১৫ই আগস্ট এবং সি.আই.এঃ ফিরে দেখা

রাফি এর ছবি
লিখেছেন রাফি (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০০৮ - ১১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের ইতিহাস বহু পুরনো। মোঘল বা তারও আগের আমল থেকে সিংহাসনে আরোহণকে কেন্দ্র করে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, বিদ্রোহ-প্রতিবিদ্রোহ এসবের জের ধরে অগণন মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। বৃটিশ শাসনামলেও ইংরেজরা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধুয়া তুলে অজস্র দেশপ্রেমিক বীরযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। দেশবিভাগের পর মহাত্বাগান্ধী, লিয়াকত আলী খানসহ অনেকে হত্যাকান্ডেরই নীরব দর্শক উপমহাদেশের আকাশ-বাতাস। প্রতিবছর এই দিনটার কাছাকাছি সময়ে কিছু ঘটনার অনুরণন আমাকে অস্থির করে তোলে; ভেতরে ভেতরে এসব ভেবে ভেবে দগ্ধ হই। এবার সচলায়তনকে পেয়ে তথ্যগুলো share করলাম. তথ্যগুলো অন্তর্জালে বঙ্গবন্ধু হত্যার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব বাংলার গণমানুষের হৃদয়ের নেতা হিসেবে সোনার বাংলা গড়ার মানসে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন।মওলানা ভাসানীর ন্যাপ ছাড়া সেসময় দৃশ্যত কোন রাজনৈতিক দল ছিল না; যুদ্ধের বিরোধিতাকারী চরম ডানপন্থী ও কিছু বামপন্থী দলগুলো তখন পর্দার আড়ালে। আর যে সব বামপন্থী দল যুদ্ধ করা সত্তেও মুজিব বাহিনীর রোষানলে পড়েছিল(একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ই মুজিববাহিনী, মুক্তিবাহিনীর সাথে চীনপন্থী পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির প্রকাশ্য বিরোধ ছিল। সর্বহারা পার্টির প্রধান সিরাজ শিকদার ঢাকা,টাঙ্গাইল,বরিশাল, খুলনা,পাবনা অঞ্চলে তার বাহিনীর মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষে সশস্ত্র সংগ্রাম অব্যাহত রাখেন। উদ্দেশ্য একই হলেও মুজিব বাহিনী ও টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনী এই অঞ্চল গুলোতে সর্বহারা পার্টির কার্যক্রমকে ভালচোখে দেখেনি। সর্বহারা পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় টাঙ্গাইলে কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যরা সর্বহারা পার্টির দুই মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ও ঠান্ডুকে হত্যা করার কাজে জড়িত ছিল; সাতক্ষীরার কামেল বখত একইভাবে মুজিববাদীদের হাতে নিহত হন।) তারা তখন আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে হত্যাকে বিপ্লব কায়েম করার একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে স্বাধীন দেশের প্রথম বছর ১৯৭২ সালে সারা দেশে ব্যাংক ডাকাতি হয় ৩১ টি , গুপ্তহত্যা ১৪৬৭ টি, ডাকাতি ২ হাজার, ছিনতাই ১৭ হাজার।

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের আসল শুরু হয় সরকার গঠন প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে; মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলো জাতীয় সরকার গঠনের আহবান জানায়; পরে ন্যাপ(মোজাফফর) ও সিপিবি ক্ষমতার অংশ না নিয়েই আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়। কিন্তু পূর্ববাংলা সর্বহারা , সাম্যবাদী, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গৃহযুদ্ধের ডাক দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালের ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৫৪তম জন্মদিনে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলীর বাড়ি ঘেরাও করা হয়। রক্ষীবাহিনী সেই জটলায় গুলি চালিয়ে প্রায় ৩২ জনকে হত্যা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারী মাসে বিপ্লবী সিরাজ শিকদারকে সরকারী বাহিনী গুলি করে হত্যা করে। বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের ইতিহাসের শুরু বোধ করি এখানেই।

