শুভ বিবাহ

আশালতা এর ছবি
লিখেছেন আশালতা (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৯/২০১১ - ৩:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বয়েসের দোষ নাকি কে জানে, আজকাল বিয়ে 'খেয়ে' তেমন আরাম পাওয়া যাচ্ছেনা। রোদবৃষ্টির ভ্যাপসা গরমের মাঝেও সেদিন একখানা বিয়ের দাওয়াতে গেলাম। দেখি এসিওলা ফিটফাট কমিউনিটি সেন্টারের ফুলসাজানো কোণায় বরকনে হাসিমুখে সোফাসিন। সুবেশী সুশীল লোকজন সবাই এসে মাপা হাসি দিয়ে কথা বলছে, টকাটক ছবি তুলছে, ভিডিও উঠছে। এসবকিছু শেষ হতে ওদিকে টেবল রেডি, ঝাঁক বেঁধে সবাই গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে মিছরি দেয়া পান চিবোতে চিবোতে যে যার বাড়ি। বিদায়ের সময় মেয়ের চোখ সামান্য ছলছল হতেই চারদিক থেকে চাপা সাবধান বাণী, এই এই কেঁদোনা, মেকাপ গলে যাবে। সাথে সাথেই সবাই সাবধানে যে যার চোখ টিস্যুতে মুছে ভিডিওর জন্য হাসিমুখে রেডি। কান্নাকাটি করে হাজার টাকার মেকআপ গলিয়ে ছবি নষ্ট করার মত বোকা মেয়ে এযুগে কমই আছে। আজকাল সব বিয়ে বাড়িতেই প্রায় এরকমই ছবি দেখি চারধারে। কোন হুড়োহুড়ি নেই, হাউকাউ চিল্লাচিল্লি কিছু নেই, সবকিছুই পারফেক্ট। আমার কেন জানি প্রাণ আইঢাই করে, একপেট হাওয়াই মেঠাই খেয়ে পেট ভরানোর মত খালি খালি লাগে।

মনে করার মত বিয়ে প্রথমবার দেখেছিলাম বোধ হয় ক্লাস টুতে। ছোটমামার বিয়ে। আমরা বাঙ্গালিরা বিয়েও যে কিভাবে 'খাই,' এটা ওইরকম বিয়ে না দেখলে আসলে বোঝা যেত না। ডিসেম্বরের একত্রিশ তারিখে বিয়ে, কিন্তু একমাস আগে থেকেই বংশের যেখানে যত আত্মীয় স্বজন ছিল সবাই সপরিবারে আসতে শুরু করল। বড় বড় আড়াই মণি ধানের বস্তাভরে বাজার আসতে লাগলো। বিরাট রান্নাঘরের চার পাঁচটে চুলায় সারাদিন রান্না হচ্ছে। মা খালা মামিরা তিনবেলা ধামাভরা খাবারের জোগান দিতে দিতে হয়রান। বাড়ি ভর্তি মানুষ। সবাই হাসছে, সবাই কথা বলছে, সবাই চেঁচাচ্ছে। ছেলে-বুড়ো-বাচ্চাকাচ্চা-ক্যাওম্যাও-হাউকাউ নিয়ে নরক গুলজার অবস্থা। দ্বিতীয় সপ্তাহের মাথায় মামা ঘোষণা দিলেন, আমিষ সরবরাহ করা সম্ভব হবেনা, ট্যাঁকে টান পড়ছে। মেনু শুধু লাবড়া আর ডাল। কালো সিমেন্টের চকচকে টানা বারান্দার এমাথা ওমাথা জুড়ে খেতে বসে সবাই হই হই, লাবড়া আর ডাল ? কুছ পরোয়া নেহি, চালিয়ে যাও। কিন্তু ডাল সাপ্লাই দিতে দিতে সে-ও বাড়ন্ত। শেষটায় ছোটখালা লুকিয়ে ডালে টিউবওয়েলের পানি মিশিয়ে দিতে থাকলেন, একসময় সেটাও ফুরিয়ে গেল। আহা পানি মেশানো ডালও যেন অমৃত।

কি যেন সু গ্রহের ফের ছিল, মামা আমাদের কজন ভাগ্যবানকে নিয়ে বিয়ের শপিং এ গেলেন। বড়রা কেনে, আমরা উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখি আর হবু কনের সৌভাগ্যে চরম বিস্মিত হই। এক দোকানে ঢুকে আয়না তেল সাবান পাউডার কেনা হচ্ছে, এর মাঝে দোকানি একটা গোলাপি রঙা সাবান বের করে দিয়ে বললেন,

-এটা বিদেশী লাক্স, নিয়ে যান।
-কত দাম ?
-এইত চল্লিশ টাকা।
-চল্লিশ টাকা !! বলে কি !!!

আমরা এক টাকা দামের আইসক্রিম খেতে পাইনা আর এই লোক চল্লিশ টাকার সাবান বিক্রি করতে চায় ! মাথা খারাপ নাকি ?!! এরকম অবাস্তব কথা শুনে আমরা সবাই একসাথে দোকানির দিকে তাকিয়ে ফ্যাক ফ্যাক করে এমন ভাবে হাসতে লাগলাম যে বেচারা মুখ কাচুমাচু করে তাড়াতাড়ি শোকেসে উঠিয়ে রাখতে দিশে পেলনা।

তখন গায়ে হলুদে আমরা হলুদ দিতে যেতাম না। বর বা কনেকে বাসাতেই আত্মীয়ারা দিন তিনেক ধরে আচ্ছা করে হলুদ মাখিয়ে জন্ডিস রুগির মত হলদে করে দিতেন। তাতে নাকি রূপ খুলত। সেই ডিসেম্বরের শীতের রাতে মামাকে সারাগায়ে কষে হলুদ মাখানো হতো আর মামা চেঁচাতেন, আমি আর বিয়ে করবোনা, আমাকে ছেড়ে দেন !

বিয়ের দিনও এন্তার মজা। বড় বড় বাস ভর্তি করে মাইক বাজাতে বাজাতে কনের বাড়ি যেতেই মহাসমাদরে নামিয়ে নিয়ে গেটের সামনে আটকে দিল। ঢুকতে গেলে টাকা লাগবে। এখনকার মত আগেই টাকা ফিক্স করে রেখে মিথ্যা মিথ্যি ঝগড়া নয়, একদম সত্যিকারের টানাটানি। সেই বাধা টপকে যদিবা ভেতরে ঢোকার অনুমতি মিলল, কোথা থেকে বালতি বালতি গোলান রঙ ছাদের ওপর থেকে ঝপাত ঝপাত করে ঢেলে দিল গায়ে। আমরা সবাই লাল- নীল বেগুনি রঙে ভিজে বোকা বোকা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। বড়রা রেগে মেগে তুমুল চিল্লা চিল্লি। বড়মামা বললেন, চল ছোট, এইখানে বিয়ে করতে হবেনা! কিন্তু মামার মোটেও ওঠার ইচ্ছে নেই, গাঁইগুঁই করছেন। তাই দেখে আবার ভায়ে ভায়ে লেগে গেল ঝগড়া।এত কাহিনি করে বউ এনেও শান্তি নেই। বাসর রাতে একা ঘরে অনেকক্ষণ উসখুস করার পর মামা যখন নতুন মামিকে মাত্র বলেছেন, "তোমার এডমিট কার্ড দিয়েছে...?" এপাশ থেকে ওপাশ থেকে খিক খিক। রেগে গিয়ে মামা দুম করে উঠে পড়তেই জানলার পাশ থেকে আওয়াজ এল, "আরে গাধা, খালি এডমিট কার্ডেরই খোঁজ নিবি সারারাত ধরে ? দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এদিকে আমাদের যে পা লেগে গেল !!"

