জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু : বিতর্ক ও প্রসঙ্গ কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৫/০৯/২০১৩ - ৯:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৫ তারিখের রায় ঘোষণার পর কথা বলতে গিয়ে যে মানুষটির আবেগ আমাকে সবচেয়ে বেশি ছুঁয়ে গিয়েছিল, যে মানুষটির কান্নাজড়িত কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজে, যে মানুষটির সাথে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়ার পর স্ট্রীট পেইন্টিং করবো বলে মঙ্গলবার বন্ধের দিন হওয়া সত্ত্বেও চারপাশে চষে বেরিয়েছিলাম প্লাস্টিক পেইন্টের খোঁজে, যে মানুষটির নিপুণ হাতে রাজাকারের ফাঁসির দাবি সম্বলিত অসংখ্য অসাধারণ পোস্টারের জন্ম হয়েছে এবং যে মানুষটি আজ গণজাগরণ মঞ্চের অব্যাহত সমালোচনা করে চলেছেন জয় বাংলার পর কেন জয় বঙ্গবন্ধু বলে না এই অজুহাতে- সেই মানুষটির একটি কথার সূত্র ধরেই এই লেখা শুরু করছি।

তাপস সরকার, একজন ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট এবং ৫ তারিখে ব্লগার এণ্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক আহুত ইভেন্ট ‘বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ’ এর শুরুর দিককার সহযোদ্ধাদের একজন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গণজাগরণ মঞ্চ জয় বাংলার পর জয় বঙ্গবন্ধু না বলে যাদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে চাচ্ছে, তারা তো প্রথম পরীক্ষাতেই ফেল। যাদের জয় বাংলার পর জয় বঙ্গবন্ধু বলতে আপত্তি তারা তো ২০০৮ এ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় নি, রাজাকারের বিচার করার ম্যান্ডেটেই সমর্থন দেয় নি। তাহলে আজ তাদের জন্য কেন গণজাগরণ মঞ্চ জয় বাংলার পর জয় বঙ্গবন্ধু বলা থেকে বিরত থাকবে?

হ্যাঁ, আমি একমত, তারা প্রথম পরীক্ষাতে ফেল করেছে; তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ম্যাণ্ডেটে সমর্থন দেয় নি। কিন্তু আমরা তাদেরকে সেজন্য স্কুল থেকে ছাড়িয়ে দিতে পারি না; তাদেরকে পরবর্তী পরীক্ষায় পাশের জন্য প্রস্তুত করতে পারি। যাতে তারা আর কখনো কোন স্বাধীনতাবিরোধী বা তাদের দোসরকে ভোট না দেয়। তাই বলে কোনো দলের ভোট ক্যাম্পেইন করতে গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হয় নি। গণজাগরণ মঞ্চ দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধ চেতনার সকল মানুষের এক অভিন্ন দাবির অভিন্ন মঞ্চ। তাছাড়া, আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ হিসাব করে বললে এই ফেল করা মানুষেরাই এখনো এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট। আপনি সেই সংখ্যাগরিষ্ট মানুষকে ছুঁড়ে ফেলে বা অস্বীকার করে একটি দাবিকে গণদাবিতে রূপ দেবার, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গণআন্দোলন গড়ে তোলার কথা চিন্তা করতে পারেন না।

বস্তুত জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধু দুটোর কোনোটিই কোনো দলের একক সম্পত্তি নয়। জয় বাংলা যেমন সকল বাংলাদেশীর স্লোগান, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও সবার। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র কয়েকবছরের মাথায় বাংলাদেশের ইতিহাসে যে নির্মম হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে এবং যার ফলশ্রুতিতে একটি দীর্ঘসময় ধরে চলেছে ইতিহাস বিকৃতি এবং অতীত ভুলানোর চেষ্টা, তাতে জয় বাংলা - জয় বঙ্গবন্ধু পরিণত হয়েছে একটি দলের স্লোগানে। এই বিকৃতির দায় যার ঘাড়েই বর্তাক, স্বাধীনতার বিয়াল্লিশ বছর পরে এমন একটি আন্দোলনে কোনো দলীয় সংশ্লেষ এড়াতে আমাদেরকেই তাই অপরিহার্যভাবেই দ্বারস্থ হতে হয় একাত্তরের। সময়ের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে জয় বাংলাই পরিণত হয় গণজাগরণের অভিন্ন স্লোগানে।

এরপরেও অনেকে প্রশ্ন করেন, তাহলে বঙ্গবন্ধু প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান কি? অপূর্বের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭ই মার্চের সমাবেশ, ১৫ আগস্টের শোক দিবস উপলক্ষ্যে প্রদর্শনীর মত অনুষ্ঠানগুলোর পরও কি সেটা এতটুকু স্পষ্ট হয় নি। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। এছাড়াও উল্লেখ্য, আমাদের সংগঠন ব্লগার এণ্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের যে পূর্ণাঙ্গ ঘোষণাপত্র অচিরেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, তাতেও বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্মারক হিসাবে বাহাত্তরের সংবিধানের উল্লেখ রাখা হয়েছে।

এবার আসা যাক, যে জন্য শুধু জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হলো শাহবাগ, তার কার্যকারিতা সে প্রসঙ্গে। সারাদেশে ৪৭১ টি ও প্রবাসে ২৬টি গণজাগরণ মঞ্চ গঠিত হয়েছে এই আন্দোলনের সমর্থনে। এদের সবাই ২০০৮ এর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোটদানকারী লোক ছিল না; ছিল সর্বস্তরের জনগণ।

আন্দোলনের শুরুর দিককার কথা। তখনও খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেন নি; নষ্ট-নাস্তিক উপাধি দেন নি। তখন কি একটা কাজে দু-তিনজন আজিজে যাচ্ছি। তো, পথে একজনের ব্যক্তিগত পরিচিত এক ছাত্রদলনেতার সাথে দেখা হলো। হ্যাঁ, ছাত্রদলনেতা, বর্তমান ছাত্রদলেরই উচ্চপর্যায়ের নেতা। ব্যারিকেডের ওপাশে কয়েকটা বাইকে আরো বেশকয়েকজনকে নিয়ে বসে আছেন। তো, টুকটাক কথা হলো। শুরুতে শুধু দেখতে এসেছে ধারণা করেছিলাম। কিন্তু পরে তার কথাতে পরিষ্কার হলো। আক্ষেপ করেছেন, এমন একটি গণআন্দোলনের অংশ হতে না পেরে।

