লেখকেরা কেনো সব 'তারা' হতে চান ?

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ২১/১০/২০০৮ - ৩:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'মৌচাকে ঢিল' নামে স্বল্পায়তনের কাগজে যখন ধারবাহিক ভাবে 'অন্ধকারের একশ বছর'(ঠিক এটাই তো নাকি?) প্রকাশিত হচ্ছে- আমরা তখন আনিসুল হক পড়ছি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের 'রেডবুক' পড়ার উত্তেজনা নিয়ে ।
বয়স পনের থেকে কুড়ি । সদ্য সমাপ্ত স্বৈরাচারবিরোধী সফল আন্দোলনের স্মৃতি তরতাজা, সামনে আরো যুদ্ধের প্রস্তুতি । '২৬ মার্চ বিষ্যুদবার, যুদ্ধ হবে আরেকবার'

তারপর কতো চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো । ২৬ মার্চ বিষ্যুদবারের যুদ্ধটাও পথ হারালো, অন্ধকারের একশো বছরের মতো আর কোন 'রেডবুক' ও লিখলেননা আনিসুল হক ।

এদিকে হুমায়ূন আহমেদ তার উপন্যাসগুলোকে প্রহসন থেকে ফাজলামোতে নিক্ষেপ করলেন । দেখা গেলো ফাজলামোতেই বিরাট সাফল্য । বইমেলায় লাইন ধরে ধরে লোকজন তাই কেনে । প্রকাশকেরা ফ্ল্যাট কিনে দেয়, সেন্টমার্টিনে রিসোর্ট ।

আনিসুল হক কি সেই সাফল্য চেয়েছিলেন? অথবা আনিসুল হকের পরবর্তী যারা পাঠক প্রিয় ফাজলামো উপন্যাস লিখে সাফল্য পেলেন? (কারো নাম বরং নাই লিখি, বহুদিনের পুরনো বন্ধুর নাম ও আসে তালিকায় )

সাফল্যের রথ থেমে থাকেনা । উর্ধ্বগতিতে ছুটে চলে মাটি ছেড়ে শূন্যপানে । লেখক হুমায়ূন আহমেদ নাটক আর সিনেমা বানিয়ে উড়ে যান তারা হয়ে তুরীয়ানন্দে ।
আনিসুল হক বহুদিন মনে রাখার মতো নাটক লিখেন 'নাল পিরান' । তারপর তিনি ও তুরীয়ানন্দে উর্ধ্বমান ।
ক'দিন আগে ফেসবুকে দেখি একজন তার ঈদে প্রচারিত নাটকের সমালোচনা করেছেন । সেই নাটকের নাম ও 'ফেসবুক' । লিংকটা সংরক্ষন করিনি । নাটক ও আমি দেখিনি তবে আলোচনায় জানা যায়, সেই নাটকের বিষয় হলো এক তরুনের ফেসবুকীয় প্রেমে ধরা খাওয়া । ফেসবুকে সেই তরুন নাকি ভিডিও চ্যাট ও করে! আনিসুল হক সেই আলোচনায় এসে জানিয়ে যান- ম্যাকিং এর ভুলত্রুটি পরিচালকের , লেখকের নয় ।
খুব ঠিক, কিন্তু আনিসুল হকের লেখা নাটকের বিজ্ঞাপনে যে পরিচালকের চেয়ে লেখকের নামই বেশী
যায়? কোন দায়বদ্ধতা নেই তাহলে?

আমার অকারনে তার পুরনোদিনের লেখালেখির কথা মনে পড়ে যায় । অন্ধকারের একশো বছর, ফাঁদ অথবা আয়েশা মঙ্গল ।

আমার দ্বিধা জাগে আজকাল তিনি কতোটা লেখক ,কতোটা নাট্যকার? নাকি হুমায়ূন আহমেদ, আনিসুল হক এবং তাদের সাফল্যকে অনুসরনরত সকলের সাফল্যের জমি ভয়ংকর রকম উর্বরা?
সাফল্য বড় আমুদে কিন্তু সেই সাথে মেদবহুল । গিলে গায় ভেতরের ইস্পাত ও আগুন ।

আরো কাউকে কাউকে দেখি, যাদের লেখক হবার কথা ছিলো, স্বপ্ন ছিলো -তারা ও প্যাকেজ নাটক বানায়, ডকু ফিল্ম করে, সিনেমা বানানোর ও স্বপ্ন দেখে । লেখালেখি ও তারা করে অথবা করেনা ।

লেখক কি সিনেমা বানাবেনা? নাটক করবেনা? তেমন নিয়ম আছে কোথাও? থাকলে ও মানতে হবে নাকি?