একবার গ্রামে এক কাজিনের বিয়েতে গেলাম। পাশের গ্রামে বরযাত্রী যাচ্ছি সবাই বিশ পঁচিশটা গরু আর মোষের গাড়ি করে। গাড়ি যোগাড় করা হয়েছে বেশ কটা বাড়ি থেকে। উঁচু মাটির সড়ক বেয়ে সার বেঁধে যেতে যেতে এক জায়গায় আচমকা সামনের গাড়ি রাস্তা ছেড়ে হড়হড়িয়ে গড়গড়িয়ে নিচের জমিতে নেমে গেল। সাথে সাথে তার দেখা দেখি পরের গুলোও ছুটল নিচে। শেষে হুড়োহুড়িতে সবাই মিলে গাড়ি টাড়ি উল্টে জড়িয়ে পলটিয়ে কিম্ভুত অবস্থা। কি হল ? কি হল ? না, এক গাড়ির মোষের মালিক নিচের জমিতে কাজ করছিলেন, তাই দেখে প্রভুভক্ত মোষ আবেগাপ্লুত হয়ে রাস্তা ছেড়ে মালিকের কাছে ছুট্টে গিয়েছে। সেই কটা গাড়িতে যারা ছিল, তারা বিয়েবাড়িতে গেল ন্যাংচাতে ন্যাংচাতে। ভোগান্তির এখানেই শেষ নয়। একটু দূর যেতেই একজোড়া মোষের বড্ড গরম লাগতে লাগলো। তারা নোটিস ছাড়াই হুড়মুড় করে গাড়ি সহ নেমে গেল পাশের পুকুরে। সেই গাড়ির লোকজন কেঁদে চিল্লিয়েও ছাড়ান পেলনা।

আর ছিল রংখেলা। দূর থেকে ছি ছি করলেও এই খেলা যে না খেলেছে সে এর মজা বুঝবেই না। বিয়ের আগের নইলে পরের দিন বালতি বালতি রঙ গুলিয়ে ছেলেপিলেরা সব রঙ মাখানোর খেলায় জুটে যেত। প্রায়ই সেটা রঙ থেকে সরে কাদা-মাড়-পায়েস-হাঁড়ির কালি মায় আলকাতরাতেও গিয়ে ঠেকত। বাড়ি ভর্তি নানান রঙ মাখা কিম্ভুত মানুষ দেখতে যে কি মজা লাগত। মুশকিল একটাই। তাহল খেলার উত্তেজনায় লঘুগুরু জ্ঞান লোপ পেয়ে গেলেই ঝামেলা। একবার একজন ফচকেমি করে নানার দাড়িতে মনুষ্য বর্জ্য মাখিয়ে দেয়ার পর থেকে এই খেলা আমাদের পরিবারে পুরো ব্যান হয়ে যায় ।

আঙ্গুলের কড়ে গুনে দেখি মাত্র কটা বছরেই আমার আগের আর পরের জেনারেশনের জীবনাচরণে কি বিশাল অমিল হয়ে গেছে। এখনকার শিক্ষিত লোকজনেরা বেজায় সভ্য, সুশীল। তাদের চোখে ওরকম হাউকাউ বিয়ের আসর নিশ্চয় ভয়ানক গেঁয়ো আর বর্বর ঠেকে। শুধু আমার মত কিছু পোষ না মানা শহুরের স্মৃতিতে সেই বর্বর দিনগুলো কেন যেন ভাললাগা মিশিয়ে মিশিয়ে বারবার ফিরে আসে। বোধ হয় এইসব মশলাদার বিয়ে খেয়ে খেয়েই আমার অভ্যেসটাও গিয়েছে উলটে। এখনকার পরিপাটি বিয়েগুলো তাই আজকাল কেমন যেন আলুনে ঠেকে।

সেদিন কি মনে হতে তুতুন কে জিজ্ঞেস করলাম, এই তুই বিয়ে করবি ?
খেলতে খেলতে খুব বিরক্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে বললে, ছোটোদের এসব পচা কথা জিজ্ঞেস করতে হয়না, তুমি জানো না ?
উত্তর শুনে হকচকিয়ে যেতে দেখে বোধ হয় একটু মায়া হল। পাশে এসে বলল, শোন, এখন তো আমি ছোট আছি, যখন বড় হব তখন বিয়ে করব।
-কবে বড় হবি ?
-এই তো টু পাশ করেই একটা চাকরি করব, আর তখন কারিনা কাপুরকে বিয়ে করব !
খাবি খেয়ে বললাম, আচ্ছা।


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

আপনার লেখা মানেই তো কমেন্ট ২০০ তে পৌঁছাবে আবার, আমিই প্রথম শুরু করি। লেখা যথারীতি চমৎকার ... হাততালি

আশালতা এর ছবি

দিলেন তো নজর লাগিয়ে ! এইবার যদি দুশো না হয় আমি কিন্তুক নালিশ দিব ! খাইছে

জোকস এপার্ট, আসলে কি জানেন, আমার লেখায় লেখা নিয়ে কমই আলোচনা থাকে, সেটা গৌণ হয়ে যায়, লেখার সুতো ধরে হুটোপাটাই হয় বেশি। আর আমিও আসলে ওই লোভেই লিখি। লেখিকা তকমার সাধ নেই আমার। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ফাহিম হাসান এর ছবি

বিয়ে বাড়ির মজাই আলাদা। আমার ছোট চাচার বিয়েতে এক মাস পড়াশোনা বাদ দিয়ে হই হই চলল। পরে পরীক্ষায় ডাব্বা খেলাম। এখনকার বিয়েতেও মজা হয়, তবে একটু অন্য রকম মজা।

আশালতা এর ছবি

"এখনকার বিয়েতেও মজা হয়, তবে একটু অন্য রকম মজা।" কথা সত্যি। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তানিম এহসান এর ছবি

রঙ খেলার পাশাপাশি, বিয়েবাড়ী সাজাতে কাগজ কেটে কেটে নানানরকম নকশা তৈরী করা হতো এবং সেটা সবাই পারতোনা। যারা পারতো তাদের পেছন পেছন ঘুরঘুর করতাম ছোটবেলায়। আরেকটা বিষয় ছিলো যেটা খুব মিস করি, সেটা হচ্ছে পটকা আর বাজি! ধুম-ধুমাধুম-কড়াক-কড়াক আওয়াজ না হলে বিয়ে হচ্ছে এটা মনেই হতোনা।

আজকালকার বিয়েতো খুবই ফর্মাল একটা ব্যাপার, সেই নির্দোষ আনন্দের মাঝে নিজেকে উজাড় করে দেয়ার মাত্রিকতা এখনকার মানুষ বুঝবেনা!

মন ভরলোনা, ব্লগরব্লগর ক্যাটাগরি বলে রেহাই পেয়ে গেলেন নইলে বলতাম যে আপনার কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি এবং সেটা আপনার মাধ্যমেই তৈরী হওয়া হাসি প্রশান্তিতে থাকুন, শুভেচ্ছা,

আশালতা এর ছবি

কাগজের নকশা, জরি চুমকি দিয়ে ঘর সাজানো, পটকা এসব তো ছিলই। একবার কাজিনের বিয়েতে ছোটরা সবাই মিলে পুরো বাড়ি নিজেরা হোয়াইট ওয়াশ করেছিলাম। চুন লেগে সবার হাত ফুটো হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কি যে আনন্দ হয়েছিল।

মন ভরবে কি করে ? গত কটা পোস্টে সবার কাছে তোল্লাই পেয়ে আমি তো ফুলে ঝেঁপে একাকার। কিছুই আর লিখতে পারিনা। অনেক মন টন খারাপ করে শেষে একটা পুরনো লেখা দিলাম। আপনাদের বকা খেয়ে এবার যদি একটু শুধরোই।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কল্যাণF এর ছবি

খাবি খাওয়ারি কথা, কিন্তু তুতুনেরও উপায় নাই, নইলেতো পিছিয়ে পড়বে।

ওই দিনগুলো কিন্তু খুব খারাপ ছিল না। এখন ম্যাচের বাক্সের মত সারি সারি এপার্টমেন্টে বন্দি বাচ্চাগুলোর কথা চিন্তা করলে খুব খারাপ লাগে। ওরা জানেও না কি হারিয়ে যাচ্ছে! আমাদের সম্পর্কগুলোও কি পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে? নিত্য নতুন অদরকারী ভোগ্যপন্যে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, আর সেসবের যোগান দিতে নিরন্তর উর্ধ্বমুখে ছুটে চলা। সময় কোথায় সেই পুরন দিনগুলোয় ফিরে যাবার? আপনার লেখা পড়ে মনটা খারাপ হল কেন যেন। চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ। চলুক

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ কল্যাণF হাসি

ওই দিনগুলো আমি মিস করি সত্যি কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় এখনকার বাচ্চাদের জন্য এই দিনগুলোই বোধ হয় ঠিক আছে। যুগ যেরকম তার বাসিন্দারাও সেরকম না হলে টিকে থাকতে পারবেনা তো। না হলে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ঝুলে থেকে মন খারাপ করে করেই দিন যাবে তাদের। সেটা তো ভালো কিছু হবে না। আমরা যে সময়েই থাকিনা কেন তার থেকে আনন্দটা সুন্দরটা খুঁজে নিতে পারাটাই চাই। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কল্যাণF এর ছবি

আমরা যে সময়েই থাকিনা কেন তার থেকে আনন্দটা সুন্দরটা খুঁজে নিতে পারাটাই চাই।

লাখ কথার এক কথা, রিতিমত বাণী হিসেবে বান্ধায়া রাখার মত। চলুক ওরা বেড়ে উঠুক ওদের সময়ে ওদের মত করে পোক্ত হয়ে।

আশালতা এর ছবি

আপনি তো রীতিমত লজ্জায় ফেলে দিচ্ছেন রে ভাই... লইজ্জা লাগে

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এ্যাঁ! কারিনা কাপুরকে যদি তুতুন বিয়ে করবে তো আমি কী সারাজীবন ব্যাচেলর থাকবো! এই পিচকাকে বলেন, আজকালকার দীপিকা-টিপিকা একটা বেছে নিতে!

বিয়ে বাড়ির এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। সবারই বোধহয় ছেলেবেলাটা গ্রামে কাটানো উচিত। আহা! কী সব সোনাঝরা দিন! আপনার লেখা পড়ে আমারও সেসব লিখে ফেলতে ইচ্ছে হল!

