বুলগেরিয়ার গল্প-০২

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ১২/০২/২০১১ - ৪:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিঁড়ি

শয়তান জিজ্ঞেস করলো, “কে তুমি”?
সিঁড়ির গোড়ায় দাঁড়ানো লোকটা উত্তর দিলো, “আমি এক জনমদুঃখী, সব দীন-দরিদ্ররা আমার ভাই। কি ভয়ঙ্কর এই দুনিয়াটা, আর এর মানুষগুলো কত কষ্টেই না আছে”!

লোকটা বয়সে তরুণ, মাথা সোজা করে দাঁড়ানো, হাতগুলো মুষ্টিবদ্ধ। তার সামনে ধব্‌ধবে সাদা মার্বেলে গোলাপের কাজ করা উঁচু এক সারি সিঁড়ি। তার পেছনে ক্ষোভে তরঙ্গের মতো ফুঁসে ওঠা এক দল গরীব মানুষ - দারিদ্রের ছাপ যথারীতি তাদের মুখে-শরীরে-পোশাকে। ঢেউয়ের মতো তাদের কালো কালো মাথা আর হাত উঠা-নামা করছিল। অস্পষ্ট ভাবে তাদের অসন্তোষের গর্জন শোনা যাচ্ছিল। জনতা আরো ফুঁসে উঠছিল আর কাছিয়ে আসছিল, এতে হলুদ ধুলার ঝড় উঠলো। ধুসর দিগন্ত থেকে একটা অবয়ব আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে দেখা গেল সেটা কোমর-কুঁজো এক বৃদ্ধের। খালি পায়ে, ছেঁড়া কাপড় চেপে ধরে নীল চোখের একটা ছোট মেয়ে দৌড়ে আসলো। মেয়েটা মুখ তুলে চেয়ে একটু হাসলো। এর পর ছেঁড়া-খোঁড়া পোশাক পড়া গরীব মানুষের দল একে একে এগিয়ে আসতে থাকলো, তাদের গলায় অন্ত্যেষ্টিযাত্রার গান। কেউ জোরে শীষ্‌ দিয়ে উঠলো, একজন দু’হাতে পকেট চাপড়ে উন্মাদের মতো হেসে উঠলো, তার চোখেও উন্মত্ততা ঝলসে উঠলো।

“আমি এক জনমদুঃখী, সব দীন-দরিদ্ররা আমার ভাই। এই দুনিয়াটা কি ভয়ঙ্কর, আর এর মানুষগুলো কত কষ্টেই না আছে। কিন্তু আপনারা যারা সিঁড়ির উপরে আছেন ......”। সিঁড়ির গোড়ায় দাঁড়ানো তরুণটি মুষ্টিবদ্ধ হাত মাথার উপরে তুললো।
শয়তান তরুণটির দিকে একটু ঝুঁকে কায়দা করে বললো, “তো, যারা সিঁড়ির উপরে আছে তুমি তাদের ঘেন্না করো, তাইনা”?
“আমি ঐ নবাবপুত্তুর আর জমিদারের বাচ্চাগুলোকে এক হাত দেখে নিতে চাই! আমি আমার ভাইদের উপর করা অত্যাচার আর বেইনসাফীর প্রতিশোধ নিতে চাই! ওদের অত্যাচারে আমার ভাইদের মুখ বালির মতো হলদে হয়ে গেছে। ওদের আর্তনাদ ডিসেম্বরের তুষারঝড়ের গোঙানীকে হার মানিয়েছে। আমি ঐ রক্তচোষাগুলোর রক্তাক্ত শরীর মাটিতে পড়ে থাকতে দেখতে চাই, নিজ কানে ওদের গোঙানী শুনতে চাই! আমি নিজ হাতে ওদের শাস্তি দিতে চাই! আমাকে যেতে দাও”!

