'গাইলে তুমি ইচ্ছে করে…'

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: শনি, ১৭/০৯/২০১১ - ৫:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'গলায় আমার নেই যে কোন রেওয়াজ করার স্বভাব, এই অভাব আমার থাকবে চিরদিন..' ♪♫

আবাল্য প্রতিবেশি এক ভদ্রমহিলা ছিলেন ভীষণ সঙ্গীতপ্রেমী। যদিও সুরের সাধনায় তিনি যে আসুরিক শক্তিকে কাজে লাগাতেন তা শ্রোতাদের মর্মে গিয়ে বিঁধত অনেকটা হুলের মতো। কী সকাল, কী সন্ধে.. হারমোনিয়াম নামক একটি নিরীহ যন্ত্রকে গায়ের জোরে বাজিয়ে তিনি যেভাবে আর্তচিৎকার করতেন,সেটা সহ্য করে নেওয়া বড় একটা সহজ কর্ম ছিল না। আমার গান শেখার শখের সলিল সমাধি ঘটে যায় বোধহয় সেই বেদনা থেকেই।

সুর বুঝতে শেখার পর থেকে আমার প্রথম প্রিয় গান অন্তরা চৌধুরীর ‘বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে’। মুগলির থিম সং ‘জঙ্গলে ভোর হলো’ আর মীনার ‘আমি বাবা মায়ের শত আদরের মেয়ে’ পাড়াতুতো পিচ্চিপাচ্চা সঙ্গীদের সঙ্গে হরহামেশাই চেঁচিয়ে গাইতাম। আমি শুরু করতেই অবশ্য বাকিরা থামিয়ে দিত, কারণ রোগাপটকা হলেও আমার স্বরযন্ত্রের ক্ষমতা ছিল মাশাল্লাহ! খাইছে

গান শোনার বেলায় স্বাভাবিকভাবেই প্রভাবিত হয়েছি পরিবার-পরিজনদের কাছ থেকে। শৈশবকৈশোর কেটেছে নানুবাড়িতে, বড় ভাইবোন নেই.. ক্ষুদে আমি ছিলাম খালামামাদের চ্যালা। নানাভাই ছিলেন নজরুলসঙ্গীতের ভক্ত, মেডিকেল হোস্টেল থেকে ছুটিতে ফেরার সময় বড়মামা কিনতেন বন্যা আর কাদেরি কিবরিয়ার ক্যাসেট। ছোটমামার প্রিয় ব্যান্ড ছিল 'ডিফরেন্ট টাচ' আর খালাদের কবিতা পড়ার প্রহর কাটত সুমনা হককে ঘিরে। ‘মায়াবি এ রাতে’ ক্যাসেটের কভারে চুলে ফুল গোঁজা মায়াবতীটির মুখ মনে আছে এখনো..

রবিবুড়োর ভীষণ ভক্ত ছিলেন পাশের বাড়ির পপির বাবা। সকালে অফিসে যাবার আগে ৭.০০- ৮.০০, এক ঘন্টা রোজ নিয়ম করে তিনি গান শুনতেন। মৃদু আওয়াজ ভেসে আসত লাগোয়া জানালা ছুঁয়ে, মন ভাল হয়ে যেত। তাঁর জেষ্ঠ পুত্রটি অবশ্য ছিল রক এন রোল ঘরানার। দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে যখন আকাশ -বাতাস ফাটিয়ে অসহনীয় ভলিউমে সেসব গান বাজাতেন, অসহিষ্ণু মন্তব্যই ছুঁড়ে দিতেন পড়শিরা। একই কাহিনি হতো পেছনের বাসার খোকন মামাদের নিয়ে। তাঁরা আবার ছিলেন পাঁড় বলিউড ভক্ত।

পছন্দ যাই হোক, যেটাই হোক না কেন… নিজের তৃপ্তির জন্য আশেপাশের লোকজনকে ‘ত্যক্ত’ করে তোলার বদভ্যাসকে আমার কাছে সিভিক সেন্সের খামতি বলেই মনে হয়। এই যেমন, এখনকার গায়ে-হলুদের অনুষ্ঠানে ব্যান্ড ভাড়া করে এনে মধ্যরাত পর্যন্ত যে উৎপাত চালানো হয়.. কয়জন ভেবে দেখেন পাশের বাড়ির বাসিন্দাদের সুবিধে কিংবা অসুবিধের কথা? চিন্তিত