খুব সুন্দর লেখা। সাবলীল। দারুণ।

পুনশ্চ: ভেবেছিলাম বিয়ের দাওয়াত দেবেন সহসচলদের! তা না! কী গল্প ফাঁদলেন! হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশালতা এর ছবি

হা হা, ওসব দিপিকা-টিপিকা বরং আপনারাই খোঁজ করুন গে। তুতুন কে তো দেখেন নি। লুচির মত ফোলা ফোলা গালে হাসলেই ঢিপ করে টোল পড়া পঁয়তিরিশ কিলো ওজনের পাঁচ বছর বয়েসি হ্যান্ডসামকে সুন্দরিতমার আপনার চাইতে বেশি পছন্দ হবে নিশ্চিত। হাসি

লেখা ভালো বলে প্রশ্রয় দেবার জন্য কৃতজ্ঞ। আমি তখন থেকে দাঁতে নখ কাটছিলাম না জানি কত পচা কথা শুনতে হয় ভেবে। দেঁতো হাসি

আর বিয়ের দাওয়াত ?! কার ? আপনার সময়ে দায়িত্ব দিলে ঠিকমত সেরে দেব নাহয়। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আশালতা এর ছবি

আরেকটা কথা বলতে তো ভুলেই গেছি, সোনাঝরা দিনের লেখা আসবার সম্ভাবনায় বেশ গুছিয়ে বসলাম কিন্তু। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

এ ফাঁকিবাজি পোস্ট। আপনার বিয়ের গল্প শুন্তাম চাই!

আশালতা এর ছবি

বা রে, আমি কি তারেক অণু নাকি হিমু-মুখফোড় ? যে সারাক্ষন সব ফাটাফাটি পোস্ট দেব ? মাঝে মধ্যে একটু আধটু ফাঁকিবাজিও বুঝি করতে পাইনা ? আর আমার বিয়ের গল্প তো ভীষণ সোজা। সেই যে 'এন্ড দে লিভড হ্যাপিলি এভার আফটার' এর মত। খালি একটাই টুইস্ট আছে। বুড়ো কাজীসায়েব গমগমে গলায় সবার সামনে জিজ্ঞেস করলেন, "মোহাম্মদ আশালতা চৌধুরানী, আপনি কি এই বিয়েতে রাজি আছেন ?" আমার সাথে একঘর লোক বলে উঠলো, "অ্যাঁ" !!

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মোহাম্মদ আশালতা চৌধুরানী

অ্যাঁ অ্যাঁ চিন্তিত

অনেকবছর আগে আমাদের অফিসের এ্যাডমিন সহকারী-ক্যাশ খালেদা আপা ওভারটাইম শীট বানানোর সময় গড়েপর্তায় সবার নামের আগে Md. বসিয়ে পেমেন্ট সামারি তৈরী করেছিলো। সেখানে দুইজন মানুষের নাম ছিল Md. Anil Biswas এবং Md. Mario Mondol. এবং অনিলদা এবং মারিওদা দুজনেই সেখানে সই করে টাকা নিয়ে নিয়েছিলো।

এসএসসিতে আমাদের বন্ধু শিরীন আক্তারের মেয়েদের হলে সীট পড়েছিলো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আশালতা এর ছবি

হো হো হো

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রুমঝুম ১ এর ছবি

টানা দেড় বছর কাচ্চি বিরিয়ানী খাইনা.........কেন মনে করিয়ে দিলেন বলেনত??????

আজকালকার বিয়ে মানেত হিন্দি সিরিয়ালের মিমিক...বিয়ে খেয়েছি সেই ছোটবেলায়...সেই ফোল্ডিং চেয়ারে ব্যাল্যান্স করতে করতে পোলাও, কোর্মা আর মুরগীর রোস্ট খাওয়ার দিনগুলো আরএফএল চেয়ার এসে কেড়ে নিয়ে গেল............

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ইয়াল্লা! আবার সেই চিপা চেয়ারের কথা মনে পড়ে গেল! ওঁয়া ওঁয়া এইটারে ক্যাম্নে ব্যালান্স করতাম কে জানে! তবে চেয়ারের নিচের দিকে দু'টো পায়াকে জুড়ে রাখতে যে কাঠের অংশটা থাকতো, বাবা মাঝে মাঝে পেছনে দাঁড়িয়ে সেটা নিজের পা দিয়ে শক্ত করে চেপে রাখতেন যাতে আমি নিশ্চিন্তে খেতে পারি উলটে যাবার ভয় না করে। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আশালতা এর ছবি

কাচ্চি বিরিয়ানী তো খুব সোজা। যত ময় মশলা আছে সব চাল আর মাংশের সাথে মিশিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য দমে বসিয়ে দিলেই হল। কিন্তু তাই বলে ওই কেরামতিওলা কাঠের চেয়ারের প্রত্যাবর্তন চাই না বাবা। কার মাথায় যে ওই চেয়ারের ডিজাইন এসেছিল। যতবার বসেছি আশেপাশের সবাইকে নিয়ে ধড়াম ! রেগে টং

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

তুতুন কি আপনার ছেলে? আমি ভেবেছিলাম আপনার তুতুন মেয়ে বুঝি! কিন্তু এ তো জোস বাচ্চা দেখা যায়!

আমার এইরকম মোষের গাড়িতে করে গিয়ে গ্রামের বিয়ে আর রঙ খেলার স্মৃতি নাই... মন খারাপ কিন্তু মেজ চাচা আর ছোট চাচার বিয়ের দারুণ সব ঘটনা আছে। মেজ চাচার বিয়ের কাহিনি ব্যাপক! সবটা মন্তব্যের ঘরে কুলাবে না, কিন্তু ছোট চাচার বিয়ের স্মৃতি বেশিরভাগটাই ভালো, আমার খালি আনন্দ করার কথাই মনে পড়ছে... সবাই একসাথে বাস ভর্তি করে ঢাকা যাওয়া, একই বাড়িতে বিভিন্ন ঘরে মেঝেতে ঢালাও বিছানা আর পানির বিপুল সংকট! মানে প্রায় বাথরুম সারা যাচ্ছে না এমন ওয়াসা সংকট! দেঁতো হাসি কথা ছিল হলুদের অনুষ্ঠান হবে না, পরে ছোট চাচীর বোনেরা বললেন, হতেই হবে! তারপর একদিনের মাঝে নতুন করে আবার কেনাকাটা। আমরা বাড়িতে থাকতাম, আম্মারা সারাদিন কেনাকাটা করতে যেত, সেই সুযোগে আমরা আরোই বাঁদরামি করতাম। দেঁতো হাসি সেই সময়ে সেই বাড়িতে বড় বাগান ছিল, খোলা ছাদ ছিল, সেইখানেও একটা মাথা খারাপ বারোমাসী শিউলি গাছ ছিল। ছাতে চাচাকে গোসল দেবার সময় আমার ছোট্ট চাচাতো বোন, পুরা বালতির পানি থাপিয়ে নিজেই ভিজে একসা মূহুর্তের মধ্যে! শিউলি গাছটার অর্ধেক ফুল মাটিতে পড়তো অর্ধেক ছাতের অন্য কোণায়, সেদিকটাতে কেউ যেত না তেমন, সিঁড়িঘরের আড়ালে। আমাদের যেহেতু একা একা ছাতে ওঠা মানা ছিল, সবাই যখন পিচ্চিকে নিয়ে হাসাহাসিতে ব্যস্ত, আমি সিঁড়িঘরের আড়ালে চলে গেলাম টুক করে, ছাতের উপর খালি ফুল আর ফুল, আর সেখান থেকে বাগান দেখতে অদ্ভুত লাগতো... সেজ ফুপা ফুলঝুরি, রকেট আর আলোর চড়কি নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু সেটা আমরা ছোটরা কেউই জানতাম না! তাই আলোর খেলা আমাদের জন্যে সুপার সারপ্রাইজ ছিল বিয়ের পরদিন!

