গণহত্যার মামলায় কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা গ্রেফতারঃ প্রেস রিভিউ

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: বুধ, ১৪/০৭/২০১০ - ৭:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল ১৩ই জুলাই ২০১০ তারিখ বিকালে দুই ঘন্টার ব্যবধানে জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা গ্রেফতার হয়েছে । বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এই খবর ও  এর আনুষাঙ্গিক তথ্যগুলো রিভিউ করার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট লেখা । এখানে পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যগুলোর একটা তুলনামূলক যাচাই করা হবে ।

 

আলোচনার সুবিধার জন্য প্রথমেই কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার গ্রেফতারের ঘটনাটাকে মূল খবর হিসেবে ধরে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন সংযুক্ত বিষয়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করা হবে । বাংলা পত্রিকাগুলোর মধ্যে দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক সমকাল, দৈনিক আমাদের সময়ের তথ্যগুলোর তুলনা করা হয়েছে । 

কেন এই গ্রেফতার

 মামলাঃ

ঠিক কোন মামলায় কামারুজ্জামান ও কাদেরকে গ্রেফতার করা হলো সে সম্পর্কে সবচেয়ে তথ্য বেশী পাওয়া যায় নয়া দিগন্ত ও দৈনিক সংগ্রামে । নয়া দিগন্ত জানাচ্ছে "২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে পল্লবীতে গণহত্যার ব্যাপারে আদালতে একটি পিটিশন করা হয়। ২৪ জানুয়ারি আদালত তদন্তপূর্বক মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরদিন ২৫ জানুয়ারি সেটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। পরে মামলাটির তদন্তভার সিআইডি’র ওপর ন্যস্ত হয়।" মামলার বিস্তারিত নথিভুক্তি সম্পর্কে দৈনিক সংগ্রাম জানাচ্ছে মামলাটির নম্বর ছিলো ৬০ । সংগ্রাম আরোও জানাচ্ছে "বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বাদি আমীর হোসেন মোল্লা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে একটি পিটিশন মামলা (নং-১০/০৮) দায়েরের পর মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানা পল্লবীতে আদালত পাঠিয়ে দেয়। দন্ডবিধির ১৪৮/৪৪৮/৩০২/৩৪/২০১/৩২৬/৩০৭/৪৩৬ ধারায় মামলাটি পুলিশ রুজু করে। বর্তমানে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তথ্যবিভাগ-সিআইডি তদন্ত করছে। এর আগে পল্লবী থানার এসআই হামিদুর রহমান তদন্ত করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির ইন্সপেক্টর নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী।"

মামলার এই খুটিনাটি তথ্যগুলো দিতে অন্য পত্রিকাগুলো ব্যর্থ হয়েছে বলা যায় । প্রথম আলো মামলার তারিখ হিসেবে "গত ২৫শে জানুয়ারি" লিখেছে । অর্থাৎ এ বছরের ২৫শে জানুয়ারী মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ! মামলার বাদি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা আমীর (অামির) হোসেন মোল্লার কথা প্রায় সবগুলো পত্রিকা লিখেছে । মানবজমিন উল্লেখ করেছে আমির হোসেন মোল্লা একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা । দৈনিক সংবাদ লিখেছে মামলাটি করেছেন জাকির হোসেন নামের একজন । নয়া দিগন্ত লিখেছে বাদির নাম জাকির হোসেন মোল্লা ।

মামলার আসামী কারা

সমকালে সর্বমোট ৭০ জন আসামীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে । কালের কণ্ঠ বলছে সংখ্যাটা ৮০ । সংগ্রামে ৬০/৭০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে । এদের মধ্যে প্রথম দশজন মূল আসামী এবং বাকিদের অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়েছে । এদের মধ্যে কালের কণ্ঠ ও মানবজমিন প্রথম ১০জনের নাম জানানো হয়েছে । এরা হলেন - "জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মীর আবুল কাসেম, সরদার আবদুস সালাম, খাজা অসিম উদ্দীন (মৃত) আকতার গুণ্ডা (অবাঙালি), নেওয়াজ (অবাঙালি) ও ডোমা (অবাঙালি)" (মানবজমিন) । প্রথম আলো জানিয়েছে আসামীরা ১৯৭১ এ অবাঙ্গালিদের নিয়ে ৬০-৭০ জনের একটি বাহিনী তৈরী করেন ।

