কোন একদিন

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৪/২০০৯ - ১০:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০.
ইলেকট্রিসিটি নেই। পুরো ঘর অন্ধকার করে বসে আছি। ল্যাপটপের মনিটর থেকে ভেসে আসা সামান্য আলোটুকু অন্ধকার দূর করতে যথেষ্ট নয় বলেই মনে হচ্ছে। জানালাটা বন্ধ। শুধু পর্দা সরানো আছে। বাইরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। কে জানে বৃষ্টি আসবে হয়ত, অথবা ঝড়। চারপাশ কেমন অবিশ্বাস্যরকম নিস্তব্ধ। অন্যান্য দিন বাইরে থেকে নানান রকম হট্টগোলের শব্দ ভেসে আসে। আজ তেমন কিছুই শোনা যাচ্ছে না। অনেকক্ষণ বাদে বাদে একটা দুটো রিকশার টুংটাং, অথবা কোন মোটর সাইকেলের হুঁস করে ছুটে যাওয়া, পিপ পিপ হর্ণ। তবে সেসব শব্দ তেমন জোরালোভাবে কানে আসে না অন্য দিনগুলোর মতো। কারণ ঘর জুড়ে ছড়িয়ে আছে 'সাইলেন্ট ইনভোকেশন'-এর বাঁশীর কান্না। বিষাদের সুর। মনের গভীরে অদৃশ্য কোন স্থান ছুঁয়ে যায় তা। বিষণ্ণ করে দেয়। আলো জ্বালতে ইচ্ছে করে না আর। বরং ইচ্ছে করে এই অন্ধকারের সাথে মিশে যেতে। ক্ষনিকের জন্য শ্মশানঘাটের নীরবতা নেমে আসে চারপাশে। সব ছাপিয়ে হঠাৎ করেই যেন নিঃশ্বাসের শব্দটা জোরালো ঠেকে নিজের কানেই। কী অদ্ভুত এই বেঁচে থাকা!

১.
সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হয়েছিল আজকের দিনটা খুব ভাল যাবে। কেমন অদ্ভুত এক মন ভাল করা অনুভূতি। খুব সচরাচর হয় না এমনটা। গত সন্ধ্যার মুষলধারে বৃষ্টির সুবাদে আজকের সকালটা ছিল একদম অন্যরকম। অনেক পরিষ্কার, অনেক প্রাণবন্ত। বাতাসে অযাচিত ধূলোর বাড়াবাড়ি ছিল না, রাস্তায় ছিল না থকথকে কাদা। এমনকি অন্যান্য দিনের মতো পেছন থেকে কোন রিকশা বা অফিসের যাত্রীবাহী গাড়ির পাশ কাটানোর প্রতিযোগিতা অথবা রাস্তা জুড়ে খুব সকালেই জীবনসংগ্রামে নেমে পড়া শ্রমজীবী মানুষের ঢলও ছিল না। বৃষ্টিতে ভিজে গাছের পাতাগুলো চকচক করছিল। দেখতে অনেক আরাম বোধ হচ্ছিল। গা-জুড়ানো ঠান্ডা বাতাস গায়ে স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে যাচ্ছিল। কেন যেন বারবার মনে হচ্ছিল আজকের দিনটা ভীষণ অন্যরকম। আজকের দিনটা অনেক ভাল কাটবে। অনেক ভাল। অনেক বেশি ভাল।

২.
সকালের শুরুর ভাগটা কেটে গেল স্বাভাবিক নিয়মে। শরীর খারাপ ছিল জন্য আগের দিন অফিস করিনি। টানা চারদিন বিরতির পর অফিসে যাওয়ার পথে আলস্য বাসা বাঁধছিল শরীরের আনাচে কানাচে। অফিসে পৌঁছে সিড়ি বেয়ে পাঁচতলায় উঠতে গিয়ে হাপিয়ে উঠি সামান্য। জমে থাকা সব কাজের তালিকা গুছিয়ে নিয়ে দেখি নষ্ট করার মতো বেশ খানিকটা সময় আছে হাতে। কী একটা ফোরাম সাইটে ঢুকে ওদের সদস্য হওয়ার জন্য কম-ব্যবহৃত একটা ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সারতেই একটা নোটিফিকেশন পাই যে, ওরা সেই অ্যাড্রেসে একটা অ্যাক্টিভেশন মেইল পাঠিয়েছে, যেটা আমাকে সেই মেইলে পাঠানো লিংক ধরে গিয়ে অ্যাপ্রুভ করতে হবে। প্রায় মাসখানেকের ব্যবধানে মেইল অ্যাকাউন্টটা ওপেন করতেই দেখি বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় মেইলের পাশাপাশি একজনের পাঠানো দুটো মেইল এসেছে। দেখেই আমার ভ্রু কুঁচকে গেল। কারণ একটা মেইলের সাবজেক্ট লাইন দেখেই বোঝা গেল ভেতরে ভাল কোন কথা লেখা নেই। আর যে পাঠিয়েছে, সে আমার তেমন পরিচিত কেউ নয়। আমার পরিচিত একজনের পরিচিত – যাদের দুজনের কাউকেই আমি কখনো দেখিনি, কখনো কথা হয়নি। তবে যোগাযোগ হয়েছে আগেও। সেই ফোরাম সাইট থেকে পাঠানো মেইলটা ওপেন করে লিংকটা অ্যাপ্রুভ করলাম। এরপর জাঙ্ক মেইলগুলো ডিলিট করে সেই একজনের মেইল দুটো ওপেন করলাম। প্রথমটা মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাঠানো, দ্বিতীয়টা তার প্রায় দিন দশেক পর। প্রথম মেইল ওপেন করে দেখি সেই একই পুরনো কথা, একই পুরনো অনুরোধ। দ্রুত চোখ বুলিয়ে বের হয়ে যাই। সাবজেক্ট লাইনটা দেখার পর দ্বিতীয় মেইলটা ওপেন করার ইচ্ছে যদিও ছিল না, তারপরও করলাম। পড়লাম। এবং অদ্ভুত ব্যাপার হলো, রাগ বা মেজাজ খারাপ করার কথা থাকলেও, কেন যেন আমার ভেতর তেমন কোন অনুভূতিই জাগল না। বরং এর বদলে মনে হলো মেইলটা তার নিজেরই মানসিক সুস্থতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছিল যেন। কয়েক মুহুর্ত চুপ করে ভাবলাম। এরপর 'চোখের বদলে চোখ' নীতির বিরূদ্ধে গিয়ে খুব ঠান্ডা মেজাজে মেইলের জবাবটা দিলাম। কতক্ষণই বা লাগল, পাঁচ মিনিট, বা সাত মিনিট। এরপর মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট করে আমি চেয়ারে হেলান দিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম একটা। না স্বস্তির, না হতাশার। এবং হঠাৎ করেই আমার কিউবিকলের পাশে কোন জানালা না থাকায় খুব খারাপ লাগতে লাগল। ছোট্ট একটা জানালা, আর তার বুকে লেপ্টে থাকা বিশাল একটা আকাশের প্রতিচ্ছবি দেখার অভাবটা প্রচন্ডভাবে অনুভব করতে লাগলাম।

