তাক থেকে নামিয়ে - ০১

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৬/০১/২০১৬ - ৯:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিরোটীকাঃ আপিসের বিদঘুটে কিছু কাজ আর ব্যাক্তিগত কিছু বিতিকিচ্ছিরি দৌড়াদৌড়ির ঠেলায় বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালাই না বহুদ্দিন। পেট ভুটভাট করলেও চেপে যাই, আঙুল চুলকালেও চেপে যাই, মাথা কিরবিড় করলেও চেপে যাই। মাঝেমধ্যে সচলে দু-একটা ঝটিকা সফর দেইনি তা নয়, না লগিয়ে চুপচাপ পড়ে গেছি। জানি, লগাইলেই ডর। কিন্তু এভাবে আর কতদিন, গোলাম হোসেন? তাই আজ লগিয়েই ফেললাম। সন্দেশের পোস্টানো এই পানতোয়া মার্কা পোস্টটা দেখা অব্ধি ভেবেছি এইবার একখানা লেখা পোস্টাবোই। শেষমেশ, ঐ ভাবনা অবধিই। ভাবতে ভাবতেই কেটে গেল কতদিন। বই খুঁজতে আরো কিছু দিন। খন্দকার ঘেঁটে অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। বই আলোচনা’র কথা ভাবলে প্রথমেই ওই অন্ধকার বইটার স্মৃতি মনে পড়ে। লোলুপ খন্দকারের সেই কামনাময় আহ্বান পায়ে ঠেলে অনেক কষ্টে শেলফে ঢুঁ মেরেছি। সেখানেও আরেক মুশকিল, ২০১৫ সালে বই তো কম কিনিনি। হাবুলের জলদস্যু জাহাজে চড়েছি, পথ চলাতেই আনন্দ করতে করতে এসে নিজে করেছি। রোদেলা গায়েব হবার আগেই বিশ বছরের বইটা টুক করে কিনে ফেলেছি। শূন্য থেকে মহাবিশ্ব যেদিন কিনি, সেদিনের ঠিক আগের দিন বিপুলা এই মহাবিশ্বে হঠাৎ শূন্য হয়ে গেলেন তাঁর লেখক। নাজিম মাহমুদের পুনঃপ্রকাশিত ‘যখন কৃতদাস’ নাড়া দিয়েছিল যথারীতি। ‘সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ’ এখনও যত্ন করে জমিয়ে রেখেছি, পড়ার সাহস করে উঠতে পারিনি। এমন অনেক বইয়ের ভিড়ে শেষমেশ হাতে তুলে নিলাম আরিফ রহমানের প্রথম বই- ‘ত্রিশ লক্ষ শহীদঃ বাহুল্য নাকি বাস্তবতা’। আফসোস, বাঙালী আরিফ আর হুসাইন চেনে, আরিফ রহমানকে নয়। হুসাইন আর রহমানের পার্থক্য চিনিয়ে দেবার দায়টা কমবেশি আমাদেরই। নইলে কখন আবার ফেডারেল ব্যুরোর লোকেরা কাঁচা ঘুম ভাঙ্গিয়ে কফি খেতে চায় কে জানে? তারচেয়ে, সময় থাকতে লিখে রেখে যাই বাবা!


