ছবি ব্লগঃ থাইল্যান্ড

মামুন হক এর ছবি
লিখেছেন মামুন হক (তারিখ: সোম, ০৩/০৮/২০০৯ - ৪:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

2063-2

পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় থাইল্যান্ডেও যাওয়া হয়েছে অনেকবার। কখনও কাজে, বা ঘুরতে। ব্যাংকক কখনই তেমন ভালো লাগেনি, শুধু ব্যাংকক না পৃথিবীর সব বড় শহরেই আমার চরম অভক্তি। ঢাকা শহরে জীবনের অর্ধেকের বেশী কাটিয়ে দেয়ার কারণেই হয়তো। যতবারই গিয়েছি ব্যাংকক থেকে পালাবার পথ খুঁজে নিয়েছি নিজ দায়িত্বে। গেলবারও তাই করলাম। অদ্ভুত সুন্দর দেশ থাইল্যান্ড। শহর ছেড়ে বেরুলেই চারদিকে পোস্ট কার্ড ভিউ। ছবি তুলতে গেলে আমার হাত-পা কাঁপে, আগেও কাঁপত । ইদানীং সাথে যোগ হয়েছে চোখ টাটানো, আপনাদের তোলা দারুন সব ছবি দেখে। আমার হাবিজাবি ছবিগুলো দেখিয়ে খিস্তি না খেলেই বাঁচোয়া।

সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে হোটেলের পথে টুকটাক ছবি তুলেছি। নিজের কাছেই তেমন ভালো লাগেনি তাই দিলাম না। তবে এই জিনিষটা দেখে সব সময়েই আমোদ পেয়েছি।

3073
থাইল্যান্ডের টেম্পো, স্থানীয় নাম টুকটুক

এক রাত ব্যাংককে থেকেই পরদিন সকালে ব্যাংকক এয়ারে চলে যাই কো সামুই । এটি থাইল্যান্ড উপসাগরের পাড়ে সুরাত থানি প্রদেশের খুব নাম করা এক দ্বীপ, মূলত এর ভূবন ভোলানো সৌন্দর্যের জন্যে। ছোট্ট এয়ারপোর্টিতে চমৎকার শান্তি শান্তি ভাব ছড়ানো।
Pana-01-ed
কো সামুই এয়ারপোর্ট
টার্মিনাল থেকে বেরিয়েই দেখি ট্রাভেল এজেন্সীর লোকজন ফুলের তোড়া নিয়ে অপেক্ষমান। আতিথেয়তা ব্যাপারটা থাই লোকেরা খুব ভালো বোঝে । ফুলের তোড়ার সাথে ঠান্ডা পানিয়ের ব্যবস্থাও ছিল। গাদাগাদি করে প্রায় আট দশ জন একটা জীপে উঠে বসি।
2014-3
জীপ যাত্রা

আঁকা বাকা পাহাড়ী রাস্তায় নানা চড়াই উৎরাই বেয়ে রিসোর্টে পৌছতে পৌছতে প্রায় বিকেল। চলার পথে চারদিকের নির্বাক করা সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যে ক্যামেরা বের করে ছবি তোলা শুরু করে দিয়েছি নিজেও জানতাম না। আমার তোলা ছবি খুবই কুৎসিত, পাতে দেয়ার মতো দু'একটা যা পাবেনা তা বউয়ের তোলা।

DSC05109
কো সামুই

DSC05305
... রিসোর্ট , নাম মনে নাই

চেক ইন করেই কাপড় চোপড় পালটে এক লাফে সুইমিং পুল।
DSC05308
নতুন পানি পাওয়া ব্যাঙাচি

রিসোর্টের সামনের সাগরে তখন জোয়ার-ভাটার চক্করে পড়ে আধা মাইলের মধ্যে ডুব সাঁতারের জো নেই। দেখলাম অনেকে হাঁটতে হাঁটতে বেশ দূরে চলে গেলেন কিন্তু পানি হাঁটু উপরে উঠল না।
2067-2
হাঁটুপানির জলদস্যু

