মানুষ ধর্মীয় চেতনা ধারণ করলে তাতে তেমন ক্ষতি হয় না, মানুষের ধর্মীয় চেতনা পরিচিত জনের পীড়ার কারণ হলেও তেমনভাবে তা বিশাল একটা ভোক্তা শ্রেণীকে আক্রান্ত করে না। তবে যখন প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় চেতনা ধারণ করে কিংবা প্রতিষ্ঠান নিজেই সাম্প্রদায়িক এবং ধর্মীয় চরিত্র এবং চিহ্ন ধারণ করে তখন সেটা সামগ্রীক ভাবে সকল ভোক্তা এবং কর্মীর ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠে।
গতকাল প্রদত্ত আদেশ বলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সকল মহিলা কর্মীকে এখন থেকে স্কার্ফ বেধে আসতে হবে। এই ধর্মীয় চিহ্ন ধারণ করাটা তাদের চাকুরির কোনো শর্তে না থাকলেও যেহেতু নিয়োগ বিধিমালায় বলা আছে প্রয়োজনে কতৃপক্ষ নতুন কোনো আইন কিংবা বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, সেই বিশেষ ক্ষমতা বলে এখন সকল মহিলা কর্মীকে মাথায় স্কার্ফ বেধে চাকুরিতে আসতে হবে।
মাথায় স্কার্ফ বাধা উচিত কিংবা অনুচিত এই বিতর্ক না করে শুধুমাত্র ধর্মীয় ব্যাংকিং চেতনা ধারণ করে সকল মহিলা কর্মীর জন্য স্কার্ফ বাধ্যতা করার বিধিটা আদৌ সঙ্গত কি না এই প্রশ্নটাই আমার ভেতরে ডালপালা মেললো।
আমার অন্য সকল প্রশ্নের ভেতরে এই প্রশ্নটাই প্রথমে ছিলো, এটা ঠিক কি উপলক্ষে জারি করা হলো? শোভনতা সৌজন্যতা এবং শরিয়া মোতাবেক ব্যাংকিং চালানোর জন্য। আমি আশ্চর্য হলাম। বন্ধুকে বললাম তোমাদের এখানে অন্য ধর্মের কোনো কর্মচারী নেই?
তার উত্তর ছিলো বর্তমানে মনে হয় নেই- তাই এই বিধান যে কারো ধর্মীয় স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করবে না এমন না, তবে সেটা বিধর্মীর উপরে ধর্মীয় চিহ্নের আগ্রাসন হয়ে উঠবে না।
আমাদের বাংলাদেশের পূঁজিবাজারে শাহজালাল ব্যাংকের শেয়ারের দাম ভালো। বলা চলে চড়া, তবে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র পূঁজির চলন, যা শেয়ার বাজারে কোনো প্রতিষ্ঠানের উপরে আস্থা এবং অনাস্থার প্রকাশ ঘটায়, যেখানে সচেতনতার স্পষ্ট অভাব।অন্তত অন্য কোনো দেশে এমন ধর্মীয় বিভাজনমূলক যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া পড়তো শাহজালাল ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যে।
যেকোনো ধর্মীয় আগ্রাসনকে শেয়ারহোল্ডাররা বিনিয়োগের পক্ষে ক্ষতিকারক ভেবে থাকেন, তাই তারা খুব দ্রুতই এই শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন এবং এই অনাস্থার প্রভাব পড়তো শেয়ারের দামে।
এই সাম্ভাব্য অনাস্থার ভয়েই প্রতিষ্ঠানগুলো যে দেশে- যে ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করুক না কেনো একটা আপাত অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম নিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখে।
শাহজালাল ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করলো, এর পরবর্তীতে সেখানে অন্য কোনো ধর্মের কর্মচারির নিয়োগ পাওয়া দুরহ। অন্তত এমন স্পষ্ট ধর্মীয় চেতনা যে প্রতিষ্ঠানে রয়েছে সেখানে অন্য ধর্মের কোনো কর্মী কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না।
প্রতিষ্ঠান যখন এভাবে ধর্মীয় চিহ্ন ধারণ করতে চায় এবং সেটাকে প্রতিষ্ঠানের বিধিতে স্পষ্ট করে প্রকাশ করে সেই প্রতিষ্ঠান অসাংবিধানিক আচরণ করে। বাংলাদেশের সংবিধানে কোথাও এই ধর্মীয় বিভাজনের সুযোগ নেই, যোগ্যতার বিচারে বিশেষ কোনো ধর্মের প্রাধান্যও নাকচ করা হয়েছে।
তবে বর্তমানের বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসে আছে পাকিস্তানের ভুত, তাই এই একটা প্রতিষ্ঠান শুধু নয়, বরং ধর্মীয় চেতনা ধারণকারী অন্য সকল ইসলামী প্রতিষ্ঠানের অনেকখানেই অন্য ধর্মাবলম্বীদের হেনেস্থার শিকার হতে হচ্ছে।
আল মানারাত নামের একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমার এক পরিচিত শিক্ষকতার জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলো, সেখানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও বলা ছিলো না বিশেষ একটা ধর্মকে প্রধান্য দেওয়া হবে। আমার এক পরিচিত রঞ্জন বণিক সেখানে গিয়েছিলো-
তার শিক্ষাগত সনদ দেখে, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয়ন পত্র দেখে ইন্টারভিউ বোর্ডের প্রথম প্রশ্ন ছিলো আপনি কি কালেমা তাইয়্যেবা জানেন?
