ক্লজেটের জীবন- ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১১/১১/২০১৩ - ৯:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি রোবট টাইপের মানুষ। না পড়ে পরীক্ষা দিতে যেতে ভয় করে না কিংবা পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে মন খারাপ লাগেনা। বয়ফ্রেন্ডের রোড একসিডেন্ট হলে উতলা লাগেনা। ক্রিকেট খেলায় আমার কোন প্রিয় দল নেই। রাজাকারদের ফাঁসি না হলে আমার কিছুই যায় আসে না।

মাঝে মাঝে এই অনুভূতিশুন্যতা একধরনের কষ্টের অনুভূতি দেয়। এতো শুন্য, শুন্য লাগে, কিছু একটা অনুভব করতে এত ইচ্ছা করে, ইচ্ছা করে একটা ব্লেড নিয়ে আমার হাত পা কেটে দেখি, ব্যথা লাগে কি না। অন্তত সেটাও এতো একটা অনুভূতি। অন্তত তাহলেও তো আমি বুঝতে পারব, আমি বেঁচে আছি।

সমস্যাটা শুরু হল গত বছর আমার এক কাজিন মারা যাওয়ার পর। তার সাথে আমার যে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তা নয়। বরং গত তিন বছর তার সাথে হয়ত ২বার আমার ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু মৃতদের বাড়ি থেকে আসার পর আমার কি যে হল। পিঠে ব্যথা। কোথাও যেতে ইচ্ছা করেনা। ভোররাতে একবার ঘুম ভেঙে যায়। তারপর সারাদিন ঘুমাই। বিছানা থেকে বের হতে পারিনা। ক্লাস মিস হতে থাকল। পরীক্ষা মিস হতে থাকল।

শেষে ডাক্তারের কাছে গেলে সবরকম পরীক্ষার পর অবশেষে আমাকে পাঠানো হল সাইকায়াট্রিস্টের কাছে। তিনি বললেন আমি অসুস্থ। তাও তো ভাল অসুখ ধরা পড়ল। ভাল হওয়ার জন্য সে-ই থেকে স্ট্রাগল করেই যাচ্ছি। কিন্তু এই দুই বছরে পরিস্থিতি কেবল খারাপই হয়েছে। এর চেয়ে খারাপ আর কি হতে পারে জানিনা। পড়াশুনা নষ্ট হয়েছে, শরীর ভেঙে পড়ছে। অনুভূতিশুন্য প্রকৃতি সত্ত্বেও যাদেরকে বন্ধু ভাবতাম, অনেককে হারিয়েছি, আজকাল আবার মনও খারাপ লাগে। এখনকার মত একা সম্ভবত কখনোই ছিলামনা। ২/১জন বন্ধুকে ডায়াগনসিসের কথা বলার পরে, তাদের রেসপন্স দেখে, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়, চিরদিনের মত সমাজে তুচ্ছ হয়ে থাকার ভয়ে কুঁকড়ে থাকি। তথাকথিত সুস্থ মানুষের অভিনয়টা আর করতে ইচ্ছা করেনা। তাই কারো সাথে কথা বলতেও ইচ্ছা করেনা। এটা একটা অদ্ভুত দুষ্ট চক্র। চেমবার্স নামে এক ভদ্রলোক দারিদ্র্যকে ব্যাখ্যা করতে দিয়ে ডিপ্রাইভেশান ট্র্যাপ থিওরি নামে এক থিওরি দিয়েছেন। কিছুটা সেটার মত করে এই পরিস্থিতি হয়ত কিছুটা বোঝানো যায়ঃ

সুস্থ সবল একটা মানুষকে মানসিক ডাক্তারের কাছে যেতে হলে, কিংবা ওষুধ খেতে হলে, সেটা কেবলই বিলাসিতা। এর চাইতে ভাল উপায় হচ্ছে যারা আপনার চাইতে খারাপ আছে, পঙ্গু, বৃদ্ধ, দরিদ্র, অন্ধ, তাদেরকে দেখে সান্তনা নেওয়া, শক্তি সঞ্চয় করা। যেন বিষন্ন লোকজন 'দুঃখবিলাস' করে বিনোদন লাভ করে। বিশ্বাস করেন, যখনি আপনি কোন বিষন্ন লোককে এই ধরনের কোন তুলনা দেন, মনে মনে সে আরো ছোট হয়ে যায়, ভিতরে ভিতরে কুঁকড়ে যায়। বাংলাদেশে বছরে যত মানুষ মারা যায়, তার ২% মারা যায় রোড একসিডেন্টে, কিন্তু ২% মানুষ আবার আত্মহত্যা করেও মারা যায়। আর ধারণা করা হয় যারা আত্মহত্যা করে তাদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বিষণ্ণতা বা অন্য কোন মনের অসুখে কষ্ট পাচ্ছিল। সংখ্যাটি কিন্তু খুব একটা ছোট নয়। আমরা আপনাদের আশেপাশেই আছি। আমরা হয়ত আপনাদেরই বন্ধু, বোন। প্রাণপণে চেষ্টা করছি টু ফিট ইন, টু ব্লেন্ড ইন। আপনার যদি বদ্ধমূল ধারণা হয়, যারা বিষণ্ণতা বা অন্য কোন মনের অসুখে ভোগে, তারা ইয়োগা করে, কিংবা নিজের ইচ্ছা শক্তি প্রয়োগ করে, কিংবা যদি পংগু হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে এক বেলা ঘুরে আসে তাহলেই তার জীবন বদলে যাবে, তাহলে সম্ভবত এই লেখা আপনার জন্য না। অন্যথায় আপনাকে আজকে আমি বলতে পারি, আপনার কোন কথাগুলি আসলে আমাদের কাছে কোন অর্থই বহন করেনা।

  • তোমার এতো খারাপ লাগতেসে কেন?
  • আমি জানিনা! কিন্তু বিশ্বাস করেন এই কষ্টের উপরে আমার কোন হাত নাই, হয়তো আমার ব্রেইনের ভিতরের কেমিকালগুলা কিছু জানতে পারে
  • সুস্থ হও
  • কিছু বলার নাই
  • দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে
  • বদলাবে না, আমার একটা অসুখ আছে
  • তুমি ওভাররিএক্ট করতেসো
  • হইতে পারে আমি ওভাররিএক্ট করতেসি, কিন্তু আমার কষ্টের অনুভূতি এতো তীব্র যে আমি ঠিক করে চিন্তা করতে পারতেসি না
  • প্রত্যেকের জীবনে এরকম একটা পর্যায় আসে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নাই
  • আমি তো বলতেসিনা যে আসেনা। কিন্তু তুমি কি বলতে পারো তাতে প্রতিটা মুহূর্তে কোন বড় কারন ছাড়াই তাদের এতো অসহ্য কষ্ট হয় কিনা?
  • ওষুধ খাওয়া বন্ধ কর
  • আমার ব্রেইন টিউমার হইলেও কি আমাকে একই কথা বলবা?
  • আমি জানি তোমার কেমন লাগে। আমার জীবনেও একবার এইরকম খারাপ সময় আসছিল।
  • আমি মেনে নিলাম তোমার জীবনে খারাপ সময় আসছিল, তুমি কি মানতে পার, আমি সারা জীবনই এই কষ্টের অনুভূতি বয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এই কষ্ট আমি আর চেপে রাখতে পারতেসিনা দেখেই আজকে আমার এই অবস্থা?

আসলে এই কমিকসটাতেই এই সব কথা বলে দেওয়া আছেঃ


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

আর ধারণা করা হয় যারা আত্মহত্যা করে তাদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বিষণ্ণতা বা অন্য কোন মনের অসুখে কষ্ট পাচ্ছিল।

এই ধারণাটার ভিত্তি কী? কোনো গবেষণা, যেটার সপক্ষে রেফারেন্স উপস্থাপন করা যেতে পারে? নাকি এটি আপনার ব্যক্তিগত ধারণা?

অতিথি লেখক এর ছবি

গুগল করতে এটা পেলাম, It is estimated that 90% of people who attempt or die by suicide have one or more mental health conditions. Conditions that lead to the biggest risk of suicide are described below.

Over 90 percent of people who die by suicide have a mental illness at the time of their death.