১।

নান্দনিক প্রকাশনীকে মূলত চিনতাম সহসচল চরম উদাসের প্রকাশনা সংস্থা হিসেবেই। “লাইনে আসুন” এবং “এসো নিজে করি” দুটিই বইয়েরই প্রকাশক নান্দনিক। তবু, আমার দৃষ্টিতে নান্দনিকের শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা আরিফ রহমানের শ্রমলব্ধ এই বইটি। স্যাটায়ার কিংবা হিউমার গ্রহণ করার ক্ষমতা সবার থাকে না। আমরা-আমরাই হিহিহাহা করি, অথচ বিশাল এক জনগোষ্ঠী তার প্রকৃত রসাস্বাদন থেকে বঞ্চিত হন। এমন কিছু ব্যাপারে সপাটে ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোর মত ‘ট্যু দ্য পয়েন্টে’ সোজাসাপটা কথা বলে ফেলতে হয়। সুকান্তের ভাষায়- ‘গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো’। সাবলীল গদ্যে এমনই এক থরের হাতুড়ি হেনে বসেছেন আরিফ, মাত্র ১৮১ পৃষ্ঠার এই বইয়ে। ত্রিশ লক্ষ মানুষের শহীদ হবার ব্যাপারটি এদেশে অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারেন না। কেননা, মেনে নিলে কখনও প্রত্যক্ষ আবার কখনও বা পরোক্ষ ভাবে ঐ ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের ছিটা তাঁদের হাতেও এসে লাগে। এই ছিটা লাগা রক্ত ধুয়ে ফেলার প্রবল প্রচেষ্টায় তাঁরা কখনও সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করেন। কখনও এই সংখ্যা কল্পিত বলে আখ্যা দেন। কখনও এই ব্যাপারে কোনও হিসাব নেই দাবি করেন। কখনও চিরশত্রু বঙ্গবন্ধু’র মুখে কথা গুঁজে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর গণিতে অপারদর্শিতার হিসেব কষেন। কখনও বা, মুসলিম ভাইদের অপকর্ম ডাহা অস্বীকার করে বসেন, ঈমানী গ্রাউন্ডে। এমন বহুধাবিভক্ত দড়ি টানাটানির ফলাফলে আপাত নিরপেক্ষ অনেক মানুষই একটুখানি ‘ট্যু দ্য পয়েন্ট’ তথ্যের অভাবে বিভ্রান্ত হন এবং নিউক্লিয়ার চেইন রিয়াকশনের মত বিভ্রান্ত হওয়ান আরো অনেককে। বিভিন্ন ব্লগে বিচ্ছিন্নভাবে এ সকল বিভ্রান্তির জবাব দেয়া হলেও একখানি সাদাকালোয় ছাপা বইয়ের বড় অভাব ছিল বাংলা বইয়ের জগতে। ব্লগ ব্যাপারটা এখনও সকলের হাতে হাতে সহজপ্রাপ্য না হয়ে ওঠায় বই এবং পত্রিকা এখনও সর্বস্তরে পৌঁছুতে সক্ষম গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম বলে গণ্য। সংরক্ষণযোগ্যতার নিরিখেও এখন পর্যন্ত বইয়ের বিকল্প বইই, এবং সেটি ছাপা বই। এই প্রেক্ষিতে, আলোচ্য বিষয়ে প্রথম (ও এখন পর্যন্ত একমাত্র?) বই হিসেবে এই বইটির গুরুত্ব অন্যরকম।


২।

বইটির শুরুতেই একবার চোখ আটকে যায় ব্যাতিক্রমী উৎসর্গপত্রটিতে। সেখানে লেখা হয়েছে-

সেই সব মায়েদের
যাঁরা বিপদটা জেনেও নিজের
সন্তানদের ছুটে যেতে দিয়েছেন-
’৭১-সালে মুক্তিযুদ্ধে,
’৯২-সালে গণআদালতে,
’১৩-সালে শাহবাগে।

বইটির ভূমিকা লিখেছেন আমাদের সচল পরিবারেরই সদস্য, অভিজিৎ রায়। সম্ভবতঃ অভিদার লেখা সর্বশেষ ভূমিকা এটিই। ভূমিকায় তিনি বলেছেন-

বাঙালি জাতির এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, সবচেয়ে বড় গর্বের ফসল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। তাই মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস জানা আমাদের জন্য প্রয়োজন। প্রয়োজন বিবিধ অপপ্রচারের সঠিক জবাব দেবার। সেই প্রেরণা থেকেই কলম তুলে নিয়েছেন তরুণ মেধাবী লেখক আরিফ রহমান। ... ... ... আমি কাছ থেকে দেখেছি আরিফের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি নিষ্ঠা, আবেগ, মমতা ও বিশ্বস্ততা। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তার মত নতুন প্রজন্মের হাত দিয়েই যেন রচিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় অধ্যায়। তার এই বইটি ঘোর অমানিশায় আলোকবর্তিকা হয়ে বিরাজ করবে, এই আশা মোটেই বাতুলতা নয়।

