জাগো: স্বপ্ন দেখতে দোষ কোথায়?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৪/১১/২০১১ - ৫:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কালকে সকালে প্রফেসর আর রিসার্চ গ্রুপের সাথে মিটিং। সাধারনত অন্যান্য দিন বিকেলে ক্লাস থাকে বা ল্যাবে যায় বিধায় ভোরের দিকে ঘুমিয়ে দুপুরে উঠি, কিন্তু বাই-উইকলি মিটিংয়ের আগেরদিন রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাই। আজও তাই হত, কিন্তু ঘুমানোর আগে হঠাৎ করে ইচ্ছে হল ফেইসবুকে একটা ঢু মারি। তাতেই বিপত্তিটা হল। হঠাৎ চোখে পড়ল ‘জাগো’ নামের ফাউন্ডেশন নিয়ে একটা নোট এবং একটা স্ট্যাটাসে। স্ট্যাটাসের নিচে দেয়া লিংকে ক্লিক করে সামুতে গিয়ে অনেকগুলো ছবি সম্বলিত একটা পোস্ট এবং তৎসম্পর্কিত মন্তব্যগুলো গিললাম কিছুক্ষণ ধরে। নোট, পোস্ট এবং স্ট্যাটাস সবগুলোর নিচেই উভয় রকম (ভাল কাজ বলে শুভ কামনা এবং খারাপ বলে সমালোচনা) মন্তব্য দেখতে পেলাম। প্রশংসাসূচক মন্তব্যকারীরা বলছেন কিছু না করার চেয়ে ওরা একদিনের জন্য হলেও পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে, পথশিশুরা একদিনের জন্য হলেও বিশুদ্ধ খাবার খাচ্ছে এবং পানি পান করছে। সমালোচনাকারীরা বলছেন, ইংলিশ মিডিয়ামের কিছু পাঙ্ক ডিজুস পোলামাইয়া গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে আর মুখে চিকেন ফ্রাই পুরে দিয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ফ্যাশন করছে, এটার কোন ভাল দিক নেই, একদিনের জন্য এ শিশুদের খাইয়ে, পার্কে ঘুরিয়ে ওদের দুরাবস্থার কোন স্থায়ী সমাধান হবে না, এ ছেলেমেয়েগুলো সার্টিফিকেটের জন্য এসব করছে, এটা হল মিডিয়ার স্টান্টবাজি, ইত্যাদি। মন্তব্য গুলো দেখে কিছু না লিখে পারলাম না, তাই ঘুমালে উঠতে পারবনা ভেবে না ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিলাম; কালকে তো উইকেন্ড, ব্যাপক ঘুম দেয়া যাবে।

