অপ্রকাশিত গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৩/০৫/২০১৫ - ৩:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এসেছি নিজের কথা বলতে। আমরা মেয়েরা আজীবন বাবার কথা, ভাই বোন, স্বামী সন্তান, সংসারের কথা বলি। নিজের যে দুটা কথা আছে তা আর বলা হয় না... কাওকেই না।
ছোটবেলা থেকেই শুরু করি।
আমার বয়স তখন মাত্র ৬। বাবার ব্যবসায়িক অংশীদার এর ভাগ্নে থাকত আমাদের বাসায়। আমার চেয়ে ৬/৭ বছরের বড় হবে। প্রায়ই খেলতাম একসাথে। একদিন সে আমি সহ আরো দুইতিনজনকে গল্প শোনানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে গেল। শুয়ে শুয়ে কাথা গায়ে দিয়ে গল্প করতে করতে কাথার নীচ দিয়ে তার হাত পৌছে গেল আমার যৌনাঙ্গ এ। আমি কাওকে কিছু বলি নি।... বাবার সেই ব্যবসায়িক অংশীদার এর স্ত্রী একদিন মায়ের অবর্তমান এ আমাকে আর ঐ ছেলেকে একটা ঘরে আটকে রেখে চলে গেল। আমি বারান্দা দিয়ে চিৎকার করে ডাকছিলাম, কাঁদছিলাম। আন্টি না শোনার ভান করে রইলেন। যতটুকু মনে পড়ে ২০/৩০ মিনিট পড়ে দরজা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। সবাই ভেবেছিল ভুল করে ঘটেছে এমন। বড় হয়ে বুঝেছি, ওটা ভুল ছিল না।

বাবার ব্যবসাটাই এমন ছিল যে, ২/৩ জন কর্মচারী থাকতই বাসায় রাতে। তাদের দ্বারা যে কতবার হয়রানির শিকার হয়েছি তার
হিসেব নেই।

মা এর দুই খালাত ভাই, জামাল কাজল। মা বাবা কখনো ভাবে নি আলাদা ঘুমাতে দিতে হবে। একসাথে বড় হয়েছি, বয়সে ৫/৭ বছরের বড়। ওরাও ছাড়ে নি সু্যোগটা।
তারপর এক খালাত ভাই। ২ বছরের বড় আমার চেয়ে। মামার বাড়িতে সব ভাইবোন, মামি, নানি... তার মধ্যেও অনেক রাতে ও আমার উপর চড়াও হল।

আমার অনেক প্রিয় বন্ধু, আমার ছোট চাচা। একদিন বুকে হাত ঢুকিয়ে বলল, এটা কি?! তখন বড় হয়েছি, ক্ষেপ্তে শিখেছি। ও আর এগোতে পারে নি।

অনার্স প্রথম বর্ষ। আমার প্রথম প্রেম হাউজ টিউটরের সাথে। তখনো কোন কমিটমেন্ট হয় নি। দু'জনেই জানি, ভালবাসি। পড়া বাদ দিয়ে হাত ধরে একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে থাকি! এত অল্পতে তার পোষালো না। সপ্তাহ না পেরোতেই বাকি চাহিদাগুলো খেয়েই ফেলতে চাইল। আমি মা কে বলে তাকে বের করে দিলাম। না। কি হয়েছে আমাদের তা বলি নি। তবে মা হয়ত বুঝেছিল।

আমার এক স্কুল বন্ধু ছিল। ওর বাসায় এত যেতাম যে ওটা আমার আরেকটা বাসার মতই ছিল। একদিন বন্ধু বাড়ি নেই, জানতাম না। আমি গেছি। বাসায় শুধু আছে বন্ধুর বাবা। আমার মোবাইল অফ করে দিলেন কোন ফাকে!... কিভাবে যে সেই বাসা থেকে বেড়িয়েছিলাম!!!