অবশ্যি না । কিন্তু বেহুদা বেহুদা মনে প্রশ্ন জাগে- বাংগাল মুলুকের লেখকদের আকাশের তারা হবার এতো তাড়া কেনো? সেই হুমায়ূন আহমেদের সাফল্যের ভূত? লেখার সুত্র যদি হয় প্রহসন হয়ে ফাজলামো, যদি ধরা যায় দু একটি নাটক সিনেমা এবার- ধরা দিতে পারে সাফল্য নিশ্চিত । পাঠকের চেয়ে দর্শকের সংখ্যা বেশী, চাকচিক্য ও অধিক , নগদ প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে তত্যাধিক ।

হতে পারে এসবই ভুল । পুরো ভাবনাটাই ভুল । সে ক্ষেত্রে এই লেখা এক সামান্য পাঠকের মনোবিকার ছাড়া আর কি ?


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কারণ, 'তারা' হলে আড়ং্যের ঝলমলে পাঞ্জাবী পরা যায়। হাতে ইকোনো ডিএক্সের বদলে চন্দন কাঠের কলম আসে। বই মেলায় কাটতি বাড়ে।টক শো তে সুশীল সেজে যাওয়া যায়, বাংলালিংকের মডেল হওয়া যায় জাদু বক্সে। বিলবোর্ডে কিংবা ঈদ ফ্যাশনে 'বাংলারমেলা'র প্রচ্ছদে। সিদ্দীকা'কিংবা শারমীন আপার রান্নাঘর অনুষ্ঠানে পরিমাণমতো তেল-নুন দিয়ে জিহবা চাটা যায়।

তাই 'তাঁরা' 'তারা' হওয়ার জন্য এত 'তাড়া'য় থাকেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ফেসবুক নিয়ে আলোচনাটা চোখে পড়েছিলো, কাড়তে পারেনি।

লেখা নিয়ে কিছু বলার নেই, শুধুই সহমত। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

আমি তারা হতে চাওয়ায় দোষ দেখি না। তাছাড়া কাউকে তারা হবার ইঁদুর দৌড়ে শামিল হতে দেখাও এক বিনোদন হাসি । পাঠক থেকে দর্শক হয়ে যাবার কষ্টটা সহ্য করতে হয় আর কি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি ও দোষ দেখিনা হাসি , খালি আনন্দ দেখি চ্যানেলে চ্যানেলে
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আলমগীর এর ছবি

'ফাঁদ' আর 'মা' আমার দেখা তার সেরা বই।
নাটকে কথ্য ভাষার চলের জন্য ফারুকীরে গালি দেয় সবাই, আসলে কাজটা কিন্তু আনিস দাদা শুরু করেন।

লেখা নিয়ে আর কি কইতাম। মুগ্ধ পাঠক।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

যদি আমার ভুল না হয়, 'মা' শহীদ আজাদকে নিয়ে লেখা ।

কথ্য ভাষা নিয়ে আমার আপত্তি নেই কিন্তু তাদের আরোপিত কথ্য ভাষাকে পুর্ব বাংলার মানুষের কথ্যভাষা বলে যে ক্রেডিবিলিটি নেয়া হয়, এর মধ্যে এক ধরনের প্রচ্ছন্ন আধিপত্যবোধ কাজ করে ।

এই ভাষা এদেশের কিছু মানুষের মুখের ভাষা, সকল মানুষের নয় ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আলমগীর এর ছবি