আবার একটু হেসে শয়তান বললো, “আমিতো সিঁড়ির উপরে থাকা ঐ মানুষগুলোর অভিভাবক, কোন ঘুষ ছাড়া আমি ওদের সাথে বেঈমানী করি কীভাবে”?
“আমিতো গরীব, আমার কাছে কোনো সোনা-দানা নেই। আমি তোমাকে ঘুষ দেবো কীভাবে? তবে এই কাজটা করার জন্য আমি আমার নিজের জীবন দিতেও রাজী আছি”।
“না, না, আমি অত কিছু চাই না। আমাকে শুধু তোমার শোনার ক্ষমতাটা দাও”।
“আমার শোনার ক্ষমতা? আনন্দের সাথে তা দিতে পারি। কিন্তু তাহলে কি আমি আর কোনদিন শুনতে পাবো না”?
“ভয় নেই, তুমি এরপরও শুনতে পাবে। যাও”। আশ্বস্তকারী শয়তান তাকে উপরে উঠতে দিল।

তরুণটি দৌড়ে তিন ধাপ যেতে না যেতেই শয়তানের লোমশ হাত তাকে আটকালো। “যথেষ্ট হয়েছে! এখন দাঁড়াও, আর শোনো তোমার ভাইয়েরা কেমন আর্তনাদ করছে”। তরুণটি থেমে কান পাতলো। শুনে বললো, “আশ্চর্য! হঠাৎ করে তারা আনন্দের গান গাওয়া শুরু করলো কেন? আর অমন হাসি-ঠাট্টাই বা করছে কেন”? তরুণটি আবারও উপরে উঠতে নিল।

আবারও শয়তান তাকে থামিয়ে বলল, “আরো তিন ধাপ যেতে চাইলে আমাকে তোমার দৃষ্টিশক্তি দিতে হবে”।
অসন্তুষ্ট গলায় তরুণটি বললো, “সেটা কী করে হবে? আমি যদি তোমাকে আমার চোখ দুটোই দিয়ে দেই তাহলে আমি আমার ভাইদের দেখবো কীভাবে? আর ঐ বদমাশগুলোকে যদি দেখতেই না পাই তাহলে ওদের শায়েস্তা করবো কীভাবে”?
“ভয় নেই, এর পরও তুমি দেখতে পাবে। আমি তোমাকে এরচেয়ে ভালো আর অন্য রকম চোখ দেবো”।

আরো তিন ধাপ উঠে তরুণটি পিছনে ফিরে চাইলো। শয়তান বললো, “এবার তোমার ভাইদের নগ্ন, রক্তাক্ত দেহগুলো দেখ”!
“হায় খোদা! একি আশ্চর্য! এত সুন্দর জামা-কাপড় ওরা পেল কোথা থেকে? আর আমি তো ওদের গায়ে কোন রক্তাক্ত ক্ষত দেখতে পাচ্ছিনা! বরং ওদের বাটনহোলে লাল গোলাপ দেখতে পাচ্ছি....”

এভাবে প্রতি তিন ধাপ যেতে শয়তান তার কাছ থেকে কিছু না কিছু নিয়ে নিচ্ছিল। নির্দ্বিধায়ই সেগুলো সে দিয়ে দিচ্ছিল; কারণ, শত্রুরা আর বেশি দূরে নেই। আর মাত্র এক ধাপ যেতে পারলেই সে তার কাম্য চুঁড়ায় পৌঁছে যাবে, তার নিজের আর তার ভাইদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেবার জন্য বদমাশগুলোকে হাতের মুঠোয় পাবে। ঠিক তক্ষুণি শয়তান তাকে থামিয়ে বলল, “শোনো, আর একটা মাত্র ধাপ বাকি; এর পরই তুমি তোমার প্রতিশোধ নিতে পারবে। কিন্তু এই শেষ ধাপটার জন্য আমি তোমার হৃদয় আর সব স্মৃতি চাই”।
“আমার হৃদয়? না, না এত নিষ্ঠুর হয়োনা”!

শয়তান তার স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে বললো’ “না, তুমি যা ভাবছো আমি তেমন নিষ্ঠুর নই। এর বদলে আমি তোমাকে সোনার হৃদয় আর নতুন স্মৃতি দেবো। কিন্তু তুমি যদি আমাকে ফিরিয়ে দাও তাহলে তুমি আর কোনদিন প্রতিশোধ নেবার সুযোগ পাবেনা”। শয়তানের সবুজ চোখে পরিহাসের হাসি দেখা গেল।
“কিন্তু তখন আমার চেয়ে দুঃখী মানুষ দুনিয়াতে আর কেউ হবেনা। তুমি আমার সব মানবীয় গুণাবলী নিয়ে নিচ্ছো”।
“অন্যভাবে, তোমার চেয়ে সুখী কেউ কোনদিন হবেনা। যাকগে, তোমার হৃদয় আর স্মৃতি দিতে তুমি প্রস্তুত”?

