দার্জিলিং এর গপ্পো # শেষ পর্ব # পাইনের অরণ্যে এক অপূর্ব হ্রদ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১২/২০১৬ - ৫:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দার্জিলিং শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে ৬০ ফুট বাই ৪০ ফুট আয়তনের এক মালভূমির কিনারায় দাঁড়িয়ে আছি। পায়ের ঠিক নিচ থেকে ৪৫ ডিগ্রী কোণ করে খাড়া ঢাল নেমে গেছে অনেকদূর অবধি। ঢাল জুড়ে পাইনের ঘন অরণ্য। অরণ্যের মাঝ দিয়ে চলে গেছে এক পায়ে চলা পথ। পায়ে চলা পথ ধরে এগিয়ে গেলে যেখানে ঢাল আবার উঁচু হওয়া শুরু করেছে সেখানেই ভারতের সীমানা শেষ। সীমানা অতিক্রম করে উপরে উঠতে থাকলে একসময় পৌঁছানো যাবে ছোট্ট এক গ্রাম মানেভঞ্জনে। ভারত-নেপাল সীমান্তের গ্রামটি একটি বিশেষ কারণে সুপরিচিত পর্যটকদের কাছে। ভূমি থেকে ৬৬০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামটি সান্দাকফুতে ট্র্যাকিং করতে আগ্রহী অভিযাত্রীদের কাছে বেইজ ক্যাম্প হিসাবে কাজ করে। যারা সান্দাকফুর নাম শুনেন নি তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই, সান্দাকফু পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের উচ্চতম স্থান। দার্জিলিং জেলার আওতাধীন ভারত-নেপাল সিমান্ত লাগোয়া ভূমি থেকে ১১৯৪১ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই স্থান থেকে পৃথিবীর উচ্চতম প্রথম ৫ টি পর্বতশৃঙ্গের ৪ টিই (এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোতসে এবং মাকালু) দেখা যায়। সান্দাকফু তাই শৌখিন পর্বতপ্রেমীদের কাছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেই জায়গাটির নাম সীমানা। এখান থেকে মানেভঞ্জন গ্রামটি স্পষ্ট দেখা যায়। শুধু তাই নয়, মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার ট্রেইলটিও পরিষ্কার চোখে পড়ে। চাইল এক দৌড়ে নেপাল চলে যাওয়া যাবে। কিন্তু বিধি বাম, ভারতীয়রা যখন তখন সীমান্ত অতিক্রম করতে পারলেও বাংলাদেশীদের সেই অনুমতি নেই। নেপালের ভিসা থাকলেই কেবল সীমানা অতিক্রম সম্ভব। সেটি ছিল না বিধায় মানেভঞ্জনের ওপারে উঁচু উঁচু পাহাড় দেখেই দৃষ্টিকে সান্ত্বনা দিতে বাধ্য হলাম।

আমাদের দার্জিলিং যাত্রার যবনিকাপাত আজই ঘটতে যাচ্ছে। শেষ দিনে আমাদের পরিকল্পনা দার্জিলিং হয়ে বিকল্প রাস্তায় শিলিগুড়ি পৌঁছানোর পথে মিরিক লেক ঘুরে দেখব। নেপালের সীমানা কিংবা পশুপতি মার্কেট ভ্রমণটা বোনাস। শেষ দিনে পুষ্করকে পাই নি। সে আরেকজন গাড়িচালক বন্দোবস্ত করে দিয়েছে যে কি না আমাদেরকে শিলিগুড়ি পৌঁছে দিবে। নতুন গাড়িচালকের চেহারা যথেষ্ট আকর্ষণীয়। অনিন্দ্য আর সাইমুম অনেকক্ষণ গবেষণা করেও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে নি এই ছেলে বলিউডে (নিদেনপক্ষে টলিউডে) ভাগ্য পরীক্ষা না করে কেন গাড়ি চালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমার এতসব গবেষণার সময় ছিল না। রাস্তার সৌন্দর্যে আমি তন্ময় হয়েছিলাম পুরোটা পথ। এখন পর্যন্ত আমার দেখা সুন্দরতম যাত্রাপথ দার্জিলিং থেকে মিরিক যাওয়ার রাস্তা। দুইপাশে পাইনের মেলা বসেছে। শুধু পাইন বনে একটু হাঁটার লোভে বার দুয়েক গাড়ি থামিয়েছি। সরু আঁকাবাঁকা পিচঢালা রাস্তা কখনও উপরে উঠছে আবার কখনও বা নিচে নামছে। রৌদ্রস্নাত প্রকৃতি অল্প সময়ের জন্য তাঁর অবগুণ্ঠন উন্মোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেই হয়ত চারপাশ ঝলমল করছিল। যদিও নেপালের সীমানায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আবারও হালকা কুয়াশার চাদর আমাদের আদৃত করতে কার্পণ্য করে নি মোটেও।