জ্বী, আপনার ভুল হয় নাই। মা, শহীদ আজাদকে নিয়ে লেখা। বিষয় তো অবশ্যই, উপস্থাপনার জন্যও এটা একটা অসাধারণ লেখা।

আর ফাঁদ ছিলো ৫তলা থেকে লাফিয়ে পড়া একজনের দৃষ্টিতে বিভিন্ন তলার লোকজনের কাহিনী। ছিটেফোঁটা মনে আছে, কবে পড়েছিলাম তাও মনে নেই।

স্নিগ্ধা এর ছবি

লেখকেরা কেন সব 'তারা' হতে চান জানি না,' তারা'হতে চাওয়ায় তেমন কোন দোষও দেখি না - কিন্তু যে কোন কিছুতেই আমরা ভারসাম্য বলে বস্তুটি এত সহজেই হারিয়ে ফেলি কেন সেটা একটা রহস্য বটেক!! আর কবে যে বড় হবো ......

চমৎকার লেখা! বরাবরই, আপনার লেখার স্টাইলের মুগ্ধ পাঠক আমি!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

লেখাকে দ্বিতীয় সারিতে ঠেলে দিয়ে 'প্রথমতঃ নাট্যকার' হয়ে উঠা কারো ভাষ্য জানা গেলে ভালো হতো ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কথা মন্দ বলেননি। তবে ব্যাপার হল বানিজ্যিকীকরনের এই যুগে কেই বা চায় পড়ে থাকতে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পড়ে থাকা ভালো না তবে উঠে যাওয়াটা কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটা ভাবা যেতে পারে । না ভাবলে ও দিব্যি চলে যায় অবশ্য হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হিমু এর ছবি

মোরশেদ ভাই, পাঠক তো আর লেখকের কাছে মাথা বর্গা দেয়নাই। কাউকে লেখা ফেলে অন্য উপসর্গের দিকে ঝুঁকতে দেখলে পাঠক তাকে ফেলে অন্য লেখকের লেখা পড়বে। সিম্পল। এভরিওয়ন হ্যাজ দ্য রাইট টু গো অ্যান্ড গেট ওয়েস্টেড। লেখকের অভাব কখনোই হবে না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সেটা তো ঠিকই আছে ।
ভালো মন্দ সরলীকরন ও করছিনা । আমি আসলে ট্রেন্ডটা নিয়ে ভাবছি । কার্যকারনটা কি? আমি যেমন ঋনা্ত্বক ভাবছি , আসলে কি তাই?
নাকি অন্য কোন বিশ্লেষন আছে? একসময় লিখতো এমন অনেককে দেখছি নাটক-সিনেমায় ব্যস্ত ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সবজান্তা ( ঘুমের ঠ্যালায় লগিন করতে পারলাম না) এর ছবি

আনিসুল হক আজকাল অতি বাণিজ্যিক হয়ে গিয়েছেন। উনি টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না - কথাটা এক বেসরকারী টিভি চ্যানেলের বড় কর্তার, যিনি আবার আমার আত্মীয়ও হন। কথাটা আমরাও হাড়ে হাড়ে অনুভব করি। যখন আমরা বন্ধু হৃদয়ের জন্য টাকা তোলায় ব্যস্ত, তখন তাঁকে অনুরোধ করি একটা লেখা লিখে দেওয়ার জন্য। কঠোরভাবে না করেন তিনি, পরবর্তীতে অবশ্য প্রথম আলোর সম্পাদকের হস্তক্ষেপে লিখে দেন। এর আরো কয়েক বছর পর উনার কাছে যাই একই রকম আরেকটি অনুরোধ নিয়ে। এ বারও না। না করার অধিকার উনার আছে, করতেই পারেন। তবু আমাদের ভালো লাগতো, যদি উনি উনার ব্যস্ত সময়ের মাঝে থেকে দুটা মিনিট সময় বের করে, আমাদের একটু বসিয়ে, সুন্দর করে না বলতেন। তিনি হেঁটেছেন রুদ্ধশ্বাসে প্রথম আলো অফিস থেকে বসুন্ধরা সিটির দিকে, ফিরেও তাকাননি একবার। শুধু ঘাড় গোঁজ করে না করে গিয়েছেন, আর চোখে মুখে স্পষ্ট বিরক্তি দেখিয়েছেন।