সে গভীর নিঃশ্বাস ফেলল, তার মুখ বেদনায় কালো হয়ে গেল। ঘামে তার ভুরু ভিজে গেল, হাতের দু’মুঠি শক্ত করে বেঁধে দাঁতে দাঁত ঘষে বললো, “ঠিক আছে, তুমি নিতে পারো”।

....এবং তারপর, হঠাৎ বসন্তের বাতাস বইতে লাগলো। বাতাসে তার চুল উড়তে লাগলো, সে শেষ ধাপটা পার হলো। এখন সে সিঁড়ির উপরে উঠে গেছে। তার মুখে হাসি বিস্তৃত হল, তার চোখ আনন্দে জ্বলে উঠলো, তার হাত শিথিল হয়ে ঝুলে পড়লো। উপরে সুখী-ধনী মানুষদের আমোদ করতে দেখা গেল। সে নিচে চিৎকাররত, অভিশাপরত, ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা বঞ্চিত মানুষদের দিকে তাকালো। কিন্তু তার মুখের একটা পেশীও কাঁপলোনা। তার মন প্রশান্তি আর আনন্দে ভরে উঠলো, মুখেও তার আভাস দেখা গেল। সে দেখলো নিচে সবাই উৎসবের পোশাকে সজ্জিত, সবাই আনন্দের গান গাইছে।

শয়তান এবার ফিস্‌ফিসিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কে তুমি”?
“আমি জন্মসূত্রে এক রাজপুত্র, দেবতারা আমার ভাই। কি সুন্দর এই দুনিয়াটা, আর কি সুখী এর মানুষগুলো”!

মূল গল্পঃ হৃস্তো স্মিরনেন্‌স্কী

ঠ্যাঙনোটঃ

বুলগেরিয় গল্প বাংলায় রূপান্তরের মৎকৃত অপচেষ্টার অংশ হিসাবে শ’খানেক বছর আগে লেখা এই গল্পটার রূপান্তর দেয়া হলো। হৃস্তো স্মিরনেন্‌স্কীকে আয়ু আর কর্মের গুণ বিবেচনায় আমাদের [url=http://bn.wikipedia.org/wiki/খান_মোহাম্মদ_ফারাবী]খান মোহাম্মদ ফারাবী[/url]র সাথে তুলনা করা চলে । তবে ফারাবীর চেয়ে হৃস্তোর কাজ পরিমাণে বেশি। ভাষার ক্ষেত্রে আমার দৌড় বাংলার বাইরে ইংরেজী পর্যন্ত। হৃস্তোর যেসব কাজ ইংরেজীতে পাওয়া যায় তার প্রায় সবই কবিতা। গল্প পেয়েছি মোটে একখানা, সেটাই পাঠকের পাতে দিলাম, রূপান্তর করে - অনুবাদের অনুবাদ নয়। ছাগল দিয়ে হাল চাষ করানো সম্ভব হলেও আমাকে দিয়ে ইংরেজী থেকে বাংলায় কবিতা রূপান্তর করা সম্ভব না, তাই হৃস্তোর কবিতাতে হাত দেইনি। বুলগেরিয়ার ভার্না শহরের প্রাণকেন্দ্রে “হৃস্তো স্মিরনেন্‌স্কী বুলেভার্দ” আছে; আর আমাদের দেশে ফারাবীর নামে কিছু নেই।


মন্তব্য

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চমৎকার অনুবাদ করেছেন। আপনার লেখনীর কথা আর নতুন করে নাই'বা বলি। জাস্ট উত্তম জাঝা!