উফফফ! আগের বিয়ে তো আসলেই অনেক মজা ছিল! এরপরে বড় ভাইয়ের বিয়ে হলো টেলিফোনে! তার ছোটজনের বিয়ের সময়ে বিদেশী বধূ দেশে এসেছিলেন বটে কিন্তু হরতাল ছিল! তাই সেভাবে ঢাকা যাওয়া আর হয়নি সবার। বাকি বেশ কয়টা সুযোগই হয়নি থাকার, আর সবার এখন কত স্কুল, অফিস, ছুটি কই?! হুড়মুড় করে শেষ, ঠিক বুঝেই উঠতে পাই না... আশা আছে আমার বড় জনের বিবাহ খাবো, যদি সে দয়া করে বিবাহ করে আরকি! মুশকিল হয়ে গেছে ইদানীং-এর ছেলেগুলোকে নিয়ে, এরা মনে হয় বউয়ের পিটনা খাবার ভয়ে আর বিবাহ করতেই চায় না! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আশালতা এর ছবি

আরে না। তুতুন আমার ভাগ্নে। পাঁচ বছর বয়েস। এই এত্ত মোটকা গাবলু । হাসি

আসলেও সেইসব দিনের মজাগুলো বলে শেষ হয়না। আমরা বোনেরা এখনও একাসাথে হলে হাসাহাসি করি। আপনার কমেন্ট পড়ে অনেক পুরনো মজার স্মৃতিগুলো দৌড়ে চলে এল। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

guest_writer এর ছবি

ছোটবেলায় ভাবতাম বিয়ে করতে হলে বিএ পাস করতে হয়।

পড়াচোর।

আশালতা এর ছবি

এখন আশা করি বড় হয়ে গেছেন ?! হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সজল এর ছবি

বড় হয়ে নেই, তারপর একদিন বিয়ে করে, বিয়ের আসরে বসে লাইভ ব্লগ লিখব নে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

বড় হয়ে নেই, তারপর একদিন বিয়ে করে, বিয়ের আসরে বসে লাইভ ব্লগ লিখব নে। হো হো হো


_____________________
Give Her Freedom!

আশালতা এর ছবি

বিয়ের আসরে বসে লাইভ ব্লগ ? বাহ বাহ, আইডিয়া চমৎকার। কিন্তু তার আগে গোঁফ রাখতে হবে তো, আর সর্ষের তেলের বোতল নাহয় ডি এইচ এল এ করে আমিই পাঠিয়ে দেবখন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সজল এর ছবি

টেস্ট

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

মলা ঢ্যালা ব্লগাররে(গোস্তাগি মাফ করবেন) দেখছি টেস্ট করতে, আন্নি আবার কি টেস্ট করেন?


_____________________
Give Her Freedom!

আশালতা এর ছবি

কিসের টেস্ট রে ভাই ? চিন্তিত যাহোক টেস্টে ফেলমার্ক দিলাম ! খাইছে

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বাউন্ডুলে এর ছবি

উত্তম জাঝা! ছোটবেলার বিয়ের দিনগুলোর মজা তুলে আনার জন্য খুব ভাল লাগল।

আছে। আজকাল সব বিয়ে বাড়িতেই প্রায় এরকমই ছবি দেখি চারধারে। কোন হুড়োহুড়ি নেই, হাউকাউ চিল্লাচিল্লি কিছু নেই, সবকিছুই পারফেক্ট। আমার কেন জানি প্রাণ আইঢাই করে, একপেট হাওয়াই মেঠাই খেয়ে পেট ভরানোর মত খালি খালি লাগে।

চলুক

আশালতা এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ বাউন্ডুলে। হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

৯০ এর দশকে পেয়েছিলাম সেঝ কাকার বিয়ে, এই রকমই হুলস্থুল উৎসব ছিল, সেই দিনগুলো মনে পড়ল-কত দস্যিপনা!!! ২০০০ এর পরে কত আত্মীয়ের বিয়ে হল সব নিষ্প্রাণ, যান্ত্রিক!!! মন খারাপ

ভাবলাম আপনারটাও কোনেক স্তবকে পাবো, সে আশায় গুরেবালি হল!!! সেই গল্পটাও বৈলেন একদিন......... দেঁতো হাসি

আর তুতুন মনে হয় আনকা শরম আর বিড়াল কাইফকে দেখে নাই, গাড়ি কাপুররে বেশি দেখছে!!! আমি তুতুনের জায়গায় হৈলে নির্ঘাত প্রথমার নাম বলতুম!!!! হো হো হো


_____________________
Give Her Freedom!

আশালতা এর ছবি

আমার গল্প ? সে তো বলিই একটা একটা করে। তোমাদেরই না লেখার খবর নেই। কিন্তু এত যে শরম আর কাইফের খোঁজ খবর চলছে, উনি জানেন তো ? দেখো, শেষে নাকের জলে চোখের জলে একশা না হতে হয় ! হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ভয় দেখানো হচ্ছে না!!! হুমম কোথায় বড়দিদিরা বাঁচাবেন, তা না আরো ভয় দেখাচ্ছেন, খেলবোই না!!! দেঁতো হাসি

আর আমি তো তুতুনের বয়সে থাকলে চাইতুম বলেছি, এখন কি আর সে চিন্তার সুযোগ আছে!!! হো হো হো


_____________________
Give Her Freedom!

যুমার এর ছবি

খালাতো বোনের বিয়ের স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।আপা পালকিতে ওঠার একটু আগে সবাইকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ কাঁদছেন-নানীর পালা এল।দেখি বুড়ি বহু কসরত করে চোখ টেপাটেপি করছে-জল আনার আশায়!মহা ফিচেল আমার বোনটা তখন দইয়ের হাড়ি থেকে মুখ এক লহমার জন্য তুলে বলল-নানী ভালোই চোখ মারতে পারে!

আশালতা এর ছবি

ডুপ্লি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আশালতা এর ছবি

হো হো হো

পালকির কথায় মনে এল, এক বিয়েতে দেখি বিদায়ের সময় তুমুল কান্নাকাটি চলছে। মেয়ে কেঁদে কেটে পাল্কিতে উঠতে যেতেই কোত্থেকে এক ফাজিল ছেলে এসে দুম করে পালকির গায়ে বিশালাকার এক পটকা ফুটিয়ে দিল। তার শব্দে আর ধাক্কায় কনে অজ্ঞান। বাড়ি ভর্তি লোকজনের শুরু হল আরেক কান্নাকাটি।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

জ়াতির বিবেক এর ছবি

সুন্দর পোস্ট । আমার জন্ম ঢাকায় , তাই এই রকম বিয়ে দেখার সৌভাগ্য আমার হয় নাই । আসলে শহুরে জীবনে সবকিছুই অনেক আত্মকেন্দ্রিক , বিয়েতেও অনেক কম মানুষকে জানানো হয় । এখানে সবকিছুই একদম রেডি থাকে । কোন খুঁত নেই , কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় । আমার জীবনে যত বিয়ের অনুষ্ঠা‌ন দেখসি সব প্রায় একই রকম লাগসে, শুধু মানুষগুলার চেহারা আলাদা । বিয়ের অনুষ্ঠানে এজন্য আমি এখন আর যাই না , বিরক্ত লাগে । আপনার পোস্ট পড়ে গ্রামে গিয়ে বিয়ে দেখতে ইচ্ছা করতেসে হাসি

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ জ়াতির বিবেক। সুযোগ পেলে যাবেন শহরের বাইরের অনুষ্ঠানে। কিছুটা হলেও অন্যরকম স্বাদ পাবেন, আশা করি ভালো লাগবে। মহানগরের জীবনে সবাই কিভাবে যেন বিরাট এক কারখানায় তৈরি প্রোডাক্ট এর মত একইরকম হয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। প্রায়শই এঁদের হাসিকান্না গুলো একই রকম লাগতে থাকে।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তাপস শর্মা এর ছবি

আপনাকে সালাম।
আমার বিয়ের বাড়ির অভিজ্ঞতা কম। আমি কোন দাওয়াত খেতে যাই না। এই আমার এক অদ্ভুত অপদার্থতা। আপনার লেখা দেখে তো বুঝলাম আপনার এক্সপেরিয়েন্স ব্যাপক!!!
আর আমি নিজের বিয়েতেও দাওয়াত খেতে যাব না। অ্যাঁ অ্যাঁ

আশালতা এর ছবি

কোন দাওয়াতে না গেলে, মানুষের নানান অবস্থানকে না দেখলে জীবনকে দেখবেন কি করে ? মানুষ তার নানান কাজকর্ম আচরণ নিয়েই সমাজে থাকে। সেগুলোর মাঝে চমৎকার সব গল্প মিশে থাকে কিন্তু। না গেলে অনেক কিছু মিস করছেন বলতে হয়। যাহোক, পড়ার জন্য ধন্যবাদ তাপস শর্মা।

আপনার নিজের বিয়েতে আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছেই বা কে ? আর মেহমান সামলাতে সামলাতে এইসব কথা ভাবার সময়ই বা আপনাকে দেবে কে ? হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

আগের দিনের বিশেষত গ্রামের বিয়ে মানে মজাই অন্যরকম। এখনও কিছু জায়গায় এরকম আছে, আমি নিজে দেখেছি। কিন্তু শহুরে বিয়েগুলো কেমন যান্ত্রিক হয়ে গেছে।

লেখা নিয়া কিছু কমু না। সেডা সবাই জানে। আপনার জন্যে গুল্লিমারা বিলাইএর স্মাইলি ফিক্সড। তয় হাল্কা কৌতুহল ছিলো, কাজিনের বিয়ের বরযাত্রীতে আপনি কোন মোষের গাড়িতে ছিলেন??? মাঠে নামা না পানিতে নামা??? দেঁতো হাসি