যার নাম রঞ্জন বণিক, যে তার সিভিতে স্পষ্ট উল্লেখ করেছে তার ধর্ম হিন্দু- তাকে এই প্রশ্নটা করাটা উচিত হয়েছে কি না এটাও একটা বিবেচনার বিষয়।
সে বের হয়ে আসবার সময় একটাই কথা বলেছিলো ইন্টারভিউ বোর্ডকে। আমার মনে হয় না পদার্শ বিজ্ঞান পড়ানোর সাথে কালেমা তাইয়্যেবা জানবার কোনো সম্পর্ক আছে।
আমি ভেবেছিলাম এটা বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা। তবে ভুল ভাঙলো, তার দুই বছর পরে ফয়সাল কিংবা ফাহাদ, কোনো এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে সেখানে চাকুরির আবেদন করলো বিকাশ কুমার দাস-
ইন্টারভিউ বোর্ডে তাকে প্রথম যে প্রশ্নটা করা হলো আপনি সুরা ফাতিহা তেলাওয়াৎ করেন।
প্রশ্নটা অনেক দিন ধরেই করছি- বাংলাদেশ আদৌ কোনো ভাবে ধর্মান্ধ একটা রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে না কি এটা বাংলাদেশের সমাজ মানসেই ছিলো। এই বিধর্মী বিদ্বেষ যা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সেটাকে তীব্র ঘৃনা এবং এই প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
মন্তব্য
এই বিধর্মী বিদ্বেষ যা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সেটাকে তীব্র ঘৃনা এবং এই প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
সহমত!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সহমত
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অপবাক, প্রথমেই ধন্যবাদ আপনাকে এইধরনের একটা গুরত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে লিখবার জন্য।
আসলে ধর্মের এত এত ফলদায়ী, এত চমত্কার মাধ্যম আর তৈরী হয়নি যা দিয়ে এর থেকেও মানুষ আরো ভালো ব্যাবসা করবে, মানুষকে নাস্তানাবুদ করবে। জিহাদ আর ক্রুসেড এর রমরমা বাণিজ্য তো গত এক দশক ধরে ক্রমাগত চলছেই। এর আর নতুন কি। শুধু বাংলাদেশ নিয়ে যদি এ ব্যাপারে কথা বলি তাহলে ভুল বলা হবে। আপনার লেখার সাথে সঙ্গতি পূর্ন কিনা জানিনা তবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে কয়েকটি উদাহরন। যেমন গত বছর ইংল্যান্ডের কিছু প্রাইমারী স্কুলে মাথায় স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তীতে ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিসেও অই স্কুলের নির্দেশ কে কোর্ট আপহেল্ড করেছিলো। ঠিক আপনার মত আমারও একটা প্রশ্ন ছিলো এই ব্যাপারে যে, শাহজালাল ব্যাংকে যেমন স্কার্ফ পরবার এই হুজুরীয় নীতি চাপাবার যেমনি কোন উপায় নেই, তেমনি কেউ স্কুলে কিংবা কোন জায়গায় ধর্মীয় বিশ্বাস মেনে চল্লেও তাকে আটকাবার বা বাধা দেবার অধিকার কারো নেই। কিন্তু ধর্মীয় রীতি গুলো যখন আদেশ, বাধা এইভাবে কাছে আসে তখনি আর তাকে যুক্তি গ্রাহ্য করে মানতে পারিনা।
আবার কিছুদিন আগে লন্ডনে এক ভদ্রমহিলার গলার চেইনের লকেটে যীশু'র ছবি থাকায় তার চাক্রি চলে গেলো।এ্কই কাহিনী। মাকাল ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস আবার ওই ডিসিশান আপহেল্ড করেছিলো। এইভাবে প্রাতিষ্ঠানিক মদদ পাচ্ছে কিছু মানুষ,যাদের লক্ষ্য ধর্ম নয় - ব্যাবসা। এরকম অনেক উদাহরণ আছে এইখানে। এখন যদি কেউ প্রশ্ন তোলেন, এটা তো ভালই স্কুলে ,চাকরিতে হিজাব পরা বা যীশুর লকেট পরবার দরকার টা কি? সেক্ষত্রে আমার ওই এক্টাই উত্তর , বিশ্বাস কিংবা তার প্রকাশ মানুষের ক্ষতির কারন হতে পারে না যদি তা -মানতে হবে বা মানা যাবে না- এই ধরনের মান দন্ডে চাপিয়ে না দেয়। একটা উদাহরণ দেই- শিখ সম্প্রদায়ের মাথা থেকে পাগড়ী কিন্তু কোন ব্রিটিশ, আমেরিকান কিংবা অজি, কেউ খুলে নিতে পারে নি। এইখানে কিন্তু কোন প্রশ্ন নাই। এমন না যে আমি চাই প্রশ্ন হোক, কথা উঠুক। আমার সার কথা হলো কারো ক্ষতি না করে যদি নিজের বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা যায়, তাতে ক্ষতি কি?
শাহজালাল ব্যাংকের ব্যাপারটা আপ্নারা সবাই জানেন।একটি মৌলবাদী, ধর্ম কে নিয়ে ব্যাবসা করে , এমন কিছু লোকের অবদান। সুতরাং তারা স্কার্ফ রীতি অনুসরণ করবে -এটাই স্বাভাবিক। এদের কাছে পেশা কিংবা মানুষের অধিকার , বিশ্বাস কোন বিষয় নয়। সুতরাং টাকা পয়সার লেনদেনের সাথে মস্তক ঢাকা কেন?? এই জাতীয় প্রশ্ন এদের করা অর্থহী্ন। যেখানে জামাতীদের নামাজ পড়াটা জামাতী হবার কারনেই জরুরী, কিংবা থোতার নিম্নাঞ্চলে খানিক্টা বাল রাখা জামাতীদের আদর্শ - সেখানে মস্তকে সামান্য কাপড় পড়বার বিধি...ক্ষমা করেই দেয়া যায়। এরা তো সব সময় ক্ষমা পেয়েই আসছে।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
প্রতিবাদটা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বলেই এই ধর্মীয় চিহ্নধারণের বিষয়টা আপত্তিকর মনে হলো। ধর্মীয় চিহ্ন ধারণ কিংবা ধর্মীয় চিহ্ন ধারণ না করবার স্বাধীনতা প্রতিটা মানুষের নিজস্ব অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। এখানে চাপিয়ে দেওয়ার বিধি কেনো?
ইংল্যান্ডে যে মেয়েটা হিজাব পড়বার দাবীতে মামলা করলো, তার অধিকার স্বীকৃত হলো, সেটা তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতাকে রক্ষা করলো, কিন্তু এই ধর্মপালনের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করলেও এখানে শাহজালাল ব্যাংকের কর্মচারীরা আদালতে গিয়ে মামলা করবেন সেই পরিবেশ নেই বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের কোথাও কি এমন বলা আছে কোনো স্কুলে শিক্ষকতার জন্য সুরা ফাতিহা কিংবা কলেমা তাইয়্যেবা পড়তে হবে? যখন কোনো কতৃপক্ষ এমন কোনো উচ্ছন্নে যাওয়া আচরণ করে তখনই ঘৃনা এবং প্রতিবাদ তৈরি হওয়া উচিত।
এটা ধর্ম বিরোধিতা নয় বরং ধর্মের গা জোয়ারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
এটা বাস্তবতা, বর্তমানের বাংলাদেশে যে মানুষটা শাহজালালে কাজ করে তার ধর্ম চিহ্ন যদি হয় শাখা সিঁদুর, তাকে স্কার্ফ পড়তে বাধ্য করানোর এই কতৃপক্ষীয় নীতিকে সমর্থনযোগ্য? শাখা সিঁদুরের অধিকার কেড়ে নেওয়া কি যুক্তিযুক্ত।
এটা কৌশলে একটা ধর্মীয় বিভাজন জিইয়ে রাখা কিংবা একটা আপাত বিভাজন তৈরির প্রচেষ্টা। কর্মদক্ষতায় ধর্মের কোনো ভুমিকা বোধ হয় নেই।
ইংল্যান্ডে যে মেয়েটা হিজাব পড়বার দাবীতে মামলা করলো, তার অধিকার স্বীকৃত হলো, সেটা তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতাকে রক্ষা করলো,
না না ...তার অধিকার রক্ষা হয়েছে, তা তো বলিনি। বলেছি স্কুল কতৃপক্ষের ডিসিশান, ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস(ECJ) আপহোল্ড করেছে। সুতরাং সেই মেয়েটি স্কুলে স্কার্ফ পরতে পারবে না। আমি আপনার কথার সাথে কিন্তু পুরা একমত। শাহজালাল ব্যাংকে যেমন "পরতেই হবে" এই বিধি জারি হোলো এইখানে লন্ডনে , "পরা যাবে না"-এই বিধি জারি হোলো। ভাল-খারাপ, উচিত -অনুচিত, পরের কথা। আমি চাপিয়ে দেয়া বিধিটাই মানতে চাই না। আর দেখেন ECJ এর মত এত বড় ইন্ডিভিজুয়াল রাইট প্রটেক্ট করা সংস্থা ( মনে করা হয়) যদি এই ধরনের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ নেয়, তাহলে আমাদের দেশে কি হবে বলেন?