2076-2
সন্ধ্যা নামছে

DSC05314
সন্ধ্যায়, রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে

এখানে প্রায় সব ট্যুরিস্টরাই মটর সাইকেল ভাড়া করে নিজেদের মতো করে ঘুরে বেড়ান। ট্যাক্সির বালাই নেই। আমরাও তাই করতে গেলাম, গিয়ে দেখি সব পিচ্চি ৯০ বা ১০০ সিসির বাইক। এ নিয়ে পাহাড়ের চড়াই উৎরাই পাড়ি দিতে হবে !
3027
ঘোরা ফেরার যান্ত্রিক ঘোড়া
রিসোর্টের লোকজন বলল সমস্যা হবেনা, দেখতে ছোট হলেও ইয়ামাহা বাইকগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী।

পরদিন সকালে নাস্তা করেই দু'জনে মোটর সাইকেলে ঘুরতে বেরালাম। গন্তব্য জানা নাই। যেদিকে চোখ যায় চলে যাব।

2083
চলার পথে রঙ চঙে থাই স্যুভেনীর শপ

যদ্দুর মনে পড়ে মাইল দশেক বেখেয়ালী ঘোরা ঘুরির পরে একটা বিচ্ছিন্ন ছোট্ট বিন্দুর মতো দ্বীপ চোখে পড়ল। নাম কো মা। ভাটার সময়ে কো সামুইয়ের সাথে সংযোগকারী একটা সরু পথ জেগে ওঠে , জোয়ারের সময় ডুবে যায়। দুই দ্বীপের মধ্যে নিয়মিত নৌকা পারাপারও চলে, তবে সন্ধ্যায় হাঁটুপানির জলদস্যুদের ভয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

2020
দ্বীপের নাম কো মা

2027-2
কো মা , কোরমা নয়

2039-2
সৈকতের রেস্তোঁরা

ফেরার পথে এক জায়গায় হাতি দেখে থামলাম। থাইল্যান্ডে এসে হাতির পীঠে না চড়লে কেমন হয়। তবে পীঠে ওঠার আগে হাতিকে, তার বাচ্চাকে কলা, কলার পাতা ইত্যাদি খাওয়াতে হয়। আলাদা সেলামী তো আছেই। হাতি পরিবারটা খুব ভালো লাগল। বাচ্চা হাতিটার তো প্রেমেই পড়ে গেলাম।
DSC05210
হৃদয় জিতে নেয়া বাচ্চা হাতি
খানা দানার পর বাচ্চার হাতির বাবা আমাদের পীঠে করে পাহাড়ী পথে বেশ উপরে উঠল। বার কয়েক খানিকটা ভয় পেয়ে গেছিলাম, কিন্তু মাহুত জানাল ভয়ের কিছু নেই, হাতিটা এ পথে অভ্যস্ত। ঘন্টা আধেকের যাত্রা শেষে সমতলে ফিরে সস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। কিন্তু পরদিন বাচ্চা হাতিটার টানে আবার ওখানে চলে গেছিলাম।

এক জায়গায় চোখে পড়ল সুনামী সতর্কীকরণ। ২০০৪ এর ভয়াবহতা মনে পড়ে গেল।
DSC05108
সুনামী হইতে সাবধান!

ফেরার পথে এক চড়াইয়ে বাইক থেমে যায়। ট্যাংক খুলে দেখি এক ফোটা তেলও নেই। ঠা ঠা রোদে বাইক ঠেলতে ঠেলতে রাস্তার পারের এক তেলের দোকানে গিয়ে তবে পেট্রোল পাওয়া গেল। আমাদের দেশে হাট-বাজারের কেরোসিনের দোকানের মতো পিপা ভর্তি পেট্রোল, পাইপ দিয়ে ভরে দেয়।