৩.
বিকালে হঠাৎ করে আইএম-এ খুব পরিচিত একজন টোকা দিয়ে জানতে চাইল ব্যস্ত আছি নাকি। আগে বেশ অনেক কথা হতো তার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে, কেন যেন একটা ছেদ পড়েছিল মাঝে। দীর্ঘবিরতির পর তার দেখা পেয়ে আমি ব্যস্ততা সত্ত্বেও সাথে সাথেই জবাব দেই। মজার ছলে বলা নানান কথার এক পর্যায়ে বুঝতে পারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কে জানে সে হয়ত বিরক্ত হয়, অথবা বিরক্ত হই আমি। মোটামুটি দীর্ঘ সময়ের কথা শেষে মনে হলো কথা না হওয়াটাই বুঝি ভাল ছিল। মনটা তেতো হয়ে গেল, যখন মনে হলো বারবার তার মুখোমুখি হতে হবে আমাকে এই বিরক্তির অনুভূতি সাথে নিয়ে। ঝোঁকের মাথায় মাঝে মাঝে এত বাজেরকম ভুল করে ফেলি যে পরে নিজেকেই দোষারোপ করি শুধু। কিন্তু জীবনের অদ্ভুত নিয়মের ফেরে পড়ে ভুলগুলো শোধরানোর কোন সুযোগ পাওয়া যায় না। পেছনে গিয়ে সেই সময়গুলো মুছে ফেলে নতুন করে রচনাও করা যায় না। শুধু দীর্ঘশ্বাস চেপে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এমন ভুল দ্বিতীয়বার না করার। তবে হাস্যকর হলেও সত্য, আমি যেমন জানি, তেমনি আমার সেই সিদ্ধান্তও জানে, এই ভুল আমরা শুধু দ্বিতীয়বার না, বারবার করব। করতেই থাকব।

৪.
অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে চুপচাপ গাড়িতে বসে রইলাম। কথা বলতে ইচ্ছে করছিল না কারো সাথেই। তারপরও মাঝে মাঝে অন্যদের কথায় অংশগ্রহণ করতে হচ্ছিল। মুখে স্বভাবজাত হাসিটা ঝুলিয়ে রেখেই টুকরো কথায় জবাব দিয়ে যাচ্ছিলাম। অনেকটা দূর যাওয়ার পর, সামনে বসা সহকর্মী গাড়ির বাইরে আমাদের পুরনো এক সহকর্মীকে দেখতে পেয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে সেটা জানান দিলেন। সাথে সাথে পকেট থেকে মোবাইল বের করে তাঁকে ফোনও করলেন। রাস্তা পার হবার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। একটা সময় অনেক কাছের একজন মানুষ ছিলেন। এখনও আছেন। তবে যোগাযোগ কম হয় এখন। অবশ্য মাত্র এই গতকালই ফোন করেছিলেন। তিনি অফিস ছেড়ে যাওয়ার পর বছরখানেক হয়ে গেছে প্রায়। সামনাসামনি দেখা হয়নি আর কখনো। তবে কথা হয়েছে, মেইলে যোগাযোগ হয়েছে অনেকবারই। কর্মক্ষেত্রের ছোট গন্ডীর সুবাদে বেশ অনেকবার দেখা হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল, তবে সামান্য সময়ের হেরফেরে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। ততক্ষণে আমার পাশ থেকে, সামনে থেকে বাকিদের দেখলাম বেশ উৎসাহের সাথে হাত নেড়ে তাঁর মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে। আমি কেন যেন নিরাসক্তভাবে বসে রইলাম। তাকিয়ে থাকলাম হাতের মোবাইলের ফাঁকা স্ক্রীনটার দিকে। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেই হয়ত গাড়ির ভেতর থেকে বাইরে দেখতে পেতাম তাঁকে। কিন্তু মনে হলো, কী দরকার, থাক না! দেখা তো একসময় হবেই। এত তাড়াতাড়ি হওয়ার দরকারটাই বা কী!

