ব্রায়ান অ্যাডামসের কনসার্টে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৯/২০১১ - ৩:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে সবে পা দিয়েছি। যুগের হাওয়া আর ডিশ এন্টেনার কল্যাণে ইংরেজি গানের জগতে আমাদের ভীরু পায়ে অনুপ্রবেশ, শিক্ষক আর অভিভাবকদের রক্তচক্ষু এড়িয়ে সেই তীব্র আকর্ষণময় জগতে সময়ক্ষেপণ বেড়ে চলত সর্বদাই। বন্ধুদের আড্ডায় মাইকেল জ্যাকসন, ফিল কলিন্স, জন বনজোভি, রিচার্ড মার্ক্স, বব মার্লে, জন ডেনভার, জর্জ মাইকেল, লিওনেল রিচি, ব্রায়ান অ্যাডামস, বিটলসদের নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টার আড্ডা, বেসুরো গলায় তাদের অনুকরণের ব্যর্থ চেষ্টা, নিজ নিজ প্রিয় গায়ক নিয়ে মন কষাকষি, এমনকি হাতাহাতি পর্যন্তও গড়াত তা মাঝে মাঝে। এর মাঝে রোমিওর দল প্রেমপত্রের ফাঁকে ফাঁকে দুয়েকটি গানের কলি টুকলিফাই করে চালিয়ে দিত নিজের নামে। ফ্যাশন সচেতনদের চুল আর জিন্সের স্টাইল দেখলেই বোঝা যেত এরা রক অ্যান্ড রোলের ভক্ত। আর একটু বড় হতেই গানস অ্যান্ড রোজেস, মেটালিকা, পিঙ্ক ফ্লয়েড, ইউ টু, জিম মরিসন, জিমি হেনরিক্স, স্করপিয়ন, বব ডিলানরা Knocking on the Heavens Door- এর মাধ্যমে সজোরে ঢুকে পড়েছেন আমাদের জীবনে, মননে, শ্বয়নে, স্বপনে। অবচেতন মনে মাদকের নেশার মতই জীবনে আলো-আঁধারে ঢাকা রহস্যময় গলিঘুপচিগুলোতে তাদের সৃষ্টিশীল সংগীত সর্বদাই আমাদের সঙ্গী, চলার পথের পাথেয়। চারিদিক থেকে ঘনিয়ে আসা হতাশার গাঢ় কুয়াশার মাঝেও ক্ষীণ আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে, নতুন দিনের স্বপ্ন দেখায় মেটালিকার Nothing Else Matters, চারপাশের বিষণ্ণ পরিবেশের প্রতি আমরা ক্ষোভ উদগীরণ করি পিঙ্ক ফ্লয়েডের The Wall গেয়ে, বন্ধু বা ভালাবাসা বিচ্ছেদের নিবিড় কষ্টে আমরা ঠাই নিয়েছি গানস অ্যান্ড রোজেসের November Rain-এ, নিজেদের জীবনে বড়দের অন্যায় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ ছিল বন জোভির Its My Life। আজো দেশে ফেরার সময় জন ডেনভারের Country Roads থাকে ঠোঁটের আগায়, ঠিক তেমনি পুরনো বন্ধুরা এক হলেই ব্রায়ান অ্যাডামসের Summer of 69 একসাথে শোনার ও বেসুরো গলায় গাওয়ার জন্য মন-প্রাণ আইঢাই করতে থাকে।
কাজেই ইংরেজি ভাষার প্রিয় গায়ক কে জানতে চাইলে একজনের নাম বলা প্রিয় কবির নামের মতই কঠিন, এর চেয়ে কয়েকজনের নাম বলা অনেক সহজ। তারপরও কৈশোরের সেই সোনালী দিনগুলো থেকেই কানাডার রক গায়ক ব্রায়ান অ্যাডামস তার ব্যতিক্রমী কন্ঠ, ভিন্ন গায়কী, স্পর্শকাতর অনুভূতিগুলো নিয়ে অসম্ভব রোমান্টিক সব গান আর চমৎকার গিটার বাদনের মাধ্যমে আমাদের মনের মুকুরে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছে। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি সমগ্র পৃথিবীর রোমান্টিক গানগুলোর একটি ক্ষুদে তালিকা করলেও ব্রায়ানের Please, Forgive Me সেই তালিকার প্রথম দিকে থাকবে।
তাই এক সামারে যখন শুনলাম ব্রায়ান হেলসিংকিতে আসছে কনসার্ট করতে প্রথম কাজটাই ছিল যেমন করেই হোক একবারে মঞ্চের সামনে ভাগের টিকিট কেনা, যদিও আমার মত হতদরিদ্র ছাত্রের পক্ষে সেই টিকিটের দাম বেশ খানিকটা চড়া বৈকি, তারপরও স্কুলজীবনের স্বপ্ন ব্রায়ান অ্যাডামসের গান সরাসরি তার সামনে দাড়িয়ে শুনব সেই স্বপ্নপূরণের পথে অন্তত অর্থ কোন বাঁধা হতে পারে না!