কিসের জন্য মামলা

ঘটনাস্থলঃ আগেই বলা হয়েছে মামলাটি করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা । ১৯৭১ সালে মিরপুরে সংঘটিত এক গণহত্যার অভিযোগ তিনি তাঁর মামলায় এনেছেন । মিরপুরের ঐ জায়গাটির নাম আসলে কী সেটা নিয়ে পত্রিকাগুলো বিভিন্নরকম তথ্য লিখেছে ।

  • সমকাল,  কালের কণ্ঠ,  ভোরের কাগজ -  আলেকদী গ্রাম

  • মানবজমিন - আলবদী গ্রাম

  • সংবাদ - আলোকদি গ্রাম

  • আমাদের সময় - আলোবদি গ্রাম

  • নয়া দিগন্ত - আলোকদী গ্রাম

তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে দৈনিক সংগ্রাম । তারা আলোকদী, আলুবদি, আলবদী তিনটি নামই ব্যবহার করেছে ! সবগুলো পত্রিকার এতোগুলো কম্বিনেশন দেখে পাঠকের কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই জায়গাটির নাম আসলে কী ।

ঘটনাঃ

ঘটনার সময়কাল সম্পর্কে সংগ্রাম বলছে "১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল ফজরের আযানের সময় ও একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টা" । সময়কালে এসে প্রথম আলোর মতো নয়া দিগন্তও তারিখ কেলেংকারিতে জড়িয়েছে । নয়া দিগন্ত লিখেছে "পল্লবী থানার ওসি জানান, ২০০৮ সালে মিরপুরের আলোকদী গ্রামে গণহত্যা সংঘটিত হয়" । নয়া দিগন্তের রাজনৈতিক পক্ষপাত বিবেচনায় এই ভুল ইচ্ছাকৃত কিনা সেই প্রশ্ন উঠতে পারে । অন্য কোন পত্রিকা এই সময় বিষয়ে আলোকপাত করেনি ।

সমকাল জানাচ্ছে ১৯৭১ সালে আসামীদের গঠিত বাহিনী দ্বারা তাঁর ৬৪ নিকটাত্মীয় নিহত হন । প্রথম আলো আরো একটু বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে "১৯৭১ সালের আমীর হোসেন মোল্লা মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে ১০০-১৫০ মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে আসামিদের আস্তানা আক্রমণ করেন। তখন কাদের মোল্লার নেতৃত্বে নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, মীর আবুল কাশেম, সরদার আবুল কালামসহ অন্য আসামিরা ভারী অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর গুলি চালায়। এতে বাদী আমীর হোসেন মোল্লার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার শহীদ হন। বাদীর ডান পায়ে ও ডান হাঁটুতে গুলি লাগে। পরে স্বজনদের খুঁজতে এসে অনেকেই ঘাতক আল-বদরদের হাতে নিহত হন।" তো প্রথম আলো এই ঘটনা দিয়ে "গণহত্যার" ছবিটা পরিস্কার করতে পারেনি । মানবজমিন আরো একটু পরিস্কার করে লিখেছে "কাদের মোল্লার নেতৃত্বে অবাঙালিরা ৩৪৪ জনকে হত্যা করে ৩টি কুপে লাশ ফেলে দিয়ে মাটিচাপা দেয়। ঘটনার সময় বাদী ও তার পরিবার কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন ।" তো নিহতের সংখ্যা ৬৪থেকে বেড়ে ৩৪৪ হলো এখানে এসে ।