লেখক রচিত প্রসঙ্গকথা’র শুরুতেই উদ্ধৃত করা হয়েছে জামায়াতি প্রপাগ্যান্ডা মেশিনের একটি ক্ল্যাসিক প্রচারণা যাতে একচিমটি কাদের মোল্লা, একমুঠো অধ্যাপক আর অনেকখানি ত্যানাপ্যাঁচানি ঘুটাঘুটাঘুটা দিয়ে সুচতুরভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই উদ্ধৃতির পরে লেখক বলেছেন-

ওপরের লেখাটা নিয়ে আপনি যদি এদেশের ঘরে ঘরে যান তাহলে অন্তত দশ ভাগের একভাগ মানুষ পাবেন, যারা এই লেখাটার সাথে শতভাগ সহমত হবেন। অন্তত দশ ভাগের তিনভাগ মানুষ এই লেখার কিছুটা অংশের সাথে হলেও সহমত হবে। বাকি সাত ভাগ মানুষের তিনভাগ এই লেখাটা দেখামাত্র ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। আর বাদবাকি চার ভাগ মানুষ হবেন বিভ্রান্ত, এই বইটা তাঁদের জন্য।

শেষ বাক্যে সোজাসাপ্টাভাবে লেখক তাঁর ‘টার্গেট পপুলেশন’ কারা, সেটি পরিষ্কার করেছেন। এই চার ভাগ মানুষ ছড়িয়ে আছেন আমাদের আশেপাশেই, তাঁদের সাহায্য করতে পারেন আপনিও। তার আগে পড়ে ফেলুন এই বইটি। জানা থাকলেও ক্ষতি নেই, পূনর্পাঠই হল না হয়।


৩।

বইটির প্রথম অধ্যায়ের শিরোনাম- ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ‘তিন লক্ষ’ ভুলের অনুসন্ধানে’। এই কথা ছাগুরা বহুকাল ধরেই কোনও এক সাবেক আমলা’র জবানীতে বলে আসছে যে- বঙ্গবন্ধু নাকি ইংরেজি আর অঙ্কে বড্ড কাঁচা। তাই তিনি তিন লাখ আর তিন মিলিয়নের তফাত করতে পারেন নি। লেখক এই গুজবের একেবারে প্রাথমিক উৎস সনাক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধু আটক ছিলেন ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ থেকে। দেশে ফেরেন ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে, বিলেত হয়ে। এই সময়কালের মধ্যে প্রকাশিত বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক পত্রিকার কাটিং উল্লেখ করে আরিফ দেখিয়েছেন “থ্রি মিলিয়ন” কোনভাবেও মুজিবের বেফাঁস মন্তব্য নয়, বরং সংখ্যাটি আন্তির্জাতিক মিডিয়ায় উদ্ধৃত হয়েছে মুজিবের মুক্তি পাওয়ার অনেক আগেই। ছাগুদের গোদা পায়ে বিষফোঁড়ার মতন আরিফ আরো সাক্ষী মেনেছেন স্বয়ং জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে। জেনারেল খান একাত্তরের মার্চেই তার বাহিনীকে সদম্ভ আদেশ দেন অন্তত ত্রিশ লক্ষ বাঙালী হত্যা করতে। বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম- ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অনুসারে হতাহতের সংখ্যা’। এই অধ্যায়ে লেখক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকার উদ্ধৃতি টেনেছেন প্রকাশকাল সমেত। যেমন, নিউইয়র্ক টাইমসের সেপ্টেম্বর-৭১ সংখ্যাই জানাচ্ছে ১০ লক্ষাধিক হতাহতের খবর। যুদ্ধের তখনও তিন মাস বাকি। অধ্যায়ের শেষে লেখক তার অবস্থান পরিষ্কার করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন পাঠকের প্রতি-
যদিও হতাহতের সংখ্যা কখনোই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা সম্ভব নয়, তবুও যাদের মনে হয় ‘তিরিশ লক্ষ শহীদ’ সংখ্যাটি একেবারেই ভিত্তিহীন আকাশ থেকে পাওয়া তাঁরা দেখুক, যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই এ ধরণের সংখ্যা হরহামেশাই বিদেশি পত্রপত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দৈনিকগুলো বলছে- এপ্রিলে সাত লক্ষ, জুলাইতে দশ লক্ষ, সেপ্টেম্বরে বিশ লক্ষ। তাহলে আপনারাই বলুন, ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যাটা কত হতে পারে?


