ভারতে আর্মানী সম্প্রদায়

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ২৩/০৪/২০১২ - ৩:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট এর ভারত অভিযান থেকে ভাস্কো ডা গামার প্রথম সমুদ্রপথে ভারত আগমনের সময় পর্যন্ত, যখন ইয়োরোপ ভারতের সাথে মিশত অল্পই, তখনই আর্মানীরা স্থলপথে পারস্য হয়ে ভারতের সাথে ফাটিয়ে বাণিজ্য করত। আর্মানীরা ভারতে খাঁটি সওদাগর ছিল, তারা ড্যানিশ ওলন্দাজ কি ফরাসীর মত শহর পত্তন করেনি। বাকীদের মতন অ্যাডভেঞ্চার, দেশদখল, লুটতরাজ বা ওইরকম মতলব আর্মানীদের ছিলনা, তারা বিবিধ ভারতীয় বাণিজ্যঘাঁটিতে ব্যবসা চালিয়ে যেতেই উৎসুক ছিল।

সংস্কৃত কাব্যে অথবা মুসলমান ঐতিহাসিকের বর্ণনায় এদের ভারতে পদচারণ খোঁজার চেষ্টা মিছে। রাজনীতিতে এদের আগ্রহ অল্পই ছিল, যুদ্ধের মাঠে নয় বরং পাইকারি আড়তের বাজারে কি বাণিজ্যের ঘাটে এদের দেখা যেত। অন্যান্য বিদেশি পাইকারের অনুপস্থিতির সুযোগে রপ্তানী বাণিজ্যের সিংহভাগ আরামসে কব্জা করতো আর্মানীরা, ভারতীয় পণ্য পারস্য থেকে একবারে ভেনিস পর্যন্ত বয়ে বেড়াত এরা।

আর্মানীদের ভারতের রাজাগজার সাথে দোস্তি অনেক আগে থেকেই, তারা কনৌজের দুই পলাতক রাজপুত্রকে শেল্টার দিয়েছিল। কনৌজের রাজা দিনাক্ষপালের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ফেঁসে গিয়ে তারা সুদূর আর্মেনিয়ায় পালিয়ে যায়, ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম পাই গিসানেহ আর দিমিতের। গিসানেহ হল গণেশের বিকৃত রূপ, আর দিমিতার নামটি জগন্নাথের একবারে আক্ষরিক গ্রীক অনুবাদ। এই দুই পলাতক রাজপুত্রকে আর্মেনিয়ার রাজা ভ্যালার্সেসিজ অতি আদরের সাথে বরণ করে নেন, রাজকীয় মর্যাদাই দেওয়া হয় তাদের। ভ্যালার্সেসিজ মহান আর্সেসিজ দ্য পার্থিয়ানের ছোট ভাই, তিনিই তাকে আর্মেনিয়ার রাজা মনোনিত করেন। খ্রিস্টজন্মের ১৫০ বছর আগের কথা। অতিথিবৎসল রাজা তাদের ত্যারন জিলা দান করেন, ঐখানে তারা দুই ভাই এক নগর পত্তন করে আর নাম দেওয়া হয় ভিসাপ। আর্মানী ভিসাপ অর্থ ড্রাগন, ড্রাগন নামকরনের কারন এই দুই রাজপুত্র ছিল তক্ষক গোত্রের।

পরে তারা আর্মানী শহর আশ্তিশাতে যায় আর নিজস্ব দেবদেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে। তাদের মৃত্যুর পর বংশধরেরা তাদেরকে দেবতায় পরিণত করে, আর নিজেদের ধর্মকর্ম নির্বিঘ্নে হিদেন আর্মেনিয়ায় চালিয়ে যেতে থাকে। ৩০২ সালে খ্রিস্টধর্ম আর্মেনিয়ায় ছড়াতে শুরু করলে তাদের বিপদ শুরু হয়, ঈশ্বরের বাণীপ্রচারক সেন্ট গ্রেগরি দ্য ইল্যুমিনেটর তাদের মূর্তি ভাঙার আদেশ দেন আর পুরোহিতেরা এদিক সেদিক ছিটিয়ে পড়ে। এই সেন্ট গ্রেগরির আমলেই আস্ত দেশ মূর্তিপূজা বাদ দিয়ে খ্রিস্টধর্মে দিক্ষীত হতে শুরু করে।

