একজোড়া কাকের গল্প

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০১/০৯/২০১৪ - ৫:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


খুব ছোটবেলায় একটা কাকের বাচ্চা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম নানা বাড়ির বাঁশবাগানে। এতটুকু বাচ্চা মাটিতে পড়ল কীভাবে? কেউ বলল, চিলে নিয়ে যাচ্ছিল, মাঝপথে মাটিতে পড়ে যায়। কেউ বলল, ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে গেছে। দুটো কথায় তখন বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু এখন সেদিনের কথা ভাবতে বসলে অত সরলভাবে মেনে নিতে পারিনে। চিলে কোনো পাখির ছানা চুরি করলে তা আকাশের মাঝপথে ফসকানোর সম্ভাবনা খুবই কম। তাছাড়া চিলের নখ বিঁধে যাওয়ার কথা ছানাটার গায়ে। কিন্তু ছানাটার গায়ে নখের আঁচড়টিও ছিল না। ঝড়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রেও তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ বাঁশবাগানে, জমাট ঝোপ-জঙ্গলের ভেতর শেয়াল গুইসাপ, বেজির মতো মাংসভোজি প্রাণীর অভাব ছিল না! কীভাবে তাহলে ছানাটা আমার হাতে পৌঁছেছিল তা এক রহস্যই।
ছানাটা আমি পুষতে চেয়েছিলোম। কিন্তু বেচারী বোধহয় আমার ওপর খুব অভিমান করেছিল। একটা দানাও মুখে তোলেনি। শেষে তিন-চারদিন পর ক্ষুদার চোটেই মারা যায়। এরপর কাকদের সংস্পর্শে তেমন যাইনি। কিন্তু শহরে লেখাপড়া করতে আসার পর দেখতে পাই কাকদের আসল চেহারা। যশোর ক্যান্টোনমেন্টের গাছাগাছালিতে অজস্র কাকের আড্ডা। ভোর হতেই না হতেই শহরে হানা দিত কাকগুলো। ডাস্টবিনই তাদের সবচেয়ে কৌতূহলের বিষয়। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কা- করত ওরা--ভীষণ মার দিতে ইচ্ছে করত। রান্নাঘর থেকে মাছ মাংস-ডিম চুরি যেত প্রায়ই। গায়ে, মাথায় টয়লেট করার কথা না-ই বা বললাম। সবচেয়ে জঘন্য ব্যাপার হতো যখন টিউবওয়েলের মাথায় বসে ব্যারেলের ভেতর টয়লেট করত। কয়েকদিন পর্যন্ত পানি খাওয়া যেত না।
কাকের চুরির বিষয়টা এখনও আমার কাছে রহস্যময় লাগে। পায়রাঘর থেকে প্রায় ডিম চুরি হতো। জানতাম কাকে করে, কিন্তু বিশ্বাস করতে মন চাইত না। কারণ ডিমের খোসা পাওয়া যেত না আশপাশে। তারমানে কাক ডিম খায়নি, চুরি করে পালিয়েছে। কিন্তু নিল কীভাবে। কাকের নখরের ভেতর পায়রায় ডিম আঁটবে না। ঠোঁটে করেই বা নেবে কীভাবে? কিন্তু একদিন সত্যি সত্যিই তাজ্জব করে দিল এক কাক। দেখলাম অপূর্ব ভঙ্গিমায় সে পায়রার ডিম দুই ঠোঁটের ফাঁকে ধরে নিয়ে পালাচ্ছে। ভেবেছিলাম পিছলে ডিমটা পড়ে যাবে। কিন্তু পড়ল না।
কাক অত্যন্ত সামাজিক প্রাণী। না ভাই, হাসির কিছু নেই। মানুষের সাথে যতই অসামাজিক আচরণ করুক, নিজেদের ভেতর ওদের ভীষণ রকমের ভাতৃত্ববোধ আছে। কতবার দেখেছি কোথাও একটা কাক মরলে শতশত কাক এসে সেখানে জড়ো হয়। কা-কা স্বরে চিৎকার করে মাথা ধরিয়ে দেয়। মনে হয় যেন হত্যাকারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে।
সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের কর্নেল সিরিজের একটা বইয়ে কাক সম্পর্কে দারুণ এক তথ্য পেয়েছিলাম। কাক নাকি তার বাসায় নানা ধরনের টুকিটাকি জিনিস জড়ো করে। যেমন-- ভাঙা চুড়ি, কাঁচের টুকরো, ছোট-খাটো নাট-বল্টু। বইটা যখন পড়ছি তার কিছু দিন আগে খুব কাছ থেকে কাকের বাসার কিছু ছবি তুলেছিলাম। বইটা পড়ার সময় মনে হলো, দেখি না আমার ছবিতে এমন কিছু আছে কিনা। ছবি দেখে তাজ্জব! সত্যিই আমার এই প্রতিবেশী কাক মামারও তাদের বাসায় আজব একটা জিনিস সংগ্রহ করেছেন। পাঠক ছবিগুলোতে চোখ বুলিয়ে দেখুন, একটা পেঁচানো ইলেট্রিক তার অবহেলায় পড়ে রয়েছে কাকের বাসায়।
আমার এই প্রতিবেশী কাকের গল্পটা আবার বিষাদে ভরা। ২০১৪ সালের প্রায় অর্ধেকটা কাটিয়েছি আজিমপুরের চৌধুরী বাজার এলাকায়। মেসে থাকতাম। চারতলার ওপরে। আমার ঘরের জানালার পাশেই একটা মেহগনি গাছ। ফাল্গুন মাসে সে গাছের একেবারে মগডলে খড়কুটো জড়ো করতে শুরু করে একজোড়া কাক।