মুজিবের পক্ষ হতে দূর্বল পয়েন্ট ছিল শেখ মুজিব তার জনগনকে একান্ত নিজের মনে করতেন; জনগণ তার কোন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে সেটা তার মনে কখনো আসত না। দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে জনগণের নেতা আস্তে আস্তে চাটুকারদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হতে শুরু করলেন। দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের কর্মীবৃন্দ তাদের পেশীশক্তির প্রদর্শন করতে শুরু করেন, যা দেশের তৃণমূল অঞ্চলে দলের এবং শেখ মুজিবের ভাবমূর্তি নিদারূনভাবে কলংকিত করে। শেখ মুজিবের একমাত্র ভাই শেখ নাসের, ছেলে শেখ কামাল, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি প্রমুখের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ, অবাঙ্গালীদের পরিত্যক্ত ৬০ হাজার বাড়ি আওয়ামী কর্মীদের দ্বারা ভোগদখল সামাজিকভাবে আওয়ামী লীগকে হেয় অবস্থানে নিয়ে যায়; দলটির প্রধান শেখ মুজিব হয়ে পড়েন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মোসাহেবরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দলের এবং দেশের আসল অবস্থাকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করেন। ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে গুরুতর অপরাধ এবং হত্যা বাদে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত প্রায় ৩০ হাজার ব্যক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মুক্তিলাভকারী মৌলবাদী দলগুলোর সদস্যরা সামাজিক নৈরাজ্যসৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। দেশে আপাতভাবে আওয়ামী পন্থী মজুতদার এবং একটি নব্য ধণিকশ্রেণী গড়ে উঠে।

গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত এই নৈরাজ্যকর পরিবেশে দেখা দেয় প্রাকৃতিক দূর্যোগ; ১৯৭৪ সালের আগষ্টে বন্যা এবং অর্থনীতির বেহাল অবস্থার ফলশ্রুতিতে সে বছরের নভেম্বর ডিসেম্বরে দেশ জুড়ে দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়। বেসরকারী হিসেবে প্রায় একলাখ লোক এই দূর্ভিক্ষে প্রাণ হারায়।

১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারী চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল গঠন করা হয়। জুন মাসে গঠিত এর ১১৫ বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে আওয়ামী বহির্ভূত মাত্র ১০ জন সদস্য স্থান পায়। দেশে সকল ধরণের বিরোধী দল নিষিদ্ধ করা হয়; বিরোধী রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় সচেতন জনগণের মাঝে একধরণের চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষোভকে পুঁজি করে শুরু হয় দেশী-বিদেশী চক্রান্ত। সুদূরপ্রসারী এমনি এক চক্রান্তের অংশ হিসেবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সি.আই.এ ,খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের মার্কিনপন্থী অংশ ,সরকারী আমলাদের একাংশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চাভিলাষী কয়েকজন অফিসারের গোপন ষড়যন্ত্র ও যোগাযোগের ভিত্তিতেই সপরিবারে শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়।

ষড়যন্ত্রের শুরু এর অনেক আগে থেকে, ৭৪ সালের ৩০ শে অক্টোবর মার্কিন সেক্রেটারী অব স্টেট হেনরী কিসিঞ্জারের বাংলাদেশ সফরের ঠিক চারদিন আগে শেখ মুজিব তাঁর তিরিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গী তাজউদ্দিন আহমদকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারন করেন; এর পেছনের কলকাঠি কে নেড়েছিলেন তা সঠিকভাবে না জানলেও এটা আন্দাজ করতে কষ্ট হয় না যে সেটাও ছিল হত্যা পরিকল্পনারই অংশ। সেই সংক্ষিপ্ত সফরে কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করেন; এই সফরের ঠিক পরপরই গঠিত হয় “ক্যু প্ল্যানিং সেল”।

কিসিঞ্জারের এককালীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের স্টাফ সহকারী রজার মরিস জানান, বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে কিসিঞ্জার তার ব্যক্তিগত পরাজয় বলে মনে করতেন। তিনি ভাবতেন শেখ মুজিব জীবিত থাকলে দক্ষিন এশিয়ায় মার্কিন নীতি প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এই এলাকার তিনজন রাষ্ট্রপ্রধানকে কিসিঞ্জার তার ব্যক্তিগত শত্রু মনে করতেন; একজন শেখ মুজিব, বাকি দুজন চিলির আলেন্দে এবং ভিয়েতনামের থিউ। তিনজনেই সি.আই.এ র চক্রান্তে শহীদ হন।
শেখ মুজিব হত্যাকান্ডে সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান জিয়াউর রহমানের অবগত থাকার কথা জানিয়েছেন মেজর ফারূক। ফারূকের মতে, জিয়াকে সরকার পরিবর্তনের কথা জানানো হলে তিনি নিজেকে জড়াতে অস্বীকৃতি জানান। তবে বলেন,”তোমরা জুনিয়ররা কোন কাজ করতে চাইলে, তোমাদের নিজেদেরই তা করা উচিত।”