৫.
গাড়ি যখন আমাকে নামানোর নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছুল, তখন বেশ অন্ধকার হয়ে গেছে। চুপচাপ নেমে গেলাম। নামতেই গায়ে হালকা বৃষ্টির ফোঁটা পড়ল একটা। মুখ তুলে আকাশের দিকে একবার দেখার চেষ্টা করি। তারাহীন আকাশের অন্ধকারটাই চোখে পড়ে শুধু। সে অন্ধকার বৃষ্টির সাথে চারপাশে ঝরে পড়ছিল যেন। হাঁটতে হাঁটতে বাসার অন্ধকার গলিমুখে পা দিতেই বৃষ্টির বেগ সামান্য বাড়ল মনে হলো। তবে তখনও তা টিপ টিপ করেই ঝরছিল। অনুভব করলাম এ বৃষ্টি গা ভেজানোর জন্য যথেষ্ট না হোক, মন ভেজানোর জন্য যথেষ্ট।


কয়েক সহস্র শতাব্দী আগের কোন একদিনের ঘটনা।


মন্তব্য

শাহান এর ছবি

একটানে পড়ে ফেল্লাম ... কিন্তু মাথার উপর দিয়া গেছে খাইছে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে শাহান যে! কী সৌভাগ্য। এইটাই তো মনে হয় তোমার প্রথম কমেন্ট আমার কোন পোস্টে খাইছে

একটানে যে পড়সো, সেইটাই অনেক। তবে, খালি কমেন্ট করলেই হবে? নিজে লেখা শুরু করবা কবে? হাসি

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আরে লিখবে লিখবে ... ডেলাওয়ারে গিয়া পৌছাক, অনিকেতদাকে দায়িত্ব দিয়ে দিব ওকে সকাল বিকাল রদ্দা মেরে লেখা বের করার দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

শাহান এর ছবি

পোলাপান খারাপ রেগে টং .... দেশ ছাড়ার কথা মনে করায় দেয় খালি ...

ওহে বিডিআর জওয়ান, আমার দৌড় কমেন্ট করা পর্যন্তই ... আইলসামি করে একটা নিকও নিতে পারলাম না এখনো, আর আমি দিব পোস্ট !!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শেষ পর্যন্ত শাহানও "স্বপ্নের দেশে" পাড়ি জমাচ্ছ! দেঁতো হাসি
আগেই শুনসি অবশ্য।

নিজে আলসেমি কাটাবা নাকি অনিকেত'দার রদ্দা খাবা, সেইটা তোমার বিবেচনা। হা হা। তবে আমি তোমার জায়গায় থাকলে এক্ষুণি একটা অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতাম 'শাহান' নামেই খাইছে

দ্রোহী এর ছবি

"স্বপ্নের দেশ"! আয়া পড়ুক। তারপর টেরটা পাবে স্বপ্নের দেশ নাকি স্বপ্নদোষের দেশ!


রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে

শাহান এর ছবি

আমি আসার আগেই বুঝে গেছি মন খারাপ ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তাইলে যায়ো না দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@ দ্রোহী ভাই
আহারে, আপনের অবস্থা দেইখা খুব কষ্ট লাগতেসে দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@কিংকং

সেইটাই ভাল। নাইলে ওর আলসেমি কাটবে না দেঁতো হাসি

রায়হান আবীর এর ছবি

দুই, তিন, চার মাথার লেভেলে ছিল। আরগুলা জাস্ট উপ্রে ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বাকিগুলা মাথার উপ্রে গেল কেন বুঝলাম না ইয়ে, মানে...

'আইএম মানুষ' আজ বার্গার, কেক খাওয়াইসে দেঁতো হাসি

'দুই' নাম্বারটা বুদ্ধিমান মানুষদের জন্য। কারো কারো বোঝার কথা খাইছে

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সবই মাথার ভেতর তো ঢুকছেই। কিছু কিছু আবার অন্তরের ঠিক মাঝখানে গিয়ে আঘাত করল।

ঃ(
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাসি

কিন্তু তোমার তো এই পোস্ট পড়ার কথা ছিল না... চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সবার মাথার উপর দিয়ে যায় দেখা যাচ্ছে। একটু হিন্টস দেই তাইলে খাইছে

'০' হলো 'কোন একদিনে'র রাত (ধরা যাক, লেখার সময়)।

এরপর সরাসরি পেছনে গেছি...
'১' হলো 'কোন একদিনে'র সকাল।
'২' হলো অফিস পর্ব (সকাল)।
'৩' হলো অফিস পর্ব (বিকাল)।
'৪' হলো অফিস শেষে বাসায় ফেরার সময়।
'৫' হলো সন্ধ্যা।

সময়কাল সম্পর্কে এইবারও না বুঝায়া থাকতে পারলে, সেইটা আমার মহা-ব্যর্থতা। হাসি

রায়হান আবীর এর ছবি

বুঝলাম। আপনি অফিস করেন :-B

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হে হে হে।
এই তো বুঝসো দেখি দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

@প্রহরী ভাই
আজকাল নিজের লেখার জন্য গাইড বই বের করছেন নাকি খাইছে


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গাইড বই না, চোথা খাইছে

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

বিষন্ন আলোর পড়ন্ত বেলায়....

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাসি

সবজান্তা এর ছবি

সাইলেন্ট ইনভোকেশন শোনা হয় নি। ইস্নিপসে হাই কোয়ালিটিতে আপ করার জন্য ধন্যবাদ খাইছে

লেখাটার মধ্যে চড়া সুরে বিষণ্ণতা বাঁধা আছে, যাকে আমি বলি নাগরিক বিষণ্ণতা। টিনের চালের ঢেউ-এর মাঝে জল জমে থাকে বৃষ্টির, সেই বৃষ্টির জল সারাদিন ধরে টুপটুপ করে ঝরে পড়ে- নাগরিক বিষণ্ণতাগুলিও এমনভাবেই অনবরত ঝরে পড়তে থাকে।

আরো লেখা পড়ার প্রত্যাশায় থাকলাম।


অলমিতি বিস্তারেণ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ব্যাপার না। শুনে দেইখেন, ভাল লাগবে হয়ত হাসি

লেখার মধ্যে ইচ্ছা কইরাই কয়েক বালতি বিষণ্ণতা ঢালসি। খাইছে
'নাগরিক বিষণ্ণতা' - টার্মটা জোস লাগল।