কোন পেপার আছে কিনা খুঁজে দেখিনি।

ওয়াই-ফাই ক্যান্সার

স্পর্শ এর ছবি

ক্লজেটে থাকা কথাটার একট প্রচলিত অর্থ আছে।

রাজাকারদের ফাঁসি না হলে আমার কিছুই যায় আসে না।

শুনে খুবই বিরক্ত হলাম। ডিপ্রেশন আক্রান্ত হবার কারণে মানবিকতা বিসর্জ়ন দেওয়া জাস্টিফায়েড হয়ে যায় না। এ প্রসঙ্গে স্টিফেন ফ্রাইএর কথা মনে পড়ে। বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভুগছেন দীর্ঘ্যদিন ধরে। কিন্তু তাকে এমন বেফাস কথা বলতে শুনিনি কখনো। বরং মানুষের জন্য তার মমতা লক্ষণীয়।

আপনার লেখা পড়ে মনে হয়েছে আপনি বিষণ্নতা বিলাস করছেন।
ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে অনেকেই ভোগে। কিন্তু সুস্থ দেহে সুন্দর মন। কথাটা মনে রাখবেন। বেশিরভাগ সময়-ই একঘেয়ে অসাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে বিষণ্নতায় ভোগে মানুষ। আর শারিরিকভাবে একেবারে সুস্থ্য-সবল অবস্থাতেও যদি ডিপ্রেশনে ভোগেন তখন বুঝতে হবে সমস্যা আসলেই গভীর। কিন্তু সেই গভীরসমস্যাপীড়িতদের জন্য এই লেখায় কোনো মেসেজ নেই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সহমত

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখিত আমি কোনকিছুকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছিনা। সমষ্টিগত অনেক অনুভুতিতে উদ্বুদ্ধ না হতে পারার কারণে যেই অপরাধবোধ এবং এলিয়েনেশানের অনুভূতি হয়, সেটাও খারাপ।

'গভীর' কিংবা 'অগভীর', যেকোন ধরনের সমস্যাপীড়িত মানুষের জন্যই সমবেদনা। তবে এই লেখাতে কারো জন্য কোন মেসেজ না দিতে পারা আমারই ব্যর্থতা। পরের লেখাতে চেষ্টা করব।

ওয়াই-ফাই ক্যান্সার

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্রেইন টিউমারের রোগীকে কি কেউ ওষুধ খেতে নিষেধ করে? আপনার প্রশ্ন আর উত্তরগুলো ঠিক পরিণত মনে হয়নি। অর্থাৎ কেমন রোগীর সাথে এটা কথপোকথন সেটা বুঝলাম না? সব রোগীর সাথে কথপোকপন তো একই রকম হয় না।

রাজাকারের ফাঁসি না হওয়ায় যদি আপনার কষ্টের অনুভূতি না জন্মায় তাহলে বলতে হবে সেই অনুভূতি আপনার কখনোই ছিলো না। কিছু অনুভূতি থাকে যার কখনো মৃত্যু ও হয় না। আপনার অনুভূতিগুলো মৃত্ কিংবা আপনি অনুভূতি শূণ্য হচ্ছেন এমন টা আপনার লেখা পড়ে মনে হয়নি বরং মনে হলো আপনার অনুভূতি এখনো যথেষ্ট সজাগ আছে, কি প্রশ্নের কি উত্তর হবে এই পাঠ টা পড়লে সেটা বুঝা যাচ্ছে। আপনি হয়তো গভীর হতাশায় ভুগছেন, শরীরে যখন বড় অসুখ বাসা বাঁধে তখন হতাশা আসে জীবনে কিন্তু হতাশাকে পাশ কাটিয়ে কি করে সামনে অগ্রসর হতে হয় সেটা সবাই বোধহয় জানে না। সেটার কৌশল শিখুন, প্রচুর পড়ুন দেখবেন হতাশা অনেকটাই চলে যাবে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

মাসুদ সজীব

প্রশ্ন এর ছবি

"কিছু অনুভূতি থাকে যার কখনো মৃত্যু ও হয় না।"

কথাটা শুনতে খুব ভালো লাগে, কিন্তু কথাটা আসলে সত্যি না। Assuming "অনুভূতি" দিয়ে আপনি "আবেগ" বুঝাচ্ছেন, every emotion actually makes you take or not take an action. ( Emotion is basically brain's way of stimulating or inhibiting you to take an action. )

কিন্তু মাঝে মাঝে, আমাদের কারো কারো, ব্রেইন কোন action নিতে পারার ক্ষমতাটাই হারায়া ফেলে। আপনি যে information-ই তাকে input করেন, it can't make any sense of it, and thus won't make any appropriate action. তখন আসলে you're basically worse than a robot. আপনার কাছে সব information-ই আসলে তখন meaningless. আমরা "স্বাভাবিক" মানুষরা হয়তো সেইটা অনুভব করতে পারবো না, but then, that's not necessary. ক্লিনিকাল কিসু টার্মস আছে, যেমনঃ emptiness, anhedonia, dysthymia, উইকিতে দেখতে পারেন। লেখিকার কিন্তু বয়ফ্রেন্ডের accident-য়েও কোন feeling হয় নাই, লক্ষ্য করবেন।

BitterAlmonds এর ছবি

"শুনে খুবই বিরক্ত হলাম।"
-- কেউ দেশভক্ত হবে কী না, সেটা তার নিজের ব্যাপার। আপনি যেমন স্বেচ্ছায় দেশভক্ত হয়েছেন, আমি(এবং লেখিকা) তেমনি স্বেচ্ছায় হইনি। তা নিয়ে আপনি বিরক্ত হবেন কী না সেটাও অবশ্য আপনার ব্যাপার। আর স্টিফেন ফ্রাই কে যদি বেফাস কথা বলতে না শুনে থাকেন, তাহলে তাড়াতাড়ি যেন ভাল করে শুনতে শেখেন, সেই কামনা করি। পুরো বিলেতে ফ্রাই তার "capricious, socially-awkward" পার্সোনালিটী এবং কথাবার্তার জন্য বিখ্যাত (কুখ্যাত-ও বলা চলে)। একটা documentary দেখে মানুষটাকে চীনে ফেলেছেন এটা ভাবা কী ঠিক?

"কিন্তু সুস্থ দেহে সুন্দর মন। কথাটা মনে রাখবেন। বেশিরভাগ সময়-ই একঘেয়ে অসাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে বিষণ্নতায় ভোগে মানুষ।"
-- লেখিকার জীবনযাপন যে অসাস্থ্যকর এবং একঘেয়ে সেটা অনুমান করে নিচ্ছেন কেন? হতেও তো পারে যে উনিও সেই গভীরসমস্যাপীড়িতদের মধ্যে পড়েন?

স্পর্শ এর ছবি

@BitterAlmonds
"capricious, socially-awkward" হওয়াতে আমি সমস্যার কিছু দেখি না। আমার বেশির ভাগ বন্ধুই capricious, এবং socially-awkward।
কিন্তু খুঁজে দেখান তো ফ্রাই কবে হলোকাস্ট, নৎসী এসব নিয়ে বালখিল্যতা করেছে? আর গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিচার চাইতে স্বদেশপ্রেমী হওয়া লাগে না। কিন্তু সেটার ব্যাপারে উদাসীনতা প্রকাশ করতে মূর্খতা, অমানবিকতা এসব লাগে।

শেষের যে কথাটা কোট করেছেন, সেটার আগে-পরের বাক্যও পড়েছেন তো?

যাই হোক, আপনাকে আর কিছু বোঝাতে গিয়ে সময় নষ্ট করবো না। ভালো থাকুন।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

প্রশ্ন এর ছবি

প্রথমেই আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করতেসি, কারণ সচলায়তনে ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করাকে নিরুৎসাহিত করা হলেও, আমার বক্তব্যের পুরোটুকু আমি বাংলায় প্রকাশ করতে পারতেসি না, কারণ, আমার অভ্যাস হয়ে উঠে নাই সেইটা। আমার বানানের/ গ্রামারের ভুলের জন্যও ক্ষমাপ্রার্থী। ভুল ধরায়া দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

Depression আর lack of empathy আসলে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত, indeed.

আমরা ধরেই নেই, একটা মানুষের বিচার-বুদ্ধি সব সময়, সব পরিস্থিতিতে একই রকম "human level"-য়েই থাকতেই হবে। কিন্তু বিচার-বুদ্ধি আর কি কি factors দিয়ে প্রভাবিত হইতে পারে, সেইটা ভাবি না।

এইখানে কথা বলতেসে একটা মানুষ, যে মানসিকভাবে অসুস্থ। আমরা মানসিক অসুস্থতাকে প্রায়ই "pseudo-disease" বলে ধরে নেই, কিন্তু Clinical depression আপনার অনেক cognitive aspects-কেই affect করে, including আপনার judgement, empathy, memory ইত্যাদি। আপনি ফ্রাই সাহেবের উদাহারণ দিলেন, আমি জানি এক সিরিয়াল কিলারের কথা যে বাইপোলার ছিলেন। আমি বলতেসি না, সব বাইপোলারই সিরিয়াল কিলার ছিলেন, কিন্তু বাইপোলার বা স্কিযোফ্রেনিক বা অন্য মানসিক রোগে যাদের empathy affected হয়, সেই দায় থেকে আপনি রোগটাকে মুক্ত করে ফেলতে পারবেন না। আপনি যে কোন হাসপাতালের সাইকায়াট্রি ওয়ার্ডে গেলে দেখবেন, মানসিক রোগের পরে আগে যারা দিব্যি সাধু মানুষ ছিলেন, তারাও কিভাবে কিভাবে যেন "evil" হয়ে যায়। How do you explain such changes in behaviour, if your empathy is not affected?

আরেক মানুষের জন্য মমতা না থাকাটাই এইখানে symptom. আর আমি sure, লেখিকা এইটা নিজেই identify করতে পারসেন, কারণ she did care to mention about it. ( তিনি লিখেন নাই, "টিভি দেখতে গেলে আমার গা ম্যাঁজম্যাঁজ করে", she wrote about her feeling of emptiness to some serious issues. Moreover, the writer did mention that this feeling of emptiness does cause her pain, though not always. But that's very common with patients feeling emptiness. They never feel emptiness all the time. And they never feel their emotions all the time. It even causes her want to harm herself. Those are classical symptoms of depressive disorders. ) She is very aware of many of such things, and that's something I would always appreciate. First you know what's wrong with you, then you work on it. Then you overcome it.