অতীত

আশালতা এর ছবি

গুল্লিমারা বিলাইএর ফিক্সড স্মাইলির জন্য এক্সেল সাইজের ধন্যবাদ অতীত। হাসি

আমি ওই দুটোর কোনটাতেই ছিলাম নাতো। ছোট মানুষরা কজন মিলে সবার শেষের একটা ভাঙা গাড়িতে উঠেছিলাম কোথাও জায়গা না পেয়ে। জানেন না বোধ হয়, যে সব মোষ গাড়ি টানে তাদের কে ডান দিকে থাকবে কে বামে থাকবে তা সবসময় নির্দিষ্ট থাকে। সেই ডান বাম উলটো হলে তারা আর চলতেই পারেনা। আমাদেরটায় মোষগুলো ভুল করে উলটো করে জুড়েছিল। তাতে এক পা আগাতে দু পা পেছনো বলে একটা কথা আছে না, ওই অভিজ্ঞতাটা ভালমত হয়েছিল। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

গ্রামে থাকার এটা একটা চমৎকার দিক। অবশ্য এখন বেশিরভাগ বিয়ে কমিউনিটি সেন্টারেই হয়। আমি একটা বিয়ে দেখেছি হাতিয়া, নোয়াখালীতে। ওখানে খেতে দিয়েছিল মিষ্টিকুমড়ার চচ্চড়ি আর মাছ। বিচিত্র অভিজ্ঞতা।
আপনার লেখাটা ভাল লাগল।

আশালতা এর ছবি

মিষ্টিকুমড়ার চচ্চড়ি আর মাছ তো তাও ভালো জিনিষ। একটা বিয়েতে গিয়েছি, পাতে দিয়েছে চিড়ে দৈ। আমি ভাবলাম, গরিব মানুষ, এইই জুটেছে বোধ হয়। পেট পুরে খেয়ে নিলাম। ওমা, একটু পরে দেখি এক এক করে রেকাবিতে করে পোলাও, কালিয়া, আমড়ার টক, খাসির মাংস, বিশাল বিশাল রুইমাছ ভাজা, মুড়ো ঘণ্ট, দৈ মিষ্টির স্রোত বইতে শুরু করেছে। আমার তো পেট ভরা, তাই সবাই কবজি ডুবিয়ে খেল আর আমি তাকিয়ে দেখলাম। মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বোকা মেঘ এর ছবি

আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে বোধ হয় গায়ে হলুদে প্যারডি করে গান করার একটা বেশ ধুম পরে গিয়েছিল, তাই না? শুরু হত কিন্তু সেই লীলাবালি দিয়েই, আর এরপর হাজার রকম মজার মজার প্যারডির গান, যাতে "বাটা"র বিজ্ঞাপনও বাদ যেত না হাসি ...সেটাই কত ভালো ছিল, অন্তত: আত্মার টান থাকত সবার | ...কিন্তু এরপর গিটার-ড্রামস নিয়ে যেদিন থেকে অন্য মানুষকে দিয়ে অনষ্ঠানের এক পাশে দাড় করিয়ে দেওয়া শুরু হলো, সেদিন থেকেই বোধ হয় যান্ত্রিকতা এসে গেল | আর এখনতো সে জায়গা নিয়ে নিয়েছে ডিজের হিন্দী-পাঞ্জাবী আওয়াজের সাথে উদ্দাম নাচ |

হলুদের ঘর-বাড়ি-স্টেজ সাজানো বা আল্পনার কথা বাদই দিলাম, শুধু তত্ত্ব সাজানো নিয়ে কিনা হত !! আর এখন অন্তর্জালে ডালা-কুলা থেকে পান সাজানোর রেট ধরে বিজ্ঞাপন - পয়সা ছড়াও, যা ইচ্ছে "কিনে" নাও |

সোনার আংটি হারিয়ে যাচ্ছে - ডায়মন্ড(ইচ্ছে করে হীরা লিখলাম না) বসানো প্লাটিনামের আংটি ছাড়া বলে বিয়ে কল্পনা করা যায় না ?

আজও আনন্দ হয়, অনেক অনেক আনন্দ... কিন্তু প্রতিদ্বন্দিতা আর লোক দেখানোর ঝলমলে আলোকসজ্জায় বর-কনেকেও মাঝে মাঝে অচেনা লাগে |

সময়ে কত কিছু বদলায়, না.. ?

স্মৃতি জাগানিয়া লেখা... হাসি

আশালতা এর ছবি

আরে, তাইতো, প্যরোডি গানের কথা তো ভুলেই গেছলাম। আর তত্ব সাজানর কতরকম কায়দা। নিজেরা করলে সেটায় অন্যরকম একটা মায়া লেগে থাকে। ছোটবেলায় দেখেছি হলুদ দেবার সময় গ্রামের সধবারা একসাথে বসে সুর করে বিয়ের গীত গাইত অনেক রাত অব্দি...

আসলেই সময়ে কত কিছু বদলায়...

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নিটোল. এর ছবি

আহারে! সেই ছোটবেলার বিয়েগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। এতো হইচই,হুলস্থুল কাণ্ড যে হতো সেসব নিয়ে কয়েক মাস হাসাহাসি চলত। আজকাল কি আর ওসব হয়? এখন অপরিচিত মানুষের বিয়েতে গিয়ে চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে থেকে তারপর খেয়ে দেয়ে বিদায় নেই! সেই আন্তরিকতা আর নেই।

আশালতা এর ছবি

সেই জন্যেই তো বললাম, এক পেট হাওয়াই মেঠাই খেয়ে পেট ভরবার মত ফাঁকা ফাঁকা লাগে... মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মৌনকুহর এর ছবি

চলুক

একটা টাইম মেশিনের সন্ধান দিতে পারেন কেউ? মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

আশালতা এর ছবি

কমবেশি আমরা সবাইই বোধ হয় এক একটা টাইম মেশিম মগজে নিয়েই ঘুরি সব সময়। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এটা তো আমার বড়মামার বিয়ের ঘটনা। আপনি কী করে জানলেন? আমার বড়মামা পালকিতে করে বিয়ে করে বঊ নিয়ে এসেছিলেন, এই কথাটা বাদ গেছে। রঙ খেলার সময় ছোট মামা আর তার সাংগ পাংগ রা এমনভাবে আমাদের এক মামীর মুখ রাঙ্গিয়ে দিয়েছিল, যে তাঁকে চেনা যাচ্ছিল না। মামী অবশেষে মুরুব্বীদের কাছে নালিশ জানালেন। সুতরাং রঙ খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। মুরুবীদের কানে রঙ খেলার কথা তুলে দেবার জন্য মামীকে আবার হাতের নাগালে পেয়ে মামারা রং দিয়ে প্রতিশোধ নিল। আমরা ছোট ছিলাম বলে এসবের মধ্যে ছিলাম না। আমাদের কে কেউ রঙ দেয়ও নি।
বাড়ি ভর্তি ভাগ্নে ভাগ্নীদের জন্য ঐ সময়ই বড়মামা প্যাকেট ভর্তি ভোমড়া নিয়ে এসেছিলেন। সেসব কিছু মুহূর্ত এর কথা আগেই বলেছি।

আর আপনি তুতুন মানে রাতুলের কথাই বা জানলেন কী করে? অ্যাঁ
রাতুল আমার ক্লাস থ্রিতে পড়া এক ছোট্ট কাজিন।আরো অনেক দিন আগে, তখনও অক্ষরজ্ঞান হয় নি ওর। সে সময় অনেক উল্লাসের সাথে ও ওর মায়ের কাছে আবদার করেছিল, পাঁচটা বিয়ে করবে বলে। এমন কি বড় হলে আমাকেও নাকি বিয়ে করবে। ইদানিং অবশ্য বিয়ের ভুত মাথা থেকে নেমেছে। সম্প্রতি ও ঘোষণা দিয়েছে ও নাকি বিয়েই করবে না। যদি করতেই হয়, তবে একটা মাত্র বিয়ে করবে। কারণ দুষ্ট লোকেরা বেশি বেশি বিয়ে করে।

আশালতা এর ছবি

আরে বাহ, আজকাল আমার নামের অমানিশা কেটেছে দেখি। গরিবের ঘরে রাজকন্যার পদ্মপায়ের ছাপ পড়েছে !
আহা কি আনন্দ ! হাসি

আর সেই ভোমরার গল্প তো আমি কবেই পড়েছি। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপু, এইসব বললে কিন্তু আমি কোন কমেন্ট করব না! রেগে টং

আশালতা এর ছবি

গুস্তাখি মাফ রাজকন্যা ! খাইছে

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু এর ছবি

আহা, ছোটবেলায় কত মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে গ্রামে বিভিন্ন আত্মীয়ের বিয়েতে। গরুর গাড়ীতে চাপা, রঙ দেওয়া, যেখানে ইচ্ছে ঘুমানো। আপনার মামা ঘটনা আমার এক দূরসম্পর্কের মামার কথা মনে করিয়ে দিল, বেচারা বিয়ের সময় ইন্টার মিডিয়েট পাস ছিল না, কিন্তু বৌ পক্ষকে বলা হয়েছে সে পাস তো বটেই সামনে বছর বিএ পরীক্ষা দেবে। মামা ছিলেন অতিরিক্ত মাত্রায় সরল, তাই সবাই মিলে তাকে বোঝাল বাসররাতে অন্তত বউ-এর সাথে যেন এই ব্যাপারে কথা না বলে। ব্যস, এই জিনিস-ই ঘুরতে লাগল মাথার মধ্যে! সবাই আড়ি পেতে আছে বাসর ঘরে, মামার প্রথম কথা- ওগো শুনছ, আমি কিন্তু ইন্টার মিডিয়েট এখনো পাশ করি নাই!!!