অনেক থ্যাংকু আপনারে।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

ঝোঁকের মাথায় মাঝে মাঝে এত বাজেরকম ভুল করে ফেলি যে পরে নিজেকেই দোষারোপ করি শুধু। কিন্তু জীবনের অদ্ভুত নিয়মের ফেরে পড়ে ভুলগুলো শোধরানোর কোন সুযোগ পাওয়া যায় না। পেছনে গিয়ে সেই সময়গুলো মুছে ফেলে নতুন করে রচনাও করা যায় না। শুধু দীর্ঘশ্বাস চেপে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এমন ভুল দ্বিতীয়বার না করার। তবে হাস্যকর হলেও সত্য, আমি যেমন জানি, তেমনি আমার সেই সিদ্ধান্তও জানে, এই ভুল আমরা শুধু দ্বিতীয়বার না, বারবার করব। করতেই থাকব।

হুম.........

এনকিদু এর ছবি

আবার কয় ! বার বার ভুল না করলে আবার বড় হওয়া যায় নাকি ?

লেখা ভালৈছে । যদিও নিজের ভেতরের খবর সব ভেতরেই রেখেদিলেন । একে ওকে তাকে জাতীয় সর্বনাম পদ দিয়েই খেলা সারা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিক বলসেন কদু ভাই। এইজন্যই আমি বেশি বেশি ভুল করতে চাই, যাতে তাড়াতাড়ি বড় হইতে পারি দেঁতো হাসি

মূল ঘটনা সবই বলসি, খালি কিছু পাত্রপাত্রীর নাম ছাড়া। সর্বনাম দিয়ে সারতে হইল, কারণ... বোঝেনই তো... হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@অনিন্দিতা আপু

কমন পড়ে গেল নাকি এই অংশটুকু? খাইছে

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

হুম...
চারপাশে এরকম উপলব্ধির লোকজনকে দেখিতো তাই কমন পড়ে গেল। হা.হা.হা.
ইমোটিকন দিতে পারি না।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দেঁতো হাসি

ইমোটিকন কীভাবে দিবেন, সেটা এখানে দেখতে পারেন।

নিবিড় এর ছবি

তা শরীর টরীর ভালতো আজকাল??? তাইতো বলি সচলে দেখিনা কেন আপ্নেরে। আর দেইখেন এই শরীর নিয়ে কার সাথে লেকের হাওয়া বাতাস খাইতে যাইয়েন না আবার খাইছে

অফটপিকঃ লেখা পড়ে মনে হল ছেলে বড় হয়ে গেছে আজেবাজে চিন্তা করে আজকাল, বিয়ে দেওয়া লাগবে চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শরীর খারাপ ছিল রে ভাই, এখন ভালই আছি। তুমি মিয়া যেভাবে আজকাল লেক দখল করে রাখসো, তাতে করে কী আর ওদিকে যাওয়ার উপায় আছে কারো? চোখ টিপি

অফটপিক:
তোমার কুমতলব বুঝে গেছি। মুহাহাহাহা...

নিবিড় এর ছবি

সব ভাল কথায় মতলব খোজা ঠিক না রেগে টং আমিতো বললাম মেয়ে যদি তার বোনের মত সুন্দর হয় তাইলে রাজী হয়ে যান চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হে 'বিলম্বে প্রস্ফুটিত' নিবিড়, মতলব আর কই খুঁজলাম! চোখ টিপি

তবে-

(১)ছেলে (২)বড় (৩)হয়ে (৪)গেছে (৫)আজেবাজে (৬)চিন্তা (৭)করে (৮)আজকাল, (৯)বিয়ে (১০)দেওয়া (১১)লাগবে

(১)মেয়ে (২)যদি (৩)তার (৪)বোনের (৫)মত (৬)সুন্দর (৭)হয় (৮)তাইলে (৯)রাজী (১০)হয়ে (১১)যান

মানলাম দুইটা বাক্যেই ১১টা করে শব্দ আছে, তাই বলে কি দুইটার অর্থ এক? "আমিতো বললাম" বলে যেভাবে স্টেটমেন্ট দিলা... দেঁতো হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

চমৎকার লেখা, অতন্দ্র প্রহরী! কিন্তু, নিরাসক্তি তোমাকে মানায় না যে!

তোমার 'কোন একদিন' আমারও যে কোন একদিন হতে পারে। একইরকমই সব, আমরা সবাই ......

'সাইলেন্ট ইনভোকেশনের' জন্য অনেক, অনেক, অনেএএএক ধন্যবাদ হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংকু থ্যাংকু। এই তো স্নিগ্ধাপু, একমাত্র আপনিই বুঝলেন। এরকম 'কোন একদিন' আমাদের যে কারো জীবনে যে কোন সময় আসতে পারে। আনন্দ, নিরাসক্তি - সব মিলিয়েই তো আমরা মানুষ, আমাদের জীবন।

আর 'কোন একদিন' নিরাসক্ত ছিলাম জন্য অন্য সময় যে আনন্দ করি না, তা না কিন্তু। বরং বেশিরভাগ দিনই আনন্দেই কাটাই দেঁতো হাসি

'সাইলেন্ট ইনভোকেশন' শুনে দেখেন, আশা করি ভাল লাগবে। এ.আর. রহমানের মিউজিক। আমার ভীষণ পছন্দের হাসি

বিপ্রতীপ এর ছবি

আপনার ৩. এর সাথে আমার বর্তমান সময়টুকু অনেকখানি খুব মিলে যাচ্ছে... ইনস্ট্রুমেন্টালের জন্য ধন্যবাদ...ভালো থাকুন...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে আমাদের প্রায় সবার জীবনের ঘটনাবলীই কম-বেশি একইরকম।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন আপনিও। হাসি

অনিকেত এর ছবি

আমার রোগটা কি শেষ পর্যন্ত সকলকে ধরেই ফেলল???