এটা কৌশলে একটা ধর্মীয় বিভাজন জিইয়ে রাখা কিংবা একটা আপাত বিভাজন তৈরির প্রচেষ্টা।
এই বিভাজন টিকিয়ে রাখবার ব্যাপারটা কিন্তু আজকে গড়ে উঠেনি। আমাদের পারিবারিক বা সামাজিক চিন্তা চেতনা থেকেই এর উদ্ভব। যদি বলি কবে থেকে? তাহলে বলতে হয় আমি জানিনা কবে থেকে, শুধু জানি আমার জ্ঞান হবার পর থেকেই অল্প অল্প করে এই বিভাজন দেখেছি।
একটা উদাহরণ দেই, আমাদের বাসায় নীচতলায় ভাড়া থাকত এক হিন্দু ভদ্রলোক। উনি আবার শখ করে দাড়ি রেখেছেন। আমার গ্রাম থেকে আসা ফুফু উনার সামনে একদিন প্রায় শুনিয়েই বললেন, " মালাউন দেখি আবার দাড়ি রাখসে "
খুব কষ্ট পেয়েছিলাম ওইদিন তার কথা শুনে।(পরে আমার মা ফুফুর উপর খুব রাগ করেছিলেন) অথচ আমার ফুফু ধর্ম কর্ম করলেও তার জামা কাপড় সব সময় এলো মেলো থাকত।সে যাক, বলছিলাম, এই ধরনের মনস্তাত্বিক বিভাজন আমাদের একদম পারিবারিক লেভেল থেকেই হয়। বিশেষ করে গ্রাম থেকে আর একটু রক্ষনশীল মেন্টালিটি থেকে। তো এইসব শাহজালাল,মানারাত ইস্লামী ব্যাংকের ,কিছু মূর্খেরা তো পারিবারিক ভাবেই ব্রেইন ওয়াশড্। সুতরাং এই ব্যাপারটিও ভাবতে হবে। সামগ্রিক চেতনার বিকাশ আর কি...
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
সমসাময়িক ঘটনাপন্জীকে ঘিরে প্রতিবারই মূল্যবান প্রবন্ধ লিখেন আপনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলোনা।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো ধর্মমুক্ত হওয়া জরুরী। অথচ হচ্ছে তার উল্টোটি আমাদের দেশে। ধর্ম তার নিজস্ব ভূমিকা ছেড়ে ধীরে ধীরেই জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসছে আমাদের উপর। আর যারা এর হোতা, তারা নিজেদের ধ্বংস টেনে আনছে হয়তো এভাবেই। এটাই একমাত্র আশা। মধ্যযুগেও এভাবে চেপে বসেছিল খ্রীষ্ট ধর্ম, ধর্মযাজকদের উন্মাদনায়। তাদেরও পতন ঘটেছিল।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
যদি ফ্লাইট এমিরেটস পারে তাইলে শাহজালাল ব্যাংক কি দোষ করল। ধর্ম মানাটাকে এত খারাপ চোখে দেখছেন কেন?
এতে হয়ত সস্তা মেয়ে দেখান মাল্টিন্যাশনাল কালচার ফলো করা হল না।
কোন ব্যাংক/কোম্পানি যদি মেয়ে দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারে তাইলে মেয়েদের স্কার্ফ পরালে বাধা কোথায়??
মেয়েদের স্কার্ফ পড়াটা দোষনীয় নয়, মেয়েদের স্কার্ফ পড়তে বাধ্য করানোটা দোষনীয়।
ফ্লাইট এমিরেটসের মেয়েরা স্কার্ফ পড়ে না কি? তাদের পর্দাপ্রথার কড়াকড়ি দেখি নি আমি, অন্তত গত বছরও তেমন পর্দাপ্রথার কড়াকড়ি দেখি নি, কিংবা আমি ফ্লাইটে ছিলাম বলেই হয়তো তারা এমন পোশাক পড়ে নি।
ব্যাংক যদি মেয়ে দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারে মেয়েদের স্কার্ফ পড়ালে দোষের কি? এইটা কোনো যুক্তির পর্যায়ে পড়ে কি না, কিংবা কোনো দৃষ্টান্তের পর্যায়ে পড়ে কি না কিংবা আদৌ এই বাক্যের কোনো মূল্য আছে কি না এটা ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।
ভেবে দেখলাম।
মেয়েদেরকে পন্য বানিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় এটা তো মানেন নাকি???