পূর্ব ইউরোপের সাহিত্য নিয়ে বিশ্বে তেমন কোনও আলোড়ন দেখা যায়না এবং তাদের লেখাগুলোর ইংরেজি অনুবাদও তুলনামূলকভাবে কম। যাহোক, সেদিন আমার এক পোলিশ বান্ধবী বলছিলো যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি তাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় এবং মানুষ তার পোলিশ ভাষায় অনুদিত লেখাগুলো খুউব পড়ে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ ভ্রাতা, বেশ খনিকটা বাড়িয়ে বললেন।

গুরুদেব এক কালের পূর্ব ইউরোপে পরিচিত ছিলেন। এখন আর অমনটা হবার কথা না। সময়টা এখন ড্যান ব্রাউন, জে কে রোলিংসদের।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দুর্দান্ত!
পাণ্ডব'দা সময় সুযোগ বুঝে আরো অনুবাদ করেন প্লিজ। অনুবাদ থামিয়ে দিয়েন না।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ রতন। যত ব্যস্ততা থাকুক, তোমার লেখাও চালিয়ে যাও। ওটা খুব দরকার - তোমার জন্যও, আমাদের জন্যও।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নৈষাদ এর ছবি

চলুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার অনুবাদ। তবে এটা যে অনুবাদ সেটা বোঝা যায়। আমার ধারণা অনুবাদের অনুবাদে এই ব‌্যাপারটা থাকবেই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অনুবাদের ব্যাপারে আপনার বক্তব্যে সহমত। অনুবাদ করতে গেলেই ভাষায় এক রকম আড়ষ্টতা চলে আসে, যা পাঠকের নজর এড়াতে পারেনা।

এই অবসরে আপনাকে একটা অনুরোধ করি। বুলগেরিয়ার সবচে' আলোচিত সাহিত্যিক ইলিয়াস কানেতি মূলতঃ জার্মান ভাষায় লিখেছেন। এই ভাষাটা আপনার আয়ত্বে আছে, তাই অনুবাদের অনুবাদ নয় সরাসরি অনুবাদই কিন্তু আমরা পেতে পারি। আপনার পক্ষে সম্ভব হলে ইলিয়াসের কিছু লেখা অনুবাদে কি হাত দেবেন? আপনার সময়-সুযোগ না হলে জার্মান ভাষা জানা আর কাউকে কি একটু জোর করবেন? ইলিয়াসের মতো সাহিত্যিকের লেখা বাংলায় অনুবাদ হয়নি এটা দুঃখজনক।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার একটা গল্প।

গুণী মানুষগুলো কেন "মাদারচোদ" হয় তা আজ বুঝতে পারলাম। হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ মেম্বর। মানুষ হিসাবে আমি বে-গুণ, তাই মহাজনদের কথা জানি না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আরো একটি চমৎকার গল্প পড়ার সুযোগ করে দিলেন। আপনার অনুবাদও আরো খোলতাই পেয়েছে। চলুক।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

থ্যাংকস্‌ বস্‌! চালানোর চেষ্টা করছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই গল্পটা দুর্দান্ত লেগেছে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তলস্তয়ের কিছু গল্পের এরকম অনুবাদ করেছিলো।

... আগের দরবেশের গল্পটার চেয়ে এই গল্পটা ভাষা-কাহিনীতেও এগিয়ে আছে মনে হলো। হৃস্তোর আরো গল্প থাকলে অজ্ঞানতার অন্ধকার হতে সেগুলোও অনুবাদের আলোতে আনার অনুরোধ জানাই পাণ্ডবদাকে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। এক হিসেবে হৃস্তো তলস্তয়ের সমসাময়িক। সুতরাং তাঁদের মধ্যে চিন্তার ঐক্য থাকতেই পারে। হৃস্তোর আর কোন গল্প পাইনি। কিছু কবিতা পাওয়া গেছে, তবে সেগুলো অনুবাদ আমার কর্ম নয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রানা মেহের এর ছবি

অতি চমতকার অনুবাদ। মূল গল্পের স্বাদ পেলাম। গল্পটাও অনেক সুন্দর।
করছিল যাচ্ছিল উঠলো আসলো
এই একই রকম শব্দগুলো পরপরে বাক্যের শেষে থাকলে পড়তে কেমন যেন লাগে।
একটু খেয়াল করবেন প্লিজ ষষ্ঠ দা

