দক্ষিণ এশিয়ার পানিবিরোধঃ চীনের ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রত্যাহার প্রকল্প-পর্ব ১

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শুক্র, ৩০/১০/২০০৯ - ৫:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্বব্যাঙ্কের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল সেরাগেলডিন (Ismail Serageldin) একবার বলেছিলেন, ‘পরবর্তী বিশ্বযুদ্ধ হবে পানির জন্য’ [১] । তার এই উক্তির মর্মার্থ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে আমাদের দক্ষিণ এশিয়া। মাত্র কয়েকমাস আগেই যেখানে ভারতের ‘টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প’ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত কুটনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ মহলে আলোচনার ঝড় বইছিল সেখানে আজ স্বয়ং ভারতই চিন্তিত চীনের ইয়ারলুং সাংপু (Yarlung Tsangpo) প্রকল্প নিয়ে। তবে এর সাথে জড়িয়ে আসে বাংলাদেশেরও ভবিষ্যৎ কারন চীন অধ্যুষিত তিব্বতে যে নদের নাম ইয়ারলুং সাংপু তারই ভারতীয় সংস্করণ ব্রহ্মপুত্র আর বাংলাদেশে তার মূল প্রবাহ যমুনা। আমার আলোচনা মূলত এই ইয়ারলুং সাংপু পানি প্রত্যাহার প্রকল্প (Yarlung Sangpo Water Diversion Project) নিয়ে যা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের পানিসম্পদ তথা সার্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতিও নাজুক আকার ধারণ করবে। তার থেকে বড় কথা এই প্রকল্প দক্ষিন এশিয়ায় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে করে তুলতে পারে উত্তপ্ত কারন এর সাথে জড়িয়ে আছে ইন্দো-চীন কুটনৈতিক সম্পর্ক। যদিও সর্বশেষ সংবাদ হচ্ছে ‘চীন আনুষ্ঠানিক ভাবে কুটনৈতিক মাধ্যমে ভারতকে আশ্বাস দিয়েছে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেনা [৬]’, তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে এরকম আশ্বাস বাংলাদেশও ভারতের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পায় কিন্তু দিনশেষে মাঠের ফসল ভারতের ঘরেই উঠে আর বাংলাদেশ পড়ে থাকে শুন্য গোলা নিয়ে। এই প্রকল্পের আলোচনা শুরু করার আগে কিছু তথ্যের অবতারণা আবশ্যিক।

চীনের পানিসম্পদ ও এর সংকটঃ


ChinaGeography

ছবি ১- চীনের ভূপ্রকৃতি ও নদনদী [Source]

চীনের প্রধান নদীগুলো মূলতঃ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত যার মধ্যে রয়েছে ইয়াংজী (Yangtze), হোয়াংহো (Yellow River) ও আমুর (Heilong Jiang) । এছাড়া চীনের দক্ষিন দিকে প্রবাহিত নদীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মেকং, পার্ল আর ইয়ারলুং সাংপু (ব্রহ্মাপুত্র) [২] ।এই নদীগুলোর মধ্যে একমাত্র পার্ল বাদে বাকী সবগুলোর উৎস হচ্ছে তিব্বতের মালভুমিতে।

চীনের প্রধান দুই অববাহিকা হলো ইয়াংজী ও হোয়াংহো অববাহিকা। খ্রীষ্টপূর্ব প্রায় সাড়ে পনেরশ সালে নব্য প্রস্তর যুগে চৈনিক সভ্যতার সূচনা হয়েছিল মূলত এই হোয়াংহো নদীকে (Yellow River) কেন্দ্র করে [২]। এই নদী অববাহিকায় যেমন শষ্যের আবাদ হতো তেমনি প্রবল বন্যায় মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে যেত প্রতি বছরই। হোয়াংহো তাই যেমন চীনের আশীর্বাদ তেমনি চীনের দুঃখও বটে [২]। অথচ আজ এই নদীর অস্তিত্ত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে এর উপর নির্ভরশীল চীনের বিপুল জনসংখ্যার প্রয়োজন মেটাতে। এর প্রবাহ দিন দিন এতই কমে গিয়েছে যে ১৯৭২ সালে চীনের ইতিহাসে প্রথম বারের মত এই নদী সমুদ্রে পৌঁছবার আগেই শুকিয়ে যায় [৩]। ১৯৮৫ সাল থেকে এটি প্রায় প্রতি বছরই কিছু সময়ের জন্য শুকিয়ে যেতে থাকে এবং এই শুষ্ক মৌসুম বছর বছরই প্রলম্বিত হতে থাকে [৩]।১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে এই নদীর প্রবাহ যথাক্রমে মোট ১৩৩ ও ২২৬ দিন সমুদ্রে পৌছতে ব্যার্থ হয় এবং এর চলার পথে সর্বশেষ শ্যান্ডং প্রদেশ পুরোপুরি শুষ্ক থাকে [৩]।