ইশকুলের ওপরের দিকে উঠতে উঠতে খালামামাদের বিয়ের পাট চুকে গেছে..সবাই গুছিয়ে বসেছেন যে যার সংসারে। এবার সখীদের কাছ থেকে গান শোনার এবং শেখার পালা।

মৌলি নাচের পাশাপাশি পাক্কা চার বছরের কোর্স সেরেছে শিল্পকলায়। তবে ঠিক আহামরি গলা ছিল না ওর । তার চাইতে অনেক বেশি মিষ্টি ছিল নিশির গলা, শিখত শিশু একাডেমিতে। গার্লস গাইডের অনুষ্ঠানগুলোতে বাঁধা গাইয়ে ছিল বুশরা, বছরখানেকের মাথায় বালিকাটি স্ব-পরিবারে অ্যামেরিকা চলে যায়। ভরাট সাধা গলায় ওর গাওয়া 'আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়..' কানে লেগে আছে এখনো।

হিন্দি গানের পূজারি তরী একবার জোর করেই শুনিয়েছিল ‘পিয়া বাসন্তী রে’ গানটা। মিউজিক ভিডিওটা দারুণ পছন্দ হয়েছিল, এখনো ইউটিউব ঘেঁটে দেখি মাঝেমাঝে। অফটাইমে গানের কলি খেলতে বসে সবচেয়ে মজা হতো অবশ্য রিমিকে নিয়ে। ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই’ এই গান সে শেষ করত ‘তুমি আর নেই সে তুমি’র সুরের সঙ্গে মিলিয়েমিশিয়ে। টোটাল খিচুড়ি যাকে বলে। হো হো হো

একদিন দুম করে চুরি হয়ে গেল মান্ধাতা আমলের ক্যাসেটপ্লেয়ারটা। দীর্ঘ অনশনের ফলে জুটল নিজস্ব একখানা সিডিপ্লেয়ার। ছোটমামা গিফট করলেন হেমন্তের এক সিডি, ২০টা গান থাকলেও আদতে বাজে কেবল একখানা--'আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা'। ধরে নেওয়া হলো ইহা আবহাওয়া অধিদপ্তরের বদলে ভুল করে আমার কব্জায় এসে পড়েছে। দেঁতো হাসি

কলেজসখী শাফিন পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল লোপামুদ্রা আর মৌসুমী ভৌমিকের সঙ্গে। ‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি..’— টানা নয় দিন বেজেছে আমার ঘর জুড়ে। পছন্দের গায়ক অর্ণবের ‘সে যে বসে আছে’ ছিল পয়লা ভাল লাগা গান। সুমন-অঞ্জন-নচিকেতার প্রায় সব গান মুখস্ত হয়ে আছে তারও অ-নেক অনেক আগে থেকেই। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ দেখতে গিয়ে বারী সিদ্দিকীর কন্ঠে ভাঙা ঘরে ভাঙা বেড়ার ফাঁকে জোছনা ছুঁতেও সাধ জেগেছে বেশ।

গান শোনার ক্ষেত্রে আমার ধরনটা যাচ্ছেতাই!(যা ইচ্ছে তাই) শিরোনামহীন, মেঘদল, সায়ান, হায়দার হোসেন, সানী জুবায়ের, দলছুট, আনুশেহ আনাদিল, ফসিলস, মাহমুদজ্জামান বাবু, কৃষ্ণকলি, রূপঙ্কর, ভূমির কিছু গান বেজায় প্রিয়। নজরুল সঙ্গীতের বেলায় (বিশেষ করে) লীনা তাপসী খান, সরাসরি শোনা খায়রুল আনাম শাকিলের গাওয়া 'পদ্মার ঢেউরে…', নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী, শিলাজিত, রেঁনেসা, সোলস কিংবা কেবল-ই পার্থ বড়ুয়া, সামিনা চৌধুরি এবং ফাহমিদা নবী, শুভমিতা, অকালপ্রয়াত আবিদ, প্রীতম অথবা মাহাদির সুনীলবরুণা, মহীনের ঘোড়াগুলি কিংবা ভয়াবহ প্রিয় গায়ক শ্রীকান্তের ভাল লাগা গানগুলো একনাগাড়ে অসংখ্যবার শুনি, যতক্ষণ পর্যন্ত না আগাগোড়া মুখস্ত হচ্ছে। এরপর বকাসুরের মতো চেঁচাই, মানে গাই। কখন কোনটা গুনগুনাইবো, অনলাইনে থাকলে সেটা অবশ্য ব্যক্তিবিশেষের ওপরও খানিকটা নির্ভর করে। যেমন খালিদ ভাই মানে খাইছে পেটুকন্দনীয় মনে করান মজারু সেই 'খাওয়ার গান'।