আমি মনে করি, লেখিকার next কাজ হইতে পারে, to figure out how she can develop the skill of empathy.

............

এইবার লেখিকাকে একটা প্রশ্ন।

আপনি রাজাকারদের ফাঁসী না হওয়ার খবর দুই বছর আগে শুনলে, আপনার কি ধারণা, আপনি ক্রোধ অনুভব করতেন? ( Even if your answer is ''No'', I still appreciate that you do know your not feeling anger is not appropriate. )

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

লেখিকাকে প্রশ্নের উত্তরঃ আমি সবসময়েই এমন ছিলাম, আমি যত ছোটবেলা পর্যন্ত মনে করতে পারি। কেউ আমার পার্সোনাল স্পেসে ইনভেড করলে আমি অনেক রেগে যেতাম, কিন্তু পরিচিত/ জাতীয়/ বৈশ্বিক কোন কারনের সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিল না। ব্যাপারটা বোঝানো কঠিন। তবে 'I still appreciate that you do know your not feeling anger is not appropriate.'- এটা বোঝার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আমি আসলে একটা সিরিজ লিখতে চাই মাঝে মাঝে কারণ আমার মনে হয়েছে আমার মত যারা আছে তারা যেন আমার মত এলিয়েনেটেড ফিল না করে। মনের অসুখের ব্যপারে ইন্টারনেটে বাংলা কোন কনটেন্টই নাই। আমাদের আশেপাশের মানুষজন অনেক বেশি নিষ্ঠুর। নিজেদেরকে এডুকেট করার ব্যপারে এদের কোন গরজ নাই। হয়ত কিছু কোয়ালিটি কনটেন্ট থাকলে অন্তত কিছু মানুষ একটু সংবেদনশীল হওয়ার চেষ্টা করত। কিন্তু আমার কাছে কাজটা এখন খুব কঠিন মনে হচ্ছে।

শিশিরকণা এর ছবি

আমি সবসময়েই এমন ছিলাম, আমি যত ছোটবেলা পর্যন্ত মনে করতে পারি।

আপনি হয়তো ছোটবেলা থেকেই বিষন্নতায় ভুগছেন কম বেশি, শিশুদের মধ্যে বিষন্নতা নির্ণয়ের হার খুবই কম। আমি যখন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গিয়ে বকবক শুরু করি, তখন বুঝতে পারি যে আমার আসলে একদম বাচ্চাকাল থেকেই বিষন্নতা ছিল। এমনকি বলতামও সেটা, যে আমার কিছু ভাল্লাগে না। ব্যাপারটাকে বড়রা সবাই কিউট এবং মজার একটা ব্যাপার হিসেবে নিয়ে উলটো আমাকে ভেংচাইত। এখনো সেই গল্প করে দেখেই মনে আছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

প্রশ্ন এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সত্যি বলার সাহসটা রাখার জন্য। কেউ যদি চায় তার সমস্যাগুলা solve করতে ( সেটা যে কোন ব্যাপারেই হতে পারে, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সমস্যা না ) , তাহলে প্রথম স্টেপটা হচ্ছে, সত্যিটা জানা। নিজের চিন্তার ব্যাপারে সত্যিটা জানা। সেইটা স্বীকার করতে যতো খারাপই লাগুক না কেন। আর, আপনি যেহেতু সত্যিটা বলতে জানেন, সমাধানটা জানার মতো মানসিক ক্ষমতাও আপনার আছে।

এইটা খুব ভালো যে, আপনি জানেন, ছোটবেলা থেকেই আপনার এই রকম সমস্যা আছে। আপনি যদি না জানেন আপনার নাকে একটা দাগ লেগে আছে, আপনি কখনোই সেই দাগ মুছতে পারবেন না।

আপনার ছোটবেলা থেকেই যদি empathy কম থেকে থাকে, সেইটা নিয়ে আশংকার কিসু নাই। It's not something you can't improve, at least, up to the level that is essential for you live a functional life. Empathy যতোটা না আমাদের জন্মগত বৈশিষ্ট্য, সমাজে বাস করার মতো লেভেলে সেটাকে নিয়ে যাওয়া ততোটাই একটা acquired skill. আপনি যেহেতু জানেন যে, lack of empathy is not appropriate for you, সুতরাং, সম্ভাবনা খুব ভালো যে, আপনি যদি চেষ্টা করেন, you can develop this skill, too.

আমার মনে হয়, empathy কেন আমাদের মধ্যে আছে, সেইটা আপনার ঠিকভাবে ভাবা হয়ে উঠে নাই।

আপনাকে একটা fact বলি। এইটা biology'র fact. এইটা আপনার, আমার, আপনার টবের গাছের, রান্নাঘরের চিপায় লুকায়া থাকা তেলাপোকার, ইলিশ মাছের, এবং আপনার পেটের কোটি কোটি ব্যাক্টেরিয়া সবার জন্যই সত্যি। আমাদের প্রত্যেকটা feature ( including প্রত্যেকটা behaviour, যেগুলাকে আমরা "মানবিক" বলে মহৎ গুণ বলে মনে করি, যেমন দান করা, genetically distant people-দের সাহায্য করা, united থাকা ইত্যাদি ), যেসব বৈশিষ্ট্যই আমাদের মধ্যে evolve করে একটা লম্বা সময় জুড়ে টিকে আছে, সেইগুলা আসলে at some point in the course of our evolution have helped our ancestors survive in conditions in which they couldn't make it otherwise. And the ones that still exist still do. ( এইখানে বলে রাখি, আপনার সব বৈশিষ্টই যে আপনাকে সব ধরণের পরিবেশে সাহায্য করবে, তা না। After all, the changes in genes that drive evolution always occur, broadly speaking, randomly. কিন্তু যে সব বৈশিষ্ট্য আমরা মানব প্রজাতির মধ্যে বড়ো একটা অংশের মধ্যেই দেখি, সেইগুলা সাহায্যই করসে, নইলে এইগুলা টিকে থাকতো না। যেমন, আমাদের দুই পা, সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা। আমাদের সামাজিক দিকটাও, যার ভিত্তি হইলো empathy, সেই রকম একটা বৈশিষ্ট্য। People call it a ''virtue", of course, they have their reasons. But objectively speaking, it's just a tool for our own survival. )

আপনাকে একটা উদাহারণ দেই। কি উদাহারণ দেয়া যায়, বুঝতেসি না। আচ্ছা, চলেন, এই পোস্টে যে বিষয়টা নিয়ে এতো কথা, সেই টপিকটা দিয়েই শুরু করি।

আমরা রাজাকারদের ফাঁসি চাই, তার একটা কারণ আছে। আরো ঠিকভাবে বললে, আমরা সমাজে যাই করি না কেন, তার একটা কারণ আছে। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা কাজেই self-interest আছে ( self বলতে এইখানে your genes-কে বুঝানো হচ্ছে, not your body. Your genes use YOU to reproduce themselves, you don't use your genes to reproduce yourself. And you share your genes with your family and close relatives. So, self-য়ের মধ্যে আপনার family'র সদস্য আর close relative-রাও আছে। ) আমরা রাজাকারদের ফাঁসি চাই, খুণীদের বিচার চাই, কারণ a society must have such a system of punishing those who harm it. আর তার কারণ হলো, there is an element essential for our survival in it. Survival of us. Survival of you. Of me and everybody else with whom we made an agreement to build this society. But most importantly, of you. There is always an agreement when several organisms together buid up a society. ব্যাখ্যা করে বলতেসি।

দেখেন, মানুষ শারীরিকভাবে একটা দূর্বল প্রাণী। আইনস্টাইন যতো বুদ্ধিমানই হোন না কেন, তাকে যদি আমাজনে ছেড়ে দেয়া হয় এক মাসের জন্য, খুব সম্ভবত তিনি বেশীদিন সুবিধা করতে পারবেন না ( and by সুবিধা, I mean বেঁচে থাকা। ) শারীরিকভাবে দূর্বল অনেক প্রাণীই সমাজে ( মানে, অনেক সদস্য মিলে একসাথে ) বাস করে, যেন একসাথে শিকারী প্রাণীদের হাত থেকে defend করতে পারে নিজেদের, বা খাবার ফলাতে পারে সবাই মিলে একসাথে। আপনি পিঁপড়াদের দেখেন, আর শ্বেতভাল্লুককে দেখেন ( জানেন নিশ্চই, শ্বেতভাল্লুক একটা solitary animal. )

তো মানুষরা একসাথে থাকে, তার কারণ হচ্ছে তাতে প্রত্যেকেরই সুবিধা আছে। And while it's regarded a virtue/ ''মহৎকর্ম'' to ''give selflessly'', truly acting selflessly would actually be a disease. ( You may or may not be aware of your benefits, intentionally or unintentionally, but your genes don't care about your awareness to everything. All it needs to do is find better ways to replicate themselves. )