পানিবিজ্ঞানের ভাষায় চীনকে আমরা দু’টি ভাগে ভাগ করতে পারিঃ আর্দ্র দক্ষিণ চীন আর শুষ্ক উত্তর চীন, আর এই দুই ভাগকে বিভক্ত করেছে ইয়াংজী নদী অববাহিকা। ওয়ার্ল্ড ওয়াচ ইন্সটিটিউটের রিপোর্ট অনুযায়ী[৩] চীনের মোট ১.২ বিলিয়ন জনসংখ্যার সিংহ ভাগ ( ৭৭০ মিলিয়ন) বাস করে দক্ষিন চীনে আর বাদবাকী ৫৫০ মিলিয়ন মানুষ বাস করে উত্তর চীনে। । তার থেকেও যে তথ্যটি গুরুত্ত্বপূর্ণ তা হলো দক্ষিণাঞ্চলে রয়েছে চীনের এক তৃতীয়াংশ আবাদী জমি আর মোট পানিসম্পদের চার পঞ্চমাংশ অন্যদিকে উত্তর চীনে রয়েছে মোট আবাদী জমির দুই তৃতীয়াংশ অথচ পানিসম্পদ আছে মাত্র এক পঞ্চমাংশ। অর্থ্যাৎ সহজ গনিত করলে বেরোয়, দক্ষিণ চীনে একক পরিমান জমি চাষ করতে যে পরিমান পানি সরবরাহ আছে উত্তর চীনে রয়েছে তার মাত্র আট ভাগের এক ভাগ।

কৃষিজমির জন্য পানির চাহিদা আর যোগানের দ্বৈরথে পড়ে চীনের উত্তরাঞ্চলের নদী, হ্রদ গুলি ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে আর সেই সাথে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে শিল্পায়ন আর নগরায়নের ফলে সৃষ্ট পানির চাহিদা ও তার যোগান। ওয়ার্ল্ড ওয়াচ ইন্সটিটিউটের রিপোর্ট অনুযায়ী[৩] চীনে একক পরিমান পানিকে কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে উৎপাদিত পণ্যের মুল্য যদি ১ হয়, সমপরিমান পানি শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে তা থেকে উৎপাদিত পন্যের মূল্য দাঁড়ায় ৭০। সুতরাং অর্থনীতির মাপকাঠিতে শিল্পায়ন এগিয়ে থাকায় মোট পানিসম্পদের চাহিদা আর যোগানের এই বৈষম্য দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বর্ধিত শিল্পায়নের সাথে সাথে। এই উদ্ভুত সমস্যা সমাধানকল্পে চীন যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে তার নাম ‘দক্ষিণ-উত্তর পানি প্রত্যাহার প্রকল্প (South to North Water Diversion Project)’[৪]। এবারে এই প্রকল্পের দিকে কিছুটা নজর দেয়া যাক।

দক্ষিণ-উত্তর পানি প্রত্যাহার প্রকল্প (South to North Diversion Project):