DSC05238
পথের ধারের পেট্রোল পাম্প

কো সামুই যারাই যায় তারা একবারের জন্য হলেও ১৫ কিমি দূরে অবস্থির কো পানিয়াং এ ঢু মেরে আসে। কো পানিয়াং বিখ্যাত তার ফুল মুন পার্টির জন্য। এক কালে হয়তো আইডিয়াটা ভালোই লাগত , কিন্তু এখন নাম শুনলেই বিরক্তিতে চোখ কুঁচকে আসে। ভালো জিনিষকে কলুষিত করে দিতে পশ্চিমা পর্যটকদের অনেকেরই একটুও বাঁধেনা। প্রতি পূর্ণিমাতেই এখানকার হাদরিন বীচে সারারাত বীচ পার্টি চলে। শুরুতে পূর্ণিমা উপভোগ করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু ক্রমশ বিদেশী পর্যটকেরা এসে ড্রাগস, অবাধ যৌনতা আর মাতলামো এমন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে যায় যে সুস্থ্য আনন্দের জন্য সেখানে যাওয়াই প্রায় অসম্ভব হয়ে দঁড়িয়েছে। এখন ড্রাগস নিয়ে ব্যাপক কড়াকড়ি চললেও, প্রায় প্রতিবছর ওভারডোজে পাঁচ-দশজন মানুষ মারা যায় এই পার্টিতে। আমরা যে রাতে গেছিলাম সে রাতে আকাশে পূর্ণ চন্দ্র ছিলনা। তার পাগলামী খুব একটা কম দেখিনি। সব বর্ণনায় যাচ্ছিনা, দেখা সাক্ষাতে বলা যাবে।

3030
হাদরিন বীচ পার্টি

3035
রাত্রি বাড়ার সাথে সাথে মত্ততাও বাড়ে

কো সামুই আর কো পানিয়াং এ কয়েকদিন বেড়িয়ে যাওয়া হলো কো টাও য়ে। কো টাও কচ্ছপ প্রজননের জন্য বিখ্যাত। এখানে যাবার পথে আমরা ঝড়ের কবলে পড়ি। দেশে থাকতে একবার হাতিয়া দ্বীপে যাবার পথে এ জাতীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম। ঘন্টা দেড়েকের জার্নির প্রায় পুরোটাই আমার কাটল পাথর মুখে মনে মনে দোয়া-দরুদ পড়ে আর বালিকার আমার কাধে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে। সে এক বীভৎস অবস্থ। চারদিকে লোকজন হড় হড় করে বমি করছে , মেয়েরা চিৎকার করা কাঁদছে, তিন তলা সমান একেকটা ঢেউ এসে আমাদের ট্রলার নিয়ে বাতামের খোসার মতো লোফালুফি করছে। আমি খেয়াল করছিলাম ট্রলারের ক্রুদের, তাদের মূখ চোখ স্বাভাবিক থাকায় তেমন ভয় পাইনি। সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে শান্ত হতে বলা হয়েছিল, কিন্ত কে শোনে কার কথা। দেড় ঘন্টার অত্যাচার শেষে ডাঙ্গা দেখে সবাই কিছুটা ঠান্ডা হয়েছিল।

2008
যাত্রার প্রাক্কালে, তখনও জানতাম না কী আছে কপালে

2011-2
ডাঙ্গা! খাড়িতে ঢোকার পরেই পানি শান্ত

DSC05381
টিলার গায়ে আমাদের কুটির

DSC05370
এখানে সাগর খুবই রাগী

আমরা পৌছানোর পর জেনেছিলাম। আমাদের ঘাড়ের উপরে হালকা নিঃশ্বাস ফেলে একটা মারাত্মক টাইফুন ভিয়েতনামের দিকে চলে গেছিল সেদিন।