অবশেষে সেই শুভদিন, ২০০৬ এর ২৫ সেপ্টেম্বর হেলসিংকির হার্টওয়াল অ্যারেনায় আমরা হাজার হাজার ভক্ত অপেক্ষা করছি অধীর আগ্রহ নিয়ে, মঞ্চে চলছে এক স্থানীয় ফিনিশ শিল্পীর গান, ভাবছি এই যন্ত্রণাটা কখন শেষ হবে বিশ্বের অন্যতম রোমান্টিক চিরতরুণ গায়কটা অবশেষে তার দর্শন দেবে (ব্রায়ানের বয়স তখন মোটে ৪৬, কিন্তু তার কন্ঠ, চলাফেরা, গান আগের মতই সজীব, প্রাণবন্ত)। অবশেষে হঠাৎ-ই দেখি মঞ্চ ফাঁকা, মহাকাশের উল্কার মত দ্রুতগতিতে কয়েকজন এসে আমাদের সামনে বিভিন্ন ভঙ্গীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাড়িয়ে গেল, তাদের মধ্যে থেকে একজন মাইক্রোফোন হাতে ঘোষণা করল- শুভ সন্ধ্যা, হেলসিংকি! আমার নাম ব্রায়ান!!
সাথে সাথে হাজার হাজার ভক্তের সম্মিলিত অ্যাডামস চিৎকারে অ্যারেনার ছাদ ভেঙ্গে পড়ার দশা, মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়ে আছি কৈশোরের নায়কের দিকে, হাঁ করে গিলছি তার প্রতিটি কথা, প্রতিটি গান মনে হচ্ছে অমৃতধারা, আনন্দের অফুরন্ত উৎস। শুরুই করল ব্রায়ান ছন্দময় রক গান Lets Make a Night to Remember দিয়ে, যেন আজকের সন্ধ্যার প্রতি পল, প্রতি মুহূর্ত যেন আমরা আকন্ঠ উপভোগ করি তার আহবান জানিয়ে। একটু পরেই শুরু হল তার সবচেয়ে বিখ্যাত গান Everything I Do, উল্লেখ্য এই অমর গানটি রূপক অর্থে গাওয়া। শুরুতে নিছক রোমান্সের গান মনে হলেও পরে হৃদয়ঙ্গম হয় যে এটি আসলে প্রতিটি মানুষের মাতৃভূমির গান( কেভিন কস্টনারের রবিনহুড সিনেমায় গানটি ব্যবহার করা হয়েছে)। হঠাৎ অনুভব হল ব্রায়ান যেন শুধু গান-ই গাচ্ছে না, কেবলমাত্র গীটারই বাজাচ্ছে না, বরং এক নিপুণ চিত্রকরের মত তুলির আলতো টানে রিক্ত ক্যানভাসের উপর ফুটিয়ে তুলছে এক একটা অসাধারণ চিত্রকর্ম, অতুলনীয় মাস্টারপিস। Everything I Do মনে করিয়ে দিচ্ছে আমার ফেলে আসা দেশটার কথা, শৈশবের মফস্বল শহরের স্মৃতিমাখা প্রতিটি গলি-উপগলির কথা। বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠে গায়কের সাথে সাথে আমরা গেয়ে যাচ্ছি Everything I Do, Do It For You ! আশেপাশের তন্বীদের অনেকেরই মুগ্ধতাপূর্ণ চোখে ঝিলিক দিচ্ছে স্ফটিক স্বচ্ছ লোনাজল।
পরের গানেই আমাদের সমস্ত বিষাদ এক ফুয়ে উড়িয়ে দিয়ে আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে দিল Come on, Come on, Come on গেয়ে। পরপরই এল চিরসবুজ ভালবাসার গান You are Still Beautiful to Me। একের পর এক অবিস্মরণীয় গান গেয়ে ব্রায়ান এক দক্ষ জাদুকরের মতই একবার আমাদের মনকে আলোর বন্যায় ভাসাল, পরের বারই গাঢ় বিষাদে আচ্ছন্ন, কোনবার নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত, হ্রদয় খুড়ে উঁকি দিচ্ছে কোন ভুলে যাওয়া মুখ, বিস্মৃতির আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়া জরাজীর্ণ স্মৃতি নিমেষে তরতাজা হয়ে উঠছে তার জাদুকরী কণ্ঠে। আবার জীবনের নেশায় মাতাল আমরা, সঙ্গীতের মূর্ছনায় তালে তালে উদ্দাম নৃত্যে বিভোর। সেই সাথে ব্রায়ানের ব্যাপারই আলাদা- নিজে নাচছে, অন্যকে নাচাচ্ছে, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো মঞ্চের এক মাথা থেকে আরেক মাথা, কথার ফুলঝুরি ছুটছে সমান তালে। সব তরুণীরা চিৎকার করে তাকে প্রেম নিবেদন করে ভারমুক্ত হচ্ছে। হঠাৎ জীবন্ত কিংবদন্তী বব ডিলানের মত একহাতে গীটার আর অন্যহাতে হারমোনিকা নিয়ে শুরু করল Have You Ever Really Loved a Woman? এর পরপরই Heaven।