জানি মন্তব্যটা ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে গেল, তবুও করলাম। সাফল্য যখন মানুষকে পেয়ে বসে, তখন মানুষ, বোধহয় নিজেকে আর মানুষ ভাবে না, মহাপুরুষ ভাবতে শুরু করে।

আলমগীর এর ছবি

আমি তখন রিক্সা করে যাচ্ছিলাম, ঠিক মগবাজার মোড়ে....
আমার সিএনজি ওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, কী ব্যাপার....
ড্রাইভার, গাড়ীটাকে হুস করে টান দিলো, আমি দেখলাম....

মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ভিউপয়েন্ট এভাবে পাল্টাচ্ছে।

সৌরভ এর ছবি

সবজান্তার কমেন্টটা ঠিকাসে। ঘটনা আসলে এই। টাকা।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এটা আসলে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনের কালচারের কারণেই হচ্ছে বলে মনে করি।

ব্যাপারটা এরকম, আমি জানিনা এটা বলায় লেখকরা ক্ষেপবেন কিনা, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ধারনা হলো, যে কোনো লেখকই চান যে তাঁর লেখা ছড়িয়ে পড়ুক, অনেক অনেক মানুষ পড়ুক;
সোজা কথা খ্যাতিমান লেখক হতে সবাই চান।

এখন আসি আমাদের "সাহিত্য অঙ্গনের কালচার" সম্পর্কে, মানে খ্যাতিমান লেখক হবার কি সিলসিলা আমাদের সাহিত্য অঙ্গনে প্রচলিত আছে সেটার দিকে নজর দিতে চাই।

এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে যে ব্যারিয়ারটা পার হতে হবে সেটা হলো বিদগ্ধজনের মুগ্ধতা। সাহিত্যাঙ্গনের বিদগ্ধজনেরা মুগ্ধ হলে আপনার প্রথমদিকের প্রকাশিত বইয়ে তাঁদের জ্ঞানগর্ভ রিকমেন্ডেশন, পত্রিকা সম্পাদকদের সাথে সুসম্পর্ক, নাট্য অঞ্চলেও পরিচিতি -- এসব লাভ হবে। বলাবাহুল্য, এই অর্জনটাই সবচেয়ে কঠিন, অধিকাংশ লেখকই এখানে এসে এমন আটকা খেয়ে যান , তবে সেটা যোগ্যতার অভাবেও হতে পারে, আবার তাঁর কম্প্রোমাইজ করার মানসিকতা না থাকার কারণেও হতে পারে।

এটা একবার অর্জন করে ফেললেই আপনার ডোমেইন বদল হয়ে যায়, মানে, এতদিন আপনার পাঠক/ এড্রেসী ছিলো বিদগ্ধজনেরা, সেখান থেকে এখন আপনি ওপেন পাবলিক ডোমেইনে ঢুকে গেলেন।
এই নতুন ডোমেইনের যারা কম্পোনেন্ট, তারা বিদগ্ধজনদের মতো একই কনভেয়ার লাইনে চিন্তা করেনা, তাদের হাজার হাজার মত। তো, খ্যাতির জন্য এখন যেহেতু আপনাকে এই হাজার হাজার মতের মানুষদের মন জয় করতে হবে, আপনাকে টপিক সিলেক্ট করতে হবে খুব সাবধানে। যেটা দিয়ে যেন কেউ না খেপে ওঠে।
তখন টপিক হিসেবে "সস্তা সুড়সুড়ি মার্কা প্রেম" বা "মিসির আলী মার্কা একই শিয়ালের ছানাকে পনেরোবার দেখানো" ছাড়া আর কিই বা থাকতে পারে?এখানে টপিক বেছে রাখার ব্যাপারে পুঁজিবাদেরও একটা বড় প্রভাব আছে, সেটা মানতেই হচ্ছে।

কাজেই, খ্যাতিমান লেখক যখন ডোমেইন বদল করেন, তখন তাঁর লেখার টপিক বদলাতে বাধ্য!