রাখে আল্লাহ, মারে কে? কো টাওতে বাকী কয়েকটা দিন খুব দারুন কাটল। ফেরার পথেও কোন ঝামেলা হয়নি। যাক এতক্ষন ছবি দিতে দিতে আর বকবক করে আমি ক্লান্ত, আপনারাও নিশ্চয়ই বিরক্ত হাবি জাবি গপ্পো শুনে। এখনও ছবির দশ ভাগের এক ভাগও দেখানো হয়নি। আপনাদের ভালো লাগলে পরে আরেকদিন দেয়া যাবে।

এত কষ্ট করে এই পঁচা ছবিগুলো দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।


মন্তব্য

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ভাল লাগল মামুন ভাই। এই গরীবের তো দেশে-বিদেশে ঘোরার সাধ্য নাই তাই আপনার ছবিগুলো দেখে দুধের সাধ ঘোলে মেটানো যায় আরকি ! আরো ছবি থাকলে আরো দিন। অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

মামুন হক এর ছবি

ধন্যবাদ ভূতের বাচ্চা। আরও ছবি দিব, গপ্প-কবিতা লেখার হাত নাই, ধৈর্যও নাই। তারচে ছবি ব্লগ পুস্টানো সোজা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাব লছ না? দূর্দান্ত সব ছবি... নাহ্... তোর জীবনটা আসলেই একটা দারুণ... আবারও ঈর্ষাইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মামুন হক এর ছবি

ভাব না লইলে কেম্নে কী মামা? বেশী ঈর্ষাইলে কিন্তু পেটে কিরমি হবে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

চলুক
আরেকদিন কথার কষ্টে না গিয়া বাকি ছবিগুলা দেখায়া দিয়েন।
অনেক ভালৈছে বস।
মনে দুঃখের সাথে ভাইসা উঠলো- যা-ও না লাস্ট মার্চে একটা সবেধন বিদেশ-ট্যুর হৈলো পাতায়া-ব্যাংককে, সেইটা নিয়াও লিখি লিখি কইরা লেখা হৈলো না আজ পর্যন্ত। আর, আপ্নেরা তো ঘুরতে ঘুরতে আমার মাথাটা খারাপ করেই রাখেন সবসময়! ;-(
__________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আমার তো এখনো বিধেশ ট্যুর হইলোই না মন খারাপ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হৈবো নে, আত্কা একদিন হৈয়া যাইবো দ্যাখ্বেন। দেঁতো হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মামুন হক এর ছবি

পাতায়া তো কঠিন জায়গা মামা। ফুর্তি ফার্তি করছ তো ঠিক মতো? হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আর ফুর্তি!
জায়গা কঠিন ঐলে কী ঐবো?! আমি তো ভদ্র োদা ভালু ছেলে! মন খারাপ
যিরাম পবিত্র গেছি, সিরামই অক্ষত ফিইরা আইছি! ;-(
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যিরাম পবিত্র গেছি, সিরামই অক্ষত ফিইরা আইছি!

তাইলে হুদাকামে অফিসের পয়সা নষ্ট কইরা পাতায়া যাওনের দর্কারাছিলো কী? বাড়ির পাশের কোনো মসজিদে গেলেই পারতেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আইছে আরেকজন মহাচরিত্রধনী ভদ্রলুক, গরিবের গরিবি নিয়া মজামশকারি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে! খাইছে

আর, অফিস তো টেকা খরচ কইরা পাঠাইছিল কাজ করতে, কাম করতে না। মন খারাপ
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

জটিল ছবি মামা... আহা আপনি তো দেখি খুবই খানদানী লোক এত দারুন দারুন যায়গা ঘুইরা বেড়ান...!!! আরো ছবি দেন... ভিউ কার্ড টাইপের ছবি সব...

_____________________________
ঝড়ের বেতারে শুনি একটি শিশুর গোঙ্গানি...

মামুন হক এর ছবি

কবি গাছে উঠায়া মই কাইড়া নিলা? কবিতা গেল কই?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একটা দেশ এত রঙিন কিভাবে হয়! চোখ ধাঁধিয়ে গেলো।

মামুন হক এর ছবি

সান গ্লাস পড়ে দেখ। লাস্ট ফটুটায় দেখলি না আমিও রোদ চশমা পড়া হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

কবে যে ভোটাধিকার পামু আর মামুনভাইয়ের এই সব পোস্টে 'মাইনাস' দিয়া তার প্রয়োগ ঘটামু!!!