আর সিনিয়র পেমিকা সুলতানা পারভীন শিমুল? মহিলা সাংবাদিক নন বটে তবে সত্যিই সাংঘাতিক!
মাঝে কদিন ডুব দিয়েছিলাম। উঁহু, সুইমিংপুলে নয়.. অফলাইনে। হকিকত শুধাইতে এক দুপুরে আফা ফুনাইলেন। কথার পাট চুকিয়েই সঙ্গে সঙ্গে মাথায় ঢুকে গেল বডিগার্ড মুভির ‘তেরি মেরি, মেরি তেরি.. প্রেম কাহানি হ্যায় মুশকিল’! কস্কি মমিন! কী তামাশা!

মুগ্দ্ধ হয়েছি সহসচল স্পর্শ, সুরঞ্জনা হক, রাহিন হায়দার এবং আনন্দী কল্যাণের গান শুনে। অনিকেতদার গানের তো আমি একনিষ্ঠ ভক্ত, সে আর নুতন করে বলার কী আছে? এখন মনখারাপের মেঘের গায়ে শব্দসুরে আঁকা একলা গল্পছবি সবই যদিও যন্ত্রণারই, তবু গানের মানুষদের বড্ড ঈর্ষা হয় আজকাল…

'একেকটা সময় আসে, যখন কারো কারো কাছে নতজানু হওয়া যায় অসঙ্কোচে…..
সে মানুষ হোক, বৃক্ষ হোক, কী পাথর!
একেকটা সময় আসে, যখন নতজানু হতে হয় অসঙ্কোচে।
তখন কোন মানুষ নয়, বৃক্ষ নয়, পাথরও নয়
শুধু এক কণা বৃষ্টি, বৃষ্টির জন্য সুগন্ধ কস্তুরির কাছে দয়াপ্রার্থী আমি--
হাঁটুমুড়ে যুক্ত করকমলে বসে আছি বৃষ্টির জন্য, অথচ বৃষ্টি বহুদিন থেকে পলাতক
......'

গত হপ্তাখানেক ধরে মগজের প্রতিটা কোষে নিয়ে ঘুরেছি খুব পরিচিত একটা সুর। নাহ, পুরো গান নয়, শুধু প্রথম লাইন। ঘুমুতে যাই, ঘুম থেকে উঠি.. একটানা অসহনীয় হাহাকারের মতো লাইনটা ঝনঝন করে মাথার ভেতরে বাজতে থাকে। কাঠফাটা রোদে রিকশা না পেয়ে মেজাজ খারাপ করে হনহনিয়ে হাঁটছি হয়তো…তখনো একটানা বাজছে ওই লাইনটাই.. মফস্বলে দুদিনের টুকুন সফর শেষে বাসে চেপে ফিরছি যখন, ঝুম বৃষ্টিতে আবছায়া জানালার কাঁচ...আর বেতাল কানে গোঁজা পলকা হেডফোনে সেই একই গানের তাল--
'Rain Drops keep falling on my head………'


মন্তব্য

বন্দনা কবীর এর ছবি

হাসি :) আজকে আমি ফাস্ট

তিথীডোর এর ছবি

হাততালি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

পাঠক [ বিষণ্ণ বাউন্ডুলে ] এর ছবি

পছন্দের গান নিয়ে লেখার মুরোদ বা সাহস কোনটাই হয়নি এখনো।তোমার লেখার অনেক টুকুই বেশ চেনা ঠেকল যদিও।

লেখা ভাল্লাগছে কিন্তু আরো বিস্তারিত লেখা উচিত ছিল। লেখাটাই যেইমাত্র জমিয়ে বসলাম, অমনি শেষ!

