আইসিটির বিচারকের স্কাইপ কথাবার্তা হ্যাকিং কীভাবে হতে পারে? - একটি কারিগরি বিশ্লেষণ

রাগিব এর ছবি
লিখেছেন রাগিব (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/১২/২০১২ - ১:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান নিজামুল হক এবং যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপের আলোচনা গোপনে রেকর্ড করে নানা মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই কথাবার্তায় বিচার বিঘ্নকারী কিছু ছিলো কিনা তা অন্য ব্যাপার, কিন্তু এর পরিণামে বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এই হ্যাকিং এর ঘটনাটি কীভাবে ঘটতে পারে, তা নিয়ে আলোকপাত করার জন্যই আমার এই লেখাটির অবতারণা।

আসলে কী ঘটেছে, তা জানতে হলে এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট দুইজনের কম্পিউটারে ফরেন্সিক এনালাইসিস বা ময়না তদন্ত করা দরকার ছিলো, কিন্তু সম্ভবত রিইন্স্টল বা রিফরম্যাটিং এর কবলে পড়ে বিচারপতি হকের কম্পিউটার এখন সাফ, তাই সেটা থেকে আসল ঘটনা বোঝার উপায় আর নাই। দেখা যাক, কী হতে পারে।

স্কাইপ কীভাবে কাজ করে?

স্কাইপ একটি ইন্টারনেট ভয়েস মেসেঞ্জার সফটওয়ার। অর্থাৎ এটি দিয়ে দুইজন ইউজার ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলতে পারেন।

স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলার সময়ে যোগাযোগটা কীভাবে হয় সেটা দেখা যাক, ধরা যাক করিম ও রহিম কথা বলছেন। করিমের মাইক্রোফোন থেকে অডিওকে খণ্ড খণ্ড করে স্কাইপ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেটের ভিতর দিয়ে রহিমের কম্পিউটারের স্কাইপের কাছে পাঠাবে। করিমের কম্পিউটার থেকে প্রথমে করিমের নেটওয়ার্ক কানেকশন দিয়ে যাবে তার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার বা আইএসপির কাছে, সেখান থেকে নানা রাউটার ও সার্ভার হয়ে রহিমের আইএসপি, এবং সেখান থেকে রহিমের কম্পিউটারে।

এই কথায় কীভাবে আড়ি পাতা যায়?

আড়ি পাতার জায়গা হতে পারে নিম্নরূপ (আমরা একটু পরেই দেখবো এর মধ্যে কোন কোনটি আসলে কাজ করবেনা)

  1. করিমের কম্পিউটার
  2. করিমের আইএসপি
  3. মধ্যবর্তি কোনো সার্ভার
  4. রহিমের আইএসপি
  5. রহিমের কম্পিউটার

মাঝপথে আড়ি পাতা বন্ধ করার জন্য স্কাইপ এর মধ্যেই এনক্রিপশনের ব্যবস্থা আছে। ফলে করিমের অডিওটি করিমের কম্পিউটার থেকে নেটওয়ার্কে পাঠানোর আগেই ওটাকে এনক্রিপ্ট করা হয়। স্কাইপ প্রতিটি ভয়েস কলের জন্য আলাদা এনক্রিপশন কী ব্যবহার করে। ২৫৬ বিটের AES এনক্রিপশন ব্যবহার করা হয়, যা অত্যন্ত শক্ত এনক্রিপশন। ফলে সেটা ভাঙা ও কথা বের করে ফেলা সম্ভব না। আর প্রতি কলে নতুন কী ব্যবহার করায় পুরানো এনক্রিপশন ব্রেক করে ফেললেও নতুন কলের অডিও পাওয়া সম্ভব না। আর এক মেশিন থেকে লগিন করে অন্য মেশিনে বলা কথাবার্তার হদিস পাওয়াও সম্ভব না।

ফলে করিমের কম্পিউটারে স্কাইপ থেকে বেরুনোর পয়েন্ট থেকে রহিমের কম্পিউটারে স্কাইপে ঢোকা পর্যন্ত অডিওটি নিরাপদে আছে বলেই ধরে নিতে পারি। তাহলে বাকি কী থাকে? করিমের ও রহিমের কম্পিউটার।

খুব সহজেই এখন আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারি, জনাব নিজামুল হক ও আহমেদ জিয়াউদ্দিন, এদের দুইজনের কারো কম্পিউটারে স্পাই সফ্টওয়ার বসানো হয়েছে। সেটা হতে পারে স্কাইপের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া স্পাই প্লাগিন, অথবা কম্পিউটারের নানা জিনিষ রেকর্ড করতে থাকা স্পাইওয়ার, যা অডিও রেকর্ড করেছে।

কম্পিউটার কীভাবে হ্যাক হতে পারে?