৪।

লেখকের ভাষ্যমতে, তৃতীয় অধ্যায়টি এই বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অংশ, আমিও একমত। অধ্যায়টির শিরোনাম- ‘আন্তর্জাতিক গবেষণা ও স্বীকৃত গবেষণাপত্র শহিদের সংখ্যা নিয়ে কি বলে?’ এতে লেখক ১৩টি ভিন্ন গবেষণা কিংবা গ্রন্থের উল্লেখ করেছেন। অধ্যায়ের শেষাংশে সচলায়তনে প্রকাশিত কৌস্তুভের ‘তথ্য বিনা মিথ্যা বোনা’ প্রবন্ধটির অংশবিশেষও উদ্ধৃত হয়েছে। এরপর, ‘হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়া ৬৫ লাখ মানুষ’ শীর্ষক চতুর্থ অধ্যায়ে লেখক ডেমোগ্রাফিক বিশ্লেষণ দেখিয়েছেন। তিনি রুয়ান্ডা সহ বিভিন্ন দেশের তথ্যের লেখাংকণ করে দেখিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে কিভাবে হঠাৎ একটি দেশের জনসঙ্খ্যা-লেখচিত্রে ধ্বস নামে এবং তার কি ব্যাখ্যা। এদেশের অনুরূপ লেখচিত্রে যে ১৯৭১ সালে একটি বিশাল খাদের আলামত পাওয়া যায়, তা বলাই বাহুল্য। পঞ্চম অধ্যায়ের শিরোনাম- ‘পৃথিবীময় গণহত্যার খতিয়ান’। এই অধ্যায়ে লেখক তুলে এনেছেন কম্বোডিয়া, রুয়ান্ডা, নাইজেরিয়া, চীন ও আর্মেনিয়াকে। সেইসঙ্গে, কুখ্যাত শর্মিলা বসু কর্তৃক পাক সেনাদলের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর অপচেষ্টার কথা জানিয়েছেন। পরবর্তী তিনটি অধ্যায়ের শিরোনাম যথাক্রমে- ‘শরনার্থী শিবিরে নিহত, শহিদ নাকি মৃত’, ‘কেন তারা এত ধর্ষণ করলো?’ এবং ‘নির্যাতিত নারীর সংখ্যা কমপক্ষে সাত লক্ষ’। এই অধ্যায়গুলোর বক্তব্য এতটাই মর্মস্পর্শী, সেটা আর লিখতে হাত চলে না। আগ্রহী পাঠক নিজ দায়িত্বে পড়ে নেবেন আশা করি।


৫।

সবশেষে নবম ও দশম অধ্যায় মূলত বইটির শিরোনামের প্রত্যক্ষ প্রতিফলন না হলেও সমসাময়িকতার বিচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘কাদের মোল্লার আসল-নকলঃ একটি নির্মোহ অনুসন্ধান’ শীর্ষক নবম অধ্যায়টি প্রয়াত অভিজিৎ রায়ের সাথে যৌথভাবে লেখা ও ইতিপূর্বে বিডিনিউজে প্রকাশিত। সংরক্ষণের জন্য এই প্রবন্ধটি সংযোজন করা খুবই ভাল হয়েছে। একই কথা দশম অধ্যায়ের জন্যও প্রযোজ্য, যার শিরোনাম- ‘ভাষাসৈনিক গোলাম আজমঃ একটি গোয়েবলসীয় প্রচারণার ব্যাবচ্ছেদ’। এই অধ্যায়টিও ইতিপূর্বে বিডিনিউজে প্রকাশিত এবং এরও সহলেখক অভিজিৎ রায়। হুমায়ুন আহমেদ আজ বেঁচে থাকলে বেঁচে থাকলে অবলীলায় এ দুটি প্রবন্ধের সহলখক হওয়ার অপরাধ দিয়ে অভিদার চাপাতিহত হওয়াকে ইনডেমনিটি দিতে পারতেন।