মুজিব হত্যা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; সেটি রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগকে হটাবার পন্থাও ছিল না। লক্ষ্যনীয় যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত-সোভিয়েত বলয় থেকে সরে এসে চীন-মার্কিন অক্ষবলয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত ও বিরোধিতাকারী শক্তিবর্গের সাথে শাসকশ্রেণীর সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডকে শুধুমাত্র কতিপয় সামরিক অফিসারের সাময়িক উষ্মা এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে ভাবলে ভুল হবে।

আমাদের প্রজন্ম বড় অভাগা; নিরাশার স্বগোতিক্তে মুখরিত বাতাসে এক শুন্যগর্ভ সময়ের মুখোমুখি আমরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শব্দটিকে ক্লীশে হিসেবে ভাবতে হয় আমাদের, ব্যক্তি বা দলগত স্বার্থের বাইরে আমাদের অভ্যুদয়ের একটা সত্যবদ্ধ এবং তথ্যবহুল পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস এখনো হাতে পাইনি আমরা। তবে সাগর সেঁচে মুক্তা তোলার মত এইটুকু বুঝেছি যে অবিসংবাদিত নেতা জাতি হিসেবে আমাদের আত্নবিশ্বাসের ভিত গড়ে দিয়ে গেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

এই মহান নেতার জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তথ্যসূত্রঃ
১) মূলধারা ’৭১- মঈদুল হাসান.
২) বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের ইতিহাস- আশরাফ কায়সার.
৩) Legacy of blood: অ্যন্থনি ম্যাসকারেনহাস.
৪)Bangladesh: an unfinished revolution- লরেন্স লিফলুনৎস.


মন্তব্য

স্বাধীন এর ছবি

চিন্তা উদ্রেককারী লেখা। আপনি ঠিকই বলেছেন:- "সুদূরপ্রসারী এমনি এক চক্রান্তের অংশ হিসেবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সি.আই.এ ,খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের মার্কিনপন্থী অংশ ,সরকারী আমলাদের একাংশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চাভিলাষী কয়েকজন অফিসারের গোপন ষড়যন্ত্র ও যোগাযোগের ভিত্তিতেই সপরিবারে শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়।"

জিয়াউর রহমানের কথাটা (”তোমরা জুনিয়ররা কোন কাজ করতে চাইলে, তোমাদের নিজেদেরই তা করা উচিত।”) ঠিক কোথা থেকে পাওয়া জানালে ভাল হত।

ধন্যবাদ।

রাফি এর ছবি

জিয়াউর রহমানের কথাটা কর্ণেল শাফায়াত জামিলের এক সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরে পাওয়া।
উক্তিটা specifically কার তা শীঘ্র জানাব।
স্মৃতি থেকে লেখা বলে বইটা ঠিক এই মুহুর্তে কাছে নেই।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

কীর্তিনাশা এর ছবি

এই মহান নেতার জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ধন্যবাদ রাফি, অনেক অজানা তথ্য জানা হলো।

-----------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রাফি এর ছবি

ধন্যবাদ কীর্তিনাশা ভাই।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

পলাশ দত্ত এর ছবি

।।
*আমি কোনো সাইন দিতে জানি না। তাই এই সাইন।*

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

রাফি এর ছবি

আমি কোনো সাইন দিতে জানি না।

আমিও জানি না; এ ব্যাপারে আমাদের মুমু আপার তুলনা নাই।
তো সাইনটা কীসের দিতে চাইলেন? সহমত না দ্বিমত?

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মূর্তালা রামাত এর ছবি

গুছিয়ে সুন্দর লেখা লিখেছেন। ধারাবাহিক আরও কিছু লেখলে আরো ভালো হয়।
আর ওই ভাষ্যটা মেজর ফারুকের কথা না মেজর রশীদের?