জড়ো মানে একেবারে অগোছালোভাবে খড়কুটোর স্তূপ করা। টুনটুনি, বুলবুলিদের বাসা তৈরির শৈল্পিক কারুকাজ দেখেছি স্বচোক্ষে। আবার শালিক কিংবা চড়–ই পাখিদের অগোছালো বাসাও দেখেছি। কিন্তু কাকের মতো এমন ছন্নছাড়া বাসা আর দেখিনি। ওরা বাসা তৈরি করছিল আর আমি ভাবছিলাম, এই বাসার ছোট্ট ছোট্ট ছানাগুলো থাকবে কী করে!

বাসা তৈরি হলো, কিন্তু কখন কীভাবে ডিম পাড়ল টেরই পেলাম না। বাচ্চারা আলোবাতাসের মুখ দেখার পর যখন তাদের অস্তিত্ব জানান দিল, তখন বুঝলাম বাসা একেবারে মন্দ করেনি কাকেরা। কারণ বাসাটা বেশ গভীর ছিল। তাই আমার জানালার প্রায় সমান্তারালে থাকলেও ডিম কিংবা ছানার চেহারা দেখতে পাইনি। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ক্যামেরা হাতে অপেক্ষা করতে লাগলাম, কখন ছানারা মাথা উঁচু করে। কিন্তু কাকেরা ব্যাপারটা বুঝে ফেলে। জানালার পাশে মুখ নিয়ে গেলেই জেট বিমানের মতো বাতাসে ডাইভ দিয়ে তেড়ে আসে চোখ বরাবর। বাধ্য হয়ে মুখ সরিয়ে নিতে হয়। কিন্তু ছবি আমি তুলবই। এরপর ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়াই জানালা থেকে বেশ দূরে। একেবারে ঘরের মাঝখানে। জুম করে ছবি তুলি। কখনও কাকের, কখনও বাসার, কখনও ছানার। কয়েকদিন অন্তর অন্তর ছানাগুলোর ছবি তুললাম। প্রথমে পালকবিহীন ছানাগুলো দেখে বোঝাই যেত না এরা বড় হয়ে কুচকুচে কালো হবে।

মায়ের কাছে বাচ্চাদের বায়না দেখে ভারি মজা পেতাম। বাচ্চার হাঁ করে মা-বাবার কাছে খাবার চাচ্ছে। মা-বাবা তাদের আবদার মেটানোর চেষ্টা করছে। এই নৈশ্বির্গিক দৃশ্য চাক্ষুসের মতো আনন্দ খুবই কম ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়।