আশালতা এর ছবি

ওগো শুনছ, আমি কিন্তু ইন্টার মিডিয়েট এখনো পাশ করি নাই!!!

হো হো হো

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার পোষ্টগুলো পড়ে সবসময় মনটা আনন্দে ভরে যায় ! হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আশালতা এর ছবি

অনেক বড় প্রশংসা দিয়ে দিলেন কবি। সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

একি? এটা তো আমার বড়মামার বিয়ের ঘটনা! আপনি কী করে জানলেন? অবশ্য আমার মামার বিয়েতে দুইটা পালকি আনা হয়েছিল। মামা পালকিতে করে গিয়েছিলেন। মামী এসেছিলেন আরেকটি পালকিতে চড়ে। সেই আমার পাল্কি প্রথম ও শেষবার দেখা।
রঙ খেলাখেলিও ছিল। এক মামীর মুখে আমার ছোটমামা আর তার সাংগ পাংগ ধরে এমন রঙ লাগিয়ে দিল যে তাকে চেনাই যাচ্ছিল না। আর সেটা নাকি আসল রং। কিছুতেই উঠানো যাচ্ছিল না। সেই মামী মুরুবীদের বিচার দেবার পরে, রঙ দেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল। মামারা কি আর সেসব মানে? ঐ মামীকে আবার ধরে রঙ লাগিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে নিল।
এই সময়টাতেই সব ভাগ্নে ভাগ্নির জন্য বড় মামা এক প্যাকেট ভোমড়া নিয়ে এসেছিলেন। কিছু মুহূর্ত চোখের সামনে আজো স্পষ্ট দেখতে পাই।

আর রাতুলের (বা তুতুনের) কথাই বা আপনি কী করে জানলেন?রাতুল আমার ক্লাস থ্রিতে পড়া এক ছোট্ট কাজিন। তখনও অক্ষরজ্ঞান হয় নি ওর।সে সময় অনেক উল্লাসের সাথে ও ওর মায়ের কাছে আবদার করেছিল, পাঁচটা বিয়ে করবে বলে। এমন কি বড় হলে আমাকেও নাকি বিয়ে করবে। ইদানিং অবশ্য বিয়ের ভুত মাথা থেকে নেমেছে। সম্প্রতি ও ঘোষণা দিয়েছে ও নাকি বিয়েই করবে না। যদি করতেই হয়, তবে একটা মাত্র বিয়ে করবে। কারণ দুষ্ট লোকেরা বেশি বেশি বিয়ে করে।

উচছলা এর ছবি

দুই বছর আগে নিজের বিয়ে উপলক্ষ্যে ঢাকার এক হাইফাই পার্লারে গেলাম। বল্লাম, "আমাকে হোয়াইট ওয়াশ করবেন না, প্লিজ। আমার ফর্শা হবার কোনো খায়েশ নাই। খোপাটা বেঁধে দিন, শাড়ি পরিয়ে দিন আর চোখে সোফিয়া লরেনের মতো টেনে কাজল দিয়ে দিন। আমি নিজে কাজল দিতে গেলে আমাকে পেত্নি পেত্নি লাগে"।

সাজ শেষে দেখি আয়নায় এক সাদা ভুত্নি দেখা যায়। মেকাপের ভারে কথা বলতে পারিনা। কোনো রকমে বল্লাম, "এ কি?!" মেকাপ আর্টিস্ট ম্যাডাম তার গম্ভির চেহারা আরও গম্ভির করে লাখটাকার উপদেশ দিলেন বিনা পয়সায়, "আপনি স্টেজে চুপচাপ বসে থাকবেন। হাসবেন না, কাঁদবেন না। মেকাপ নষ্ট হয়ে যাবে। ফটো ভাল আসবে না।"

কিসের মেকাপ কিসের কি! সন্ধ্যে ছয়টা থেকে রাত এগারটা পর্যন্ত সমানে সবাইকে হি হি করতে করতে গ্রিট করেছি, কুশলাদি জিগ্যেস করেছি, কাজিনদের শাথে ধুমায়ে মশ্করা করেছি। বিদায়ের সময় হাউহাউ করে কেঁদেছি। ফটো জাহান্নামে যাক।
আমার বিয়ের একেকটা ফটো যা তা। ধ্যাব্রানো মেকাপ। জনসম্মুখে প্রকাশের অযোগ্য। কিন্তু ঐদিনের স্মৃতিটা এক্কেবারে হাই ডেফিনেশন দেঁতো হাসি

সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আশালতা এর ছবি

খুব খুব সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য আপনাকেও বিরাট এক ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থাকুন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

guest_writer এর ছবি

আহা, দিলেনতো রাতের ঘুমের বারোটা বাজিয়ে। এমনিতেই অনিদ্রায় ভুগি। ওষুধ খেয়েও ঠিকমত ঘুম আসেনা। সারাটা রাত কতযে ছোট ছোট স্মৃতি মনের মধ্য উঁকিঝুঁকি মারবে তার ইয়ত্তা নেই। হ্যাঁ, তবে এটা ঠিক কোন কোন স্মৃতি মনে হলে একা একাই মুখটিপে হাসব। সেইসব আনন্দমাখা দিনগুলোয় ফিরে যাব। সচরাচরতো আর এমনটি ঘটেনা।

লেখাটার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব ভাল লেগেছে। নিরিবিলি পরে আবার তারিয়ে তারিয়ে চাখবো।

মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

আশালতা এর ছবি

এইরকম সব দারুন কমেন্ট করে আপনারা আমাকে ঋণী করে দেন। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রৌঢ়ভাবনা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

গৌতম এর ছবি

আসলেই, আমাদের ছোটবেলার বিয়েগুলো বেশ আনন্দের ছিল। আমি সম্ভবত সবচেয়ে অমজা করেছি আমার নিজের বিয়েতে। মন খারাপ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আশালতা এর ছবি

"আমি সম্ভবত সবচেয়ে অমজা করেছি আমার নিজের বিয়েতে" এই লাইনটা পড়ে আমার তো ভারী মজা লাগল। দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ত্রিনিত্রি এর ছবি

পড়ে অনেক মজা পেলাম! নানার দাঁড়িতে... হাহাহা। এররকম বিয়ে শেষ অ্যাটেন্ড করেছিলাম ক্লাস ফাইভে, মামার বিয়েতে। এখনকার সবই মেকি মেকি আর অবশ্যই মেকাপ।

আশালতা এর ছবি

ওইরকম হলদে পদার্থ দাড়িতে মাখালে লোকের যে কি অদ্ভুত রিএকশন হয় দেখেন নাই তো... হা হা হা হা হা... দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অরফিয়াস এর ছবি

হি হি হি !!!! করিনা কাপুর কে বিয়ে গড়াগড়ি দিয়া হাসি
এখনতো পারফেকশন এর যুগ, বিয়েটাই বা বাদ যাবে কেন???? তাই সবাই পারফেক্ট বর-বউ-অথিতি হতে চায় .. চোখ টিপি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আশালতা এর ছবি

পারফেক্ট ?! কে জানে ! আমার তো ভালো লাগে না ! মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মিলু এর ছবি

অতীব উপাদেয় পোস্ট। নিজে শহুরে জেনারেশন হওয়াতে এমন বিয়ে দেখার অভিজ্ঞতা প্রায় নেই। তবে বড়দের কাছে গল্প শুনেছি প্রচুর। অনেক কিছুই তাই চেনা চেনা লাগল। হাসি

আশালতা এর ছবি

বলেন কি দেখেন কি এরকম ? না দেখলে ওটার মেজাজ ঠিক বোঝা যাবে না তো। চান্স পেলেই শহরের বাইরে দিবেন হাঁটা। অনেক মজা নইলে অদেখাই থেকে যাবে। হাসি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ মিলু। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বন্দনা কবীর এর ছবি

কি মুশকিল !! এই লেখা চোখ গলে গেল কেমন করে?!!

বেশ কয়েকবার পেট দুলিয়ে হাসলাম। পড়ে টড়ে একদম কুট্টিকালে ফিরে গেলাম। দাদু বাড়ির এক বিয়েতে।
ওখানেও বিয়েতে প্রথম রঙ খেলা দেখেছিলাম, ওই শেষ। আপনার সব লেখাতেই স্মৃতীর গন্ধ। গপ্প ঠাকুরুনের' গল্পের মতই মজাদার। চমতকার!