পাদটীকাঃ এটি প্রচলিত অর্থে বই-ব্যাবচ্ছেদ কিংবা গ্রন্থ-আলোচনা নয়। আরিফ রহমানের বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলে নিজ উদ্যোগে সেটি কিনে পড়ে ফেলুন। আপনার পাশের ফাহামবাগী বন্ধুটিকেও এককপি কিনে দিন। নইলে দিনশেষে হামবাগের বড়ভাই ফাহামবাগ কিংবা হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের ছোটভাই হুসাইন আর আরিফের স্ট্যাটাসে লাইকের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে, সেই সাথে তাল মিলিয়ে সূচকীয় হারে বেড়ে যাবে বিভ্রান্ত মানুষের দঙ্গল। মাঠ ছেড়ে দিয়ে, পরে রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়ার চেয়ে স্বীয় সামর্থের মাঝে ঘুরে দাঁড়ানোই ভাল। শুভ পঠন।

১৬.০১.১৬


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

সচলায়তনের ব্যানার স্লোগানটা এই বইতে ব্যবহার করা হয়েছে নাকি?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ্যাঁ, লেখক ভূমিকার শেষে ব্যবহার করেছেন।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

"আমার বুকের রৌদ্র লিখেছে" নয়, "আমাদের বুকে রৌদ্র লিখেছে" হবে। আপনার টাইপো নাকি লেখকের টাইপো/সম্পাদনা(?), একটু চেক করে দেখুন প্লিজ।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লেখকের, এজন্যই ছন্দ মিলছিল না! ইয়ে, মানে... (ঠিক করে দিলাম)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

বইয়ের পরবর্তী মুদ্রণ/সংস্করণে লেখক শুধরে নেবেন আশা করি।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ভূমিকা শেষে কোনও তড়িৎ-ডাকের ঠিকানা নেই, থাকলে জানিয়ে রাখতাম।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্যাম এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক মনে আছে, অল্প দূরেই ছিলাম...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

শিরোটীকা আর পাদটীকা হবে মনে হয়। নাহলে জিনিসটা মাথার ইনজেকশন আর পায়ের ইনজেকশন হয়ে যাচ্ছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো ধন্যবাদ, ঠিক করে দিলাম।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সো এর ছবি

চলুক
বইটা জোগাড় করতে হবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

করে পড়ে ফেলুন। শুভ পঠন! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শেহাব এর ছবি

পাঠআলোচনার জন্য ধন্যবাদ। আমার কাছে মনে হয়েছে ভাল একজন সম্পাদকের হাতে পড়লে এই বইটি আরো অনেকগুণ ভাল হত। আরিফ যখন বইটি লিখছিল তখন আমি গণহত্যা নিয়ে কয়েকজন একাডেমিকের কাজ কাছ থেকে দেখছিলাম। ডেভিড বার্গম্যান তখন তার গণহত্যা বিষয়ক আবর্জনা কেবল প্রসব শুরু করেছে। আমি ডেভিড বার্গম্যানের পাঠকদের কথা চিন্তা করে ভেবেছিলাম এ ধরণের বই অপ্রয়োজনীয় - আমাদের বরং একাডেমিক পাবলিকেশনের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিৎ। কিন্তু বই বের হওয়ার পর মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পেরেছি বইটি ভীষণ জরুরী ছিল।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সম্পূর্ণ সহমত। একাডেমিক বই অবশ্যই দরকার, নইলে অধ্যাপক ইমতিয়াজের বই দিয়েই শেলফ ফরে থাকবে। একাডেমিক বইয়ের ক্ষেত্রেও এই বইটি কাজে আসতে পারে। রেফারেন্স কম ঘাঁটেননি লেখক। ফরম্যাটিঙে কিছু সমস্যা আছে এটা সত্যি। সম্ভবতঃ তাড়াহুড়ার ফলাফল। পরের সংস্করণে বইটিয়া আরও গোছানো হবে, আশা করি। সাধারণ* পাঠকের জন্য এমন বইয়ের অবশ্যই দরকার আছে। (*নন-একাডেমিক অর্থে) আপনার একাডেমিক অভিজ্ঞতার কথা লিখুন না।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