সবাই কে কী আমার পই পই করে বলে দিতে হবে যে আমি সচলের একমাত্র অফিসিয়াল 'বিষাদের পয়গম্বর'--??!! এই গরীবের একমাত্র সম্বল,'বিষাদের পয়গম্বর' তকমাটার প্রতি বাদবাকী সকলের এ হেন নির্লজ্জ আগ্রাসনের আমি তীব্র 'পেতিবাদ' ও 'দিক্কার' জানাচ্ছি।

আসলেই ছেলেগুলোর হলোটা কী???

সেদিন পরিবর্তনশীল লিখল একটা ভীষন মর্মস্পর্শী লেখা---তুমুল মন খারাপ হল--
আজ প্রহরী লিখল আরেকটা---ছোট ছোট এইসব ছেলেমানুষ, অথচ কী ভীষন তাদের বিপন্নতাবোধ,কী অতলান্তিক গভীর তাদের বেদনাবোধ---!!!

মনটা বড়ই খারাপ হল---

এই ছোট ছোট অল্প বয়েসী ছেলেমানুষদের কেন এমন কষ্টের লেখা লিখতে হবে?? তাদের জীবন তো হবার কথা ছিল আমার জীবনের উল্টো---তাদের হবার কথা ছিল আমার আপন 'নিখিলেশ', যার সাথে জীবন বদলে নেবার স্বপ্ন আমাকে বাঁচিয়ে রাখত----

যদি পারতাম তোমাদের দুঃখ গুলো আমি সব নিয়ে নিতাম---দুঃখে আমাকেই শুধু ভাল মানায়---তোমরা এখনো রয়ে গেছ জীবনের উজ্জ্বল প্রান্তে---কেন তোমাদের হাসি মলিন হবে---

এক কাজ করো---তোমাদের দুঃখ-কষ্ট-বিষন্নতা একটা কৌটোয় ভরে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও----আমি সেগুলো যত্নে আগলে রাখব--

কথা দিচ্ছি, যখন তোমরা আসলেই দুঃখের সাথে ঘর করার পরিস্থিতিতে আসবে---আমি তোমাদের কৌটো গুলো ফেরৎ দেব----

শুধু এখন মন খারাপ কোর না তোমরা--প্লীইইইজ------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

স্যরি অনিকেত'দা, আপনার মন খারাপ করে দিয়েছি জেনে এখন আসলেই খারাপ লাগছে। তবে এটাকে কিন্তু আমি 'রোগ' ভাবি না। বরং এটাই স্বাভাবিক যে, একজন মানুষের জীবনে হাসি-দুঃখ-কষ্ট-আনন্দ সবই থাকবে। তবেই না সে পূর্ণাঙ্গ মানুষ। যারা সবসময় অনুভূতির একপিঠ নিয়েই মেতে থাকতে চায়, সেটাই তো রোগের লক্ষণ। কোন দুঃখই নেই, এমন একটা মানুষও কি আমরা চাইলে খুঁজে পাব? যারা কষ্ট পায়, কেবল তারাই তো আনন্দকে পুরোপুরি উপভোগ করতে পারে।

অধিকাংশ দিনই কিন্তু বেশ আনন্দেই কাটাই। আনন্দের সংজ্ঞা যদিও নিজের মতো করে বদলে নিয়েছি। তাই মাঝে মাঝে কোন কোন একদিন আমার যখন মন খারাপ থাকে, খুব খারাপ লাগে, তখন সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত হই না মোটেও, সেটাই আমার কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়।

আর নিজেদের দুঃখ-কষ্ট-বিষণ্ণতার বোঝা আপনার উপর চাপাতে চাই না। তারচেয়েও বড় কথা, ওগুলো দিয়ে দিলে নিজেকে 'পূর্ণাঙ্গ মানুষ' মনে হবে না যে আর খাইছে

তবে চিন্তা করবেন না ভাইয়া, আপনার 'বিষাদের পয়গম্বর' খেতাব ছিনিয়ে নেয়া দূরে থাকুক, সে চেষ্টা করার ধৃষ্টতা দেখাতে চাই না। দেঁতো হাসি

আপনার মন্তব্য পেয়ে যে কী ভাল লেগেছে, বোঝাতে পারব না তা। অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য। হাসি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

যারা সবসময় অনুভূতির একপিঠ নিয়েই মেতে থাকতে চায়, সেটাই তো রোগের লক্ষণ।

আমি অনুভূতির একপিঠ (সেটি সুখ ও আনন্দের) নিয়েই মেতে থাকতে চাই সব সময়। পারি কি না, সম্ভব কি না - সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। তবে চাই, এতে কোনও সন্দেহই নেই।

বুঝতেই পারছেন, নিরাময়াতীত রোগে আক্রান্ত এক রুগী আমি মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আবারও ভুল করে মিসটেক করে ফেলসি দেঁতো হাসি

আসলে আমরা সবাইই তো আনন্দে থাকতে চাই, খুশিতে থাকতে চাই, সুখী হতে চাই। শখ করে কে-ই বা কষ্টে থাকতে চায় বলুন। মন্তব্যে যেটা বলতে চেয়েছি (কিন্তু ঠিকমতো লিখতে পারিনি) তা হলো, কেউ কেউ আছে যারা কষ্ট-টষ্ট পায় ঠিকই, বিষণ্ণতায় আক্রান্তও হয়, কিন্তু সেটা নিজের ভেতর রাখে, প্রকাশ করে না, বরং হাসিখুশি ভাব প্রকাশ করতে চায় সবসময়। আমি এটার কথাই বলেছি যে 'রোগের লক্ষণ'। সুখ যেমন মানবিক অনুভূতি, কষ্টও তেমনি। তাই কোনোটা প্রকাশেই দ্বিধা থাকা উচিত নয়। হাসি