আমি আমার কিছু অত্যন্ত বিজ্ঞান-প্রেমী বন্ধুদের বুয়েটে একটা বিজ্ঞান ক্লাব করার আন্তরিক প্রয়াসে সঙ্গ দেয়া ছাড়া তেমন কোন ভলান্টিয়ার সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে আমার কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। যাই হোক, আজ দুপুরের দিকে আরিফ জেবতিক ভাইয়ের একটা স্ট্যাটাস দেখার আগ পর্যন্ত ‘জাগো’ নামের কোন সংগঠন আছে আমার জানা ছিল না, আজকেই জানলাম। দুপুরে ভালমত পড়ি নাই, এখন পড়লাম। দেখলাম, তাদের একটা ওয়েবসাইট (www.jaago.com.bd) আছে, ফেইসবুকে একটা গ্রুপ আছে, এবং উইকিপেডিয়াতে একটা পেইজও আছে। ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখলাম পার্টনার অরগানাইজেশনের মধ্যে আছে নোভার্টিস আর ওয়ান্ডারল্যান্ডের মত গ্রুপ এবং করপোরেট পার্টনার হিসেবে আছে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড, ঢাকা ব্যাংক, ডিএইচএলের মত অরগানাইজেশনগুলো। সংগঠনটির প্রজেক্ট গুলো হল হেলদি লিভিং, উইমেন অ্যামপাওয়ারমেন্ট, ফার্স্ট এইড, ফ্রী স্কুলিং, ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রছাত্রী যুক্ত থাকলেও জাগোর বেশিরভাগ ভলান্টিয়ারই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রছাত্রী। আমাদের দেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে বড় লোকের ছেলেমেয়েরা এবং এদের প্রায় সবাই ছোট বেলা থেকেই এসি গাড়িতে চড়ে স্কুলে যায়, বেড়াতে যায়, শপিংয়ে যায়। এদের জগতে দেশের বাস্তবতার বিন্দুমাত্র ছাপ থাকে না। এদের সাথে আমজনতা এবং তাদের জীবনবস্থার কোন পরিচয় বা সংযোগ থাকে না। সবচেয়ে বড় কথা, এদের বেশিরভাগই এ-লেভেল শেষ করে বা তার আগে বিদেশ চলে যায়। এদের কথাবার্তায় ইংরেজীর আধিক্য থাকে, পোশাকে পাশ্চাত্যের ছাপ থাকে, ইত্যাদি। এসবকিছু বিবেচনা করে এদেরকে আমরা অন্য একটা কাতারে ফেলে দিই এই বলে যে এদের দিয়ে দেশের কিছু হবে না।
এখন এদের মধ্য থেকে কোন টাইট জিন্স আর টি-শার্ট পরা কোন মেয়ে যদি তীব্রগরমে আর যানজটে কোনঠাসা নগরীর কোন এক ব্যস্ত রাস্তায় ৩-৪ ঘন্টা দাঁড়িয়ে ফুল বিক্রি করে, পথ শিশুদের সাথে আড্ডা দেয় তা কোন যুক্তিতে খারাপ বলা যায় আমার বোধগম্য হয় না। যদি সে সার্টিফিকেটের জন্য করে, যদি সে কিছু নাবুঝেও করে, তবুও কী এটাকে খারাপ বলা যায়? যায় না, কারন আমরা তো ধরেই নিয়েছি ওদের দিয়ে কিছুই হবে না। একদিনের জন্য হলেও কষ্টটা তো বুঝতে পারছে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি ছোট কোন ঘটনা বা অনুভূতি, এমনকি কারো চাহনি জীবনের গতি পরিবর্তন করে দিতে পারে। এক অসহায় পথশিশুর ক্ষণিকের হাসি, কারো ‘আফা’ ডাক এই মেয়েটার মনে বাস্তবতার চেহারাটা এঁকে দিতে পারে। যে কখনো ঢাকার রাস্তায় খর রোদে হাঁটেনি, একদিনে ৩-৪ ঘন্টা দাঁড়িয়ে তার অনেক ধারনা পরিবর্তন হতে পারে। এই পরিবর্তনের কাছে সার্টিফিকেটতো তুচ্ছই। মিডিয়া স্টান্ট বাজি করছে কীনা দেখা একটা ফালতু ইস্যু আজকাল। মিডিয়া স্টান্ট বাজি করছে না কোথায়!! রাজনীতি, পদ্মাসেতু, নির্বাচন, ক্রিকেট থেকে শুরু করে কোথাকার কোন গরীব অসহায় কিন্তু মেধাবী ছেলে ভাল রেজাল্ট করেছে তাকে নিয়েও স্টান্টবাজি চলছে। সুতরাং এটা কোন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট না।

কারো কারো মন্তব্য দেখে ভাবতেই পারছি না মানুষের মন এত নোংরা হতে পারে। কিছু মানুষের চোখ থাকে কোন মেয়ে কী পোশাক পড়েছে, জিন্সটা টাউট কীনা এসবের দিকে। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, এরা যে পথে ঘাটে মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছে তা যাবে কোথায়। এ প্রশ্নটা না করে এ সংগঠনের উদ্দশ্য দেখে নিলেই তো হয়। কেউ যদি মনে করে টাকাগুলো এ ছেলেমেয়েরা মেরে খাবে তাহলে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমি প্রশ্ন করব। ছবি তোলার ব্যাপারে বলব, ওদের মধ্যে উচ্ছলতা আছে, ওদের ভাবনাগুলো এত পরিপক্ক না, আর ছবি তুললেই বা কী যায় আসে। সমালোচনাগুলোর মধ্যে গঠনমূলক কিছু দেখিনি। সব ধরনের কাজেই শুরুতে অপরিপক্কতা এবং সীমাবদ্ধতা থাকে এটাই স্বাভাবিক। সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে।

ব্যবসায়িক পলিসি হিসেবে হোক বা ভাল উদ্দেশ্যেই হোক, আলু পত্রিকার সংগঠন ‘বন্ধুসভা’ সেবামূলক কাজ করে, তাছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠান সমাজ সেবামূলক কাজ করে। ‘জাগো’ সংগঠনের সাথেও যুক্ত আছে বড় কিছু সংগঠন। আমরা অবশ্যই আশাকরি এবং আশাবাদী, এসব সংগঠন পথশিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ভাল কিছুই করবে।

পরিশেষে বলব, এসি গাড়ির পরিবর্তে ঘন্টাখানেক প্রচন্ড গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে এসব ছেলেমেয়েদের উন্নতি তথা দেশের মঙ্গলই হবে। আগে থেকেই খারাপ কিছু ভাবলে উন্নতি আশা করা যায় না।