এখন ধরেন শাহজালাল ব্যাংক বিজ্ঞাপন দিল যে তারা ইস্লামী ব্যাংক থেকে বেশী ইসলাম মানে তাই তারা স্কার্ফ পরাতে পেরেছে, যাতে করে বেশি করে ধর্মপ্রান মানুষ সেখানে লেনদেন করে। আমি এটা বোঝাতে চেয়েছি।
মেয়েদের "পণ্য" বানিয়ে যে বিজ্ঞাপন বানানো হয় তা বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ায় দেখানো হয় না। আমাদের দেশে পণ্যের বিজ্ঞাপনে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেশি, দুনিয়ার বেশির ভাগ দেশে বিজ্ঞাপনের মতোই, সেটা বলতে পারেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
কমেন্ট করার আগে লেখাটা একটু পড়ে নিলে ভাল হয় । ধর্ম মানা আর চাপিয়ে দেয়া ভিন্ন জিনিস ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
প্রতিবাদের ধরনটিই বোঝেন নি আপনি! জোর করে যা কিছু করানো হয়, তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ। কারো ইচ্ছে হলে হিজেব পড়বে, না হলে পড়বে না, মোদ্দা কথা এটিই। রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মানতে রাজী, যদি নীতিগতভাবে গ্রহনযোগ্য হয়। কিন্তু রাষ্ট্র্রকে ছাপিয়ে ধর্মীয় অনুশাসনের জোয়াল বইতে রাজী নই একেবারেই। এখানে তাই করা হচ্ছে।
জোর করে যেমন হিজাব পড়াতেও চাইনা, তেমনি জোর করে হিজাব খোলাতেও সমর্থন থাকবে না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এমিরেটস এর শ্বেতাঙ্গিনী হোস্টেসদের মাথায় যে পট্টি প্যাঁচানো থাকে, সেটাকে খুব কষ্টে স্কার্ফ বলতে হবে। আর মাথায় কাপড় থাকলেও তাদের হাঁটুর নিচ খোলা দেখেছি। আমিরদের "ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি" নীতির বড় স্পষ্ট একটা উদাহরণ এই রান দেখিয়ে স্কার্ফ পরানো কারবার। পাছার কাপড় থাকে না, আর মাথার ঘোমটা দেখান। অনুগ্রহ করে অন্য কোন উদাহরণ বাছুন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এমিরেটস এর নারী কর্মীদের পোষাকে মাথায় লালটুপির সাথে একচিলতে যেই স্কার্ফ থাকে সেটা ঠিক ধর্মীয় কারনে নয় । প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠার জন্য, আমিরাত অঞ্চলের প্রচলিত পোষাকরীতির একটা টুকরা তারা তুলে এনেছে । অবশ্য এতে চুল-টুল কিছু ঢাকে না । কাজে ধর্মীয় উদ্দেশ্য থেকে থাকলেও তা অর্জিত হয় না । এটা ব্যবসায়িক পদক্ষেপ, ধর্মীয় না ।
ব্যপারটা আরো পরিষ্কার হবে যদি খেয়াল করে দেখেন একই ভদ্রমহিলার নিম্নাঙ্গে শোভা পাচ্ছে হাঁটু পর্যন্ত স্কার্ট । এও সেই ব্যবাসায়ীক কারনেই ।
- এনকিদু
এমিরেট্স এর মেয়েরা তো স্কার্ট-ট্পসও পড়ে, তাই বলে কি শাহজালালে কর্মরতা যিনি শাড়ীতে অভ্যস্থ - তাকেও স্কার্ট-ট্পস পড়া শুরু করতে হবে?
রুবাবা দৌলা মতিন যখন বিশাল গলার ব্লাঊজ পরা ছবি ছাপা হয় তখন প্রতিবাদ করেন না কেন?
বিশেষ কোনো পোশাক পরতে গ্রামীণ ফোন ওনাকে বাধ্য করেছে- এমন প্রমাণ থাকলে আপনি নিজেই লিখতে পারেন সেটা, কে মানা করছে?
ভালো কথা মনে করিয়ে দিছেন। দেশের একটা প্রথম সারির মোবাইল কোম্পানির বড় একটা অনুষ্ঠানে মেয়েদেরকে এরকমই পোশাক পড়ে আসতে বলা হয়েছিল।
এটা নিয়া কেঊ প্রতিবাদ করবে না।
সবাই বলবে বাহবা আমরা খানিকটা আর একটু আধুনিক হলাম।
প্রথম সারির কোন মোবাইল কোম্পানি কি কোন প্রাতিষ্ঠানিক মেমো দিয়ে তার মহিলাকর্মীদের প্রতিদিনের অফিসে নির্দিষ্ট কোন পোশাকরীতি অনুসরণের আদেশ দিয়েছে? আপনার কাছে কি এমন কোন উদাহরণ আছে?
রুবাবা দৌলা মতিন বড় গলার ব্লাউজ পরলো নাকি স্যান্ডো গেঞ্জি পরলো, তাতে কিছু এসে যায় না। সে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কিন্তু প্রতিষ্ঠান নয়। ব্যক্তিগত রুচি অনুসরণ করা এক জিনিস, আর প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত আদেশে কোন পোশাকরীতি অনুসরণ করা আরেক জিনিস। আগে এই ব্যাপারটা বুঝে নিন, তারপর অন্য কথা বলুন।
আর মন্তব্যের শেষে আপনার নাম যোগ করলে সবাই উপকৃত হই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
করিনা, কারণ সেটি ঠিক হিজাবের মতই অপ্রয়োজনীয় বলে। আর আমি ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি একজন ব্যক্তির নাম নিয়ে তাঁকে হেয় করা এই মন্তব্যে। তাঁর পোশাক পছন্দ না হওয়াটাও আপনার ব্যক্তিগত অভিরুচি , কিন্তু একজন ভদ্রমহিলার নাম ধরে এভাবে বলাটা আমার কাছে রুচিহীন মনে হচ্ছে। আপনি হয়তো নিজে ইসলামী ভাবধারা অনুযায়ী "চোখের পর্দা" থাকলে আরেকটু ভদ্র ভাষায় বলতেন একই বক্তব্যটি। আর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের সীমারেখাটা কোনো নারীর ব্লাউজের নেকলাইনে বা কোনো পুরুষের আন্ডারপ্যান্টের ইলাস্টিকে থাকে কি'না , থাকলেও সেটি নিয়ে কথা
বলবার এটি উপযুক্ত স্থান কি'না সে'টি বিবেচনার ভার রইলো।
প্রতিবাদ করছি আপনার উক্তির।
বিনীত
ss
ইসলামি ব্যাংক তো মহিলাদের নিয়োগই দেয় না। আগে উল্লেখ করে দিত, মহিলাদের আবেদনের প্রয়োজন নাই। সেটা সংবিধানের সাথে মেলে না বলে এখন উহ্য রাখে, তবে নীতি একই।
এতে অবাক হবার কি আছে? আমাদের রাষ্ট্রই তো শুধু একটা ধর্মকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। সে রাষ্ট্রে ব্যাঙ্কের এধরনের নীতিমালা তো রাষ্ট্রীয় নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমার মনে আছে, যেদিন আই ইউ টির ফর্ম তুলতে গিয়ে জানতে পারলাম আমি ভর্তি হওয়ার যোগ্য না সেদিন থেকেই এটা আমার দেশ মেনে নিতে খানিকটা বাঁধত। কি করে একটা রাষ্ট্র এমন একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ অনুমোদন করে যেখানে তার জনসংখ্যার একটা বড় অংশই পড়তে পারবে না? এটা নিয়ে কখনো কোন কথা হতেও শুনি নি।
পুরুজিত দা
খুব বেশী কষ্ট নিয়েন না।
ক্যাথলিক স্কুলগুলো অনেকটা একাজ করে। (তারা অবশ্য বলেই নেয়।)
জিওদের স্কুলে ননজিও কেউ কোনদিন ঢুকতে পেরেছে কিনা জানিনা। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটা হয় না।
আমি অস্ট্রেলিয়ার কথা বলছি।
রাষ্ট্র ও ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস পৃথক, এমনি অনেক দেশই আপনাকে নাগরিকত্ব দেবে, বাংলাদেশ মানে আমরা ছোটবেলায় যা জানতাম বা বুঝতাম, আজ দেশ বা স্বদেশ মানে আর তা নয়। ধর্মহীনরা তো সকল দেশে, সকল কালেই সংখ্যালঘু, সংখ্যাধিক্যের সেন্টিমেন্ট দিয়ে এই বেদনা বোঝা দুরূহ। খুব জরুরিও নয় বোধ করি। যুক্তি আর ধর্মবিশ্বাসের সহাবস্থান নিয়ত অসম্ভব বলেই সতত: সৌন্দর্য অপসৃয়মান আমাদের জীবন থেকে - এটা তো সবাই যারা কথা বলছি এখানে, জানি তাই না? যে দেশ আপনাকে আপনার মত করে বাঁচতে দেয় না , সে দেশ নিয়ে আদিখ্যেতা অন্তত: এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় নয়।
ভালো থাকবেন।
'অতিথি লেখক' দয়া করে একটু ব্যখ্যা করবেন কি কিভাবে এটা মেয়েদেরকে বলা হয়েছিলো? মৌখিকভাবে ? "আপনারা সবাই অমুক জায়গায় অমুক অনুষ্ঠানে বড় গলার ব্লাঊজ পরে আসবেন", নাকি লিখিতভাবে, নাকি সরাসরি না বলে 'বুঝিয়ে দেয়া' হয়েছিলো, কোনটা??