অনিকেত দা'কে খুঁজে বের করা দরকার, অনেকদিন চুপ মেরে আছে।

আমার মাথায় এখন ভর করে আছে অনুপম রায়ের 'একবার বল..'।

ভাল থাইকো,আপুনি.. হাসি

তিথীডোর এর ছবি

গান নিয়ে লিখতে সময় -সাহস দুটোই লাগে। আমায় ঘাটতি দ্বিতীয়টায়। মন খারাপ

ধন্যবাদ অনেক! আর এটা তোমার জন্য--- জোছনা করেছে আড়ি...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তানিম এহসান এর ছবি

শুরুতেই ”মন আমার” আর শিরোনামে ‘গানওলা’ - এই দুটো গান আমার ভয়াবহ প্রিয়, বিশেষ করে ”মন আমার”! আর ইউটিউব লিংক ধরে গানটা যখন বাজছে তখন জানলার আধবোজা পর্দার পাশে, পাশের একচিলতে বারান্দায় ঘনায়মান আধাঁরের সাথে বৃষ্টি ঝরে যাচ্ছে অবিরাম শব্দ তুলে!

কবিতার বিষন্ন গল্প লেখিকার জন্য বৃষ্টিস্নাত শুভেচ্ছা হাসি

তিথীডোর এর ছবি

বিনীত ধন্যবাদ তানিম। হাসি
'আকাশে ছড়ানো....'-- এটা আমার বেশ প্রিয় একটা গান।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রেশনুভা এর ছবি

আমার স্মৃতি রোমন্থন করার অনুষঙ্গ হল গান। অনেকদিন পরে কোন পরিচিত গান শুনলে সাথে সাথে ঐ সময়টায় ফিরে যাই। ফিরে যাওয়ার অবশ্য সুফল-কুফল উভয়ই বর্তমান।

তিথীডোর এর ছবি

ভাইডি, আপনি মন্তব্য কর্সেন! হাততালি
এই গানটা শোনো তাহলে--'আদরের নৌকো....'

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আশালতা এর ছবি

বডিগার্ড সিনেমার 'আই লাভ ইউ' আর ব্রাদার কি দুলহান এর 'ইশক রিস্ক' এদুটো হিন্দি গান গত এক সপ্তা ধরে বেতাল ভূতের মত মগজে চেপে আছে । মাথা থেকে গান নামাবার কোন উপায় কি আছে ? মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় দুনিয়া আবছা হয়ে যাচ্ছে অথচ তার মাঝে মগজে বাজছে 'আচ্ছা হোতা হ্যায় হোতা হ্যায় ইয়ে বুরা'! অসহ্য অবস্থা।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তিথীডোর এর ছবি

তোমার জন্য একটা জটিল গান রইল আপুনি-- সখি ভাবনা কাহারে বলে...?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বোন,
আজ আর স্মৃতিচারণ না করে পারছি না।

আমার গাওয়া প্রথম গান, 'ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ', কোন এক ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীতে, মসজিদে আয়োজিত প্রতিযোগিতায়। বলাই বাহুল্য আমার মা এর একমাত্র বিমুগ্ধ স্ত্রোতা, বাকি সবারই কানে আঙুল।

পূর্ব পরিচিত কনেকে চোখ টিপি দেখতে গিয়েছি। কনে গান শোনাবেনই। কি আর করা। কনের বাবাও দেখি সোৎসাহে হারমোনিয়াম এগিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে শুনি। হারমোনিয়ামের রীডে অনেকক্ষণ চম্পককলির মত অঙ্গুলি সঞ্চালনের পর কণ্ঠ চিরে বেরিয়ে আসে...

মনে হয় বাবা যেন বলছে আমায়...

কনের মুখ ফেলে বাবার সুখ দেখি। নিয়তির অমোঘ ফেরে সেই স্বকণ্ঠধন্য কনে এখন সহধর্মিনী। যখন মন খুব ফুরফুরে থাকে, তখন সুযোগ পেলেই পিঠে বালিশ বেঁধে ফোড়ন কেটে বলি, "গিন্নী, গানটা গাও না"। গানটা, কারণ ওই একটি গানই যে তিনি গাইতে পারেন।

কোন এক চক্ষু চিকিৎসকের চিকিৎসায় উপশম লাভ করে রোগী তাঁকে বিশাল আকারের চোখের ছবি উপহার দিলেন। চিকিৎসক যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন, আপনমনেই বলে উঠলেন, 'গড ফরবিড, আই অ্যাম নট আ গাইনোকলজিষ্ট!'