আমাদের সময় এই ৩৪৪ সংখ্যা বহাল রেখেছে । মানবজমিন জানাচ্ছে "নেতৃত্বে বদর বাহিনী প্রথম আক্রমণ করে ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল। ওইদিন ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয় ও একসঙ্গে ৬৪ জনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলির পর গ্রামের তিনটি কূপে মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে মোট ৩৪৪ জনকে ওই তিন কূপে মাটিচাপা দেয়া হয়। এদের মধ্যে ২৮০ জন কৃষি শ্রমিকও রয়েছে।" মানবজমিনের খবরের মাধ্যমে পুরো ছবিটা আস্তে আস্তে পরিস্কার হয় ।  এই তিনটি পত্রিকা ছাড়া বাকি পত্রিকাগুলো নিহতের সংখ্যার মতো গুরুত্বপূর্ন তথ্যটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে ।

অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ

  • ফেইসবুকে সচল নজমুল আলবাব এই গ্রেফতার সংক্রান্ত নিউজ শেয়ার করে সেখানে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন "যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে প্রথম গ্রেপ্তার... (সম্ভবত)" । নজমুলের মতো আমারো এই সন্দেহটা ছিলো যে এই গ্রেফতার কি আসলেই এই জাতীয় মামলায় প্রথম গ্রেফতার? উত্তরটা শুধুমাত্র সমকালে পাওয়া যায় । সমকাল জানিয়েছে "এ মামলায় ইতিমধ্যে মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।" অর্থাৎ কামারুজ্জামান এবং কাদের মোল্লা এই জাতীয় মামলায় দ্বিতীয় গ্রেফতার ।

  • গ্রেফতারের ঘটনা সন্ধ্যা ৬টা । এই ঘটনার পর পত্রিকার ট্রেসিং বের হওয়া পর্যন্ত যথেষ্ট সময় ছিলো মামলার বাদি আমির হোসেন মোল্লার একটা সাক্ষাৎকার নেবার । দুঃখজনক ব্যাপার হলো কোন পত্রিকা সেটা নেবার প্রয়োজনবোধ করেনি । রাত জেগে বিদেশ বিভূয়ে অক্টোপাসের শুড়ের মহিমাকীর্তনে পত্রিকাগুলো ভালো সময় দিলেও এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ন বিষয়টিতে তাদের তৎপরতা হতাশাজনক । কালের কণ্ঠে কামারুজ্জামানের নির্বাচনী এলাকা শেরাপুরের কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া ছাপা হয়েছে শুধু । মানবজমিন লিখেছে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা কি রঙের পোষাক পরিহিত ছিলেন! খবরের বলিহারি সব।

  • মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লার সাক্ষাৎকার বা তাঁর বিষয়ে কোন তথ্য দিতে ব্যর্থতার পাশাপাশি পত্রিকাগুলো আসামিদের বিষয়েও খুব বেশি কিছু লেখেনি । ব্যতিক্রম শুধু আমাদের সময় এবং ভোরের কাগজ । আমাদের সময় দুটি আলাদা নিউজ করেছে তাদের অতীত নিয়ে । ভোরের কাগজ নির্ভরযোগ্য বইয়ের বরাতে কয়েক ছত্র লিখেছে ।

  • কালের কণ্ঠ তাদের সংবাদে গণহত্যা শব্দটাকে সিঙ্গেল কোটে আবদ্ধ করেছে । আমার বিবেচনায় এটা করা হয় তখন যখন কোন বিষয়ে অমীমাংসিত থাকে বা অন্য কারো মত হিসেবে কোন ঘটনা বা বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয় । কালের কণ্ঠ কি মনে করছে গণহত্যা হয়েছে কিনা সেটা এখন অমীমাংসিত ? কালের কণ্ঠ আসামীদের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার করেছে । তাঁদের/এঁরা ব্যবহৃত হয়েছে কালের কণ্ঠে খবরে । একই পত্রিকায় গত ১০ তারিখে ১৫লাখ গাছের জীবন বাঁচাতে কাজ করাদের কথা বলতে চন্দ্রবিন্দু দেখা যায় নি । জানতে ইচ্ছে করে কালের কণ্ঠের এই বানান রীতির সিদ্ধান্তগুলো কে নেয় ।

শেষ পর্যন্ত কী দাড়ালো ?