সীমানা থেকে একটু নিচে নামলেই পশুপতি মার্কেট। আসল পশুপতি মার্কেট না বলে অবশ্য পশুপতি মার্কেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ বলাই ভাল হবে। এই ক্ষুদ্র সংস্করণটি নেপাল-ভারতের সীমান্তে অবস্থিত। এইখানে নেপালে প্রবেশের একটি স্থলবন্দর রয়েছে। ভারতীয় এবং নেপালীগণ এই বন্দর দিয়ে আইডি কার্ড দেখিয়ে যখন তখন যাওয়া আসা করতে পারেন। দুইদেশের অধিবাসীদের বাইরে স্থলবন্দরটির সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার করেন বাংলাদেশীগণ। স্থলপথে যারা বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে নেপাল যেতে চান তাঁরা এইখান দিয়েই যান। জায়গাটার নাম পশুপতি হলেও আসল পশুপতি মার্কেটের অবস্থান ১ কিলোমিটার ভিতরের নেপাল অংশে। মার্কেট দেখার ইচ্ছে না থাকলেও নেপাল দেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ভিসা তো নেই। কি আর করা, চেকপোস্টের কাছ থেকে একটা চক্কর দিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর অপচেষ্টা চালালাম। এক জায়গায় জটলা দেখে এগিয়ে দেখি আয়োজন করে জুয়া খেলা হচ্ছে। জুয়া খেলতে যে এইরকম যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় জানতাম না। দুর্জনেরা বলেন ক্যাসিনোতে নাকি এইরকম অনেক জুয়ার সামগ্রী আছে। নাউজুবিল্লাহ-আস্তাগফিরুল্লাহ বলে ভাগলাম সেখান থেকে। সাইমুমের দেখা গেল খেলার প্রতি বিশেষ আগ্রহ। এক দান খেলবে কি না চিন্তা করছিল কিন্তু অনিন্দ্যর ছোটখাটো ঝাড়ি খেয়ে সেই ইচ্ছে উবে যেতে বেচারার সময় লাগে নি।

পশুপতি থেকে মিরিকের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এই ১২ কিলোমিটার রাস্তার সৌন্দর্য দমবন্ধ মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ। মখমলের মত চা-বাগানের বিছানার ফাঁক গলে গাড়ি নিয়ে ছুটতে হয়। ঘন সবুজ টিলা, টিলার উপর চা-বাগান, চা-বাগানের উপর ছায়া দানকারী পাইন গাছ; সব মিলিয়ে এক অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপ। মেঘের আনাগোনার কথা না হয় বাদই দিলাম। সম্ভবত এমন কোন পথে চলতে গিয়েই গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার লিখেছিলেন ,”এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হত তুমি বল তো?”

মিরিক শহরের গড় উচ্চতা ৫০০০ ফুট। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে যে হ্রদটি রয়েছে সেটির নাম সুমেন্দু হ্রদ। যদিও এই নামে অনেকেই হ্রদটিকে চিনেন না, চিনেন মিরিক হ্রদ নামে। শেক্সপিয়ারের ভাষায় বলতে হয়, নামে কি আসে যায়, সৌন্দর্যটাই মুখ্য। প্রায় সোয়া কিলোমিটার লম্বা হ্রদটির চারপাশে রয়েছে সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘের বৃত্তাকার পায়ে চলা পথ। হ্রদের একপাশে ধুপি আর পাইন গাছের ঘন অরণ্য, অন্যপাশ মোটামোটি ফাঁকাই বলা যায়। কিছু বাগান, অল্প কিছু দোকানপাট, বেশ কিছু আবাসিক হোটেল এবং ফুটপাতে কিছু খাবারের দোকান ছাড়া বেশি কিছু নেই। হ্রদের এপাশ থেকে ওপাশে যাওয়ার জন্য ইন্দ্রাণী পুল (রংধনু সেতু) নামে এক ছোট্ট সেতু আছে। সেতু পার হলে ঘোড়ায় চড়ার আমন্ত্রণ পাবেন, সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করার দায়িত্ব একান্তই আপনার। ঘোড়ায় চড়ার চার্জ একশ রুপি থেকে শুরু হয়ে ৭০০ রুপিতে গিয়ে ঠেকেছে। ধুপি অরণ্যের ভিতর দিয়ে বেশ কিছুদূর গেলে একটা মন্দির এবং তারও কিছু দূরে বৌদ্ধ উপাসনালয়ের দেখা পাওয়া যায়। গত কয়দিনে মন্দির-প্যাগোডা তো আর কম ঘুরিনি। তাই সেদিকে আর পা বাড়াই নি। তারচেয়ে বরং হ্রদে নৌকা ভাড়া করে ঘুরলে ভাল লাগতো। সেটাও কেন জানি আর করা হয়ে উঠে নি। ফেরার তারা ছিল বলেই হয়ত কোনকিছুতে আর আগ্রহ আসে নি।

