উচ্চ চিকিৎসার্থে বিদেশ যাত্রা

যুধিষ্ঠির এর ছবি
লিখেছেন যুধিষ্ঠির (তারিখ: শনি, ৩১/১০/২০০৯ - ৪:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাল আবার আরেকটা ই-মেইল আসলো। গত দশ দিনে এই নিয়ে তিন নম্বর। জরুরী সাহায্য দরকার, এগিয়ে আসুন। এবার বুয়েটের একজন প্রাক্তন ছাত্র। ই-মেইলেই পেপ্যাল-এর লিঙ্ক দেয়া আছে। যখন সামর্থ্য থাকে আর ইচ্ছে হয়, নির্বিকার নিরাবেগ হয়ে লিঙ্কে ক্লিকাই, কিছু টাকা দেই। কখনো সামর্থ্য হয় না, অথবা প্রয়োজনটা সেভাবে আঘাত করে না, তখন দেই না। দানছত্রও আজকাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপার হয়ে গ্যাছে। যে যত ভালো ভাবে চাইবেন, তত বেশি পাবেন।

ছোট বুশ যখন ইরাক আক্রমণ করে, সে সময় একটা কথা শুনেছিলাম। অত্যাধুনিক যুদ্ধবৃত্তি, বিশেষ করে আমেরিকার মত দেশের সৈনিকদের জন্য, অনেকটা ভিডিও গেম খেলার মত হয়ে গেছে। ইরাকে প্রথমদিকের মিসাইল আক্রমণগুলো সবই দূরবর্তী যুদ্ধজাহাজ থেকে রিমোট কণ্ট্রোলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিলো। হাতে জয়স্টিক, নিখুঁত নিশানা, একেবারে জায়গামত গিয়ে লাগবে বোমা, নিমেষে খেল খতম। পরিচালনাকারী সৈনিককে এরিখ মারিয়া রেমার্কের মত সামনে থেকে যুদ্ধ, রক্ত আর মৃত্যু দেখতে হয় না, যুদ্ধটা ন্যায় বা অন্যায় সে নিয়ে নিজের ভাবনা কাজ করার অনেক আগেই জেনারেলদের হুকুম তামিল করে ফেলে সে। ভিডিও গেমের স্ক্রীনে কাউকে হত্যা করার পর ছলাত করে রক্ত এসে স্ক্রীন ভরিয়ে দিতে দেখেছেন কখনো? নিয়মিত গেমারদের কাছে ওই রক্ত কোন সমস্যা করে না। আর মার্কিন ওই সৈনিকদের তো সেটুকুও দেখতে হয় না। যুদ্ধ পরিচালনা আজকাল তাই অনেক সহজ। এ কথাটা এখানে বললাম কারণ, পেপ্যালে টাকা দিতে গিয়ে ঠিক এইরকম একটা ধারনাই মাথায় আসলো। কার বাবা, কার হাত-পা, কার হৃদপিণ্ড, কার বোন ম্যারো - কিছুই জানি না, জানতে চাইওনা। মানবিকতা এখন শুধু কয়েকটা বাটন-ক্লিকেই ধারণ করি।

ক'দিন পরপর ইমেইলগুলো আসে। সাহায্য দরকার। কাউকে বাঁচানো যাচ্ছে না। বিদেশে নিতে হবে। কুড়ি লাখ লাগবে... পঁয়ত্রিশ লাখ লাগবে... ষাট লাখ... সত্তর। সংখ্যাটা বাড়ে, টাকার অংকও, সাথে বিপদে পড়া মানুষগুলোর সংখ্যাও। নিয়মিত অনিয়মিত বিরতিতে ইমেইল আসতে থাকে। কখনো এক সময়ের সহপাঠী, কখনো বুয়েটের ছাত্র, কখনো ঢাবির ছাত্রী, কখনো শুধুই দরিদ্র এক বাবার মিষ্টি এক সন্তান, কখনো কারো মা, কারো ভাই, কখনো সাধারণ চাকুরীজীবি, কখনো মুক্তিযোদ্ধা। এই তালিকায় দরিদ্র দীনমজুর হোসেন আলী আর পাড়ার রিকশাওয়ালা সামাদ ভাই থাকেন না কখনও। আরও কত অসহায় মানুষ, যাদের একটা সাংবাদিক কেউ পরিচিত নেই, পরিচিত একটা বিখ্যাত অধ্যাপক বা অভিনেতা নেই, যাদের ভার্সিটিতে সচেতনতা তৈরী করার মত একটা ভাই বা বোন নেই, এদের কথা কানেও আসে না আমাদের কারও - ওরা এমনি এমনিই হয়তো মরে যায়। হয়তো এদেরও কেউ কেউ মেধাবী, কেউ হয়তো বিখ্যাত লেখক বা সাংবাদিক হতে পারতো নিজেরাই। আমরা এদের কথা ভাবার ফুরসত পাই না, আরেকটা ইমেইল চলে আসে। আরেকটি মেয়ের কিডনী নষ্ট, আরেকটি ছেলের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যাণ্ট লাগবে, আরও একটা বাচ্চা অনাথ হয়।