খ্রিস্ট আমলের একদম প্রথম দিকে গঙ্গানদীর তীরে কাশী (বর্তমান বেনারস) ছিল আর্মানী সওদাগরদের হেড কোয়ার্টার। ঐ সময় কাশী ছিল ভারি রমরমা ব্যবসাকেন্দ্র, সেখানে যেতে পথে পড়তো পারস্য আর কাবুল। নৌপথে উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারত পৌঁছানোর রাস্তা তখনো ইয়োরোপে অজ্ঞাত।

ভাস্কো ডা গামার মালাবার কোস্টে নামার পাক্কা সাত শতাব্দী আগে ৭৮০ সালে আর্মানী সওদাগর মার টমাস একই স্থানে আসেন, তখন ক্র্যাঙ্গানোরের স্থানীয় রাজা শিউ রাম বলে এক ব্যক্তি। এই রাজা তাকে ব্যাপক পছন্দ করে ফেললেন, আর ফলস্বরুপ বিপুল পরিমাণ মসলিন আর মসলা রপ্তানীর ডীল পান টমাস। তবে এরকম টুকটাক বিজনেস চললেও আর্মানী ব্যবসা ফুলেফলে বেড়ে উঠে মোগল আমলে, যার রাজধানী আগ্রায় আর্মানী ঘাঁটি গড়ে ওঠে।

সম্রাট আকবর এক সম্ভ্রান্ত আর্মানী বণিক জ্যাকব সাহেবের ছেলে দত্তক নিয়েছিলেন, জ্যাকবের সাথে তার দেখা হয় কাশ্মীরে। জাহাঙ্গীর জন্মানোর বেশ কয় বছর আগেই এই দত্তকের ঘটনা ঘটে। ১৫৭০ সালে জাহাঙ্গীর জন্মানোর সাথেও আকবর আর্মানীদের আগ্রা আগমন ও গির্জা গড়ার যোগসূত্র খুঁজে পান, আর মোগল ছত্রছায়ায় আনন্দের সাথে বেড়ে চলে আর্মানী বাণিজ্য।

একটি ইন্টারেস্টিং ঘটনার দিকে চোখ ফিরাই আসুন। ১৬০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মোগল দরবারে আসেন ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের দূত ক্যাপ্টেন উইলিয়াম হকিংস। দরবারে সম্রাট তখন জাহাঙ্গীর। তিনি রাজা জেমসের সীল মন দিয়ে পরখ করলেন তারপরে দোভাষী মারফত হকিংস কে প্রতিদিন দরবারে আসার আমন্ত্রন করলেন, আর ইয়োরোপের বিভিন্ন দেশ ইত্যাদি নিয়ে বিতং আলাপ জুড়ে দিলেন তার সাথে। সম্রাট যে তাকে ইংল্যান্ডে দূত পাঠানোর আগ পর্যন্ত থেকে যেতে অনুরোধ করলেন তাই নয়, বললেন একটি স্থানীয় মেয়েও বিয়ে করে নিতে। পড়েছ মোগলের হাতে, নারী খেতে হবে সাথে। মোগল সম্রাটের কথা মানেই আইন, না করে কি জান খোয়াবেন হকিংস? তবে তিনি একটি চালাকির আশ্রয় নিলেন, বললেন ইয়ে মানে বিয়ে করতে তিনি দুই পায়ে খাড়া তবে কিনা খ্রিস্টান মেয়ে ছাড়া বিয়ে করা তার ধর্মে বারণ। তিনি ভেবেছিলেন এই দূর ভারতে খ্রিস্টান সদবংশের মেয়ে পাবে কই। কিন্তু মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর বলে কথা, তিনি ঠিকই কোথা থেকে একটি কচি আর্মানী মেয়ে ধরে আনলেন। হকিংস বাবাজীর বিয়ে হল, সেই মেয়ে পরে তার সাথে ইংল্যান্ড ও চলে যায়।

মোগল সাম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে আর্মানী ব্যবসার লালবাত্তিও জ্বলা শুরু হয়। তারা আগ্রা ত্যাগ করা শুরু করে।

নাদির শা এর মতন পারসীক লুটেরা রাজার হাত থেকে নিস্তার পেতে কিছু ধনী আর্মানী ভারতের দিকে চলে আসে, প্রথম যে বন্দরে তারা থামে তা বোম্বের সুরাট। সেইখানে তারা দুইটি গীর্জা তৈয়ার করে, একটি শহরের ভিতরে (যা আজও অটুট) আরেকটি গোরস্তানের ভিতরে, যা ভগ্নপ্রায়। বিপুল এলাকা নিয়ে তৈরী গোরস্তান দেখেই বুঝা যায় একসময় টাকার প্রাচুর্য ছিল এদের।

