যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী।।৫।।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ২৪/১০/২০১০ - ৯:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাসান ফেরদৌস প্রথম আলোতে নিয়মিত লেখালেখি করেন। সম্পাদকীয় পাতায় তাঁর লেখা কলামের নাম ‘খোলা চোখে’। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারের সাময়িকী অন্য আলোতে তাঁর ছোটখাট একটা রিভিয়্যু মতো কলাম ছাপানো হয়। নাম ‘অল্প কথায়’। এই কলামে প্রকাশিত লেখাগুলো তথ্য আকারের। মানে কোন বই পড়লাম। সেখানে কী কী জিনিস আছে। ফ্ল্যাপ পড়ে বা গুগল করে তথ্য পেতে যেটুকু সময় লাগে সেটা করার হাত থেকে বাঁচার জন্য লেখা হিসেবে মন্দ নয়।

হাসান ফেরদৌসের এপ্রিল মাসে (২৯শে এপ্রিল ২০১০) প্রকাশিত কলামের নাম ‘ক্ষমা করব কি করব না’। বিষয়- রুয়ান্ডার গণহত্যা ও সাধারণ ক্ষমার বিষয় উল্লেখ করে একাত্তরের ঘাতক দালালদের ক্ষমা করার প্রসঙ্গ। ১৯৯৪ সালে আফ্রিকার রুয়ান্ডায় ভয়াবহ জেনোসাইড হয়। সেই বছর মাত্র একশ দিনের মধ্যে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হুটু আর টুটসি সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গায় আট লক্ষের মতো টুটসি এবং হুটু সহমর্মীদের কচুকাটা করা হয়। সেই সময়ে গড়ে উঠেছিল টুটসি বিরোধী মিলিশিয়া দল Interahamwe (“to attack together”) (Rudolf:2003)। গুলি বোমা কোনো কিছু ব্যবহার না করে রামদা টাইপের অস্ত্র ম্যাচেটি দিয়ে এতো লোককে মারা হয়। বিবিসির ওয়েবসাইটে রুয়ান্ডার টাইম লাইনের দিকে একবার তাকালে রুয়ান্ডায় ঘটা ঘটনাবলি সম্পর্কে সাধারণ একটা ধারণা হবে। গণক্ষমার তথ্যের সাথে সাথে সেখানে গণহত্যা পরিচালনাকারীদের গ্রেফতার আর ট্রায়ালের খবর বর্ণনা করা আছে। হাসান ফেরদৌস তাঁর কলামে রুয়ান্ডায় গণক্ষমা নিয়ে একটা সিনেমা ‘অ্যাজ উই ফরগিভ’ দেখে সেটাকে রুয়ান্ডার সার্বিক পরিস্থিতি বলে মালুম করেছেন। সিনেমাটা বানানো হয়েছে গাসাসা (Gacaca) নামের একটা আঞ্চলিক আইনী ব্যবস্থার কিছু চিত্র নিয়ে। অথচ পুরো লেখায় হাসান সাহেব গাসাসা-র কথা একবারও উল্লেখ করেন নাই। এই কলাম লেখার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দেয়ার বিপক্ষ শিবিরের সঙ্গে একাত্মতা পরোক্ষভাবে টের পাওয়া যায়।

কলামের শেষ প্যারা বাদে বাকিটা রুয়ান্ডা নিয়েই। প্রথমে উল্লেখ করেছেন একটি বইয়ের নাম। ফিলিপ গুরিইয়েভিচের ‘আই উইশ টু ইনফরম ইউ দ্যাট টুমরো উই উইল বি কিলড উইথ আওয়ার ফ্যামিলিস’। বলা প্রয়োজন রুয়ান্ডায় ঘটা গণহত্যা নিয়ে অনেক বইপত্র সিনেমা বানানো হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্র ও। সিনেমার মধ্যে ‘হোটেল রুয়ান্ডা’ বেশ পরিচিত। এছাড়া শেইক হ্যান্ড উইথ দা ডেভিল, সামটাইমস ইন এপ্রিল, শুটিং ডগস্। আর অনেক বইপত্র প্রকাশিত হয়েছে দলিল হিসেবে। এই নির্মম গণহত্যার ঘটার এক যুগ পরে রুয়ান্ডা সরকার সেই হত্যাকারীদের মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করে –এর প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। অ্যাজ উই ফরগিভ: স্টোরিজ অব রিকনশিয়ালেশন ফ্রম রুয়ান্ডা (Larson: 2009)। মিরর টু দা চার্চ: রেজারেক্‌শান ফেইথ আফটার জেনোসাইড ইন রুয়ান্ডা (Katongole: 2009)। এই দুটো বইতে জোরপূর্বক পুনর্মিত্রতাকে জায়েজ করার ব্যাপক চেষ্টা দেখা যায়। ‘অ্যাজ উই ফরগিভ’ নামের প্রামাণ্যচিত্র দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখিকা ক্যাথেরিন ক্লেয়ার লারসন রুয়ান্ডায় ভ্রমণ করে কিছু ঘটনা নিয়ে গণক্ষমার সাফাই গেয়ে বই লিখে ফেলেছেন। ‘মিরর টু দা চার্চ’ বইয়ের লেখক ভুলে গেছেন এই গণহত্যায় অনেক টুটসি পুরোহিত নিজেরাই অংশগ্রহণ করেছে। অনেক গীর্জায় ব্যাপকহারে টুটসি মারা হয়েছে। টুটসিদের গীর্জায় আশ্রয় দিয়ে পুরোহিত খুনি হুটুদের ডেকে আনার ঘটনা ও ঘটেছে। সেই খ্রিস্টের দোহাই দিয়ে এই জোর খাটিয়ে মিল করা হচ্ছে। মজার ব্যাপার গণহারে ক্ষমার সাফাই গেয়ে প্রকাশিত বই দুটির প্রকাশকাল প্রায় একই সময়। আর একই প্রকাশনীর।