যে পরিমান টাকার দরকার হয় একেকবার শুনি, খুব কমই সেই পরিমান টাকা পুরোটা ওঠে। একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্যই তো কয়েক লাখ টাকায় গিয়ে আটকে যাই আমরা। তারপর এই মানুষগুলোর কী হয়? আজ পর্যন্ত যতগুলো মানুষের খবর পেয়ে চমকে নড়ে চড়ে বসেছি, উঠে দাঁড়িয়েছি, তাদের কারোরই তো অরোগ্য হবার খবর পাই না। এঁরা কি ভালো হলেন? টাকা উঠলোনা বলে দুর্ভাগ্য মেনে নিলেন? কোন পর্যায়টায় এদের কেউ বুঝতে পারলেন, না পুরো টাকাটা উঠবে না? কোন সময় মনে হলো, না, আর কিছু করার নেই... সেই অমোঘ সত্যের সময়টা কিভাবে পার করলেন তাঁরা? সাংবাদিক, সচেতন ছাত্ৰছাত্রী, কবি, সাহিত্যিক, ব্লগার, আমরা, আমি, সবাই তো তখন ওই প্রোজেক্টে আমাদের দায়িত্ব শেষ করে পরের প্রোজেক্টে চলে গেছি। ওই সত্যটা ঠিক কোন মুহূর্তে ওই অসহায় পরিবারগুলোর ঠিক হৃদয়ে গিয়ে বিঁধলো? অনেক আশা নিয়ে শুরু করা একটা উদ্যোগ, অনেক ইমেইল, সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন, সঞ্চয়ী হিসেবে জমা অনেক স্বপ্নের। তারপর যে মুহূর্তে ওরা বুঝলেন, ওরাই শুধু আছেন, হয়তো কারো কারো একজন দরিদ্র ইশ্বরও আছেন, কিন্তু তাড়া তাড়া নোট নিয়ে আর কোথাও কেউ বসে নেই - তখন কী করলেন ওরা?

প্রশ্নের উত্তর হয়তো জানতে চাইও না। বাটন ক্লিকিয়ে যাই।

বন্ধু পরিজনরা প্রায়ই ঢাকায় চাকরীর খোঁজ দেন। বলেন দেশে চলে আসো। তোমাদের মত লোকদের চাকরীর অভাব হবে না, ঢাকা এখন অনেক এগিয়ে গেছে। টাকার হিসেব দিতে শুরু করেন সবাই। মাসে কত বেতন পেলে ঢাকায় একটা মানসম্মত জীবনযাপন করা যায়? আশি হাজার? এক লাখ? দু'লাখ? তিন? চার? সংখ্যাটা ওঠানামা করে। প্রথম প্রথম অনেক উৎসাহ নিয়ে হিসাব শুনতাম। বছর দশ-বারো আগেও ষাট-সত্তর হাজার টাকা বেতন পাওয়া যাবে শুনলে চোখ চকচক করতো। কি শালার মড়ার দেশে পরে থাকি কুত্তার মত। ফা* এভরিথিং, দেশে গিয়ে সিল্কের লুঙ্গী পড়ে পায়ের উপর পা তুলে জমিদার শ্রেনীর মত জীবন কাটাই। তারপর বাস্তবতা কষে লাথি মারে পাঁজড়ের মাঝখান বরাবর। ক'লাখ টাকা বেতন হলে দু'তিন বার মাদ্রাজ-ব্যাঙ্কক-সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবো? জ্ঞানী লোকগুলোর দেয়া হিসাবগুলোতে এই যে একটা অন্তর্নিহিত পূর্বধারণা আছে, সেটার কথা কেউ বলে না। এখানে ধরে নেয়া হয় আপনি আর আপনার পরিবার-পরিজনেরা সুস্থ থাকবেন আজীবন। দু'তিনবার সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক যাবার মত টাকা এই হিসাবে থাকে না। যারা হিসেবটা দেন না, তারা কি ধরেই নেন বেতনের সঙ্গে অন্যান্য ভাতার মত দয়া-দাক্ষিণ্য, ইমেইলের লিস্ট আর পেপ্যাল তো থাকবেই? থাকবে বাটন ক্লিক? রুটীনমাফিক সেই সবাই মিলে দুঃস্বপ্নের কিনারায় দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখার শুরু, ইমেইল, পেপ্যাল, আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট, ব্লগ, সংবাদপত্র, টিভি। অন্য কারো ইনবক্সে সাহায্যের আবেদন হয়ে মার্ক অ্যাজ রেড হয়ে কিছুদিন, তারপর লিঙ্ক হয়ে ঝুলে থাকা আরও কিছুদিন সচলায়তনের নীড়পাতার বামপাশে। তারপর অমোঘ সত্যটার চেপে ধরা সবাইকে। পরিজন বান্ধবের নিরাশ হয়ে হাল ছাড়া। অন্য প্রজেক্টে চলে যাওয়া। কারণ আপনার প্রজেক্ট শেষ। জালালী খতম পড়া হয়ে গেছে। প্রস্থানের সময়ের বেতন-টেতনের হিসাব কে মনে রাখে।