এটা হয়েছে পাবলিক ইন্টারেস্ট আর পাবলিক ডোমেইনে ঢোকার আগে যে ছাঁকুনী (বিদগ্ধজনের স্তর) আছে তাঁদের ইন্টারেস্টে বিশাল তফাতের কারণে।

সেজন্যই দেখুন, যারা ডোমেইন বদলের সাথে সাথে টপিক বদল করেননি, তাঁরা সেরকম তুমুল পাঠকপ্রিয়তা পাননি, তাঁদের পাঠকের সংখ্যা খুব সীমিতই রয়ে গেছে। লোকে তাঁদের নাম নেয়, শ্রদ্ধা করে ঠিকই, কিন্তু পড়ে কি?

এখানে আসলে একজন হুমায়ুন বা আনিসুলের তেমন কিছু করার নেই বলেই আমার মনে হয়।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

হিমু এর ছবি
পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দোষটা আমগো মতো আমপাবলিকের। তারা যদি পাত্তা না দেয় তাইলেই তো ‌'তারা'র পতন হয়। তা না করে আমরা পাবলিকরা তাদের মাথায় নিয়ে নাচি। তেনারাও তূরীয় আনন্দ পান।
আর 'তারা' হওয়ার ব্যাপারে শুধু লেখগো দোষা দিয়া লাভ নাই। দুনিয়ার সব মানুষগো মনে মনে তারা হওয়ার লোভ আছে। আবার ব্লগেও তো দেখি তারা মার্কা ব্লগারদের। তাদের ব্লগবাজি মানুষগো ব্লগে ব্লগে (মুখে মুখে) ফেরে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

তার লেখা আমরা গিলেছি অনেক দিন।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

পলাশ দত্ত এর ছবি

আসলে অকারণ-লেখার একটা সীমা থাকা উচিত; যেটা 'আমাদের লেখকরা' ভুলেই যান 'তারা' হতে গিয়ে।

'ফাঁদ' উপন্যাস লিখেছেন যে-আনিসুল হক তিনিই লেখনে এইরকম নাটক। কী অদ্ভুত।।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

শিক্ষানবিস এর ছবি

তারা হতে চাওয়া হয়তো দোষের না। কিন্তু তারা হতে গিয়ে বাংলাদেশের অধিকাংশই যে এখন ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন তাতে সন্দেহ নাই। তারপরও মনে করি, লেখকের অভাব হবে না।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

তারা না হইলে উপায় কি? পেট খালি রাখলে যে কোনোটাই হবে না।

ইমদাদুল হক মিলনকে কেউ প্রশ্ন করেছিলেন- ভূমিপুত্র'র মত লেখা আর পাচ্ছি না কেন?

-লেখকের উত্তরও ছিলো এমনই অভাবকে জয় করার অভিপ্রায়ে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই বিষয়ে কিছু বলবো ভাবছি কাল রাত থেকে। সেটা বড় পরিসরেই। কিন্তু ঝামেলাটা হলো সেটা লেখার মতো মনারোপ করতে পারছি না। মাথা কেমন আউলা আছে নানান জটিলতায়।
নিজেকে এখন এ বিষয়ে উপযুক্ত ভাবছি না।
হয়তো পরে একসময় আলাদা পোস্ট দিতে পারি। অথবা ব্যস্ততায় হারিয়ে যেতে পারে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত আহমেদ এর ছবি

তারা হবার বাসনা সব লেখকেরই কমবেশি থাকে। মাধ্যম না হয় টিভি নাটকই হলো। এসবে সমস্যা নেই। সমস্যা হলো তারা হবার জন্য সস্তা পথ বেছে নেয়া। বাংলাদেশে ইদানিং সস্তা পথের পথিক বেশি। তবে এই পথে পাওয়া খ্যাতি স্বল্পস্থায়ি হয় বলেই মানি।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

মন জাগাতে নয়, মন জোগাতে

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এ জন্যই তারা হওয়ার আগেই টিভি নাটক লেখা শুরু করব বলে মনস্থ করেছি । হাসি

আসল ব্যাপার হচ্ছে লেখকদেরও টাকা পয়সা দরকার । আর সেই টাকা পয়সাটা যেহেতু "ভুংভাং" লিখেই আসছে , সুতরাং সেদিকে ঝুকে পড়তে ক্ষতি কী ?

