পর্ব-১। কাঞ্চনজংঘা, দার্জিলিং-এ সূর্যোদয় আর সুন্দরীদের ছবি

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: বুধ, ১৯/১১/২০০৮ - ১:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Happy valley Tea Estate
আমাদের অনেকের জন্য এ অভিজ্ঞতা নুতন। দাঁড়িয়ে আছি সিমানায়। ভোর ছ’টায় যখন বুড়িমারী পৌঁছালাম সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো সিমান্ত দেখতে, মানুষের তৈরী এ বিভাজন খালি চোখে দেখা যায় না সবাই তা জানে, তারপরও। সাথে যারা আছে তাদের চাইতে বয়স বেশী আর আগেও বেশ ক’বার এসেছি বলে এদের অঘোষিত নেতা বনে যেতে সময় লাগেনি, তাড়া দিলাম বাথরুম সারতে। বাস কোম্পানীর ছোট দুইটা বাথরুমে একটু পর লম্বা লাইন দিতে হবে। এবার নিয়ে দার্জিলিং এ ষোলতম যাত্রা আমার, ৩৬ জনের দলে আমরা ৯জন ছবিয়াল। একে ছবিয়াল তার উপর বয়স কম, কথা শোনানই মুশকিল, কোথাও একটু দাড়ালেই ক্যামেরা ক্লিক করা চাই, একজন করলো তো সাথে সাথে সবাই।
ছোট বন্দর বুড়িমারীর ব্যস্ততা এরই মাঝে শুরু হয়ে গেছে। চার-পাঁচটা দোকান আর কয়েকটা বাস কোম্পানীর অফিস এই হলো বুড়িমারী, একটা রেল স্টেশন আছে কিন্তু সম্ভবত চালু না, ভারত থেকে কয়লা আর পাথর টানা হতো একসময়। এরই মাঝে বুড়ীর দোকান, প্রথম যেবার এসেছিলাম খুপরী ঘর ছিলো, এখন পাকা দালান, একনামে চেনে সবাই। যারা এ লাইনে নিয়মিত তাদের কাছে সকালের নাস্তার জন্য প্রথম পছন্দ বুড়ীর হোটেল। আমরা গেলাম অন্যত্র, ডিম, পারাটা আর ডাল, সাথে গরম চা। খেতে খেতেও ছবিয়ালদের আলোচনা আর ক্লিক ক্লিকের বিরাম নাই। আমি ব্যস্ত সবার কৌতুহলের উত্তর দিতে। এরপর কী, ঐটা কী, এটা কখন হবে, সেটা কখন এসব। সবজান্তার মত ব্যাজার হলেও উত্তর দিচ্ছি হাসি মুখে। ভাবখানা সব পারি সব জানি। বিপদ এলো যখন শুনলাম আমাদের নেয়াজ এর পাস্‌পোর্টে সমস্যা আছে, আমাদের পাস্‌পোর্ট বিভাগ ওর পাস্‌পোর্টে জন্মস্থান লিখে দেয়নি, অসম্পূর্ণ বলে নিয়মমত এটা নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া যায়না, আগে জানলে নিজেই লিখে দিতাম, কিন্তু ওটা তো জমা হয়ে গেছে। কী বিপদ, কী বিপদ, এখন কী করি? সবার ভরসা আমি, মনে পড়লো কমলের কথা, এক পরিবহন কোম্পানীর স্থানীয় ব্যবস্থাপক, নিয়মিত যাতায়াতে পরিচয়, ভালো দখল বুড়ীমাড়ীতে, শরণাপন্ন হলাম। আমাদের আরেকজনের পাস্‌পোর্টে লেখা ছিলো আই টি প্রফেশনাল(IT Professional), ইংরেজীতে, বিডিআর কে অবশ্য ‘ইট প্রফেশনাল’ কি তা বোঝাতে সময় লাগেনি। নেয়াজ এর ব্যাপারে অভয় পেয়ে ওকে রেখেই নো মেনস্ ল্যান্ড পেরিয়ে ভারতীয় ইমিগ্রেশনে আমরা। এখানে দু’ঘন্টার মত লাগলো। একদম শেষ দিকে সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে নেয়াজকে দেখলাম নো মেনস্ ল্যান্ড ধরে হেঁটে আসতে। এখানে আর কোনো সমস্যা ছাড়াই শিলিগুড়ীর উদ্দেশে বাসে চড়লাম। ঘড়িতে বাংলাদেশী সময় বেলা এগারোর মতো। সুইচ অফ্ করলাম মোবাইলের, শুরু হলো দারজিলিং এর উদ্দেশে আমাদের যাত্রা।