মাওসেতুং এর মস্তিষ্কজাত এই প্রকল্পের গবেষণা শুরু পঞ্চাশের দশকে [৪,৫]। এই পরিকল্পনায় তিনটি পানি স্থানান্তর প্রকল্প চুড়ান্ত করা হয়ঃ পশ্চিম-পথ প্রকল্প( Western Route), মধ্য-পথ প্রকল্প (Central Route), ও পূর্ব-পথ প্রকল্প (Eastern Route)। সহজভাবে বললে এই প্রকল্পের মূলে রয়েছে ইয়াংজী নদী থেকে পানি উল্লেখিত তিনটি পথে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে উত্তর চীনে নিয়ে যাওয়া। বাস্তবায়িত হলে এটি হবে বিশ্বের সবচাইতে বৃহত্তম পানি স্থানান্তর প্রকল্প।


eastern_route

ছবি ২- পূর্ব পথ[Source]

প্রায় ১২০০ কিমি দীর্ঘ পূর্ব-পথটি তুলনামূলক ভাবে সহজ কারন এই পথে রয়েছে চীনের গ্র্যান্ড ক্যানাল , মানুষের তৈরী প্রায় ১৭৭০ কিমি দীর্ঘ পানিপথ [২] যা কিনা চীনের প্রাচীরের মতই আরেক বিস্ময়। এই পথ দিয়ে বছরে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ঘমমিটার পানিকে জিয়াংসু প্রদেশ থেকে তিয়াঞ্জিম মিউনিসিপালিটিতে নিয়ে যাওয়া হবে [৫] ।


moddle_route

ছবি ৩- মধ্য পথ[Source]

মধ্য-পথ দিয়ে বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন ঘনমিটার পানিকে হ্যান নদী (যা কিনা মূলত ইয়াংজী নদীর উপনদী) থেকে ১২৪১ কিমি দীর্ঘ খাল দিয়ে বেইজিং নিয়ে যাওয়া হবে [৫]। এই খালকে নিয়ে যেতে হবে হোয়াংহো নদীর তলদেশ দিয়ে এবং প্রায় আড়াই মিলিয়ন মানুষকে নতুন আবাস স্থলে পরিস্থাপন করতে হবে।


western_route

ছবি ৪- পশ্চিম পথ[Source]

পশ্চিম-পথে তিব্বত মালভূমি থেকে পানি উত্তর ও উত্তরপশ্চিম চীনে নিয়ে যাওয়া হবে। মূলত ইয়াংজীর উপনদী তংতিয়ানহি, ইয়ালুং ও ডাডুহি থেকে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন পথে পানি সর্বশেষে হোয়াংহো নদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। মজার বিষয় হচ্ছে ইয়াংজীর এই উপনদীগুলোর তলদেশ হোয়াংহো নদীর তলদেশ থেকে নিচে অবস্থিত যার ফলে এই সংযোগ খালগুলিতে পানি পাম্পিং করে উপরে তুলতে হবে এবং এই কাজ করতে যেয়ে তিনটি বৃহৎ বাঁধ নির্মানও করতে হবে।

এই সব উপক্রমনিকার মর্মার্থ হচ্ছে, চীনের দক্ষিণ-উত্তর পানি প্রত্যাহার প্রকল্পের এই পশ্চিম-পথেরই বিতর্কিত সম্প্রসারণ প্রকল্প হিসেবে ধরা হয় ‘ইয়ারলুং সাংপু প্রকল্প (Yarlung Tsangpo Project)’ বা আমাদের চোখে ‘চীনের ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রত্যাহার প্রকল্প’। আশা রাখি পরবর্তী পর্বে এই প্রকল্প নিয়ে মূল আলোচনা থাকবে।

(চলবে)

তথ্যসুত্রঃ

কিছু ফাইল আমি আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে রেখে দিয়েছি যার লিঙ্ক নিচে দিলামঃ

[১] ‘Dams and Development: A New Framework for Decision Making’, World Commission on Large Dams.

[২] উইকিপিডিয়া

[৩] Lester R Brown and Brian H alweil, ‘China’s Water Shortage Could Shake World Food Security’, World Watch, July/August 1998.

[৪] দক্ষিণ-উত্তর পানি প্রত্যাহার প্রকল্পের ওয়েবসাইট

[৫] Tashi Tsering, ‘Hydro Logic: Water for Human Development, An Analysis of China’s Water Management and Politics’, Tibet Justice Center: 2002.

[৬] ‘No Chinese dam over Brahmaputra: PM assures Arunachal’, Hindustan Times 21 October 2009.