ছাত্র রাজনীতি করতাম। ইডেন এ ছাত্র ফ্রন্টের সহ সভাপতি পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলাম। এজন্যে এটা বল্লাম যে, পদে কিছুই যায় আসে না। অনার্স ৪থ বর্ষে আমি তখন। আগের এতগুলো বাজে অভিজ্ঞতা আমাকে যখন একলা করে দিয়েছিল, যখন প্রতি রাতে আমি স্বপ্ন দেখতাম, কেও না কেও আমাকে রেপ করছে তখন এই পার্টির সৎসংগে জীবন বদলে গিয়েছিল আমার। তো ভাল ভাবেই পার্টি করি কয়েক বছর তখন। কিন্ত পার্টি র নানান মতে দ্বিমত পোষন এবং আরো বহু কারনে আর পার্টি করব না, ভাবছি। পদত্যাগ এর চিঠি দিয়েছি। পার্টির এক লোক, নেতা নয়, কর্মী ও নয়, কিন্ত সবার শ্রদ্ধেয়। অফিস ফাকা পেয়ে বুকে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে বসলেন। যে পার্টি আমার মা বাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, আমি ঘর ছেড়ে মেসে উঠে গিয়েছিলাম সেই পার্টি আমার অভিযোগ উড়িয়ে দিল। সেই মইনউদ্দীন এখনো আছে পার্টি অফিসে। আমার সাথে ইডেনে রাজনীতি করা মেয়েগুলো এখনো তার সাথে রাজনীতি করে যাচ্ছে। সে এখনো সবার শ্রদ্ধেয়।

এরপর এল চাকরীজীবন। স্বনামধন্য পারটেক্স ফার্নিচার লিমিটেড এ চাকরী নিলাম। সেখানকার এক কর্মচারী আমাকে লুকিয়ে আমার একটা ভিডিও করল। সব শোরুমে সবার মোবাইল এ সেই ভিডিও। জানতে পারলাম, অভিযোগ করলাম। লোকটা ছিল সামান্য লেকার পলিশার। কিন্ত জন্মেছিল তো পুরুষ হয়ে! তাই আমার অভিযোগ টিকলো না। উল্টো লোকটা অভিযোগ করল, আমাকে আমার কলিগ এর সাথে 'অড সিচুয়েশন' এ সে দেখে ফেলেছে। তাই আমি নিজেকে বাঁচাতে তার উপর এই অভিযোগ করেছি। আমার উপর তদন্ত ও হল।... চাকরী ছাড়ি নি, করেছি।
কিন্ত যখন এমন একজন সামান্য কর্মচারী এভাবে পার পেয়ে গেল, তখন শোরুমের হিসাবরক্ষক লোকটা তো আমায় যথেচ্ছ ব্যবহার্য ধরে নিলেন। 'তোমার জামায় দেখি চেইন লাগানো!' 'তোমার ফতুয়ার গলা এমন কেন?’ 'তোমার তো অখানে তিল আছে মনে হয়!’ তোমাকে আমার খুব সেক্সি লাগে'... একদিন নিজের কম্পিউটার এ ব্লুফিল্ম ছেড়ে আমাকে কাজের নাম করে ডাকলেন আর মনিটর এমন ভাবে রাখলেন যেন আমি দেখতে পাই!!!
যতদিন চাকরী করেছি নিজের জেদ আর এক পুরুষ সহকর্মীর বড় ভাই সুলভ সহযোগিতার কারনে করতে পেরেছি।

এক মহিলা সহকর্মী আমাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'এগুলো তোমার সাথেই হয় কেন?!’

আমি দীর্ঘদিন চুপ থেকেছি। তাই আমার জীবনে এতবার এই আচর লেগেছে। যখন মুখ খুলেছি, কেও বিচার দেয় নি। আমাকেই কাঠগোড়ায় দাড় করিয়েছে।
এটাই আমাদের সমাজ। এখানে মেয়ে হয়ে ওঠার আগে থেকে একটা শিশু ধর্ষিত হয়। হাতা কাটা, পিঠখোলা জামা পড়া বা নাভি দেখিয়ে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা হওয়ার অনেক আগে থেকেই তার শরীর লাঞ্চিত হতে থাকে।

আমাদের ছেলেরা সন্ধ্যা হলে বাইরে বেরোয়। অন্ধকারে দল বেধে বসে থাকে একটা মেয়ে সে পথ দিয়ে গেলে বুকে পিছে হাত লাগাবে বলে। লোকাল বাস এ ইচ্ছে করে মহিলাদের দাড়ানোর জায়গায় দাড়ায়। ইচ্ছে করে নিজের যৌনাঙ্গ অন্য মেয়ের গায়ে ঘষে দেয়। মেলা বা এসব ভীড়ে এমন করে দাড়িয়ে থাকে যাতে মেয়েগুলো ঠেলাঠেলির মধ্যে যখন বের হবে ওদের সবখানে চাপ দিয়ে দেয়া যায়! তারপর নিজেদের আড্ডায় এসব পারফরমেন্স নিয়ে গল্পও হয় শুনেছি।