ব্যবসাবাণিজ্যে এদের তুমুল সাফল্য আসে যথারীতি, আর গুজরাটের স্থানীয় শাসকদের নেকনজরে পড়ে তারা। তবে ইংরেজ ফরাসীর তুমুল কাইজার জন্যে এদের লোকসান বাড়তে থাকে। ১৭৮৩ সালে কর্ণাটকে এদের যে যুদ্ধ শুরু হয় তার কড়া মাশুল দেয় সুরাটের আর্মানী সম্প্রদায়। নিচে একটি চিঠির সারমর্ম পড়ে বুঝা যাবে এই পরিস্থিতি, চিঠিটি সুরাটের আগা ওয়েনজন জ্যাকব লিখেছেন জুলফার আর্মানী আর্চবিশপের প্রতি ২৮ এপ্রিল ১৭৮৩ সালেঃ

“দিনকাল অতি মন্দ যাচ্ছে, ইংরেজ একত্রে ফরাসী আর হায়দার আলীর সাথে যুদ্ধ করছে। আবার ওলন্দাজের সাথেও যুদ্ধ চলছে, সুতরাং জলে স্থলে সর্বত্রই লড়াই। আমাদের (আর্মানী) লোকেরা দুই লাখ রূপী লস দিয়েছে কারন আমাদের চীনফেরত জাহাজ যুদ্ধের মাঝে পড়ে লুট হয়েছে, এদিকে মারাঠার দল বাংলামুখী একটা জাহাজ লুটে নিয়ে গেছে আড়াই লাখ রুপির মাল।”

একই চিঠিতে কিছু পরে লিখাঃ

“বসরাগামী একটা জাহাজ গেছে হারিয়ে, খোয়া গেছে দেড় লাখ রুপীর মাল। বোম্বের আর্মানীরা পাঠিয়েছিল বিয়াল্লিশ গাঁট সিল্ক, কিন্তু পুরো জাহাজই ধ্বংস আর মাল হাওয়া হাওয়া। এই সমস্ত গজবের কান্ড ঘটছে মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে, আমাদের কি হবে জানিনা। খালি সুরাটের ব্যবসায়ীদের লোকসানই হয়েছে ছয় লাখের উপর, যার সিংহভাগ আমার লস। খোদার কি বিচার!”

মাস নয়েক পর ১৭৮৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী আরে চিঠিতে তিনি লিখেনঃ

“দিন যাচ্ছে আর আমরা গরীব হচ্ছি, বিপদাপদ বাড়ছে শুধু বাড়ছে। অনেকে ফতুর হয়ে গেছে এক মার্চের ঝড়ে, যাতে আমার একলারই লোকসান হয় ছাপ্পান্ন হাজার রূপী। জাভার জাহাজ সবগুলি পথেই লুট হচ্ছে অথবা মাঝসাগরে ডুবে যাচ্ছে, লোকসানের পরিমান দুই লাখ রূপী যাতে আমার তেরো হাজার ছিল।”

অন্য আরেক চিঠি লিখেন সুরাটের জনৈক জোহানেস শেঠ ২৮ ফেব্রুয়ারী ১৭৯৭ সালেঃ

“আগা মুরাদ একটি জাহাজ কিনে তার নাম দেয় অর্ষক, তাতে ঠাসা হয় দেড় লাখ রুপীর মাল। শেঠ সাহেবকে ঠিক করা হয় সুপারকার্গো, তাকে সেবাবদ প্রদান করা হয় ৮০০০ রূপী। এছাড়াও দেয়া হয় মালাক্কায় বেচার জন্য বিশ হাজার রুপীর মাল, অন্যান্যরা আরো হাজার পনেরো রুপীর মাল দিয়েছিল। অর্ষক নিরাপদে মাদ্রাজ পৌঁছে, তারপরে নিরাপদেই পেনাং বন্দরে ভিড়ে। মেলা জিনিষ কিনাবেচা শেষে জাহাজ পাল তোলে মালাক্কার দিকে। মালাক্কার কিছু আগে মাঝসাগরে তিনটে ফরাসী যুদ্ধজাহাজ তাদের দিকে গোলা ছুঁড়ে আটক করে। সকল মালসামান লুটের পর তারা জাহাজ পেনাং এ রেখে চলে যায়। খালি জাহাজ ফিরে আসে সুরাট। পথে বসি আমি, আগা মুরাদ আর শেঠ। এ সবই ইঙ্গ ফরাসী আর অন্যান্য দেশের যুদ্ধের ফল। তুমি কি জানো এই বছর শুধু দূর্গে দূর্গেই আমাদের বণিকেরা হারিয়েছে পনেরো লাখ রূপী? এই যুদ্ধ আমাদের শেষ করে দেবে, হে খোদা আমাদের সহায় হউন। ”

