নারীসঙ্গ পরিত্যাজ্য (আব্‌জাব)

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৪/২০০৯ - ১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বন্ধুটি আমার বড়োই পড়ুয়া। তার জ্ঞান-গরিমাও কম নয়। সব সময়ই তার বগলে ছোটো-বড়ো, মোটা-পাতলা, কোনো না কোনো সাইজের একটা বই থাকেই। ব্যাগের মধ্যে থাকে আরো গোটা চারেক। তার চোখ দিয়ে ঠিকরে ঠিকরে বের হয় জ্ঞান। আর সে মাঝে মাঝে একটা চশমা ঠেলে সেই জ্ঞান আটকানোর চেষ্টা করে। তো এমন বন্ধু একদিন এসে দুম করে বলে বসলো, “শোন, নারীসঙ্গ পরিত্যাজ্য”। দাবী গুরুতর। নিশ্চই জ্ঞানগর্ভ কোনো কারণও আছে এর পিছনে। আমরা তাই পাশের বাড়ির উর্মির গল্প বাদ দিয়ে তার দিকে মনোনিবেশ করি। কিন্তু আমাদের আশিক ছেলেটা ঘটনার গুরুত্ব বোঝেনা। বোকার মতো বলে বসে, “আরে, তুই নারীসঙ্গের বুঝিসটা কী? নামের শেষে ডট জেপিজি (.JPG) নেই- এমন কোনো নারী দেখেছিস জীবনে?” বন্ধুটি উত্তর দেয়, “শোন, সঙ্গের জন্য তো মেলামেশার দরকার নেই। একটা ইন্টেলেকচুয়াল রিলেশন তো অনলাইনেই হতে পারে, নাকি?” আমরা কয়েকজন মাথা নেড়ে সায় দেই।
সে বলে, “কিন্তু আসলে সেটা সম্ভব না। মেয়েদের সাথে কোনো ইন্টেলেকচুয়াল রিলেশনেই যাওয়া সম্ভব না!”
আমরা বলি, “কেন কেন? ছিঃ এরকম একটা বর্ণবাদী কথা তুই বলতে পারলি!”
“আরে বর্ণবাদী না, বল নারীবিদ্বেষী।”
“ওই হলো আরকি! দুইটাই তো খারাপ।”
“কেন, বলবোনা কেন? জ্ঞান-বিজ্ঞানে তো তাদের কোনো আগ্রহই নেই! কীসে যে তারা মজা পায় সেটাই একটা গবেষণার বিষয়!”
সুমন বলে, “না না, এ তুই ভুল বললি। আমার এক ফ্রেন্ডের দাদীই তো আছে নাসার সাইন্টিস্ট”।
আমরা বলি, “এহহে শুরু করলিতো দাদীর গল্প। ও কি দাদী কোলে করে বসে থাকবে?”
“এহ্‌, কোলে করে বসে থাকতে যাবে কোন দুঃখে! জ্ঞান বিজ্ঞানে যে মেয়েরা পিছিয়ে নেই সেটা তো স্বীকার করতে হবে, নাকি? আজকে আমাদের মতো ইয়াং জেনারেশন যদি...”
আলাপ অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। তাই আমি বলি, “গাইজ, উই আর লুজিং দ্যা ফোকাস! ওকে তো ওর দাবীর কারণ ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিবি, নাকি?”
জ্ঞানী বন্ধুটি চশমা ঠেলে ঠুলে শুরু করে,
“আগের দিন কী ইন্টারেস্টিং একটা গল্প বলছি এক মেয়েকে। সে না শুনেই গেল চলে! তোরা হলে এই গল্প পুরোটা না শুনেই পারতিস না”।
এই জ্ঞানবৃক্ষের ইন্টারেস্টিং গল্প শোনার ইচ্ছা আমাদের কারো নেই। নিশ্চই আলাপ জুড়বে ফার্মিওন নাহয় ইলেকট্রোডাইনামিক্স নিয়ে। আমি ভাবছি আবার উর্মির আলাপ রিজিউম করবো কিনা। অমনি আশিক বোকাটা প্রশ্ন করে বসে, “কী গল্প?”
অতএব তার গল্পটা আমাদের শুনতেই হয়। জ্ঞানবৃক্ষ শুরু করে,