দেবদ্যুতি এর ছবি

চলুক এই বই পড়িনি। পড়তে হবে তো।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পড়ে ফেলুন, শুভ পঠন! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আরিফ ভাইয়ের লেখাগুলো ব্লগে বিচ্ছিন্নভাবে পড়া হয়েছে। এইবারের বইমেলায় বইটা কিনে ফেলব। অনেকের মুখের উপর নগদে ঝামা ঘসে দেওয়া যাবে।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বইমেলা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখনই কিনে ফেলা উত্তম। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

যারা লেখাটার সাথে শতভাগ সহমত = ১ ভাগ
যারা লেখার কিছুটা অংশের সাথে হলেও সহমত = ৩ ভাগ
যারা লেখাটা দেখামাত্র ছুঁড়ে ফেলে দেবেন = ৩ ভাগ
যারা লেখাটা পড়ে বিভ্রান্ত হবেন = ৪ ভাগ
তাহলে মোট পরিমাণটা ১০ ভাগ না হয়ে ১১ ভাগ হয়ে যাচ্ছে। হিসেবের ভুলটা কে করেছেন - আলোচ্য বইয়ের লেখক নাকি এই পোস্টের লেখক?

***********************************************

অযাচিত উপদেশ নয়, নিজের একটা ভাবনার কথা বলি। এই ভাবনার সাথে কারো একমত হওয়াটা জরুরী নয়। এই প্রকার গুরুত্ববাহী লেখার ভাষা চটুল না হলে ভালো হয়। সহজ, সরল, স্বাভাবিক টোনে লেখা হলে সকল শ্রেণীর পাঠকের কাছে এটি গুরুত্ববাহী লেখা হিসেবে প্রতিভাত হবে। তাতে লেখাটির মূল উদ্দেশ্য, অর্থাৎ বইটি পড়তে পাঠককে আগ্রহী করে তোলার ব্যাপারটি আরও কার্যকর হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১।
বইটি আবার চেক করলাম, লেখক এভাবেই লিখেছেন। এটিকে টাইপো বলেই ধরে নিচ্ছি। আলোচ্য অনুচ্ছেদে, এই সংখ্যাগুলো লেখক কথার কথা হিসেবেই এনেছেন। সেটিকে এতটা কড়াকড়ি ভাবে না নেই। আশা করি, পরের সংস্করণে বইটি আরও ভাল হবে।

২।
না, বইটি চটুল ভাষায় লেখা হয়নি। অত্যন্ত সহজবোধ্য গদ্যে বিভিন্ন 'ফ্যাক্ট' তুলে ধরা হয়েছে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

বইটি চটুল ভাষায় লেখা হয়েছে আমি সেটা বলিনি। আমি বলেছি এই পোস্টটা চটুল ভাষায় লেখা হয়েছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ওহ, আমিই ভুল বুঝেছি। "এই প্রকার গুরুত্ববাহী লেখার ভাষা চটুল না হলে ভালো হয়" একথার সঙ্গে একমত। নির্দিষ্ট করে বললে ভাল হত, ভাই। আরিফার আর ফাহামবাগ সংক্রান্ত অংশটি চটুল লাগল কি? ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যি কথা বলতে,মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে এইরকম বই আগে চোখে পড়েনি। যেমনই হোক বইটি,বেশ কড়া নাড়া দিতে পেরেছে অবশ্যই।

নিটোল আরন্যক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বইটিকে আরও উন্নত করার সুযোগ আছে, সেজন্য সম্মিলিত কাজের প্রয়োজন।
তবু একটি মহৎ কর্মের সূচনা হিসেবে লেখক নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাবার যোগ্য।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাগুলো বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়লেও বইটা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে সংগ্রহে রাখতে হবে। সমস্যা হলো কেউ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বদমাইশি কথা বার্তা বললে সব এত তথ্য-প্রমান, যুক্তি মাথায় থাকলেও, সব বাদ দিয়ে সপাটে চড় কষাতে ইচ্ছা করে।

রিভিউ ভাল লেগেছে।

--
ঘুমকুমার

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন। শুভ পঠন! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