সুরাটের আর্মানী কলোনীর গল্প শেষ করি অন্য একটি ঘটনা দিয়ে। বসরা থেকে এক আর্মানী জহুরী সুরাটে আসে, আর থাকে গীর্জার কাছেই একটি ঘরে। সারা দুনিয়ার লোকের সাথে তার পাথর নিয়ে কারবার, তার সাথে সাক্ষাতে আসে সুরাটের গভর্নরের নিজস্ব লোক। একলা ঘরে জহুরীকে দেখে তার মাথায় কুবুদ্ধির উদয় হয়, সে তার বুকে ছুরি বসিয়ে দেয় আর সব রত্নমাণিক নিয়ে পালায়। দুই দিন ধরে পড়ে থাকে লাশ ঐভাবে, পরে গীর্জায় তাকে দেখতে না পেয়ে ঘরে ঢুকে লোকে দেখে লাশ। তদন্তের পর গভর্নরের লোকটি ধরা পড়ে, তাকে অ্যারেস্টও করা হয়। কিন্তু গভর্নর সাফ বলে দেন একটি ফালতু বিদেশী আর্মানীর জীবনের জন্যে তার উপদেষ্টার নখের আগাও কাটা হবেনা।

ভয়ংকর চটে ওঠে আর্মানীর দল, গভর্নরের দিন ফুরিয়ে আসে। এইরকম সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিল চতুর ইংরেজ, তারা ফট করে কোন্দলের সুযোগ নিয়ে মহান মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান বের করে আনে আর সুরাটে ইংরেজ কুঠি পত্তন করা হয়।

.........................................................................................................................................................................................................
মাসরভ জ্যাকব শেঠ রচিত History of the Armenians in India অবলম্বনে। সকল মতামত লিখকের নিজস্ব।

পাদটীকা

  • ১. ক্র্যাঙ্গানোর বর্তমান কেরালা রাজ্যের কদুনগালুর শহর। মালাবার কোস্টে।
  • ২. সুপারকার্গো কথাটি স্প্যানিশ সবারকার্গো হতে এসেছে, এর অর্থ যিনি মালের তত্ত্বাবধানে থাকবেন জাহাজে।


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

চলুক, ঢাকায় আরমানিদের নিয়ে লিখতে পারেন সময় পেলে, বিশেষ করে তাদের গির্জা আর আরমানিটোলা।
অফটপিক- আরমেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভেনে একটা জায়গা পরিচিত বাংলাদেশ নামে, ১৯৭১ সাল থেকে।

আমার আর্মেনীয় বন্ধু দাবী করত- তার দেশ বিশ্বের প্রথম দেশে যারা খ্রিষ্টের ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ঘোষণা দেয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

"আরমেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভেনে একটা জায়গা পরিচিত বাংলাদেশ নামে, ১৯৭১ সাল থেকে"
এই বিষয়টা আরেক্টু বিস্তারিত লেখবেন?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

ইয়েরেভেনে বাংলাদেশ নামে একটা জায়গা আছে। এই শহরটা যখন তৈরি হয় সেসময় বাংলাদেশের জন্ম হচ্ছিলো, মূল শহর থেকে বেশ দূরে নুতন এই শহরটাকে সে সময় থেকেই স্থানীয়রা দুরত্বের কারণে বাংলাদেশ নামে ডাকা শুরু করে (আমরা যেমন উত্তরাকে আগে আলাদা শহর ভাবতাম)। পরে এ নামেই শহরটা পরিচিত হয়, মজার ব্যাপার হলো এখানকার বাসিন্দাদের এখন বাংলাদেশী বলা হয়।

...........................
Every Picture Tells a Story

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, এইটা নিয়া একটা স্বতন্ত্র পোস্টের দাবী রেখে গেলাম। একদফা এক দাবী

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনে বা তারেক অনু, যেই লিখেন
কিন্তু পোস্ট চাই-ই চাই

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমি নাই।

...........................
Every Picture Tells a Story

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ক্যান নাই?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শোয়েব মাহমুদ সোহাগ এর ছবি

ক্যান নাই? জাতিরে মূর্খ বানিয়ে রাখার ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই!

