সড়ক হত্যাকান্ডঃ আর কতোগুলো স্পীড ব্রেকার দরকার আমাদের?

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০২/২০১২ - ৫:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
এবার বাসটা পিষ্ট করলো শিশু পালোমার কোমল শরীর!! কেমন লেগেছে চালক রহিজুল ইসলামের? কেমন লেগেছিল সীতাকুন্ডের মফিজুর রহমানের? একের পর এক মানুষ চাপা দিয়ে কেমন অনুভুতি হয় আপনাদের? আপনাদের সন্তানেরা কি চাপা মুক্ত থাকবে চিরকাল?

আমাদের এসব কথা বলা, লেখা অর্থহীন। আর বলতে ইচ্ছে করে না। ক্লান্তি লাগে, বিরক্তি লাগে। পরবর্তী দুর্ঘটনার খবরের আতংকে দিন গুনি। বাংলাদেশে দৈনিক ৩০ জন মানুষ প্রাণ হারায় বেসরকারী সুত্র অনুসারে। সরকারী সুত্রে দিনে ১০ জন।

দেশে যুদ্ধ নেই মহামারী নেই, দুর্যোগ নেই এখন। শান্তিকালীন সময়ে প্রতিদিন ১০-৩০ পরিবারের বুক খালি হয়। তবু কেমন স্বাভাবিক জীবন যাপন করি আমরা!! এই ব্লগ লেখা শেষে আমি একটা দাওয়াতে যাবো। পোলাও খাবো, কোরমা খাবো, রেজালা খাবো তারপর বোরহানির গ্লাসটা নিঃশেষ করে বাড়ি ফিরে পরিবারের সাথে খুনসুটি করবো। ভুলে যাবো আমারও দিন আসছে। আমার পালা আসতে পারে যে কোন দিন। কতোখানি মনুষ্যত্ব অবশিষ্ট আছে আমাদের ভেতর?

২.
মাদ্রাজ থেকে গত সপ্তাহে নয়াটোলার দোতলা ঘরটিতে ফিরেছ ফারহানা।

বিয়ের পর দশ বছর এই ঘরে তার সুখের বসত ছিল। দুবছর আগে মগবাজার মোড়ে হলুদ ট্রাকটার 'মৃদু' ধাক্কাটার আগ পর্যন্ত। ধাক্কায় রিকশা থেকে পড়ে যায় সে। পতনের পর আর কিছু মনে নেই। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারলো দুপায়ের চারটা হাড় বাদেও শরীরের আরো তেরো জায়গায় ফাটল হয়েছে। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে ৭ বছরের তিশা। ওকে স্কুল থেকে আনার পথেই সুখের পতনটা ঘটলো। দুবছর বহু কষ্ট করে হাড় জোড়া লাগার পর কোনমতে হাঁটতে শিখছিল সে। হারিয়ে যাওয়া বিকেলগুলো ফিরে পেতে যাচ্ছিল। দুবছর ধরে বাড়ির জানালার পাশের হুইল চেয়ারে বসে দিন গুনতো আবার কখন নীচের বাগানে তিশা আর তিশমাকে নিয়ে আগের মতো লুকোচুরি খেলবে রাশেদের বাড়ি ফেরার সময়। দিন গোনার পালা শেষ হবার আগে মাথার প্রচন্ড যন্ত্রনা পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়লো ব্রেন টিউমার। দেশে ব্যর্থ হয়ে মাদ্রাজে গেল, দুবছর আয়ুর একটা ডেডলাইন নিয়ে ফিরে এল।

আচ্ছা, রাশেদ কি আবারো বিয়ে করবে সে চলে যাবার পর? তিশা তিশমার কী হবে তাহলে? নিজের কষ্ট ভুলে তিশা তিশমার ভবিষ্যত ভেবে ডুকরে কেঁদে উঠে ফারহানা।

এই খবরটি পত্রিকায় আসেনি, এরকম ঘটনা আসে না। দুর্ঘটনায় সাথে সাথে মৃত্যু হলে হয়তো পত্রিকায় খবর হয়, গুরুত্ব বুঝে কয়েকদিন হৈ চৈ থাকে। কিন্তু আহত হবার ছমাস পর কেউ মারা গেলে সেটা আর দুর্ঘটনার খবরে থাকে না। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে যায়। স্বাভাবিক মৃত্যু!!!