মূর্তালা রামাত

রাফি এর ছবি

এডভোকেট সাহিদা বেগমের মুজিব হত্যা মামলা বিষয়ক বই বলে।
উক্তিটা মেজর ফারুকের।
ধন্যবাদ।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মুজিব বন্দনা কিংবা নিন্দার চেয়ে এ সময়ে জরুরী-মুজিব হত্যার কার্যকারন উদ্ধার । কারা হত্যা করলো সেটা তো জানাই-হত্যাটা কেনো জরুরী হয়ে উঠেছিল সেটা ও অনুধাবন জরুরী ।
পর্যবেক্ষন জরুরী, মুজিব হত্যাকাণ্ডের পরপর রাষ্ট্রকাঠামোতে কি কি পরিবর্তন আসলো । হত্যাকান্ডের পর প্রথম পদক্ষেপই ছিলো 'পিপলস রিপাবলিক' কে 'ইসলামিক রিপাবলিক' ঘোষনা যদি ও ভারতকে খুশী রাখার জন্য পরে এই ঘোষনা থেকে সরে আসা হয় যখন জেনারেল জিয়া আড়াল ছেড়ে প্রকাশ্যে হাল ধরেন ।

অবশ্যই খেয়াল করতে হবে-হত্যাকান্ডের পরপর কারা কারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল । যেনো তারা চারবছর ধরে অপেক্ষায় ছিলো-ব্যাটা মুজিবরের লাশ না পড়া পর্যন্ত এই পোড়া দেশকে আমরা দেশে বলে মানবোনা ।

ভুলে গেলে চলবেনা, হত্যাকান্ডের কয়েকঘন্টা পরই পিআইএ'র উড়োজাহাজ ভর্তি খাদ্য ও বস্ত্র সাহায্য এসেছিল সমউম্মাহর দেশটি থেকে ।

রাফি আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মুজিব বন্দনা কিংবা নিন্দার চেয়ে এ সময়ে জরুরী-মুজিব হত্যার কার্যকারন উদ্ধার । কারা হত্যা করলো সেটা তো জানাই-হত্যাটা কেনো জরুরী হয়ে উঠেছিল সেটা ও অনুধাবন জরুরী ।
পর্যবেক্ষন জরুরী, মুজিব হত্যাকাণ্ডের পরপর রাষ্ট্রকাঠামোতে কি কি পরিবর্তন আসলো । হত্যাকান্ডের পর প্রথম পদক্ষেপই ছিলো 'পিপলস রিপাবলিক' কে 'ইসলামিক রিপাবলিক' ঘোষনা যদি ও ভারতকে খুশী রাখার জন্য পরে এই ঘোষনা থেকে সরে আসা হয় যখন জেনারেল জিয়া আড়াল ছেড়ে প্রকাশ্যে হাল ধরেন ।

অবশ্যই খেয়াল করতে হবে-হত্যাকান্ডের পরপর কারা কারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল । যেনো তারা চারবছর ধরে অপেক্ষায় ছিলো-ব্যাটা মুজিবরের লাশ না পড়া পর্যন্ত এই পোড়া দেশকে আমরা দেশে বলে মানবোনা ।

ভুলে গেলে চলবেনা, হত্যাকান্ডের কয়েকঘন্টা পরই পিআইএ'র উড়োজাহাজ ভর্তি খাদ্য ও বস্ত্র সাহায্য এসেছিল সমউম্মাহর দেশটি থেকে ।

রাফি আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রাফি এর ছবি

হত্যাকান্ডের পর প্রথম পদক্ষেপই ছিলো 'পিপলস রিপাবলিক' কে 'ইসলামিক রিপাবলিক' ঘোষনা যদি ও ভারতকে খুশী রাখার জন্য পরে এই ঘোষনা থেকে সরে আসা হয় যখন জেনারেল জিয়া আড়াল ছেড়ে প্রকাশ্যে হাল ধরেন ।

এই জিনিসগুলো খেয়াল করে তারপর খুঁজতে হবে মুজিব হত্যার আসল ইতিহাস।
পড়া ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সাধক শঙ্কু এর ছবি

একবছর আগের এইটা লেখছিলাম।


খোয়াব উড়ে
মিচকা ঘোড়ার কানপাখাতে
মাইট্যা খোলের
বুকের ভিতর শুকনা তাঁতে
ডিগবাজী খায়
খর-বিচালির আস্তাবলে
রাস্তা প্যাচায়
দমভরসার চিমনি জ্বলে