-অরিত্র অরিত্র


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

শেষ দুটো লাইন পড়ে খুব হাসলাম। দেশের মঙ্গলের জন্য এই ছেলেমেয়েরা প্রতিদিন এক ঘন্টা রোদে দাঁড়ানোর জন্য নতুন আরেকটা প্রোগ্রাম চালু করতে পারে, "রোদে দাঁড়াই দেশ বাঁচাই" নামে।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

হুম।...
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

আপনার আরেকটা লাইন আমার মনোযোগ আকর্ষণ করলো।

কেউ যদি মনে করে টাকাগুলো এ ছেলেমেয়েরা মেরে খাবে তাহলে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমি প্রশ্ন করব।

কেন? খালি মন্ত্রীরাই আমাদের দেশে টাকা মারে? টাকার হিসাব দুনিয়ার সব চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হয়। এই হিসাব কেউ চাইলে সেটা মানসিক অসুস্থতা হয়ে যাবে? আজকে যদি কোনো লীগের চামচা বলে, মন্ত্রীরা টাকা মারে এই কথা কেউ ভাবলে সে মানসিকভাবে অসুস্থ, আপনি কী জবাব দেবেন?

আমি বলছি না এই ছেলেমেয়েরা টাকা মেরে খাচ্ছে। কিন্তু এরা টাকা মেরে খেতে পারে, এই সন্দেহ পোষণ করার সাথে মানসিক সুস্থতার সম্পর্কটা পরিষ্কার না আমার কাছে। মঙ্গলগ্রহ থেকে তো আর আসেনি ওরা, তাই না?

চ্যারিটি কালেকশনের কিছু পরিষ্কার গাইডলাইন থাকে, রিসিট দিতে হয়, কালেকশন রিপোর্ট দিতে হয়, অডিট করাতে হয়। সেগুলো কেন করা হয়? নাম শুনে, ওয়েবসাইট দেখে কিংবা পৃষ্ঠপোষকদের লোগো দেখেই ফেরেস্তা ধরে নিলে তো মুশকিল।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

আমি বলেছি, আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই।
আপনার কথা ঠিক। এ ধরনের বড় পরিসরে করলে গাইডলাইন থাকে, রিসিটের ব্যাপার আছে।
কিন্তু প্রথমেই সন্দেহ করলে তো বিপদ।
ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

যুক্তরাজ্যে রমজানের সময় সব দেশী চ্যানেলের স্লট কিনে ছাগুরা ডোনেশন তোলে। ঐ টাকা খরচ করা হয় ছাগুদের সাংগঠনিক কাজে। যারা সেখানে টাকা দেন, তারাও নিশ্চয়ই আপনার মতই ভাবেন, "প্রথমেই সন্দেহ করলে তো বিপদ।" সন্দেহ শুরু করা জায়েজ কখন থেকে?

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

হিমু ভাই, আসলে লেখাটা খুব কম সময়ে লেখা।

কেউ যদি মনে করে টাকাগুলো এ ছেলেমেয়েরা মেরে খাবে তাহলে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমি প্রশ্ন করব

এটা আক্ষরিক ভাবে নিবেন না।
কিছু মন্তব্য দেখে খারাপ লেগেছে। সামুর ওই লেখক লেখায় মেয়েগুলোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন মনে হল।

হিমু এর ছবি

সামু তো ছাগুস্তান। আপনি সামুর লেখা পড়ে অল্প সময়ের মধ্যে সচলায়তনে কেন প্রতিক্রিয়া লিখছেন? ভেবেচিন্তে, ছাগুদের ম্যাৎকারে কান না দিয়ে, তারপর লিখুন।

তাপস শর্মা এর ছবি

ভালো লেগেছে। হাসি

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

সাবিহ ওমর এর ছবি

সামু'র ঐ লেখার হাইলাইট জাগো বলে মনে হয় নাই, কবি এখানে জাগো'র 'ফর্সা ফর্সা টাইট জিন্স পরিহিতা' (কবির ভাষায়) মেয়েদের ব্যাপারে কিছু বলিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। আসল কথায় যাইবার আগে কিছু দেশচিন্তামূলক ভণিতা করিতেই হয়, তা না হলে লেখা টেকে না। অবশ্য এইসব লোকজনের দেশচিন্তা এখন এতই প্রবল যে স্পর্শকাতর ব্যাপারগুলোকে ইহারা মোটেও এড়াইয়া যান না, বরঞ্চ বীরপুরুষের ন্যায় এগুলোকে ফেস করিয়া থাকেন। এই যেমন বাঙালি নারীসমাজের পোশাক-আশাক এবং লাজলজ্জাজনিত অবক্ষয়। ইহারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলিয়া বলিয়া থাকেন যে মেয়েদের ড্রেসাপের কারণেই উহারা ইভ-টিজিং এর শিকার হয়।