হিমু এবং নুশেরা তাজরীনের সাথে একমত - ব্যক্তিগত রুচি আর প্রাতিষ্ঠানিক আরোপ কি ভাবে এক হলো সেটা নিয়ে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম - অবশ্যই আপনার নামসহ ।
পুরুজিৎ - চিন্তা করবেন না ধর্ম গরিষ্ঠের দলে পড়েও আমার নিজেরই এখন বাংলাদেশ আমার নিজের বা নিদেনপক্ষে আমার বড় হবার সময়কার সেই 'চেনা' দেশ কিনা তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ হয় !!
আল মানারাত বা আল ইসলামী ব্যাংকের মওলানা পরিচালকদের কাছ থেকে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে কিন্তু বিসিএসের ভাইভার সময় হিন্দু পরীক্ষার্থীদের যখন জিজ্ঞেস করা হয় কলেমা তৈয়েবা বলেন, তখন এই দেশকে নিজের দেশ ভাবাটাই কষ্টকর।
আই ইউ টির ব্যাপারটা জেনে খারাপ লাগলো।
পিছিয়ে পড়া মুস্লিমদের কল্যানে ও.আই.সি মেম্বার দেশগুলির দেয়া চাদার ভিত্তিতে আই ইউ টির জন্ম।
ওয়েল, আমি খুব একটা পিছিয়ে পড়া মুসলিম দেখি না সেইখানে। আর পিছিয়ে পড়া মানুষকে মুসলিম অমুসলিম হিসেবে দেখাটাও খুব একটা কাজের না। আমি যেইটা দেখি তা হল, আমার (!!) রাষ্ট্র আমারে ধর্মপরিচয়ের ভিত্তিতে একজায়গা থেকে বাইরে রাখসে। আর বাংলাদেশ ও আই সি র সদস্যই বা হয় কি বিচারে!!
আমার প্রস্তাব হচ্ছে এখন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে শুধু পুরুষদেরকে চাকুরি দেয়া হোক । বিষয়টা বেশি এছলামী ।
আর চাকুরির আবেদনে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির সাথে খৎনাকৃত অঙ্গের সত্যায়িত ছবি দুইকপি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হোক ।
বহু আগের আরেকটি পোস্ট এখানে লিংক করলাম ।
মৌলানা আরিফ জেবতিক (রঃ) ছাহেব এর উপরি উক্ত দারখোয়াস্ত শারিফ এই নাদানের বহতই পাসান্দ হইয়াছে।
সালতানাত-ঈ-বাঙ্গাল এর ছাহিহ আঈনে-দাস্তুর (হিন্দুয়ানি জবানে ইহাকে সংবিধান বলে) -এর ইবতেদাতেই যে লেখা আছে 'বিসমিল্লাহির রাহ্মআনির রাহিম ' (হাযির বারশাখ্স বলেন ছোবাহানাল্লাহ!) তাহা কি খামাখা? নিশ্চই আওরাতেরা হিফাযতের আর যিরাতের জন্য, ঘরের বাইরে তাহাদের কি কাম?
আমি হাসতে ই আছি, হাসতেই আছি
আমার বন্ধু কাজ করে ওখানে, জে হিজাব তো পরের কথা, সে আসলে নাট্য কর্মি। তার জামাই পরিচালক। সে এখন হিজাব পরে অফিস যাচ্ছে----
বেশ আগে সামহয়্যার এ এক ব্লগ এ বলেছিলাম, মাঝে মাঝে ই আমি চিন্তা করি, যে আমি দেশে গেলাম, কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বের হতে পারছি না, কারন আমি বোরখা পরি না।
আবার একটা খারাপ কথা কই:
ধার্মিক শিশ্ন যখন এতই সংবেদনশীল তখন মহিলাদের স্কার্ফ না পরিয়ে একটা লোহার শিকল দিয়ে শিশ্নটাকে দুই রানের সাথে বেঁধে রাখলেই চলে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
মোটেই খারাপ না আপনার কথা- আমরা তো বাঘ সিংহকেই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখব, মানুষ তো আর খাঁচায় ঢুকবে না।
আপনাদের কি মনে হয়? মরার আগেই আমরা তালেবানি বাংলাস্তান দেখে যেতে পারব?
