থ্রি কয়েনস্‌ ইন আ ফাউন্টেইন

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০১/২০০৯ - ৪:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পোস্টারপোস্টারথ্রি কয়েনস্‌ ইন আ ফাউন্টেইন
ইচ ওয়ান সিকিং হ্যাপিনেস্‌
থ্রোওন বাই থ্রি হোপফুল লাভারস্‌
হুইচ ওয়ান উইল দ্যা ফাউন্টেইন ব্লেস
............... মেইক ইট মাইন, মেইক ইট মাইন, মেইক ইট মাইন

আমার মিশনারী স্কুলের সেই শিক্ষিকা একদিন এই গান গেয়ে গল্প শুরু করেছিলেন। ছবির গল্প, গানের গল্প, উইশ এর গল্প আর অবধারিত ভাবে সেই মনিষীদের গল্প যাঁরা তৈরী করেছিলেন সেসব। মিশনারীদের গান গাওয়া বা সিনেমা দেখার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে কি নেই তা বোঝার বয়স সেসময় তৈরী হয়নি আমার। সে বয়সে শহরের সবেধন নীলমনি দুটো সিনেমা হলে (অলকা আর ছায়াবানী, এই ছায়াবানীর আরেক নাম অমরাবতী নাট্য মন্দির) কখনও ছবি দেখেছি কীনা মনে করতে পারিনা। প্রথম যে ছবি দেখার কথা মনে আছে তা আরো পরে তৃতীয় সিনেমা হলটি তৈরী হলে (পূরবী) সেখানে, ছবির নাম ‘পাতাল পুরীর রাজকন্যা’।
ঊপরের গানটা “থ্রি কয়েনস্‌ ইন দ্যা ফাউন্টেইন” নামে ছবির, ১৯৫৪ সালের এ ছবি সম্ভবত ৪টা আকাডেমি পুরষ্কার অর্জন করেছিল। ছবির গল্প তিন আমেরিকান মেয়েকে নিয়ে, যারা আমেরিকান এম্বাসীতে চাকুরীর সুবাদে রোমে এসে ভালোবাসার সন্ধানে ছিল। রোমান্টিক ছবি।

পিরান্‌সির আঁকা ছবিপিরান্‌সির আঁকা ছবিছবির গল্প মনে রাখিনি আমি, কিংবা গানের কথা। শুধু মনে ছিলো এক ফোয়ারার কথা যেখানে লোকজন মনের বাসনা পুরনের জন্য পয়সা ছুড়ে মারে। প্রতিদিন। হাজার হাজার। প্রথম ছুড়ে মারা পয়সাটি নিশ্চিত করবে আপনার রোমে ফিরে আসা, দ্বিতীয় পয়সায় পাবেন ভালোবাসা, তৃতীয় পয়সায় বিবাহ অথবা ছাড়াছাড়ি। পয়সা ছুড়ে ফেলার নিয়মও অদ্ভুত, উল্টোদিকে ঘুরে ডান হাত বাম ঘাড়ের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে ছুড়তে হয়।

রোমে পৌঁছানোর পর প্রথম দিন হাতে কোন কাজ ছিলোনা ঘুরে বেরানো ছাড়া। আমরা হোটেল নিয়েছিলাম পুরনো রোমে যেখানে অতি সাধারণ মানের হোটেলের দামও ৮০ থেকে ১০০ ইউরো। পুরনো রোম এমন এক জায়গা, আপনি যেখানেই থাকুননা কেন বা যে রাস্তাতেই ঘুরুননা কেন সামনে কিছু না কিছু দেখতে পাবেনই। বেশী দাম দিয়ে সাধারণ মানের হোটেল নেয়ার কারন এটাই। প্রথম রাতে ছিলাম হোটেল সান্তা প্রাসাদে। হোটেলের ঠিক পাশেই সেইন্ট ম্যারী’র ক্যাথেড্রাল। হোটেলের ডেস্ক থেকে বিনে পয়সার ম্যাপ নিয়ে বিকেলে দেড় কিলো দূরে কলোসিয়্যাম ঘুরে এসেছি হেঁটে হেঁটে। সন্ধ্যায় ক্যাথেড্রালের পাশে ১০ইউরো দিয়ে এক টার্কিশ রেস্টুরেন্টে ভরপেট খেয়ে দলছুট চারজন বেড়িয়ে পড়লাম ফোয়ারা দেখতে। দলছুট বললাম এজন্য যে দলে ছিলাম মোট ১৪জন, ১২জন এসেছে একটা পোগ্রামের আন্ডারে বিনে পয়সায় আর আমরা দুজন নিজের পয়সায়, ঐ দলের দুজনের আবার বেরানোর ক্ষেত্রে আমার উপর অগাধ আস্থা, অহেতুক প্রশ্ন এড়ানোর জন্যই চারজন আলাদা করে বেড়িয়ে পড়লাম। যাবো ‘ত্রয়ী ফোয়ারা’ দেখতে। হাতের ম্যাপ বলছে হেঁটে গেলে ত্রিশ মিনিটের বেশী লাগবেনা আর অভিজ্ঞতা বলছে গাড়ীতে গেলে কমসে কম দশ+দশ বিশ ইউরো লাগবে। সুতরাং হাঁটা।