অ্যারেনার জনসমুদ্র ফুলে ফেপে উঠল Summer of 69 এর সাথে সাথে, প্রত্যেকের জীবনের সবচেয়ে অবিস্মরণীয় অংশ স্কুলজীবনের টক-ঝাল-মিষ্টি ঘটনাগুলোর কথা যে ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে এই গানের প্রতিটি শব্দে! আবেগে উদ্বেলিত হয়ে ফোন দিলাম বন্ধুদের- ফিনল্যান্ডে, বাংলাদেশে, কানাডায়, তারাও যেন অন্তত ব্রায়ানের কণ্ঠ সরাসরি শুনতে পায়, একই আনন্দভেলায় পা রাখে আমাদের মত।
কয়েক ঘণ্টা সময় যেন কয়েক মুহূর্তের মাঝে কেটে গেল থিওরি অফ রিলেটিভেটির যথার্থতা প্রমাণ করতে। উৎফুল্ল ব্রায়ান জানাল হেলসিংকিতে সে যতবারই কনসার্টে এসেছে এবারের শ্রোতারাই সবচেয়ে প্রানবন্ত, সজীব, উচ্ছাসে পরিপূর্ণ। এর মাঝেই এক তরুণী সুযোগ পেল প্রিয় গায়কের সাথে মঞ্চে উঠে একসাথে গান গাওয়ার, আনন্দের ডানায় ভর দিয়ে সেই ভাগ্যবতী আমান্দা মঞ্চে ওঠার পরপরই পড়ল মহাবিপদে, হাজার হাজার লোক তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে, বেচারির কণ্ঠ কেঁপে কেঁপে সাধারণ কথায়ই ভজঘট করে ফেলল, আর গান, সে তো দিল্লী বহুত দূর! কিন্তু ব্রায়ানের অভয়মিশ্রিত হাসি আর সহযোগিতায় আস্তে আস্তে জড়তা দূর হল তার, হাতে হাতে রেখে Baby, You are Gone ভালমতই শেষ করল সে। এরপরেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে চারিদিক ছেয়ে গেল, ব্রায়ান বিনীতভাবে জানাল গত একমাসে টানা কনসার্টে তারা খুব ক্লান্ত, কাজেই দুঃখের সাথে হলেও আমাদের এখন বিদায় জানাতে চাই! আরে, এটা কি কথা? আমার প্রিয় Please Forgive Me এখনো গাওয়া হল না, আর চলে যেতে চাইছে!
সম্মিলিত We want More চিৎকারে আবার শুরু হল আনন্দের দুকূল ভাসানো গীতিধারা। অবশেষে এক পর্যায়ে শুরু হল Please,Forgive Me, হতবাক আমরা সকলেই, ভাবছি কি পরিমাণ ভালবাসতে জানলে এরকম একটা গান লেখা যায়, হৃদয় ছুঁয়ে গাওয়া যায়! দুহাত উপরে তুলে সংগীতের মূর্ছনায় দোলাতে দোলাতে অস্ফুট কণ্ঠে সবার মুখেই তখন Please Forgive me, I cant Stop Loving You । সেই মুহূর্তে চাঁদের নেশায় পাওয়া মানুষ আমরা সবাই।
আবার ব্রায়ান তাড়া দিল, যেতে হবে, আমাদের উদ্বাহু চিৎকার আরো চাই, আরো চাই বলে। মঞ্চে দাঁড়ানো দিনের রাজা বলল এইটা কিন্তু আজকের শেষ গান, এই অসম্ভব রোমান্টিক গানটা আমি লিখি ১৮ বছর বয়সে, আর তোমরা সবাই জান ১৮ বছর বয়সেই মানুষ সবচেয়ে বেশী রোমান্টিক, আবেগী, বুদ্ধিশূন্য আর বোকা থাকে! আর এটা সে বুঝতে পারে যখন তার বয়স হয় ১৯ !! এমন মজার কথায় সবাইকে মাতিয়ে ব্রায়ান জানাল বোকামিতে পূর্ণ ১৮ বছর বয়সে লেখা সেই গানটি তার সবচেয়ে পছন্দের গানগুলির একটা, আর হ্যাঁ এটা একটা অমর গান, Straight from My Heart।
গান শেষে বিদায় নিল ব্রায়ান, আমরা আশায় অপেক্ষা করছি যদি সে আবার আসে, অন্তত গায় আর একটি গান, অন্তত একটি! না হলো না, সব লাইটগুলো জ্বলে উঠল একে একে। মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন আমরা নিশিতে পাওয়া মানুষের মত পা বাড়ালাম বাড়ীর দিকে।