----------------------------------------------------
বুক জ্বলে হিংসায়!!!!

মামুন হক এর ছবি

ফিরিঙ্গী মার্কা গিরিঙ্গী করলে কিন্তু লুহার চেয়ার পাবিনা দেঁতো হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

তাইওয়ান আইসা লুহার চেয়ার দেইখ্যা দেশে ফিরৎ যাইতে মঞ্চায়!!!
______________________________________

মানুষের প্রদেয় আশায় আশাবাদী...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপনি লুকটা খুব খ্রাপ! আমি ঘুরতে যাইতাম চাই... মন খারাপ(

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মামুন হক এর ছবি

বিবাহ কর আপুমনি। করে হানিমুনে যাও হাসি

মুস্তাফিজ এর ছবি

পায়ের নীচে সরিষা আছে মনে হয়?

...........................
Every Picture Tells a Story

মামুন হক এর ছবি

হ ভাই, গরম সরিষা। মার্বেলও আছে রঙ বেরঙের। দেখা হইলে বদলা বদলি করমুনে হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

সুন্দর সব ছবি।

মামুন হক এর ছবি

ধন্যবাদ রাজু ভায়া।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এবার বর্ণনা পড়লাম। সাথে ছবিগুলো আবারো দেখলাম। এত সুন্দর ছবি! তুমি বাড়তি রং দাওনিতো দোস্ত?

মামুন হক এর ছবি

হালায় এত এলেম থাকলে এই রাত দুপুরে সচলে পড়ে থাকতাম না , রঙের বালতি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তাম। ক্যামেরার সেটিং ফেটিং হয়তো কোথাও ভুল ভাল টিপে দিছি, তাই বেশী রঙীলা লাগে। দেশটাও চোখ ধাঁধাঁনো।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনারাও নিশ্চয়ই বিরক্ত হাবি জাবি গপ্পো শুনে।
এত কষ্ট করে এই পঁচা ছবিগুলো দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ

ঐ মিয়া, ঢং করেন ক্যা? দু্র্দান্ত সব ছবি, পাশে বালিকা, আর কি চান মিয়া? আবার ভং ধইরা কন পচা ছবি, মিয়া, আপনারে পিডা দেওয়া দরকার। এরকম আরো ১০ খান পোস্ট দেন মিয়া, এমন ছবি দেইখা আরেকটু হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরি চোখ টিপি

ছবি দেইখা তো টাশকি লাইগা গেলাম, তবে পেট ভরে নাই, আরো চাই

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

ঐ মিয়া ত্যান্দর আলী, মাঝে মইধ্যে সবারই এট্টু আধটু ঢং করার অধিকার জেনেভা কনভেনশনে পাশ হইছে । তুমি হিংসা করলে আমার ফুর্তি লাগে হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সূর্যাস্তের ছবিটা... আহা!

মামুন হক এর ছবি

ঐটা আমারও সবচে প্রিয় ছবি। দিলের পাশাপাশি ইশতির চউখও ভালু।

আকতার আহমেদ এর ছবি

যথারীতি ... হাসি

মামুন হক এর ছবি

ধন্যবাদ দোস্ত হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত সব ছবি। লেখা তো বরাবরের মতোই।

অসাধারণ লাগল হাসি

মামুন হক এর ছবি

ছবি ব্লগ পুস্টানোর পিছনে তোমার প্ররোচনাই দায়ী। তুমি তো ভালু কইবাই হাসি

বিপ্রতীপ এর ছবি

সন্ধ্যা নামছে এবং এর পরের ছবিটার জন্য আপনাকে উত্তম জাঝা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