দ্বিতীয় মহাসমাবেশের দিন মঞ্চে ওঠার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। অনেকেই মঞ্চে উঠতে চাচ্ছেন; সেই ভীড় সামলাতে হচ্ছে। এমন সময় একজন এসে একটা কার্ড ধরিয়ে দিলেন, মঞ্চে উঠতে চান। কার্ডে দেখলাম, কাদের সিদ্দিকীর ছবি। আর তার পরিচয় পেলাম, তিনি কৃশ্রজলীর ছাত্রসংগঠন ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি। তো, আমি তাকে বেশ বুঝিয়েই বললাম, দেখুন, আপনার নেতা তো আমাদের আন্দোলনে সংহতি জানান নি। বরং বিরোধিতাই করছেন। তিনি বললেন, এখানে সব ছাত্রনেতারা আছেন, আমিও ছাত্রনেতা হিসাবেই অংশ নিব। তো, সেদিন সম্ভব ছিল না। বক্তৃতার তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। আমি তার কার্ডটা রেখে দিলাম এবং পরে যোগাযোগ করতে বললাম। কিন্তু পরবর্তীতে সেই কার্ড হাত ঘুরে অন্য ছাত্রনেতাদের হাতে পড়ার পর যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি, তাতে আমি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি তাকে যেতে দিয়েছিলাম বলে। নয়তো এখানে কি বিতিকিচ্ছিরিই না ঘটতো! এখন একবার ভাবুন সেই ছাত্রনেতার কথা। আমি আশা করি, তার থেকে কাদের সিদ্দিকী পরোক্ষভাবে হলেও আরো একবার টের পেয়েছেন তার প্রতি প্রজন্মের এই ঘৃণার কথা, ক্ষোভের কথা।

আমার উপজেলায় গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে উঠেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি যৌথ উদ্যোগে। সেখানে এক সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ছিলেন উদ্যোক্তা পর্যায়ে। তো, তাঁকে যখন উপরমহল থেকে নিষেধ করা হলো; তিনি শুনলেন না। উল্টো, বিএনপি থেকেই পদত্যাগ করলেন! একটি বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তটা নিশ্চিতভাবেই তার জন্য অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু, তিনি নিয়েছিলেন; কারণ তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তিনি এটিকে প্রাণের আন্দোলন হিসাবে নিয়েছিলেন।

এরকম আরো অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে; অনেক উদাহরণ তৈরি হওয়ার সুযোগ ছিল, যা নষ্ট হয়েছে। আজকে দলে প্রভাব বজায় রাখতে একে তাকে নাস্তিক উপাধি দিয়ে বেড়াচ্ছেন, এমন এক নেতারও সেসময় আসার কথা শুনা যাচ্ছিল তার ভুলে যাওয়া পরিচয় ‘একাত্তরের ক্র্যাকপ্লাটুন যোদ্ধা’ হিসাবে, কারো বা ‘নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা’ পরিচয় নিয়ে। কিন্তু হয়ে উঠে নি। যদি হতো, তবে হয়তো ইতিহাস আরেকটু অন্যরকম হতো।

এবার আসা যাক, জয় বাংলার পর কেন জয় জনতা বা জয় সর্বহারা শোনা গেছে সে প্রসঙ্গে। মূলত ৫ তারিখেই আন্দোলনের অভিন্ন স্লোগান হিসাবে জয় বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। এমনকি ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকও মিছিল নিয়ে এসে জয় বাংলা স্লোগানে ফাঁসির দাবির প্রতি সোচ্চার হন। পরবর্তীতে শাহবাগের কেন্দ্রে অবস্থিত মাইকে অবিরত স্লোগানে কেউ কেউ জয় বাংলার পর জয় জনতা ও তাদের দলীয় স্লোগান দেয়। এখানে উল্লেখ্য, স্লোগানদাতাদের প্রায় সকলেই ছিল বিভিন্ন বামসংগঠনের। এই স্লোগানদাতারা যে জীবনভর জয় জনতা, জয় সর্বহারা স্লোগান দিয়ে আসার পরেও এখানে হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ঢেলে দিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে যাচ্ছে; সেটাকে ইতিবাচকভাবে না দেখে, সে কেন জয় বঙ্গবন্ধু বলছে না বা সে কেন জয় জনতা, জয় সর্বহারা বলে ফেলছে সেই নেতিবাচকতাই কি বড় হয়ে গেল?

সবশেষে, শেষ যে প্রশ্নটি আসে, গণজাগরণ মঞ্চ তো জামাত-শিবির-রাজাকারবিরোধী লড়াইয়ে সবার জন্য দ্বার খোলা রাখলো। কিন্তু বিএনপি জামাতের সাথে আছে জেনেও যে মানুষটি বিএনপি সমর্থন করে, তিনি এই আন্দোলনের জন্য কতটুকু যোগ্য?

এই প্রশ্নটির সাথেই আরো যে প্রশ্নটি আসে, এদেশের মানুষ কতটুকু রাজনৈতিক সচেতন, কতটুকু জানে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে? বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি সচেতন নয়। এখনো অনেক মানুষ চায়ের দামে ভোটাধিকার বিকিয়ে দেয়। এখনো বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মীদের বড় অংশের কাছেই আদর্শের চেয়ে দলীয় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে লাভবান হওয়াই মুখ্য উদ্দেশ্য জড়িত থাকে। আর তাই সম্ভবত ২০০১ এর সংখ্যালঘু নির্যাতন দেখেও নির্বিকার চিত্তে গৌতম চক্রবর্তীরা বিএনপির মন্ত্রীত্ব করে যেতে পারেন; উপসনালয়ে তাণ্ডব দেখেও গয়েশ্বর রায়, সুকোমল বড়ুয়ারা যথারীতি বিএনপি করে যেতে পারেন। গণজাগরণ মঞ্চ তাই চেতনার পুনরুজ্জীবনের প্রয়াস পেয়েছে; জয় বাংলার সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষতাকেও দলীয় বলয় থেকে বের করে আনার প্রয়াস পেয়েছে। আর সেই প্রয়াসে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, উপরে উল্লিখিত আমার উপজেলার বিএনপি নেতা তারই একটি উদাহরণ বলে মনে করি।