মেয়েরা জিন্স-টিশার্টের মত (সতর ঢাকা) পাশ্চাত্যজাত ড্রেস পড়িলে উহারা যারপরনাই উত্তেজিত হন, আপনারা দেখিয়াছেন। জিন্স-টিশার্ট বাদ দিয়া কামিজ পড়িলেও তাহারা উত্তেজিত হন ওড়না ঠিক নাই বলিয়া। ওড়না 'ঠিক করে' পড়িলেও তাহারা উত্তেজিত হন ওড়না পাতলা বলিয়া। ভারী ওড়না পড়িলেও তাহারা উত্তেজিত হন মাথা দেখা যায় বলিয়া। মাথা ঢাকিলে তাহারা উত্তেজিত হন ফাঁকফোক দিয়া চুল দেখা যায় বলিয়া। মাথার চুল সব ঢাকিয়া বোরকা পরিলেও তাহারা উত্তেজিত হন, মুখ দেখা যায় বলিয়া। মুখ ঢাকিয়া নেকাব পরিলেও তারা উত্তেজিত হন, বোরকা টাইট, বডির শেপ দেখা যায় বলিয়া। এখন কোন মেয়ে ঢোলাঢালা একটা চটের বস্তায় ঢুকিয়া মুখ সেলাই করিয়া দিলেও ইহারা উত্তেজিত হবার একটা ছুতা বাহির করিয়া নিবেন। এত উত্তেজনা এইটুকু একটা ছোট দেশে ধরে কেম্নে বুঝিনা। আমার মনে হয় এইসব নিউকিলার প্ল্যান্ট-ট্যান্ট খরিদ না করিয়া এইসব উত্তেজিত যুবকগণের যৌবনজ্বালা ব্যবহার করিয়াই আমরা দেশের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎশক্তি সাপ্লাই দিতে পারিবো। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি।

হিমু এর ছবি

চলুক (চলুক) চলুক

মেঘা এর ছবি

মন্তব্যে লাইক।

সচলের ভাইয়ারা মন্তব্যে লাইক দেবার কোন সিস্টেম করা যায় না?

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

সহমত পুরোপুরি........... চলুক

যুধিষ্ঠির এর ছবি

অসাধারণ মন্তব্য! চলুক

নুসায়ের এর ছবি

চলুক

বন্দনা কবীর এর ছবি

কমেন্টে সুপার লাইক চলুক

সজল এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু । সাবিহ পোলাডা আসলেই বস।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

বাউণ্ডুলে এর ছবি

উত্তম জাঝা!

চিন্তায় থাকি  এর ছবি
Tashfia M. Mohona এর ছবি

SO -true !

শিশিরকণা এর ছবি

মেয়েরা যায় পড়ুক না কেন, "চোলি কা পিছে কেয়া হয়" ভেবে এনারা উত্তেজিত হয়ে যাবেন। কানিমার নদীতীরের আপামনির স্টাইলে ঘুরলে পরে ইনাদের আর কষ্ট করতে হবে না। উনারা ঠান্ডা থাকবেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

মণিকা রশিদ এর ছবি

মন্তব্যে সুপার লাইক, ফেইসবুকে শেয়ার করার লোভ সামলানো গেলোনা!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক

তানজিম এর ছবি

এই মাত্র এক জুনিয়রের সুবাদে এই কর্মসূচীর কিছু ফটো দেখলাম। মহৎ উদ্যোগ। তবে কিভাবে আরও ফলপ্রসূ করা যায় এ নিয়ে ভাবার অনেক অবকাশ আছে।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

হিমু ভাইয়ের সাথে একমত। স্বচ্ছতা থাকতে হবে।
যাতে আবুল আর তার মেয়ের মত না হয়।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য হাসি

হাসিব এর ছবি

চৌক্ষে পানি আয়া পড়লো মন খারাপ

দুর্দান্ত এর ছবি

১। ঠিক। জাগো না থাকলে আমাদের পথশিশুরা হেলোয়িন, থ্য়ান্ক্সগিভিনং ইত্য়াদি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে বন্চিত হবে।

২। আমার তো মনে হয় জাগোর সদস্য়রা যদি যার যার এলাকার স্থানীয় সরকারি বা বেসরকারি বানং্লা মিডিয়াম স্কুলে ভররতি হয়ে, সেখানে ইনং্রেজী মিডিয়ামের বেতনটা দিয়ে দেয়, আর তাদের আব্বু-চাচ্চুদের সেই সব স্কুলগুলোকেই দত্তক নিতে বলে তাহলে ফলাফল অনেকটাই ভিন্ন হবে।

