উপন্যাস লেখা

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ০৩/১০/২০০৯ - ৭:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমি খুব সংকোচ আর সংশয় নিয়ে একটা উপন্যাস লেখায় হাত দিয়েছি। কাজটা শুরু করে মনে হয়েছে, রবাহূতের মতো অনধিকার প্রবেশ করছি কোনো গম্ভীর অট্টালিকায়। ওখানে আমাকে মানায় না।

আমার দৌড় যে ছোটগল্প পর্যন্ত, সে-ও আমি অনুভব করি। ঐ উপন্যাস লিখতে বসে আমার মাথায় গল্প ঘোরে। তাদের শাসন করতে যেয়ে আমার উপন্যাস আর বাড়ে না। রুগ্ন শিশুর মতো সে পড়ে আছে আমার খসড়া খাতার বারান্দায়, নিচে মাঠে হাসছে খেলছে আমার গল্পগুলি।

চরিত্রের নাম নিয়ে একটা সমস্যায় পড়ে যাই বারবার, মাথায় আসতে চায় না কোনো নাম। কীবোর্ডে আঙুল রাখার পর একটি চরিত্রের নাম বেরিয়ে আসে আপনাআপনি, রাশেদ। রাশেদ আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু, তার সাথে যোগাযোগ নেই দীর্ঘদিন, স্ত্রীপুত্রক্যারিয়ার নিয়ে মগ্ন রাশেদকে ফোন করে কি জানাবো, দোস্ত, আমি একটা উপন্যাস লিখছি, তোর নামটা ব্যবহার করতে চাই একটা চরিত্রে, ঠিকাছে তো? তারপর থেমে যাই, কারণ উপন্যাস এগোয় না। সে একটা শিশু, একদিন সে খেলতে গিয়েছিলো মাঠে, সেখানে ল্যান্ডমাইনে তার একটা পা উড়ে গেছে, তার এখন একটা পা, বদলে সে পেয়েছে একটা ক্রাচ, সে আর হাঁটে না, সে খোঁড়াতেও চায় না, তাই সে দিনমান বসে থাকে দেয়ালে হেলান দিয়ে, রাস্তা দিয়ে হাঁটছে ছুটছে আমার গল্পেরা।

উপন্যাসের শুরু রাশেদের হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া নিয়ে। রাশেদের সাথে জেগে ওঠে উপন্যাসটা। ঘুম ভেঙে রাশেদ নিজেকে খোঁজে, নিজের অবয়বটুকু চিনতে চায়, আর কিমাশ্চর্যম, উপন্যাসটাও সে চেষ্টাই করে। তাকে আরেকটু কায়া দেবার জন্যে প্রয়োজন হয় একটি নারী চরিত্রের, যাকে রাশেদ ফোন করবে অকালে ভেঙে যাওয়া ঘুমের রাতে, যে রাতে ঘুমায় সবকিছু, ঘুমায় তার হোটেল, ঘুমায় যশোর শহর, শুধু ফোনের নাগালের অপরপ্রান্তে জাগ্রত থাকে একটি যুবতী। তার নাম কী রাখা যায়? মাথায় অনেক নাম আসে, সাথে আসে দ্বৈরথ। ক'জনকে ফোন করে জিজ্ঞেস করবো? ক'জনকে ফোন করার উপায় আছে আর?

সুজন চৌধুরীকে টোকা দিই গুগলটকে। বলি, একটা মেয়ের নাম দ্যান দাদা। সুজন্দা উদার, বলেন, উলফাত আরা রাখো।

খটকা লাগে। রাশেদের ফোনের ওপাশে জেগে থাকা মিষ্টি মেয়েটার নাম উলফাত আরা রাখবো? ভাবি। তারপর মনে হয়, সে বড় অন্যায় হবে।

আবারও টোকা দিই সুজন্দাকে। বুঝিয়ে বলি, মেয়েটা অনেক মিষ্টি। উলফাত আরা সে হতেই পারে না।

সুজন্দা বলেন, উম্মে কুলসুম?