জ্ঞানী লোকেরা তারপর আবার হিসেব বোঝানো শুরু করেন নতুন আর এক নাদানকে। জয়স্টিকের যুদ্ধ খুব সহজ কাজ, ট্রেনিংও লাগে না।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

নিজের জীবনের শীৎকারের শব্দে অন্যের মৃত্যুর কাতরানির শব্দ চাপা পড়ে যায়। মাঝে মাঝে শুনে ফেলি, আর হতাশ হই। তারপর আবার যে-ই কে সে-ই।

আশা না ছাড়ুক মানুষ। আশা না ছাড়ুক।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আলমগীর এর ছবি

কী বলব। যে কোন ধরনের সাহায্যের পোস্ট পড়ার আগে আমাকে মানসিক শক্তি জড়ো করতে হয়। সামর্থ্য একেবারেই কম। নিজের অনিশ্চিত ভাবনা তো আছেই। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভয়াবহ নাজুক। কবে যে কী হবে? একটা ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা খুব দরকার। ডাক্তারের ওভারহলিং দরকার।

গত সপ্তাহে এক বন্ধু রেসিডেন্সি নিয়ে এসছে। দেশে খুব ভাল চাকরি করত। বার বার মানা করার পরও এই অর্থনৈতিক দুঃসময়ে বিদেশ পাড়ি দিলো। বাসায় এনে গল্প করার পর আসল কারণ জানা গেল। তার মেয়ের পায়ে সমস্যা। দেশে কাড়ি কাড়ি টাকা ব্যয় করেও কিছু হয়নি। এক ডাক্তার আরেক জনের প্রেসক্রিপশন দেখে বলে, সব ভুল চিকিৎতসা। অসহায়ের মতো বলে, দোস্ত ট্যাকা খরচ করার সামর্থ্য আছে কিন্তু কোন ডাক্তার যে সঠিক, আর কোন জন ভুল কেমনে বুঝি?

মূলত পাঠক এর ছবি

দেশে থাকা আর বিদেশ পাড়ি দেওয়া নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, এই কথাটা কখনো আসে না তার মধ্যে। নতুন একটা দৃষ্টিকোণ আপনি তুলে ধরলেন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শুধু এই কথাটা জানানোর জন্য এই মন্তব্যটা লেখা যে আমি এই পোস্টে মন্তব্য করতে অক্ষম। আপনি যা সত্য বললেন এর বাইরেও আরো সত্য আছে যা আপনি এখন বলার প্রয়োজন মনে করেন নি। সে সত্য আরো কঠোর, আরো নিষ্ঠুর।

টাকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমাধান দেয় বটে, তার প্রয়োজন অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে টাকার বাইরেও এই বিষয় সংশ্লিষ্ট আরো অনেক দরকারী কিছু আছে যার সমাধাণ বাটন চেপে করা যায় না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তানভীর এর ছবি