আপনি একজন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম মানুষ। সবসময় ফূর্তিতে থাকেন। আপনাকে দেখলে মাঝে মাঝে খুব জোশ পাওয়া যায়। আপনার রোগটা ছোঁয়াচে হলে খুব ভাল হতো, না? হাসি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

শখ করে কে-ই বা কষ্টে থাকতে চায় বলুন।

বহুত আছে এমন পাবলিক চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমিও চিনি এমন কয়টা নাম বলেন না শুনি দেঁতো হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আইসিলাম, যাইগা... কী সব কয় না কয়...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দেঁতো হাসি

'সাইলেন্ট ইনভোকেশন' অন্তত শুনে যাও। যারা লেখা পড়বে না, তাদের জন্যই তো বিকল্প হিসাবে ইনস্ট্রুমেন্টাল দেওয়া চোখ টিপি

বাউলিআনা [অতিথি] এর ছবি

আপনার ব্লগ পড়ে একটু মন খারাপ হৈছিল।
'সাইলেন্ট ইনভোকেশন' শুনে মন আরো খারাপ..
মনের আর দোষ কী..আমরা যে সব বিষন্ন বিলাসী।
মন খারাপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মন খারাপ করে দেয়া উদ্দেশ্য ছিল না। দুঃখিত মন খারাপ

তবে ঠিকই বলসেন, ভেতরে-ভেতরে আমাদের সবারই একআধটু বিষণ্ণতার বিলাস আছে। আর, বাঁশীর সুর সবসময়ই মনটা কেমন যেন উদাস করে দেয়...

মন্তব্যের জন্য চরম ধন্যবাদ হাসি

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

গতকালই ভাবছিলাম আপনাকে গুঁতাবো লেখাটেখা দেবার জন্য। তারপর ভাবলাম না থাক। পোলাটা সময় পাইলে ঠিকই লেখা দিবে। আজ কি সৌভাগ্য লেখা পেয়ে গেলাম। তবে মনডা দেখি খারাপ খারাপ কইরা বইসা আছেন !
------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংকু বাচ্চা ভূঁত। কিন্তু মন খারাপ না তো, ঠিকই আছে। লেখাটা তো 'কয়েক সহস্র শতাব্দী' আগের। হা হা হা। কে জানে, আপনার কোনো পূর্বপুরুষ হয়ত বলতে পারবে এ সম্পর্কে। খোঁজ নিয়েন চোখ টিপি

আপনারে আজকাল দেখা যায় না কেন? পড়াশুনা নিয়ে বেশি ব্যস্ত নাকি?

মুশফিকা মুমু এর ছবি

লেখা ঠিক বুঝলাম না তবে, বোঝানোর দরকার নাই, আন্দাজ করতে পারছি একটু একটু মনেহয়, পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল মন খারাপ আর "টাইম হিলস এভ্রিথিং" কথাটা ১০০% সত্যি।
বাশি আমার এত্ত এত্ত এত্ত প্রিয়, কি যে অসাধারণ লাগে, সাউন্ডটা একদম হার্টে গিয়ে লাগে। দারুন লাগল সাইলেন্ট ইনভোকেশন।
আর হাসি খুশি থাকার চেষ্টা কর মন খারাপ করে এই ছোট লাইফটা নষ্ট করার কি দরকার!
পি এস - "বাদে" শব্দটা ময়মনসিংহের, তুমি ময়মনসিংহের নাকি?

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সময় আসলেই সব ভুলিয়ে দেয়, অথবা প্রশমিত করে। কথাটা ভীষণরকম সত্য।

'সাইলেন্ট ইনভোকেশন' ভাল লাগসে জেনে খুব ভাল লাগল। আর, লাইফ ছোট কই, আমার কাছে তো মনে হয় লাইফটা বিশাল! দেঁতো হাসি

আমি ময়মনসিংহের না। জীবনের দীর্ঘ একটা সময় পাবনায়, আর নাতিদীর্ঘ সময় বগুড়াতে কাটাইসি। তারপর থেকে ঢাকায়। কিন্তু আমার কথায় কোনো এলাকারই কোনো আঞ্চলিক টান নাই। কোনো এলাকার প্রচলিত শব্দের প্রভাবও তেমন একটা নাই। মন খারাপ

স্পর্শ এর ছবি

হুম মন ভালো নেই মনে হচ্ছে!

আজেবাজে ফোরামের মেম্বার হতে গেলে এইসব মেইল তো পাবেই! চোখ টিপি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চিন্তা নাই, মন ভাল অবস্থায়ই লেখা পোস্ট করসি, কারণ ঘটনাবলী পুরাতন। আর আমার মন খারাপ হইলেও বেশিক্ষণ খারাপ থাকে না খাইছে

তুমিই তো ফোরামের মেম্বার হওয়ার জন্য বললা, লিংক পাঠাইলা। সেজন্যই না এতকিছু ঝামেলা। সব দোষ তোমার। চোখ টিপি

কনফুসিয়াস এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংকু কনফু ভাই হাসি

স্বপ্নাহত এর ছবি

আমি বুদ্ধিমান বালক। তাই মনে হয় বেশ কয়েকটা পয়েন্ট ধরতে পারসি দেঁতো হাসি

বিডিআর ভাই, মন খারাপ কৈরেন্না। মন খারাপ কৈরা কি লাভ বলেন। মর্তে তো হবেই।

৫ নাম্বারটা কি পিলখানা কেইস এ ধরা পড়ার পরের অনুভূতি নাকি? খাইছে

লেখাটা খুউউব সুইট হইসে।

---------------------------------

তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিকই বলসো হে বুদ্ধিমান বালক, মর্তে তো একদিন হবেই। দুইদিনের দুনিয়া। খাইছে