বেজায় বিরক্ত হই। বুঝিয়ে বলি, মেয়েটা দেশেই থাকে, অস্ট্রেলিয়া নয়। উম্মে কুলসুমরা লুপ্ত হয়েছে রাশেদের জগত থেকে। রাশেদ যাকে ফোন করবে, তার নামটা হওয়া উচিত এমন, যার নাম ঘন রাতে ফোন করে উচ্চারণ করতে ভালো লাগে। উম্মে কুলসুম ভোরের অ্যালার্মের মতো।

সুজন্দা এবার ভেবেচিন্তে বাতলে দ্যান, শৈলী।

শৈলী? আহ। ভালো লাগে নামটা। নাম্বার জানা থাকলে রাশেদের পেছনে লাথি মেরে সরিয়ে আমিই কল দিতাম। কিন্তু জট খুলে যায় তখনকার মতো। রাশেদ ফোন হাতে নিয়ে কল দেয় শৈলীকে।

এরপর কিছুটা এগোয় আমার উপন্যাস। তারপর আবার সে থেমে পড়ে। স্কুল ছুটি, ওর বাবা ওকে নিতে আসেনি এখনো। চারদিকে শোরগোল করে ঘরে ফিরছে আমার গল্পরা, উপন্যাসটা দরজার পাশে চুপ করে বসে আছে একটা জারুল গাছের নিচে।

শেষ করবো, নিশ্চয়ই শেষ করবো একদিন, তারপর প্রকাশায়তনের প্রকাশকের কাছে নিয়ে যাবো ওকে। পারবো, নিশ্চয়ই পারবো।


মন্তব্য

মৃত্তিকা এর ছবি

এটুকু তো বেশ ভালো লাগলো, আপনার সম্পূর্ণ উপন্যাসটা পড়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে রইলাম।

চশমাওয়ালি এর ছবি

হিমু ভাই, আপনি বস!
বরাবরের মত দারুণ লেখা।
উপন্যাসটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

পড়ব, নিশ্চই পড়ব।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

নৈষাদ এর ছবি

সুজন চৌধুরীযে নামের ব্যাপারেও অথরিটি জানতাম না। তবে উলফাত আরা থেকে শৈলী কিন্তু অনেকটা দূর...। উপান্যাস পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

এটাই তো একটা চমৎকার গল্প হয়ে গেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন, গল্পই আপনার কলমে স্বয়মাগতা। তা উপন্যাসের সাথে সাথে লেখার প্রসেস নিয়ে এমন গল্প এলেও তো মন্দ না।

মামুন হক এর ছবি

পারবেন বস, আপনি পারবেন!!

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

শেষ করবো, নিশ্চয়ই শেষ করবো একদিন, তারপর প্রকাশায়তনের প্রকাশকের কাছে নিয়ে যাবো ওকে। পারবো, নিশ্চয়ই পারবো।

হাসি
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

হিমু [অতিথি] এর ছবি

ছোট ছোট ১০টা গল্প লেখেন, একি চরিত্র দিয়ে, এরপর তাদের জোড়া লাগায় ফেলেন। জোড়া না লাগলেও ক্ষতি নেই, একজনের কাহিনী আরেকজনের ঘুমের মাঝে স্বপ্ন হিসেবে ঢুকায়ে দেন

উজানগাঁ এর ছবি

উপন্যাস লেখার প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কিছু গদ্য একসময় পড়া হয়েছিল "দাহপত্র" নামের একটি ছোটকাগজে। ভারত থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন সম্ভবত কমলকুমার দত্ত। এই ধরনের লেখা সম্ভবত সবাইকে টানে। মনে আছে দাহপত্রের ঐ লেখাগুলো আমি একবসায় শেষ করেছিলাম।

আপনি উপন্যাসটা নিয়ে নিয়মিত বসার চেষ্টা করেন। আর ফাঁকে-ফাঁকে এরকম লেখা তুলে দিয়েন আমাদের জন্যে মাঝে মধ্যে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

অবশ্যই পারবেন। পারতেই হবে। এ মুহূর্তে হয়তো গল্পই সহজে আসছে আপনার কাছে, তাই বলে আমি এটা মানতে নারাজ যে আপনার দৌড় কোথায় শেষ হবে সেটার সীমানা দাগানো আছে। দ্য স্কাই ইজ দ্য লিমিট।

বহু বছর আগে বিটিভি-র কোন এক রম্য নাটকে বোধহয় উলফাত আরা ঝংকারী নামটা শুনেছিলাম। অধ্যাপক মমতাজউদ্দীনের লেখা নাটক হবে কোন একটা সম্ভবত।

এটা একটা অন্যরকম অদ্ভুত সুন্দর লেখা/গল্প হয়েছে। উত্তম জাঝা!

সবজান্তা এর ছবি

অভিনন্দন।

প্রিয় লেখকের নতুন ঘরানার, ধাঁচের লেখা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।


অলমিতি বিস্তারেণ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হিমু ভাইয়ের উপন্যাসের পাঠক হবার অপেক্ষায় থাক্লুম...
পাঠক হিসেবে একটা দাবি, আপনার একটা গল্প সংগ্রহ বই আকারে প্রকাশের বিষয়ে কিছু ভেবেছেন কখনো ??