হিমু এর ছবি

অথবা পথেঘাটে চান্দা না তুলে খাবার টেবিলে বাপচাচাদের ঠিকমতো ট্যাক্স দেয়ার আহ্বান জানায়।

কল্যাণF এর ছবি

গুরু গুরু

পাঠক এর ছবি

হেহে।। ভালো কতা কইছেন।
-মেফিস্টো

dr.shahed এর ছবি

1.Tthanks giving or Halloween কোনটাই আমাদের দেশীও culture না তাই এগুলোর কোন দরকার এই দেশে নাই।
2. যদি সত্যিই কিছু করতে তবে বাসার কাজের ছোট ছেলেটি অথবা মেয়েটির লেখা পাড়ার বাবস্থা কর , যে স্কুল এ তুমি পড়তে যাও সেখানে তোমার পাশে তাকে স্থান দাও তবে বুঝা যাবে তোমার আসল অবস্থান ওঁই লোক দেখান কাজের দরকার তোমার না ওঁই গুল আসলে বাংলাদেশের মিথ্যাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের তোমার আমার মত সাধারন মানুসের না

কালো কাক এর ছবি

অন্য ব্লগে কী দেখে আসলেন ঐসব নিয়ে আলোচনা ভাল্লাগেনা। ঐ ব্লগে কী দেখসেন সেটা ওখানেই বলেন।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। তবে হিমু ভাই-এর উল্লেখ করা টাকা পয়সা মেরে দেয়া সংক্রান্ত পয়েন্টটা আমারও চোখে লেগেছিল। যেহেতু এটা নিয়ে আপনি ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন ঐ মন্তব্যে, তাই আর ও কথা তুললাম না।

আমাদের সমাজে এক শ্রেনীর মানুষ আছে যারা মেয়েরা জিন্স অথবা টি শার্ট পড়লে সেটা নিয়ে রীতিমত কুরুচীপূর্ণ ভাবে আলোচনা করে। তাদের দৃষ্টি, তাদের আলোচনা - তাদের মানসিকতার পরিচয় বহন করে। তাদের মন্তব্য পড়ে হতাশ হবেন না। জাগো-তো জাগতে বলেছে। একদিন তাদের বিবেক জাগবে আশা করি।

ধরে নিচ্ছি শুভ উদ্দেশ্য নিয়েই জাগো এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সফল হোক তাদের এ উদ্যোগ।

আহমেদ এর ছবি

গতকাল অফিসে 'জাগো' এর ব্যনারে কিছু ছেলেমেয়ে এসেছিল। আমরা সবাই মিলে তাদেরকে ১৮০০০/- টাকা তুলে দিলাম। কিন্তু আজকে fb তে http://www.facebook.com/photo.php?fbid=2655404388556&set=o.15132341236&type=1&ref=nf ছবিটা দেখে নিজেকে প্রতারিত মনে হচ্ছে।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

কার ব্যক্তিগত জীবন কেমন সেটা নিয়ে বলার কিছু নাই। সাদা দৃষ্টিতে এই উদ্যোগকে ভালো বলা যায়। তাদের উদ্দেশ্য সৎ আর কর্ম পদ্ধতিও সৎ হলেই চলবে। ব্যক্তিগত জীবনে কে কী তাতে কিছু যায় আসার কথা না। তারা তো আর সীসা খেতে কাউকে উদ্বুদ্ধ করছে না।


_____________________
Give Her Freedom!

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

সহমত।

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

'জাগো'র বিরুদ্ধে করা সব ধরণের সমালোচনাই মেয়েদের পোশাকের চারপাশে ঘুরছিলো। সমালোচনাই দোষ নাই, বরঙ স্বাগত জানানো উচিত সবখানে। কিন্তু সমালোচনার নামে টাইপিকাল ছ্যাঁচড়ামোর বিজ্ঞাপন করলে মেজাজ খারাপ না হয়ে উপায় থাকে না। লেখকের সাথে সহমত, তবে লেখা আরও গোছানো হওয়াটা উচিত ছিলো।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি এই আয়োজনের কথা জেনেছি ফেসবুকে। পাত্তা দেইনি। আপনার লেখা পড়ে আরো বিরক্ত হলাম। মানুষের কী চিন্তা করার মতো যথেষ্ট বিষয় নেই!

সাহায্যে কোনো সমসা নয়। কিন্তু সাহায্য উৎসবে সমস্যা আছে। এই ছেলেপেলেগুলার "সামাজিক স্বীকৃতি"র এতো প্রয়োজন কেন? এতো সাড়াশব্দ করে ডিজাইন করে গেঞ্জি বানিয়ে কেন সেবা করতে হবে? উদাহরণ দেই, একেকটা ছেলে যদি ৫০ টাকার গেঞ্জি পরে থাকে তাহলে সেই টাকায় তো আরেকটি শিশু সেবা পেতে পারত! এইসব রিকগনিশনের জন্য যে বালছাল সেবা করা হয় সেটা বিরক্তি ছাড়া আর কিছু তো তৈরি করেনা!