এ আমরা কোথায় চলেছি? এর মাঝে 'অতিথি লেখক' নামে এক বিদ্ব্যৎজন গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন রাখছেন। তাকে নাম প্রকাশ করতে বলার পর চিরতরে 'অপ্রকাশিত' হয়ে গেলেন।
সেইটা বিষয় না। বিষয় হল---আমাদের মাঝে এখন যথেষ্ট পরিমান এই গোত্রীয় 'অতিথি লেখক', 'অতিথি চিন্তক' প্রভৃতি আছেন। এনারা বুদ্ধিমান এবং শাহজালাল ব্যাঙ্কের কর্মকান্ডে দুঃখিত বোধ না করে তাদের অসাধারন ধী সম্পন্ন মস্তিষ্ক থেকে এই কর্মকান্ড কে জায়েজ করতে চমৎকার কিছু 'বুদ্ধি দৃপ্ত' প্রশ্ন ও করেন।
এই রকম 'মহাজন' এর পরিচয় জানতে পারলে আমরা সকলেই উপকৃত হতাম।
মত প্রকাশের অধিকার সকলের আছে এবং সেইটাই নিয়ম। আমার বা আপনার শুনতে যতই খারাপ লাগুক না কেন, বিরুদ্ধ মত আমাদের শুনতে হবে।
আমার আপত্তি আমাদের অন্ধত্ব নিয়ে। কেন আমাদের মাঝে এমন লোক তৈরী হবে যারা এই গোটা ব্যাপারটার অন্তর্নিহিত নোংরা দিকটা খেয়াল করবে না। বরং ভাববে ভালোই তো হয়েছে। মেয়েদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের সম্মান করার এক মাত্র উপায় তাদের মাথায় পট্টি বেঁধে দেয়া, পায়ে শিকল বেধে ঘরে বসিয়ে রাখা।
সেদিন আমার এক ভাই এর সাথে কথা হচ্ছিল। কথা হচ্ছিল আমার আরেক ভাই এর ধ্বংসোন্মুখ পারিবারিক জীবন নিয়ে। তার মতে সংসার ভাঙ্গনের অন্যতম প্রধান কারন হল স্ত্রীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। মেয়েটি ভাল চাকরি করে, স্বামীর চেয়ে বেশি বেতন পায়, কাজেই মেয়েটা তার স্বামীর কথা 'মানতে' নারাজ। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মেয়েদের অপ্রয়োজনীয় অবান্তর রকমের বেয়াড়া করে তুলেছে। বেশ কিছু ক্ষন থমকে থেকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম যে, এইটাই কি ভালো না? আজ থেকে বিশ বছর আগে, এ রকম একটা অবস্থায় মেয়েদের করার কিছুই ছিল না। সমস্ত কিছু মেনে নিয়ে তাদের স্বামীগৃহে পড়ে থাকতে হত। আমি বলছি না যে মেয়েরা সবাই নিস্কলুষ, অনাবিল। সংসার ভাঙ্গার মুল দোষী হয়ত মেয়েটাই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, দোষ থাকুক বা না থাকুক, আমরা কেন চাইব তাদের পঙ্গু করে ঘরে রেখে দিতে? যার মন উঠে গেছে, তাকে জোর করে ধরে রাখার মাঝে কি বীরত্ব? এখন যখন মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে , বুঝতে শিখেছে সে বানের জলে ভেসে আসা পদ্ম ফুল নয়, তারা বেরিয়ে পড়তে চাইবেই।আমরা যাদের প্রেম দিয়ে বাঁধতে পারবনা তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে কি প্রমান করব নিজের কাছে?
প্রসঙ্গ থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি।
যে ধর্ম মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখাতে পারে না, আমার পাশের মানুষকে কাছে না এনে দূরে ছূড়ে দিতে চায়, আমরা এমন অন্ধ কেন হলাম যে এই ধর্মের জন্য সব কিছু বাজী রাখছি?
ধিক এই ঈশ্বরকে যে এই ধর্ম সৃষ্টি করে। ধিক এই ধর্ম কে।
ধিক এই মানব জাতি কে যারা এক জন আরেক জন কে আপন করে নেবার আগে দেখে নেয় সঠিক ধর্মের টিপসই দেয়া আছে কি না।
আমার আশা ছিল আমরা যত জ্ঞানে বিজ্ঞানে এগিয়ে যাব, আমাদের তত মোহ মুক্তি ঘটবে। কিন্তু যাদের পা ভূতের মত, তারা এগুবে কি করে?
অনিকেত - আমার মনে হয় না শুধু 'ধর্ম' এখানে কোন ব্যাপার। মানে বলতে চাচ্ছি যে কোন একটা ক্যাটেগরী বা আইডেন্টিফায়ার - সেটা ধর্ম, বা রাজনৈতিক বিশ্বাস, বা জাতীয়তা, বা গায়ের রঙ বা হয়ত কিছুদিন পরে হবে চুলের রঙ, মানে যে কোন কিছুই হোক না কেন সেটা নিয়ে যার হাতে ক্ষমতা থাকে সে - যার থাকে না তার ওপর নিজের 'ইচ্ছাটা' চাপাবেই। সবকিছুই চলে 'অর্থনীতি'র নীতি মেনে! আজকে যদি মধ্যপ্রাচ্য থেকে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়, দেখবেন কোথায় যাবে এইসব ধর্মপ্রাণদের ধর্মীয় বিশ্বাস। সুড়সুড় করে হয়তো দরকার হলে নিজেরাই শর্টস পড়ে অফিসে আসবে। ঐ টাকাই তাদের এমন উদ্ধত 'রাজনৈতিক ক্ষমতা' দিয়েছে যার ফলে বাংলাদেশে বসে নারী নীতি মালা নিয়ে হৈ চৈ করতে পারে আর আজকের যুগে মেয়েদের হিজাব পরে অফিসে আসতে বলে। আরিফ জেবতিক তো ঠিকই বলেছেন, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে মেয়েদের চাকরী করা বন্ধ করে দিলেই হয়? না তা করা যাবে না - আহা নারীহীন অমন মরুভূমিসদৃশ ব্যাংকে যদি যথেষ্ট ক্লায়েন্ট না আসে, তখন? সব বাবার বাবা যে টাকা, সেটার কি হবে?
তবে একটা কথা ঠিক, সবগুলোর মধ্যে ধর্ম হচ্ছে সবচাইতে নমণীয়, সবচাইতে বিস্ফোরক, আর সবচাইতে স্পর্শকাতর - অতএব এই ন্যাকামি চলবে, আরো বহুদিন।
আমরা জ্ঞানে বিজ্ঞানে এগিয়েছি আপনাকে কে বলল ?
-এনকিদু
সহমত স্নিগ্ধা আপুর সাথে ।
আমি একটু আগেই অনিকেত ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে লিখেছি, "আমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়েছি আপনাকে কে বলল"
আমরা বলতে যদি এখানে যারা আলোচনা করে তাদের কথা বলি না, পুরা দেশের কথা ধরলে তো আমরা এখনো প্রস্তর যুগেই আছি ।
আমরা যদি সত্যিই এগিয়ে যেতাম, এসব ঝামেলা আমাদের পোহাতে হত না । অন্তত ধর্ম নিয়ে না । আসলে সমস্যার মূলে তো ধর্ম না । ধর্ম কে ফুলিয়ে গ্যাস বেলুনের মত বড় করে আমাদের সামনে ছেড়ে দিয়েছে । সবাই ঐ গ্যাস বেলুন ফুটা করাতে আমাদের সব শক্তি খরচ করে ফেলছি । এটাকে strategy এর ভাষায় বলে "ডিকয়" ।
আমরা এদিকে ধর্ম-অধর্ম করে যুক্তি তর্কে সময় এবং শক্তি নষ্ট করছি, ওদিকে তারা আসল ইস্যু নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে । তারা যে কতদূর এগিয়েছে এখন একটু একটু করে হয়তো টের পাওয়া যাচ্ছে ।
- এনকিদু
আমি যাবতীয় ধর্মের বিরোধী। তবে তা কারুর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের পর্যায়ে থাকলে আপত্তির কিছু দেখি না। কিন্তু অসহনীয় মনে হয় ধর্মের উত্কট প্রকাশ, প্রচার এবং প্রসার।
আর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সীমানা ডিঙিয়ে ধর্ম প্রাতিষ্ঠানিক বা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করলেই অবধারিতভাবে হয়ে পড়ে ভয়ঙ্কর, ক্ষতিকর ও প্রগতিবিরোধী।
অসাধারণ বলেছেন অনিকেত:
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমাকে কি কেউ দয়া করে একটু বুঝিয়ে বলবেন-বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র কিংবা তার অন্তর্গত কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাম্প্রদায়িকতা ভিন্ন অন্য কোন কিছু আশা করার কোন সুযোগ আছে কিনা?
