ছবির গল্পঃ শাজাহানকে বিলাতি লকেট পরিহিত জাহাঙ্গীরের সাবাসি

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ১৪/০২/২০১৬ - ৪:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাহাঙ্গীর বাদশার দাক্ষিণাত্য জয়ের স্বপ্নে কাঁথাবালিশ জাবড়ে মান্ডু শহরে থানা গাড়ার কথা আমরা আগের ছবির গল্পে দেখেছি। অক্টোবর, ১৬১৭। মান্ডুর আকাশে আজ চাঁদের গায়ে চাঁদ। শহরবাসী ভাবে করবে কী।তিন নং রাজপুত্র খুররম সদ্য দাক্ষিণাত্যে কিছু লড়াই জিতে বীরদর্পে বাপের কাছে ফিরেছেন। সন্তুষ্ট পিতা কয় পাত্তর মদ খেয়ে কইলেন যা ব্যাটা সাব্বাস। তোর নাম আজ থেকে শাহ-জাহান, দুনিয়ার রাজা। তিনি নিজে জাহাঙ্গীর (দুনিয়াজয়ী) আর ছেলে যদি হয় শাজাহান (দুনিয়ার রাজা) তাহলে কিছু টেকনিকাল সমস্যা থেকে যায় বটে তবে সেসব বাজে তর্ক।

প্রিয় পাঠক আজকের ছবির গল্পে মোগল শিল্পী প্রয়াগের আঁকা ছবি “জাহাঙ্গীর প্রেজেন্টিং প্রিন্স খুররম উইথ টার্বান অর্নামেন্ট”।

ছবিতে উপরে মাঝখানে বসে জাহাঙ্গীর, ডাইনে শাজাহান সামান্য নিচু হয়ে হাত পেতে। জাহাঙ্গীর বাম হাত আলগোছে হাঁটুর উপর রাখা, ডান হাতে এগিয়ে দিচ্ছেন লাল চুনিশোভিত পাগড়ির সম্মানসূচক অলঙ্কার। গলায় বিশেষ বিলাতি লকেট। চুনি এবং লকেটের বিস্তারিত কথায় একটু পরে আসছি, আগে কয়টা জিনিস দেখে নেয়া যাক। নিচে একটু বড় করে দিলাম ছবির উপরের অংশটুকু।

ছবির উপরে যীশুখ্রিস্ট এবং মাতা মেরীর ছবি। এখনো পয়দা হতে বাকি শাজাহানের ভবিষ্যত পুত্র কাঠমোল্লা আওরঙ্গজেব যে দাদুমণির উপরে ক্ষ্যাপা ছিলেন তা এমনি এমনি না। মুসলমান বাদশার বারিন্দায় কেরেস্তান নবী কেন হোয়াই? জাহাঙ্গীরের সাথে (আকবরের সাথেও) গোয়ার পর্তুগীজ মিশনারীদের প্রচুর দহরম মহরম ছিল। ধর্ম নিয়ে নানা তর্কও চলত তিন ধর্মের বিবিধ মোল্লাদের ভিতর। যীশু এবং মাতা মেরীর ছবি জাহাঙ্গীর উপহার হিসেবে পেয়ে থাকতে পারেন, আমরা জানি তিনি জেসুইট বাইবেল উপহার পেয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরের নামের অর্থ ভুললে চলবে না, দুনিয়াজয়ী। এখন দুনিয়াতে তো খ্রিস্টান হিন্দুও থাকে। খেয়াল করুন পাঠক ছবির শিল্পী প্রয়াগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। হিন্দু শিল্পীর আঁকা মুসলমান বাদশা এবং কোনায় চিকনে যীশুখ্রিস্টের ছবি, সব মিলিয়ে জাহাঙ্গীরের দুনিয়া একটি মিলেমিশে থাকি ভালবেসে মতাদর্শী দুনিয়াঃ এইটে জাহাঙ্গীরের গোপন প্রপাগান্ডা হতে পারে। এই সিরিজের দুবছর আগে আঁকা একটি ছবিতে বারান্দায় পিতা আকবরের ছবি ছিল, এইখানে নেই।