বাংলাদেশে বা মোটাদাগে ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস বইগুলোতে রেফারেন্সের অভাব এখানকার ইতিহাস চর্চাকে এগোতে দেয় না । তথ্য আছে হয়তো । কিন্তু সেই তথ্য যাচাই করার সুযোগ নেই । এই ডিজিটাল যুগে সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই রেফারেন্স হিসেবে নিজেদের তথ্যকে সঠিক ও ব্যবহার্য করে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে না দেশের পত্রিকাগুলো । ভুল, বিকৃত, অসম্পুর্ন তথ্যের ভিড়ে আসল খবর খুঁজে বের করতে ঘর্মাক্ত হতে হয় । এই কথাটা জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ন খবর বা ততোটা গুরুত্বপূর্ন নয় এরকম খবর দুই ক্ষেত্রেই সত্য । সাম্প্রতিক দু'টি খুনের ঘটনা বয়ানে পত্রিকাগুলো হিন্দি সিনেমার স্কৃপ্ট লিখে পাতা ভর্তি করেছে । আমি নিশ্চিত জানি ঐ ঘটনা দু'টি নিয়ে এরকম একটা প্রবন্ধ দাড় করাতে গেলে সেটা খুব উপাদেয় কিছু হবে না । এই লেখা থেকেও খারাপ হবার সম্ভাবনা বেশী । দুর্ভাগ্য আমাদের যে এইসব ভুল বা বিচ্যুতি থেকে আমাদের পত্রিকাগুলো কিছু শেখে না । সম্পাদক কি খোঁজ নিয়েছেন আমির কিভাবে জাকির হলো ? বা সম্পাদক কি জানতে চেষ্টা করছেন এখন যে ৩৩৪ থেকে ২৭০ জন কীভাবে বাদ পড়ে গেলো খবর থেকে ? কেন গ্রামের নামটা ঠিকঠাক পাওয়া গেলে না সেটারও কোন সুরাহা হবে না । উত্তরটা আমরা সবাই জানি । অতীত ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই আজকের জিকির ।

সূত্রঃ

একই সাথে ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত ।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি
দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক

দ্রোহী এর ছবি
বিপ্লব কুমার কর্মকার  এর ছবি

আপনার যুক্তি প্রাসংগিক ।

বেশির ভাগ পত্রিকায়ই মনে হয় কোন পার্ট টাইম সাংবাদিক বা ঐ জাতীয় অল্প বয়স্ক কোন হোমড়া চোমড়াকে দিয়ে এইধরনের রিপোর্ট করিয়েছে । না হলে তথ্যের এত বিকৃতি হওয়ার কথা নয় ।যাই হোক আমরা আশা করব মুল তদন্ত কর্মকর্তা “অল্প বয়স্ক কোন হোমড়া চোমড়া” ধরনের কেঊ হবেন না , যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও পেশাদার হবেন ।

সরকার মনে হয় ধীরে ধীরে এগুচ্ছে । এটা খুবই ভাল একটা দিক ।প্রথম ৩ জনকে আটক করেছিল ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের জন্য ।এখন দুইজনকে আটক করা হল ’৭১ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা ও গনহত্যার জন্য ।আশা করা যায় সিরিয়ালের পরেরগুলাকে সরাসরি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগেই আটক করা হবে ।

কিন্তু হতাশ হই যখন কিছু মন্ত্রী বলে এখনই কাউকে যুদ্ধাপরাধের মামালায় গ্রেফতার করা হবে না ,বা মীর কাশিমের নামে যুদ্ধাপরাধের কোন অভিযোগ নেই –এই জাতীয় কথা বললে ।

মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর বিদেশে পলায়ন কিংবা কোন কোন মন্ত্রির ইসলামী ব্যাংক
থেকে ঋন নিয়ে বাড়ি করার খবরের পর যখন মন্ত্রি বলেন ,ঐ ব্যাংকের মালিক যুদ্ধাপরাধি নয় তখন “যুদ্ধাপরাধ ইস্যু”টা শেষ পর্যন্ত রমরমা ব্যবসা আর দুহাতে টাকা কামানোর ইস্যুতে পরিনত হয় কিনা – তা দেখার বিষয় ।

হাসিব এর ছবি

আমি যেসব পত্রিকার কথা লিখেছি তার সবগুলোই প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা । ওসব পত্রিকায় লিড নিউজ হেজিপেজি শিক্ষানবিশ দিয়ে করানো হয় না বলেই জানি ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গভীর বিশ্লেষণ। চলুক

দ্রোহী এর ছবি

তবে গ্রেফতার করে লাভ নাই। দেখা যাবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসে সাক্ষ্য দেবেন এই বলে যে - এই শুওরের বাচ্চাগুলি ১৯৭১ সালে তার সাথে যুদ্ধ করেছিল।


কি মাঝি, ডরাইলা?