এখন আসি ভূমিকায়, আমাদের দার্জিলিং যাবার প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই ছিলো, বেশ কিছু ছবিয়াল কে নিয়ে তিন মাস আগে থেকেই জল্পনা কল্পনার শুরু, সাথে কিছু বন্ধু বান্ধব, প্রাথমিক অবস্থায় ছবিয়ালরাই সংখ্যায় বেশী থাকলেও একসময় আমরা গৌণ হয়ে পড়ি, বিভিন্ন কারনে অনেকে শেষ পর্যন্ত যেতে পারেনি। ঈদের আগে ভারতীয় ভিসা অফিসের লাইন বাড্ডা পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও আমাদের কারো সমস্যা হয়নি ভিসা পেতে, শুধুমাত্র হচ্ছিলোনা হোটেল বুকিং, অনেকগুলো স্থানীয় পরব এর জন্য দার্জিলিং এর হোটেল গুলোর রমরমা অবস্থা, এছাড়া ছিল গুরখাল্যান্ড আন্দোলন, যা আমাদের পরে অনেক ভুগিয়েছে। এসব কিছু মাথায় নিয়েই অক্টোবরের আট তারিখ রাতে বাসে উঠে মাথা গুনে দেখলাম তেত্রিশ, আরো ছিলো তিন বাচ্চা। অনেকের সাথেই পরিচয় না থাকলেও পরবর্তী কয়দিনে প্রত্যেকেই খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলাম, আর এখন মনে হয় কতদিনের চেনা।
কল্যানপূর থেকে বাস ছাড়ার পর শেরপুরে রাতের খাবারের বিরতী, মোটামুটি ওখানেই সবার সাথে পরিচয়। শেরপুর থেকে বাস ছাড়ার পর সবাই আধোঘুমে, কেও কেও আবার কানে ওয়াকম্যান, গান শুনছে। এভাবেই এক সময় বুড়িমারী, অনেক লম্বা পথ, এসি গাড়ী বলে খারাপ লাগেনি ততটা, আমাদের ড্রাইভারও ছিলো ভালো, গাড়ী চালানো সুন্দর। ঢাকা থেকে বুড়িমারী বেশ কয়্টা কোম্পানীর বাস যায়, ঈদের পরপর প্রায় আঠারোটা করে বাস যেতো প্রতিদিন, বিশাল ব্যাপার। তুলনায় বন্দর অনেক ছোটো, আধুনিক কোনো বন্দোবস্তো নাই, সরকারী কর্মচারী হাতেগোনা, ওরা অনেকক্ষেত্রে নিরভর করে বাস কোম্পানীর লোকদের ওপর, ওরাই সবকিছু রেডী করে দেয় আর উনারা বসে বসে সীল দেন। তুলনায় ওপারে বন্দর বড়, অনেক লোকজন, মানি এক্সচেঞ্জই প্রায় পনোরো ষোলোটা। আগে থেকে বলে না দিলে টানাটানি করবে, আমি প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম বিশ্বজিতের ওখানে যাবো, তাই আমাদের নিয়ে টানাটানি হয়নি। বিশ্বজিত, অভিজিত দুভাই, এ ব্যবসায় পুরোনো, অবশ্যই ভালো লোক, বর্ডার পারাপারে দেয়া নেয়ার ব্যাপার থাকে, একবার এ দেয়া নেয়ার হিসাবের গন্ডগোলে নো ম্যানস্‌ ল্যান্ডে আটকা পড়েছিলাম, ভারতীয় ইমিগ্রেশনের সিল পড়ে গেছে পাস্‌পোর্টে, আমরাও বর্ডার ক্রস করেছি কিন্তু এপারে কোন লোক নেই, না ইমিগ্রেশন, না কাস্টমস্‌। ফিরেও যেতে পারবোনা ভারতে, একবার চিন্তা করেন কি ভয়াভহ অবস্থা, বাচ্চা কাচ্চাও আছে দেখলাম, কিছু আবার দার্জিলিং এ স্কুলে পড়ে, ছুটিতে বাড়ী ফিরছে। আমাদের জন্য খোলা জায়গায় রাত কাটানো খুব একটা অসূবিধা না হলেও যদি রাতে বৃষ্টি আসে? এই নিয়ে সাত পাঁচ ভাবনার এক পর্যায়ে দাদার আগমন, কেউ না বললেও উনি কিভাবে যেনো ওদিকে ম্যানেজ করেছেন, ৪০ জনের মত যাত্রী নিয়ে আবারো বর্ডার ক্রস করে এক ধর্মশালায় তুললেন আমাদের, কিছু মহিলা থাকলেন উনার বাড়ীতে, অবশ্য সবার পাস্‌পোর্ট জমা রেখেছিলেন উনি। রাতের খাবারও বিনে পয়সায়। একরাত থেকেছিলাম সেখানে। এরপর থেকে যতবার গিয়েছি মানি এক্সচেঞ্জের কাজ উনার ওখানেই সেরেছি, পরিচিত যারাই যায় সবাইকে বলি উনার কথা, আপনাদেরও বললাম।