কিঞ্চিৎ নিচে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে এক সাদা দাড়িওলা বুড়া আর এক কালা মোচু। এদেরকে খেয়াল রাখা চাই পাঠক, বিবিধ মোগল গল্পে এনারা আইয়ুব বাচ্চুর ফেরারী মনের মত মানেনা কোন বাধা এবং ফিরে আসে বারেবার। দাড়িওলা বুড়া ইতামাতুদ্দৌলাঃ জাহাঙ্গীরের গুণ্ডা বউ নূর জাহানের পিতা, শাজাহানের বউ মুমতাজ মহলের দাদু এবং জাহাঙ্গীরের প্রধান উজির। কালা মোচু লোকটি ইতামাতুদ্দৌলারই ছেলে আসফ খাঁঃ নূর জাহানের ভাই, মুমতাজ মহলের পিতা এবং শাজাহানের প্রধান উজির। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে শাজাহান-আসফ খাঁ এক পার্টি, নূরজাহান তাদের পাল্টি। নুরজাহান আপাতত ছবিতে নাই তাই চলেন আগাই।

মাঝখানে স্মিত হাস্যরত সিংহ আর গরু। আকবর জাহাঙ্গীর মিশনারিদের কাছ থেকে কিছু চিত্রসহ বাইবেল পেয়েছিলেন যার মধ্যে নানান মেটাফর গল্প ছিল। ভেড়া, গরু, সিংহ, মেষপালক ইত্যাদি চরিত্রের সন্নিবেশ সেইখানে থাকার কথা। শিল্পী প্রয়াগসহ অন্যান্য মোগল শিল্পীরা সম্ভবত সেইখান থেকে এইটার আইডিয়া পেয়েছেন, যে বাদশার নেভারল্যান্ডে সিংহ আর গরু হেসে দিন কাটিয়ে দেয় ইত্যাদি। ভূস্বর্গ, যেথা নেই কোন বেদনা ছলনা যাতনা কাটাকাটি।

আচ্ছা চু্নিপাথর। ছবির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ জাহাঙ্গীরের ডান হাতে উঁচু করে ধরা বাদশাহী পাগড়ি অলঙ্কার, লাল চুনিখচিত। পন্ডিতেরা অবশ্য বলেন এইটা আসল চুনি(রুবী) নয় বরং “স্পিনেল”, লাল রঙের চুনির মত দেখতে পাথর। যাক চুনি স্পিনেল তর্ক সরিয়ে রাখি। কথা হল চুনিটার কাহিনী কী। আকবরের মাতা হুমায়ুনের দুই নম্বর বউ হামিদা বানু বেগমের ছিল এই পাথর, সেথা হতে আকবর তথা হতে জাহাঙ্গীর এবং ফলাফল শাজাহান। এই পয়া পাথর যার পাগড়িতে চুমা খায় সেই হয় বাদশা, এই হল ব্যাপার। সুতরাং এই ছবিতে পাথরটি ফলতঃ মোগল বাদশাহীরই প্রতীক। ভুলে যাবেননা পাঠক শাজাহান জাহাঙ্গীরের প্রথম পুত্র নন, পাথর হাতবদল এবং শাহ-জাহান পদবীদানের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের একটি সাইড মেসেজ হতে পারে শাজাহানের বড় দুই ভাইসহ বাকি ভাইয়েরা হিসাবের বাইরে।

এইবার লকেটের দিকে ফেরা যাক। আমি বড় করে লকেটের ছবি নিচে দিয়েছি বটে কিন্তুক তেমন পরিষ্কার না তবু, বেশ ঘোলা। মূল ছবির আল্ট্রা হাই রেজোল্যুশন পেলাম না তবে আলাদা করে একটা ছবি দেব লকেটের। এখন পাঠক আপনার মনে কিতা খচখচ করছে তা আমি জানি। ছবির উপরে শাজাহানের পাছার পিছনে লাঠির উপর কাটা হাতের মত আকর্ষনীয় বিষয় থাকতে আমি ঘোলা লকেট নিয়ে বকবক কেন করছি সেইটে আপনার প্রশ্ন। এর উত্তর সরলঃ প্রথমত আমি কাটা হাতের মাজেজা জানিনা এবং দ্বিতীয়ত লকেটের কাহিনী কাটা হাত হইতেও চমকপ্রদ। চমক প্রদান করে যা, চমকপ্রদ। চমকটা হোল, দুনিয়াজয়ী মহাপরাক্রমশালী হিন্দুস্তানের মুসলমান বাদশা জাহাঙ্গীরের বুকের লকেটে যার ছবি সেই ব্যক্তি ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস।