সেই সাথে আমরা আশা করি, আমাদের রাজনীতিবিদদের বোধোদয়ের। আমরা আশা করি, তারা যত দ্রুত সম্ভব বুঝতে সক্ষম হবেন, কোনটি জাতীয় স্বার্থ, কোনটি দলীয় স্বার্থ। আশা করি, নিলোফার মনি, নাসিরউদ্দিন অসীমরা টকশো-সংলাপে এসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ত্রিশলাখ না তিনলাখ, সত্তরের নির্বাচন স্বচ্ছ না অস্বচ্ছ ছিল সেই বিতর্ক আর তুলবেন না, মহিউদ্দিন খান আলমগীররা ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধনে যাবেন না; কারণ তারা জানবেন, তিন লাখ না ত্রিশ লাখ এই বিতর্কে আওয়ামী লীগের না, ত্রিশ লাখ শহীদের গ্লানি হয়, যারা কোনো দলের নয়, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান; জানবেন, ইসলামী ব্যাংক নেহাতই কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, এদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন করতে দেখলে অজস্র চেতনা উজ্জীবিত মানুষের বুকে কষ্ট হয়।

আমরা আশা করি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তাঁর জেগে ওঠা প্রজন্মের শক্তিতে...।।
জয় আমাদের হবেই। জয় বাংলা।

সুমিত সাহা, কর্মী, গণজাগরণ মঞ্চ, প্রজন্ম চত্বর
সদস্য, ব্লগার এণ্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক

(উল্লেখ্য, এখানে একাধিকবার আমরা শব্দটি এলেও এটি মূলত একজন গণজাগরণকর্মী ও বোয়ানসদস্য হিসাবে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ। গণজাগরণ মঞ্চের সামগ্রিক মতরূপে প্রকাশিত নয়। )


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি মনে করি গনজাগরন যে সম্ভবনা নিয়ে জন্মেছিলো তার বেশি ভাগি সফল হয়েছে.বাঙালির মনে মনে পৌছে দিতে পেরেছে রাজাকারদের কু-কর্ম.ঘুমিয়ে পড়া সেই অনুভূতিকে আবার সজাগ করেছে,নতুন প্রজন্মের মাঝে ঘৃনাকে জাগ্রত করেছে গনজাগরণ.মনস্তাত্তিক জয় হয়েছে এই জাগরনের, আর বাস্তাবায়িত সফলতা আসতে একটু সময় দিতে হবে,কারন এটা দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া.।

চারিদিকে ওত পেতে আছে প্রতিক্রিয়াশীলরা কি করে এই আন্দোলনের সাথে নিত্য নতুন কলঙ্ক যোগ করা যায়,কি করে গুজব ছড়ানো যায়।বঙ্গবন্ধু কোন দলের নয় যেমন সত্যি তেমনি একটা দলের ও এটাও সত্যি।সংকীর্ন মনের মানুষ যারা তারাই বঙ্গবন্ধুকে একটা দলের প্রতীক হিসাবে দাঁড় করিয়ে দেন।এবং এদের সংখ্যাটাই দেশে বেশি।তাই এই আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু স্লোগান যোগ করা হলে সেটা হিতে বিপরীত হতো,এটাকে সম্পূর্ণ আওয়ামি আন্দোলনের ট্যাগ মারা হতো,আওয়ামি সৃষ্টি দাবি করতো।তাই তাপস দার সাথে আমি একমত না।

মাসুদ সজীব

এস এম নিয়াজ মাওলা  এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রাঞ্জল লেখাটার জন্য। যদিও আপনার কথার সাথে আমি একমত হতে পারলাম না।

গণজাগরন মঞ্চ বলছে, তারা প্রজন্মের প্রতিনিধি। 'জয় বঙ্গবন্ধু' শ্লোগানটাকে দলীয়করণ করে আওয়ামী লীগ যে ভুল করেছে, প্রজন্মের প্রতিনিধিরা সেই ভুল করবে কেনো? যুদ্ধের সময় কি জয় বাংলার সাথে জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান শোনা যায় নি? যে জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান গণজাগরণ মঞ্চে থেকে বলা হচ্ছে না- এই চিন্তা করে যে, বি এন পির সমর্থন পাওয়া যাবে, আদতে কি বিএনপির সমর্থন পাওয়া গেছে? যারা যুদ্ধপরাধীদেরই বিচার চায়না, তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের মূল শ্লোগান থেকে গণজাগরণ মঞ্চ কেনো সরে আসলো? আমরা মনে করি, জয় বঙ্গবন্ধু কোনো দলীয় শ্লোগান নয়, এটা যেমন একাত্তরে আম জনতা সবার ছিলো, আবার আমরা এখন সেটিকে সবার মধ্যেই ছড়িয়ে দিতে চাই। গণজাগরণ মঞ্চ প্রথম থেকেই যদি এইসব ব্যাপারে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, ভবিষ্যতেও কখনো পারবে না।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লেখাটা পড়লাম এবং লেখক আসলে কী বোঝাতে চাইলেন সেটা বুঝতে পারলাম না।

আমার মতো কম লেখাপড়া করা, স্বল্পবুদ্ধির মানুষদের বোঝার জন্য সোজাসুজি একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো। 'হ্যাঁ' অথবা 'না' বলবেন, আর কোন ব্যাখ্যার দরকার নাই।
'জয় বাংলা' শ্লোগান দেবার পর পর 'জয় বঙ্গবন্ধু' শ্লোগান দেয়া কি ঠিক?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাইদ এর ছবি

আমিও ঠিক বুঝলাম না লেখক কী বুঝাতে চেয়েছেন। আমারও ষষ্ঠ পাণ্ডবের মত জিজ্ঞাস্য
'জয় বাংলা' শ্লোগান দেবার পর পর 'জয় বঙ্গবন্ধু' শ্লোগান দেয়া কি ঠিক?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

লেখার মূল বক্তব্য স্পষ্ট নয়।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তানিম এহসান এর ছবি

এটা কি কোন ধারাবাহিক লেখার সূচনাপর্ব?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আমি যতদূর বুঝলাম- গণজাগরন মঞ্চ "জয়বাংলা" শ্লোগান সর্বস্তরের জনগণের কাছে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে, এটাই ঢের হয়েছে, আবার জয় বঙ্গবন্ধুর মত দলীয় শ্লোগান টেনে এনে দলীয় নামাবলী গায়ে জড়ানোর দরকার কি। তো আমার প্রশ্ন, "জয়বাংলা"ও কি একই মাত্রায় দলীয় শ্লোগান ছিল না? পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দলই বা জয়বাংলা শ্লোগান ব্যবহার করতো? বামপন্থী ছাত্রসংগঠন যারা "জয়বাংলা" বলে মঞ্চ কাঁপালো, তারাও কি বলতো? গণজাগরন মঞ্চ তো মানবতা বিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চতের দাবীতে সোচ্চার হয়েছিল, তার সাথে জয়বাংলার সম্পর্ক কি? যদি সম্পর্ক কিছু থেকে থাকে, সে সম্পর্ক কি জয় বঙ্গবন্ধুর সাথেও সম্পর্কিত নয়?