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

হিমু এর ছবি

আগামী বছরের বইমেলায় প্রকাশিত হতে পারে একটা গল্পসংকলন। প্রকাশকের সাথে আলাপ্সালাপ চলছে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ওসিরিস এর ছবি

শুনে বেজায় খুশি হলাম......

***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

রেনেট এর ছবি

উপন্যাসের নাম কি ঠিক কর্ছেন?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

হিমু এর ছবি

একটা নাম মাথায় আছে, তবে সেটা চূড়ান্ত নয়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

উপন্যাসটি প্রকাশিত হলে পড়া হবে প্রত্যাশা র'লো।
আপাতত জানিয়ে যাই, এ লেখাটি বেশ ভালো লাগলো।

হাতুড়ে_ডাক্তার [অতিথি] এর ছবি

আপনার উপন্যাস একটু দেরিতেই শেষ(+প্রকাশিত) হোক, তাহলে আমরা এমন কিছু লেখা পাই দেঁতো হাসি

ঝিনুক [অতিথি] এর ছবি

উপান্যাস পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

আলমগীর এর ছবি

আপনার লেখা পড়তে পারি না মাঝে মাঝে। এ লেখাটাও পারলাম না। কারণ justify ট্যাগ লাগানোর কারণে লেখা এবড়োথেবড়ো হয়ে যায়। IE তে ঠিক দেখায়, কিন্তু আগুনশিয়াল ঝামেলা করে। পারলে justify ট্যাগ ব্যবহার না করেন।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

উপন্যাস যদি আগাইতে না পারেন তাইলে ফোন ধরিয়ে একটারে দিয়া কবিতা পড়ান (আপনার লিখতে হইব না। রবীন্দ্র-জীবনানন্দ রচনাবলি কপিপেস্ট) আর আরেকটারে দিয়া নতুন মডেলের গাড়ির ম্যানুয়াল পড়ান (ওইটাও কপিপেস্ট)

নিশ্চিন্তে উপন্যাসের পাতা বাড়তে থাকবে
আর যখন শেষ করতে চাইবেন তখন যে কোনো একজনের ফোনের চার্জ আউট দেখিয়ে দিলেই হয়ে যাবে

০২

বুদ্ধি থাকলে উপন্যাস লিখতে কষ্ট করতে হয়?

হিমুর আজ মন ভালো নেই। পায়চারি করতে করতে বইয়ের তাক থেকে তুলে নিলো ইমদাদুল হক মিলনের অমুক উপন্যাস। পড়তে শুরু করল সোফায় শুয়ে...
এরপরে মিলনের সেই উপন্যাস কাটিং পেস্টিং

উপন্যাস শেষ হবার পরে একটা মাত্র মৌলিক লাইন- বইটা পড়ে হিমুর মন ভালো হয়ে গেলো---

ব্যাস
অনেক বড়ো উপন্যাস হয়ে গেলো আপনার
উপন্যাসের নাম: জানা নেই মন ভালো কি ভালো নেই....

জি.এম.তানিম এর ছবি

লীলেন্দা... আমার কোন একটা (প্রায়) কবিতা পোস্টে কবিতা লেখার উপায় বলেছিলেন, আজকে বললেন উপন্যাস লেখার উপায়। বাকী লেখার ফর্মুলাগুলোও দিয়ে দিন... অনেক দিনের খায়েশ লেখক হব... রবীন্দ্রনাথ একাই কি অলরাউন্ডার হবে নাকি... খাইছে
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

নির্জন স্বাক্ষর এর ছবি

অপেক্ষায় রইলাম। হাসি

----------------------------------------------------------------------------

ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হয়তো নিশ্চয়ই আপনি দূর্দান্ত একটা উপন্যাস লিখে ফেলতে পারবেন। কিন্তু আমি এখনো দুই হাত তুলে কই আপনে ছোটগল্প আর স্যাটায়ার নিয়া প্রকাশায়তন কাঁপাইতে থাকেন আপাতত। এই বিষয়ে আপনে ব্যাপক বস আছেন।

অপেক্ষায় রইলাম... পড়ার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফারুক হাসান এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের কথা আমারো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটা কি সত্যিই উপন্যাস লেখার গল্প নাকি এর অন্য কোন মানে আছে?