বুয়েটে যখন পড়তাম বছর দশেক আগে, আমরা তখন সদ্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার শিখছি। হলে তার টাঙিয়ে বিশাল ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক গড়এ তোলা হয়েছিলো, গেইম খেলা, ভিডিও দেখা এসব চলত সারাক্ষণ। এসবে বোরড হয়ে গিয়ে এক সময় কেউ কেউ শুরু করলো অন্যের কম্পিউটার দখল করে ফেলা। সেটার জন্য ভিক্টিমের কম্পিউটারে স্পাইওয়ার বসানো হয়েছিলো নানাভাবে। কোনো ছবির নাম করে একটি টোপ বানানো হতো, নেটওয়ার্ক ব্রাউজ করার সময়ে ভিকটিম সেই টোপে ক্লিক একবার করলেই তার কম্পিউটারে সেই স্পাইওয়ার চালু হয়ে যেতো, আর তখন কম্পিউটারের অডিও, ভিডিও, ফাইল, কীবোর্ড, মাউজ, সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ এসে যেতো হ্যাকারের হাতে। অবশ্য সিডি ড্রাইভ খোলা বাধা বা এরকম মজার কাজ ছাড়া আর তেমন কিছুই করেনি কেউ। কিন্তু চাইলেই পারতো, স্ক্রিনের ভিডিও নিতে, অডিও রেকর্ড করতে, সব ফাইল কপি করতে, পাসওয়ার্ড রেকর্ড করে চুরি করতে। উদাহরণটা বললাম, স্পাই ওয়ার কতটা শক্তিশালী তা বোঝাবার জন্য। ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, বিচারপতি নিজামুল হকের কম্পিউটারটিই হ্যাক হয়েছে। যেহেতু উনার ইমেইলও চুরি হয়েছে, জিমেইলের পাসওয়ার্ডও বেহাত হয়েছে, তাই বোঝা যায় এটি কেবল স্কাইপেই না, পুরা কম্পিউটারের দখল নেয়া এক বা একাধিক স্পাইওয়ার।

স্কাইপ যেভাবে কাজ করে তাতে করে শুধু স্কাইপের পাসওয়ার্ড চুরি হলে অন্যত্র বসে কেউ স্কাইপের কথাবার্তা চুরি করতে পারবেনা, বড়জোর স্কাইপের কনটাক্ট লিস্টটা পেতে পারে। কাজেই বিচারপতি নিজামুল হকের কম্পিউটারে স্পাইওয়ার বসানো হয়েছে, যা ওখান থেকে অডিও রেকর্ড করেছে, করার পরে ফাইলগুলা ট্রান্সফার করেছে হ্যাকারের কাছে, এবং এর পাশাপাশি কী-স্ট্রোক লগিং করে উনার সব পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে, কপি করে নিয়েছে কম্পিউটারে থাকা সব ফাইল।

কম্পিউটারে স্পাইওয়ার কীভাবে ঢুকতে পারে?

সম্ভাবনা বেশ কয়েকটি।

(১) ইমেইল - ইমেইলে ই-কার্ডের নাম করে স্পাইওয়ারের টোপ পাঠানো হতে পারে। বয়স্ক অনেকেই সব ইমেইলই খুলেন এবং ক্লিক হিয়ার দেখলেই ক্লিক করে ফেলেন। আক্রান্ত হতে এরকম এটাচমেন্ট বিশিষ্ট ইমেইলে একটা ক্লিকই যথেষ্ট।

(২) আক্রান্ত ফাইল - ওয়ার্ড ফাইলের মধ্যে স্পাইওয়ার বাগ এমবেড করে দেয়া হতে পারে। ফলে সেই ফাইলটি খুললেই কম্পিউটারে স্পাইওয়ার ঢুকতে পারে।

(৩) ইউএসবি পেন ড্রাইভ - উনার অফিসের কেউ উনার অগোচরে ঐ কম্পিউটারে পেন ড্রাইভে করে স্পাইওয়ার ভরে দিতে পারে। পিওন, কর্মচারী এমন যে কেউ ১ মিনিট সময় পেলেই এটা করতে পারে।