মন্তব্য

মিশু তাজ এর ছবি

খুবই ভাল লাগলো । এভাবে প্রিয় শিল্পির কাছে আসা সত্যিই খুব আনন্দের ...

তারেক অণু এর ছবি

কথা সইত্য !!

guest_writer এর ছবি

আপনার বর্ণনা এত চমৎকার ও প্রানবন্ত যে পড়বার সময় মনে হচ্ছিল আমিও ঐ সময়ে আপনাদের সাথে হেলসিংকির হার্টওয়াল অ্যারেনায় বর্তমান। আপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কিছুটা আনন্দ-উচ্ছাসে ভাগ বসাতে পেরেছি।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

তারেক অণু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

উচ্ছলা এর ছবি

আমি হেভি মেটাল হেডব্যাঙার বলে পপ্, রক্ আমার খুব একটা পোষায় না দেঁতো হাসি
ব্রায়ানের কনসার্টের যে বর্না দিয়েছেন তা যে straight from your heart এটা স্পষ্ট। খুব আনন্দ পেলাম লেখাটি পড়ে। ধন্যবাদ হাসি

আয়রন মেইডেন আপনার জন্য উপহার


2010 Dallas

কল্যাণF এর ছবি

আহহ...আয়রন মেইডেন, আপনাকেও ধন্যবাদ উচ্ছলা শেয়ার করার জন্য।

তারেক অণু এর ছবি

মেটাল তো চলবেই!

কল্যাণF এর ছবি

ওয়াও অণু দারুন, খুব ভাল লেগেছে পড়ে, পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমি যেন বসে আছি স্টেজের সামনে। তবে আমার মনে হয় রোমান্টিক গানের তালিকায় Everything I do অবশ্যই থাকবে Please Forgive Me এর উপরে। Everything I do তে যেরকম কথা, সেই রকম সুর, সেইরকম কম্পজিশন আর সেইরকম একটা লিড সোলো কি বল? আর Cuts like a knife? চলুক

তারেক অণু এর ছবি

একটা গান আছে দাদা, UNDERWEaR নিয়ে !

কল্যাণF এর ছবি

চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

কয়েক বছর আগে ডালাস এ ব্রায়ান অ্যাডামসের কনসার্টে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যা ৭ টায় শুরু হবার কথা। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম ৯ টার আগে গান শুরু করবে না। সারাজীবন কনসার্টে দেখেছি যত বড় শিল্পী ততো দেরি করে আসে। এখানে সময় মতো শুরু হলেও প্রথম এক দেড় ঘণ্টা অন্য কোন শিল্পী বা ডিজে এসে কান ঝালাপালা করে। কিছুদিন আগে katy perry এইরকম দুই ঘণ্টা পরে এসে গান শুরু করেছে। তার আগে অন্যরা অত্যাচার করেছে। কিন্তু আদম ভাই ঠিক ৭ টার সময় একটা কালো শার্ট আর জিন্স পরে গিটার হাতে ঢুকে পরে গান শুরু করে দিয়েছিলো। একসাথে ব্রায়ান অ্যাডামস আর Foreigner এর কনসার্ট ছিল।

তারেক অণু এর ছবি

হাসি আহা, শুনেই কেমন যেন উদাস উদাস লাগতাছে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

উচ্ছলা এর ছবি

ব্রায়ানের এতসব লেজেন্ডারী গান রেখে কোনো এক অজানা, আজাইরা কারনে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে A little Love :

"I don't believe in miracles but that don't mean they don't come true
well I may not get to heaven but I get a little closer when I'm with you
but a little love - just a little love - a little love can change it all..."