এস এম নিয়াজ মাওলা  এর ছবি

ঠিক বলেছেন। আমি এইভাবে গুছিয়ে বলতে পারিনি।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দলই বা জয়বাংলা শ্লোগান ব্যবহার করতো? বামপন্থী ছাত্রসংগঠন যারা "জয়বাংলা" বলে মঞ্চ কাঁপালো, তারাও কি বলতো?

আব্দুল্লাহ ভাই, এই বিশেষ ক্ষেত্রের উদাহরণটা ভালো লাগল না... সেখানে দলীয় পরিচয় না ঠ্যাঙ্গানির ভয় বেশি ক্রিয়াশীল ছিল আমি ঠিক নিশ্চিত নই, মুক্তিযুদ্ধে কিন্তু বামপন্থীরাও জয়বাংলা বলতে দ্বিধান্বিত ছিল বলে আমার জানা নেই

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আমি তো সে কথাটাই বললাম, মুক্তিযুদ্ধে রাজাকাররা ছাড়া বাকী সবাই জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়েছে, স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে তা বর্জন করেছে, পচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ আর এ দুটি শ্লোগান ব্যাবহার করে নি। যখন নতুন করে আবার সে শ্লোগান দেয়া, তখন খণ্ডিতভাবে কেন?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি ঠিকাহ্চে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অলক এর ছবি

সুমিত, আপনি কি বুয়েট এ ছাত্রলীগের সাথে জরিত আছেন?

এনালিস্ট এর ছবি

২৪ ঘন্টার বেশী সময় পার হয়ে গেছে এই পোস্ট দেয়ার পরে। এখনও পর্যন্ত লেখক একটা প্রশ্নেরও জবাব দেননি বা কোন প্রতিমন্তব্যও করেননি।

আপনি এমন বিষয় নিয়ে লিখবেন যাতে পাঠকদের মনে বিষয় নিয়ে দ্বিধা আসবে। তারপর আড়ালে বসে তৃপ্তির হাসি হেসে নিজের পিঠ চপড়াবেন এ কেমন কথা।

তাহলে ভাই আপনার এখানে পোস্ট দেবার কি দরকার। লিফলেট প্রিন্ট করে বিলি করলেই তো হয়।

সত্যপীর এর ছবি

চলুক

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হ সেইটাই

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুবোধ অবোধ এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

৭১ এর পটভূমি আর ২০১৩ এর পটভূমি একনয়।তখন জয় বাংলার সাথে জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান ছিলো সব বাঙালির।৭১ এ বাঙালি যেমন শোষনের/অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছিল তেমনি সেই রনাঙ্গনে সবার একটাই প্রশ্ন ছিলো বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন তো?যু্দ্ধের ময়দানে তিনি না থেকেও ছিলেন সব যোদ্ধাদের অন্তরে।স্বাধীনতার স্তপকা/ রুপকার ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান,তিনি বাঙালিকে একটা স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন,তার জন্যে নিজেরে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন ,তাই ৭১এ তিনি ছিলেন স্লোগানে আর সব বাঙালির অন্তরে।কিন্তু ৭১ পূর্ববর্তী আর ৭১ পরবর্তী শেখমুজিব একি সমতূল্য কিংবদন্তী থাকতে পারেননি সকলের কাছে।সেটা কতটা তার নিজের ব্যর্থতা আর কতটা ষড়যন্ত্রকারীদের সফলতা তা তর্ক সাপেক্ষ।কিন্তু এটা সত্যি মৃত্যুর পর তাকে দিনে দিনে করে তোলা হয়েছে শুধু একজন দলীয় নেতা।সেটা আমাদের সকলের ব্যর্থতা,আওয়ামিলীগের সেই ব্যর্থতা আরো বেশি।

২০১৩ আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাইছি,আন্দোলন করছি।আমরা জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছি কারন এটা আমাদের সকলের অস্তিত্বের প্রতীক,একতার প্রতীক,ভালোবাসা আর ভালোলাগার প্রধান স্লোগান।আমি সেই বিচারের জন্যে আন্দোলনে জয় বঙ্গবন্ধু বলতেই হবে এমনটা মনে করিনা,আর জয় বঙ্গবন্ধু না বললেই জয় বাংলা স্লোগান টা অসম্পূর্ণ হয়ে যায়না।বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন তার অবদানের জন্যে,কিন্তু সব আন্দোলনে তাকে স্লোগানে আনতে হবে এমনটাতে আমি বিশ্বাসী না।

মাসুদ সজীব

সুবোধ অবোধ এর ছবি

কিন্তু সব আন্দোলনে তাকে স্লোগানে আনতে হবে এমনটাতে আমি বিশ্বাসী না।

সব আন্দোলন???!! এই গণজাগরণ কে আপনার আর সব আন্দোলনের মত মনে হল??!!!

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ব্যাপারটা কি দাড়াল তাহলে?
গ্রামের কোন প্রভাবশালী পরিবারের সাথে যদি আপনার বাবার শত্রুতা থাকে সেক্ষেত্রে ওই পরিবারের কাছ থেকে সুবিধা পাবার জন্য আপনি আপনার নিজের বাবা কে অস্বীকার করবেন!! তার নাম মুখে আনবেন না?!