বাড়তে বাড়তে এরা যখন আর চোখের আড়াল হয়ে এসব করে না, মাত্রা টা এতই ছাড়িয়ে যায় যে সাথে স্বামী সন্তান থাকলেও, দিনের আলো থাকলেও, পুলিশ প্রহরা থাকলেও রক্ষা পাওয়া যায় না তখন প্রশ্ন আসে ’আসলেই কি এতটুকুও বদলেছে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙগী?!’ ’এই কি এই শতাব্দীর নারী স্বাধীনতা?’ কিন্ত প্রশ্ন করা অন্যায়। এতে তারা সেই পুরাতন নিয়মে আমাদেরই গালি দেয়। পুরুষ এ পুরুষ এ খুব এক জোট। সবাই মিলেই আমাদের খোসা ছাড়া কলা, খোলা মিষ্টি, তেতুল বানিয়ে দেয়। আমাদের মাংসপিন্ড ঘোষনা করে নিজেদের কুকুর, নেকড়ে আখ্যা দিয়ে পৌরুষের গরবে ফুলে ওঠে!!! হায়রে পৌরুষ!!!

গুটিকয়েক পুরুষ বাদে সবাই একমত হয়, মেয়েদের মাঠে ঘাটে ঘরে সুযোগমত এভাবেই চেখে দেখতে হবে। আর কেও কিছু বল্লে, প্রতিবাদ করলে ধর্মের ঢাক পিটিয়ে তাকে পারলে পাথর ছুরে হত্যা করা হবে।

কিন্তু মেয়েরা?! তারা আত্মমর্যাদার এমন কঠিন লড়াই এর দিনেও এক হতে পারে না। হিজাব সংক্রান্ত ধর্মীয় গোলকধাঁধায় ঘুরতে থাকে আর বিভক্ত হতে থাকে!

কিছু প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ঠিকই। কিন্ত তাতে লালায়িত পুরুষ শ্রেনীর মধ্যাংগুলিটির কিছুই আসে যায় না।

তবু পথ যাদের চলবার তারা চলবোই। অপেক্ষমান নোংরা হাতগুলোকে আমরা ভাঙতে শিখবই। আমাদের পোশাক হবে আমাদের পছন্দ যেমন। উৎসবে পার্বনে যথেচ্ছ বিচরন আমরা করবোই। মায়ের জাত, দূর্বল, নরম, কোমল, নদী কিংবা ফুলের পরিচয় থেকে বেরিয়ে মানুষের পরিচয় একদিন আদায় করে নেবই।

লেখক: দস্যি


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্রমশ মিশে যাচ্ছি মাটির সাথে। লিখতে থাকুন। সোচ্চারে বলতে থাকুন কথাগুলো।

তবু পথ যাদের চলবার তারা চলবোই। অপেক্ষমান নোংরা হাতগুলোকে আমরা ভাঙতে শিখবই। আমাদের পোশাক হবে আমাদের পছন্দ যেমন। উৎসবে পার্বনে যথেচ্ছ বিচরন আমরা করবোই। মায়ের জাত, দূর্বল, নরম, কোমল, নদী কিংবা ফুলের পরিচয় থেকে বেরিয়ে মানুষের পরিচয় একদিন আদায় করে নেবই।

এটাই প্রত্যয়। ভালো থাকুন।

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

রানা মেহের এর ছবি

দস্যি,

আপনার লেখায় যেই কমন প্যাটার্ন এর কথা বলছেন এটা সর্বাংশে সত্যি। আমাদের দেশে ভিক্টিমকে দোষ দেয়ার একটা লিখিত অলিখিত কালচার আছে। আর সেই ভিক্টিম যদি যৌন নির্যাতনের হয় তাহলে তো কথাই নেই।

আপনি লড়াই করে আপনার চাকরি চালিয়ে গেছেন। নির্ভয়ে চলাচলের প্রতিজ্ঞা করছেন। সশ্রদ্ধ অভিবাদন থাকলো আপনার জন্য।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

তবে চাকরী ক্ষেত্রে উপায় থাক্লে কিন্ত আমি চাকরী ছেড়ে দিতাম। এই লড়াই করা ছাড়া উপায় ছিল না বলে করেছি।

আয়নামতি এর ছবি

তবু পথ যাদের চলবার তারা চলবোই। অপেক্ষমান নোংরা হাতগুলোকে আমরা ভাঙতে শিখবই। আমাদের পোশাক হবে আমাদের পছন্দ যেমন। উৎসবে পার্বনে যথেচ্ছ বিচরন আমরা করবোই। মায়ের জাত, দূর্বল, নরম, কোমল, নদী কিংবা ফুলের পরিচয় থেকে বেরিয়ে মানুষের পরিচয় একদিন আদায় করে নেবই।