পোস্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা ! আপনার সাপ বিষয়ক অভিজ্ঞতা নিয়ে কবে জানতে পারব ?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সাব্বাস অণু! জব্বর হেভী মেটাল পোষ্ট!
(কানে কানে) আমাগো কলেজে গিটার আছিল না, কি আর করা ফিজিক্স ল্যাবের সনোমিটার লইয়াই সেই বয়সে চিৎকার পাড়ছি!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি
মিলু এর ছবি

উত্তম জাঝা! উত্তম জাঝা! উত্তম জাঝা! বাচ্চাকালের আড্ডা-গানের অনেক অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন।
আপনার পোস্টে ছবি নেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। এটাই কি আপনার প্রথম ছবিহীন পোস্ট?

তারেক অণু এর ছবি

না না, প্রথম দিকের পোষ্টগুলোই ছবি দিতে পারি নি। দেখি কোন এক সময়ে কিছু ছবি যোগ করে দিতে হবে।

তানিম এহসান এর ছবি

অনু ভাই, অদ্ভুততো, আমাদের সময়েও গানগুলো ঠিক এইভাবে শুনেছিলাম আমরা, আরো অনেক গান কিংবা শিল্পীর কথা বলতে পারি কিন্তু এই গানগুলো ঠিক এইভাবেই ছিলো। আপনিও কি সত্তর দশকের প্রজন্ম?

তবে পিংক ফ্লয়েড এর http://youtu.be/VFhdHwnZZxQ এই গানটার কথা ‘দ্য ওয়াল’ এর নাম শুনেই সর্ব প্রথম মনে পড়ে গেলো আমার আজকে। প্রাণভরে শুনছি আবারো!

তারেক অণু এর ছবি

নারে ভাই ! সত্তর! তখন আমাদের স্কুলের হেডমাষ্টারেরও ছাত্রাবস্থা যায় নাই ! তবে এই গানগুলি তো চিরসবুজ। নিশ্চয়ই এখনকার টিন-রাও এমন আবেগ নিয়েই শোনে!

গেরিলা এর ছবি

তারেক অনু, আপনার জীবন বোধের সাথে কোথায় যেন বিকট একটা মিল আছে আমার সাথে....পার্থক্য একটাই আপনি দূর্দান্ত মুহুর্তগুলোতে উপস্থিত থাকতে পারেন....তবে কথা দিচ্ছি...নিশ্চয়ই আমিও পারব

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই ! আমাদের সবচেয়ে বড় মিলটা আপনাকে বলি- আমরা জীবনকে ভালবাসি।

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

আপনার প্রতি আমাদের সম্মিলিত ঈর্ষা। মন খারাপ

ইংরেজি গানের জগতে প্রবেশের কথাগুলো কি আজবভাবে মিলে গেলো। প্রতিটা গান, ছুঁয়ে গিয়েছিলো একেকটা অধ্যায়।

গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি

চির আবেদনময়ী গানগুলো!

তাপস শর্মা এর ছবি

বিশ্বাস করেন অনু, এই লেখাটা পড়তে পড়তে আমার শরীরের লোমগুলি কাটা দিচ্ছিল। অসাধারণ এই গায়কের প্রতিটি গানের প্রতিটি শব্দে আমি পাগল। সামার অফ ৬৯ , গানটা বোধহয় আমার বৃদ্ধ বয়সেও হৃদয়ে ঝড় তুলবে । এই চেতনা ভুলবার নয়।
আর আপনার বর্ণনা অ-সা-ধা-র-ণ

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই লেজেন্ডারিকে সচলায়তনের পর্দায় তুলে আনার জন্য।

তারেক অণু এর ছবি

আরে তাপস দা, আপনি বৃদ্ধ হতে যাবেন কেন কোনদিন, বালাইষাট, বয়স বাড়লেও মন থাকবে চিরসবুজ!