এই সামলে! হাসবেন না বলে দিচ্ছি! হাসলে খবর আছে! আমার গিন্নী কিন্তু একজন খ্যাতনামা গাইনোকলজিষ্ট! চোখ টিপি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তিথীডোর এর ছবি

মন্তব্য পড়ে মজা পেলাম খুব। হাসি
এই লিঙ্কটা আপনার জন্য ভাইয়া-- 'জীবন যখন শুকায়ে যায়...'

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দেবানন্দ ভূমিপুত্র এর ছবি

পড়লাম। অনেক মজা করে লিখতে পারেন আপনি। শুরুটাই চমৎকার! গানের সুবাদে অনেকগুলো চরিত্র এসে পড়েছে। স্মৃতি হাতড়ে অনেক কিছু তুলে এনেছেন। একটা কথা বলতে চাই। চরিত্র কমিয়ে বরং কোন একটার আরও গভীরে ঢোকা যেতো না? স্মৃতিকেই কাজে লাগাতেন? বাকিটা আর বলি কীভাবে? লেখার একশোভাগ স্বাধীনতা আপনার। শুভকামনা অবিরাম।

তিথীডোর এর ছবি

চরিত্র কমিয়ে বরং কোন একটার আরও গভীরে ঢোকা যেতো না?

হুমম, মনে রাখব কথাটা।

মনোযোগি মন্তব্যকারীকে নিরতিশয় কৃতজ্ঞতা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জ.ই মানিক এর ছবি

সুরেলা লেখা।
ভালো বলেছেন; গায়ে হলুদসহ নানান উপলক্ষ্যে ডিজে পার্টিটা এখন উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের গানগুলো যেনো গান নয়; সব ডাবল ব্যারেল শর্টগান।

তিথীডোর এর ছবি

গানগুলো যেনো গান নয়; সব ডাবল ব্যারেল শর্টগান।

হো হো হো

কৃতজ্ঞতা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দময়ন্তী এর ছবি

চলুক

আহা ভীস্মলোচনার গান আরেকটু সহানুভুতি নিয়ে শুনলেই হোত৷ দেঁতো হাসি
আমার মাথায় কদিন ধরে ঢুকে আছে /'নাই নাই নাই যে বাকী সময় আমার'৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দমুদি। দেঁতো হাসি
মন : চন্দ্রবিন্দু --ভীষণণণণণ পছন্দের এই গানটা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

sumima yasmin এর ছবি

গান ছাড়া আর কী আছে জীবনে!

সুমিমা ইয়াসমিন

তিথীডোর এর ছবি

আর কবিতা আছে। হাসি

তুমি লেখো না কেন আপু? চিন্তিত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

sumima yasmin এর ছবি

একটি প্রহর জন্ম দিল কবিতার
আর কবিতায় জন্ম নিল সহস্র প্রহর

সুমিমা ইয়াসমিন

তিথীডোর এর ছবি

'তুনি যে আমার কবিতা...' হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তিথীডোর এর ছবি

হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীরব পাঠক এর ছবি

কোলাকুলি অনেক দিন পরে দেঁতো হাসি

পছন্দের অনেক গুলো গানের কথা মনে হয়ে গেল একসাথে ...ক'দিন ধরে চলছে 'রবীনের' (আমার ক্লাসমেট সে সব হাফ বলতে পছন্দ করে...এটা তার স্টাইল...রবীন্দ্রনাথকে আদর করে রবীন !) ..."তুমি রবে নীরবে"..."শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা"...

তিথীডোর এর ছবি

আবজাব লেখালেখির ভূত ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম, লাভ হলো না। ইয়ে, মানে...

রবিবুড়োকে ছাড়া আমার একদিনও চলে না। সকাল থেকে এটা শুনছি-- 'অমল ধবল পালে....'