Image Hosted by ImageShack.us

Image Hosted by ImageShack.us
ত্রয়ী ফোয়ারা ইংরেজীতে বলে Trevi Fountain আর ইতালীয়ান ভাষায় Fontana di Trevi, Trevi শব্দটা এসেছে ল্যাটিন trivium শব্দ থেকে যার অর্থ তিন রাস্তা। প্রাচীন রোমে এ অঞ্চলের নাম ছিলো রিওয়ান, মূলত ধনীদের আবাসিক এলাকা। রিওয়ানের লোগো দেখেছি গোল লাল রংয়ের বৃত্তের মাঝে তিনটা তরবারী, উপরে লেখা “Rione De Trevi”। রোম সাম্রাজ্যের পতনের পর এ অঞ্চলের মানুষ পেছনে সরে তাইবার নদীর ওপারে নূতন বসতি গড়ে তোলে। ১৬০০ সালের দিকে পোপ দের আনুকুল্যে এ অঞ্চলে নূতন রাস্তা ঘাট তৈরী হওয়া শুরু হয় এবং ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে থাকে। আরো পরে নেপোলিয়ান এখানকার ক্যুইরিনাল পাহাড়কে ঘিরে রোমের ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরী করতে থাকেন, কিন্ত তার মৃত্যুর পর এ উদ্যোগ থেমে যায়। এই রিওয়ান অঞ্চলে তিন রাস্তার মোড়ে ত্রয়ী ফোয়ারার অবস্থান। এর তৈরীর ইতিহাস সঠিক জানিনা আমি তবে এটুকু জানি প্রাচীন রোমে খৃষ্টের জন্মের আগে থেকেই খাবার পানি সরবরাহের আধুনিক ব্যবস্থা ছিলো, তারই একটি এই ত্রয়ী ফোয়ারা। পোপ পঞ্চম নিকোলাসের আমলে এর ব্যাপক সংস্কার করা হয়, এরপর ১৬২৯ সালের দিকে তত্‌কালীন পোপ বিখ্যাত বার্নিনী’র হাতে তুলে দেন এটাকে আরো সুন্দর আর মোহনীয় করে গড়ে তোলার কাজে, বার্নিনী শুরু করেছিলেন কিন্ত পোপের মৃত্যুর পর সে কাজ আর শেষ করেননি। তবে বর্তমানে যে ফোয়ারা আমরা দেখতে পাই তা পোপ দ্বাদশ ক্লেমেন্ট এর সময় নিকোলাস সাল্‌ভীর তত্ত্বাবধানে তৈরী যা এক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছিলো ১৭৩০ সালে।

Image Hosted by ImageShack.us
পলি নামে দোতলা এক প্যালেসকে পেছনে রেখে তৈরী প্রায় ২৬মিটার উঁচু আর ২০ মিটার প্রশস্ত এই ফোয়ারায় কি আছে? পলি প্যালেস যতটুকু শুনেছি সামনে আরো বড় ছিলো কিন্ত ফোয়ারা তৈরীর সুবিধার্থে ১৭৩০ সালে এর মাঝামাঝি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এই প্যলেসটিতে এখন ‘এনগ্রেভিং’ এ ব্যবহার করা তামার প্লেটের বিশাল এক সংগ্রহ আছে যার ভেতর সবচেয়ে পুরনোটা সেই ১৫০০ সালের। প্রাচীন গ্রিক দেবতাদের অনেকের দেখা মিলবে এখানে। গ্রিক দেবতা ত্রিটন, তার বাহন ঘোড়ার গাড়ী, যা টেনে নিয়ে যাচ্ছে পোষ মানানো সমুদ্র ঘোড়া (hippocamps), শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া বাহক, সবকিছু মিলিয়ে আলোছায়ার অদ্ভুত খেলা আপনাকে অবিভূত করবেই।