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম কথা হলো আমরা কোন সুবিধা আদায়ের জন্যে আন্দোলন করছিনা কারো কাছে।আমাদের আন্দোলন ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যে,জাতিকে কলংঙ্ক মুক্ত করার জন্যে।আপনার উদাহারণটা আমার কাছে ঠিক এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মনে হচ্ছে না।তবু ও আপনার উদাহারণকে প্রসঙ্গ করেই বলছি যেটা আমি পারবো আদায় করতে সেটাতে আমি বাবাকে আনবো না।আর আগেই বললাম শেখ মুজিবর রহমানকে আমরা রাজনীতির উর্ধে তুলতে পারিনি,উনাকে আমরা দিনে দিনে একটা দলের নেতা বানিয়ে ফেলেছি।

মাসুদ সজীব

সুবোধ অবোধ এর ছবি

আপনার উদাহারণকে প্রসঙ্গ করেই বলছি যেটা আমি পারবো আদায় করতে সেটাতে আমি বাবাকে আনবো না

আমি বাবা কে আনার কথা বলি নাই,বলছি অস্বীকার করব কি না?
লেখকের কথা শুনে মনে হচ্ছিল অন্যদের সমর্থনের সুবিধা পাবার জন্যই 'জয় বাংলা'র পর 'জয় বঙ্গবন্ধু' বাদ দেয়া হয়েছে। আচ্ছা,ভাল আর খারাপের উদ্দেশ্য,পথ কি কখনো এক হয়? একই লক্ষ্যে পৌছাতে চাওয়া মানে ভাল কে খারাপ হতে হবে অথবা খারাপ কে ভাল হতে হবে। জামাত শিবিরের সাথে গলাগলি করে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাওয়ার ব্যাপারটা হাস্যকর!!! বঙ্গবন্ধু কে দলের উর্ধে না তুলতে পারার দায় আমাদের। তার মানে এই না যে সেটা আর শুধরানো যাবে না।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

@মাসুদ সজীব,

শেখ মুজিবর রহমানকে আমরা রাজনীতির উর্ধে তুলতে পারিনি, উনাকে আমরা দিনে দিনে একটা দলের নেতা বানিয়ে ফেলেছি।

এই আমরা বলতে কাদের বুঝাচ্ছেন? আশা করি বাংলাদেশের সবাইকে আপনি এই গোত্রে আবদ্ধ করতে চান নি। তো কেন শেখ মুজিবুর রহমানকে আপনারা রাজনীতির উর্ধে তুলতে পারলেন না? কেন উনাকে আপনারা একটা দলের নেতা বানিয়ে ফেললেন, একটু বলবেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

আব্দুল্লাহ ভাই আমরা বলতে আমাদের দেশের আপামর জনতাকে বুঝিয়েছি।সবাই মোটেও একনয়।আপনি বিষয়টা ব্যাক্তি পর্যায় নিয়ে আসছেন।আপনি যদি আজ বঙ্গবন্ধুর নামে একটা স্লোগান দেন দেশের বেশি ভাগ মানুষ বলবে আপনি সক্রিয়/কট্টর আওয়ামিলীগ কর্মী।কিন্তু বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামিলীগের নয়,তিনি সারা বাংলার।এই বাংলাদেশ নামক মানচিত্রটির রুপকার।আর কেন শেখ মুজিবকে একটা দলের নেতা বানিয়েছে তার ইতিহাস আপনি ভালো করেই জানার কথা।আমি আমার আগরে মন্তব্যে ও বলেছি ষড়যন্ত্রকারী দের সফলতা আর আওয়ামিলীগের কিছু ব্যর্থতা বঙ্গবন্ধুকে দলীয় করে ফেলেছে বেশি।এখন প্রশ্ন করতে পারেন ষড়যন্ত্রকারী বলতে কাকে বুঝিয়েছি?তার উত্তরটাও দেই,জলপাইতন্ত্রী জিয়া আর তার বংশধররা যে মিথ্যার রাজনীতিকে এই দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে এটা আপনি বোধহয় ভালো করেই জানেন।তারাই শেখ মুজিবকে কলঙ্কিত করেছে হাজারো মিথ্যাচারে।আপনি মানেন কি না মানেন এই দেশের বেশিভাগ মানুষ এখনো গুজবে মেতে থাকে,মিথ্যাচারকে যাচাই করে না।এদেরকে মিথ্যে দিয়ে আর ধর্মীয় অনুভূতি দিয়ে সহজে কাবু করা যায়।সেই কাজটাই করেছেন জিয়া,খালেদা আর নিজামীরা।সেই মিথ্যাচারীদের জয়জয়োকার এখনো চলছে সারা বাংলাদেশে।

সুবোধ ভাই পথ কখনো একহয় না।আমার প্রথম চিন্তায় বোধহয় ভুল ছিলো।এটা ঠিক জয় বাংলা বললে জয় বঙ্গবন্ধু আসবেই।আমার ভাবনা ছিলো ওরা হয়তো ভেবেছিলো প্রথমেই এটাতে কোন দলীয় ট্যাগ না পড়ুক,তাই বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়নি তারা।জামাত যে এটাতে আসবেনা এটা তারাও জানতো,ওরা হয়তো ভেবে ছিলো জামাতের বাইরে সবাইকে এই আন্দোলনে যোগ করতে,তাই হয়তো বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়নি কৌশলে।এই সেন্সে আমি বলেছি বঙ্গবন্ধুর নাম না নেওয়াটা খুব দোষের হয়নি।কিন্তু কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল সেটা নির্ণয় করার শ্রেষ্ঠ বিচারক বোধহয় সময়।একটা বিষয় একটু খেয়াল করবেন আমরা নানান লিখার শেষে কিন্তু জয় বাংলা লিখি,কিন্তু তার শেষে জয় বঙ্গবন্ধু লিখি না?কেন?আমাদের মনেও ভয় থাকে আমাকে আবার কেউ কট্টর আওয়ামিলীগ ভাবে কিনা?আমি এই ভাবনা থেকে বলেছি কথা গুলো।যাইহোক আসলে অন্যের সাথে কথা বললেই নিজের চিন্তার গভীরতা বুঝা যায়।ভালোথাকবেন।