“শোন, আগের দিন এক মেয়ের সাথে কেমনে কেমনে জানি অনলাইনে যোগাযোগ হয়ে গেল। মেয়ের নাম উর্মি।”
আমরা একটু নড়ে-চড়ে বসলাম।
“তখন আমি ইন্টারেস্টিং একটা বই পড়ছি। মেয়েটা বলে,
-কী করছো তুমি এখন।
-বই পড়ি। দ্যা গ্লাস প্যালেস।
-কী নিয়ে বই।
-বার্মার রাজাদের রাজত্ব হারানোর ঐতিহাসিক গল্প।
-ওয়াও। তুমি খুব জ্ঞানী, তাই না? জ্ঞানী ছেলেদের আমার খুব পছন্দ।
আমি ভাবলাম অবশেষে একটা আগ্রহী মেয়ের সন্ধান বুঝি পেলাম! একে না হয় একটা গল্প শুনিয়েই দেই। বলি,
-গল্প শুনবে নাকি?
-বলো বলো, গল্প বলো। গল্প শুনতে আমার খুব ভালো লাগে।
-শোনো তাহলে, সেই বৃটিশ আমলের কথা, বৃটিশরা তখন বার্মার উপকূলোবর্তী সব যায়গা দখল করে নিয়েছে। বার্মার রাজারা রেঙ্গুন ছেড়ে ইরাওয়াদী নদী ধরে চলে গেছে আরো উত্তরে। মানদালায়। ইরাওয়াদী নদী দিয়ে প্রায় পাঁচ দিনের নৌপথ। মানদালায় তারা যে প্রাসাদে উঠেছে সেটার নাম হলো, ‘কাঁচের প্রাসাদ’। মানে আমাদের গ্লাস প্যালেস। যে নামে এই গল্পটা।
-ইইইই এইটা কি ইতিহাসের গল্প নাকি? প্লিজ কোনো সাল-টাল বলবে না। প্লিই...ইজ! ইতিহাসের সাল আমার পঁচা লাগে!
-ঠিকাছে, তাহলে রাজার হাতিটার গল্প বলি। বার্মার সেই রাজা থেবাউ এর ছিলো এক রাজকীয় সাদা হাতি। মানে হাতিটার রঙ সাদা!
-এহ, হাতির রঙ সাদা হয় নাকি! এইটা তো একটা মিথ তাইলে।
-না না, রঙ আসলেই সাদা ছিলো। মানে হাতিটা আলবিনো। ওর মেলানিন নিয়ন্ত্রন কারী জিন গুলো কোনো কারণে নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলো। জেনেটিক ডিজিজের কারণে এরকম হতে পারে। তুমিতো জানই কোনো প্রাণী তার প্যারেন্টসের কাছ থেকে যত জোড়া ক্রোমোজম পায়, তার মধ্যে জিনগুলো...
-না না না, জিনের গল্প বন্ধ করো! আমি হাতির গল্প শুনবো।
-ওকে, ঠিকাছে।... তো এই রাজকীয় সাদা হাতি ছিলো তাদের সৌভাগ্যের প্রতীক। রাজা থেবাউ’ও সেই হাতিকে এত বেশি পছন্দ করতো, যে সেই হাতিকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো হতো।
-এ মা! বাচ্চা হাতি নাকি? খুব কিউট তো!
-আরে না না। হাতি বাচ্চা হতে যাবে কোন দুঃখে? হাতি বড়োই ছিলো। যাই হোক, গল্পতো শেষ করতে দাও।
-ঠিকাছে গল্প শেষ করো।
-রাজার হুকুমে, রাজ্যের যেসব মহিলারা নিজের বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে, তাদের বাধ্যতামূলক ভাবে রাজ প্রাসাদে গিয়ে হাতিকে দুধ খাইয়ে আসতে হতো। মানে তারা গিয়ে লাইন ধরে হাতির সামনে দাড়ালে হাতিবেটা নিজেই তার শুঁড় দিয়ে...। তো যাই হোক, একদিন ম্যা চোং নামের এক মহিলার পালা। হাতির পেট ভরানো তো আর সহজ ব্যাপার নয়। বিরাট দক্ষযজ্ঞ। তাই লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত শত মহিলা। ম্যা চোং দাঁড়িয়ে আছে লাইনের এক মাথায়। হাতি আরেক পাশ থেকে শুরু করেছে। বিশালাকার প্রাণীটা একেক মহিলার সামনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তারপর শুঁড় দিয়ে নিপুণ দক্ষতায় তাদের ব্লাউজ খুলে...”