খুব প্রয়োজনীয় পোস্ট। আমার দুই সহপাঠী দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে। বিদেশে যে চিকিৎসা দরকার তাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা কোত্থেকে, কার পক্ষে, কত দ্রুত দেয়া সম্ভব? বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু হতে যে সময় লাগে তখন বোধহয় আর কিছু করার থাকে না। তবে যেটা বুঝি না- দেশে এত ডাক্তার, এত হাসপাতাল থাকতে খারাপ কিছু হলে কেন আমাদের সবসময় ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর দৌড়াতে হবে? এমনিতেই দেশের ডাক্তারগুলো বেশিরভাগ রক্তচোষা (অবশ্যই ব্যতিক্রমও আছে, যদিও আমি কখনো সেই ব্যতিক্রমের দেখা পাই নি; কেউ জানলে দয়া করে অবশ্যই জানাবেন), তারওপর আবার মনে হয় সব ঘোড়ার ঘাস খায়- চিকিৎসাও ঠিকমতো করতে পারে না।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

কেন জানিনা, খুব মন খারাপ হলো! মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

পুতুল এর ছবি

একটা রাজনৈতিক আলোচনা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

শামীম রুনা এর ছবি

আমরা কী রকম অসহায়। আবার মানুষের এই অসহায়তা নিয়ে কিছু মানুষ কিন্তু চমৎকার ব্যবসা করে যাচ্ছে সবার চোখের সামনে।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

টাকা অনেক সময়ই সমাধান। এভাবে সহায়তায় জীবন বেঁচেছে, এরকম অন্তত দুইটা ঘটনা জানি।

চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার একটা প্রধান কারণ, দেশে ডাক্তারদের রোগীকে শুধুমাত্র টাকার উৎস মনে করা। এজন্য যতোদূর সম্ভব টাকা খসানো যায়, সেই প্রচেষ্টায় আসল চিকিৎসা না করে ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর জীবন শেষ করা। এই প্রক্রিয়ায় তাদের অনেকেই আমাদের চিরাচরিত ঠ্যাক সিস্টেম বেছে নেয়। তাতে রোগীকে আশা দেখানোর পরিবর্তে ভয় দেখানো হয়, যাতে ভয়ে ভয়ে বেশি টাকা ডিরেক্টলি (দরকার না হলেও অপারেশন) বা ইনডিরেক্টলি (টেস্ট, ক্লিনিক) আদায় করা যায়। দেশে বিদেশে কোথাও আমার ডাক্তারের ওপর বিশেষ ভরসা নেই। তবে বিদেশে ডাক্তারেরা মনোযোগ অনেক বেশি দেন বলেই মনে হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রণদীপম বসু এর ছবি

কিচ্ছু বুঝি নাই, কিঞ্চিৎ কষ্টের উপলব্ধি ছাড়া !
এখানে তো মনে হয় কষ্টের কথাই বলেছেন, তাই না ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

................................................. মন খারাপ

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পড়লাম। স্তব্ধ হলাম।

কিছুই হবে না, কখনোই‌...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

স্নিগ্ধা এর ছবি

যুধিষ্ঠির - পড়লাম। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না এই পোস্টে ......

যুধিষ্ঠির এর ছবি

যাঁরা পড়লেন, মন্তব্য করলেন, অনেক ধন্যবাদ। ব্লগীয় নর্ম মেনে আলাদা করে মন্তব্যের উত্তর দিতে পারলাম না। একটু সময়াভাব আছে, তবে মূল কারণ হলো কী উত্তর দেবো জানি না। এক সপ্তাহের মত সময়ে তিন-তিনটি সাহায্যের ই-মেইল পেয়ে হঠাৎ মাথায় এলোমেলো অনেকগুলো চিন্তা এসেছিলো, তাই লেখাটা লিখে ফেলেছিলাম। লেখার শেষে 'সম্ভাব্য সমাধান, দুটি প্রস্তাব ও আমাদের করণীয়' এমন চিন্তাও মাথায় এসেছিলো। শেষমেষ কিছুই আর লিখতে ইচ্ছে হয়নি। সরকারী উদ্যোগ, হেলথ ইনস্যুর‌্যান্স, সমন্বিত সাহায্য - সবকিছুর শেষে ব্যাপারটা একটা অন্তহীন চক্র। বের হয়ে আসার উপায় জানা নেই।

এমন উদ্দ্যেশ্যহীন আর সমাধানহীন লেখা বোধহয় ব্যক্তিগত ব্লগেই রাখা ভালো এরপর থেকে।

তারপরও মানুষ আশা না ছাড়ুক।

সাফি এর ছবি

আমার নিজের পরিবারেই এতগুলো ভুল চিকিৎসার উধাহরন আছে, নতুন করে আর কি বা বলার আছে?

তিথীডোর এর ছবি

এই লেখাটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।