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

যাহ্‌, আপনের লেখা পড়তে পড়তে যে আমার গানেরা পাখা মেলা শুরু করেছে নিউরনে নিউরনে ! লেখা -গুড়- হয়েছে

তিথীডোর এর ছবি

কবিদের ডরাই বটে, তবে গায়কদের আমি বেজায় ভালু পাই। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

এইডা কি কোনো ইঙ্গিত আছিল? কর্মখালির বিজ্ঞাপন? চোখ টিপি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সারা দিন গোনাগুনতি নিয়া হুদাই ব্যস্ত থাকলে "কর্মখালি'র বিজ্ঞাপন" অ্যান্টেনার বাইরে দিয়ে চলে যাবে। পরে আফসোস করে লাভ (উভয়ার্থে) হবে না। এরচেয়ে ঘর থেকে বের হন। পার্কে-লেকের পাশে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। দু'এক কলি গান গুনগুন করে গান - দেখবেন সব ফক্‌ফকা হয়ে যাবে। আমি এমনিতেই আপনাকে নিয়ে চিন্তিত থাকি। এখন দেখছি আমার ভাবনা অমূলক নয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি

এমনি চিন্তিত হবেন না। গঠনমূলক ভাবে চিন্তিত হন। অর্থাৎ কিছু গঠন করার চেষ্টা দ্যাখেন... খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

কর্মখালি? আপাতত নহে। চাল্লু
এখন আমি কেবল 'সত্যেন রায়'কে ভালু পাই। অবশ্য ফুটুরির কথা কৈতারিনা। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

বাচ্চারা যেমন একটা খেলনার জন্য পরিত্রাহি বায়না করে, আবার পাঁচ মিনিট পরই সেটা ছুঁড়ে ফেলে দেয়, এই খুকিরও দেখি সেইরকম ব্যাপার - এই বলে, গাতক চাই, তারপর বলে, না, ফোটক চাই... হয়ত এরপর বলে বসবে, মোদক চাই... সেটারও তো অভাব নেই এখানে... খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

লইজ্জা লাগে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

এই পোস্টটা ভালো। ভেবেছিলাম তিথীকে একটা উপাধি দিতে হবে, 'হুদাই উদাস'। কিন্তু এইটা ওসব বাহানাবিযুক্ত। তাই আপাতত বাদ্দিলাম। খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

হুদাই উদাস

, এহহহ...তিথীর মতো 'নক্ষী' মেয়ে কয়টা আছে দুইন্যায়? খাইছে

মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

আরেক্টা কথা... সেদিন দেখলুম চরমউদাস পোস্টে পছন্দনীয়কে খোঁচাইছে, আজকে এইটায়... বিমলানন্দ পাইতেছি খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

খোঁচালাম কোথায়?
পেটুকন্দনীয় : কত সুন্দর একটা টাইটেল দিলাম ভাইজানকে... সেটা চোখে পড়লো না? দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিকেত এর ছবি

খুব ভালো লাগল তোর গানালোচনা।
সহ-সচল ইশতিয়াক রউফ মাঝে-সাঝে লিখত তার গান-নির্ভর স্মৃতিকথা 'গানবন্দী জীবন'।
তোর লেখাটা পড়ে সেই লেখাগুলোর কথা মনে পড়ে গেল।

অনেক অনেক ভাল থাক, অনেক অনেক ভাল গান শোনা হোক।
শুভেচ্ছা অহর্নিশ---

তিথীডোর এর ছবি

'গানবন্দী জীবন' ছিল অসাধারণ একটা সিরিজ!

কিন্তু শুকনো শুভেচ্ছায় চলবেক নাই। নয়া গান+ পোস্ট চাই, দেতে হপে। শয়তানী হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক এর ছবি

মন্তব্য করলে একটা গান উৎসর্গ করা হবে? এই লোভ সামলানো গেল না।
লেখায় চলুক

তিথীডোর এর ছবি

হাঃহাঃ, ভাল বলেছেন।
এটা শুনে দেখতে পারেন-- পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধুলো... ঘাসের অভাব পরোয়া করে না সবুজ বাচ্চাগুলো

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
মগেম্বও খুশ হুয়ে..... দেঁতো হাসি

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

আল্লার দুইন্নাত এমন কোন গান নাই যেটা আমার বন্ধু রাসেল জানে না। ওর গান গাওয়ার আগে আমি ঘোষনা দিতাম- এখন গান গাইবেন আমাদের লাসেল বাই। আমাদের মধ্যে সবচে বেশি গাঞ্জা নেন যিনি।

আপনাকে ধন্যবাদ...