Trevi fountain
পঁচিশ মিনিটের মাথায় ছোট গলিতে ত্রয়ী ফোয়ারার কাছাকাছি এলেই মানুষের উত্তাপ অনুভব করছিলাম। নানা বয়সী, নানা ভাষী এই রাত ন’টাতেও মুখর করে রেখেছে সেই চত্বর। এর মাঝে অল্পবয়সীরাই বেশী। দলবেঁধে এসেছে পয়সা ছুড়ে মারার জন্য, কেউ এসেছে জুটি বেঁধে। ছবি তুলছে বেশুমার। আমাদের অনেক বাঙ্গালীকেও দেখলাম, লাখ লাখ টাকা খরচ করে ইতালী এসে ফুল আর ছাতা বিক্রি করছে এখানে, কেউ কেউ ক্যামেরার ট্রাইপডও ভাড়া দিচ্ছে দেখলাম। আমরাও ছবি তুললাম, রাতের ছবি বলে প্রায় সবকটাই আর দর্শনীয় থাকেনি, পরদিন সকালে আবার এসেছিলাম এখানে। এই ফাঁকে বলে নেই, ত্রয়ী ফোয়ারার ঠিক ডান পাশে ছোট্ট একটা আইস্‌ক্রীমের দোকান আছে, রোমের সবচাইতে পুরনো আইস্‌ক্রীমের দোকানগুলোর একটা। আমার সেই শিক্ষিকা এ দোকানটির কথাও বলেছিলেন।
Image Hosted by ImageShack.us

Image Hosted by ImageShack.us


মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি

খালি ঘুরান্তির গপ করে দেখি মুস্তাফিজভাইএ... বিষ বিষ লাগে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

মুস্তাফিজ এর ছবি

গপ করতে না পারলে আমারও বিষ বিষ লাগে

...........................
Every Picture Tells a Story

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

কাকতালীয়ভাবে গতকালই এই মুভিটার কথা ভাবছিলাম, লিস্ট বানানোর সময়। ৮০র দশকের শেষের দিকের কথা - ক্লাস সেভেনে উঠেছি মাত্র। এক রাতে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি টেস্টের জন্য পড়ছিলাম। এমন সময় বিটিভির মুভি অফ দ্য উইকে শুরু হলো এই ছবিটা। বাকী রাত আব্বার তদারকীতে এলজেব্রা করলাম আর মুভি দেখলাম। অদ্ভূত সুন্দর ছবি ছিল।

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

মুস্তাফিজ এর ছবি

মুভি লিস্ট বানানোর সময় এটার কথা আমারও মনে ছিল, আরেকবার দেখার জন্য ঢাকায় খুঁজেছি। পাইনি। তখনই লেখাটার কথা মাথায় এসেছিল।

...........................
Every Picture Tells a Story

কীর্তিনাশা এর ছবি

লেখা ছবিতে মন্তব্য নিশ্প্রয়োজন।

পাঁচতারা দিলাম - বাকিটা বুইঝা লন।

আমার দাবীর কথাও ভুইলেন না।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আচ্ছা

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার লেখা গুলো খুব 'লাইভ' মনে হয় মুস্তাফিজ ভাই। মনেহয় নিজেই রাস্তা আর গলিঘুপচি ঘুরে আসতেছি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুস্তাফিজ এর ছবি

হু, ধন্যবাদ। আসলে কেউ কোথাও থেকে ঘুরে এলে যখন জিজ্ঞেস করি কি দেখলা, কি করলা তখন বিবরন ছাড়া উত্তর এলে আমারও খারাপ লাগে।

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বিদেশের গল্প শেষ হলে কি দেশের আনাচ-কাণাচ নিয়ে লেখবেন মুস্তাফিজ ভাই?
হিমু একটা জটিল সিরিজ চালু করছিলো অনেক আগে। ব্যাটা খুব বেশি আগায় নাই। সাইজে তার ভুড়ির মতো বিশাল হইলেও লেখাগুলা চরম উপভোগ্য ছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুস্তাফিজ এর ছবি

যা দেখছি সবই লিখব, তবে সিরিয়াল পারবোনা

...........................
Every Picture Tells a Story

সুমন চৌধুরী এর ছবি
মুস্তাফিজ এর ছবি

আমরা পুরানা মানুষ, একবার ছোট থাকতে স্কুলে আমারে কেউ বুড়া আঙ্গুল দেখাইছিল, আমি স্যার রে কইলাম স্যার আমারে ... দেখাইছে। এইটা কি ঐটা?