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

রাফি এর ছবি

ভাই আপনার লেখা পড়লাম; অসাধারণ পর্যবেক্ষন।

যাই হোক মোট কথা ১৯৭৫এর সামরিক অভূত্থান কতিপয় "বিপথগামী" বা কতিপয় "দেশপ্রেমিক" অফিসারের কাম না এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত।শুধু মোশতাকের মন্ত্রীসভায় যারা যোগ দিছিল তারা না । আরো অনেকে নিস্ক্রিয় থাইকা সমর্থন দিছে।তারাই র্বতমান আওয়ামী লীগ।

এই উক্তির সাথেও অনেকটা একমত; ক্ষমতা দখলের পর যখন মোশতাক আওয়ামী লীগের মিটিং ডাকে তখন সাজেদা চৌধুরীর মত কিছু নেতা ছাড়া আর সবাই কিন্তু সেই মিটিং এ যোগ দিয়েছিল।
তারচেয়েও বিস্ময়ের কথা খালেদ মোশাররফ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত মুজিব হত্যার বিরুদ্ধে রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত বের হয় নি!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

পুতুল এর ছবি

"মুজিবের পক্ষ হতে দূর্বল পয়েন্ট ছিল শেখ মুজিব তার জনগনকে একান্ত নিজের মনে করতেন; জনগণ তার কোন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে সেটা তার মনে কখনো আসত না। দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে জনগণের নেতা আস্তে আস্তে চাটুকারদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হতে শুরু করলেন। দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের কর্মীবৃন্দ তাদের পেশীশক্তির প্রদর্শন করতে শুরু করেন, যা দেশের তৃণমূল অঞ্চলে দলের এবং শেখ মুজিবের ভাবমূর্তি নিদারূনভাবে কলংকিত করে। শেখ মুজিবের একমাত্র ভাই শেখ নাসের, ছেলে শেখ কামাল, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি প্রমুখের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ, অবাঙ্গালীদের পরিত্যক্ত ৬০ হাজার বাড়ি আওয়ামী কর্মীদের দ্বারা ভোগদখল সামাজিকভাবে আওয়ামী লীগকে হেয় অবস্থানে নিয়ে যায়; দলটির প্রধান শেখ মুজিব হয়ে পড়েন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মোসাহেবরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দলের এবং দেশের আসল অবস্থাকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করেন। ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে গুরুতর অপরাধ এবং হত্যা বাদে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত প্রায় ৩০ হাজার ব্যক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মুক্তিলাভকারী মৌলবাদী দলগুলোর সদস্যরা সামাজিক নৈরাজ্যসৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। দেশে আপাতভাবে আওয়ামী পন্থী মজুতদার এবং একটি নব্য ধণিকশ্রেণী গড়ে উঠে।"

একাডেমিক আলোচনায় আপনার উপরের ব্যাখ্যাটি তেমন আমল পায় না। অনেকে স্বাধীনতার মুকুটটি আ.লী বা বঙ্গবন্ধুর গলাতেই পড়ান। তাদের অবদান অবশ্যই অনেক। কিন্তু এ দেশের সাধারন মানুষের কী কোনই অবদান নেই? কোন ত্যাগ নেই? কোন বিরত্ব নেই? তাদের কথা লোকে এসব আলোচনায় প্রাশংগিক বলেই মনে করে না।
"বংঙ্গবন্ধু" শেখ মুজিব গায়ের জোরে হয়েছিলেন? এদেশের জনগন তাকে বন্ধু ভাবেনি? চাটুকার পরিবেষ্টিত মুজিবকে জনগন বন্ধু ভাবতে পারেনি। গন বিচ্ছিন্ন মুজিবকে হত্যা তাই ততটাই সহজ হয়েছে।
মুজিবের সাথে হত্যা করা হয়েছে এদেশের সব সুন্দরের কুশুম কে।
একদিন বাঙ্গালীর ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টাও ইতিহাস হবে। বারাহ নন্দনেরা আস্তবলে ফিরে যাবে।

**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রাফি এর ছবি

একদিন বাঙ্গালীর ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টাও ইতিহাস হবে। বারাহ নন্দনেরা আস্তবলে ফিরে যাবে।