আশালতা এর ছবি

গেলই নাহয় দু একটা গলে ! কিচ্ছু অসুবিধে নেই। আমিও খেয়াল করলাম আজকাল আমি আসলেই গপ্প ঠাকুরুন হয়েছি। এটা তো ভালো কথা নয়। কারণ একদিন গপ্পো ফুরোবে। তখন ? ভয়ের কথা তো ! মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

pathok (sam) এর ছবি

হো হো হো চলুক

আশালতা এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

কী চমৎকার বর্ননা। সব এখন মেকি হয়ে যাচ্ছে

আশালতা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

যান্ত্রিক যোদ্ধা এর ছবি

আমাদের দাদাবারির বিয়েতে কাদা মারামারি করা হয়। ভাল কথা তুতুনের পছন্দ ভাল।

আশালতা এর ছবি

ঐতিহ্য বজায় রয়েছে বলুন ! হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অরুপ নাহিয়ান এর ছবি

হাসি স্মৃতিময় লেখা.....কিন্ত বিয়ের সময় মেয়েদের কাদতেই হবে কেন?না কাদলে খুব ক্ষতি বৃদ্ধি হয় কি?????

আশালতা এর ছবি

বিয়ের সময় মেয়েদের কাঁদতেই হবে এমন কোন নিয়ম নেই আসলে। একটা মেয়ের জীবনে বিয়ে একটা টার্নিং পয়েন্ট। সেজন্যেই মেয়েরা ভয়ে ভাবনায় কেঁদে ফেলে। আর যুগ যুগ ধরে এই জিনিষ দেখে আসতে আসতে আমাদের মানসিকতাও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তবে এখন যুগ পালটাচ্ছে, নতুন যুগের মানুষেরা নতুন নিয়ম তৈরি করতেই পারেন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রুমঝুম ১ এর ছবি

আমি কিন্তু কাঁদিনি...... চোখ টিপি

আশালতা এর ছবি

শাবাস ! হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

দময়ন্তী এর ছবি

বা: খুব সুন্দর৷

আমার সব স্মৃতিগুলোতেই কিরকম কয়েকটা ধুলো কাঁকড়ের দানা, কালিঝুলি ঢুকে আছে৷ বিয়েবাড়ীর স্মৃতিও তার ব্যতিক্রম নয়৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আশালতা এর ছবি

আহা, সেতো আমারও। শুধু সবার সামনে আনার আগে ঝুল ঝেড়ে একটু মায়া ঝাড়ন বুলিয়ে বের করে আনি। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

রঙ খেলাখেলি এখনও বোধ'য় হয়, গ্রামে। কিংবা হয় না। আমার ভাইয়ের বিয়েতে তো দেখলাম না! বিয়ে বাড়ির কথা মনে হলেই আমার ডেকোরেটারের ভাজ করা কাঠের চেয়ারের কথা মনে পড়ে। খুব আনন্দের কোনো স্মৃতি থেকে না অবশ্য। যতোবারই বিয়ের দাওয়াত খেতে গেছি, ততোবারই ঐ জিনিসে জায়গামতো চিপা খেয়ে ফিরছি।

আপনার এই লেখাটা পড়ার পরে একটা রঙ ঘটনার কথা মনে পড়লো। আমার এক খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে। তার বৌভাতের দিন। কনে পক্ষের লোকেরা আসার পরে খালাত ভাইদের পাশের বাড়ির এক ছেলে দুই শাহাদাত পরিমান ইশমাটনেস দেখায়ে তাদেরকে রঙে রঙীন বানানোর ঈমানি দায়িত্ব হাতে নিলো। কিন্তু পরে অবস্থা এমন হইছে যে তার ঠ্যাঙ ধরে ঝুলিয়ে রঙের বালতি তার উপর ঢেলে দেওয়া হইছে। সে ক্যামনে ব্যাঁকা হয়ে সাহায্যের আবেদন করছিলো তার দলবলের কাছে, ঐটা মনে হতেই ফিচিক ফিচিক করে হেসে ফেলছি কয়েকবার। এখনও চোখে ভাসতেছে তার লাল রঙা চেহারা আর এখনও দাঁত বের হয়ে আছে আমার।

খাড়ান, রঙ খেলার একটা বন্দোবস্ত করতে হবে। সবাই তো নিজের বিয়ের অভিজ্ঞতার কথা বললোই। ঐখানে নিজে লুঙ্গি মালকোচা মেরে ভূমিকা নেওয়ার কথা কোবিরা বলেন নাই। নেহায়েতই পানশা বিয়েশাদীর গপ্পো! যদি কোনো অশুভ দিনে আমারে আমার স্বাধীনতা হারাতেই হয়, সবারে রঙে রঙীন করেই তারপরে সেটা করবো। যেই মাতারি আমার স্বাধীনতা হরণ করবে তারে তো বটেই, তার এদিক-ঐদিক ফোরটিন জেনারেশনরেও চুবায়া ছাড়ুম রঙে। পালকি থেকে নেমেই লুঙ্গি মালকোচা মেরে হুঙ্কার ছাড়বো, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, হালা-হুমুন্দি এবং তাদের ছাওয়ালেরা— বেবাকে স্বেচ্ছায় লাইন ধরে চুপচাপ খাড়ান, কেউ ঠেলাঠেলি করবেন না। খাজা বাবা ধুগো আপনাদের সবারই জীবন রাঙাবে! পাবলিক যাতে স্মরণ রাখে, করছিলো, ধুগো একবার শুভ বিবাহ করছিলো!

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

হো হো হো হো হো হো

কল্যাণF এর ছবি

বাঘের বাচ্চা ধুগোদা, আগাম নোটিশ চাই কিন্তুক।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আশালতা এর ছবি

ওই ভাঁজ করা চেয়ারের সাথে শত্রুতা তো দেখি সবারই। এই জিনিষের আরেকটা সভ্য সংস্করন কিন্তু এখনও আছে, সিনেমা হলে। কদিন আগে সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সেই চেয়ারে বসতে গিয়ে এক ট্রে ভর্তি খাবার দাবার কোকের গ্লাস নিয়ে একদম আগের মতই দড়াম করে পড়ে গেলাম ! তুতুন চোখ গোল করে তাকিয়ে বলে, তুমি এত বড় মেয়ে এখনও চেয়ারে বসতে শিখো নাই ?! ইয়ে, মানে...

দাঁতের পাটি বের করতে পেরেছে যেই লেখা সে তো সার্থক ! দেঁতো হাসি কিন্তু জনজীবন রাঙানোর সেই মহান দিনের গল্পই তো খালি শুনে যাচ্ছি কবে থেকে। আসবার কোন নিশানা তো দেখিনা ! সেই দিন এলে জানিয়ে রেখেন, আমাদের বাড়ির কিছু সেয়ানা প্লেয়ার পাঠিয়ে দেব নাহয়। তবে তারা রঙের সাথে অন্য কিছু মেশালে তার দায় আমার নয় কিন্তু ! হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অনিকেত এর ছবি

বরাবরের মতই দুর্দান্ত লেখা।
খুব ভাল লাগল

শুভেচ্ছা নিরন্তর

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত। আপনার সদয় মন্তব্য আমাকে অসীম প্রেরণা দেয়। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

বিয়ে নিয়ে ভাবছি

আশালতা এর ছবি

কার ? চিন্তিত

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

আমার বৌয়ের... চোখ টিপি

তিথীডোর এর ছবি

আমি শেষ বিয়েতে গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে, তাও বাজিতে হেরে গিয়ে.. বাধ্য হয়ে। চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আশালতা এর ছবি

শুধু নিজেরটায় যাবে বুঝি ? দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দারুণ মজার পোষ্ট। এটার কমেন্ট করতে গেলে কাহিনী বিরাট হয়ে যাবে। সংক্ষেপে বলি কেবল একটা শখের কথা। বাল্যকালে পালকিতে আর থানজানে চড়ে বিয়ে করার গল্প শুনতাম। মনে মনে ভাবতাম, দেখিস একদিন আমিও। মানে ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে পালকিতে চড়িয়ে বউ আনবো। কিন্তু বড় হবার পর দেখি সবাই পালকীর কথা ভুলে গেছে, আমিও লজ্জায় কিছু কইলাম না। হো হো হো

রংমারামারি আর কাদাছোড়াছুড়ির ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে আমারো। অনেকাংশে মিলে গেল। আহা কিরকম কুৎসিত ব্যাপারটাই না ছিল। ভাবতাম এই বেয়াদবী কালচারটা উঠে যায় না কেন। অসভ্য অভব্য লোকজন। গ্রামে যে কোন বিয়েতে গেলে ধোপধুরস্ত পোষাক বাদ দিয়ে জংলী হয়ে থাকতে হতো। এখন ব্যাপক মিস করতেছি সেই জংলি কালচার মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আশালতা এর ছবি

ইশশ, বিরাট কাহিনীটা বললেন না, মিস করলাম যে। গপ্প শুনতে আমি ভারী ভালবাসি।
আচ্ছা থানজান জিনিষটা কি ? আগে শুনি নাই।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কাহিনী কোন পোষ্টে চলে আসতেও পারে। থানজান হলো পালকীর পুরুষ সংস্করন। বৃটিশরা বলতো 'টনজন'। বউ পালকিতে চড়লে বর চড়তো থানজানে। গ্রামে বাচ্চা ছেলেদের খতনা করার পর মাইক বাজিয়ে থানজানে চড়ে ঘুরে বেড়ানো একটা দারুণ ব্যাপার ছিল। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দ্যা রিডার এর ছবি