তিথীডোর এর ছবি

গানের সঙ্গে গাঁজা! ক্যাম্নে কী! অ্যাঁ

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকেও... হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

গান জানেন, গাঞ্জানেন...

কল্যাণF এর ছবি

খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

চিন্তিত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কল্যাণF এর ছবি

নো চিন্তা ডু ফুর্তি, পড়ে অনেক মজা পাইসি

তিথীডোর এর ছবি

হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রুমঝুম ১ এর ছবি

গান শোনার গল্প তো হল।।কিন্তু প্রথমদিকে গান গাওয়ার গল্পের একটু আভাস পাওয়া যাচ্ছিল যেন?? সেই গল্পটা শোনার জন্য পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

স্মৃতির পাতায় নিয়ে গেল এই পোস্ট।

তিথীডোর এর ছবি

আমার গান গাওয়ার গল্পগুলো ভয়ঙ্কর! এককথায় প্রকাশ করলে হবে এরকম-- ছেড়ে দে মা, ওঁয়া ওঁয়া বাঁচি। মন খারাপ
জুনিয়র স্কাউটদের যেমন কাব বলা হয়, পুঁচকে গাইডদের (বিলো ক্লাস সিক্স পর্যন্ত) বলা হতো হলদে পাখি। একটা মজার গান থিম সং হিসেবে গাইতে হতো আমাদের--
'মোরা হলদে পাখি এই মোদের পণ... খেলায়, সেবায় করি প্রানপণ...
মোরা হলদে পাখি।' খাইছে

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রুমঝুম ১ এর ছবি

..."মোরা টিয়া মস্ত বীর...কঠিন কাজে নয় অধীর"............

তিথীডোর এর ছবি

হো হো হো

আমি ছিলাম বুলবুলিতে... হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আরে এই পোষ্টে কমেন্ট লিখছিলাম বোধহয় কালকে, গেল কই? ইয়ে, মানে...

তিথির পোষ্টটা যথারীতি স্মৃতিময় হয়েছে। পেছনে টেনে নিয়ে গেছে অনেকদূর। মগজ থেকে ডিলিট হওয়া অনেক স্মৃতিময় গান এসে বাজতে শুরু করেছে। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তিথীডোর এর ছবি

স্মৃতিময় গান-- 'মায়াবি এ রাতে...'

ধন্যবাদ রইলো ভাইয়া। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

বেশ কয়েকদিন বিরতির পরে সচল "রি-ক্যাপ" শুরু করেছি। এই পোস্টটা নজরে আসল।

চমৎকার হয়েছে লেখাটা। স্মৃতিময় এবং উইটি। খুব সুন্দর।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

গতকল্য এক সহপাঠিনী আচমকা ক্যাঁক করে চেপে ধরল— আচ্ছা, তুমি কি সচলায়তনে লেখো? আমি ঢোঁক গিললাম। তু-তুমি জানলে কী করে? আরে, তিথীডোর.. নিকটা দেখেই একটু সন্দেহ হয়েছিল। এরপর সবগুলো লেখা পড়ে বুঝলাম। কথোপকথন নামে একটা ব্যক্তিগত ব্লগ আছে তোমার, না? কী আজব মেয়ে, বলোনি তো কখনো…
আমি তথৈবচ! ঘরে-বাইরে ধরা খেতে খেতে ‘ধড়িবাজ’ হয়ে গেলুম! মন খারাপ

থ্যাঙ্কু ভাইয়া। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি গানের ব্যাপারে ছোট থেকেই 'বিশেষজ্ঞ' (অর্থ বুঝে নিতে হবে!) ... আর আমার স্মৃতিশক্তিও সিরাম! কাজেই আমাকে দলে নিয়ে কেউ কখনো গানের কলি খেলায় জিতেছে এই নজির নাই, আমিও এই খেলার হাত থেকে পারতপক্ষে পালায় বাঁচি! ইয়ে, মানে...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তিথীডোর এর ছবি

কোন খেলাতেই কখনো সুবিধা করতে পারিনি। আমি আজন্ম হারু পার্টি! মন খারাপ
একটা লাইন সেদিন বেশ পছন্দ হল পড়ে--
'যদি না-জিততে পারো তো জিতো না, কিন্তু তুমি হেরেও যেয়ো না তা বলে…..'