জাস্টিফাই এলাইনমেন্টে আমার পড়তে অসুবিধা হয়না, তবে আগেরটাই ভালো লাগে হাসি

উপন্যাস হলে হিমুকে (সচলের হিমু, অতিথি হিমু নন) আগাম অভিনন্দন। হাসি

সৌরভ এর ছবি

যে সন্তান উপন্যাসকে নিয়ে বাবার উচ্ছ্বাসের ভূমিকা এতো চমৎকার হতে পারে, সে যখন আরো বড় হবে, তাকে নিয়ে সযত্নে লেখা গল্পগুলো নিশ্চয়ই আরো দারুণ হতে থাকবে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সালাহউদদীন তপু এর ছবি

উপন্যাস শেষ হবার প্রার্থনা বা শুভকামনা অনেক হয়েছে, আমারটার দরকার পড়বে না। তবে আমি উপন্যাস (অন্তত) এক কপি বুকিং দিয়ে রাখলাম, আমার জীবদ্দশায় সমাপ্ত না হলে উত্তরাধিকার সূত্রে আমার সন্তানাদির জন্য এই বুকিং বহাল থাকবে। তবু আপনি সাহস নিয়ে এগিয়ে যান।

আমরা আপনার লেখা উপন্যাস পড়তে চাই।

বর্ষা এর ছবি

শুরু করো শেষ তো হবেই। আচ্ছা সতিনাথ ভাদুরি র বই চাই। মাথায় ঢুকে গেছে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

খেকশিয়াল এর ছবি

আন্টির পো এগিয়ে চলো! আমরা আছি তোমার সাথে! গুল্লি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আবার জিগস, আপনে না পারলে পারবো কিডা ???

অপেক্ষায় রইলাম।

----------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

জি.এম.তানিম এর ছবি

উপন্যাসের জন্যে শুভকামান রইল... চায়ের কাপটা দূরে রেখেন... চোখ টিপি
আর মাঝে মাঝে উপন্যাস লেখার গল্পের মাধ্যমে অগ্রগতি জানতে পারলে ভালো লাগবে... অপেক্ষায় থাকব।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

হিমু এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ সাহস যোগানোর জন্যে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বেশ লাগছে তো। অপেক্ষায় থাকলাম।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

উপন্যাস আমরা পড়তে চা্ই তবে গন্ডারদের কথা কি আমরা আর পাবো না?
দুবাই চিড়িয়াখানার প্রধান দেখলাম নতুন কি একটা পরামর্শ দিচ্ছেন যে গন্ডারটিকে ঘুম পাড়িয়ে দাও। খবরটা এখানে

-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি

গণ্ডারদাকে আবারও নিশ্চিন্দাড্ডায় উপস্থিত হতে দেখলে আবারও গণ্ডারবার্তা নিয়ে হাজির হবো, কথা দিলাম।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঢাকা চিড়িয়াখানারটি সহ সকল গন্ডারদের ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হোক। তবে কেউ যদি গন্ডারবার্তা নিয়ে দন্ডায়মান থাকে তাহলে ঘুম না পাড়ানোই ভালো; এরকম বিরল প্রজাতি দেখার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হতে চাইনা।

কীর্তিনাশা এর ছবি

অপেক্ষায় থাকলাম হিমু ভাই

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অপেক্ষায় রইলাম।
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

ঝরাপাতা এর ছবি

অভিনন্দন। কবিতা লেখা কি একেবারে ছেড়ে দিলেন? ওটাও তো আপনার হাতে ভালো খেলে।


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

হিমু এর ছবি

আরে! কত যুগ পরে দেখলাম ঝরাপাতাকে! লেখা দেখি না কেন???



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমুর উপন্যাস লেখা শেষ হয়েছিলো কিনা জানিনা। শেষ হওয়াটা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ কে জানে! একটা সময় ছিল যখন মনে হত এই লেখাটিই হতে হবে শ্রেষ্ঠ একটি লেখা, প্রকাশিত হবার প্রলোভনে ভুলতে বসেছিলাম পরিভ্রমণের আনন্দ। আমার দারুণ লাগে নিজের হাতে নির্মাণ করা চরিত্রদের সাথে কথা বলতে, সময়া কাটাতে। যেদিন ঘুম ভেঙ্গেই, 'আরে বাগদাসারের হয়েছেটা কী?' কিম্বা 'আজকে হয়তো ওদুবে কিসিম্বে কে পেয়ে যাবো' ধরনের ভাবনাগুলো মাথায় খেলে যায় তখন নিজেকে ঈশ্বর সমতুল্য মনে হয়। মনে হয়, আমি চেয়েছিলাম বলেই ইনুইট মেয়েটার আত্মা মুক্তি পেলো জলের পাইপের আড়াল থেকে। উপন্যাস লেখা শেষ হয়ে গেলে কেমন লাগবে জানিনা, এখনও একটাও শেষ হয়নি। হলে ভালো, না হলেও ক্ষতি নেই। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ।

----মোখলেস হোসেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।