৩.
পত্রিকা পড়ে জানা গেল, "সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রথমে রয়েছে নিকটবর্তী দেশ নেপাল। সড়কে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয় ইংল্যান্ডে। সড়কের পাশে যত্রতত্র অবৈধ হাটবাজার ও নির্মাণ অবকাঠামো, ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ডিজাইন ও যানবাহন, চালকদের আইন না মানা, এ জন্য তাদের যথাযথ শাস্ড়ি না দেয়া, ট্রাফিক আইন প্রয়োগকারীদের দায়িত্বে অবহেলাসহ ১১টি কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। আশংকাজনক হারে মারা যাচ্ছে কর্মক্ষম মানুষ।"

আরো জানা গেল ", জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় মিলে দেশে মোট সড়কের দৈর্ঘ ১ লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার। সড়কগুলোতে সারাদেশে নিবন্ধিত যন্ত্রচালিত সড়কযানে চলে প্রায় ১৫ লাখ ৫ হাজার। গত বছরই নিবন্ধন হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার। এর মধ্যে রাজধানীতেই চলাচল করে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ যানবাহন। দেশের দ্রুত বর্ধিষ্ঞু জনসংখ্যার তুলনায় গাড়ির মালিক খুবই কম। প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে মাত্র আটজন যন্ত্রচালিত গাড়ি মালিক। যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহনের অনুপাতও খুব কম।"

"চলাচলরত গাড়ির সংখ্যার তুলনায় রাস্তার ধারণ ক্ষমতার অভাব, রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার না থাকা, রোড সাইন না থাকা, ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা রাস্তা,রাস্তার পাশেই দোকানপাট, হাট-বাজার ও জনসমাগমপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট ও ব্রিজ, একই রাস্তায় একই লাইনে বিভিন্ন ধরনের দ্রতগামী ও ধীর গতিসম্পন্ন যানবাহন চলাচল, স্ট্যান্ডের অভাবে রাস্তার ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা, বেপরোয়া গাড়ি চালনা ও ওভারটেকিংসহ নানা কারণে অহরহই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।"

৪.
চট্টগ্রাম শহরেও স্পীড ব্রেকারের ছড়াছড়ি। সল্টগোলা ক্রসিং থেকে কাস্টম ব্রীজ এলাকায় একশো গজের মধ্যে তিন সাইজের তিনটি স্পীড ব্রেকিং বানানো হয়েছে। বাস ট্রাক ড্রাইভারদের নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে জোর করে গতি কমানোর বিদঘুটে পরিকল্পনা যার মাথা থেকে বেরিয়ে আসুক সেটাকে কিছুতেই সুস্থ বলা যাবে না। আমরা ড্রাইভারকে নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে রাস্তাজুড়ে ব্যারিক্যাড বসিয়ে আরো নিরাপত্তাহীন অবস্থা সৃষ্টি করছি।

আর কতোটা স্পীডব্রেকার বসলে এসব হত্যাকান্ড বন্ধ হবে বলতে পারেন কোন কর্তা মহাশয়?


মন্তব্য

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ইদানিং বাস গুলো স্পীড ব্রেকারেও গতি কমায় না, যান-বাহনে বসা মানুষগুলোর প্রচন্ড ঝাঁকি লাগে।
কিন্তু ড্রাইভারের এতে কী আসে যায়। কিছুই না।

হিমু এর ছবি

বাসের মালিকরা ড্রাইভারের বেতন কীসের ভিত্তিতে দেয়, সেটা জানি না। আমার ধারণা মূল সমস্যা ঐখানে আছে। যদি ট্রিপ প্রতি টাকা দেয়া হয় তাকে, তাহলে বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর প্রবণতা থাকবেই। বাসচালকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সরকারের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আছে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ভাল পয়েন্ট।
+ বেপরোয়া গাড়ি চালানোর উপর একটা মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা প্রয়োজন।

অনিশ্চিত এর ছবি

বাসচালকদের বেতন দেয়া হয় ট্রিপের ভিত্তিতে; অন্ত:ত ঢাকা-উত্তরবংগে যেসব বাস চলাচল করে।আগে ঢাকা-বগুড়া ট্রিপ ছিলো ৫০০ টাকা।ড্রাইভারের উদ্দেশ্যে থাকতো বগুড়া-ঢাকা- বগুড়া একই দিনে কাভার করা।

আমার কাছে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স বই আছে, তাতে লেখা একজন চালক সর্বোচ্চ ২০০ কিমি মনোযোগ রেখে চালাতে পারে।ভিয়েতনামের মত দেশেও দেখেছি দূরের পথে(৩০০ কিমি) দুজন চালাক রাখা হয়; তারা পালাক্রমে বাস চালান।

বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর আরেকটা কারন স্বয়ং বাসযাত্রী।কোন চালক একটু সতর্কভাবে চালালে, প্রতিবাসেই ৩/৪ জন পাওয়া যাবে, যারা চিৎকার করে বলছে, "ঐ ডেরাইভার নতুন বাস চালান শিখছো নাকি" !