(৪) কম্পিউটার সাপ্লায়ার - কম্পিউটারটা কোথা থেকে কেনা? কে ওটাকে সফ্টওয়ার ইন্স্টল/সার্ভিসিং করেছে? এরা যে কেউ ওখানে ভরে রাখতে পারে এরকম কোন স্পাইওয়ার।
আসলে কী হয়েছে তা জানতে হলে বিচারপতি হকের কম্পিউটারটিতে ফরেন্সিক এনালাইসিস করা দরকার ছিলো। জানিনা এখনো সেটা সম্ভব কি না।

স্পাইওয়ার হতে সাবধান

বর্তমান ও ভবিষ্যতের যুদ্ধগুলা হবে সাইবারস্পেসে। বিচারপতি নিজামুলের কম্পিউটার হ্যাক হওয়াটা একটা নমুনা মাত্র। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের নানা কম্পিউটারে আক্রমণ চালানো Gauss ও Flame ম্যালওয়ার আসলে গোয়েন্দাগিরির কাজটাই করেছে, কম্পিউটারের ক্যামেরা, মাইক এসব ব্যবহার করে রেকর্ড করেছে সবকিছু। আর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার উপরে হামলা চালানো StuxNet ম্যালওয়ার তো আরেক কাঠি সরেস, একটি গুলিও খরচ না করে পারমাণবিক স্থাপনাগুলাকে কয়েক মাসের জন্য অচল করে দিয়েছে কেবল কন্ট্রোল সিস্টেমের দখল নিয়েই। স্পাইওয়ার থেকে বাঁচতে হলে খুব সহজ কিছু তরিকা আছে - ভালো নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম, যেমন লিনাক্স ব্যবহার করুন, যেখানে সেখানে ক্লিক করবেন না, ইমেইলের এটাচমেন্ট পেলেই ক্লিক করবেন না, পাইরেটেড সফ্টওয়ার ব্যবহার করবেন না, আর যাকে তাকে কম্পিউটার ধরতে দিবেন না, পেন ড্রাইভ খুব সাবধানে স্ক্যান করে তবেই ব্যবহার করবেন।

বিস্তারিত জানতে হলে দেখুন

  • স্কাইপের নিরপেক্ষ সিকিউরিটি এনালাইসিস। এখানে স্কাইপের সিকিউরিটি ও এনক্রিপশন কীভাবে কাজ করে তার উপরে আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে। লিংক - http://download.skype.com/share/security/2005-031%20security%20evaluation.pdf
  • স্কাইপের নানা অংশের সিকিউরিটি এবং বিভিন্ন সময়ে বের হওয়া নানা সমস্যার তালিকা এখানে http://en.wikipedia.org/wiki/Skype_security#Implementation_and_protocols


মন্তব্য

রাগিব এর ছবি

কৈফিয়ত - দ্রুত লেখা, সন্ধ্যায় সময় পেলে ছবিসহ আপডেট করবো।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অবনীল এর ছবি

অত্যন্ত দরকারী একটা পোস্ট। ধন্যবাদ রাগীব ভাইকে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-এর সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে কম্পিউটার নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি সরকার এদিকে নজর দেবে শীঘ্রি।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

তমাল এর ছবি

রাগিব,
তাহলে এন্টিভাইরাস এর কাজ কি? ওই ব্যাটা স্পাইওয়্যার ধরতে পারে না, টাকাগুলা কি গচ্চা যাচ্ছে? এন্টিভাইরাস কোনটা ব্যবহার করা উচিত? তোমার পরামর্শ কি?
তমাল

সজল এর ছবি

ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, অ্যাডওয়্যার, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি একেকটার কাজ একেকরকম। তাই অ্যান্টিভাইরাস কিন্তু স্পাইওয়্যার ধরতে পারার কথা না। তবে সাধারণত যেসব ইন্টারনেট সিকিওরিটি স্যুট/ট্যুল কিনতে পাওয়া যায় এরা এইসব এক বা একাধিক জিনিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রাগিব এর ছবি

স্পাইওয়ার তখনই কোনো এন্টি ভাইরাস ধরতে পারে যখন তার ভাইরাস ডেফিনিশন ফাইল নিয়মিত আপডেট করা হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মেশিনে বছরখানেকের পুরানো ভাইরাস ডেফিনিশন থাকে, ফলে একেবারে লেটেস্ট ভার্শনের স্পাইওয়ার দিয়ে সেটা ধরা কঠিন হয়।