কদিন পরেই দেখবেন, এইসব দেশসেবকরা আয়োজন করে টাকা তুলে শীতবস্ত্র বিতরণ উৎসব শুরু করবে। গেঞ্জি বানিয়ে, পিকাপ/মাইক্রো ভাড়া করে শীত ঠেকাতে পিকনিকে যাবে উত্তরাঞ্চলে! বালগুলা কিন্তু জানে এদের ঘরের পাশে কে শীতে/ক্ষুধায় মরতেছে! কিন্তু নিজের বাড়ির কাজের বুয়াকে সাহায্য করলে, পাশের চায়ের দোকানের বাচ্চাটাকে সাহায্য করলে তো উত্তরাঞ্চলের পিকনিক হয়না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ওসিরিস এর ছবি

এই কমেন্টে একটা চলুক না দিয়ে গেলে অপরাধ হবে।

নুসায়ের এর ছবি

এটা ফেসবুকে দেখ্লাম গতকাল। ছবি নেয়া হয়েছে 'জাগো' ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজ থেকে।

যিনি শেয়ার দিয়েছেন, তার দেয়া টাইটেলঃ 'জাগো' ফাউন্ডেশনের গেনজি প্রস্তুত করতে ব্য়্ভার করা হচ্ছে শিশুদের কেই।

উদ্দেশ্য শুভ হোক বা অশুভ, টাকা মেরে খাক বা না খাক, এই ভাবে কিছু 'করা' সম্ভব না। ঢাকার (তা'ও আবার কেবল গুলশান, ধানমণ্ডিতে) রাস্তায় চাদাবাজি করে কয় টাকা তুলতে পারবে? আর তা'তে কয়জন পথশিশুর উন্নয়ন হবে। শিশু-শ্রমের কথা বাদই দিলাম। এই গেঞ্জি গুলা বানাতে যত টাকা লাগছে, সেটা দিয়া অন্ততঃ ১০-১৫ জন ২ বেলা পেটপুরে খেতে পারতো।

রাস্তা ঘাটে পাব্লিকের পিছে না দৌড়ায়, পারলে নিজেদের শিল্পপতি বাপ-মায়ের পকেট কেটে একটা ফ্রি স্কুল/পথশিশু নিকেতন বানায় দেক, তারপরে না'হয় প্রান ভরে বাহবা দেব !

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ। সাবিহ ওমর আমার মনের কথাগুলো খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছে, অসংখ্য ধন্যবাদ।
তবে আমি নিয়াজ ভাইয়ের মত চাই ভাল কিছু হোক।
@কালো কাক: দেখুন, আমি বলেছি সবকিছু মিলিয়েই আমার লেখাটা লিখতে বসা। আর ওইসব আজাইরা ব্লগে যাওয়া হয় না, জেবতিক ভাইয়ের মন্তব্য দেখে পড়লাম লেখাটা।
সাইটে গিয়ে শুধু সচলায়তনই পড়া যায়। সামুর কথা নাই বা বললাম।
ভাল থাকুন।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমার কাছে মনে হয়েছে, যেসব ছেলেমেয়েরা রাস্তায় দাড়িয়েছে, তারা মনে করেছে একটা ভালো কাজের জন্যই তারা এই কাজ করছে। এসব ১২/১৩ বছরের কিশোর ছেলেমেয়েদের কোনো দোষ আমি দেখছি না।

তারা যে কাজ করছে, তাতে করে পথশিশুদের কোনো দীর্ঘমেয়াদি উপকারও হবে না, এটাতেও আমি একমত।

তবু এসব কর্মসূচিকে খারাপ বলারও কিছু নেই। যাদেরকে আমরা ফার্মের মুরগি বলে মনে করি, তারা যে দেশের জন্য কিছু করতে চায়, সেটা আনন্দের বিষয়।
এখন প্রয়োজন এই মানসিকতাকে সঠিক পথে পরিচালনা করা। স্কুলগুলো এদিকে মনোযোগ দিতে পারে।
আর জাগো ফাউন্ডেশনের আর্থিক ব্যাপার স্যাপারগুলো যাতে স্বচ্ছ থাকে, সেটি সরকারের উচিত মনোযোগের সঙ্গে খতিয়ে দেখা।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে সহমত। হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

চলুক সব কিছুর ভালো -খারাপ দিক আছে। এদের গাইডেন্স দরকার, কিভাবে ভালো কাজটুকু আরো ভালো ভাবে করা যায়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