বুড়ীমারীর ওপারে জায়গাটার নাম চেংড়াবান্ধা, ওপারে বাস আছে টেক্সি আছে, শিলিগুড়ী টেক্সিতেও যাওয়া যায়, ৮২ কিমি নেবে ৫০০রুপীর মতো। শিলিগুড়ী মহকুমা শহর (জেলা দারজিলিং) হলেও অনেক বড়ো, ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটা রাজ্যের জিনিষপত্র শিলিগুড়ী হয়েই যায়, তাই এর গুরুত্ত অনেক। শহরের মাঝামাঝি জায়গায় বাস স্ট্যান্ড, আমরা তার থেকে একটু দূরে ওদের নিজ কাউন্টারে নেমেছি, জায়গাটার নাম দার্জিলিং মোড়, মোড়ে ক্ষুদিরাম এর একটা মুর্তী আছে, তেঞ্জিং এর ও আছে। এখানে আসতে লেগেছে দুই ঘন্টার উপর, মাঝে তিস্তা পেরিয়েছি। তখন বেলা দুপুর, খাওয়াটা সেরেছি এখানেই, বুফে।
khudiram
ঝামেলা কাকে বলে টের পেয়েছি শিলিগুড়ীতে এসে। দার্জিলিংএ গুরখালান্ড আন্দোলন চলছে। অনেকদিন ধরেই নুতন পার্টি গুরখা জনমুক্তি মোরচা আর এর নেতা বিমল গুরুং এর নেতৃত্বে, সুভাষ ঘিসিং আউট। ভারতীয় সরকারের ভাবনা নেই এই আন্দোলন নিয়ে। ফলে যা হবার, আস্তে আস্তে অসহযোগ আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে দার্জিলিং। মোর্চার নুতন নির্দেশে দার্জিলিং এ যত গাড়ী ঢুকবে সব গাড়ীতে জি,এল (gurkhaland) লেখা নাম্বার প্লেট লাগবে, এছাড়া কোনো গাড়ী দার্জিলিংএ ঢোকার অনুমতি নেই, দার্জিলিং শুনছে তার কথা, কিন্তু শিলিগুড়ীর গাড়ী মালিকরা বলছে ওরা ডাব্লু, বি (west bangle) লেখা নাম্বার প্লেটই রাখবে, সংখ্যায় শিলিগুড়ীর গাড়ী বেশী হলেও উঠতে পারছেনা উপরে, সুতরাং ক্রাইসিস্ চলছে গাড়ীর। শিলিগুড়ী থেকে দার্জিলিং জীপ ভাড়া সাধারণত ৭০০-৮০০ রুপীর মাঝেই থাকে, আমরা গিনিপিগ, অনেক খুজেঁ গাড়ী পেলাম ১৫৫০ রুপী করে, প্রায় ডাবল্ ভাড়া। চারটা গাড়ীতে রওনা দিলাম, শিলিগুড়ি শহর ছাড়তেই নাম্বার প্লেট বদলে নিলো ওরা। বিকেল হয়ে আসছে, আশেপাশের দৃশ্যপট পালটে যাচ্ছে, আমরা উঠছি উপরের দিকে, পাহাড়ী রাস্তা, পাকা, এক পাশে খাড়া দেয়াল অন্যদিকে ঝপ করে নেমে গেছে কয়েকশ্ ফুট, আস্তে আস্তে ফুট হয়ে গেল মিটার, চলে এলাম মেঘের ভিতর, পিছনে তাকালে দূরে শিলিগুড়ী দেখা যায়, মহানন্দা দেখা যায়, আরো দূরে দেখা যায় তিস্তা নদী। সামনে শুধুই পাহাড়। এভাবে ৩৫ কিমি যাবার পর কার্সিয়াং, পৌঁছানোর আগেই সন্ধ্যা নেমে এসেছিলো, ছোট্টো হিল্ স্টেশন। চা খাবার জন্য দাড়িয়েছিলাম, আবারো সবাই ব্যস্ত হয়ে গেলো ছবি তোলার জন্য। পাহাড়ী জায়গায় বিকেল খুব ছোট হয়, ঝুপ করেই অন্ধকার হয়ে যায়। সেই সাথে থান্ডার আমেজ আর উৎসবের ছোয়া টের পাচ্ছি। পূজার দশমী আর নেপালীদের ঘরে ফেরার উৎসব দেশীন। দোকানপাট বন্ধ। প্রাণের ছোঁয়া রাস্তা ঘাটে। ৭টার দিকে পৌঁছালাম মেঘে ঢাকা দার্জিলিং। ঢাকা থেকে মোটামুটি ২৪ঘন্টার পথ।