বেশিরভাগ লেখকদের বোধহয় একটা সময়ের পরে আর নতুন কিছু দেয়ার থাকে না । তখন টাকা রোজগারটাই মূখ্য হলে অসুবিধা কোথায় ?
যদি কোন লেখক সেইদিকে ঝুঁকে পড়েন তাকে দোষ দেই না ।

সবসময়ই নতুনরাই সম্ভাবনা তৈরী করবেন , তারপর তাদের মাঝের বড় একটা অংশ ঝরে পড়বেন , বাকীদের মূখ্য অংশ প্রফেশনাল হয়ে হাবিজাবি লিখবেন , আর খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ হয়তো শেষ পর্যন্ত তাদের নিজেদের লেখালেখি চালিয়ে যাবেন ।

পুরোনো তারাদের দিকে না তাকিয়ে উদীয়মান নক্ষত্রের দিকেই আশাবাদী হয়ে থাকি তাই ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার ভেতরে এক গ্রাম ছিল
বস্তি সেখানে এখন...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ভাবতাছি ব্লগ নিয়া একটা নাটক লিখুম...



অজ্ঞাতবাস

অমিত আহমেদ এর ছবি

এইটা বদ্দা দারুণ হবে। অভিনয়ে সচলগ্রুপ। নজরুল ভাই ডিরেক্টর। প্রোডিউসার smc ভাই। হো হো হো


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

নজু ভাইরে আর smcরে জিগানো দর্কার....



অজ্ঞাতবাস

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জমবে খুব । আজিব আজিব কারেক্টার আছে । ছাগু কারেক্টটারটা খুব জনপ্রিয় হবে বলে মনে হয় । তাছাড়া ভিলেন হিসেবে কামড়বাজ , শালীখোর , ফিটার এমন বিভিন্ন চরিত্রের রঙিন উপস্থিতি একটা রূদ্ধশ্বাস অবস্থার জন্ম দেবে ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

অনেক অনেক আগে একটা সিনেমা দেখেছিলাম। নাম ছিলো The Stars Fall Upward

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সদয় মন্তব্য করে এই পোষ্টকে ঋদ্ধ করলেন যারা, তাদের সবাইকে এক কাতারে সালাম ।

'তারা' হওয়ায় সমস্যা নাই, সমস্যা নাই ' পয়সা কামাই' এও । ধন্দ টেকে পরিচয় বদলে ।

ফেসবুক কল্যানে জেনেছি টোকন ঠাকুর, কামরুজ্জামান কামু দু জনেই এখন ব্যস্ত পরিচালক । তারা কি আর কবিতা লিখেননা? কবি পরিচয়ের উপযোগ কি ফুরিয়ে গেছে?

মাহবুব লীলেন মঞ্চ নাটক করেন ছোট বেলা থেকেই, ইদানিং টিভি নাটক ও করেছেন । তার কবি স্বত্বা বেঁচে থাকুক তবু ।

এই আর কি হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

টোকন ঠাকুর, কামরুজ্জামান কামু

দারুন দুইটা উদাহরণ টানলি রে ! তোর লেখা পড়ে আমার( আরও অনেকের সঙ্গে ) প্রিয় দুই কবির কথাও মনে পড়ছিলো খুব !
সেই অন্তরনগর ট্রেন ও অন্যান্য পদাবলী' র কবি টোকন ঠাকুরের শেষ বই ( নার্স আমি ঘুমাই নি ) পড়ে
কিংবা অহেতুক গুঞ্জনমালার দিকে লেখা কামরুজ্জামান কামু কে আর এমন কবিতা লিখতে না দেখে যে বেদনা জাগে , সেটার পেছনে কেবল ''তারা'' হবার বাসনাই সর্বাংশে দায়ী কী-না , জানি না , কিন্তু বিশালাংশে যে দায়ী তা হলফ করা যায় !!