মামুন হক এর ছবি

আপনার পোস্টানো সব গুলো ছবির জন্যেই আপনাকে একটা করে ঝলমলে ক্যাসিনো দিলাম বীপ্র হাসি

নিবিড় এর ছবি

মামুন ভাই আপনার এই ছবি ব্লগ দেখে মনে ঘুরা ঘুরির শখ জাগিয়া উঠিল হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মামুন হক এর ছবি

ঘুরাঘুরি খুব ভালো জিনিষ নিবিড়। চলেন দল পাকিয়ে ঘুরি।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নাহ, অতিথিদের ভুটাধিকারের দাবি জোরালো করলাম...
এই সব ছবিতে ভুট না দিতে পারলে ক্যাম্নে কী ??
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

মামুন হক এর ছবি

আমি তো ভাবছিলাম তুমি পড়াশুনা নিয়া ব্যস্ত, এর মধ্যে সচলে কী ? হাসি

অনিকেত এর ছবি

সকলের মতই বলতে হচ্ছে---সূর্যাস্তের ছবিটা একেবারে মার-কাটারী।

আমি ঘর-কুনো লোক। কাজেই তোমার ঘুরাঘুরিতে আমার হিংসে হয় না। বরং একধরনের কৃতজ্ঞতা বোধ হয়----কষ্ট করে আমার জন্যে তুমি জায়গাগুলো দেখে আসছ!! এই পৃথিবীটা এত বড় যে আমার পক্ষে কোনকালেই সব দেখে শেষ করা হবে না। তাই আমার 'আমি' কে, আমি ছোট্ট ছোট্ট টুকরো করে আমার বন্ধুদের মাঝে বিলিয়ে দিই। তারা যখন কোন নতুন জায়গা ঘুরে আসে---তখন আমারও ঘোরা হয়ে যায়।

তাই বলে এইটা ভেবো না যে তোমাকে আমি ঈর্ষা করি না।
তোমাকে আমি ঠিকই ঈর্ষা করি---সেটা হল তোমার লেখার ক্ষমতার জন্যে।

লেখালেখি বন কইরা---যাও মিয়া ঘুরাঘুরি করো---হে হে হে ----

মামুন হক এর ছবি

বস সব মহাদেশেই গেছি উত্তর আম্রিকা ছাড়া। ভিসা নিয়ে জটিলতা, দীর্ঘসূত্রিতা , ভগি চগি এইসবের কারণে। তুমি আল্লাহর নাম নিয়া একটা শাদী করে ফেলো, আমি সব সাগর পাড়ি দিয়ে চলে আসব। তুমি দাওয়াত দাও না দাও অসুবিধা নাই দেঁতো হাসি

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

অনিকেতদার জন্য কিন্তু বিসমিল্লাহ বলে আমরা কন্যা খুজতে পথে নেমেছি। আপনার কাছে কোন সুকন্যার হদিস থাকলে অতি সত্ত্বর জানান।

মামুন হক এর ছবি

কইন্যার অভাব নাই, কিন্তু সব বৈদেশী। গোপন সূত্রে জানলাম অনি ভাইয়ার নাকি রবীন্দ্রসঙ্গীত গাতকী ছাড়া চলবে না। কী করা যায় প্রজাপতি?

স্বপ্নহারা এর ছবি

শ্যামদেশে যাইতাম মন চায়...মন খারাপ
এইবার সামারে কোথাও যাওয়া হয় নাই...এইসব ঘুরাঘুরি আর ছবি দেখলে হিংসা লাগে!
তবে ছবিগুলান মারাত্মক...আপনার বিনয় দেখলে নিজেরে ছোটলোক মনে হয়!

হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মামুন হক এর ছবি

স্বপ্নহারা শ্যামদেশে মধু নাই, এই কথাটা কইলে ভুল হবে। তাই আমি কই যান ঘুরে আসেন। বিনয় না বস, একটু ঢং দেখাইলাম পুলাপানের মতো।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বিচ পার্টির ছবি দেইখ্যা মন ভরলো না। ভিডিও দেখতে মঞ্চায়। আছে নাকি, একটু মেইল কইরা দ্যান না! দেঁতো হাসি
..................................................................

ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল

মামুন হক এর ছবি

আইডি স্ক্যান কইরা পাঠাও আগে বালক।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সোন্দর

মামুন হক এর ছবি

ধইন্যা হাসি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক

মামুন হক এর ছবি

কী রে মামা, তুমিও ভালু হয়ে গেলা?

কীর্তিনাশা এর ছবি

এইগলা কী? এত্তাসব সোন্দর সোন্দর ছবি দেওয়ার মানে কী। আমগো দিলে এইরম দুঃখ দেওয়ার অর্থ কী??? রেগে টং

আপনে মামুন্হক ভাই পুরাই একটা................

থাউকগা কইলাম না। কষ্ট যখন দিছেনই আরো দিতে থাকেন। বুক তো পাইত্তাই দিসি।

যাউকগা, সব কথার শেষ কথা - লেখা ছবিতে পাঁচতারা..........

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মামুন হক এর ছবি

মিয়া আমিতো চরম লোক্ষারাপ, খালি সবাইর মনে দুক্কুই দিয়া গেলাম।
আপনে সম্মানে আগামীতে আরো ছবি দেয়া হবে হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পশ্চিমা টুরিস্টদের একটা বিরাট অংশ নাকি থাইল্যান্ড যায় শারিরীক মৌজের জন্য, শস্তায় ভালো সেবা। ছবি ও বর্ণনা চরম!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মামুন হক এর ছবি

বলাইদা নোংরামী এমনই অমানবিক পর্যায়ে চলে গেছে যে লিখতে গেলে আলাদা বিরাট পোস্ট দিতে হবে। হয়তো দিব কোন একদিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সুন্দর ছবিগুলো।

নৈশী।

মামুন হক এর ছবি

ধন্যবাদ নৈশী। ভালো থাকবেন।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অনিকেতের মতোন আমিও ভয়ানক ধরণের ঘরকুণো লোক। প্লেনে উঠতে গায়ে জ্বর আসে। নতুন জায়গায় যদি কখনো যেতে হয়, তাহলে গোটা সময়টাই পারলে হোটেলের ঘরেই কাটিয়ে দেই। এই প্রসংগে আমার স্বর্গীয় নানাজানের কথা মনে পড়ছে। উনি পিকনিক করাটা ভালো বুঝতেন না। "জংগলে গিয়ে ভাত খাওয়ার মানেটা কি?" জাতীয় প্রশ্ন করতেন। আমিও প্রায় ঐ কিসিমের লোক।
তবে আপনার চমৎকার ছবিগুলো দেখে মনে দোলা দিচ্ছে। আহা-ঐসব জায়গাগুলোতে গেলে মন্দ হোত না। যদিও জানি, এক মিনিট পরেই আবার ভাববো, নাহ-এখানেই ভাল। তারপর পাশ ফিরে শুয়ে পড়বো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মামুন হক এর ছবি

"জংগলে গিয়ে ভাত খাওয়ার মানেটা কি?"

--হাহা, আমার নানাজান অবশ্য পিকনিক, পাখি শিকার ইত্যাদিতে আসক্ত ছিলেন। ঘুরতেনও খুব। আমার বড়ো মামারতো রীতিমতো ঘর পালানো রোগ ছিল। মনে হয় মাতুল বংশের বদগুনই আমারে ঘরে থাকতে দেয়না।

জুম্ম [অতিথি] এর ছবি

মামুনভাই, কো-সামুইয়ের যে-সব নাইটক্লাবে গেছেন, সেগুলোর ছবি দেন। আমরা একটু চোখের জ্বালা মিটাইয়া লই....... খালি কি আপনি চোখের সাধ মিটাইবেন? হুম........

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।