দার্জিলিং এর সাথে আমার পুরোনো প্রেম। প্রথম চেনা সত্যজিত এর কাঞ্চনঝংঘা দেখে, ঢালু পাহাড়ী পথের দৃশ্য এখনো চোখে পুরোনো হয়নি। প্রথম যে বার গেলাম আশাহত হবার কারন ছিলো, পুরো শহর মেঘ, কুয়াশা আর বৃষ্টিতে সয়লাব, সাথে বাঙ্গালীর অল্পতেই ঠান্ডা লাগার বাতিক। কে থাকে আর কে আসে এখানে? সেবার মা ছিলেন সাথে, অসুস্থ হয়ে পড়াতে জুন মাসের ঐ সময়টাতেই বেশী থাকা হয়েছিলো। ঐ থাকাটা কাজে দিয়েছিলো, রাস্তাঘাট যা চেনার সে সময়টাতেই চিনেছি। হেঁটে হেঁটে ঘুরেছি পুরোটা শহর, ডাক্তার, ঔষধের দোকান, কথা বলেছি লোকজনের সাথে, বুঝেছি ভুল সময়ের টুরিস্ট আমরা। জ়েনেছি দার্জিলিং দেখার ভালো সময় ফেব্রুয়ারী-মার্চ আর এদিকে সেপ্টেম্বর-নভেম্বর। পরে কখোনো আর ভুল হয়নি।
Break near to kurseong Kurseong
এবার তো ছিলো অক্টোবর, ভালো সময়, বছরের এ সময়টাতে দারুন ব্যস্ত থাকে দার্জিলিং, গিজগিজ করে টুরিস্ট। নোংরা, ময়লা শহর, তারপরও মজা, কলকাতার মানুষের কথা শুনে মজা পাই, দাদা ক্যামেরা কি অফিসের পয়সায় কেনা? কিংবা জু থেকে বের হবার পথে শুনতে পাবেন- টিকিট কেটে কি দেখলুম, আমাদের কলকাতায় তো আরো বড়ো জু আছে। এসব।
যাক সেসব কথা, আবারো দারজিলিং। হিমালয়ের পাদদেশে দক্ষিণ থেকে উত্তরে মোটামুটি ১০কিমি লম্বা শহর টা একটা পাহাড়ের উপর, এটাকে বলে শিবালিক রেঞ্জ, লোকাল নাম চূড়িয়া। মূলতঃ বৃটিশ রাজের সময় থেকেই এর বিস্তার, ওদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ছিলো, তারও আগে ছিলো সিকিমের অর্ন্তভূক্ত, প্রথমে বৃটিশরা লীজ নিয়ে (১৮৩৫ সালে) এখানে আসেএবং আস্তে আস্তে নিজেদের করে। সে সময়টাতে স্কটিশ মিশনারীরা এর উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলো, চা বাগান, স্কুল-কলেজ ওদের সময়েই করা এবং ওরাই পরিচালনা করতো। তখন থেকেই দারজিলিং এর স্কুল সারা ভারতে নামকরা। বৃটিশ অনূগত রাজা আর জমিদাররা বৃটিশদের দেখাদেখি এখানে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কাটাতে আসা শুরু করলে আস্তে আস্তে এটা টুরিস্ট স্পট হিসাবে পরিচয় পেতে থাকে। গৌরীপুরের জমিদার, দিনাজপুর কিংবা মুক্তাগাছার জমিদার সবার গ্রীষ্মকালীন আবাসন ছিলো এখানে। কালিম্পঙ্গে দিনাজপুরের রাজবাড়ী বর্তমানে হোটেল পার্ক, একই জায়গায় কবি রবীন্দ্রনাথের বাড়ী কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বৃটিশরা যেখানথেকে বসতি শুরু করে সে পাহাড়টির নাম ওরা দিয়েছিলো অবজারভেটরী হিল, মূল শহরটা এই অবজারভেটরী হিলকে কেন্দ্র করেই।
MatisseDashain at Darjeeling
বিদ্রঃ লেখায় অনভিজ্ঞ, তাই মাঝে মাঝেই আমিত্ব চলে আসে, এছাড়া বাড়তি কথাও আসে, সেসব বাদ দিয়ে পড়বেন, চেষ্টা করবো খুব দ্রুতই শেষ করতে।