এটুকু বলে জ্ঞানবৃক্ষ থেমে যায়। আমরা বলি, “তারপর কী?”
“তারপর আর কী! উর্মি করলো লগআউট।”
“আরে সাদা হাতির কী হলো সেটা বল”।
জ্ঞানবৃক্ষ তখন তার চশমা ঠেলেঠুলে মুখে একটা বিজয়ের হাসি নিয়ে বললো, “দেখলি তো? তোরা ছেলেরা কতো আগ্রহ নিয়ে আমার গল্পটা শুনতে চাচ্ছিস। কিন্তু কোনো মেয়েকেই পুরোটা শোনাতে পারলাম না। নতুন কিছু জানায় তাদের কোনো আগ্রহই নেই!! তারা কুপমন্ডুক। যার মনের জানালা বন্ধ তাকে...”
“আরে তোর জানালার গল্প কে শুনতে চেয়েছে, সাদা হাতির গল্প বল শালা।”
কিন্তু জ্ঞানবৃক্ষকে আর গল্প বলতে আগ্রহী মনে হয়না। সে তার হাতের বইটা বোগলদাবা করে উঠেপড়ে। তখন তার চোখ জ্বল-জ্বল করে জ্ঞান বীকিরণ করতে থাকে। আর যাবার আগে, চশমাটা একটু ঠেলা দিয়ে, বিড়বিড় করে শুধু একবার বলে, “এজন্যই বলি, নারীসঙ্গ পরিত্যাজ্য।”


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনার নিজের কাহিনীটা অন্যের নাম দিয়ে করায় বেশ গল্পের আমেজ এসছে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

একমত। এটা স্পর্শের নিজস্ব কাহিনী। কোনও সন্দেহই নেই এতে। জ্ঞানবৃক্ষের (বাকি সব চরিত্রের নাম উল্লেখ থাকলেও মূল চরিত্রের নাম রহস্যজনক কারণে অনুপস্থিত) জ্ঞানগর্ভ বক্তব্যগুলো স্পর্শের লেখা সাম্প্রতিক কয়েকটি বিজ্ঞান-বিষয়ক ব্লগের কথা মনে করিয়ে দেয় চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হ...

স্পর্শ এর ছবি

লীলেন ভাই, সন্যাসী, ইশতিয়াক এই 'অসাধারণ' গল্পটি পড়ার সময় আপনাদের কি মনে হয়নি, যে একেবারে নিজের গল্প পড়ছেন?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমার কথা কই।

জ্ঞানবৃক্ষ যে-টাইপের কথা কইসে, তা দুনিয়ার সমস্ত সামরিক বাহিনী তাগো তাবত্ মারণাস্ত্র আমার দিকে তাক কইরা ধরলেও আমার মুখ দিয়া বাইর হইবো না। মাথায় অতো বিদ্যা থাকলে তো!

ইহা হইতে প্রমাণ হয়, আপনেই সেই জ্ঞানবৃক্ষ চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

স্পর্শ এর ছবি

কিন্তু এরকম একটা 'হাতির গল্প' চোখ টিপি তো আমার চেয়ে আপনারই বেশি ভালো বলতে পারার কথা! নাকি?

ইহা হইতে প্রমাণ হয়, আপনিই জ্ঞানবৃক্ষ পদের ক্যান্ডিডেট!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সাদা হাতিকে যদি শ্বেতহস্তি হিসেবে উল্লেখ করা হতো তাহলে সন্দেহ হতেই পারতো যে এমস রসিক হাতির গল্পের নায়ক সন্ন্যাসী হলেও হতে পারেন

কিন্তু সাদা হাতিকে উল্লেখ করা হয়েছে আলকেমি না আলবেনিয়া কী যেন রোগের রোগা হাতি হিসেবে