মাসুদ সজীব

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

না, বিষয়টা মোটেই ব্যাক্তিগত হিসেবে দেখছি না। জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধু নিয়ে আপনার কিছুটা বিভ্রান্তি আছে বলেই মনে হয়, এ দুটি শ্লোগানের কোনটিই একাত্তরের সাতই মার্চে প্রথম আসে নাই, এ সময় শ্লোগান দুটোর ব্যাপ্তি বেড়েছে মাত্র। যদিও ছোট ছিলাম, মুক্তিযুদ্ধ আমি নিজের চোখেই দেখেছি। হ্যাঁ, আওয়ামী প্রভাবের বাইরের কিছু অংশও মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল, তাদের হয়তো জয় বঙ্গবন্ধু বলতে ইতস্তত ভাব ছিল, কিন্তু সেটাকে মূলধারার বিষয় কিংবা উল্লেখযোগ্য কোন বিষয় হিসেবে উপস্থাপন সত্যের অপলাপ মাত্র।
তবে স্বাধীনতার পর দুটি ন্যাপ(ভাসানী এবং মোজাফ্ফর), সিপিবি, এবং আওয়ামী ঘরানার সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত ও তেজোদ্দিপ্ত অংশের সমন্বয়ে গঠিত জাসদ, বঙ্গবন্ধুকে তার প্রাপ্য মর্যাদাটুকু দিতেও কুন্ঠাবোধ করেছে। শ্লোগান দুটি মূলতঃ ছিল রাজনৈতিক শ্লোগান, যার সাথে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা একাকার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাধারন মানুষ তখন তাঁকে খুব কমই বঙ্গবন্ধু বলে সম্বোধন করতো, কমন সম্বোধন ছিল শেখ সাহেব, আওয়ামী লীগেরও অনেক নেতাকর্মী তাঁকে শেখ সাহেব হিসেবেই সম্বোধন করতো। পঁচাত্তর পরবর্তীকালে শেখ সাহেব থেকে তাঁর ব্যাপকভাবে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার পেছনে আওয়ামী লীগের যতটুকু অবদান, তার চেয়ে অনেক বেশী অবদান সচেতন লেখক বুদ্ধিজীবি মহলের।
"জয় বঙ্গবন্ধু" শ্লোগান সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণ বেশ কৌতুহলদ্দীপক, পঁচাত্তরের আগে ন্যাপ মোজাফ্ফর এবং সিপিবির "জয় বাংলা" ও "জয় বঙ্গবন্ধু" শ্লোগানে এ্যালার্জি ছিল, জাসদের তো ছিলই। পঁচাত্তরে যখন প্রথমোক্ত দল দুটি বাকশালে একীভূত হয়ে গেল, তখন আর সে শ্লোগানে তাদের আপত্তি দেখা যায় নি। পঁচাত্তরের পনেরই আগষ্টের পর আবার তারা শ্লোগান দুটি বর্জন করে। জাসদ পঁচাত্তরের আগে পড়ে অনেকদিন ভয়ানক মুজিব বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন মহাজোট সরকারে যোগদানের পর এ শ্লোগানটি নিয়ে তাদের কোন আপত্তি দেখি না।
সাধারন মানুষদের মধ্যে যাঁরা তখন তাঁকে শ্রদ্ধাভরে শেখ সাহেব বলে অভিহিত করতো, তাদের প্রায় সবাই এখন তাঁকে বঙ্গবন্ধু বলে থাকেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই হয়তো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনভাবেই যুক্ত নন। সুতরাং খালেদা নিজামীর মিথ্যাচারের(আপনারই মতানুসারে) ধারক বাহকদের তুষ্ট রাখার জন্য "জয় বঙ্গবন্ধু" বলা থেকে বিরত থাকতে হবে, এই প্রস্তাবনার প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক।

অতিথি লেখক এর ছবি

সুবোধ ভাই বঙ্গবন্ধুকে এই দেশের রুপকার কিংবা জাতির পিতা মানা এক বিষয় আর জয় বঙ্গবন্ধু বলা আরেক বিষয়।জয় বঙ্গবন্ধু আওয়ামিলীগের স্লোগান।মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোক শুধু আওয়ামিলীগ করে,আর বাকীরা করে না এটা ভুল।বিএনপির ও অনেকে আছে যারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইতে শাহবাগ গেছে।তারা কোনদিন জয় বঙ্গবন্ধু বলবে না হয়তো কিন্তু তারা জয় বাংলা ঠিকি বলেছে।আব্দুল্লাহ ভাই যে বললেন রাজাকার বাদে ৭১ এ সবাই জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়েছে।আমার জানা,আমার ক্ষুদ্র পড়াশুনায় আমি এই দুটো স্লোগানকে সর্বজনীন দেখিনি।আপনি কতজন মুক্তিযুদ্ধাকে দেখেছেন এমনটা বলতে?আমি অনেকের সাথে কথা বলেছি এই কয়েকদিনে,প্রচুর বই পড়লাম কোথাও পাইনি যে এটা সর্বজনীন স্লোগান ছিলো।হ্যা কিছু পরিসরে ছিলো তবে সেটা সারা বাংলাদেশে সকল রনক্ষেত্রে ছিলো না।জয় বাংলা স্লোগান টা এসেছে ৭১ এ ৭ই মার্চে।কিন্তু সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে,শেখ মুজিবর রহমান জয় বাংলার পরে জিয়ে পাকিস্তান বলেছিলো এমন কথা আপনি শুনে থাকবেন।এটাকে মিথ্যাচার বলে ফু দিয়ে উড়ে ফেলার বিষয় নয়।সেটার ব্যাখা আছে আপনি যদি অন্যের মতকে শ্রদ্ধা করেন।জিয়ে পাকিস্তান বলেই উনি কোন বড় অপরাধ করেন নি,কারন তখন বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হয়নি।তাই জয় বাংলার পর জিয়ে পাকিস্তান বলা যেতে পারে।মূল বিষয় হলো সব কিছুকে ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে না দেখা,এখন কেউ যদি জিয়ে পাকিস্তান বলে শেখ মুজিব বড় ভুল করেছে বলে ত্যানা প্যাচাতে থাকে তাহলে সেটা তার বিষয়।জিয়ে পাকিস্তান বলাকে আমি একপ্রকার কৌশল হিসেবে দেখি,তেমনি গনজাগরণ থেকে জয় বঙ্গবন্ধু না বলাও একটা কৌশল ছিলো।এটা নিয়ে সব গেল সব গেল বলে ব্যাথিত হওয়ার কিছু হয়নি।সুমিত দা ব্যাখা করেছেন সুন্দর করে কেন কি কারনে বলা হয়নি।

মাসুদ সজীব

হিমু এর ছবি

শেখ মুজিব ৭১ মার্চ, ১৯৭১ জয় বাংলা বলার পর "জিয়ে পাকিস্তান" বলেছিলেন, এরকম কথাবার্তা রাস্তাঘাটে শোনা যায়। সমস্যা হচ্ছে ঐ বক্তৃতার অকর্তিত ফুটেজে এই জিনিস দেখা বা শোনা যায় না। আপনি কি "জিয়ে পাকিস্তান" সম্বলিত কোনো ফুটেজ দেখেছেন কিংবা তৎকালীন খবরের কাগজের প্রতিবেদন পড়েছেন?