মন্তব্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সুন্দর সুন্দর ছবি আছে। কিন্তু সুন্দরীদের ছবি নাই, মুস্তাফিজ ভাই!!! বহুত আশা নিয়া ক্লিক মেরেছিলাম আপনার ক্যামেরায়িত লেখায় । শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি

মুস্তাফিজ এর ছবি

ওরা লজ্জ্বা পাচ্ছে, আসবে

...........................
Every Picture Tells a Story

পলাশ দত্ত এর ছবি

চলুক - প্রথম ও তৃতীয় ছবির জন্য।

ছবি দুইটা বড়ো করে দ্যাখার কোনো উপায় আছে?

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমার ফ্লিকার একাউন্টে যেয়ে দেখা যাবে

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দারুণ।
অনেক ইচ্ছে আছে দার্জিলিঙের নীল পাহারে অন্ততঃ একবার যাবার। এই লেখাটা কাজে লাগবে তখন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুস্তাফিজ এর ছবি

ঘুরে এলে ভালো লাগবে যদি সময়মত যান।
আরেকটা কথা, দার্জিলিং এর পাহাড় কিন্তু নীল না, সবুজ হাসি
তবে দূরে নীল াকাশ আর বরফের পাহাড় দেখা যায় সেসব নেপালে

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সবুজ পাহাড়ই সই।
যে সময়েই যাই সেটাই উপভোগ্য হবে। উড চপ করার জন্য সময় কোনো ব্যাপার না। হাসি