ছবিসুত্রঃ

ছবি ১ - উইকিমিডিয়া কমনস

ছবি ২ - দক্ষিণ-উত্তর পানি প্রত্যাহার প্রকল্পের ওয়েবসাইট

ছবি ৩ - দক্ষিণ-উত্তর পানি প্রত্যাহার প্রকল্পের ওয়েবসাইট

ছবি ৪ - Tashi Tsering, ‘Hydro Logic: Water for Human Development, An Analysis of China’s Water Management and Politics’, Tibet Justice Center: 2002.


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জাহিদ ভাই, কিপ ইট আপ।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ পিপিদা উৎসাহ দেবার জন্য।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রাফি এর ছবি

চমৎকার এবং সময়োপযোগী সিরিজ, স্যার।
চলুক

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ রাফি।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

গুল্লি

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ আরিফ ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

একদিকে সমুদ্র পানির উচ্চতা বেড়ে চলেছে, অন্য দিকে নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এতো মহাবিপর্যয়ের কথা!

এশিয়ার নদীগুলো একাধিক দেশে ব্যাপৃত আর এ নদীগুলোর সাথে এত মানুষের জীবন জীবিকা জড়িত যে, এদের প্রবাহের ব্যাপারে কোনো রাষ্ট্রের একক কোনো পরিকল্পনা এ অঞ্চলে বড় রকমের বিপর্যয় ডেকে আনবে। সব দেশের অংশগ্রহণে সম্মিলিত নদী কমিশন টাইপের কিছু একটা থাকা দরকার।

সচল জাহিদ এর ছবি

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যদি ঘাটাঘাটি করেন তাহলে দেখতে পাবেন সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি আর নদীর শুকিয়ে যাওয়া আক সুতায় বাধা। মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে তাপমাত্রা। বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলবে যা সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বাড়াবে। একই সাথে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত তাপমাত্রা নদীসমুহের উৎহ হিমবাহের দৈর্ঘ্য কমাবে বা স্বতঃবাষ্পীভবন বাড়াবে ফলে নদীতে পানি কমবে। আর সেই সাথে অতরিক্ত জনসংখ্যা আর দ্রুত শিল্পায়নের ফলে পানির ব্যবহারও বাড়বে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে যুক্ত নদী কমিশন আছে যেমন মেকং নদী কমিশন। তবে এই বিষয়ে আমিও একমত এবং বার বার বলেছিও যে আন্তঃসীমান্ত সব নদীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সমন্বয়ে যুক্ত নদী কমিশন থাকা উচিৎ।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক
মনোযোগ দিয়ে পড়লাম জাহিদ ভাই। পরেরটার অপেক্ষায়।
______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

আলমগীর এর ছবি

ডেঞ্জারাস কাজ!
সাধুবাদ রইল। টিপাই নিয়েও আপনার ক্লান্তিহীন কাজ দেখেছি।
ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া আর কিইবা করতে পারি‍‍!

সচল জাহিদ এর ছবি

আলমগীর ভাই, ধন্যবাদের থেকেও বড় পাওনা হচ্ছে আপনাদের উৎসাহ। অনেক ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বাধীন এর ছবি

বরাবরের মত চমৎকার ও তথ্য বহুল লেখা। চালিয়ে যাও।

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই বিষয়টি আমাকে জানানোর জন্য। আগেও শুনেছিলাম কিন্তু আপনার পাঠানো লিঙ্ক থেকে ভালমত অবগত হয়েই কিন্তু আমি তথ্য সংগ্রহে নেমে যাই।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

পুতুল এর ছবি

চীন কিন্তু মুখে তেমন কিছু বলে না। কিন্তু কাজটা ঠিকই করে। মানে নিজের যা দরকার তা নেয়। এতে অন্যের কী ক্ষতি হলো তাতে কিছু যায় আসে না।
ভারতরে নিজের গোর্য়তুমি চীনের চেয়ে ভাল নয়।
দুই গোয়ারের চিপায় আমাদের মত ছোট দেশগুলো ভোগে বেশী। তিব্বাত তো চীন গলাধকরণ করেই ফেলেছে।
পানি নিয়ে যুদ্ধ হবে, তবে সেটা যেন আমাদের দিয়ে শুরু না হয়।
পরের পর্বে আরো অনেক কিছু জানব।
অনেক অজানা তথ্য জানলাম।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সচল জাহিদ এর ছবি