বন্দনা এর ছবি

ব্রায়ানের অনেক কটা গানই খুব ভালো লাগে। আপনারে আর হিংসা করবোনা যান , আপনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন।

তারেক অণু এর ছবি

হুমম, সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠা মানে টা মন খারাপ

ফাহিম হাসান এর ছবি

summer of 69 চলুক

তারেক অণু এর ছবি
ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি
মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক প্রিয় গায়ককে চমৎকারভাবে আপনার লেখায় খুঁজে পেলাম। চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

হাসি তাহলে কি অন্যদের কনসার্ট নিয়েও লিখব বলছেন ! যেমন- জন বনজোভি।

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

গানপাগলদের হুমকি ভুলে গিয়েছেন না কি! কি দুঃসাহস! খাইছে

জলদি জলদি লেখেন। অপেক্ষায় থাকলাম। হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

অবশ্যই লিখবেন অণুদা। আপনি যে বিষয়েই লিখেন তা সুপাঠ্য হবে নিশ্চিত!! হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

বন্দনা কবীর এর ছবি

বেশ বড় একটা কমেন্ট করেছিলাম কাল। গেলনা কেন বুঝলাম না।
আপনার এও পোস্ট পড়ে বেশ খানিকটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলাম।
ছোটবেলাকার কিছু কথা লিখেছিলাম।

সেব যাকগে, আপনার সব লেখাই অসাধারব হয় এ আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
অনেক ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।

তারেক অণু এর ছবি

আহা, স্মৃতিমেদুর মন্তব্যটা আসল না ! মন খারাপ
আচ্ছা আপা, এর পরে কোথাও বড় কমেন্ট করলে আগে ওয়ার্ড- এ টাইপ করে নিতে পারেন। না আসলে, পরে আবার দিতে পারবেন।

জ.ই মানিক এর ছবি

মুগ্ধ।

তারেক অণু এর ছবি
শাব্দিক এর ছবি

ভাবতে পারেন বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ব্রায়ান এডামসের কনসার্ট দেখেছি।
আজকে আর হিংসা হল না তাই। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

শুনে খুব ভাল লাগল। জেনেছিলাম তখন, যেতে পারি নি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কর্ণজয় এর ছবি

১৮

তারেক অণু এর ছবি

১৮

শিশিরকণা এর ছবি

জানুয়ারী মাসে সেমিস্টারের শুরুতে এডভাইসর বলল, এই সেমিস্টার থেকে ফান্ডিং নাই, এদিকে ব্রায়ান এডামস এই পিচকি শহরের পিচকি কন্সার্ট হলে ( ৩০০-৪০০ লোক ধরে) আসবে... আল্লাহ ভরসা বলে ব্যাঙ্ক একাউন্ট খালি করে টিকেট কেটে ফেললাম।

১০০ বছরের পুরোনো ( খাইছে?? পুরান বানান কী) ছোট্ট হলে একুস্টিক সন্ধ্যা, সাথে ব্যান্ড ছিল না, একা একাই গেয়ে গেল। এরপর আর সিডি/ ক্যাসেট শুনে শান্তি লাগে না। বাদ্য বাজনার ঝনঝনানি ছাড়া শুধু তার অসাধারণ কন্ঠ!! ঊফ্‌ফ্‌! গায়ে কাঁটা দেয়া... বিরাট ভুল করছি, কন্সার্টের পর ট্যুর বাসের সামনে যে ১০-১৫ জন ছিল তাদের সাথে সে আড্ডা মারছে, পরদিন ব্রায়ানের ব্লগ এ দেখছিলাম। এখন খালি আফসোস করি কেন আরেকটু অপেক্ষা করলাম না মন খারাপ

এই বেটা যে একজন প্রফেসনাল ফটোগ্রাফার এইটা জানতাম। কিন্তু এইরাম জটিল লেভেলের সেইটা জানতাম না। এইটা উনার সাইড ইনকাম। দেঁতো হাসি

লইজ্জা লাগে বালিকাবেলার প্রেম লইজ্জা লাগে আর কোন বালক এইরাম রোমান্টিক গান শুনানোর আগেই ভদ্রলোক হৃদয় জয় করে বসে আছেন... very tough competition for the boys..almost unfair.

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

দেঁতো হাসি মন্তব্যের জন্য চলুক । দারুণ ঘটনা বললেন তো।

সুমন তুরহান এর ছবি

ব্রায়ান অ্যাডামস'রে বস্ মানি... দেঁতো হাসি

লেখা ভালো লেগেছে চলুক

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

তারেক অণু এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আগেই বলছি, আপনার পোস্টে কিছুই বলবো না

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

বলতেই হবে নজু ভাই ! এ কি কথা, কেন বলবেন না! চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।