কিন্তু ভয় হয় রাতে। কালবৈশাখী প্রবলবেগে হানা দিত। গাছপালা ভেঙে যাবার যোগাড়। ভাবতাম, আজ বুঝি আর ছানাদের রক্ষা নেই। কিন্তু সকালে উঠেই আমার ভুল ভাঙত। কাকেরা নিজেরা কাকভেজা হয়ে বাচ্চাদের আগলে রেখেছে পরম মমতায়।

সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে ছানাগুলো বেশ বড় হয়ে উঠল। গায়ে কালো পাখনার আস্তর লেগেছে। কেন জানি মনে হচ্ছিল দুই-একদিনের মধ্যেই বাচ্চাগুলো উড়তে শিখে যাবে। কিন্তু হায়! সেই দুয়েকদিন আর পার হলো না। একদিন সকালে উঠে দেখি, বাচ্চা দুটো মরে সটান হয়ে বাসায় পড়ে আছে। মা আর বাবা কাক দুটো কখনও গাছের ডালে বসে, কখনও বাসায় গিয়ে মৃত বাচ্চাদের উল্টে-পাল্টে দেখে বিলাপ করছে। তিনদিন ধরে শুনতে হলো কর্কশ কাকের করুণ কান্না।
ছানা দুটো কেন মরল তা রহস্যই রয়ে গেল। আগের রাতে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু ছানারা যখন আরও ছোট ছিল তখন কেন মরেনি?


মন্তব্য

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

কাকেদের খাবার মেন্যু যাই হোক না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে তারা বেশ পরিচ্ছন্ন স্বভাবের, এই তথ্য জানা ছিল। এছাড়া চোখে পরেছে, সুযোগ পেলেই তারা স্নান করতে দ্বিধা করে না। কিন্তু তাদের পরিচ্ছন্নতা বোধের একটি দৃশ্য দেখে একদিন আমার ভিরমি খাওয়ার যোগার হয়েছিল। কাকেদের ছানারা যখন বাসার মধ্যে হাগু করে দেয়, মা(কিংবা বাবা) কাক তৎক্ষণাৎ সেই প্রায় তরল বস্তু অসাধারন দক্ষতায় ঠোঁট দিয়ে তুলে বাইরে ফেলে দেয়। এ দৃশ্য আমি স্বচক্ষে একাধিক বার দেখেছি।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

বাহ, এখবর তো জানতাম না!

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

কাকের ছবিগুলা অনেক সুন্দর।

আমি ছোট বেলায় অনেক বড় ধরনের পাখি প্রেমিক ছিলাম। অনেক পাখি পালার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমাকে সেটা ঠিক মত করতে দেয়া হত না, কারণ বড়দের কথা ছিল পড়ালেখার ক্ষতি হবে। তারপরও কবুতর, টিয়া, শালিক, চড়ুই, টুনটুনি, বক পেলেছি। কোন এক সময় পাখি ছিল না পালার মত। তখন কাক দেখে আমি মুগ্ধ। কাকের বাচ্চা বাসা থেকে নিয়ে পালা শুরু করলাম। অনেক দিন পালার পর আমার বাসায় মোটামুটি কয়েক লাখ কাক থাকতো। কারণ আমি তাদের এক সহপ্রানিকে আটকে রেখেছি। তারপর আর রাখতে পারি নাই।

আপনার পোস্ট আর ছবিগুলা আমাকে ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিল।

আপনাকে ধন্যবাদ।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।
নামটা লেখা উচিত ছিল। ইদানিং দেখি অতিথি লেখকরা মন্তব্য করতে গিয়ে নাম লিখতে ভুলে যাচ্ছেন।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আহারে! শেষে এসে মনটা খারাপ হল। মনে হচ্ছিল একসময় বুঝি উড়ে উড়ে বেড়াবো ছানাগুলো বড় হয়ে -সেটা আর হল না।

ভাল লেগেছে এই লেখাটা।

শুভেচ্ছা হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ। আপ্নাকেও শুভেচ্ছা।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা অনেক ভাল লেগেছে চলুক । কাকের বাসা আর তার বাচ্চাদের ছবি এই প্রথম দেখলাম। আমি তো ভেবেছিলাম আপনি শুধু বৃক্ষ প্রেমিক এখন তো দেখি পক্ষী তাও আবার কাক নিয়েও আপনার আগ্রহের কমতি নেই।