দূর্ঘটনার জন্য আমাদের মতো যাত্রীদেরও দোষ কম না।

হিমু এর ছবি

পরিবহন সেক্টরে জনসম্পদ ব্যবস্থাপনায় জরুরি ভিত্তিতে কিছু নীতিমালা প্রণয়ন আর প্রয়োগের দরকার। সরকার ঝোপেঝাড়ে পিটায় যাচ্ছে।

আশালতা এর ছবি

আমি তো বরং জানতাম উত্তরবঙ্গের হানিফ/নাবিল গাড়িগুলোর ড্রাইভাররা বেতন ভিত্তিতে গাড়ি চালায়। সম্ভবত বিশ বাইশ হাজার টাকা মাসে পায়। মাসে পনের দিন চালাতে হয়। বাকিদিন ছুটি। আর ঢাকার সিটি বাসগুলো ট্রিপ ভিত্তিতে চলে। প্রতি ট্রিপে সম্ভবত সাতশ থেকে হাজারের ভেতর একটা রফা হয়, সেটার অতিরিক্ত যা আয় হবে সেটা ড্রাইভারের।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আশফাক আহমেদ এর ছবি

ঢাকার বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলেই মা-বাবা টেনশন করেন।
কারণ আর কিছু না, হাইওয়েগুলো। কবে যে আমরা টেনশনমুক্ত জার্নি করতে পারবো?

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

Mahfuz এর ছবি

লেখক কে অসংখ্য ধন্যবাদ্। প্রথমে দরকার সঠিক ডিজাইনের রাস্তা, ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা এবং সর্বোপরি অবচেতনভাবে যেদিন আমরা মানুষের জীবনের মূল্য অমূল্য ভাবতে পারবো সেদিনই দূর্ঘটনা কমবে বলে আমার বিশ্বাস্।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

মন খারাপ

আশরাফ সাহেব এইসব কী বলেন, লোকটা বদ্ধোন্মাদ হয়ে যাচ্ছে!!!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এটা কি সে সুর্যাস্তের আগে বলেছে নাকি পরে? একটু খোঁজ নাওতো ওলি! সুর্যাস্তের পরে হলে ঠিকাছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
হতাশা প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই কি করার নেই এই ব্যাপারে? গত কয়েকবছরে পরিচিতদের মধ্যেই এমন কয়েকটি ঘটনা হয়েছে।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন "সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করার কিছু নেই। কেননা, দুর্ঘটনা হলো দুর্ঘটনা (অ্যাকসিডেন্ট ইজ অ্যাকসিডেন্ট)।" আমাদের জন্মই হয়েছে আসলে সড়ক দূর্ঘটনায় মরবার জন্য! বাংলাদেশে এমন কোনো পরিবার কি বাকি আছে যারা কোনো না কোনভাবে সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি (!!)? আসুন সবাই নিজের জীবনকে গাড়ির চাকার নিচে উত্সর্গ করি আর "উনাদের" বড় বড় বাণীকে মহিমান্বিত করি। কেন শুধু শুধু এইসব অর্থহীন আলোচনা.. মন খারাপ

দুর্দান্ত এর ছবি

হিমু পরিবহন খাতে জনসম্পদ ব্যবস্থাপনার কথা বলেছে। এই জনসম্পদের মধ্য়ে শ্রমিকের পাশাপাশি শিল্পমালিকের আচরন ও ন্য়ুনতম যোগ্য়তাও বেধে দিতে হবে।

চালক একজন শ্রমিক। তার করমক্ষেত্র বিপদজনক - সেটা পাবলিকের জন্য় যেমন, তার নিজের জন্য়েও বটে। কিন্তু এই বিপদজনক কাজে তার রোজগার সীমিত। বাস/ট্রাকের মালিক যে এই অ/স্বল্প শিক্ষিত লোকটিকে একটি বিপদজনক কাজে পাঠাচ্ছে, তার জবাবাদিহীতা আমরা নিশ্চিত করতে পারছিনা।

এর একটি কারন, যারা এই জবাবদিহীতার কাঠামো বানাবেন, তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা অনেকটাই পরিবহন খাতের অব্য়াবস্থাপনার উপর নিরভরশীল। তারা অব্য়াবস্থাপনা টিকিয়ে রাখতে পারছে, কারন তাদের কাছে পাবলিক জিম্মী। রেগুলার আন্তনগরেযাতায়ত করেন যারা, তারা এইসব রাঘব বোয়ালের ক্ষমতার কথা ভাল করেই অবগত আছেন।