KamrulHasan এর ছবি

অন্ততঃপক্ষে হাত পা ভেঙ্গে, চোখ কানা করে ভিক্ষা করানোর ব্যাবসা টা রিপ্লেস হলেই আমি খুশি।

চিন্তায় থাকি  এর ছবি

সহমত হাসি

Tashfia M. Mohona এর ছবি

kono meye ke tight jeans r tee pora dekhle, rastay kono chule spike kora chele ke smoke korte dekhle, rickshay ekta chele ekta meye ke ekshate dekhle, kono lounge e kauke sheesha nite dekhlei shobai dhore ney je tara nishchit boro-lok baba-mayer bigre jaoa ENGLISH MEDIUM school er chatro-chatri. manusher kotha shune to mone hoy english medium school e pore moha-paap kore felechi. volunteer work korleo manush sheitar picher good intention take na dekhe tader kapor-chopor nie beshi besto hoye pore. Dhaka shohore joto na english medium school ache, tar at least 5 gun beshi ache bangla medium school ebong eder chatrer shongkha english medium school er chatrer tulonay aro oneeek beshi. jara bangla medium e pore tara SHOBAI ee ki so-called bhodro? bangla medium er chatro-chatri nie keno kokhono proshno uthena. bangla medium er chatro-chatrider pashapashi english medium er student der o international level e prochur achievement....undergrad level e to ami bolbo english medium er chatrorai egie ache. Bangladesh eo je eder private university chara goti nai emon dharona bhul....eder onekei DU, BUET, DMC shoho desher bhalo public university guloteo chance pacche. kichu manusher upor base kore entire English medium students der judge kora ta ki khub wise?

কল্যাণF এর ছবি

(বাংলায়)

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

(বাংলায়) (বাংলায়) (বাংলায়)
[মন্তব্য রেকর্ড বুকে গেল]

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কল্যাণF এর ছবি

আপনার এই লেখার উদ্দেশ্য কি জাগো ফাউন্ডেশন কে সমর্থন যোগানো? সেটাতো ওই ব্লগে করলেই যুক্তি যুক্ত হত। তাই না? আর যদি সেটা না হয় তাহলে ঐ সংগঠনের কাজ কর্ম বা কর্মসূচি সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা দেওয়ার মত করে লেখা দরকার ছিল। একটা কথা না বলে পারলাম না আর, গরীবের মুখে ১ দিন হাসি ফোটানো খুব ভাল কথা, তবে ১ দিনের হাসির চেয়ে আরেকটু বেশি স্থায়ীত্বের বা বেশি ফলদায়ক কিছু করাটা মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ। বিপ্লবটা নিজের ঘরে শুরু করাটাই তো সহজ, আর এটাই দরকার আমাদের এখন। সবাই নিজের নিজের ঘরের ময়লাটা পরিস্কার করা শুরু করলেই রাতারাতি অনেক পরিবর্তন পাওয়া যেত। নিজের ঘর সাফাই ফাউন্ডেশন অনেক বেশি দরকার।

মোঃউমর আলী খান এর ছবি

কল্যাণ সাহেবের সাথে আমি একদোম একমত,নিজের ঘর আগে সাফাই করা দরকার,তবে সাথে সাথে আশপাশ ও পরিষকার করতে হবে,কারণ পথশিশুরা আমাদের ই অংশ

কল্যাণF এর ছবি

ঠিক মত নিজের ঘর পরিস্কার করা শুরু হলে মনের ও ঘরের ব্যাপ্তি আপনাতেই বেড়ে যাবে। তখন অবহেলিত যারা তাদের আর পরিস্কার করতে ইচ্ছা হবে না, তাদের জন্যেও কিছু করতে ইচ্ছা হবে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জাগো'র একজন স্বেচ্ছাসেবক ফেসবুকে একটি নোট লিখেছেন। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় নোটের লিংকটি এখানে দিচ্ছি।http://www.facebook.com/notes/rahat-rahman/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E...

মোঃউমর আলী খান এর ছবি

অরিএ অরি,আপনি ঠিক বলেছেন,ওরা যে XBOX,CAR,ipod রেখে কিছুটা সময় কঠিন বাসতোবতার সামনে আসছে আর পথশিশুদের জন্য কাজ করছে,পথশিশুদের কষটো তো অনুভব করছে.হোক না শুরু