তো আমরাও সমাজ শুরু করসিলাম সেইভাবেই। দশজন মিলে সমাজ শুরু করলে দশজনের সুবিধা থাকতে হবে। মনে করেন, একটা আম গাছের নীচে এক বাঘ ঘুমায়। ধরে নেন, বনে খাবারের উৎস বলতে, ওই একটাই আম গাছ। আপনারা দশজন মিলে আম গাছে গেলেন আম পাড়তে। কিন্তু বাঘ জেগে গেলে সমস্যা। আপনারা একজনকে দায়িত্ব দিলেন বাঘ ঘুমাচ্ছে কিনা দেখে রাখতে। ঘুম থেকে উঠে গেলেই যেন কোনভাবে আপনাকে একটা সংকেত দেয় ( হতে পারে, আপনাদের অন্য কোন সদসের কোমরে দড়ি বাঁধা আছে, পাহারাদারের হাতে সেই দড়ির আরেক মাথা। বাঘ জেগে গেলে পাহারাদার সেই দড়ি ধরে টান দিবে। )

তো, এখন পাহারাদার আপনাদেরকে সাহায্য করতে পারে, অথবা একটা ফন্দী করতে পারে। ফন্দীটা হলো, বাঘকে সে জাগায়া দিয়ে নিজে লুকায়া পড়বে, তাতে বাঘ বাকি নয়জনের কয়েকজনকে মেরে ফেলবে, আর মারা পড়া লোকদের আম সে খাবে।

খুব ভালো বুদ্ধি, except it's not really. সে হয়তো আজকে খাবার পাবে, কিন্তু পরের দিন আর খাবার পাবে না। তাছাড়া, সে আর বেঁচে যাওয়া মানুষদের সাথেও বন্ধুত্ব করতে পারবে না, কারণ তারা জানে যে সে বিশ্বাসঘাতক। এবং সম্ভাবনা খুব বেশী যে, এই ব্যাটাকে সামনে পাইলে বেঁচে যাওয়া মানুষরা পিটায়াই মেরে ফেলবে। ( আসল কথা হচ্ছে, সেই লোকটা আসলে বোকাচোদা। আর এই রকম বোকাচোদারা আসলে সমাজের জন্য ক্ষতিকর, more so probably than the tiger itself. )

আপনি বুঝতে পারসেন, রাজাকারটা কে। ভেবে দেখেন, বাঘের হাতে মারা যাওয়া একটা মানুষ ছিল আসলে আপনার কাযিন, বা আপনার বাবা/ মা, বা আপনার বাচ্চা ( আপনার close কেউ না থাকলে ধরে নেন, আপনি নিজেই। ধরেন, আপনি সুখে শান্তিতে জীবন কাটাচ্ছিলেন, এবং একদিন সেই ব্যাটার কারণে মারা গেসেন। ) আপনি ভাবতে পারেন, রাজাকারদের হাতে মারা যাওয়া মানুষরা আপনার কোন উপকারে আসে নাই, কিন্তু তা সত্যি না। আমাদের দেশের সবাই মিলেই একটা দেশ গড়সিলাম। সেই দেশে সবার contribution ছিলো, আমরা চাইসিলাম, আমরা সবাই মিলে কাজ করে সবাই সুবিধাটা পাবো, একটা society যে principle-এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে। কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের কাজে কামানো টাকা দিয়ে নিজের পেট ভরলেও আমাদেরকে না খাওয়ায়া রাখসিলো।

ধরেন, বনের এক মাথায় একটা আম গাছ, আরেক মাথায় নদী। আপনার আর আরেক লোকের বাসা বনের মাঝখানে, পাশাপাশি, কারণ বনের মাঝখান থেকে দুই জায়গায়ই যেতে সুবিধা। আপনি আনেন আম, সেই লোক আনে পানি। তো আপনারা দুইজন একসাথে বের হইতে পারতেসেন না, কারণ তাহলে বাঘ এসে আপনাদের বাসায় ঘুমিয়ে থাকা বাচ্চাদেরকে খেয়ে ফেলবে। তো আপনি যখন আম আনতে যান, তখন সেই লোক বাসায় থাকে। সেই লোক যখন পানি আনতে যায়, তখন আপনি থাকেন বাসায়। তো, আপনি একদিন বাঘের হাত থেকে সেই লোকের পরিবারকে বাঁচালেন। আর আপনি তাদেরকে আমও দেন। কিন্তু এক মৌসুমে নদী শুকিয়ে গেল, সে তার বাসায় জমিয়ে রাখা পানি থেকে একটুও আপনাকে দিলো না। এইরকম দিনের পর দিন। শেষে আপনার বাচ্চাটা মারা গেল।

পাকিস্তানিরা এইটাই করসিলো। সত্তুরে ভোলার ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গেসিলো, কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের টাকা দিয়ে আপেল-আঙ্গুর খাইসে। একটা পরাধীন শোষিত দেশে কি কি যে অসুবিধা হয়, তা কল্পনা করতে পারবেন না। আজকে আপনি হয়তো দশ টাকা দিয়ে সরকারী মেডিকেলে ডাক্তার দেখাইতে পারবেন ( of course, আপনি আসলে দশ টাকা দিচ্ছেন না, করের মাধ্যমে আপনি আরো বেশীই দিচ্ছেন। There's nothing called a free lunch. ), কিন্তু পরাধীন দেশে হইলে আপনাকে খাটায়া শাসক দেশ দশ টাকা কামাই করতো, কিন্তু এক টাকার ওষুধও দিতো না। আর তারপর আপনি, সম্ভাবনা খুব বেশী, মানসিক রোগী হয়ে রাস্তায় বসে বিড়বিড় করতেন । পাকিস্তানি/ রাজাকাররা যাদেরকে হত্যা করসে, আপনার জীবনের উপর তাদের ভূমিকা আপনার বাবা-মার চেয়ে কম না কোন অংশেই ( after all, your parents couldn't make you YOU, if they tried to live on their own. ) And trust me, you love your life, or at least want to. ( otherwise, you wouldn't write about yourself on Sachalayatan. )

আপনি যেমন আপনার কাছের একটা মানুষকে রাজাকাররা খুণ করলে তাদের ফাঁসী চাইতেন, আমি sure, আপনি যখন বুঝতে পারবেন, আমাদের দেশের মানুষরা আপনার জীবনকে কতোটা better করসে ( including many people যাদেরকে আপনি পছন্দ করেন না ) তাদের ছাড়া আপনার জীবনটা কতোটা unimaginably painful হইতো, আপনিও রাজাকারদের ফাঁসী চাইবেন।

এইটা necessary না যে, আপনি এখনই রাজাকারদের উপর ক্রোধ অনুভব করবেন ( there is a reason why you haven't felt it yet, you know it or not. ) But once you see more, once you see the bigger picture, eventually, আপনিও ক্রোধ বোধ করবেন। Trust me, people do help you. And you also do help people. We all help each other. It's one ( read ''I'' ) for all, and all for one ( read ''me'' ). That's the principle of human society. That's how we become human ( exactly in the same way ants become ants, or maybe, in our way of saying, hu-ants. )

( আমি মনে হয় মাথা-মুন্ডু কিসুই বুঝাইতে পারলাম না। কোন ব্যাপার নিয়ে দ্বিমত/ প্রশ্ন/ বুঝতে অসুবিধা/ ভুল মনে হইলে আমাকে জানিয়ে সাহায্য করতে পারেন। )

আশা করি আপনি আপনার বিষণ্ণতা কাটায়া উঠতে পারবেন।

আর একটা কথা। বিষণ্ণতা হচ্ছে your brain's way of telling you that you can't solve a problem, at least, on your own. But don't trust your brain. It doesn't always have all the necessary/ right information to solve a problem. So, it can and does make so many errors, in terms of the results it produces ( our individual brain hasn't evolved rapidly enough to solve all the problems of this immensely complex society we have built up collectively and so rapidly. ) You can solve lots of problems, indeed. I hope you will. Try to connect with people. You don't have to do something kind or generous or good or great for them. Just keep it mind that you're helping yourself. You're learning to help yourself. You'll make mistakes in doing so, but in your life, you'll find no better teacher than your mistakes. Remember that doing good things for people increases the chance that you would get good things in return ( maybe directly, maybe indirectly. ) And the opposite is also true.