---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

প্রতিটি লেখাই লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। আপনারটাও তাই। তবে আমার বিশ্বাস, আপনার তথ্য ও উপলব্ধি (বলা উচিত উপস্থাপনা) অসম্পূর্ণ। এরকম একটি সংক্ষিপ্ত রচনায় ঐ হত্যাকাণ্ডের পুরো প্রেক্ষাপটের বিবরণ বস্তুত অসম্ভব।

স্বাধীনতার পর ... মওলানা ভাসানীর ন্যাপ ছাড়া সেসময় দৃশ্যত কোন রাজনৈতিক দল ছিল না;

এই তথ্য কোথায় পেলেন জানি না। তবে এই লেখাতেই আপনি মোজাফফর ন্যাপ ও সিপিবির উল্লেখ করেছেন, যাদের সাংগঠনিক আকার ও প্রভাব ভাসানী ন্যাপের চেয়ে বড়ো ছিলো।

আশ্চর্য হয়ে দেখছি, পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি (স্বাধীনতার পরেও বাংলাদেশ নয় কিন্তু, পূর্ব বাংলা বলা হচ্ছে!)এবং আরো দুয়েকটি অতি অনুল্লেখ্য দল এই লেখায় বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে রেখেছে, অথচ জাসদের নামটি পর্যন্ত উচ্চারিত হয়নি। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালের রাজনীতিতে জাসদ অবশ্যই একটি বিশাল ভূমিকা (তা সদর্থক না কদর্থক সে বিতর্কে যাচ্ছি না) নিয়েছিলো।

১৯৭৪ সালের ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৫৪তম জন্মদিনে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলীর বাড়ি ঘেরাও করা হয়। রক্ষীবাহিনী সেই জটলায় গুলি চালিয়ে প্রায় ৩২ জনকে হত্যা করে।

ঘটনার দিন-তারিখ ঠিক আছে, কিন্তু ৩২ জন নিহত হওয়ার তথ্যটি সঠিক নয়। আপনার সূত্রটি জানাবেন? আমার জানা তথ্যমতে ঐদিন নিহতের সংখ্যা ছিলো ২ এবং আহত ১৮।

আপনার এই লেখাটি আন্তর্জালে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু সংযোজন ঘটাবে এরকম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলি, অসম্পূর্ণ পরিপ্রেক্ষিত ও ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে তা সম্ভব বলে মনে হয় না। ফলে, এই ধরনের রচনা কিছু বিভ্রান্তির সুযোগই তৈরি করে, আর কিছু নয়।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

রাফি এর ছবি

মুজিব হত্যা প্রসঙ্গে এই ছোট্ট আলোচনা অসম্পূর্ণ আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু অন্যান্য পয়েন্টগুলো আত্বপক্ষ সমর্থনে আমার কিছু বলার আছে।

আপনি মোজাফফর ন্যাপ ও সিপিবির উল্লেখ করেছেন, যাদের সাংগঠনিক আকার ও প্রভাব ভাসানী ন্যাপের চেয়ে বড়ো ছিলো।

এখানে আমি সময়টা ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী পরবর্তী সময় বুঝিয়েছি।
স্বাধীনতা-পরবর্তীকালের রাজনীতিতে জাসদ অবশ্যই একটি বিশাল ভূমিকা (তা সদর্থক না কদর্থক সে বিতর্কে যাচ্ছি না) নিয়েছিলো।

জুবায়ের ভাই,
সেসময়ে জাসদের উদয়কে আমি স্বতন্ত্র কোন রাজনৈতিক দল হিসেবে মনে করি না। এর পিছনে যুক্তি দেবার আগে বলে নেই আমি কোন রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারী নই; ৭২ সালে আমার জন্মও হয় নি। আমার যা জ্ঞান তা বিভিন্ন দলঘেষা ইতিহাস পড়েই।

দীর্ঘকাল মুজিববাদের অনুসারী থেকে হঠাৎ করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ডাক দিয়ে বিপ্লবের ধ্বজা উড়ানো এই দলের অভ্যুদয়কে আমি ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন ষড়যন্ত্রেরই অংশ মনে করি। তাই সমাজতন্ত্রের আদলে পরিকল্পিতভাবে কক্ষচ্যুত আওয়ামী লীগকেই জাসদ নামে আমার চোখে ধরা পড়ে।

বিপ্লব বিপ্লব করে প্রাণপাত করে এই জাসদ আমাদের কী উপহার দিতে পেরেছে? খালেদ মোশাররফ আর বঙ্গবন্ধুর লাশ? পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী সামরিক শাসন?