ফাহিমা দিলশাদ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আসলে গোটা প্রকৃতি নিয়েই আমার আগ্রহ। কমদামি ক্যামেরা দিয়ে গাছপালাকে যত সহজে বস মানানো যাই, পাখিকে তত সহজে যায় না।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এরাম সত্যপীরমার্কা এট্টা ফিনিশিং হইল? মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আয়নামতি এর ছবি

ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।
শেষটা এমন করুণ হবে জানলে পড়তাম না!
প্রকৃতি, পশুপাখি এসবে আপনার এত আগ্রহ, ভালোবাসা সত্যি ভালোলাগার মত একটা বিষয় চলুক

এনকিদু এর ছবি

চমৎকার ডকুমেন্টেশন করেছেন উত্তম জাঝা!

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ছানাগুলো মরে থাকতে পারে। বিভিন্ন রকম কীটনাশক, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি আমাদের চারপাশে। হয়তো পূর্ণবয়ষ্ক কাক সেই সব জিনিস পেটে পড়লে ধকল সামলে উঠতে পারে, কিন্তু ছানা গুলো পারেনি।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ঠিক বলেছেন, একথা আমার মাথায় আসেনি।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এক লহমা এর ছবি

কাকেদের ছবিগুলি খুব ভাল এসেছে।
লেখা ভাল লেগেছে, যেমনটি আপনার কাছ থেকে আশা করা যায়! গল্পের শেষটা এরকম কষ্টের না হ'লে বেশ হ'ত!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যাবাদ, কী আর করা মন খারাপ

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

করুণ হলে পড়তে নেই বুঝি!

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আয়নামতি এর ছবি

সে কথা বলিনি হে! একই দিনে বেশি ডোজ হয়ে গেছিল তাই বলা।

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক হাততালি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আসলে কোকিল যাজাবর পখি। কখনও বাসা বাঁধে না। নির্দিষ্ট কোনও জোড়াও থাকে কোকিলের। কোকিল আর কাক প্রায় কজাছাকাছি মাপের পাখি। গায়ের রঙও কাছাকাছি। তাই কাকের বাসায় ডিম পাড়লেই কোকিলের সুবিধা।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

হিমু এর ছবি

আবদুল গাফফার রনি, আপনার প্রায় প্রতিটি লেখা আর মন্তব্য পীড়াদায়ক বানান ভুলে কণ্টকিত। অনুগ্রহ করে বানানের দিকে মনোযোগ দিন।

যাজাবর > যাযাবর।

অতিথি লেখক এর ছবি

কখনো কখনো এসব ঘটনা মনের মাঝে নাড়া দেয়। ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

কোকিল কাকের বাসায় ডিম পাড়ে কি কাকের এই বিশেষ বাসার জন্যই?
_____________________
সরীসৃপ

সুবোধ অবোধ এর ছবি
আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

Sohel Lehos এর ছবি

আপনার ব্লগ পড়ি ছবি গুলোর জন্য। সব সময় অসাধারণ ছবি নিয়ে হাজির হন। চলুক

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ।
আপনার নামটা বাংলায়ি লেখা যায় কিনা ভেবে দেখবেন।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি এর আগে কখনো কাকের বাসার ছবি বা সত্যিকারের বাসা দেখি নাই। আপনি এই ছবিগুলো তুলেছেন দেখে মজা পেলাম।

(বানান বিভ্রাট এড়াতে একটু কষ্ট করে অভ্র-স্পেল চেকার রান করিয়ে নিলে কিছুটা সুবিধা পাবেন। অভিধান ঘেঁটে নিতে পারলে সবথেকে ভালো। বানান-প্রমাদ বেশি হলে ভালো লেখাও বিরক্তির সৃষ্টি করতে পারে পাঠকের মনে।)

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা, ছবিগুলো সত্যিই দারুণ! লেখার কথা আর নাই বলি। লেখা চলুক।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ পৌঢ়দা, আপনার প্রসংশা সব সময় আমাকে অনুপ্রাণীত করে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।