( তোর এই পোস্ট নিয়ে দীর্ঘ একটা মন্তব্য দেবো ভাবছিলাম । কিংবা হয়তো আলাদা একটা পোস্ট-ই ...দেখি ...)

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ব্লগ নিয়া একটা নাটক হইলে কিন্তু মন্দ হয় না... লেইখা ফালান বদ্দা... দেশে ফেইসবুক নিয়া নাটক হইছে... আমি একটা বানাইছি ইয়াহু গ্রুপ নিয়া... এখন ব্লগটাই বাকি আছে।

আর ভালো উদাহরণ টানছেন মোরশেদ ভাই... আসলেই এই বিষয়ে একটা পোস্ট দিবো পরে একসময়, তবে অচিরেই... সুমনদাও দিয়েন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রণদীপম বসু এর ছবি

হাসান ভাই, পোস্টে সহমত না দ্বিমত দেবো বুঝতে পারছি না।

আসলে লিখিয়েদের মধ্যে দুটো বিষয়ই হয়তো কাজ করে। শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা, আর বিনোদন। প্রত্যেক লেখকই চান সেরা লেখাটি লিখতে। কিন্তু সেরা কি আর গণ্ডায় গণ্ডায় আসে ! কিন্তু লেখার তাড়না তাকে স্থির থাকতে দেয় না। অবশেষে হয়তো যা বেরোয়, তা বিনোদনই হয়ে যায়।
তবে লেখক যদি মানুষের জন্য লিখেন, তবে তো বিনোদনধর্মিতার পাঠকই বেশি। সেক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক চিন্তায় তিনি তো সংখ্যাগরিষ্টের জন্যই লিখলেন। বোদ্ধা পাঠক চিরকালই সংখ্যালঘু।
যদিও এরিষ্টটল গণতন্ত্র নামটাকে একদমই সহ্য করতে পারতেন না। তাঁর মতে, ঝড়ে পড়া দিকশূন্য জাহাজের দিক ও গতি যদি গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্ধারণ করা হয়, তবে সে জাহাজের পরিণতি সলিল সমাধি। এখানে ক্যাপ্টেনকেই তাঁর মেধা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সে বিবেচনায় লেখককেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তিনি কী লিখবেন। এখানে আরো অনেকগুলো অনুঘটক ও প্রবণতার প্রভাবও রয়ে গেছে। সে যাক, শেষপর্যন্ত হয়তো রবীন্দ্রনাথের কথা দিয়েই বলতে হয়- ভালো যতো কম হয় ততোই ভালো। নইলে নিজেদের ভীড়েই ভালো আর ভালো থাকে না, মাঝারী হয়ে যায়।
সমস্যা হলো আমরা মাঝারীটা থেকেও বঞ্চিত হয়ে পড়ছি দিনে দিনে।

তবে এ বিষয়টা সংক্ষেপে আলোচনার মতো নয়। এর আরো বিষদ আলোচনা হওয়া দরকার।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসান মোরশেদ এর ছবি

রণ'দা,
পোষ্টে সহমত বা দ্বিমত নয়, আপনার নিজের মতটাই জরুরী ।
'তারা' হয়ে উঠা কিংবা 'পয়সা কামানো'-কোনটাতেই আমার আপত্তি নেই; আমি নিজে ও পয়সা কামানোর ধান্দায় চলি ।
লেখকেরা পাঠকের রুচি বুঝে লিখবেন নাকি পাঠকের রুচি তৈরী করা দায়িত্ব নেবেন- সে তর্ক ও তোলা থাক ।

আমার ভাবনাটা খুব নিরীহ- যারা লেখক হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন কিংবা পেতে পারতেন তারা কেনো ঝাঁকে ঝাঁকে ডিজিটাল মিডিয়ায় ঝুঁকছেন? লেখা দিয়ে ইমাজিনেশন তৈরীর ক্ষমতা যাদের ছিলো কিংবা আছে তারা কেনো ভিজুয়ালাইজেশনের লিমিটেশনে নিজেরা ঢুকছেন, অন্যদের ও ঢুকাচ্ছেন?