আপনার ছবিতে কোনো ললনা দেখতে পেলাম না। দার্জিলিঙে কী ললনার আকাল নাকি মুস্তাফিজ ভাই! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুস্তাফিজ এর ছবি

দুদিন পর হয়রান হয়ে যাবেন, ধৈর্য্য ধরেন। সৃষ্টিকর্তা ধৈর্য্যশীলদের পছন্দ করেন।

...........................
Every Picture Tells a Story

মুস্তাফিজ এর ছবি

যতবার জাঝা দেখি ততবার ঝাঁটা পড়ি

...........................
Every Picture Tells a Story

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
মজার তো !
পাহাড়ের আর আঁকাবাঁকা রাস্তার ছবিটা দারুণ লাগছে।
আপনি ডায়েরি লিখতেন, মুস্তাফিজ ভাই?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুস্তাফিজ এর ছবি

বিয়ের আগে লিখতাম

...........................
Every Picture Tells a Story

s-s এর ছবি

আপনার ছবি খুবই চমতকার, বর্ণনাও, আমার নিজের দার্জিলিং ভ্রমণের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিলো, তবে শিরোনামে দার্জিলিং এর দার্জিলিঙ্গ হয়ে যাওয়া দেখে হাসি আটকাতে পারিনি দেঁতো হাসি
লিখে যান।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমারও হয়েছে। কিন্তু এডিট করার ক্ষমতা আমার নাই

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত, মুস্তাফিজ ভাই, বরাবরের মতই। আপনার তোলা ছবিগুলো দেখলে খুব হিংসা লাগে! মন খারাপ

মুস্তাফিজ এর ছবি

ছবি বিলিয়ে দিতে আমি উদার, যে কয়টা দরকার নিতে পারেন

...........................
Every Picture Tells a Story

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

“একদিন আমরা সবাই মিলে সুর্য্য দেখবো বলে চললাম,
টাইগার হিল, টাইগার হিল থেকে সুর্য্য ওঠা দেখা ভীষন মজার, লা লা লা ...”

ছোটবেলা লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এই গান শুনে কোথায় যেনো হারিয়ে যেতাম। অনেকবার গেছি ওখানে, বিয়ের পরে বউকে নিয়ে পেলিং যারাব সময় রাস্থায় বেশ কষ্ট হয়েছিল কিন্তু ওখানে পৌঁছানোর পর আর কোনো দুঃখ ছিল না। পাহাড় আর সমুদ্র দুটোই আমাকে টানে।

ভালো হচ্ছে মুস্তাফিজ ভাই

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মুস্তাফিজ এর ছবি

দাদা, আহ্‌ স্বপ্নের পেলিং, আমনি ভাগ্যবান
সিকিম যাবার স্বপ্ন আমার অনেকদিনের (বিশেষ করে বাবা হরভজন এর মন্দির দেখার জন্য)। বিগত ছয় বছর যাবত্‌ আবেদন ঝুলে আছে, প্রতিবারই করি কোনবারই উত্তর পাইনা। বাংলাদেশীদের জন্য তা নিষিদ্ধ। এবারে তালিকায় লাভা, লালিগাও, ঋষপ আর পেডং ও ছিলো কিন্ত গুর্খাল্যান্ড আন্দোলনের জন্য সব উলটপালট হয়ে যাওয়াতে ফিরে এসেছি, আবারো আশা আছে মার্চে যাবো।

...........................
Every Picture Tells a Story

খেকশিয়াল এর ছবি

আহা দার্জিলিং ! আবার কবে যাব ! লিখতে থাকেন ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মুস্তাফিজ এর ছবি

লিখছি

...........................
Every Picture Tells a Story

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমি দার্জিলিং গিয়েছিলাম আসলে " ঘুম" স্টেশনটি দেখতে । পশ্চিমবঙ্গের কার লেখাতে যেন এই স্টেশনের নামটি পড়েছিলাম । অদ্ভুত নামটি শুনেই ভেবেছিলাম কোন একদিন দেখতে যাব । টয়ট্রেনটা বড় মজার । পুরো দার্জিলিং ভ্রমনই খুব মজার স্মৃতি আমার কাছে ।