আর একবার স্পাইওয়ার চালু হলে সেটা এন্টিভাইরাসকে অনেক ক্ষেত্রেই ডিজেবল করে দেয়।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কাজের লেখা। জামাত-শিবিরের প্রোপাগান্ডা রুখতেই হবে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই লেখাটা খুব দরকার ছিল রাগীব। চলুক
দুজনের যে কোন একজনের কম্পিউটার স্পাইওয়ারের কবলে পড়েছে অথবা তাদের আশপাশের কেউ অকাজটা করে গেছে মাসের পর মাস।। বাংলাদেশে সরকারী লোকজনের প্রযুক্তি দুর্বলতা প্রকট। হয়তো যে ছেলেটা বিচারপতির কম্পিউটার মেনটেনেন্সের কাজ করে, সেই জামাত শিবিরের চর। মোদ্দাকথা হলো আশেপাশের কেউ অবশ্যই জড়িত। বাংলাদেশে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ন লোকের কম্পিউটার ইতিমধ্যে হ্যাকড হয়ে বসে আছে হয়তো। এই পোষ্টটা তাদের পড়া আবশ্যক।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রাগিব এর ছবি

ঘটনা যা বুঝলাম, হ্যাকিং শুরু হয়েছে সেই জুন-জুলাই মাস থেকে। এই কম্পিউটারে ফিজিকাল এক্সেস আছে এমন কেউ সম্ভবত এই কাজ করেছে। হতে পারে, এটা আইসিটির এডমিন, অথবা হতে পারে এইটা মেরামতের দোকানের কারো করা। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই রকম আর কয়জনের কম্পিউটার হ্যাক হয়েছে। নানা মন্ত্রীর এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কম্পিউটারেও এদের হাত থাকলে এখন আর অবাক হবোনা।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

হিমু এর ছবি

রাগিব ভাই, টাইমলাইন অনুমান করা একটু মুশকিল। পত্রিকা পড়ে যা জানলাম, মেহেদী মাসুদ নামে একজন জাস্টিস হকের কম্পিউটার দেখাশোনা করতেন। তিনি দেখেছেন, কিছু বিদেশী আইপি থেকে জাস্টিস হকের ইমেইল অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করা হয়েছে। এখন আপনি যদি ডিসেম্বর মাসেও ঢোকেন, তারপরও কিন্তু জুন-জুলাইয়ের ইমেইল খুলে দেখা বা কপি করে রাখা সম্ভব।

আমার দেশ আর ইকোনমিস্ট কিছু অংশ প্রকাশ করেছে। কিন্তু অপ্রকাশিত আরো অনেক কিছু তাদের হাতে থেকে যাওয়া সম্ভব।

রাগিব এর ছবি

কিন্তু অডিও রেকর্ড হয়েছে আগস্ট ২৭ থেকে, তাই না?

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

হিমু এর ছবি

ফাঁস করেছে হয়তো আগস্ট ২৭ এ ধারণ করা অংশ থেকে শুরু করে। তারও আগে থেকে যে হ্যাক করেনি, সেটা জানার উপায় আপাতত নেই, সেটাই বলছিলাম আর কি।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

খুব দরকারী লেখা


_____________________
Give Her Freedom!

দ্রোহী এর ছবি

যে দেশে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় নিরপরাধ মানুষ কুপিয়ে মেরে ফেলা বৈধ সে দেশে যে হ্যাকিংয়ের বৈধতা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠবে না সেটা ধরে নেয়াই স্বাভাবিক ব্যাপার।

অবশ্য কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল প্রযুক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করার মত সভ্য জাতি আমরা এখনো হয়ে উঠতে পারিনি। আমরা এখনো দশ হাজার বছর আগের ছোট লাঠি, মোটা লাঠি, শক্ত লাঠি প্রযুক্তিতেই রয়ে গেছি।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক
ধন্যবাদ রাগিব ভাই।

দীপ্ত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুঁটিনাটি অনেক কিছু পরিষ্কার হল।
সরকার কি এই অন্তর্ঘাতের বিরুদ্ধে তৎপরতা দেখায় কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক
খুব প্রয়োজনীয় একটি লেখা। ধন্যবাদ রাগিব ভাই।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাফি এর ছবি

প্রথমে ভেবেছিলাম যে ম্যান ইন দ্যা মিডল এটাক হতে পারে। এখন দেখি এত সফিস্টেকেড কিছুনা, সর্ষের মধ্যেই ভুত। আর তাছাড়া এটা করা কোন ব্যাপার ও না। রাগিব ভাই কয়েকটা সম্ভাবনা বলেছেন। আমি কয়েকটা যোগ করার চেষ্টা করি -