সুতরাং সেই নায়ক সন্ন্যাসী না হয়ে বরং বিজ্ঞানজীবী স্পর্শই হবার সম্ভাবনা বেশি

০২

আর হাতিটা যদি বার্মার না হয়ে সিলেটের হতো তাহলে সন্দেহ হতে পারতো আমার সম্পৃক্ততা নিয়ে (যদিও হাতির চেয়ে নিজেকে রোমান্টিক হিসেবে প্রমাণ করায় আমার বেশি আগ্রহ)

এতেও প্রমাণিত হয় যে দেশবিদেশ দেখে বেড়ানো স্পর্শ ছাড়া বাঙ্গাল মুল্লুকে বসে বার্মার হাতি নিয়ে গল্প লেখা একমাত্র স্পর্শের পক্ষেই সম্ভব

স্পর্শ এর ছবি

না না, হাতি হওয়া দিয়ে কথা না তো। কথা হচ্ছে জ্ঞানবৃক্ষ হওয়া দিয়ে।
আর আপনার চোখের জ্ঞানসংবরণকারী চশমা তো ভুবন বিদিত!
তাই এহেন ঘটনা আপনার জীবনে খুজে পাওয়ার সমূহ সম্ভবনা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

সিরিয়াসলি আমি গল্পটা শুনতে চাই। খাইছে

স্পর্শ এর ছবি

দেখলে তো! এই কারণেই জ্ঞানবৃক্ষ ছেলেদের ভালা পায়। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

হিমু এর ছবি

এই কারণেই মনে হয় রাজা ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধে হেরে গেসিল। অপুষ্ট সব শিশু বড় হয়ে রাজার বাহিনীতে সৈনিক হয়েছে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে, কিন্তু সুপুষ্ট হস্তি-বাহিনী ও তো ছিলো!! ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হস্তী বাহিনী? সারা দেশ তো অপুষ্টিতে মারা যেত তাহলে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শাহীন হাসান এর ছবি

পড়লাম সাদা হাতির গল্প...
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

স্পর্শ এর ছবি

না মানে, গল্পটাতো আংশিক। ইয়ে, মানে...
পড়ার জন্য থ্যাঙ্কু। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

দুর্দান্ত লিখেছেন মশাই, না জানলে ভাবতাম নামী লেখকের লেখা গল্প।

স্পর্শ এর ছবি

মিয়া, আমিতো উপমহাদেশের একনাম্বার নামী লেখক। ছদ্দনামে লিখি বলে চিনতে পারেন নাই। চোখ টিপি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

ও তাই কন, এই বারে বুসলাম ক্যান আপনেরে এতো চিনা চিনা লাগে !

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

কিন্তু হাতির যে শেষে কী সর্বনাশ হলো, সেটাতো শোনেন নাই। ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পরিনাম জাইনা কী লাভ আগেই? কোবি বলেছেন না?
"নগদ যা পাইলা,
খুলে খুলে দেখো তালা,
দুগ্ধ খাওয়া থাকুক শিকেয় তোলা,
পরিণাম, সে আবার কী! ব্লাউজের কল্যানে যায় সব যে ভোলা!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা এর ছবি

আহারে বেচারা হাতি!
ভাবেন দেখি আফনের মা নাই, বাদুড়সুন্দরীরা দয়া কইরা খাওয়ায়। ইশ, কতগুলি বাদুড়নী লাগে কন! লাইন ধইরা!
হাতির দুখ বোঝেন না গো!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্পর্শ এর ছবি

ঠিক ভাবুন তো! মন খারাপ

গল্পের করুণ রস একমাত্র আপনিই আস্বাদন করতে পারলেন।
বড়ো হয়ে জ্ঞানবৃক্ষ হবার একটি বড়ো সম্ভবনা আপনার রয়েছে।
শুধু এই গল্পের মূলবক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেই হবে। চোখ টিপি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তুলিরেখা এর ছবি

স্পর্শকাতর গল্প! আহা এত করুণরস করবেন না ! দেঁতো হাসি
আফনে মশয় উর্মি দেইখা ভিরমি না খাইয়া বরম হাওয়াই যান গা, দেখবেন জামাজুতা সব হাওয়া! দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্পর্শ এর ছবি

মানে সেই 'আলোহা' হাওয়াই (মতান্তরে আলো-হাওয়াই)?
ওখানেও কি তারা শ্বেত হস্তি লালন পালন করে? :-/


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তুলিরেখা(নালগা) এর ছবি

ওখানে সব হাতিই যারে কয় গিয়া ....হে হে

ভুতুম [অতিথি] এর ছবি

সিরিয়াস মজা পাইলাম।

রেনেট [অতিথি] এর ছবি

সেরম একটা গল্প হইসে! তবে আমিও বলি, গল্পের জ্ঞানবৃক্ষ স্বয়ং স্পর্শ ভাই।

সবজান্তা এর ছবি

কী বিচিত্র ব্যাপার !