মুক্তিযুদ্ধ,ধর্মনিরপেক্ষতা,মানবতাবোধ,নাগরিক অধিকার,মানবাধিকার-এইসব একটু সরিয়ে রাখুন তো ।
যে রাষ্ট্রের অন্যতম মুলনীতি ' আল্লাহর উপর পুর্ন বিশ্বাস'-সেই রাষ্ট্র তো আদতে একটা মসজিদ-মাদ্রাসা ভিন্ন আর কিছু নয় । এ দেশের নাগরিক মানে তো আপনি এই মুলনীতিতে বিশ্বাস রাখেন,মানে হলো আপনি আল্লাহর উপর পুর্ন বিশ্বাস রাখেন, যিনি আল্লাহর উপর পূর্ন বিশ্বাস রাখেন তিনি ইসলামী পর্দাপুষিদা মানবেন,তিন কলিমা মুখস্থ তো রাখবেনই ।
আল্লাহ ভিন্ন ইশ্বর কিংবা গডে বিশ্বাস রেখে অথবা আদৌ কারো উপর বিশ্বাস না রেখে এই মহান মাতৃভূমির সন্তান দাবী করার কোন সুযোগ কি কারো আছে?
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমিও ঠিক এই কথাটাই বলতে চাচ্ছিলাম।
যেহেতু আমি রাষ্ট্রের মূলনীতিই বিশ্বাস করি না আমি তো নাগরিকই না। আর বাংলাদেশের মানুষকে যতটা অসাম্প্রদায়িক মনে করা হয় তার বেশির ভাগই মিথ। কালকে একটা ভোট নেন রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পরিবর্তনের; তাইলেই বুঝতে পারবেন।
স্নিগ্ধা'পু আর এনকিদু কিছু চমৎকার প্রসঙ্গের অবতারনা করেছেন।
প্রথমে স্নিগ্ধা'পু -র মন্তব্যের প্রসঙ্গে বলছি, আমি একমত আপনার সাথে যখন বলেন যে সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে অর্থনীতির নীতি দিয়ে। কিন্তু সেইটা কিন্তু শেষ কথা নয়।
অর্থনীতি নিয়ে আমার জ্ঞানের দৌড় খুবই সীমিত। কিন্তু আমার মনে হয় অর্থনীতি কিন্তু একটা সহায়ক মাধ্যম যার মধ্য দিয়ে মানুষ মানুষ কে শোষন করে। আসল সমস্যা আমাদের অন্যখানে।
আমাদের আসল সমস্যা হল আমাদের প্রবৃত্তিগত চরিত্র। John Locke যেমন বলেন যে আসলে মানুষ হল Blank Slate এর মত। আমরা জন্মাই শুদ্ধতম রূপে, স্লেটে কোন আঁচড় ছাড়াই। এরপর সমাজ পরিস্থিতি,পারিবারিক অবয়ব সব নানান আঁক কষতে থাকে আমাদের নিস্কলুষ স্লেটে। Steven Pinker এই নিয়ে একটা অসাধারন আলোচনা করেছেন তার Blank Slate বইটাতে।
অর্থনীতি আমাদের রন্ধ্রে প্রবেশের আগেই আমাদের স্লেটে দাগ পড়ে ধর্মের। আমার স্থির বিশ্বাস, ধর্ম মানুষের মনে প্রথম বিষের ফোটা ঢালে--- প্রথমেই তাকে জানায়, তুমি এই ধর্মের, তুমি অন্য ধর্মাবল্মবীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর। যে শিশু জন্মের পরেই জেনেছে যে সে মুসলমান এবং সে ছাড়া অন্য ধর্মের লোকেরা (তারা যত ভালোই হোক না কেন) বেহেস্তে যাবে না-----তার কাছ থেকে আমরা ভাল মানুষত্ব আশা করলে অন্যায় হবে। এইটা শুধু ইসলাম ধর্মে নয়, পৃথিবীর প্রধান তিনটি ধর্মের সাধারন গুননীয়ক। আমরা যত দিন না মানব ধর্ম কে আমাদের মুল ধর্মের স্থানে বসাতে পারব, তত দিন অর্থনীতি কেন, আরো হাজার নীতি বদলেও কিছু করা যাবে না।
এনকিদু'র প্রসঙ্গে আসি এই বার। আমরা জ্ঞানে - বিজ্ঞানে এগিয়েছি এইটা সত্যি কথা। কিন্তু জ্ঞানে বিজ্ঞানে এগুনো আর সংস্কারহীন মানুষ হওয়া ভিন্ন জিনিস। আমাদের আজকের বিশ্বের প্রযুক্তি পারঙ্গমতা দেখে কে বলবে যে এই খানে কোনো এক দেশে, যেখানে মানুষ শুধু টিকে থাকার জন্য লড়াই করে প্রতিদিন, সেই খানে কতিপয় শুকরযোনী দিন কাটায় অবিশ্বাস্য প্রাচুর্য্যে প্রগল্ভতায়।
আমার মনে হয় না ধর্ম নিয়ে কথা বলে আমরা সময় নষ্ট করছি। বরঞ্চ আমাদের আরো বেশি করে সচেতন হওয়া উচিত। মানুষ কে জানানো উচিৎ যে প্রথমে আমরা মানুষ--- তারপরে হিন্দু/মুসলমান/খ্রীষ্টান।
অনিকেত - আমি যা বোঝাতে চেয়েছি তা হলো - ধর্ম জিনিষটাকে শুধু বিশ্বাস দিয়ে (এখন আর অন্তঃত) ব্যখ্যা বা আলাদা করা যায় না। ধর্ম খুব ঘনিষ্ঠভাবে অর্থনীতির সাথে জড়িত। এখন যদি এমন পরিস্থিতি আসে যাতে জামাতের টাকা আসবে আরো liberal হলে তাহলে তারা তক্ষুণি তাই হবে। এরা - যারা ধর্মকে দৈনন্দিন আচারের বাইরে নিয়ে এসে রাজনীতি করে তারা আর যাই হোক 'ধর্ম'কে ভালোবেসে বা বিশ্বাস করে সেটা করে না - করে শুধুই নিজের স্বার্থোদ্ধারের জন্য।
ধর্ম আমাদের blank slate এ প্রথম দাগ কাটে হয়তো আমাদের উপমহাদেশে, সব দেশে/পরিবেশে কি কথাটা সত্যি? আজকে যে নিঊ ইয়র্কের হার্লেমে জন্মায় সে প্রথম তার গায়ের রঙের বিষ উপহার পায়, তুরস্কে কূর্দী হয়ে জন্মালে পায় তার এথনিসিটি'র।