হাসিব এর ছবি

আমি ঐটা নিয়ে পোস্ট করতাম । কিন্তু ভেবে দেখলাম এইটা গুরুত্বপূর্ন বেশী । পরে একসময় ঐটা নিয়ে লিখবো ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বঙ্গবীর জনাব গুণের মতোই গুণান্বিত হয়ে গেছেন, বহু আগেই।
তিনি যদি কালকে সংবাদ সম্মেলন করে নিজামীকে বীরোত্তম/বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা দিয়েও ফেলেন, আমার কাছে সেটা খুব স্বাভাবিকই লাগবে। তাই এই ব্যাপারে বিচলিত অন্তত আমি হবো না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কল্পনা আক্তার এর ছবি

আমি মুগ্ধ আপনার এই লেখাটি পড়ে। কতটা গভীরভাবে পড়েছেন এবং বিশ্লেষন করেছেন প্রতিটি বিষয়কে, আমি সত্যিই মুগ্ধ!

আচ্ছা, আমাদের সচল পরিবার থেকে কেউ কি মামলার বাদীর সাক্ষাতকার নেওয়ার চেষ্টা চালাতে পারি/পারেন না!!
................................................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

হাসিব এর ছবি

ধন্যবাদ । খুবই ভালো প্রস্তাব । ঢাকার কেউ এই বিষয়টা নিয়ে একটু দেখবেন ?

হাসিব এর ছবি

হিমু, প্রকৃতিপ্রেমিক - আমি বাংলাদেশের তথ্যপ্রবাহের অথেনটিসিটি নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন । এরকম হলে ভবিষ্যতে কোন বিষয়ের ওপরও বিতর্ক ছাড়া তথ্য নিয়ে ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ সম্ভব হবে না ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভয়ানক বিশ্লেষণ। আফসোস, পেশাগত(!) সাংবাদিকেরা এই দিকগুলো বিবেচনায় না রেখেই দেশের প্রধান সব পত্রিকায় প্রধান সব খবর প্রকাশ করেন!

গ্রামের নামের ব্যাপারে কেবল প্রথমে 'আ', তারপর 'ল' এবং শেষে একটা 'দ' ছাড়া আর কোনো ব্যাপারেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

সংখ্যা নিয়ে আর কী বলবো! এমনিতেই গত চার বছর ধরে তিরিশ লাখ-এর জায়গায় 'তিন লাখ' শুনতে শুনতে আর শোধরাতে শোধরাতে অসুস্থ হয়ে যাবার যোগাড়। এখন একটা মামলায় গণহত্যার শিকার হওয়া ২৭০-জনই 'নাই' হয়ে গেলো আমাদের মহামান্য সব পেশাদার রিপোর্টারের কল্যানে। এই নিয়ে আরও কতো বছর আমাদের শোধরানো লাগে কে জানে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব এর ছবি

এইটাই কথা । ছাগুদের মুখে শুধু শুধু কিছু কাঠাল পাতা গুজে দেয়া ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পত্রিকার একজন সাংবাদিকের জন্য কোনো একটি মামলার এজাহারের কপি বের করা কোনো ব্যাপারই না। এজাহারটা বের করতে পারলেই মামলার সব তথ্য লিখিত আকারে দেখা সম্ভব। তাহলেই আর কোনো তথ্য বিভ্রাট থাকার সম্ভাবনা থাকে না।
কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কেউ এই কষ্টটুকু করে নাই। কোনো এক পুলিশ অফিসারের মৌখিক সাক্ষাৎকার থেকেই সব তথ্য নিয়েছে তারা।

আমি আশ্চর্য হই নাই!