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মর্ম এর ছবি

পছন্দ যে কত সুরে বাঁধা! এখনো বুঝে উঠতে পারি না, কলেজে পড়ি যখন তখন 'হীরক রাজার দেশের' এক একটা গানে কী অমন মধু পেয়েছিলাম! 'পায়ে পড়ি বাঘ মামা, 'না না না আর বিলম্ব নয়', 'নহি যন্ত্র নহি যন্ত্র', 'আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে', 'আহা কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়'- বাসার সবার কানের পোকা নাড়িয়ে দিতাম একেবারে!

একদম বাচ্চাকালে একটা গান শুনতাম, পরে আর পাইনি- "অই অজগর আসছে তেড়ে, আমটি আমি খাব পেড়ে"-'নাতিখাতি বেলা গেলো শুতি পারলাম না-- আরেকটা গান- শুনতাম নওরীনের গলায়।

অন্তরার'র প্রত্যেকটা গান- সুযোগ পেলে এখনো শুনি- আর আম্মু বলে বছরদুয়েকের ছিলাম যখন তখন থেকেই 'বন্যা'-র ক্যাসেট হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম- আর 'ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে' না কি ছিলো সবচেয়ে পছন্দের। এটা মনে নাই, কিন্তু 'কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা' যে খুবই পছন্দের ছিল এতা শতকরা একশত ভাগ নিশ্চিত। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তিথীডোর এর ছবি

নওরীনকে নিয়মিত শোনা হতো বিটিভিতে, ছোটদের ম্যাগাজিন শো সোরগোলে...
বন্যা প্রিয় ছিলেন ভীষণ, তবে পরবর্তীতে তাঁকে ছাপিয়ে ওঠেন মিতা হক।

এই মুহূর্তে শুনছি পাখি উড়ে যায়... : মৌসুমি ভৌমিকের গাওয়া... হাসি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি

স্বপ্ন দেখবো বলে...

২০০১? নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়।

স্বপ্ন কোনোদিন পাখি হয়নি, কিন্তু গোধূলি বেলায় এ গানটা শুনতে শুনতে উপন্যাসের পাতার পর পাতা। মাঝে মধ্যে এক একটা বড়ো একা লাগে.. অথবা ছাদে ঘুড়ির আনন্দ.. আহা!

'

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

তিথীডোর এর ছবি

'সারাক্ষণ হাতে চাই গানের বাকশো, যেতে যেতে গান গাবো তাই…' হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অপছন্দনীয় এর ছবি

পেটুকন্দনীয়, অ্যাঁ?

তিথীডোর এর ছবি

দেঁতো হাসি খাইছে দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আরে, এইটা তো পুরো আমারই কথা মনে হচ্ছে!!!

তিথীডোর এর ছবি

তাই? হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি

মিথ্যে কথায় হারিয়ে যাওয়া ব্যর্থ এ বাজারে
অর্থ নিয়ে এলো তোমার গান...

শুরুতেই অঞ্জন.. ১৯৯৩/৯৪ ছিলো তখন। আমার পুরোনো টেপরেকর্ডার। সুমনে বিভোর। এলো অঞ্জন, শুনতে কি চাও তুমি?

আর বাকী সব বলা হয়ে গেলো আপনার লেখা শব্দে শব্দে...
গত ক'বছর ধরে যোগ হয়েছে ইলেকট্রো আর হাউজ মিউজিক, ট্রেনের বাকিসব ঢেকে দিতে সরোব কোলাহল।

আমার শুধু ছিলো আছে গান শোনাটাই সম্বল
থাকবে...

'

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

তিথীডোর এর ছবি

'গানের কোন প্রস্তুতি নেই, নেই যে শেকড়বাকড়... মালকোষ কী পিলুভৈরবী..
গলায় আমার নেই যে কোন রেওয়াজ করার স্বভাব, এই অভাব আমার থাকবে চিরদিন!
আমার শুধু ছিল আছে কাঠখোট্টা বাস্তবটা, দিবা রাত্রি আপোষ আর আপোষ...' মন খারাপ

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।