চলুক

আপনি লড়াই করে আপনার চাকরি চালিয়ে গেছেন। নির্ভয়ে চলাচলের প্রতিজ্ঞা করছেন। সশ্রদ্ধ অভিবাদন থাকলো আপনার জন্য।

ডিট্টো

হাসিব এর ছবি

সাহসী লেখা। এরকম আরো লেখা আসুক।

তারেক অণু এর ছবি

'এগুলো তোমার সাথেই হয় কেন?!’ ---- এই কথা যে কত শুনতে হয় অত্যাচারিতকে আমাদের সমাজে, অস্তিত্বের ভিত্তি নাড়িয়ে দেয় সম্পূর্ণ ভাবে-

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার লড়াকু মনোভাবটা শ্রদ্ধার যোগ্য। এই মনোভাবটি ছড়িয়ে দিন আপনার চারপাশের নারীদের মাঝেও।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ইতরটার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করুন। পারটেক্সের জানোয়ারগুলোরও বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানান। মানুষ এদেরকে চিনে রাখুক।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত।
তবে যাতে লেখকের নিজের (মানসিক/শারীরিক/পেশাগত) ক্ষতি না হয়। দেশে এই ইতরগুলার পক্ষে কথা বলার মানুষের অভাব নাই।

- সো।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ইতরটার বিস্তারিত
পরিচয় প্রকাশ করুন। পারটেক্সের জানোয়ারগুলোরও
বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানান। মানুষ এদেরকে চিনে
রাখুক।

সহমত। এদের পরিচয় প্রকাশ হওয়া জরুরি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ছাত্র ফ্রন্টের লোক্টার পরিচয় ওতটুকুই, যে ওনার নাম মাইনউদ্দিন। উনি বাসদ খালেকুজ্জামানের গ্রুপের। পার্টি অফিসে অফিসের কাজ গুলো করেন।
পারটেক্স এর লেকারপলিশারের নাম রুবেল। বারিধারা শাখায় ছিল। এখন আছে কিনা জানি না।
হিসাবরক্ষক এর নাম হাসান। তিনি এখনো আছেন শুনেছি। একই শাখায়।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

এমন সাহসী পথচলা এবং লেখা, দুটোর জন্যই শ্রদ্ধা। যার যার অবস্থান থেকেই প্রতিবাদ করাটা শুরু করতে হবে।

তিথীডোর এর ছবি

অপেক্ষমান নোংরা হাতগুলোকে আমরা ভাঙতে শিখবই। মায়ের জাত, দূর্বল, নরম, কোমল, নদী কিংবা ফুলের পরিচয় থেকে বেরিয়ে মানুষের পরিচয় একদিন আদায় করে নেবই।

সাবাশ! চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

স্বপ্নহারা এর ছবি

এই পারভার্টরা আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে আছে, সেক্স স্টার্ভড একটা জাতি- কাউকে বিশ্বাস নেই। আদর্শ চরিত্রের অধিকারী কাউকেই যথাযথ সুযোগ পেলে পশু হয়ে উঠতে দেখি।

আর সমাজ, ধর্ম, সংস্কার, সংস্কৃতি তো আছেই সেই পুরুষদের সার্বিক প্রতিরক্ষা দিতে।

আপনার সাহসী উচ্চারণের জন্য গুরু গুরু

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

খেকশিয়াল এর ছবি

দাঁতে দাঁত চেপে পড়লাম। অনেক সাহসী একটা লেখা। শ্রদ্ধা জানবেন।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তাপস শর্মা এর ছবি

একটা শব্দ লেখার সাহস নেই আমার। শুধু অফুরন্ত শ্রদ্ধা লেখে গেলাম...

হাসিব এর ছবি

তেল গ্যাস কমিটির একটা কর্মসূচীতে ছাত্র ইউনিয়ন বনাম ফেডারেশনের একটা ঝামেলা হয়েছিলো শুনেছিলাম। এ বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন একটু?

অতিথি লেখক এর ছবি

না। জানি না এ ব্যাপারে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খুবই দুঃখজনক। বিশেষ করে যখন আপনি একটি সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাইছেন তখন যদি এমনটা হয়।

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

এক লহমা এর ছবি

চলুক
"পুরুষ এ পুরুষ এ খুব এক জোট। সবাই মিলেই আমাদের খোসা ছাড়া কলা, খোলা মিষ্টি, তেতুল বানিয়ে দেয়। আমাদের মাংসপিন্ড ঘোষনা করে নিজেদের কুকুর, নেকড়ে আখ্যা দিয়ে পৌরুষের গরবে ফুলে ওঠে!!! হায়রে পৌরুষ!!!" - লজা, লজ্জা!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।