মিরিকের হ্রদটি সুন্দর; কিন্তু রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্যে পাগল হওয়া এই দু’চোখ কি আর মিরিকের সৌন্দর্যে তৃপ্তি খুঁজে পাবে? জানি অনেকেই দ্বিমত পোষণ করবেন এই কথায় তারপরেও বলছি, মিরিক হ্রদের সৌন্দর্য অনেকখানিই বাড়িয়ে বলা হয় বলেই আমার মনে হয়েছে।

অতঃপর, ফেরার পালা। দ্রুতগতিতে আমাদের ট্যাক্সি ছুটে চলছিল মিরিক থেকে ৪৯ কিলোমিটার দূরের শিলিগুড়ির পথে যেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ অভিমুখী বাস। গত তিনদিনের স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো চিরদিন মনের অলিন্দে দোলা দিয়ে যাবে নিশ্চিত। দার্জিলিঙে আমরা অনেক কিছুই দেখেছি, কিন্তু দেখি নি তারচেয়েও বেশি কিছু। খুব ইচ্ছে ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখব, মেঘের আধিপত্য আমাদের সেই ইচ্ছেয় বাঁধ সেধেছে বারংবার। সমরেশ মজুমদারের গর্ভধারিণী উপন্যাসের নায়িকা জয়িতা বন্ধুদের নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল কালিম্পং এর লাভা হয়ে আরও উপরে হিমালয়ের কোন এক কন্দরে। সেখানেও যাওয়া হয় নি। সান্দাকফুর শীর্ষ থেকে এভারেস্ট দর্শন করা হয় নি। হয় নি হিমালয় মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে রক ক্লাইম্বিং এর প্রশিক্ষণ নেওয়া। চিড়িয়াখানায় লাল পান্ডা দেখা হয় নি। তিস্তা নদীর ঠাণ্ডা জলে র্যাষফটিং করার ইচ্ছেটাও অপূর্ণ থেকে গেছে। এইতো জীবন, আশা-নিরাশা-হতাশা এবং আকাঙ্ক্ষার যুগলবন্দী।

সারা পৃথিবী ঘুরে দেখতে চাই। জানি সেটা সম্ভব নয়। চাইলেই সবাই ইবনে বতুতা কিংবা হিউয়েং সাং হতে পারে না। কেউ কেউ হয়ত তারেক অণু হতে পারে। ক্ষতি কি? ছোট্ট এই জীবনে যতটুকু দেখে যেতে পারি ততটুকুই মঙ্গল। অপূর্ণতা মানুষকে পূর্ণ হতে শেখায়। নিজেকে কেন জানি পথের পাচালির ছোট্ট অপুর মত মনে হচ্ছিল যাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল প্রিয় সেই কথাগুলো,

পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন – মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে, ঠাঙাড়ে বীরু রায়ের বটতলায় কি ধলচিতের খেয়াঘাটের সীমানায়? তোমাদের সোনাডাঙা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পার হয়ে, পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে, পথ আমার চলে গেল সামনে, সামনে, শুধুই সামনে… দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে, সুর্যোদয় ছেড়ে সূর্যাস্তের দিকে, জানার গন্ডি এড়িয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশ্যে…
দিনরাত্রি পার হয়ে, জন্ম মরণ পার হয়ে, মাস, বর্ষ, মনন্তর, মহাযুগ পার হয়ে চলে যায়… তোমাদের মর্মর জীবন-সপ্ন শেওলা-ছাতার দলে ভরে আসে, পথ আমার তখনো ফুরোয় না… চলে… চলে… চলে… এগিয়েই চলে…
অনির্বাণ তার বীণা শোনে শুধু অনন্ত কাল আর অনন্ত আকাশ…
সে পথের বিচিত্র আনন্দ-যাত্রার অদৃশ্য তিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমাকে ঘরছাড়া করে এনেছি!…
চল এগিয়ে যাই।

একদিন আবারও আসব দার্জিলিং অপূর্ণ শখগুলোকে পূর্ণতা দিতে। সেই পর্যন্ত, বিদায় দার্জিলিং।