আর ভ্রান্ত তথ্যের কথা বলেন? কোন কিছু ভুল হয় সার্বজনীন একসত্যের মাপকাঠিতে; আজ বাংলাদেশের জন্মের ৩৭ বছর পরে এসংক্রান্ত কোন তথ্যগুলোকে আপনি সার্বজনীন বলবেন? যে তথ্যগুলো আপনার কাছে ভ্রান্ত বলে মনে হচ্ছে, তার সংশোধনী গুলো দিয়ে গেলে উপকৃত হতাম।

উল্লেখ্যঃ৩২ জনের হত্যার খবর ২ নম্বর তথ্যসূত্র থেকে নেয়া।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

১. ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারির আগে থেকেই মোজাফফর ন্যাপ ও সিপিবি গুরুত্বে নেওয়ার মতো সংগঠন ছিলো।

২. আমার নিজেরও কোনো দলভিত্তিক রাজনৈতিক আনুগত্য নেই। জাসদ রাজনীতি সম্পর্কে আমার মতামত আপনার কাছাকাছি বলেই অনুমান করছি। এ বিষয়ে আমি আগে লিখেওছি। তবে জাসদকে আলাদা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে মানতে আপনার আপত্তিটি ঠিক যুক্তিগ্রাহ্য মনে হলো না। আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে তৈরি হয়েছিলো বলেই (অথবা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলো বলে, যেমন বলা হয়ে থাকে) যে তাকে দল হিসেবে স্বীকার করা যাবে না, এটা কেমন কথা? আওয়ামী লীগও তৈরি হয়েছিলো মুসলিম লীগেরই একটা অংশ থেকে। সর্বহারা পার্টিও অন্য বামপন্থী সংগঠন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি অংশ। নয় কি?

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ভাল বিষয় নিয়েই লিখছ । আরো বড় পরিসরে কয়েক পর্বে লিখতা পারতা ।

ভাল।
----------------------------------------------------
কেউ একজন অপেক্ষা করে

রাফি এর ছবি

আরো বড় পরিসরে কয়েক পর্বে লিখতা পারতা ।

ভাইরে সময় নাই। দৌড়ের উপর আছি।
তোমাদের এই টার্মে চাপ কেমন?

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

হিমু এর ছবি

এই ধরনের লেখার পাঠক হিসেবে আমি যা আশা করি, তা হচ্ছে, কোন তথ্য উপস্থাপনের পর সেটির পাশে রেফারেন্সের ক্রমিক যোগ করা। তাতে করে কোন তথ্যটি কোন সূত্র থেকে এসেছে, তা পরিষ্কার হয়।

লরেন্স লিফশুলৎস হবে বোধহয় শেষ নামটি।

যেটি ভালো লাগলো, সেটি হচ্ছে বানানের প্রতি যত্ন দেখে। সচলে মাঝে মাঝে এ ধরনের ইতিহাস বিশ্লেষণধর্মী, বা বলা যেতে পারে ইতিহাস বিশ্লেষণে উদ্যোগী লেখা এমন সব উৎকট বানান ভুলে বোঝাই থাকে, যে সেই লেখার বিষয়বস্তুর সত্যতা নিয়েও সন্দেহ জাগে। আমি মনে করি, যিনি লেখায় বানানের প্রতি যত্নশীল নন, তিনি লেখার তথ্যের প্রতি যত্নশীল হবেন, এমন ভরসা সবসময় করা যায় না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাফি এর ছবি

সে কাজটি করা উচিত তা আমারো মত; কিন্তু এ বিশাল লেখা টাইপ করে আমার পক্ষে সে কাজটা করা সম্ভব হয় নি; দুঃখিত।
নামের কারেকশন ঠিক আছে, ধন্যবাদ।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

শেখ জলিল এর ছবি

অনুসন্ধানী লেখা।
এরকম লেখা থেকেই উঠে আসবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের প্রকৃত ইতিহাস।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

রাফি এর ছবি

জলিল ভাই লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।