আমার মনে হ্য় বড় শহর ও আন্তনগর পরযায়ে পরিবহন খাতকে 'বাকশাল' আকারে জাতীয়্করন করা উচিত। পদ্মা-মেঘনা যমুনার মত আমাদের দেশে তিন-চারটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বড় বাস কোম্পানি থাকা উচিত, শুধু তারাই দেশে বাস চালাবে ও পূররব ঘোষিত দামে পরিবহন সেবা দেবে। আমি এটা করতে বলছি, কারন আমার মনে হচ্ছে শুধু এভাবেই পরিবহন খাতে দুরঘটনার দায় দায়িত্ব সরাসরি সনংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবকে নিতে বাধ্য় করা যেতে পারে।

হিমু এর ছবি

হাভুট দিলাম। আপনার অফিসের ল্যাপটপটা ফেলে দেন। বেটা কোনো কাজেরই না।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি ১০০% একমত! প্রাইভেট সেক্টর থেকে একমালিকানাধীন বাসট্রাক সবগুলো তুলে নেয়া দরকার। রাষ্ট্রই পরিবহন ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবে। পৃথিবীর বেশীরভাগ সভ্য দেশেই এরকম নিয়ম আছে। এখানে কর্পোরটকরণ কিংবা রাষ্ট্রায়াত্বকরন যে কোনটাই করা যেতে পারে। জনস্বার্থ এমন সিদ্ধান্তও নেয়া দরকার যেটা গনতন্ত্রের সাথে খায় না। আমি বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায় কোনরকম গনতন্ত্র চাই না।

এখানে যে কারো ইচ্ছে হলে চারটা চাকা লাগিয়ে একটা গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে দিতে পারে। নসিমন করিমন ম্যাক্সি রক্সি সুপার ডিলাক্স যার যা খুশী নাম নিয়ে নেমে যেতে পারে বিআর টিএ আর পুলিশকে জায়গামতো ম্যানেজ করে। এইসব অজাচারও বন্ধ হওয়া উচিত।

ড্রাইভারদের ট্রেনিং এর কোন স্কুল আছে সারা বাংলাদেশে? কেউ জানেন কোন ড্রাইভিং স্কুলের বাস ট্রাক চালনা শেখার স্কুল আছে? সরকার যখন লাইসেন্স দেয়, জিজ্ঞেস করে তুমি কোন ময়দানে গাড়ি চালানো শিখছো? না করে না। এরকম কোন সিস্টেমই নাই। আ্সমান থেকে শিখে আসছে ওরা। এদের অনেকের ড্রাইভিং শিক্ষা হয় পালোমাদের শরীরের উপর দিয়েই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মূর্তালা রামাত এর ছবি

অনিবন্ধিত এবং পুরোন সব গাড়িগুলো রাস্তা থেকে তুলে দেয়া দরকার। এসব গাড়িগুোলোর ব্রেক বা এক্সি কোনটাই ঠিকমত কাজ করে না যা দূর্ঘটনাকে তরান্বিত করে.....

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

কারা এবং কিভাবে হয় বাস-ট্রাক ড্রাইভার। বহির্দেশে যেমন ড্রাইভিং টেস্টে পাশ করে লাইসেন্স নিতে হয় বাংলাদেশে সে নজির নেই। কিশোর হেল্পাররাই কোনভাবে ভুংভাং শিখে হয় ড্রাইভার। তাই ড্রাইভারদের ড্রাইভিংয়ে রয়েছে বিস্তর ত্রুটি।

পাশাপাশি অধিকাংশ ট্রাক ড্রাইভারই মাদকাসক্ত। তাই ব্যাপরোয়া গাড়ি তারা চালাচ্ছেই।

হিমুর মন্তব্যে সহমত। তাদের জীবিকা নির্ভর করে দৈনিক কয়টা খ্যাপ মারতে পারবে তার উপর।

সড়ক দুর্ঘটনা আইন খুবই দুর্বল। একটা মানুষকে আপনি গুলি করে মারেন, আপনার মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন। অথচ তাকে ট্রাকে পিষে মারলে সাত বছরের সাজা, রায় হওয়ার আগে জামিনও পাবেন। কখনো কখনো প্রথম সপ্তাহেই জামিন।

আমি নিজেও কিছুদিন আগে রুয়েটগেটে চোখের সামনে ট্রাকে মৃত্যু দেখেছি। একটা মৃত্যু যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা আমার আগে জানা ছিলনা। এবং রাস্তা পেরুতে আমার হাতপা কাঁপে।

ইউক্লিড

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।