ইশতিয়াক এর ছবি

মাসুদ সজীবের জবাবের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।

হিমুকে বলছিঃ
জিয়ে পাকিস্তান সংক্রান্ত কথা আমিও শুনেছি, কিন্তু ক্রেডিবল রেফারেন্স পাইনি। ৮ মার্চ ৭১ এর দৈনিকগুলো এ বিষয়ে কিছু বলেনি; সুতরাং মনে হয় এটা বানানো যা আম জনতা হজম করেছে, যেমন অনেকে করেছে কবিগুরুর ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা সংক্রান্ত খবর।

অতিথি লেখক এর ছবি

জয় বাংলা স্লোগান ৭১ এ সর্বত্র ছিলো কিন্তু জয় বঙ্গবন্ধু ছিলো না সর্বত্র।মুক্তিযুদ্ধের উপর যতগুলো ডুকেমেন্টরী আছে তার কোথাও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান টা নেই।৭১এ যতগুলো ভিড়িও ফুটেজ আমি দেখেছি তার কোথাও প্রগাঢ় ভাবে জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান পাইনি।বর্তমানে বিটিভিতে প্রতিদিনি ৭১ এর ভিড়িও গুলো দেখায়,সেগুলো কষ্ট করে দেখলে বুঝতে পারবেন জয় বঙ্গবন্ধু তখন মূল স্লোগান ছিলো না।নেওয়াজ ভাই বললেন জয় বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মূল স্লোগান ছিলো।কথাটা তাই সঠিক নয়,মুক্তিযুদ্ধে জয় বাংলা ছিলো মূল স্লোগান।আব্দুল্লাহ ভাই এর সাথে একমত আমি,শেখ মুজিবর রহমান বেঁচে থাকাকালীন সময়ে তাকে সবাই শেখ সাহেব ডাকতেন,তার রাজনৈতিক সমাবেশ গুলোতেও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান তেমন ব্যবহার হয়নি।তাহলে জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানটা মূল স্লোগান হলো কি করে?জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান প্রসার পেয়েছে শেখ মুজিবর রহমান কে হত্যার পরে।জয় বাংলা আসলে জয় বঙ্গবন্ধু আসতেই হবে এটাতে তাই আমি বিশ্বাসী নই।

হিমু ভাই,না কোন ফুটেজ আমি দেখিনি।আমি দুইটা বইতে পেয়েছি।একটা হুমায়ূন আজাদের আমরা কি এই বাঙলা দেশ চেয়েছিলাম বইতে খুব সম্ভব উল্লেখ আছে।তবে তিনি নিশ্চিত হয়ে বলেননি,শুনেছেন বলেছেন।প্রফেসর আব্দর রাজ্জাকের একটা প্রবন্ধে আমি পড়েছি এমনটা,বইটার নাম এখন মনে পড়ছে না।মনে পড়লে আমি জানাবো।হুমায়ূন আহমেদ এর জননী ও জোছনার গল্পে ও এই কথাটা উল্লেখ আছে(হুমায়ূন আহমেদ রেফারেন্স হিসাবে হাসান হাফিজুর রহমান এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল পত্র উল্লেখ করেছেন,কিন্তু আমি সেটা পাইনি সেখানে)
শেখ মুজিব জিয়ে পাকিস্তান বলেছে কিনা সেটা আমার চিন্তার বিষয় না,ধরে নিলাম এটা একটা গুজব কিংবা মিথ্যাচার।আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সেই মিথ্যাচার সম্পর্কে সঠিক তথ্যটা প্রদান করা,গুজব দূর করা।সেটার জন্যে প্রমাণের পাশাপাশি যুক্তিও দরকার।যেমন আমরা যুক্তি দেই ৫ইমে যদি এতো মানুষ হত্যা করলেতো তাদের পরিবার কোথায়?এতো গুলি করলে বিল্ডিংগুলোতে বুলেটের চিন্হ নেই কেন?আমি জিয়ে পাকিস্তান বিষয়টা সেই যুক্তির খাতিরে এনেছি।আমি বলতে চেয়েছি কোন মিথ্যাচারকেই ফু মেরে না উড়িয়ে দিয়ে সেটাকে প্রমাণ আর যুক্তি দিয়ে ব্যাখা করা।আশা করি বিষয়টা বোধগম্য হবে।

মাসুদ সজীব

হিমু এর ছবি

যতিচিহ্নের পর একটা স্পেস দিতে হয়। দাঁড়ি-কমার পর স্পেস না দিয়ে লিখতে শুরু করলে পড়তে গেলে চোখে আটকায়।

আমি দুইটা বইতে পেয়েছি। একটা হুমায়ূন আজাদের আমরা কি এই বাঙলা দেশ চেয়েছিলাম বইতে খুব সম্ভব উল্লেখ আছে। তবে তিনি নিশ্চিত হয়ে বলেননি, শুনেছেন বলেছেন।

প্রফেসর আব্দর রাজ্জাকের একটা প্রবন্ধে আমি পড়েছি এমনটা, বইটার নাম এখন মনে পড়ছে না

হুমায়ূন আহমেদ এর জননী ও জোছনার গল্পে ও এই কথাটা উল্লেখ আছে (হুমায়ূন আহমেদ রেফারেন্স হিসাবে হাসান হাফিজুর রহমান এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল পত্র উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আমি সেটা পাইনি সেখানে)

মারাত্মক সব রেফারেন্স।

আপনি তো গুজবটাকে প্রশ্ন না করে বলছেন শেখ মুজিব "জিয়ে পাকিস্তান" বলে কোনো অপরাধ করেননি। যে জিনিস তিনি বলেননি, সেটা বলে তিনি অপরাধ করেছেন কি করেন নাই সেই তর্কে যাচ্ছেন কেন?

সুবোধ অবোধ  এর ছবি

মজা পাইলাম আপনার রেফারেন্স গুলো দেখে ! আজ পর্যন্ত আমি কোথাও পাই নি। পাবার কথাও না। কারণ গুজব শুধুই বাতাসে কানে আসার বিষয়, রেফারেন্স হিসেবে বই এ পাবার বিষয় না । কোন ফুটেজেও পাই নি! আরেকটা কথা বললেন না, বিরুদ্ধ মতের প্রতি যদি শ্রদ্ধা থাকে.....? আছে, কিন্তু বিরুদ্ধ মত যদি হয় জামাতি বা তার দোসর, তবে অলয়েজ মিডল ফিঙ্গার রেডি থাকে!!! ভাল থাকবেন ...