গত কয়দিন ধরে আমি দ্য গ্লাস প্যালেস পড়ছি। নাম দেখে পুরো চমকে ঊঠেছিলাম।

খুব খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম পুরা কাহিনী না আবার বলে দেন...

আত্মজীবনি লেখার জন্য আপনাকে জাঝা...


অলমিতি বিস্তারেণ

স্পর্শ এর ছবি

আরে অবাক হবার কি আছে? তুমিই তো সেই সবজান্তা জ্ঞানবৃক্ষ! বই পড়ার প্রমান তো নিজেই দিলে।
ঠিকাছে তোমার কাহিনী সবাইকে বলে আর লজ্জা দিবো না। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হে হে সৈরম। স্পর্শ ভাইয়ের আত্মজীবনীমূলক গল্পে পাঁচ তারা দিছি। হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

স্পর্শ - আপনার বন্ধুরা 'ফোকাস লুজ' করলেও আপনি করেন নি দেখে অনেক ধন্যবাদ - নাইলে আর আমাদের জ্ঞানার্জন হয়েছিলো আর কী!

তবে, জ্ঞানবৃক্ষের কথাটা ভাববার মতো - হুম্‌ম্‌ম্‌ম্‌ ...... ভাবছি ...... চিন্তিত

স্পর্শ এর ছবি

দেঁতো হাসি
বাঁচতে চাইলে আপনিও নারীসঙ্গ পরিত্যাগ করেন।

কি দারুণইনা হতো সব নারীরা যদি নারীসঙ্গ পরিত্যাগ করত!! চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দ্রোহী এর ছবি

চোখ বুঁজে বলতে পারি এই গল্প স্পর্শ ভাইজানের "জীবন থেকে নেয়া"। দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

সবজান্তা সব 'দায়িত্ব' স্বীকার করলো! তাউ দেখি লোকে আমারে খুচায়। ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্বপ্নাহত এর ছবি

ব্যাপক দেঁতো হাসি

---------------------------------

তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

খাইষ্টা গল্পের মজাই আলাদা দেঁতো হাসি
উত্তম জাঝা!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হাতিটা আলবিনো ছিল লিখেছেন, কিন্তু ডান হাতি না বাম হাতি ছিল, সেটা লেখেন নি... জানতে মঞ্চায়...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

স্পর্শ এর ছবি

হাতিটা ছিলো মধ্যশুঁড়ি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তীরন্দাজ এর ছবি

আসলেই জ্ঞানবৃক্ষ আপনার বন্ধুটি। ভালোই দিল আপনাদেরকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

তো স্পর্শ, যতোই সাতপাঁচ ঘুইরা ঘুরায়া এইদিক ওইদিক বাউতি কাইট্যা পলাইতে চান না ক্যান্!-
আপনের পিথিমীর সব ঊর্মি'র কসম লাগে হে জ্ঞানবৃক্ষ স্পর্শ, তারপরে বলেন, শ্যাষ করেন গল্পটা- সাদাহাতি তারপর কী ক'রে! খাইছে চোখ টিপি

পুনশ্চঃ নামের পাশে .JPG নাই এমন নারীর ব্যাপারটা আমার হেব্বি লাগসে! আমারও এখন সেইরম কিছু নারী দেখতে টেখতে মঞ্চায়।- জেপিজি দেখতে দেখতেই জীবনের সব মিঠাই হাওয়া হৈয়া ফুরায়া যাইতেছে রে! মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

স্পর্শ এর ছবি

গল্পের বাকিটা জানতে 'দ্যা গ্লাস প্যালেস' পড়ুন হাসি

আর আপনার মতো আমারো অই .JPG দশা ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আপ্নে থাকতে আমার ওই গল্প জানতে দ্য গ্লাস প্যালেস পড়তে হৈবো?- এমন একটা স্পর্শকাতর কথা আপ্নে কইতে পারলেন?! :\

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তানবীরা এর ছবি

হাহাহাহা,

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

বেশ!