তারেক অণু এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, মুস্তাফিজ ভাই ! আমি ভোট দিচ্ছি!

সত্যপীর এর ছবি

ঢাকায় আর্মানীরা ছিল, এছাড়া ওলন্দাজ ইংরেজের কুঠিও ছিল ছোট ছোট। সমস্যা হল ওগুলির হিস্ট্রি গুছিয়ে একটি বইয়ে নাই, বিভিন্ন বই ঘেঁটে লিখতে হবে। আমি অতি আইলসা ঐ পথে হাঁটতে আমার তীব্র আপত্তি আসে খাইছে

আপনের অফটপিক নিয়া জানতে মঞ্চায়, নজরুল ভাইয়ের মতন আমিও দাবী রাইখা গেলাম ইয়েরেভেনের বাংলাদেশ নিয়া ছবি ও তথ্যসহ পুস্ট চাই।

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

ইয়েরেভানে 'বাংলাদেশ' --

****************************************

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
সত্যপীর এর ছবি

চলুক

..................................................................
#Banshibir.

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ইয়েরেভেনিয়ান বাংলাদেশ সম্বন্ধে জানতে চাই।

দিগন্ত এর ছবি

তার দেশ বিশ্বের প্রথম দেশে যারা খ্রিষ্টের ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ঘোষণা দেয়। -
- ইথিয়োপিয়ানরাও একই দাবী জানায়, কোনটা ঠিক?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আর্মানীদের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না ঠিক করে।
আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

তবে হ্যাঁ, অণুদার অফটপিক টাও কিন্তু খুব ইণ্টারেস্টিং।
দেখি আরও খবরা-খবর পাওয়া যায় কিনা।

সত্যপীর এর ছবি

ধইন্যবাদ। খবরাখবর পেলে শেয়ার কইরেন। আর কামতাপুর আর গ্রেটার কোচবিহারের ব্যাপারটা নিয়ে ডিটেলস লিখতে ভুইলেন না হাসি

..................................................................
#Banshibir.

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

না, না, ভুলমু না।
আসলে আমার ঐ নাসির ভাইয়ের সিরিজখানা শেষ করি, তারপরে ঐটাই লিখমু।

মন মাঝি এর ছবি

চলুক দারুন!

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

দেঁতো হাসি

..................................................................
#Banshibir.

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

হাততালি
আপনি নতুন এক জানালা খুলে দিলেন। আর্মেনীয়দের নিয়ে কিছুই জানতাম না, ঢাকায় তাদের কিছু স্থাপনা ছাড়া (তাও পত্রিকার দৌলতে)। এই লেখার আরো কিস্তির জোরালো দাবি উত্থাপন করলাম সত্যপীরের দরবারে। হাসি
ভালো থাকবেন। এই আশাবাদের চেয়েও বেশি ভালো থাকবেন; সবসময়।

সত্যপীর এর ছবি

ঘরে জানালার দরকার আসে চাল্লু

এই লিখাটা সিরিজ না, তাই আরো কিস্তি দেবার প্ল্যান ছিলনা। পরে একসময় দিব তাহলে। সিরাজ নিয়ে পড়ার সময় এই বইটা হাতে আসে, এই চ্যাপ্টার পড়ার পরে ভাবলাম পোস্ট করে দেই। আমার কাছে দারুন লেগেছে তাই শেয়ার করলাম। ঢাকার আর্মানীটোলা নিয়ে খুঁজে দেখি কিছু পাই কিনা, এই মুহুর্তে লিখছি ঢাকার বড় কাটরার বড়ভাই শা সুজাকে নিয়ে। তবে তাতে ঢাকা আছে অল্পই চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

বাউলিয়ানা এর ছবি

পড়েছ মোগলের হাতে, নারী খেতে হবে সাথে।

হো হো হো

সত্যপীর এর ছবি

চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

নিলয় নন্দী এর ছবি

টপিক আর অফটপিক মিলিয়ে জবরদস্ত হয়েছে।
এভাবেই একে একে বিস্তৃত হতে থাকে জ্ঞানের শাখা আর প্রশাখা।
আরো জানতে চাই।
লেখায় (গুড়) দিলাম।

সত্যপীর এর ছবি

অশেষ দইন্যবাদ নিলয় দাদা, আরো অনেকে গুড় দিসে দেখলাম। আর কেউ চালের গুঁড়া দিলে পিঠা বানান যাইতো চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

অনুবাদ লেখা -গুড়- হয়েছে হয়েছে। হাসি

সত্যপীর এর ছবি

লিখা কই মিয়া?