তবে আপনার এই বিশ্লেষণটা চমৎকার। গুরু গুরু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কল্পনা আক্তার এর ছবি

মামলার কপি বের করার দায়িত্ব আমি নিতে পারি।
................................................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বস...
এজাহারের কপিটা পারলে বের করে সচলে লিখে ফেলেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

আমারো সেইটাই সন্দেহ । ডেস্কে বসে করা রিপোর্ট সবগুলোই । মোবাইল দিয়েছে এদিক ওদিক । তারপর সেগুলো কম্পাইল করে যেনতেন একটা রিপোর্ট।

বিপ্লব কুমার কর্মকার  এর ছবি

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লার মোবাইল নম্বর বা ঠিকানা যদি কেউ দিতে পারেন তাহলে আমি সানন্দে সাক্ষাতকার নিতে রাজী আছি । আপনাদের জানার বিষয়গুলো সরাসরি তার কাছ থেকে জানলে আশা করি সবার বিভ্রান্তি দূর হবে ।

এবার বিজয় দিবসে বিবিসি বাংলা দেশের ৫টি জল্লাদখানা নিয়ে রিপোর্ট করেছিল ।এগুলো হল –কুমিল্লার রসুলপুর ঢাকার মিরপুর,হবিগঞ্জ,জামালপুর আরেকটা কোন জায়গার জানি । রিপোর্ট বানিয়েছিল কুররাতুল আইন তাহমিনা ।মিরপুরের সেই জল্লাদ খানাটাই মনে হয় এই ঘাতক কাদের মোল্লার ।

রণদীপম বসু এর ছবি

এই সেই বহুল আলোচিত জল্লাদখানা- মিরপুর।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসিব এর ছবি

এই জিনিসগুলো সামান্য একটু গুগল করলেই পাওয়া যায় । কবে যে সাংবাদিকেরা গুগল সাইটটা চিনতে শিখবে আল্লা মালুম ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঠিকাছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক হাসান এর ছবি

দারুণ বিশ্লেষণ!

দেশের প্রধান প্রধান দৈনিকগুলোর এহেন চরম উন্নাসিকতা চিন্তার উদ্রেক করে। যে খবরটা লিড নিতে যাচ্ছে তার রিপোর্টিং যদি এত অযত্নের শিকার হয়, তাহলে বলতেই হয় ডালমে কুছ কালা হ্যায়। গ্রামের নাম না হয় শোনার ভুলে অন্যরকম হলো, কিন্তু নিহতের সংখ্যায় এত গরমিল হয় কীভাবে? ভুল তথ্য দেয়া কিংবা তথ্য বিকৃতির পেছনে যে ছাগু সম্প্রদায়ের বৃহত্তর পরিকল্পনা নেই তা কে বলতে পারে।

সমসাময়িক সংবাদপত্রে ছাপা সংবাদ রেফারেন্স হিসেবে কতটা মানোত্তীর্ণ সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ আজ।

হাসিব এর ছবি

নয়া দিগন্ত ও সংগ্রাম বাদ দিলে বাকিদের আমি এখনই জামাতমনস্ক বলছি না । আমি এই পুরো ব্যাপারটা একটা সিস্টেমেটিক ক্যালাসনেস হিসেবে দেখছি । খাটাখাটনি না করতে চাওয়া যেনতেন প্রকারে কাজ নামানো এইসবের ফল এগুলো । আর নিহতের সংখ্যার তথ্যগুলোতে থাকা গরমিলকে আমি বলবো অসম্পূর্ন তথ্য, ভুল তথ্য নয় ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার বিশ্লষণ! গ্রামের নামটা হবে আলবদী।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

হাসিব ধন্যবাদ, আপনি এই পত্রিকা রিভিউ ডেস্কটা চালিয়ে নিতে পারেন, আমরাও আপনার পাশাপাশি সুত্র,উদ্ধৃতি,প্রামাণিক কাগজ সহ কিছু লিখতে চেষ্টা করবো। আপনি আমাদের ব্যক্তিগত মেইলে বা ব্লগে-ফেসবুকে মন্তব্য করে পরামর্শ দিতে পারেন, একটু স্পেনের ফুটবল মনে হলেও শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে যাবে আশা রাখি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