আর আপনি লিখতে থাকেন। সচলায়তনে লিখেন বা না লিখেন, নিজের চিন্তাগুলা লেখা সব সময়ই একটা ভালো আইডিয়া। Your thoughts are probably the most exciting thing you'll be able to know in your lifetime ( trust me, your thoughts are more unfamiliar to yourself than you think. ) জীবনে একটা goal ঠিক করেন ( কোন goal আপাততঃ খুঁজে না পাইলে ছোটবেলায় বড় হয়ে যেগুলা করবেন বলে স্বপ্ন দেখতেন, সেইগুলাকেই goal বানান, যতো crazy-ই শোনাক না কেন ), সেইটার জন্য কাজ করেন। সাইকোথেরাপিস্ট যাদেরকে পাচ্ছেন, তাদের সাথেই আগান। আপনি কিছু না কিছু at least তাদের কাছ থেকে শিখবেনই। And you don't have to agree with whatever they say. যদি কোন সাইকোথেরাপিস্টের সাথে কাজ করা একেবারেই কঠিন হয়ে যায়, তখন আপনি ভেঙ্গে পড়বেন না। একজনের সাথে হয়তো কাজ করা সম্ভব হয় নাই, কিন্তু আপনি কাজ করতে পারবেন, এমন সাইকোথেরাপিস্ট খোঁজা বন্ধ করে দিবেন না। তবে সাইকোথেরাপি কোন কাজে আসবে না, যদি আপনিও ''আমল''/ apply না করেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আগে আপনার এই লেখাটার জবাব দিয়েছিলাম, কোন কারণে পাবলিশ হয়নাই মন খারাপ

আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সময় নিয়ে আমাকে একটি উত্তর দেওয়ার জন্য। আপনার এই লেখাটা পড়ে আমার সাইকোথেরাপির মত ইমপ্যাক্ট হচ্ছে। থেরাপিস্টের সাথে যখন কথা বলতে যাই তখন কিছুক্ষন উনার কথা শুনার পরে আমি আর ফলো করতে পারিনা, অনেক কঠিন লাগে। আপনার কথাগুলি ভাল লাগছে, কিন্তু কঠিন লাগছে। আপনি সামনে থাকলে হয়ত বেশি ভাল হত।

আপনি দেখছি ইভোলিউশনারি সাইকলজি নিয়ে কিছু কথা লিখেছেন, যা আমার খুবই আগ্রহের বিষয়। আপনি কি এটা নিয়ে আরো বলবেন? হয়ত আলাদা লেখাতে। আমরা খুব আগ্রহ করে পড়ব(আমি, BitterAlmonds, আরো কিছু বন্ধু)।

আমার আসলে সারাদিন অনেক ক্লান্ত লাগে আর ঘুম পায়। এতই ক্লান্ত লাগে যে পিঠ ব্যথা করে, নিশ্বাস নিতে পারিনা। একটা একটা করে দিন পার করি ভাবি আজকেও সুইসাইড করলামনা, সেইখানে আসলে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করা অনেক কঠিন কাজ মনে হচ্ছে।

ওয়াইফাই ক্যানসার

প্রশ্ন এর ছবি

আমার কোন কথাগুলা বুঝতে সমস্যা হইসে, বলতে পারেন। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো। ( আপনার ১০০টা প্রশ্ন থাকলে ১০০টাই করতে পারেন। ) আমার বুঝানোর ক্ষমতা খুব খারাপ, তবে আমি চেষ্টা করতেসি improve করার। আপনি আমাকে সাহায্য করতে পারেন by letting me know আমার কোন কোন কথাগুলা আরেকটু বোধগম্য করে বলা দরকার। ( আপনি যদি বলেন, আমি কিভাবে তা করতে পারি, সেটা আমার জন্য আরো helpful হবে। )

আচ্ছা, আমি তাহলে একটা goal ঠিক করে দিচ্ছি। আপনার goal হবে আপনার মানসিক অবস্থাকে এমন একটা পর্যায়ে improve করা, যে লেভেলে গেলে আপনি নিজের জন্য একটা goal ঠিক করতে পারবেন।

আর সেই পর্যায় পর্যন্ত যাওয়ার জন্য আপনি কিছু কাজ করতে পারেন। It's basically getting out of your depressed world. লেখাপড়াটায় সময় দিতে হবে ( আপনার হয়তো বেশী লেখাপড়া করা লাগে না, কিন্তু লেখাপড়াটা এইখানে আসলে আপনার জন্য একটা way to re-engage with your life. ) প্রেশার নেয়ার কিসু নাই। ১০ মিনিট পড়ে বিশ মিনিট ব্রেক নেন। ওই ২০ মিনিটে আপনার পছন্দের কোন বিষয়ের উপর খবর-টবর বা বই পড়ুন। ধরেন, এই evolutionary psychology নিয়েই পড়লেন। ধরে নিবেন, আপনি ১০ মিনিট পড়সেন, তাই আপনার reward হচ্ছে ২০ মিনিট আপনার পছন্দের জিনিষ পড়া। আর একটা খুব খুব খুব important কাজ। কাছের মানুষদেরকে ( পরিবারের কেউ হলে, especially বাবা-মা, ভাই-বোন, বা সন্তান, সবচেয়ে ভালো ) সময় দিতে হবে। আপনার পরিবারের কারোর জন্য প্রতি সপ্তায় কিছু একটা কিনেন। কার কি দরকার, একটু ভাবেন। Take someone's responsibility. You don't have to take all the responsibilities of that person's life. Just the ones you think are within your abilities, and can be helpful for them. ( আপনার যদি কোন ছোট ভাইবোন থাকে, তাদের লেখাপড়ায় একটু সাহায্য করা, তাদের পছন্দের কোন খাবার বানানো; বা আপনার বাবা-মার একটা-দুইটা কাজে সাহায্য করা, দিনের কিছুটা সময় তাদের কথাবার্তা শোনা। ) You won't do it without mistakes, because nobody can. But you'll learn gradually. এইখানে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কিসু নাই। আপনি নিজের জন্যই করবেন। ধরে নিচ্ছি, আপনার বয়স বিশের ঘরে। বিশের ঘরের মানুষদের enough social interaction না হলে সে এমনিতেই depression-য়ে পড়ে। এইটা আমাদের developmental psychology'র একটা অংশ। কারো জন্য কিছু করলে it gives you a sense of purpose in life.

আর একটা কথা। আপনি নিজের চিন্তা নিয়ে সব সময় objective থাকবেন। আপনার চিন্তাটা rational বা irratioal হইতে পারে, চরম অবাস্তব হইতে পারে, আপনার ভাবনাগুলার জন্য নিজেকেই খারাপ ভাবতে পারেন ( আমাদের সবারই এমন কিসু চিন্তা আছে ), নিজের ব্যাপারে subjective ১০০ রকম interpretation থাকতে পারে আপনার, কিন্তু আপনি যে কিছু চিন্তা করতেসেন, তা ১০০% real and true. আপনি যদি ভাবেনও, ( এবং এইগুলা শুধুমাত্র উদাহারণ, "আপনি" শব্দটাকে personally নিবেন না আশা করি ) আপনার ঘরে একটা বাদামী ভাল্লুক থাকে আর বসে বসে মাছ খায়, আপনাকে জানতে হবে যে, আপনি এইটা ভাবেন। আপনি যদি ভাবেনও, পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ deserves some punishment for the bad things they are doing everyday, আপনার প্রথমে জানতে হবে যে, আপনি এইটা ভাবেন। ( আর তার পরের important প্রশ্নটা হলো, আপনি কেন ভাবেন। তারপরের প্রশ্নটা হলো, আপনার কারণগুলা কি fact নাকি fact না। First you know what you know, then you know if what you know is true or not. ) বা আপনি যদি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে evil person-ও ভাবেন, আপনাকে জানতে হবে, আপনি তা ভাবেন। নিজের ব্যাপারে কোন তথ্যই নিজের কাছে লুকানো যাবে না। আপনি কি ভাবেন, শুধু সেই ব্যাপারগুলাই যদি ঠিক ঠিকভাবে সাইকোথেরাপিস্টকে বলতে পারেন, আপনি নিজেকে অনেক সাহায্য করবেন। আপনার চিন্তার মধ্যে irrational কিসু থাকলে সেইটা সাইকোথেরাপিস্টের ধরায়া দেয়ার কথা ( সাইকোথেরাপিস্টের basically এইটাই প্রধান কাজ। Behavioural কাজগুলা আপনার নিজেকেই করতে হবে। ) আপনি কি চিন্তা করেন, কি ভাবেন, তা যাই হোক না কেন, সেটা বলতে যতোই সংকোচ, ভয়, লজ্জা, অপরাধবোধ, স্বঘৃণাবোধ লাগুক না কেন। Unless you know the truth about your thoughts, you can't know the truth about the world you live in and you interact with.