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। ক্রিয়াপদ নিয়ে আমার এই সমস্যা লেগেই আছে। এতো চেষ্টা করি এটা এড়াতে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। পরের বার আরো সতর্ক হবো। আবারো ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

চলুক চলুক চলুক
বেশ লাগলো।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গল্পটা ভালো লাগলো। ভাষার আড়ষ্ঠতা কিছুটা থাকলেও সেটা বড় করে চোখে পড়েনি। গল্পটা ভুলে যাওয়ার পরে আরেকবার গল্পটা আপনি নিজে যখন পড়বেন, তখন ঠিক হয়ে যাবে।

এরকম আরো গল্প চাই, জানতে চাই অজানা কিছু লেখককে। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার নিজের গল্প লেখাও চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই ট্রিক্‌টা আমি জানি। কিন্তু কেন যেন নিজের পুরনো লেখাগুলো আর পড়তে ইচ্ছে করেনা। পুরনো লেখা সম্পাদনা করবো - এটা ভাবলেও গায়ে জ্বর আসে।

বুলগেরিয় সাহিত্য অনুবাদের কাজটা আরো কিছুদিন করতে চাই।

মাথায় কোন প্লট আসলে নিজের গল্পটাও হয়তো শুরু করতে পারবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দময়ন্তী এর ছবি

গল্পটা বড্ড ভাল| এরকম ভাল ভাল আরো কিছু গল্প অনুবাদ করে ফেলুন প্লীজ

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চেষ্টা আছে দিদি, বাকীটুকু আপনারা ভরসা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কৌস্তুভ এর ছবি

গল্প পড়ে অ্যাঁ হয়ে গেলাম

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার মাথা ঘুরানোর কথা না তো। বুদ্ধিমান পাঠকতো গল্পের শুরুতেই শেষে কী হতে যাচ্ছে সেটা আঁচ করতে পারার কথা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কৌস্তুভ এর ছবি

না গো দাদা। প্লটের শেষে কী হল সেজন্য নয়, গল্পটা এত ভালো লাগল বলে...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অনুবাদগিরি চালু থাকুক।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কিছুদিন অন্ততঃ চালু থাকবে সে আশা করি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হৃস্তো স্মিরনেন্‌স্কীকে আয়ু আর কর্মের গুণ বিবেচনায় আমাদের [url=http://bn.wikipedia.org/wiki/খান_মোহাম্মদ_ফারাবী]খান মোহাম্মদ ফারাবী[/url]র সাথে তুলনা করা চলে । তবে ফারাবীর চেয়ে হৃস্তোর কাজ পরিমাণে বেশি। ভাষার ক্ষেত্রে আমার দৌড় বাংলার বাইরে ইংরেজী পর্যন্ত।

খান মোহাম্মদ ফারাবী নামে একজন এলেন গিনেসবার্গের 'সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড' এর একটা দুর্দান্ত অনুবাদ করেছিলেন। ইনি কি সেই ফারাবী? উইকির যে লিন্কটা দিলেন সেটা তো কাজ করছে না

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হ্যাঁ, উনি সেই ফারাবী। বাংলা উইকিতে গিয়ে খান মোহাম্মদ ফারাবী লিখে খুঁজুন, ঠিক তাঁকে পেয়ে যাবেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এক লহমা এর ছবি

যেমন তুমি এক মন্তব্যে এনেছ - তলস্তইয়ান গল্প। বা ধরো, সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা। ভাল। ছোটবয়সে যতটা ভাল লাগত, এখন অতটা লাগেনা - সিঁড়ির কয়েকটা ধাপ উঠেছি ত! হাসি

তোমার অনুবাদ ভাল লেগেছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সিঁড়ির কয়েকটা ধাপ উঠেছি ত!

- বয়স বাড়লেই কি লোকে সিঁড়ির ধাপ বেয়ে উঠতে থাকে বস্‌! কেউ কেউ তো খুব অল্পবয়সেই সিঁড়ির একেবারে উপরের ধাপে উঠে বসে থাকে।

বয়স বাড়লে দেখার চোখ পালটায়, তাই ভালো লাগা মন্দ লাগাগুলোও পালটায়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।