চলুক বইটির বহুল প্রচার ও প্রসারে এই রিভিউ কাজে লাগবে আশা করি।
"হুমায়ুন আহমেদ আজ বেঁচে থাকলে অবলীলায় এ দুটি প্রবন্ধের সহলখক হওয়ার অপরাধ দিয়ে অভিদার চাপাতিহত হওয়াকে ইনডেমনিটি দিতে পারতেন।" - চিন্তার কিছু নাই। উত্তরাধিকারীরা আছেন ত! মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লহমা দা, সে অর্থে ঠিক রিভ্যু নয়। হাতের জট ছাড়াতে বসা। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে মনে হল এই বইটার কথা সবাইকে মনে করিয়ে দেয়া দরকার।

হ্যাঁ, তাঁর চেয়ে অনেক সুচারু ভাবেই করছে বৈকি! মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

চলুক
পড়তে হবে বইটা।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পড়ে ফেলুন। শুভ পঠন! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

'কারো মুখে ঝামা ঘষে দেয়া' নামক প্রবচনটির সবচেয়ে সার্থক উদাহরণ হিসেবে আরিফ রহমানের বইটা হয়ত একদিন উল্লেখিত হবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। বইটির সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য দিক হল, চতুর্দিক দিয়ে যুক্তির সমাবেশ ঘটানো হয়েছে, যে কারো বিভ্রম কেটে যেতে বাধ্য বইটি পড়ার পর, যদি কারো মস্তিষ্কে সামান্যতম ঘিলু থাকে, তাহলেও মিথ্যের বাঁধ ধ্বসে পড়বেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশের অনেকের মধ্যে সেই 'ঘিলু'টুকুও নেই, একজন পরিচিতকে অনেক আশা নিয়ে বইটার কথা বললাম, তাকে বোঝালাম, মুক্তিযুদ্ধে ক্যাজুয়ালটির সংখ্যা বরং তিরিশ লাখ ছাড়িয়ে যাবে, তথ্য-প্রমান সেই কথাই বলছে, আর পাকিস্তান তাদের লজ্জা/দায়কে খাটো করে দেখাতে সংখ্যাটাকে কমাতে চেষ্টা করছে, আর বাংলাদেশের অনেক নেতা পাকিস্তানকে খুশী করতে তোতাপাখির মত তাদের বুলি নিজেদের কন্ঠে তুলে নিচ্ছে। তো আমার সেই পরিচিত উত্তর দিলঃ আরিফ রহমানের তো সেই সময় জন্মই হয় নাই। আর মুজিবও তো যুদ্ধ করে নাই (মানে, তাদের ঘিলুতে 'মুজিবের আত্মসমর্পন' থিয়োরি এখনো বিদ্যমান!), বরং, যারা মুক্তিযুদ্ধ করছে (মানে, জিয়া! ), তাদেরই নিহতের সঠিক সংখ্যা বলতে পারার কথা (মানে, 'মুক্তিযোদ্ধা' জিয়ার স্ত্রীর কতা সইত্য!)।
তো এখন এইসকল 'ঘিলু'ছাড়া পাব্লিক আরিফ রহমানের বইয়েরও তোয়াক্কা করে না; এদের না আছে আত্মসন্মান, না আছে জানার আগ্রহ; সবচেয়ে বিপদজনক হল, এদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর সৃষ্ট বাংলাদেশে থেকে, খেয়ে ও পড়েও এরা মনে-প্রানে, ধ্যান-ধারণায় পুরো পাকিস্তানি; আরও সমস্যা হল, এদের যদি পাকিস্তানে যেয়ে বসতি গড়তে বলা হয়, তাও তারা যাবে না; বরং মুক্তিযুদ্ধের এই বাংলাদেশের মধ্যেই তারা একটুকরো পাকিস্তান বানিয়ে থাকতে চায়।
।।।।।

অনিত্র

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

যে কারো বিভ্রম কেটে যেতে বাধ্য বইটি পড়ার পর

ওরে নারে... বিভ্রম কি ছেলের হাতের মোয়া? খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হাতের জট ছাড়িয়েছে তো! এবারে তাক থেকে আরও কিছু নামান।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইচ্ছে আছে, কাজের জট ছাড়েনি...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শঙ্খ নদী  এর ছবি

পড়ার আগ্রহ বেড়ে গেল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পড়ে ফেলুন। শুভ পঠন! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