...........................
Every Picture Tells a Story

এনকিদু এর ছবি

না এইটা রোমান সভ্যতার বুড়ো আঙ্গুল । উপর দিকে থাকলে "ঠিকাছে" আর নিচের দিকে থাকলে বুঝতে হয় "ঠিকনাই" ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুস্তাফিজ এর ছবি

জ্ঞানী মানুষের কথাই সই

...........................
Every Picture Tells a Story

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, ১১ নং বাসে চড়ে কি এইসব জায়গায় যাওয়া যায়?
দেঁতো হাসি

মুস্তাফিজ এর ছবি

যায়।

তবে ঢাকার ১১ নাম্বারে উঠলে বেন্সন খাইতে হবে, দুইটা।

...........................
Every Picture Tells a Story

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমি যে সিগারেট খাই না। আর কোনো বিকল্প আছে?

মুস্তাফিজ এর ছবি

আছে, তবে বুদ্ধি নেবার জন্য টাকা খরচ করে হবে।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার লেখা পড়লে আসলেই মনে হয় যেন নিজেই ঘুরে দেখলাম জায়গাগুলো। খুব ভাল হইসে লেখা, ছবি।

এইসব জায়গা ঘুরে দেখতে খুব ইচ্ছা করে। জীবনেও সম্ভব হবে কি না, জানি না। মাঝে মধ্যে তাই বড়লোক হইতে খুব ইচ্ছা করে মন খারাপ

মুস্তাফিজ এর ছবি

অর্ধেক খরচ আমাকে দিয়েন

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি আমার পুরা খরচ দেন, আমি আপনার অর্ধেক দিবনে চোখ টিপি

মুস্তাফিজ এর ছবি

দিসি না? দিলাম তো

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কই দিলেন! পাইনি তো এখনো। আবার পাঠান চোখ টিপি

মুস্তাফিজ এর ছবি

পোলাপান কী যে যন্ত্রণা করে

টাকাটাকা

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিকাছে এক্ষুনি প্রিন্টআউট বের করতেসি চোখ টিপি

রণদীপম বসু এর ছবি

অলৌকিক কোন ঘটনা না ঘটলে যেহেতু এইসব জায়গায় আমার যাবার সম্ভাবনা মাইনাস শূন্য, অতএব ঘুইরা বেড়ানোর আনন্দটা ফাও পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা !
আপনি থাইম্যা গেলে আমার ফাও পাওয়াটাও শেষ ! অতএব, মুস্তাফিজ ভাই, থামবেন না কিন্তু, চালাই যান....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মুস্তাফিজ এর ছবি

চালাচ্ছি

...........................
Every Picture Tells a Story

হিমু এর ছবি
মুস্তাফিজ এর ছবি

হাসি

...........................
Every Picture Tells a Story

অমিত এর ছবি

মরার আমরিকা। গাছপালা আর ডিসি বাদে দেখার কিছু নাই।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এইটা কি কইলেন ভাই? ইউরোপের মতন পুরান পাত্থর নাই, ঠিক, কারন দেশ তো নতুন। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকা আপনে ওয়েস্টের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, মনুমেন্ট ভ্যালি আর রকিজ-এর জুড়ি কই পাইবেন? বা ক্যালি বা ফ্লোরিডার কোস্ট? গত বছর একটা দশ দিনের ওয়েস্টার্ন রোডট্রিপ কইরা বুঝলাম যে দশ মাসেও ঐদিকটা দেখা শেষ হইবো না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধুরো মিয়া। খালের ঐ পাড়ের ঐটা একটা দেশ হৈলো, খালি নামেই! ঐ রমের খানাখন্দ আমাগো বাড়ির পাশের আফগানিস্তানেই কতো পাওন যায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অমিত এর ছবি

মুস্তাফি ভাই, আপনে কিছুটা ঠিক। অ্যারিজোনা ইউটাহর ডেজার্টের একটা নিজস্ব রূপ আছে যেটা আর কোথাও নাই। বাট যে নেপাল অথবা গ্যাংটক দেখেছে তারে আসলে রকি দেখায় লাভ নাই, যদিও পাইকস পিক শহর থেকে রকির সেরম একটা ভিউ পাওয়া যায়। আর সিয়াটল/অরিগন বাদে আমরিকার সব কয়টা বিচ আমার দেখা। কক্সবাজার কোনও অংশে কম মনে হয় নি, বরং অনেকক্ষেত্রে বেশি।আর সাউথ প্যাসিফিকের বিচগুলার সংগে তুলনায় আর গেলাম না।বনজঙ্গলের কথা আর কি বলব,ঘরের কাছেই যেখানে আমাজন। যদিও নরদার্ন ক্যালিফোরনিয়ার রেডউড ট্রি ব্যাপারটা খারাপ না।
অ্যাকটিভিটি/পার্টি এসবের কথা ভাবলে স্টেটস খারাপ না। কিন্তু আমার পছন্দ হিস্ট্রি, একটা অনেক কাল আগের স্টোরি আছে এরকম কিছু।যেটা স্টেটস এ ডিসি বাদে আর কোথাও সেরম পাইনি।

মুস্তাফিজ এর ছবি

নদীর এ পাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস...