..................................................................
#Banshibir.

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

কি আর কমু ভাই দু:খের কথা,
ল্যাপিতে বসি কিন্তু হাত চলে না।

তানিম এহসান এর ছবি

এই পোস্ট থেকে একটা বড় পাওয়া হলো, ইয়েরাভেনে বাংলাদেশ। মনমাঝি ভাইকেও ধন্যবাদ লিংক জুড়ে দেয়ার জন্য। ওখানকার বাসিন্দারা কি আমাদের এই চমৎকার দেশটার কথা জানে!

সত্যপীর এর ছবি

আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নাক্ষত্রিক অণু ইয়েতিরে ওইখানের বাসিন্দাদের কাছে দূত বানায় পাঠানো হউক।

..................................................................
#Banshibir.

দুর্দান্ত এর ছবি

আবারো পুরাতন প্রশ্নঃ খাজা ওয়াজিদ কই? ;)।

***
লেখার শেষে এসে আরমিনিয়দের যে দুরবস্থার কথা বললেন, এরকম দুরবস্থা বাংলার বাইরে সম্প্রদায় নিরবিশেষে সবার একই অবস্থা দাড়িয়েছিল। এই মুদ্রার উল্টোপিঠে আছে মুলত ইংরেজদ নৌ ও সামরিক উত্তানের গল্প - যার পেছনে আছে আবার বাংলা ভিত্তিক আরমেনিয়ান ও পশ্চিম ভারতীয় ব্য়াবসইয়িদের পুনরুত্থানের গল্প।

সত্যপীর এর ছবি

এই চ্যাপ্টারটা পুরাতন আর্মানী সম্প্রদায় নিয়ে কথা বলেই শেষ, ওয়াজিদ বাবাজী আসে আরো পরে। ভালো কিছু পাইলেই শেয়ার দিব।

..................................................................
#Banshibir.

সাই দ এর ছবি

এ লেখা থেকে অনেক কিছু জানলাম চলুক । আচ্ছা আর্মেনীয়দের নামের মধ্যে কি আরবীয় কোন প্রভাব আছে???

সত্যপীর এর ছবি

আর্মানীরা অনেক পুরান জাত, এখানে সেখানে অনেক বছর রোমান খ্রিস্টান মুসলমান শাসনে ছিল এরা। প্রভাব থাকা অস্বাভাবিক নয়।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি

..................................................................
#Banshibir.

তাপস শর্মা এর ছবি

এই আর্মানীরাতো খাসা মাল ছিল বাপু। যাই হোক মোগল সম্রাটের ফরমান শুনে চিন্তিত .........

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

পড়ছি। নিত্যনতুন বিষয় জানছি।

সত্যপীর এর ছবি

ধন্যবাদ।

..................................................................
#Banshibir.

সত্যপীর এর ছবি

দুষ্ট সম্রাট চোখ টিপি

..................................................................
#Banshibir.

উচ্ছলা এর ছবি

আর্মানীরা অত্যন্ত মমিন শ্রেণীর ব্যবসায়ী তো !

সত্যপীর এর ছবি

"মমিন ব্যবসায়ী" <হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়া গায়ে ব্যথাপ্রাপ্ত ইমো>

..................................................................
#Banshibir.

কল্যাণ এর ছবি

আকবর বাদশাহ খালি দত্তক নিয়ে থেমে গেছিলো? কোন আর্মানীরে হেরেমে তোলে নাই দেঁতো হাসি ?

অণুরে আকবরের দরবারে আমাদের সচলায়তনের দূত হিসাবে পাঠাইয়া দেখতে মুঞ্চায় চিন্তিত

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

চমকপ্রদ তথ্য। আর্মেনিয়ানদের ব্যাপারে এতকিছু জানা ছিলনা। ইয়েরেভেনের বাংলাদেশ কৌতূহলোদ্দীপক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।