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি দুঃখিত উত্তর দিতে দিতে এত দেরি হয়ে গেল মন খারাপ

আপনার এই লেখাটা বুঝতে একটু সময় লাগসে কিন্তু কোন সমস্যা হয়নাই।

"আপনার প্রথমে জানতে হবে যে, আপনি এইটা ভাবেন। ( আর তার পরের important প্রশ্নটা হলো, আপনি কেন ভাবেন। তারপরের প্রশ্নটা হলো, আপনার কারণগুলা কি fact নাকি fact না।"

আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আমি এভাবে চিন্তা করার চেষ্টা করব।

"কারো জন্য কিছু করলে it gives you a sense of purpose in life"-- এই কথাটা খুব ভাল লাগসে।

এতোটা সময় দেওয়ার জন্য আপনার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।

ওয়াইফাই ক্যানসার

মন মাঝি এর ছবি

আমাদের আশেপাশের মানুষজন অনেক বেশি নিষ্ঠুর। নিজেদেরকে এডুকেট করার ব্যপারে এদের কোন গরজ নাই।

চলুক

কুপমন্ডুক এ্যাসহোলদের হয় এ্যাগ্রেসিভলি ট্রিট করুন, নয়তো সম্পূর্ণ উপেক্ষা করুন। এদের গুরুত্ব দিলে বিষন্নতা আরও বাড়তে পারে।

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহাহাহা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কোলাকুলি

ওয়াইফাই ক্যানসার

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

আসলে আমার লেখাটা গুছানো হয়নাই। মূল লেখার প্রথম দুই প্যারাতে যা লেখা, আমি সবসময়েই এইরকমই ছিলাম। তবে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি।

শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি দুই বছর আগে আমার কাজিন মারা যাওয়ার পরে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বাংলাদেশে সিফিলিসে এত লোক মারা যায় জানা ছিল না। চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

জানার আছে অনেক কিছু।

ওয়াই-ফাই ক্যান্সার

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজাকারদের ফাঁসি না হলে আমার কিছুই যায় আসে না।
ডিপ্রেশন থেকে এভাবে সরলীকরণ হতাশাজনক। আপনি নতুন লেখা শুরু করেছেন, আমিও নতুন পাঠক। আপনার জন্য শুভকামনা।

আর লেখার শেষে আপনার নাম দেখতে পারছিনা। পরবর্তীতে লেখা দিলে নাম দিতে ভুলবেন না।

শব্দ পথিক
নভেম্বর ১১, ২০১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

সহৃদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আসলে ডিপ্রেশান থেকে কোন সরলীকরণ করা হয়নি। রাজাকারদের ফাঁসি আসলে কেবলই একটা উদাহরণ। আমি যুক্তি দিয়ে বুঝতে পারি কি হওয়া উচিত কি হওয়া উচিত না, কিন্তু সব সময় সব ঘটনাতে আমার সঠিক ইমোশনাল রেসপন্স আসেনা। যেমন আমার খুব কাছের এক বন্ধুর রোড একসিডেন্ট হলে আমি কিছুই অনুভব করিনা। কিন্তু, ধরেন, ওইশি নামে একটি কম বয়সি মেয়ে তার বাবা মা-কে মেরে ফেললে পরে ব্যপারটা নিয়ে মিডিয়াতে খুব তোলপাড় হয়। আমি ওইশিকে চিনিনা কিন্তু এই ঘটনা আমাকে ভয়াবহভাবে এফেক্ট করে। যেটা আমি কাউকে কখনো বোঝাতে পারিনি।

কোন ঘটনায় একজন কিধরনের আবেগে আক্রান্ত হবে, এটা সেই ব্যক্তি নিজে ঠিক করতে পারেনা, তার মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রণ করে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

আসলে আমার পক্ষে গুছিয়ে কোন কিছু লেখা খুব কঠিন কারণ একনাগাড়ে কোনকিছুতে মনোযোগ দিতে পারিনা। লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ওয়াই-ফাই-ক্যান্সার

প্রশ্ন এর ছবি

''কোন ঘটনায় একজন কিধরনের আবেগে আক্রান্ত হবে, এটা সেই ব্যক্তি নিজে ঠিক করতে পারেনা, তার মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রণ করে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।''

আমাদের আবেগ আসলে respiration-এর মতো automatic কিসু না। আপনি চাইলে কোন ঘটনায় কি ধরণের আবেগ বোধ করবেন, সেইটা নিজেই ঠিক করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য hard work করা লাগবে।

ধরেন, আপনি ঐশ্বীর ঘটনা শুনে কি ধরণের আবেগ বোধ করসেন, এইটা বললে বুঝতে সুবিধা হইতো। যাই হোক, প্রত্যেকটা আবেগের একটা function আছে। তা হচ্ছে, to make you/ prevent you from taking an action. We can do that by thinking, reasoning as well. Emotions are just a shortcut.

ধরেন, আপনি সুন্দরবনে গেসেন পাখির ছবি তুলতে। হঠাৎ আপনার সামনে একটা বাঘ ( আপনাকে সে সালাম দিলো না। ) আপনি পাইলেন ভয়। ভয় আপনাকে বলতেসে, ''তুমি দৌড় দাও।'' আবেগ আমাদেরকে এইখানে সাহায্য করবে। আপনি যদি ভাবেন সেইখানে দাঁড়ায়া, ''বাঘ আমার চেয়ে বেশ বড়ো। বাঘ একটা শিকারী প্রাণী। আমি ডিস্কোভারিতে দেখসি। এবং সেইদিন খবরে পড়সিলাম, বাঘ কোন মানুষকে খেয়ে ফেলসে। সুতরাং, সম্ভাবনা আছে, সে আমাকেও খেয়ে ফেলবে। এখন আমি দাঁড়ায়া থাকতে পারি, আবার দৌড়ও দিতে পারি। কিন্তু দৌড় দিলে আমার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে'', তাহলে পরিণতি কি হবে বুঝতেই পারতেসেন।

এখন আবেগটা আসলে তৈরী হইসিলো, আপনি যখন খবরে পড়সিলেন, বাঘ মানুষ খায়। আপনি তখনই ঠিক করে রাখসিলেন, বাঘ is a thing to run away from if you see it in front of you. খুবই যুক্তিসংগত চিন্তা।

সমস্যা হচ্ছে, আমরা মাঝে মাঝে ঠিক চিন্তা করি না। কিছুটা আমাদের ভুল জানার জন্য, কিছু না জানার জন্য, কিছুটা লজিকাল এররের জন্য। কিন্তু আমাদের আবেগ সেইটার উপর ভিত্তি করেই তৈরী হয়। এরপর আপনি যখন সেই অভিজ্ঞতাটার মুখোমুখি হন, সেই আবেগটা কাজ করে। সমস্যা হলো, আমরা আমাদের কি করতে হবে, সেইটা খুব ভালো মনে রাখতে পারলেও ( একটা কারণ হচ্ছে, আবেগ এইখানে সাহায্য করে ) কেন সেইটা করতে হবে, তা মনে রাখতে পারি না অতো ভালো করে। তাই দেখা যায়, একটা inappropriate আবেগটাকেও আমরা সহজে সরাতে পারি না, কারণ we don't always remember its origin in the first place. আর original thought-টা rational নাকি irrational, সত্যি না মিথ্যা, সেইটা যাচাই করা তো অনেক পরের কথা।

আপনি নিজেকে explore করা শুরু করেন। তারপর যদি দেখেন, আপনার কোন irrational emotion আছে, সেইটাকে control করা খুবই সোজা। You just have to do the opposite thing to what your emotion makes you do. একটা উদাহারণ দেই। ধরেন, আপনার যদি মনে হয়, পাতার উপর শুঁয়োপোকা দেখলেই ''আল্লাগো'' বলে দৌড় দিবেন, আপনার তাহলে প্রথমে যা করা উচিত, তা হচ্ছে, প্রশ্ন করা, ''শুঁয়োপোকা দেখে আমি ভয় পাই কেন?'' উত্তর হতে পারে, ''ওরা কামড় দেয়, ওদের দাঁতে বিষ থাকে।'' তারপর আপনি reality চেক করবেন। নেটে খুঁজবেন, অভিজ্ঞদের জিগেস করবেন। উত্তর যদি আসে, শুঁয়োপোকা আসলে পাতাখেকো প্রাণী, বিষ নাই, তখন বুঝবেন, আপনার ভয় irrational. তারপর আপনার যা করতে হবে, শুঁয়োপোকা সামনে পাইলে, opposite কাজটা করবেন। emotion বলতেসে, ''দৌড় দাও।'' আপনি জানেন, আপনার emotion irrational. আপনি দৌড় দিবেন না। দেখবেন, আপনার emotion আপনা-আপনিই control-য়ে চলে আসতেসে। কয়েকদিন শুঁয়োপোকার সামনে দাঁড়ায়া থাকলে হয়তো দেখা যাবে, আপনি তার একটা নামও দিয়ে ফেলসেন। ( তবে, আপনাকে আগে জানতে হবে, আপনার emotion-টা rational কিনা। আপনি যদি জানেন, বাঘ মানুষ খেকো, তবুও আপনি বাঘকে সামনে পাইলে দৌড় না দেন, তাহলে সেইটা irrational. আপনি তখন যদি দাঁড়ায়াও থাকেন, আপনার emotion কমবে না। )

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

আমি কোনকিছুতে তেমন ভয় পাইনা। এই যে আমার দুঃখবিলাসের কারণে জীবন তছনছ হয়ে যাচ্ছে এটা নিয়েও আসলে আমার তেমন কোন দুঃখবোধ নেই, যদিও আমি বুঝছি বিষয়টা খারাপ। আমার থেরাপিস্ট বলছিলেন ভয়ের সিচুয়েশানে ভয় পাওয়ার দরকার আছে। ঠিক আপনার মত করে বুঝান নাই, উনার মত করে বুঝিয়ে বলেছিলেন। কিন্তু আমি আপনার একদম শেষ সেনটেন্সটা বুঝিনাই।

"তবে, আপনাকে আগে জানতে হবে, আপনার emotion-টা rational কিনা। আপনি যদি জানেন, বাঘ মানুষ খেকো, তবুও আপনি বাঘকে সামনে পাইলে দৌড় না দেন, তাহলে সেইটা irrational. আপনি তখন যদি দাঁড়ায়াও থাকেন, আপনার emotion কমবে না।"

প্রশ্ন এর ছবি

Sorry, আমি পরিষ্কার করে বুঝাইতে পারি নাই।

আমি আগেই বলসি, এইটা একটা উদাহারণ মাত্র। মানুষের ভয় ছাড়াও আরো অনেক রকম emotion আছে। Joy ( brains way of reinforcing being yourself or doing more of whatever you were doing ), anger ( brain way of telling you to attack the potential danger ), shame ( to stop doing whatever you were doing ), sadness ( brain's way of telling you that the way you were doing things are not going to work, and you need to figure out alternative ways ), pride ( brains way of telling you to let other people know that you're superior to them, and they should not mess up with you ), Hate ( brains way of telling you to communicate less with somebody ), respect ( the opposite of hate ), surprise ( brains way of telling you to sense something better. )

এইখানে আমি যে theory বলসি, তা হলোঃ ''আপনি যদি জানেন আপনার একটা emotion irrational, and you are still overwhelmed by it, all you have to do to get rid of it is do the opposite action to what the emotion is making you to do.''