...........................
Every Picture Tells a Story

রানা মেহের এর ছবি

লেখা ছবি দুটোই অদ্ভুত সুন্দর।
আপনার শিক্ষককে শ্রদ্ধা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মুস্তাফিজ এর ছবি

মজার ব্যাপার হলো ক্লাস থ্রী তে উঠার পর উনার সাথে আর যোগাযোগ নাই

...........................
Every Picture Tells a Story

স্বপ্নাহত এর ছবি

অদ্ভূত! লেখাটা পড়ার সময় আমি পুরো সময় আপনার শিক্ষকের কথা ভাবছিলাম।

খুব খুব ভাল লাগলো।

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মুস্তাফিজ এর ছবি

উনি আমাকে অনেক গল্প শুনিয়েছিলেন। মনে হয় সাধারণ পাদ্রীদের চাইতে উনি আলাদা টাইপের ছিলেন। ঐ বয়সে আমাকে হাকলবেরী ফিন পর্যন্ত শুনিয়েছিলেন। আশ্চর্য হই এখন একথা ভেবে যে বাইবেলের কোন গল্প আমাকে শুনাননি, অথচ ওটাই স্বাভাবিক ছিল।

...........................
Every Picture Tells a Story

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কি যে অদ্ভুত !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুস্তাফিজ এর ছবি

যে কোন ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমনে গেলে অবশ্যই সেটার ইতিহাস জেনে যাবেন, দেখবেন মজাটাই আলাদা
পিসার টাওয়ারের যে জানালায় গ্যালিলিও গালে হাত দিয়ে বসে থাকতেন ঠিক সেই জানালায় আমিও বসেছিলাম, অদ্ভুত না?

...........................
Every Picture Tells a Story

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ছবিগুলো দারুন তুলেছেন মুস্তাফিজ ভাইয়া !
বর্ণনাশৈলীও অসাধারণ।

-----------------------------------

--------------------------------------------------------

মুস্তাফিজ এর ছবি

ধন্যবাদ

...........................
Every Picture Tells a Story

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ওয়াও দারুন লাগল, ছবি গুলিও হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মুস্তাফিজ এর ছবি

ধন্যবাদ

...........................
Every Picture Tells a Story

রুমি [অতিথি] এর ছবি

এইখান টাও ঘুরা হয়ে গেল, ধন্যবাদ ভাই ... ...

তয় আগে জানলে, প্রথম পয়সাটা ফালাইতে দিতাম, তাইলে আমার যাওয়া নিশ্চিত হইতো, তাই না?

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমি কোন পয়সা ফেলিনি, আমাদের কেউই না। শুনেছি এখানে প্রতিদিন ৫/৬ হাজার ইউরো জমা হয়। এ টাকা কোন এক বিপনী বিতানে সাবসিডি হিসাবে দেয়া হয়। কিছু টাকা চুরিও হয়।

...........................
Every Picture Tells a Story

s-s এর ছবি

প্রাঞ্জল বর্ণনার কথা আগেও বলেছি, কিন্তু সাদার সাথে রঙিন মেশানো অদ্ভুত ছবিটা তুললেন কি করে? দারুণ! আর আপনাকেও মুস্তাফিজ ভাই, তীরন্দাজের মতো হঠাৎ শেষ করার ভুতে পেল কেন কে জানে! আইসক্রীমের দোকানের বর্ণনা, তারপরেই শেষ, ধ্যুত! এত অল্পে তৃষ্ণা মেটেনা এটা বোঝেন না? থ্রি পেনি ফাউন্টেইনের গল্প এত শুনেছি, যে সরাসরি কারো বেড়ানোর বর্ণনা আরো অনেক বেশি বেশি শুনতে ইচ্ছে করে!

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

মুস্তাফিজ এর ছবি

ধন্যবাদ
লিখতে লিখতেই অভ্যাস হবে, হয়ত তখন বুঝব কোথায় শুরু আর কখন শেষ করতে হবে

...........................
Every Picture Tells a Story

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।