হুম বইটা আনাতেই হয় দেখছ। সাক্ষীর হাতের জট আরও খুলুক, তাক থেকে নামুক আরও কিছু বই।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পড়ে ফেলুন। শুভ পঠন! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ফাই সিদ্ধি এর ছবি

বইটি কিনে রেখেছি কিন্তু এখনও পড়া হয়নি।বুঝেছি দ্রুত পড়ে পেলতে হবে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পড়ে ফেলুন। শুভ পঠন! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

গত বইমেলায় বইটা সংগ্রহ করেছিলাম। ৩০ লাখ সংখ্যাটাকে যারা প্রোপ্যাগান্ডা বলে চালিয়ে দিতে চান, তাদের সম্ভাব্য সব দিক থেকে জবাব দেয়া হয়েছে এই বইটায়। এই পর্যন্ত আমার আরও চার/ পাঁচ জন বন্ধুকে পড়তে দিয়েছি বইটা। এদের একজনের মুখে ৩০ লাখ নিয়ে বিভিন্ন রকম সন্দেহ শুনেছি বিভিন্ন সময়। বইটা পড়ার পর এনিয়ে আর তাকে উচ্চবাচ্য করতে শুনিনি, অন্তত আমার সামনে আর করেনি।

বইটার মুদ্রণ আরও ভাল হতে পারত। বিশেষ করে R.J. Rummel-এর যে টেবিলটা বইয়ের শেষে দেয়া হয়েছে সেটা পড়া খুবই কষ্টসাধ্য। এই টেবিলের খুব ভাল প্রতিরূপ কৌস্তুভ ভাইয়ের তথ্য’বিনা মিথ্যা বোনা লেখার পিডিফ ভার্সনের শেষে দেয়া ছিল। লেখক এবং প্রকাশক পরবর্তী সংস্করণে মুদ্রণ সৌষ্ঠবের দিকে আরও নজর দিবেন বলে আশা রাখি।

-আতোকেন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের সাথে সহমত। আশা করি পরবর্তী সংস্করণটি এসব দূর্বলতা থেকে
মুক্ত থাকবে। লেখক/প্রকাশক এই আলোচনাটি দেখছেন কি না, আমার জানা নেই।

আর শুভাকাঙ্ক্ষীরারা তাঁকে গঠনমূলক পরামর্শ দিলে নিশ্চয় ফেলে দেবেন না। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

বইটা পড়েছি। কিন্তু যাদের পড়া বেশি জরুরী তারা পড়ছেন/পড়বেন কিনা জানিনা।
এরকম একটা প্রয়োজনীয় বইয়ের সামান্য যে ভুলত্রুটিগুলো রয়ে গেছে পরবর্তী সংস্কারে সেগুলোর দিকে নজর দিলে ভালো হয়।

লেখাটা যথারীতি সাক্ষীয় ধাঁচের হয়েছে। উত্তম জাঝা নিন সেজন্য। আচ্ছা 'সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ’ বইটা গিফ্ট দেবার মত মহৎ চিন্তা ভাবনা করলেই তো হয়! আমার মত হতভাগা বইটা পাওয়ার আগেই ফুরিয়ে গেলু। দ্বিতীয় বার ছাপা হবে কবে কে জানে!
যাইহোক, লেখালেখি জারি থাকুক। হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১।
যাদের পড়া দরকার, তারা বইয়ের ব্যাপারে বহুগামী নন! তাঁরা ব্রহ্মচারী পাঠক। চোখ টিপি

২।
হ, ভুলত্রুটি নিরূপণ আর সংশোধনের জন্যই তো আলোচনা। লেখক ভেবে দেখবেন আশা করি। হাসি

৩।
সাক্ষীয় ধাঁচটা ঠিক কেমন? পাউরুটির মতন, ঝোলাগুড়ের মতন, নাকি শিমুল তুলো ধুনবার মতন? চিন্তিত

৪।
টুটুল ভাই আর লীলেনদার মারফতে খবর পেলাম শুদ্ধস্বর বইমেলায় থাকছে। বইটি আলবৎ থাকবে। দেঁতো হাসি

৫।
লেখালেখি জারি রেখে হবেটা কি শুনি? দেশে তেল নাই, পানি নাই, গেস নাই, আর লেখালেখি। হুঁহ! মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।