১। কম্পিউটার সার্ভিস ম্যান হতে পারে।

২। অনেক বাসাতেই দারোয়ান/কাজের মানুষ থাকেন। বেশ কিছুদিন নজর লাগলে এমন একটা সময় পাওয়া সম্ভব যখন বাসায় কেউ থাকেনা। তখন এদের কাউকে হাত করে কম্পিউটারে ছোট্ট স্পাইওয়্যারটা প্ল্যান্ট করা সম্ভব।

৩। অথবা বাসায় অতিথি হিসেবে কেউ এসে, ৫মিনিটের জন্য ইমেল চেক করার অজুহাতে কম্পিউটারে বসতে পারলেই হবে।

৪। তবে সবচেয়ে সহজ হচ্ছে ঐ কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর কাছে ইমেইলের মাধ্যমে এটাচমেন্ট পাঠানো।

৫। বাসায় যদি পাড়ার ব্রডব্যান্ড কানেকশন থাকে, তাহলে তাদের হাত করে তাদের সার্ভারে বসেও প্ল্যান্ট করা সহজ।

৬। ইমেইল স্পুফিং এর মাধ্যমে পরিচিত কারোর ইমেইল আইডি ব্যবহার করে জরুরী ফাইল পাঠানোর নাম করে। বলা যায়না খোদ জিয়াউদ্দিন সাহেবের নাম ধরেই এরকম ইমেইল পাঠানো সম্ভব।

অমি_বন্যা এর ছবি

সময়োপযোগী লেখা। চলুক

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে সংশ্লিষ্ট সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের তো তাহলে ভয়াবহ অবস্থা। কার কম্পিউটার হ্যাক হয়ে বসে আছে, কতদিন ধরে কে জানে। এ ঘটনা হ্যাকারদের সাথে সংশ্লিষ্টরা প্রকাশ করছে বলে আক্রান্ত ব্যক্তি ও অন্যরা জানতে পারছি। অন্যান্য ক্ষেত্রে কী করণীয়?

পথিক পরাণ এর ছবি

খুবই প্রয়োজনীয় লেখা। চলুক
না জানি আরও কতজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কম্পিউটার এভাবে হ্যাকড হয়ে আছে অথচ তারা জানতেই পারছেন না!!

একটা বিষয়ে পরামর্শ চাইছি। ধরা যাক কারো কম্পিউটারে একটা ইমেইল এটাচম্যান্ট বা অন্য কোন উপায়ে একটা স্পাইওয়্যার প্লান্ট করে ফেলেছে।

১। এখন ঐ কম্পিউটার ব্যবহারকারী কি কি উপায়ে এধরণের স্পাইওয়্যারের অস্তিত্ব বুঝতে পারবেন?

২। বুঝতে পারার পর অথবা স্পাইওয়্যার থাকতে পারে, এমন সন্দেহ হবার পর কি কি উপায়ে তা থেকে কম্পিউটারকে মুক্ত করা যেতে পারে? (রিফরম্যাটিং একটা উপায় হতে পারে। লিনাক্স ব্যবহার করার কথা আপনার লেখায় আছে। আমি এর বাইরে আরও কোন উপায় থাকলে তা জানার আগ্রহ থেকে বলছি।)

পথিক এর ছবি

বাংলাদেশ এ বর্তমান এ অনেক এথিকাল (দাবি করে) এবং আন-এথিকাল হ্যাকার গ্রুপ আসে। তাদের কাজ-এ কখন কখন দেশপ্রেম এর পরিচয় পাওয়া যায়। এই জন্য সরকার ও সাধারনত কিছু বলে নাই(কিনবা বলার জজ্ঞতা ছিল না)।
এবং আমাদের অন্নেক বাংলাদেশি ওয়েব সাইট তারা বিদেশি হাক্যার দের কাছ থেকে রক্ষা করসে। অন্নেক বাবশায়ি রাও তাদের উপর কৃতজ্ঞ।
কিন্তু বাংলাদেশ এর সাইবার স্পেস রক্ষা এর জন্য সরকারি ভাবে আই রকম আক্রমন এই প্রথম। এই সকল এথিকাল এবং আন-এথিকাল হ্যাঁকার গ্রুপ কে নিয়ে কি সরকার এর ভাবার সময় আসছে ? যদিও রাগিব ভাই এর পোস্ট থেকে স্পষ্ট যে এই খানে এই সব হ্যাকার দের সম্প্রিক্ততা নাই। এটা হয়তো কি-লগার বা অই জাতিও কিছু কিন্তু প্রসঙ্গ বশত যদি রাগিব ভাই কিছু বলেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।