হ, পাঁচ নাম্বারটা ধরা পড়ার পরের অনুভূতি। কিন্তু তুমি বুঝলা ক্যাম্নে? চোখ টিপি

থেংক্যু। লইজ্জা লাগে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইসব পোলাপানরে ধইরা মাইর দেওন দর্কার... এদের জীবনে ক্যান আনন্দ নাই? খালি বিষাদ কেন?
এদের বয়সে তো আমার জীবনে ফূর্তি ছাড়া কিছু ছিলো না...
এখনো নাই... কারন আমি এখনো সেই বয়সেই রয়ে গেছি... দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার ব-e'তে ফোটুক দিতে পারতেসি না, সেইজন্যই তো এতো বিষাদ মন খারাপ

আপনার তো পঁচিশেই বয়স স্টিকি হয়ে গেছে, আমারটা এখনো হয় নাই, বিভিন্ন সংখ্যার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতেসে, দেখা যাক কোনটাতে শেষ পর্যন্ত গিয়ে থামে খাইছে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কয়েক সহস্র শতাব্দী আগের কোন একদিনের ঘটনা।

সব সময়ই ধারণা করতাম, আপনার বয়স আমার চাইতে অনেক বেশি। আজ নিশ্চিত হলাম। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হ্যালো ইয়াং ম্যান, আপনার ধারণা সঠিক প্রমাণিত হওয়ায় নিশ্চয়ই আপনি খুব আনন্দিত। এইবার কী খাওয়াবেন বলেন, অথবা কিছু ইউরো দেন দেঁতো হাসি

তানবীরা এর ছবি

পরিপাকের গন্ডগোল হলে এসব ভাবের উদয় হয় লোকের মনে। এন্টাসিডে কাজ হতে পারে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মূলত পাঠক এর ছবি

খাঁটি কথা, বেটারে এক বোতল ডাইজিন গিলাও কেউ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তানবীরাপুর মতো আপনিও এসব নিয়মিত সেবন করে হাতেনাতে ফল পেয়েছেন?! চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@ তানবীরাপু

এতদিন নানানজনে নানান বুদ্ধি-পরামর্শ দিতো, কিন্তু কোনোটাতেই কাজ হইত না। এই প্রথম একজন 'নিয়মিত ব্যবহারকারী'র পরামর্শ পাইলাম, আশা করি এতে নিশ্চয়ই কাজ হবে খাইছে

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সবাই দেখি আমার মত হতাশ...
প্রহরী ভাই কি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার নাকি ?? !!!

-------------------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নারে ভাই, আর্জেন্টিনার সমর্থক না। তবে 'হতাশা' কেসে কাছাকাছিই আছি, কারণ (হাইসেন না কিন্তু) আমি ইংল্যান্ডের সমর্থক দেঁতো হাসি

অভ্রনীল এর ছবি

আইলাম, পড়লাম, গেলামগা... ঢুকসিলাম মন ভালা নিয়া বাইর হইতাসি মেজাজ খারাপ নিয়া... খামাখা মন খারাপি কথাবার্তা লিখার মানে কি!! বিয়ার সাধ জাগছে নাকি?? মুরুব্বীরা কয় বিয়ার শখ হইলে নাকি পোলাপাইন ক্যামন ম্যাদায় যায়...তখন এই সব মন খারাপি কথাবার্তা মন থেকে বাইর হয়... তোমারও কি সে দশা চলতেসে??

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তোমার না মেজাজ খারাপ হইতেসিল, তাও পুরা লেখা পড়সো! তোমার সমস্যা কী ম্যাক, কও তো! হো হো হো

যাই হোক, আমার দশা তো দশ-দশ মিনিটে পাল্টায়। তাই কোন দশা যে চলতেসে, তা কীভবে বলি? খাইছে

অভ্রনীল এর ছবি

তোমার বিয়া খাইতে মঞ্চায়!! কতদিন তোমার বিয়া খাইনা!! দেঁতো হাসি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কতদিন তো তোমার নিজের বিয়াও খাও না! চোখ টিপি

এপ্রিলের শেষে নাকি বিয়া করতে দেশে আসবা শুনলাম। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেসি দেঁতো হাসি

অভ্রনীল এর ছবি

"এপ্রিলের শেষে নাকি বিয়া করতে দেশে আসবা শুনলাম।"
ক্যান দেশে কি তোমাগো বাজার দর কইমা গ্যাছে?? তোমরা শেষ হইলে তারপর না আমাগো রোল কল করা হইবো... কত এপ্রিল আসবে যাবে...

"অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেসি"
বড়ই আমোদ পাইলাম... অপেক্ষা তো আমিও করতেসি... 'অপেক্ষা' কতদিন লম্বা হইতে পারে তার কোন ডেফিনিট লিমিট আমার হাতে নাই... দেঁতো হাসি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে, বুঝলা না। তোমার একটু দাম বাড়াইতে চাইলাম, তুমি নিজেই নিজের দাম কমাইলা। এখন 'প্রবাসী পাত্র' হিসাবে তোমার আলাদা একটা দাম আছে না? চোখ টিপি
তবে তুমি যখন মানবাই না, ঠিকাছে, কি আর করা খাইছে

চিন্তা কইরো না। গুরুজনেরা বলেন, 'অপেক্ষার ফল সবসময় মিষ্টি হয়'। দেঁতো হাসি

অভ্রনীল এর ছবি

গরীবের আবার দাম!! দুঃখের মাঝেও হাসি আসলো।।।

তুমি নিজের বিয়া অন্যদিকে ঘুরাও কেন?? কবে করতাসো সেইটা কও।

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বিয়া করলে খবর অবশ্যই পাবা, চিন্তা কইরো না। কিন্তু তোমারে যে কোত্থাও দেখা যাচ্ছে না আজকাল। বড়োই চিন্তায় পড়ে গেলাম চিন্তিত