তো, আবার সেই আগের উদাহারণই দেই। আপনি যদি জেনে থাকেন যে, শুঁয়োপোকা বিষাক্ত না, নিরীহ পাতাখেকো, কিন্তু তবুও শুঁয়োপোকার সামনে গেলে ভয় পান, আপনার দৌড় দিতে ইচ্ছা করে; তাহলে আপনি যদি শুঁয়োপোকাকে দেখেও আপনি দৌড় না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, এবং দাঁড়ায়াই থাকেন, তাহলে আপনার ভয় কমে যাবে। আপনি তাহলে effectively, আপনার ভয়কে control করতেসেন। এবং eventually, আপনার ভয় কমে যাবে।

আর আপনাকে যে কথাটা বুঝাতে পারি নাই, তা হলো, আপনার ভয় কমার জন্য প্রথম যে শর্ত, সেইটা হচ্ছে আপনার আগে জানতে হবে যে, শুঁয়োপোকা বিষাক্ত না। আপনি যদি এইটা না জানেন, আর তবুও শুঁয়োপোকার সামনে দাঁড়ায়া থাকার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আপনার ভয় কমবে না। যেমন ছিল, তেমনই থাকবে, এমনকি বাড়ার সম্ভাবনাই বেশী।

এই পদ্ধতি কেবল ভয়ের জন্য না, যে কোন emotion-য়ের ক্ষেত্রেই সত্যি। আপনি যদি জানেন, আপনার একটা irrational emotion আছে, এবং আপনি চান, সেই emotion-টা আপনার না থাকুক, তাহলে আপনার যা করতে হবে, তা হচ্ছে emotion আপনাকে যা করতে বলে, তা না করা ( বা, যা না করতে বলে, তা করা। ) কিন্তু প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনার জানতে হবে, emotion-টা আসলেই irrational কিনা।

( আপনি হয়তো ভাবতেসেন, আপনি যদি জেনেই থাকেন আপনার emotion-টা irrational, তাহলে তো সেই emotion-ই থাকার কথা না। ভাবাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু emotion-য়ের কাজই ওইটা। একটা emotion যদি আপনার অনেকদিন ধরে থাকে, বা deeply গেঁথে থাকে কিছুদিনের জন্যও, তাহলে আপনার action-গুলা emotion দিয়ে বেশী driven হবে, reasoning দিয়ে না। )

প্রশ্ন এর ছবি

আরেকটা কথা। এই যে আপনি বললেন, " এই যে আমার দুঃখবিলাসের কারণে জীবন তছনছ হয়ে যাচ্ছে এটা নিয়েও আসলে আমার তেমন কোন দুঃখবোধ নেই, যদিও আমি বুঝছি বিষয়টা খারাপ। ", কথাটা আসলে ঠিক না। আপনার মধ্যে দুঃখবোধ আছে। এই যে আপনি বুঝছেন বিষয়টা খারাপ ( খারাপ মানে, আপনার জন্য খারাপ ) এইটাই দুঃখবোধ। আপনি সম্ভবত আপনার জীবনকে তছনছ হওয়া থেকে prevent করতে পারতেসেন না, কিভাবে তা করতে হয় না জানার জন্য। আর তাই সম্ভবত আপনি ভাবতেসেন যে, আপনি মেনেই নিসেন, আপনার জীবন তছনছই হবে, আপনার কিসু করার নাই। আর এইটাকে আপনি ''আমার কোন দুঃখবোধ নাই'' বলতেসেন। কিন্তু আসলে দুঃখ হওয়া মানেই, একটু আগেই যে লিখলাম, brain's way of telling you that the way you were doing things is not gonna work ( = আপনি বুঝছেন, বিষয়টা খারাপ ), and you need to figure out alternative ways ( which you haven't been able to do yet, so you're basically stuck at realizing that things aren't working for you. )

অতিথি লেখক এর ছবি

ডুপ্লিকেট মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এই কথাটা অসম্ভব ভাল লাগল "আসলে দুঃখ হওয়া মানেই, একটু আগেই যে লিখলাম, brain's way of telling you that the way you were doing things is not gonna work ( = আপনি বুঝছেন, বিষয়টা খারাপ ), and you need to figure out alternative ways"

আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন ছিল যদি কিছু মনে না করেন, আপনি কি সাইকোথেরাপিস্ট? আপনি কি ঢাকায় থাকেন? আপনি আমাকে উত্তর দিতে পারেন tiara8128এটজিমেইলডটকম-এ। না-ও দিতে পারেন। আপনি অলরেডি আমাকে অনেক সাপোর্ট দিচ্ছেন। ভাল থাকবেন।

ওয়াইফাই ক্যানসার

প্রশ্ন এর ছবি

না, আমি সাইকোথেরাপিস্ট না। আমি সাইকায়াট্রিস্ট বা brain science-য়ের কোন বিশেষজ্ঞও না।

সত্যপীর এর ছবি

ওয়েন ইউ লাফ দ্য ওয়ার্ল্ড লাফস উইথ ইউ। উইপ, অ্যান্ড ইউ উইপ এলোন।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার খুবই পছন্দের একটা কথা। ধন্যবাদ হাসি

ওয়াই-ফাই ক্যান্সার

শিশিরকণা এর ছবি

লেখক "রাজাকারের ফাসিতে কিছু যায় আসে না" লিখেছেন বলে অনেকে তাকে ক্যাঁক করে ধরেছেন।
আমি নিজে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের রুগী ছিলাম, অনেক কষ্টে তার কিছুটা কাটিয়ে উঠেছি। তাই অভিজ্ঞতা থেকে বলি, যারা বিষন্নতায় ভুগে, তিনি হয়ত নৈতিকভাবে বিশ্বাস করবেন রাজাকারের ফাসি হওয়া উচিত, কিন্তু হলো কি হলো না এইটা নিয়ে কোনরকম উত্তেজনা বা আবেগ তিনি অনুভব করবেন না, বা করতে পারবেন না। গোলাম আজমের আরাম দন্ড হয়েছে শুনলে আপনার মাথার মধ্যে যেমন ছ্যাৎ করে আগুন ধরে যাবে, একজন বিষন্নতায় ভোগা মানুষের সেটা না হবার সম্ভাবনা বেশি, কারণ মস্তিষ্কের কেমিক্যাল গুলো এইরকম রেস্পন্সকে সাপোর্ট দিতে পারছে না। কিন্তু তাই বলে যে রাজাকারের ফাসির রায় না হওয়াকে সে অনুচিত মনে করছে না, তা নয়। আশা করি লেখক অনুভবের অক্ষমতা এমনটাই বুঝাতে চেয়েছেন।

ব্রেইন কেমিক্যাল এক্ষেত্রে কি ভূমিকা রাখে এই নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেছিলাম একসময়, একটা খসড়া ব্লগ ও কোন চিপায় চুপায় পড়ে আছে, দেখি ঘষে মেজে সেটা পাবলিশ করা যায় কি না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

প্লিজ প্লিজ আপনার লেখাটা পাবলিশ করেন @শিশিরকণা, খুবই ভাল হবে!