আইজ্ঞা হ।

জাহাঙ্গীরের হাতে খুদেচিত্রটি আসে টমাস রোর হাত ধরে। ছবির মূল শিল্পী আইজাক অলিভার (উপরের ছবিটি আইজাকের পুত্র পিটার অলিভারের আঁকা কপি)। ১৬১৬ সালে মোগল দরবারে প্রথম যে ব্রিটিশ দূত জাহাজ চেপে হাজির হন তার নাম টমাস রো। বিবিধ দাওয়াতে আমরা যেরকম ফল মিষ্টি ফুলের টব ইত্যাদি হাবিজাবি উপহার নিয়ে যাই সেরকম টমাস রো সায়েবের হাবিজাবি উপহারের মধ্যে একটা ছিল আইজাক অলিভারের আঁকা রাজা প্রথম জেমসের খুদে ছবি। সেই ছবি দেখে জাহাঙ্গীর ভারি খুশী হয়ে তার প্রধান শিল্পীকে তলব করে জিজ্ঞাসা করলেন ওহে উস্তাদ। দেখতো ছবি কেমন?

বিটিশ সায়েব টমাস রো লিখে গেছেন, এর উত্তরে অম্লানবদনে “ঐ বোকলু” (that fool) বলে কিনা ও ছবি আমরাও পারি।

জাহাঙ্গীর তখন হেসে রোকে বললেন ওহে রাজদূত। আমার উস্তাদ তো বলে এই পিচ্চি ছবি তারাও পারে। সত্যি নাকি?

রো মোটেই তা বিশ্বাস করলেন না (আইজাক অলিভার তৎকালীন ইংল্যান্ডের প্রথম সারির একজন শিল্পী ছিলেন)। তারপর তারা নানান গল্পগুজবে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। কয়েকদিন পরে জাহাঙ্গীর আবার তলব করে পাঠালেন রোকে, তিনি ঢুকে দেখেন বাদশার সামনে একই রকম ছয়টা জেমসের খুদে ছবি। সহাস্যে জাহাঙ্গীর বললেন তবে আর দেরি করছ কেন, বেছে নাও কোনটা তোমার আনা ছবি।

রো স্বীকার গেছেন পরে যে শেষতক তিনি সক্ষম হয়েছিলেন বটে মূল ছবি বের করতে কিন্তু তা করতে গিয়ে তার ঘাম ছুটে গিয়েছিল, মোগল কপিগুলো এতই দুর্ধর্ষ ছিল।

যাহোক। ছবির গল্প প্রায় শেষ। সবশেষে শিল্পী প্রয়াগের কথা। মোগল আমলে শিল্পীরা প্রায়ই ভিড়ের মধ্যে নিজেকে ঢুকিয়ে দিতেন, প্রয়াগও তার ব্যতিক্রম নন। নিয়ম ছিল, ছবিতে শিল্পী থাকলে তার হাতে একটা খাতা থাকবে। মূল ছবির নিচে বামে খেয়াল করুন পাঠক খাতা হাতে শিল্পী প্রয়াগ।

ছবির গল্প আজকের মত শেষ হল। খুদাপেজ।

সূত্রঃ
মাইলো সি বিচ, পেইন্টিংস ফর দ্য মুঘল কোর্ট
গ্রেগরি মিনিস্যাল, ইমেজেস অফ থটঃ ভিজ্যুয়ালিটি ইন ইসলামিক ইন্ডিয়া ১৫৫০ - ১৭৫০
সোম প্রকাশ ভার্মা, আর্ট অ্যান্ড কালচারঃ পেইন্টিং অ্যান্ড পার্স্পেক্টিভ, ভল্য্যুম টু
জশুয়া জেমস ফস্টার, চ্যাটস অন ওল্ড মিনিয়েচার্স
কলিন পল মিচেল, স্যার টমাস রো অ্যান্ড দ্য মুঘল এম্পায়ার
https://www.royalcollection.org.uk/collection/1005025-an/jahangir-presents-prince-khurram-with-a-turban-ornament-12-october-1617
http://art-in-space.blogspot.com/2015/12/payag-padshahnama-plate-39-mughal.html


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যীশুখ্রিস্টের ডানে বামে দুইজনের কথা কন নাই। বামেরজন লাগে টাইপরা ইংরেজ। মাতা মেরীর বামের জনের কথা্ও কন নাই

০২
শাহজাহানের চাকুধারি হাবশি দেহরক্ষীর কথাও বাদ দিয়া গেছেন। এই হাবশি চাকুধারীরা শাহজাহানেরও দেহরক্ষী আছিল। আওরঙ্গজেব যাগোরে বেপক ভয় পাইত

০৩
গরুসিংহের উপরে দুই ঝাপসা মুনিঋষির কথা কিছু কইলেন না?