হাসিব এর ছবি

এগুলো খাটুনির কাজ । নিয়মিত চালানো মুশকিল । তবে চেষ্টা থাকবে ।

সিরাত এর ছবি

জানলাম গভীরে।

ওডিন এর ছবি

চলুক। তিন/চারটা পেপার পড়ার চেষ্টা করি- তারপরেও এই লেখা না হলে জানতামই না পত্রিকাভেদে তথ্যের এতো গরমিল হতে পারে। মন খারাপ এইরকম প্রেস রিভিউ এর দরকার আছে।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

কনফুসিয়াস এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ বিশ্লেষণ! বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব দেখে আরেক দফা "মুগ্ধ" হলাম!

অনন্ত

আয়নামতি এর ছবি

এ রকম একটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর রিপোর্টিংয়েরই এই হাল! সাংঘাতিক ব্যাপার.....ফারুক ভাইয়ের সাথে সহমত। গভীর বিশ্লেষণমূলক পোষ্ট থেকে অনেক কিছু জানলাম। আপনাকে সাধুবাদ জানাই।

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ ও পরিশ্রমসাপেক্ষ কাজটি করার জন্য। আমি অবশ্য একটুও অবাক হইনি। স্কুল জীবনে নিজের পরিচিত কারো উপর বা নিজের এলাকার কোন খবর প্রকাশিত হলে একাধিক পত্রিকার ভাষ্য পড়ার চেষ্টা করতাম। এবং দেখেছি কখনোই এক পত্রিকার বিবরণের সাথে আরেক পত্রিকার বিবরণ মেলেনি, নামগুলোও বেশির ভাগ সময়ে ভুল। নামের বানান ভুল করতে, নামকে বিকৃত করতে বা ভুল নাম দিতে আমাদের পত্রিকাগুলো আনন্দবাজারের চেয়ে কম যান না। পত্রিকায় প্রকাশিত অখ্যাত মানুষদের বা অখ্যাত জায়গার নাম নিয়ে এধরণের গবেষণা করলে এর প্রমাণ পাবেন।

সংবাদপত্রগুলো মালিকের মর্জি এবং নিজেদের রাজনৈতিক সমর্থণ অনুসারে ভাষ্য দেয় বলে একই সংবাদের ভাষ্য বিভিন্ন পত্রিকায় একেক রকম হয়।

গত কয়েকদিনে দেখেছি ইংরেজী বা স্পেনিশ ভাষা থেকে বাংলা করার ক্ষেত্রে প্রথম আলোর ক্রীড়া সাংবাদিকরা কী হাস্যকর সব কাজ করেছেন। প্রেস মিডিয়া একমূখী বলে খুব বড় ধরণের ভুল না করলে সাংবাদিকদের মনে হয় জবাবদিহী করতে হয়না। অবশ্য ঘটনা যদি দ্বিতীয় কেউ তলিয়ে না দেখেন তাহলে জবাবদিহীর প্রশ্নই তো ওঠেনা।

আমি বাংলাদেশের তথ্যপ্রবাহের অথেনটিসিটি নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন । এরকম হলে ভবিষ্যতে কোন বিষয়ের ওপরও বিতর্ক ছাড়া তথ্য নিয়ে ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ সম্ভব হবে না ।

আপনার এই পর্যবেক্ষণ কিন্তু একটা ভয়াবহ সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। যুদ্ধাপরাধের মত জঘন্য অপরাধের প্রমাণের একটা বড় অংশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ। এখন সেই সংবাদের অথেনটিসিটি প্রশ্নের মুখোমুখি হলে এভিডেন্সগুলো কিন্তু দুর্বল হয়ে পড়ে। এই পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ ও কলাম নিয়ে সমসাময়িক বিষয়াবলীর উপর যে বইগুলো বের হয় সেগুলোর ভিত্তিও কিন্তু একই রকম দুর্বল। গবেষণার কাজে এমন সব রেফারেন্স ব্যবহার করা গবেষকের আত্মহত্যার শামিল।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু এর ছবি

যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে যুদ্ধাপরাধীদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম। সেখানে ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত। এ নিয়ে খুব বেশি তর্ক বা সন্দেহের অবকাশ নেই।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বোধগম্য অনেক জিনিষও আদালতে প্রমাণ করা বেশ মুশকিল। আইন বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন দৈনিকে প্রকাশিত খবরের কাটিং এভিডেন্স হিসাবে আদালতে গ্রহনযোগ্য কিনা। গ্রহনযোগ্য হলেও সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে এখনকার এই তোঘলকী কারবারকে উদাহরণ হিসাবে টেনে তখনকার প্রকাশিত খবরগুলোর অথেনটিসিটি নিয়ে বিবাদীরা প্রশ্ন তুলতে পারে। তাতে মামলা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

যুদ্ধাপরাধীদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম

দৈনিক সংগ্রামের এই বাস্তব পরিচয়টি আদালতে প্রমাণ করা কঠিন। জামায়াত কখনো সংগ্রামকে তাদের মুখপত্র বলে পরিচয় দেয়নি, সংগ্রামও অমন কিছু দাবী করেনি।

ঐ সময়কার প্রেস নোটস, ডি এফ পির তোলা ও প্রকাশিত ছবি, সরকারী মুখপাত্রদের ভাষ্য, জরুরী অধ্যাদেশগুলো, গেজেট নোটিফিকেশনগুলো যোগাড় করা জরুরী হয়ে পড়েছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু এর ছবি

সংগ্রামে প্রকাশিত খবরগুলোর কোনো প্রতিবাদ কি যুদ্ধাপরাধীরা কখনো করেছে?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই ব্যাপারে যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ উত্তর হবে "আমি এই রিপোর্ট দেখিনি, এই ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা"। তবে এই ব্যাপারে নিচে আরিফ জেবতিকের বলা পয়েন্টটি গুরুত্বপূর্ণ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সাধারণ কোর্টে প্রমান হিসেবে গ্রহনীয় নয় এমন অনেক উপাদান ট্রাইবুলানের ক্ষেত্রে গ্রহনীয়।
ধরুন আপনি গোলাম আযমের রেডিও সাক্ষাতকার শুনেছেন, সাধারণ আইনে আপনি সাক্ষী হতে পারবেন না, কিন্তু ট্রাইবুনালে আপনি স্বাক্ষী।
পেপার কাটিং, ভিডিও, লিফলেট, পোস্টার, আলোকচিত্র সবই ট্রাইবুনালে বিবেচিত হবে।

( সূত্র: এডভোকেট রফিকুল হকের টেলিভিশন সাক্ষাতকার।)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সেইটাই কথা। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ফৌজদারী আইনে বিচার করা হচ্ছে না, কোনো দরকারও নাই। তাদেরকে তাদের অপরাধের গভীরতা অনুযায়ী স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চমৎকার একটা কাজ... চলুক

সাপ্তাহিক যাযাদি'র সায়ন্ত সাখাওয়াত নামক প্রেস রিভিউ রাইটারটির কথা মনে পড়লো। বেছে বেছে একেবারে রেহমান-খুশ-হয়া টাইপ নিউজগুলা নিয়ে লিখত...

বোহেমিয়ান এর ছবি

জটিল কাজ চলুক

আমাদের মিডিয়া!
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

বাউলিয়ানা এর ছবি

চমতকার বিশ্লেষন হাসিব ভাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুটাকে আমাদের পত্রিকাওয়ালাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে জনতার সামনে আনা উচিত- এ কথা বুঝতে কি তাদের আরও সময় লাগবে?

কৌস্তুভ এর ছবি

খবরটা আপনার লেখা পড়েই জানলাম। বিশ্লেষণও দারুণ।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন একটা বিস্লেশন!

---থাবা বাবা!

রিফাত জামিল ইউসুফজাই এর ছবি

আজ ডয়েচে ভেলের বাংলা অনুষ্ঠানে দুই প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ প্রচার করেছে। আমার ব্লগে এটা নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম অডিও ফাইল সহ। শুনে দেখতে পারেন।

লিংক http://eusufzai.amarblog.com/posts/111469/

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।