শিশিরকণা এর ছবি

লেখক কে বলব, আপনি সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যান। যারা বকবকানি শোনেন তারা নন। যারা প্রেস্ক্রিপশন দিতে পারেন, এমন কারও কাছে। ওষুধ আপনাকে সাময়িক ভাবে ভালো রাখবে, কিন্তু মেডিটেশন বা যোগ ব্যায়াম, জোর করে নিজেকে বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে ফেলা, দায়িত্ব নেয়া এগুলো আস্তে আস্তে আপনার মস্তিষ্কের কেমিক্যাল ইমব্যালান্স ঠিক করতে সাহায্য করবে। এবং যদি ভাবেন ৪-৬ মাসে ঠিক হয়ে যাবে, তা নয়, আমি প্রায় ৪ বছর ধরে নিজেকে ঠিক করার চেষ্টা করছি, ঠিক হয়ে যাইনি, কিন্তু অন্তত এই বিষণ্ণতা কিভাবে হ্যান্ডল করতে হয় সেটুকু বুঝতে পারি এখন। আপনার যে একটা অসুখ হয়েছে সেটা স্বীকার করা টা প্রথম ধাপ, তার পর শিখবেন কিভাবে এই অসুখ নিয়েও ভাল ভাবে দিন কাটানো যায় সেই পদ্ধতি, তারপর সেটা ঠিক করার চেষ্টা। অনেক সময় অসুখকে আমরা নিজেরাই গুরুত্ব দেই না, অন্য মানুষের কথা তো বাদই দিলাম। আগে নিজের অসুখটাকে চিনুন, তার সাথে ফাইট দিতে আপনার কিরকম সাহায্য লাগে বুঝুন, তারপর শুভাকাংখী কাউকে বলুন আপনার কি দরকার এই অসুখ থেকে বেরিয়ে আসতে। বড় কথা ধৈর্য্য ধরুন। এই ব্ল্যাক হোল থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি সাইকায়াট্রিস্টের কাছে যাচ্ছি গত দুই বছর ধরে। এবং ক্রমাগত ওষুধ পরিবর্তনে আমি অনেক টায়ার্ড। পার্সনালিটি ডিজওর্ডারে আসলে কোন ওষুধ খুব একটা সাহায্য করেনা। বিদেশে অনেকরকম থেরাপি আছে, আমাদের এখানে এই বিষয়ে ট্রেইনড কোন থেরাপিস্টের সাথে আমার এখন পর্যন্ত মোলাকাত হয়নি। আমার আগের সাইকায়াট্রিস্ট বলেছিল আমি 'নিহিলিস্ট', কারন আমি বলেছিলাম আমি এথেইস্ট। কিছু বলার নাই।

তবে খুব সাহায্য করেছে ফেইসবুকের একটি সাপোর্ট গ্রুপ, যারা বেশিরভাগই আমেরিকান ভুক্তভোগি। দীর্ঘদিন ধরে থেরাপি নিয়ে অভিজ্ঞ যারা তারা নিজেরা অসুস্থ হলেও ক্রাইসিসের সময় অনেক ভাল সাহায্য দিতে পারে। আমি চেষ্টা করি নিজেকে এডুকেট করার, কম খারাপ দিনগুলিতে টুকটাক একটিভিটি করার, সময় খুব ধীরগতিতে আগাচ্ছে।

প্রশ্ন এর ছবি

আপনার সাইকায়াট্রিস্ট কি আপনাকে বলসেন, atheist হওয়ার কারণেই আপনি nihilistic? যদি বলে থাকেন, তাহলে atheism আর nihilism কোনটা সম্পর্কেই তার ধারণা নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

উনি যখন আমাকে খোদার উপরে ভরসা করতে বলেছেন তখন আমি বলেছি আমি বিশ্বাস করিনা, তখন আমি দেখেছি উনি লিখেছে নিহিলিস্ট। তারপর বলেছে জীবনের সব কিছু আমি কন্ট্রোল করতে পারব না। ব্যাড থিংস উইল হ্যাপেন কিন্তু আমি বাইরে যতই ভয় পাইনা ভাব দেখাই ভিতরে ভিতরে আসলে অনেক ভয় পাই দেখে আমি সবকিছু নিখুঁতভাবে কনট্রোল করতে চাই দেখে বাইরের কারো হাতে আমি কনট্রোল ছেড়ে দিতে পারিনা। এর পরে উনি কেন নিহিলিস্ট লিখেছে এইটা নিয়া আমি উনাকে কনফ্রন্ট করার পর উনি আমাকে ধর্মের পথে আনার অনেক চেষ্টা করেছে এবং বলেছে ঐশ্বরিক অস্তিত্বে বিশ্বাস না করা আমার পেসিমিজমের একটা পার্ট। আমি মোট ৩জন সাইকায়াট্রিস্টের কাছে গেছি তাদের মধ্যে ইনাকেই আমার সবচাইতে বেশি সিন্সিয়ার মনে হয়েছে কিন্তু প্রতিদিনই ঘুরে ফিরে খোদার অস্তিত্বের বিষয়টা উনি আলোচনাতে নিয়ে আসেন তাই আমি উনার ব্যপারে হতাশ হয়ে গেছি।

ওয়াইফাই ক্যানসার

প্রশ্ন এর ছবি

তার সম্পর্কে শুধু একটা শব্দঃ idiot.

তার মনে হয় জানা নাই, সাইকোলজির বাবা ফ্রয়েড একজন atheist ছিলেন। উনি সম্ভবত cognitive behavioural therapy practise করেন ( না করলেও, আমার মনে হয় না, বিরোধীতা করেন। ) CBT'র উদ্ভাবক Albert Ellis একজন atheist ছিলেন।

আকাশ  এর ছবি

শিরোনামটা বেশ কনফিউজিং, ক্লজেটের বহুল প্রচলিত একটি অর্থ আছে।

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

জানি, কিন্তু মেটাফোরটা আমার খুব পছন্দ তাই সমকামীদের থেকে কথাটা ধরেন, ধার নিলাম হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

" রাজাকারদের ফাঁসি না হলে আমার কিছুই যায় আসে না "

বাকিসব আগর-বাগর বাদ দিয়ে এটার চিকিৎসা ঠিকমত করেন ।
অন্যগুলো আপনা আপনি সাইজ হয়ে যাবে ।

শাকিল অরিত

সবজান্তা এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ডিপ্রেশনে যারা ভুগছেন, তারা পরিপার্শ্ব থেকে কী ধরনের সমর্থন পায়, তার একটা ভালো উদাহরণ দিলেন।

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

হিহিহি ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

ধন্যবাদ। চেষ্টা করব হাসি

হাসান এর ছবি

বেকুব

অতিথি লেখক এর ছবি

থাক ভাই গালি দিয়েন না

ওয়াইফাই ক্যানসার

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

ইউ জাস্ট নিড আ গুড ফ্রেন্ড।
এবং অন্যের জন্য কিছু করার জন্য খুব বেশি কিছু লাগে না, বাসার কাজের লোকটার সাথে গল্প করে দেখুন ভাল লাগলেও লাগতে পারে। শুভকামনা।

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

ধন্যবাদ। আমার আসলে খুবই সৌভাগ্য আমার কিছু খুব ভাল বন্ধু আছে যারা বুঝে হোক না বুঝে হোক, অনেক সাপোর্ট দেয় এবং সময় দেয়।

বাসার কাজের লোকের সাথে আমি গল্প করার চেষ্টা করি। যারা দিনের এতোখানি সময় এবং শ্রম আমাদের বাসায় দিচ্ছে, তাদের এটা প্রাপ্য।

আপনাকেও শুভকামনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে সদ্য একটা গল্প ফেঁদেছি, আপাতত ওটা রিসাইকেল বিন এ।কারণ লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে আরো অনেক পড়াশুনার দরকার আছে!

লেখিকার জন্য শুভকামনা। নামটা যদিও লিখেন নি।

গান্ধর্বী

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

আমিও একবার সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে একটা গল্প লিখেছিলাম! আমি সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে এখনও কিছু জানিনা। লিখুন আপনার গল্পটা, পড়তে চাই।

সত্যপীর এর ছবি

ক্লজেটের জীবন ২ আসুক।

..................................................................
#Banshibir.

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করব।

মর্ম এর ছবি

আপনি নিয়মিত লিখুন। বিষণ্ণতা আক্রান্তরা সাধারণত লেখার মত মানসিক জোর ধরেন না, আপনার সেটা আছে দেখে ভাল লাগল। আপনাদের বোঝার জন্য আপনাদের লেখা পড়তে পারাটা একটা বড় উপায় হতে পারে।

এ রোগটা মোটামোটি কাছ থেকে দেখা। এক আত্মীয়ার কথা নিয়মিত শুনতাম এক সময়, 'বটগাছ' হওয়া তাঁর জন্য- এতটুকুই। উনি এখনো ভুগছেন। আপনারা লেখালেখি করলে তাঁকে এ থেকে বের হয়ে আসার ব্যাপারে নতুন পরামর্শ দিতে পারব হয়ত।

লিখুন আপনি, আপনার পাঠকের অভাব হবে না। অপেক্ষায় থাকব আমরা।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি লেখা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব কারণ আমি লিখতে চাই।

আপনার আত্মীয়ের জন্য খারাপ লাগছে। সম্ভব হলে উনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান কারণ মনের অসুখ, শরীরের অসুখের মতই সত্যি। মনের অসুখের শারীরবৃত্তীয় কারণ আছে যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। হয়ত শরীরের অসুখ হয় ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার কারণে, উল্টোদিকে মনের অসুখ পরিবেশ, পরিবার, জীবনের বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে ট্রিগার করতে পারে। রিক্সা থেকে পড়ে গিয়ে হাত কেটে গেলে যেমন ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, ব্যান্ডেজ করতে হয়, জীবনের কঠিন সময়ে মনের কষ্ট সহ্যের বাইরে চলে গেলে, তারও চিকিৎসা নিতে হয়। মনের কষ্টের কারণে কোন মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কার্যকারিতা আস্তে আস্তে যদি হারিয়ে ফেলে, সেটা কোন কাজের কথা নয়।

আপনার আত্মীয়ের জন্য আপনার কনসার্ন দেখে ভাল লাগল, একজন মনোযোগী বন্ধু, অনেক ডাক্তার ওষুধের চাইতে ভাল সাপোর্ট দিতে পারে।

ওয়াইফাই ক্যানসার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।