মন মাঝি এর ছবি

আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সেই মিথ্যাচার সম্পর্কে সঠিক তথ্যটা প্রদান করা,গুজব দূর করা।সেটার জন্যে প্রমাণের পাশাপাশি যুক্তিও দরকার।যেমন আমরা যুক্তি দেই ৫ইমে যদি এতো মানুষ হত্যা করলেতো তাদের পরিবার কোথায়?এতো গুলি করলে বিল্ডিংগুলোতে বুলেটের চিন্হ নেই কেন?আমি জিয়ে পাকিস্তান বিষয়টা সেই যুক্তির খাতিরে এনেছি।আমি বলতে চেয়েছি কোন মিথ্যাচারকেই ফু মেরে না উড়িয়ে দিয়ে সেটাকে প্রমাণ আর যুক্তি দিয়ে ব্যাখা করা।আশা করি বিষয়টা বোধগম্য হবে।

@ মাসুদ সজীব। আপনি কি এই পরামর্শের ইমপ্লিকেশন সম্পর্কে সচেতন? এটা কিন্তু অপপ্রচারকারীদের অতি পুরাতন একটা ক্লাসিক কুযুক্তি। কেউ কিছু একটা বলেছে বলে অন্য কেউ দাবী করলে সেটা ঐ দাবীকারীকেই প্রমান করতে হয়। সারা দুনিয়াতেই এইই নিয়ম - অভিযোগকারী বা দাবিকারীকেই তাদের অভিযোগ বা দাবি প্রমান করতে হয়। উল্টোটা না! কিন্তু এটা জানে বলেই এবং নিজের দাবী প্রমান করতে পারবে না বলেই - অতিচালাক অপপ্রচারকারীরা অনেকসময় এইসব প্রমান-টমানের দায় সুকৌশলে বিরোধীপক্ষ তথা অপপ্রচারের শিকার-পক্ষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বিশেষ করে গোড়াতেই অস্তিত্ত্বহীণ কোনকিছুর অস্তিত্ত্ব অপ্রমান করার ব্যাপার হলে। এতে করে অপপ্রচারকারীদের যেমন প্রমান-ট্রমানের মত বিষয়ের দায় থেকে পালানোর সুযোগ হয়, তেমনি অপপ্রচারের শিকার-পক্ষকে নানারকম অপ্রয়োজনীয় বিপদে ফেলা যায় এবং প্রোপাগাণ্ডা-ভিক্টরি অর্জন করা যায় অন্য পক্ষের খরচেই। আপনিও কি সেই পালে হাওয়া দিতে চাচ্ছেন?

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাই আমি সেই তর্কে যাইনি,আমি বলতে চেয়েছিলাম একটা গুজব উঠলে সেটাকে নানান কিছু দিয়ে প্রমাণ করতে হয়। তথ্য, যুক্তি, রেফারেন্স সবি লাগে। আমি সেই সেন্সে বলেছিলাম, তর্কের সেন্সে নয়। তবু সেটা আমার ভুল ছিল। আশা করি ভুলটা সুন্দর চোখে দেখবেন।

সুবোধ ভাই আপনি কাকে কি আঙ্গুল দেখাবেন সেটা একান্ত আপনার বিষয়। আপনি রেফারেন্স দেখে মজা পেয়েছেন শুনে ভালোই লাগলো। আর বুঝলাম আপনি আমার মন্তব্য মনযোগ দিয়ে পড়েন নি , এর বেশি কিছু বলার নেই। ভালোথাকবেন।

মাসুদ সজীব

সুবোধ অবোধ এর ছবি

আমি আপনার মন্তব্য যথেষ্ট মনযোগ দিয়ে পড়েছি। আপনাকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করার জন্য আমি কিছুই বলি নি। এর আগেও বিভিন্ন পোস্ট এ আপনার কমেন্ট আমি পড়েছি। যথেষ্ট যুক্তি দিয়ে কথা বলেন এবং আমার ভাল লাগে। তবে এখানে আপনার যুক্তি আমার ভাল লাগে নি। আর আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে আমি যাদের জন্য মিডল ফিঙ্গার রেডি রাখি আপনি সেই দলের মধ্যে পড়েন না। ভাল থাকবেন।

মন মাঝি ভাই এমন সুন্দর ভাবে অপপ্রচার এর ব্যাপারে ব্যাখ্যা করেছেন যে ওই ব্যাপারে আর কিছু বলার থাকে না।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

মন মাঝি ভাই আমি সেই পালে হাওয়া দিতে চাইনি। আমার বলার মাঝে কিছু ভুল ছিলো সেই জন্যে আমি দু:খিত।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ, নিজের ভুল ধরতে পারিনি আপনি সেটা সুন্দর করে দেখিয়ে দিয়েছেন।

মাসুদ সজীব

মন মাঝি এর ছবি

ঠিকাছে। যুক্তিশাস্ত্রে এই বিখ্যাত ল্যাটিন উক্তিটা মনে রাখলেই হবে -

onus probandi incumbit ei qui dicit, non ei qui negat" অর্থাৎ - the burden of proof is on the person who makes the claim, not on the person who denies (or questions the claim)

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

মন মাঝি ভাই চলুক এবং আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সুবোধ ভাই, আমার উদাহারন এর উপস্থাপন ভুল ছিলো। আমি সেটা বুঝেছি, একটা বিষয় হলো আমি যে সবসময় সঠিক হবো এমনটা আমি ভাবি না। সচলে আসার উদ্দেশ্য শুধু নিজের জানাটা প্রকাশ করতে নয়, অন্যের কাছ থেকে ও জানার আগ্রহ আমার আছে। আর সচলে যারা নিয়মিত লিখেন, মন্তব্য করেন তাদের মাঝে বেশি ভাগ আমার চেয়ে বেশি জানেন। আর সত্য এবং যুক্তিপূর্ণ হলে আমি সব কিছুই মেনে নিতে পারি। আপনিও ভালোথাকবেন আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

কল্যাণ এর ছবি

এই লেখার বক্তব্য ধরা যাচ্ছে না। এইটা কি জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান না দেওয়ার এপোলোজী, নাকি গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থক হারানোর ক্রন্দন?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।