সিরাত এর ছবি

,jpg অংশটা দারুন ছিল! বাকি গল্পও বেশ ভাল লাগলো, যদিও সত্যি বলতে শেষের অংশটা বুঝিনি (হায় হায়, কইয়া দিলাম?)। চোখ টিপি

স্পর্শ এর ছবি

তাইলে ঠিকাসে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নিবিড় এর ছবি

মজা পাইলাম হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তুলিরেখা এর ছবি

টুকরা টুকরা জীবনী দিতে থাকেন, পরে কাবিলেরা জুইড়া মহাজীবনী বানাইবো নে।
আহা, নোবেল উঠানে চইলা গেলে আর কি সময় পাইবেন? সময় থাকতে দিয়া যান, দিয়া যান।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

কাবিলদলে কামলা খাটনের প্রতিশ্রুতি দিয়া রাখলাম, এইবার লিখ্যা ফালান আপনে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা হা।
জট্টিল ম্যান! খুউব ভাল্লাগসে। বিশেষ করে ডট জেপিজির পার্টটা তো হেব্বি মজারু।

তোমার নিজের কাহিনী অন্যের নামে চালাইতে চাও, খুব খারাপ চোখ টিপি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মজা লাগছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জি.এম.তানিম এর ছবি

নিজের জীবনের ঘটনা অন্যের নামে পরকাশ করায় স্পর্শ এর প্রতি তেব্রো নেন্দা ঝানাই!
দেঁতো হাসি :D দেঁতো হাসি
ক্যাম্পাসে একটা বিশাল সময় ধরে সে আমারে নারীসঙ্গ পরিত্যাজ্য এই নীতিতে দীক্ষিত (মাধুরী না মন খারাপ) করতে চাইসিল...এখন জানা গেল (চোলির চোখ টিপি) পিছনের ঘটনা!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

স্পর্শ এর ছবি

এইসব প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে লাভ নাই। কারণ এই পোস্ট যাদের দেখার তারা সবাই অলরেডী দেখে ফেলসে! দেঁতো হাসি
আমি তো তোরে বলসি মেয়েদের সাথে কম কম বইন পাতাইতে আর বেশি বেশি বঊ পাতাইতে। পরিত্যাগ করতে বলিনাইতো!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আরে, তুই নারীসঙ্গের বুঝিসটা কী? নামের শেষে ডট জেপিজি (.JPG) নেই- এমন কোনো নারী দেখেছিস জীবনে?

ব্যাপক!! হাসতে হাসতে পুরা বিষম খাইছি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

আরে!! কঠিন... কঠিন...
~ চরম বা চরমের উপরে ~

তারানা এর ছবি

হুম! বুঝলাম!!

শুভ্র এর ছবি

জ্ঞানবৃক্ষ এর জন্য দুঃখ হচ্ছে... বেচারা নিজের মত কোনো মেয়েকেই পেলো না......খাইছে
তবে এই জ্ঞানবৃক্ষকে কেনো যেনো খুব পরিচিত মনে হচ্ছে...চোখ টিপি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

গল্পের শেষে কি হল?

চোখ টিপি

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

খেক খেক!!! মজা পাইলাম !
আমিও এই টাইপ গল্প শুনাইতে গিয়া শোনাইতে পারি নাই!!!
জানার প্রতি তাহাদের কুনু আগ্রহ নাইক্কা!!

বোহেমিয়ান

কৌস্তুভ এর ছবি

এই পুরোনো লেখাটা হঠাৎ করে চোখে পড়ে গেল, পড়ে (এবং তুলিদি ইত্যাদির মন্তব্য দেখে) ব্যাপক আমোদ পেলুম।

আরে, তুই নারীসঙ্গের বুঝিসটা কী? নামের শেষে ডট জেপিজি (.JPG) নেই- এমন কোনো নারী দেখেছিস জীবনে?

পুরো গুল্লি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।