সত্যপীর এর ছবি

বিশাল ছবি, দশভাগও কভার করিনাই বস। সামনে ভিড়ের লোকেদের মধ্যে খালি তিনজনকে আইডেন্টিফাই করছি, আর্ট হিস্টোরিয়ান মাইলো বিচ সায়েব নাকি প্রায় সবাইরে আইডেন্টিফাই করছেন।

আরো কয়টা বই আসতেছে হাতে, ডিটেল কিছু পাইলে জানামুনে। আগের পর্বের গরু আর সিংহের কুশ্চেনও পেন্ডিং আছে।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা গুলো এত চমৎকার যে মুহুর্তের মধ্যেই পড়ে শেষ করে ভাবি আরো নেই কেন। তবে আবার ভাবি মোগলাই খানা মনে হয় একটু রয়ে সয়ে পাতে আসাই ভালো, বেশ রসিয়ে হজম করা যাবে। সুন্দর পোষ্টটার জন্য ধন্যবাদ না দিয়ে পারছিন।

সোহেল ইমাম

সত্যপীর এর ছবি

কন কি খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

ছবির গল্প সিরিজটা ভালো লাগছে। চলুক

সত্যপীর এর ছবি

আমারও চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

কৌস্তুভ এর ছবি

অতি চমৎকার। ছবির উপর অ্যানোটেশন দেওয়ায় অনেক সুবিধা হচ্ছে। তবে আগের পর্বে মনে হয় থ্রিল বেশি ছিল। খাইছে

সত্যপীর এর ছবি

পরের পর্বে ফাটায় থ্রিল দিতে চেষ্টা দিমু।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

বাহ, জোশ লাগল হে ! আরও কিছু ঝাড়ুন গরমাগরম -

সত্যপীর এর ছবি

আপনে কুথায়? লিখা ইশটপ?

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

চলুক

চালিয়ে যান হে পীরবাবা!

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

আল্লা ভরসা।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

অতি চমৎকার। অতীব চমৎকার। অতি অতীব চমৎকার।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সত্যপীর এর ছবি

মারাত্মক চমেতকার ছবি বটেক!

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

খালি পপ্পন!

..................................................................
#Banshibir.

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

আচ্ছা পীর দা , প্রয়াগের এই আসল ছবিগুলো কোথায় সংরক্ষিত আছে জানেন কি?

সত্যপীর এর ছবি

এইটা বাদশাহনামার একটা পৃষ্ঠা। মূল কপি সম্ভবতঃ ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে।

..................................................................
#Banshibir.

মেঘলা মানুষ এর ছবি

গরুর পাশের সিংহের হাসিটা সেইরকম।

সত্যপীর এর ছবি

ছবি-তুলা-শেষ-হইলেই-স্টেক-বানায়-খাইতেছি-তোরে-গরুর-বাচ্চা-কুনহানকার টাইপের হাসি।

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

সিংহ কি হাসছে নাকি? আমার তো মনে হচ্ছিল কোন অজানা দুঃখে বেচারা চোরা কান্না কাঁদছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সত্যপীর এর ছবি

ছবিগুলা আসলেও দারুণ। আরো আসতেছে খাড়ান।

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনি যাকে ছবির শিল্পী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেন, অমুসলিম প্রয়াগ, তাঁকে দেখে তো জামাতের রোকন বলে মনে হচ্ছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ঝাইড়া কাশেন আব্দুল্লাহ ভাই! প্রয়াগেরে চামে দিয়া কি গুশ্বর কইবার চান? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আরে না! আমি শুধু সাদা কে সাদা আর কালোকে কালা বলার কোশেশ করছি।

তাহসিন রেজা এর ছবি

ছবির গল্প পড়ে মুগ্ধ হলাম। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।