পানি নিয়ে যুদ্ধ হবে, তবে সেটা যেন আমাদের দিয়ে শুরু না হয়

সামরিক যুদ্ধ না হোক অর্থনৈতিক ও কুটনৈতিক যুদ্ধ এড়ানোর সুযোগ বাংলাদেশের নেই পুতুল ভাই। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য ও উৎসাহের জন্য।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গুড জব রিপন। এই ক্ষেত্রে ভাটির দেশগুলোর পরিবেশের উপর যে পরিমান খারাপ প্রভাব পড়বে চীনের পরিবেশের উপর তারচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব পড়ার কথা - যদিও চীন তা স্বীকার করবেনা এবং তাদের জনগণকে টাকার অংকে নগদ লাভের হিসাব দেখানোর চেষ্টা করবে। এই দিকটার উপর সম্ভব হলে বিস্তারিত লিখো।

চীন মূলতঃ দক্ষিণ বাহিনীর সব নদীর উপরই এমন বাঁধ দেবার তালে আছে। ভারত ও বাংলাদেশের সাথে শীঘ্রই মায়ানমার, থাইল্যাণ্ড, কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনামের নাম যুক্ত হবে। সম্ভব হলে সেই বিষয়েও আলোকপাত করো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ আরিফ ভাই। আপনার পরামর্শগুলি যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয়। আশা করি এই বিষয়গুলিতে আলোকপাত করব।

যে স্থানে বাঁধ দিবে ( আমি পরের পর্বে বিস্তারিত লিখব আশা করি ) তার উজানে মূলত তিব্বত সুতরাং চীন সেখানকার পরিবেশ বা বাস্তুতন্ত্র নিয়ে কিছুই ভাববেনা। তিব্বতীরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য লড়ে যাচ্ছে কিন্তু চীন কিছুতেই তিব্বত হাতছাড়া করবেনা।

মেকং নদী কমিশন থাকায় এর উপর অসংখ্য বাঁধ হলেও তা নিয়ে জটিলতা কম। এরকম ভাবে আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর ক্ষেত্রে সম্মিলিত ভাবে পরিকল্পনা করলে এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে বিরোধ কমিয়ে আনা সম্ভব।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নিবিড় এর ছবি

ধন্যবাদ জাহিদ ভাই দরকারি একটা সিরিজ শুরু করার জন্য চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ নিবিড়।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আপনার পোস্টগুলি সব সময় পরে মনোযোগ দিয়ে পড়বো ভেবে রেখে দেই, আর পড়া হয় না। এবার পণ করে পড়লাম। চমৎকার তথ্যবহুল আর প্রয়োজনীয়। অনেক না জানা বিষয় জানলাম।

একটা কথা বলি, কিছু কিছু টার্ম বাংলায় বলার পাশাপাশি যদি ইংরেজীটাও পাশে বন্ধনী-টন্ধনীতে দিয়ে দেন তাহলে ভালো হয়। যেমন ধরুন, পশ্চিম-পথ প্রকল্প, মধ্য-পথ প্রকল্প, ও পূর্ব-পথ প্রকল্প - এগুলির কথা এখানে পড়ার পরে যদি কোন বিদেশী পত্র-পত্রিকায় পড়ি বা টিভিতে দেখি, তাহলে মেলাতে খুব অসুবুধা হয় যদি ইংরেজীটা জানা না থাকে।

কাজটা শুরু করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। যাই, এবার পার্ট-টু পড়ি গিয়ে।

সচল জাহিদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ধর্মপুত্র আপনার পরাপর্শের জন্য। ঠিক করে দিলাম।

বিদ্রঃ আমাকে তুমি করে বললে কৃতার্থ হব।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সাফি এর ছবি

দ্বিতীয় পর্ব থেকে লিংক পেয়ে প্রথম পর্বে এলাম, ভাল লাগলো। অনেক যত্ন নিয়ে পরিশ্রম করে লিখেছেন। ধন্যবাদ সে কারণেও, অনেক কিছুই জানতে পারলাম

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।