকচুয়াল আলাপ-আলুচনা হয় না। এখানে যেটা শিওরলি হয় সেইটা হইল ছাগু পোন্দানি। আর সবাই এখানে মুখফোঁড়ের মত বড্ড দুষ্ট, ভালু ভালু ইন্টেলেকচুয়াল আলুচনা কেউ করতেই চায়না। কলিকাল ঘোর কলিকাল।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুমন চৌধুরী এর ছবি
হাসিব এর ছবি

আমার হেবোর কথা মনে পড়ে গেছে। হেবো তুই ফিরা আয়। আর চ্যাতামুনা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আরে-এ-এ-এ এই বস্তু কোথায় নুকায়া ছেলো! নোসরাত বাচ্চুর কোবতে না পড়তে পাইলে তো জেবনই ব্রেথা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্যাম এর ছবি

সত্যপীর কে অনেক ধন্যবাদ।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক আসলেই।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সৌরভ কবীর

অরফিয়াস এর ছবি

আমার মেজাজ পুরাই খারাপ এখন !! এই মজা আমি মিস করলাম কেমনে ???? ইসসস, ধুর !!! এমন বিনুদন কতদিন পাই না !! এই পোস্ট সংরক্ষণ করতে মন চায় আর পোস্ট লেখিকার (লেখিকা কিনা সন্দেহ আছে) সাথে "ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন" করতে মন চায় !! ম্যাঁও

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সত্যপীর এর ছবি

..................................................................
#Banshibir.

অরফিয়াস এর ছবি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অরফিয়াস এর ছবি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

স্বপ্নহারা এর ছবি

চিইন্যা ফেলসি ছাগুরাম সুলভ দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

দ্রোহী এর ছবি

ইশশ! আসল মজা শেষ হওয়ার পর পোস্টে আসছি। মন খারাপ

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

ব্যাপারনা বস, কাচ্চির আসল মজা নাকি শেষের দিকে। আপ্নে এখন হাড্ডি চুইষা খাওয়া শুরু করেন। এ জিনিশ অবিনাশী। আপ্নে শুরু করলেও মজা শেষ হইব না।

কীর্তিনাশা এর ছবি

দেরিতে হ্ইলেও ব্যাপক বিনুদিত হইলাম !!

সোনার বাংলায় জামাতিরা লেখে, সচলেও ত মুখফোঁড় লেখে। তাহলে??

এই লাইনটা পইড়া খালি গড়াগড়িই খাইতাছি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

খেকশিয়াল এর ছবি

আমি বিনুদনে অংশ নিতে পারলাম নাআআআআ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ ওঁয়া ওঁয়া

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কল্যাণ এর ছবি

ছাগল্গুলার লেখা আর ছাপায় না। সচলায়তন তুমি এতু খারাপ।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সত্যপীর এর ছবি

♪ ♫ কি জানি কি এক দিন ছিল... ঘাসেরও দোলায় দুলছিল... এলিয়ে চুল, তুমি ছিলে...কি জানি কি এক দিন ছিল ♩ ♬

মনের মুকুরে একটি অভিশাপ।

..................................................................
#Banshibir.

অবনীল এর ছবি

স্বাধীন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন স্বত্ত্বা গড়তে হলে নিজের মধ্যে কোন অহংবোধ রাখা যায়না।

উত্তম জাঝা!

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

কল্যাণ এর ছবি

উফফ সোনার খনি, সোনাব্লগে ইন্টেলেকচুয়ায়ল ডিসকাশন আর ফেসবুকে ভালো মনের মানুষদের আত্মউন্নয়ন আর মোরাল সাপোর্টের গ্রুপ, কী নিদারুণ কম্বিনেশন! যেন কালাই রুটির সাথে বেগুন ভর্তা আর ধনে পাতার চাটনি! আহা আহাহা।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।