আলাভোলা এর ছবি

বস, বিয়া করেন। দেঁতো হাসি
--
আমার এই দেশেতে জন্ম, যেন এই দেশেতেই মরি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দেঁতো হাসি

ভোলু'দা, গুপী বাঘার গানের খাতা 'চার'-এর পর থামাইলেন কেন? পরেরগুলা কই? আর, অন্য লেখাও তো লিখতেসেন না।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তা তো বস করবই, কিন্তু আপাতত তো ওইটা 'ডেথ বেড উইশ' হিসাবে রাইখা দিসিলাম দেঁতো হাসি

তবে আপনি যে বিয়া করার প্রস্তুতি হিসাবে আজকাল রোদে ঘোরাঘুরি বন্ধ করে দিসেন, এইটা কিন্তু কাউকে বলিনি চোখ টিপি

দ্রোহী এর ছবি

'তার' কারটা ছিঁড়লো বুঝলাম না!

আমিও কই, ও বিডু ভাই - বিয়া করেন।


রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খিক খিক।

কিন্তু বস, আর যার কাছ থেকেই হোক, আপনার কাছ থেকে অন্তত বিয়া করার পরামর্শ আশা করি নাই মন খারাপ

আপনি তাড়াতাড়ি সব ঝামেলা শেষ করে লেখা ছাড়েন তো...

রানা মেহের এর ছবি

অপ্র
তুমি কি পথ হারাইয়াছো?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

স্নিগ্ধা এর ছবি

হ্যা, রানা - হারাইয়াছে, বেশ তালকানার মতোই হারাইয়াছে দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পথ হারাইনি, নিজেকে হারাইয়াছি দেঁতো হাসি

আপনার আরেকটা মেইল পাওনা আছে আমার কাছ থেকে হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@রাপ্পু

'আমি পথ হারাই না। পথ তৈরি করে নেই।'
একটু ভাব নিলাম আর কি দেঁতো হাসি

এইটা কিন্তু এপ্রিল মাস। এই মাসে আপনার করণীয় কাজের তালিকাটা আরেকবার ঝালিয়ে নেন। চোখ টিপি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এবং হঠাৎ করেই আমার কিউবিকলের পাশে কোন জানালা না থাকায় খুব খারাপ লাগতে লাগল। ছোট্ট একটা জানালা, আর তার বুকে লেপ্টে থাকা বিশাল একটা আকাশের প্রতিচ্ছবি দেখার অভাবটা প্রচন্ডভাবে অনুভব করতে লাগলাম।

সুন্দর লিখেছেন। বেশ অন্যরকম, মন-কেমন-ক'রে-দেয়া সুন্দর!
তবে, সবচেয়ে দুর্দান্ত হয়েছে এন্ডনোট-টা। হাসি

একান্ত ব্যক্তিগত দিনক্ষণ ব'লে গেলেন, তবু কী ভীষণ মিলে মিলে যায় ব্যাপারগুলো-
ওই অন্ধকার, ওই ভুল, ওই নিরাসক্তি, আরো কতো কী!
কিউবিকলের পাশে জানলার মতোই আরেকটা বড় অভাব থেকে যাবে আমরণ- সেটা হলো Ctrl + z.
জীবনে আনডান হওয়ার অপশন আছে শুধু, নিজের কিছু আনডু করার অপশন কারো হাতেই বুঝি নাই! অসহায়তাই মানুষ-জীবনের মূলসুর বুঝি!
ভুলগুলো শুধরানো হবে না। পিছনে যাওয়া যাবে, সহস্র শতাব্দী পিছনেও, তবু তা শুধরানোর জন্য নয় মোটে, বড়জোর যাওয়া যাবে ভুলগুলো আরো একবার ভুগে আসবার জন্য। মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লইজ্জা লাগে

তাহলে জুনিয়র কপিরাইটারের চাকরিটা কি পাচ্ছি? চোখ টিপি

অসংখ্য ধন্যবাদ সাইফুল ভাই, মোটামুটি পুরনো হয়ে যাওয়া লেখা বের করে পড়ে তাতে কমেন্ট করার জন্য। সত্যি বলতে কি, একদম শেষ লাইনটাই মাথায় এসেছিল সবার আগে। যখন বাসায় ফিরছিলাম, তখন হঠাৎ করেই এসে গেল। তারপর বাসায় গিয়ে, ওই একটা লাইন লিখতে গিয়ে পুরো পোস্ট জুড়ে আবোল-তাবোল লেখা। হাসি

আসলে নির্দিষ্ট একটা পর্যায়ে গিয়ে আমাদের সবার জীবনেই কিছু কিছু জিনিস প্রকটভাবে 'কমন' পড়ে যায়। আর এরকম 'কোন একদিন' কিন্তু যে কারুর জীবনেই আসতে পারে, যে কোন সময়েই, উপরেও মনে হয় বলা হয়েছে এটা।

'কন্ট্রোল+জেড'-এর অভাবটা বোধহয় আজীবন থেকেই যাবে। শেষ কথাগুলো খুবই ঠিক বলেছেন। তবে ভুলগুলো শুধরাতে পারলে কতোই না ভাল হতো। নিজের জন্য খুশির কথা, ইদানিং আমি যে কোন ভুল মোটামুটি স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করে ফেলতে পারি।

আপনাকে আরেকবার ধন্যবাদ। অনেক ভাল থাকুন। দেখা/কথা হবে। হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ওক্কে। হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পড়ছিলাম।
কমেন্টায়ে গেলাম চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এহ্ হে, দেরি করে ফেললাম। আমার বদভ্যাস হলো, নিজের ব্লগে ঢুঁ মারা হয় না নিয়মিত, তাই মন্তব্য দেরিতে দেখলাম মন খারাপ

যাই হোক, পড়ছেন এবং কমেন্টাইছেন জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।