শেষ কথাঃ
২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর শুরু করেছিলাম, আজ লিখে শেষ করলাম দার্জিলিং ভ্রমণ এর পুরো অভিজ্ঞতা। ১ বছর ধরে চলা সিরিজটিতে সচলের সন্মানিত পাঠকবর্গ বিভিন্ন গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উৎসাহ প্রদান করেছেন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সচলে বিভিন্ন পোস্ট কিংবা মন্তব্যে একটা ব্যাপার চোখে পড়ত সেটা হচ্ছে অনেক সিরিজই নাকি শুরু হয়ে শেষ হয় না। মনের ভিতর তাই একটা চ্যালেঞ্জ কাজ করত যে যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, যেভাবেই হোক দার্জিলিং সিরিজ শেষ করবই করব। শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি দেখে ভাল লাগছে। সামনের বইমেলায় পুরো সিরিজটি বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে (প্রকাশককে রাজী করানো সাপেক্ষে)। সে হিসাবে বইয়ের নাম কি হতে পারে সেই বিষয়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত চাইছি। সবাইকে আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

১ম পর্ব # পশ্চিমবঙ্গে স্বাগতম
২য় পর্ব # রোড টু দার্জিলিং
৩য় পর্ব # শুভ সকাল, দার্জিলিং
৪র্থ পর্ব # মন্দির প্যাগোডার শহর
৫ম পর্ব # চা-বাগান এবং রক গার্ডেনের সৌন্দর্য
৬ষ্ঠ পর্ব # ক্যাবল কারে ভ্রমণ
৭ম পর্ব # ঘুম নগরীর ঘুম
৮ম পর্ব # আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখি নি
৯ম পর্ব # হিমালয় স্পর্শের স্বপ্ন
১০ম পর্ব # কালিম্পং! কালিম্পং!


মন্তব্য

লগ বই এর ছবি

ভালো লাগলো

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

"আমি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখি নি"

অতিথি লেখক এর ছবি

ভেবে দেখছি। আপত্তি না থাকলে আমার ফেসবুক একাউন্টে কি একটা মেসেজ দিতে পারবেন? একটু কথা ছিল। ধন্যবাদ।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সোহেল ইমাম এর ছবি

চমৎকার একটা সিরিজ শেষ করলেন। এখন মনে হচ্ছে শেষ হলো কেন আরো তো কত কিছু দেখা বাকীই রয়ে গেল। একটাই ভরসা রূপক ভাইয়ের ঝুড়িতে আরো কিছু নিশ্চয়ই রয়েছে হয়তো শুরু হয়ে যাবে আরো একটা ভ্রমন কাহিনী। পায়ের নড়াচড়া আর কলমের (কি-বোর্ডের) নড়াচড়া কখনওই যেন বন্ধ না হয়। ভালো লাগার মুহূর্ত গুলো দেবার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ হাসি । গেল অক্টোবরে শিলং-চেরাপুঞ্জি থেকে ঘুরে এলাম। পরের ধারাবাহিক শিলং নিয়ে হবে ইনশাল্লাহ।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

আহমেদ এর ছবি

ডিসেম্বর থেকে আপনার লেখার নিয়মিত সঙ্গী । চমৎকার লিখেছেন আসছে বই মেলায় আপনার ট্রেভেলগ প্রকাশিত হোক, এই কামনা এবং আগাম শুভেচ্ছা। আশা করি ভবিষ্যতে আপনার চোখ দিয়ে আবার নতুন কোন দেশ দেখতে পাবো।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি বইটা প্রকাশ হবে।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কেউ কেউ হয়ত তারেক অণু হতে পারে

তারেক অণুর মতো জিরো ফিগার কেমনে বানায়?

০২
পড়ছি পুরা সিরিজটাই। দারুণ

অতিথি লেখক এর ছবি

০১

তারেক অণুর মতো জিরো ফিগার কেমনে বানায়?

এইটা অণুদা'ই ভাল বলতে পারবেন।

০২
ধন্যবাদ।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

জিজ্ঞাসু এর ছবি

সবকটি পর্বই পড়েছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা না দেখায় ভীষণ কষ্ট পেলাম। খুব ভাল বর্ণনা। শেষ পর্ব পর্যন্ত লিখতে পারা বেশ ধৈর্যের কাজ। আরো লিখুন।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। একটু ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠলেই শিলং ভ্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় সিরিজ শুরু করব ইনশাল্লাহ।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটি পড়লাম, অসাধারণ লাগলো। বাংলাদেশের এতো কাছে এমন সুন্দর একটা জায়গা। আমাদের সকলের উচিৎ এই স্বল্প ব্যয়ের সুন্দর জায়গা থেকে ঘুরে আসা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।