মুস্তাফিজ এর ছবি

১৮৮১ সাল থেকে ঘুম বিশ্বের সবচাইতে উঁচু রেলওয়ে স্টেশনের (৭৪০৭ফিট) মর্যাদায় ছিল। তিব্বতে রেল যাবার পর এখন এটা লাসা।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এখন ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের আন্ডারে।
Ghum Railway station

...........................
Every Picture Tells a Story

রানা মেহের এর ছবি

আপনার বর্ণনা সুন্দর
তাড়াহুড়ো নয় আস্তে আস্তেই শেষ করুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কীর্তিনাশা এর ছবি

লেখায় ছবিতে জাঝা চলুক (বিপ্লব) সব

তবে পরবর্তি লেখা তাড়াতাড়ি না দিলে কইলাম বিলাই দিয়া গুলি করুম
গুল্লি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মুস্তাফিজ এর ছবি

দাদা, লেখা দেয়া আছে। অনুমোদনের অপেক্ষায়

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা চার বন্ধু বছর ছয়/সাত আগে সিকিমের গ্যাংটক আর ইয়ামথাং গিয়েছিলাম বেশ রিস্ক নিয়ে, কোন অনুমতি ছাড়া, পাসপোর্ট লুকিয়ে, ভারতীয় পরিচয় দিয়ে । অনেকগুলো চেকপোস্ট পার হতে হয়েছিলো, ধরা খেলে নির্ঘাত ......... । তবে ইয়ামথাং গিয়ে বুঝেছিলাম এর জন্য রিস্ক নেয়াই যায় !!! ইয়ামথাং অসম্ভব সুন্দর, অনেকের কাছে এইদিককার সুইজারল্যান্ড !

দার্জিলিং থেকে আরো উপরে সান্দাকফু আছে … আরেকটা যাওয়ার মত জায়গা । না গিয়ে থাকলে যেতে পারেন ।

অনেক দিন ওই দিকে যাওয়া হয় না ... আপনার লেখায় অনেক কিছু মনে পড়লো আবার ... বুড়িমারী ... বিশ্বজিত’দা ... বুড়ীর হোটেল ... শিলিগুড়ি আর ওই দিকের সবকিছু ... ছবি আর লেখা চলুক ভাই
~

মুস্তাফিজ এর ছবি

তবে ইয়ামথাং গিয়ে বুঝেছিলাম এর জন্য রিস্ক নেয়াই যায়

এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত না। কাউকে উত্‌সাহিতও করিনা, আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটা রোমাঞ্চকর মনে হলেও একাজে নিরুত্‌সাহিত করি সবাইকে। সান্দাকপু গিয়েছি আমি মানভঞ্জন হয়ে। আমাদের পরিচিত কিছু ছেলে এবারে ঈদের বন্ধে সান্দাকপু যাবার প্ল্যান করেছে। সান্দাকপু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য তুলনাহীন। এরকম আরো একটা জায়গা আছে কালিম্পং থেকে ৪২কিমি দূরে, লালিগাঁও, লাভা হয়ে যেতে হয়। আমার যাবার ইচ্ছা আছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

রায়হান আবীর এর ছবি

খুবি সুন্দর আপনার বর্ণনা ভংগী। একটু সময় নিয়ে পড়বো বলে এতো দিন পড়ি নাই। আজকে শুরু করলাম।

ছবির কথা আর কি বলবো ভাই... অরূপ ভাইয়ের পোস্ট ধরে আমি প্রথমে ফ্লিকারে যাই। সেইখানে অনেকের লিংক ছিল। তাদের বেশ কিছু ছবি দেখেছি। তবে সবচে বেশি দেখেছি আপনারটা... এতো সুন্দর, এতো সুন্দর...

=============================

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগলো জেনে খুশী হলাম

...........................
Every Picture Tells a Story

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।