একবার গ্রামের এক বিয়েতে গিয়ে আচ্ছামত রঙে চুবেছিলাম ... আহা সেই সব দিন বড়ই মজার ছিল । আজকাল কার বিয়ের অনুষ্ঠান গুলো যেন শুধুমাত্র বিয়ের খবর জানান দেবার জন্যই হয় , কোন মজা নাই মন খারাপ

আশালতা এর ছবি

সেইই তো। মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ফাহিম হাসান এর ছবি

১০০ মন্তব্য - পাঠকদের জাদুটোনা করলেন বুঝি? ম্যাঁও

আশালতা এর ছবি

আরে দূর, জাদু তো আমি করিনি, করেছে বোধহয় হিংসুটে নজরলাগানো লোকজন। তাই মোটে একশ কমেন্ট। মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

লাবন্যপ্রভা এর ছবি

আমি লাইফে একটা বিয়েতেই মজা করছি...সেইরকম মজা...প্রায় ৩০/৩৫ কাজিন...সারাদিন বড়রা কেউ কিচ্ছু বলার নাই... আমরা তো সারাদিন-সারারাত হই হি...আর দাদা-বৌদির বাসররাতে, বাউন্ডারী ওয়ালের উপর উঠে - নিচে দাঁড়িয়ে...শেষে কেউ একজন ভেন্টিলেটার দিয়ে লাদেন বোম দাদার ঘরে ফেলছিল ... সে কি চিল্লাচিল্লি ... রাস্তার নাইটগার্ড ভাবছে জানালায় চোর আসছে ... আরও কত কাহিনি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আশালতা এর ছবি

দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

_রিজভী এর ছবি

বেশ ভাল লাগলো পড়ে...ছোটবেলায় আমারও এরকম কিছু গ্রামের বিয়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে...তবে আপনার লেখা পড়ার আগ পর্যন্ত ওভাবে চিন্তা করে দেখিনি যে বিয়েটা আসলেই কমিউনিটি সেন্টারের খপ্পরে পড়ে কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে গেছে...লেখা শেয়ার করলাম...

-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

আশালতা এর ছবি

ব্লগে লেখার এই একটা চমৎকার দিক রিজভী, নিজের অনুভবকে অন্যদের সাথে শেয়ার করা যায়, অন্যদেরটা অনুভব করা যায়। কি দারুন না ? হাসি
পড়ার এবং শেয়ারের জন্য কৃতজ্ঞতা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

পাঠক এর ছবি

সেই রকম!

আশালতা এর ছবি

পাঠককে ধন্যবাদও সেই পরিমাণে। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

পাঠক এর ছবি

জোস!

আশালতা এর ছবি

এত্ত তারিফের জন্য আপনাকে লেখা -গুড়- হয়েছে দিলাম। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

পড়ুয়া এর ছবি

এখন বিয়েতে সবচেয়ে মিস করি বউ সাজানো।ছোটবেলায় দেখতাম কোন পক্ষ বউ সাজাবে তাই নিয়ে দুপক্ষের বড়দের মধ্যে বেশ চাপা উত্তেজনা মানে স্নায়ুযুদ্ধ চলতো।যে পক্ষ জিতে যেত তারা দেঁতো হাসি দিয়ে সেই মহাকর্ম শুরু করতো।হারু পার্টির কাজ ছিলো আড় চোখে দেখা আর মনে রাগ পুষে মুখে হাসি নিয়ে হাত চুলকানো। সুযোগ এলে একটুখানি ঠেস দিয়ে কথা বলা, ভুল ধরিয়ে দেয়া এইসব আর কি।
গেট ধরার সময় ক্যাচাল দেখে আমরা ভাবতাম এই বিয়ে বোধহয় আর হবে না। এখন সব কিছু বড় বেশী গোছানো।

আশালতা এর ছবি

একদম মনের কথাটা বলেছেন। এইসব বিউটি পার্লার এসে সব ভণ্ডুল করে দিল।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

দৃপ্ত এর ছবি

প্রথমবার আপনার লেখা পড়লাম; অসাধারণ।
বাকি লেখাগুলো খুঁজে বের করতে হবে এখন। মন খারাপ

আশালতা এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ দৃপ্ত। এইরকম করে তারিফ করলে তেড়েফুঁড়ে একগাদা লিখে ফেলতে ইচ্ছে করে। দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মর্ম এর ছবি

এই কালকের কথাই বলি, কলিগের বিয়ে খেয়ে এলাম! এবং আক্ষরিক অর্থেই 'খেয়ে এলাম'! দেড় ঘন্টা জ্যামে বসে কোনমতে পৌঁছা গেলো, পৌঁছেই সরাসরি খাবার টেবিলে, খাওয়া শেষে হাত ধুতে ধুতে বর-কনের সাথে ছবি তোলার তাড়া, ছবি তুলেই সদলবলে বিদায়! কী আর বলব, এর চেয়ে না যাওয়াই বোধ হয় ভাল!

আর আরেকটা অদ্ভূত ব্যাপার, আজকাল চেনাজানারা সব বিয়ে করছে শনিবার, সোমবার- ছুটিছাটা নামে একটা বস্তু না থাকলে যে এই দিনগুলোতে হাওয়ায় উড়ে নিজের মনমত যেখানে খুশি হাজির হওয়ার জো নেই এ কথা ওদের কে বোঝায়!? ইয়ে, মানে...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আশালতা এর ছবি

এইরকমভাবে বিয়ে 'খেয়ে' এসে মুখ ব্যাজার করেই না এই লেখাটা লিখতে বসেছিলাম। এইরকম সভ্য হওয়াটাই আমাদের জীবনের আল্টিমেট লক্ষ্য ছিল কিনা বুঝে পাইনা।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

shafi এর ছবি

আমি মোটে দুটো বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছি, ভাল লাগেনি। আমার ভীড় অসম্ভভ অস্বস্তিকর লাগে। বিরাট মজাও যে হ্য়েছিল তা ন্য়, একটা হাজার বিঘা ঘেরের (চিংড়ি চাষের জমি) মাঝে হটাৎ ৫ তলা বাড়িতে গ্রীষ্মের গরমে সিদ্ধ হ্য়েছি আর ইতি-উতি ঘোরাফেরা করেছি (আব্বু-আম্মু সাথে না থাকলে আমি খুব অসহায় বোধ করতাম)। আরেকটার ঘটনা আরও বিরক্তিকর, বাপে ছেলে (বর) কন্দল, ছেলের আব্বু প্রেমের বিয়ে মানবে না ইত্যাদি ইত্যাদি ফালতু ব্যাপার।

ম্হিষের গপ্পোটা ম্জার। আপ্নারা সবাই খুব ম্জা করতে পারেন। আমি দর্শক শ্রেণীর, মানুষ ম্জা করছে দেখলে আমারও ভাল লাগে।

অ,টঃ মডারেটর কেউ যদি পারেন অনুগ্রহ করে ম্যাকে বাংলা লেখার সহজ উপায় বলে দিন। আর কনো পোস্ট বেশী বড় হলে ফায়ারফক্স (সাফারিও) ক্রাশ করে (শুধু সচলেই এমনটি হ্য়)।

শাফি।

আশালতা এর ছবি

দেরী করে রিপ্লাই দেয়ার জন্যে দুঃখিত shafi

মজা করতে পারা আসলে এক ধরনের আর্টের মত। এর জন্যে জীবনকে সহজভাবে নিতে জানতে হয়। নইলে হয়না।

বাংলা লেখার নিয়ম কানুন নীড় পাতার উপরে 'বাংলা সমস্যা' শিরোনামে দেয়া আছে কিন্তু। দেখে নিতে পারেন। আমি টেকি কানা তাই আপনার সমস্যায় সাহায্য করতে পারছি না বলে দুঃখিত। আমি নিজে অভ্র ব্যাবহার করি। এতেই দিব্যি কাজ চলে যায় তো। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মেঘা এর ছবি

আমি তো জন্ম থেকেই ঢাকায়। এগুলো কোনদিন দেখিই নি। আম্মুর কাছে শুনেছি এরকম মজার মজার ঘটনা।

অনেক ভালো লাগলো পড়ে।

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ মেঘা। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আমি ১২৫ নং এ মন্তব্য করলাম।
আমাদের বাসায় মনে করতে পারিনা কোন বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা। সবাইই বড় আর পরের প্রজন্মে আমি সবার বড়। ছোট ভাইবোনগুলো হয়ত আমার বিয়ের অনুষ্ঠানের গল্পই লিখবে সামনে। মন খারাপ

আশালতা এর ছবি

বেশ হবে তো। সবাই গান গাইবে, আজ ব্যাঙের বিয়ে টোপর মাথায় দিয়েএএএ... একদম অন্যরকম হবে। মজা না ? দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।