কার্যকারন কি? শুধুই অধিক পয়সার সুযোগ অধিক খ্যাতি, অধিক চাকচিক্য? নাকি আরো অন্য কিছু?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মুজিব মেহদী এর ছবি

প্রথমত একটু আপত্তি জানাই শিরোনামটির গঠনে, মানে ওখানকার 'সব' শব্দটি নিয়ে। যদিও অনুমান করি যে আপনি এখানে হয়ত all অর্থে 'সব' বলতে চান নি, যতটা চেয়েছেন শব্দকটির বিন্যাসে ঘনিয়ে ওঠা সংগীতকে বাজিয়ে তুলতে। আমি 'সব' শব্দটি নিতে পারছি না, কারণ অসাধারণ ক্ষমতা ও যোগ্যতা নিয়েও আমাদের অনেকেই 'তারা' হবার বিপরীত দিকে হেঁটে এসেছেন, এখনো হাঁটেন। সব ভাষার লেখক-পরিচালকদের মধ্যেই এমন একাংশকে পাওয়া যাবে, যাঁরা খ্যাতির পেছনে দৌড়ান না আদতে। ধরা যাক চলচ্চিত্রবোদ্ধা মোহাম্মদ খসরু ভাইয়ের কথা, ধরা যাক কবি শান্তনু চৌধুরীর কথা।

একজন সৃজনশীল মানুষ শিল্পমাধ্যমের একাধিক শাখায় সাফল্যের সাথে বিচরণ করতে পারবেন না, তাও কোনো কথা নয়। এমনও হতে পারে, হয়ও যে, যে মাধ্যমে কাজ করে একজন পরিচিতি কুড়িয়েছেন, সে মাধ্যম ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে সাফল্যের চূড়ায় আরোহণ করবেন। আমরা শুরুতে কবি পরিচিতিতে সর জমতে থাকা সেলিম আল দীনের কথা বলতে পারি, যিনি পরে প্রধানত মঞ্চের জন্য শিল্পসফল দ্বৈতাদ্বৈতবাদী রচনা লিখে অসাধারণ খ্যাতি অর্জন করেছেন। এক্ষেত্রে বাংলাভাষার কবি চিত্রপরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের নামও করা যায়। তাঁর কবিতা নিয়ে আমাদের কারোরই প্রায় তেমন আগ্রহ নেই, কিন্তু তাঁর সিনেমায় আমরা কে মুগ্ধ নই?

একটা শিল্পাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে যেদিকে হাঁটলে আরো শিল্পকে (রবীন্দ্রনাথের 'আরো সত্য'-এর অনুসরণে) পাওয়া যায়, সস্তা খ্যাতি ও কাঁচা পয়সার দিকে ধেয়ে হেঁটে, সেই পরম পাওয়ার সম্ভাবনাকে নষ্ট হতে দেয়াতেই যত বিপদ। এক্ষেত্রে পাঠক/ভোক্তা হিসেবে নিজেরা আশাহত হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছু বস্তুত করার নেই। তাঁদের দোষ ধরা বা বাধা দেওয়ারও এক্ষেত্রে সুযোগ কম। রাশি রাশি স্বপ্নচূর্ণের উপর দিয়ে দিনের পর দিন হাঁটতে সবার ভালো লাগে না। কেউ কেউ স্বপ্নকে মূর্তিময় রূপে দেখতে চান, অন্যরকম স্বপ্ন। যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য এসে সকালসন্ধ্যা জড়াজড়ি করে থাকে।

যাঁরা ওদিকে হাঁটার হাঁটুন, আমরা হাঁটব না, নাকি বলেন মোরশেদ ভাই?
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

খেকশিয়াল এর ছবি

হায় ফাঁদ ! সেই আনিসুল হককে দেখি না আর, মনে হয় ঐ গল্পের ম হয়েই পড়ে মারা গেছেন ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।