ধর্ম নিয়ে কথা বলে আমরা অবশ্যই সময় নষ্ট করছি না। আমার বক্তব্য সেটা ছিলো না। এবং আমি তো বিশ্বাসই করি ধর্ম সবচেয়ে 'appealing' হাতিয়ার গুলোর একটা, কাজেই কথা কেন দরকার হলে চিৎকার করতে হবে
অথবা এইভাবে বলা যায়,বিক্রয়যোগ্য পণ্য হিসেবে ধর্মের উপযোগীতা আছে বলেই এরা ধর্মকে ব্যবহার করছে । উপযোগ হারালে দেখা যেতো ধর্মের বদলে অন্য কোন কমোডিটিকে এরা আঁকড়ে ধরেছে যার বাজারকাটতি আছে ।
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"মানা" আর "মানানো" এক নয় বলে।
আমার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার ধারনা ছিল শাহজালাল ব্যাংক করেছে ব্যবসার জন্য।
কিন্তু অনেকে যেভাবে সব দোষ ধর্মের বলেছেন তাতে এটাকেও এক ধরনের গোড়ামী মনে হয়েছে।
ধর্ম বেশীরভাগ সময়ই কোনো ক্ষতির কারণ হয় না। ধর্মের দোষও থাকে না তেমন, দোষটা থাকে ধর্মকে যে ব্যাখ্যা করছে আর ধর্মকে যে ব্যবহার করছে সেই মানুষের ভেতরে।
শাহজালাল ব্যাংকের লক্ষ্য ব্যবসাবিস্তার নয়, এমনও হতে পারে তাদের পরিচয়টা স্পষ্ট করে তোলা। নিজের মনোগ্রাম বানানোর মতো ব্যপার। বাংলাদেশে ব্যাংয়ের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ইসলামী ব্যংকের তালিকা দেখে কি বুঝা যায় বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে সুদবিরোধী এবং মুদারবাভিত্তিক ব্যংকিং জনপ্রিয় হয়েছে। এমন কি অন্য সকল তথাকথিত নিরপেক্ষ ব্যাংক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবার জন্য ইসলামী ব্যংকিং শাখা খুলেছে।
এখানে কোথাও আসলে ধর্মটা মূখ্য নয়, মূখ্য হলো এই ধর্মীয় পরিচয়ের আড়ালে থাকা ভোক্তার মনোরঞ্জনের প্রচেষ্টা। মূলত ব্যবসা সম্প্রসারণের নীতি কাজ করে এখানে।
তাই শাহজালাল আজ ফন্দি ধরলো তার ব্যবসার চরিত্র বদলাতে হবে, কাস্টমার কেয়ার আর ফ্রন্ট ডেস্কে মেয়েরাই উপযুক্ত তবে তাদের হিজাব কিংবা স্কার্ফ বেধে বসিয়ে রাখলে এটার ইসলামী চরিত্র প্রকাশিত হবে।
বিপননের কৌশল হিসেবে এই আরোপিত ধর্মীয় চিহ্ন প্রতিষ্ঠার প্রয়াসটা অনৈতিক মনে হয়েছে।
আজ সমকালে খবরটা কেউ খেয়াল করেছেন? সুনামগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামে নতুন এক বাংলা ভাই জন্ম নিয়েছে। স্কুলে মেয়েদের পর্দার নিয়ম বেধে দিয়েছে, আরো কী কী। এবং বরাবরের মতোই, প্রশাসন সর্বোত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
কলেমা জানা প্রশাসন থেকে আর কি আশা করা যায়?
মাফ করবেন, আমার নাম দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। হাসানাইন।
এতগুলো সমমনা লোককে একসাথে পেয়ে খুব ভাল লাগল । প্রথমেই ধন্যবাদ অপবাক কে ব্যাপারটা নতুন করে তুলে ধরার জন্য ।
নতুন করে আসলে বলার কিছু নেই, আপনারাই সব বলেছেন । হাসান মোরশেদ, পুরুজিত আপনাদের মতই আমারও প্রশ্ন যারা আল্লাহ ভিন্ন ঈশ্বর কিংবা গডে বিশ্বাস করে বা করেও না তাদের এই মহান মাতৃভূমির সন্তান দাবী করার কোন সুযোগ আছে কিনা ? রাষ্ট্রের মূলনীতি বলে নেই । এইটা কি আমাদের একটা বড় লজ্জ্বা নয় ? আমার কাছে ধর্মের সংজ্ঞা আলাদা, আমি সব সময় মনুষ্যত্বকেই বড় বলে জেনেছি, মেনেছি, অন্য বাদ বাকি যা তাকে 'ধর্ম' না বলে সংস্কৃতি বলেই জেনে এসেছি, যখন ভাল লেগেছে মেনেছি, অমানবিকতা দেখলেই থুথু দিয়েছি । কিন্তু এখন রাষ্ট্রই যদি কোন নির্দিষ্ট একটা 'ধর্ম' চাপিয়ে দেয় তাহলে শাহজালাল ব্যাঙ্ক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকেই বা দোষ দেই কেন ? রাষ্ট্রের এই ধর্ম নিয়ে জোরাজুরি সন্ন্যাসীদার কথামত সবচাইতে উৎকট প্রকাশ নয় কি ? সবকিছু দেখে দ্রোহী জেবতিক ভাইদের মতই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ি, বাজে কথা চলে আসে মুখে ।
ভাল লাগল অনিকেত স্নিগ্ধা এনকিদু অয়নের -এর মন্তব্যগুলো । ধর্ম আর অর্থনীতি সব দেশে সব জায়গাতেই খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত । হাসান মোরশেদ বলেছেন
সহমত ।
ভাল লাগল s_s , আলমগীরের মন্তব্য আর বিশ্লেষণ । সবাই ভাল থাকবেন ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সত্যি অপবাক... কী বিচিত্র এই দেশ...!
অথচ আমরা বিশ্বাস করি আমরা মধ্যযুগ পেরিয়েছি অনেক আগে, বাস করছি ২০০৮-এ... হা হা হা! কী হাস্যকর বিশ্বাস!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নতুন মন্তব্য করুন