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

হাসান এর ছবি

১৫-১৬ বছরের কিশোর-কিশোরীরা ভালো কাজ করতে চাইছে, মন্দ কী? একে তো বিচ্ছিন্ন কিছু বলে মনে হচ্ছে না। আমার বয়স ২৭, একেবারে ছোটোবেলা থেকেই কলেজ বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ভাইয়া-আপুদের শীতের কাপড় সংগ্রহ করতে দেখেছি গরীব মানুষদের জন্য, ১৯৯৯ এর বন্যার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের রুটি তৈরী করার ছবি তো গুগল করলেই পাওয়া যায়। টাকা মেরে দেয়ার কথা বললে বলবো- একই বদনাম তো বন্যার্তদের জন্য চাঁদা তোলা নিয়েও বলা হয়ে থাকে। বাংলা-ইংরেজী মাধ্যমের মাত্রাটি এক্ষেত্রে হাস্যকর।
আমার মনে হচ্ছে আমরা ধরেই নিয়েছি যে ইংরেজী মাধ্যমে পড়া বাচ্চারা দেশপ্রেম, সমাজচিন্তা ধরণের মানবিক গুনশুন্য হতে বাধ্য। এদের ভালো কাজ গুলো আসলে হীন ষড়যন্ত্র।
জিন্স-টি-শার্ট নিয়ে কটাক্ষ সম্পর্কে একটা কথাই বলতে চাই- আর দেরী না করে এই পিছিয়ে পড়া দেশটির বিদ্যালয় গুলোতে সহশিক্ষা এবং যৌনশিক্ষা চালু করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্বাভাবিক মানুস হিসেবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দেয়া উচিৎ।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশিরভাগ লোকজনই পুরো গ্রুপ/ গোষ্ঠীকে এক কাতারে ফেলে দেয়। শিক্ষক হলেই যে একজন খুব ভাল হবেন তা কী বলা যায়! সেটাই আমরা বুঝি না। ইংলিশ মিডিয়ামের বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী কে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সবার ধরন একই হয় না।

নীলকান্ত এর ছবি

কেন??? এক্সবক্স, কার আর আইপড বাদ দিয়ে তারা এইসব করতে গিয়েছিল???কষ্ট অনুভব করার কথা বলছেন???তাদেরকে খালি জিজ্ঞেস করতেন যেসকল ছেলেমেয়েদের হয়ে তারা ফুল দিয়েছে, টাকা তুলেছে তাদের নামটা পর্যন্ত জানে কিনা।


অলস সময়

হাসান এর ছবি

আরে আজব তো! নাম জানার কি দরকার?

নীলকান্ত এর ছবি

ভাই তা ঠিক কইছেন, নাম জাইনা কি হইবো। আমরা তো ডাইরেক্ট গিয়া কই, আসো হাত ধরো, তোমারে পার্কে নিয়া যামু, ললিপপ খাওয়ামু, সাথে মণ্ডা-মিঠাই


অলস সময়

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

হুম, তাইতো, নাম জানাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় না।

নীলকান্ত এর ছবি

গাইডের গাইড ক্যাডা হইবো?


অলস সময়

উচ্ছলা এর ছবি

যে কোনো কর্মসূচিতেই ছোট-বড় খুঁত থাকে। 'জাগো' তার ব্যতিক্রম নয়। এই সংগঠনটির Intention যে মহৎ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এদের ওয়েবসাইট, ফেইসবুক গ্রুপ/পেইজ দেখে, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা তরুনটির সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, এই সংগঠনটি 'সন্দেহজনক' কোনো ধান্দা করতে আসেনি আপনার-আমার সাথে।

যে হারে কুৎসিত সমালোচনা হচ্ছে, সমাজসেবা করার সমস্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা-সদিচ্ছাকে গলা টিপে মেরে ফেলে এই কিশোরের দল যদি দলবেঁধে আজ রাতেই শপথ নেয় "মরে গেলেও ভালো কাজে আর এগিয়ে আসব না"...এ দায় সমালোচনাকারীরা নেবে?

কি নোংরা সব ব্লগপোস্টস আর ফেইসবুক আলোচনা চলছে এই কিশোর-তরুনদের বিরুদ্ধে। ওদের সম্পর্কে ভাল ভাবে না জেনে কী অসভ্য উন্মত্ততায় ওদেরকে আমরা গালিগালাজ করছি!

ছিঃ। বাঙ্গালীর বড় একটা অংশ জেনেটিক্যালী নেতিবাচক এবং পশ্চাদমুখী। ছিঃ

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

আজাইরা লোকজন নিজে তো কখনো কিছুই করে না, অন্যরা করলে ছিদ্রান্বশনে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

সুলতান এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। আসলেই আমরা নেতিবাচক ও পশ্চাদমুখী।

যান্ত্রিক এর ছবি

জনৈক পলাশ সান্যাল,
ভাই আপনি যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন (অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার), এবং সেটা যদি বড় সংগঠন হয় তবে আপনাকে কিংবা আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের কয়জনকে চিনেন?সাহায্য করার জন্য যে নাম জানাটা জরুরী তা প্রথমবারের মত জানলাম!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।