‘অ্যাজ উই ফরগিভ’ প্রামাণ্যচিত্র দেখে ফানাপ্রাপ্ত হাসান ফেরদৌস এর বাইরে তথ্য খোঁজার কষ্ট করেন নি। অবশ্য কলামে একটা প্রশ্ন বারবার দেখা যায়। কীভাবে ওরা ক্ষমা করে দিতে পারলো? ( হতে পারে- এটাও পাঠকের আবেগ নিয়ে নাড়াচাড়া করার একটা সস্তা পদ্ধতি)। কিন্তু তথ্য যাচাইয়ের কষ্ট উনি করেন নাই। একটা সাধারণ ফর্মুলাও তাঁর লেখালেখির মধ্যে দেখা যাচ্ছে। অন্য দেশের অন্য একটা প্রসঙ্গ টেনে এনে সেটার সাথে দেশের কোনো ঘটনা কারণে অকারণে সম্পর্কিত করে নিজের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একটা কিছু লেখা দাঁড় করানো। রুয়ান্ডায় এইরকম খুনীদের মাফ করে দেয়া হয়েছে- আমরাও যেন দেই। বাইরের দেশে বই নিষিদ্ধ করে ফায়দা হয় নাই, তাই মওদুদী সাহেবের বই ও নিষিদ্ধ করা উচিত নয়। হাসান ফেরদৌসের কলামটি থেকে সংক্ষিপ্তসার তুলি আনি।

ছবির আসল নজর সম্প্রীতি-প্রক্রিয়ার ওপর। অনেক লোকের কথা না বলে এ তথ্যচিত্রে দুই মহিলার কথা বলা হয়েছে, গণহত্যায় তাঁরা উভয়েই সবকিছু—স্বামী, সন্তান, সংসার নির্বাহের উপায়, সবই হারিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের দুই ঘাতক। কৃতকর্মের জন্য উভয়েই জেলে গিয়েছিল, গণক্ষমার ভিত্তিতে তারা ছাড়া পেয়েছে।

এ তথ্যচিত্রে আমরা আলাদাভাবে এই চারজনের সঙ্গে পরিচিত হই। তাদের নিজের বর্ণনায় শুনি গভীর ক্ষত ও বেদনার কথা, শুনি আন্তরিক মনস্তাপ ও মনঃপীড়নের কথা। কীভাবে এমন পাষণ্ডের মতো নির্মম হত্যার কাজ তারা করতে পারল? এ প্রশ্ন ঘাতক দুজন নিজেরাই নিজেদের করে। তার উত্তরও আমরা পাই। নিজেদের দায়ভার লঘু করার লক্ষ্যে নয়, বাস্তবতা বোঝানোর জন্য আমরা পরিচিত হই ১৯৯৪ সালের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে। যারা ক্ষমতায় বসেছিল, এই খাণ্ডবদাহের মন্ত্রদাতা তারাই। সরকারি মদদে পরিচালিত একটি রেডিও স্টেশন থেকে অহর্নিশ টুটসিদের বিরুদ্ধে প্রচার চলেছে। যে মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তোলা হয়, তাদের অর্থ ও অস্ত্র দেওয়া ছাড়াও আদর্শগতভাবে তৈরি করে নেওয়া হয়। ঔপনিবেশিক আমল থেকে হুটু-টুটসির সাম্প্রদায়িক বৈরিতা ছিল। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাতে ঘৃতাহুতি দেওয়া হয়। আর তারই প্রভাবে ভেবে না ভেবে হুটুরা ঝাঁপিয়ে পড়ে টুটসিদের ওপর। এক সময় টুটুসিরা জোতদার ছিল। তাদের বিরুদ্ধে শ্রেণীগত বৈষম্যও উসকে দেওয়া হয়।

মুক্ত এসব হাজার হাজার মানুষকে যদি সমাজে সমন্বিত না করা হয়, রুয়ান্ডার বুকের ক্ষত মিটবে না, রাজনৈতিক বিভক্তিও রয়ে যাবে। পল কাগামে ও তাঁর সমর্থক টুটসিরা চাইলে এ বিভক্তি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পারতেন। তা করেননি, বরং সে ক্ষত মেটাতে সম্প্রীতি-প্রক্রিয়ার অভিনব প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। এ কাজে মন্ত্রী হিসেবে যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাঁর পরিবারের প্রতিটি মানুষ সেই গণহত্যায় নিহত হয়। অথচ তিনিই ক্ষমা ও সম্প্রীতির কথা বলছেন সবচেয়ে উঁচু গলায়, তা দেখে ক্ষমাপ্রাপ্ত হুটুদের এ প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা জন্মায়। সাধারণ মানুষেরা, যাদের পাশাপাশি ঘরে প্রতিটি দিন কাটাতে হবে এই খুনেদের সঙ্গে, তাদের কাছ থেকেও সমর্থন মেলে।

সম্প্রীতি-প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দুই মহিলার একজনের ভাঙা ঘর মেরামত করা হয়। অন্য মহিলার খেতের ফসল কেটে আনতে সাহায্য করা হয়। ঘাতক দুই পুরুষও তাতে অংশ নেয়। এভাবে একধরনের আদান-প্রদানের আবহ সৃষ্টি হয়, সামাজিকভাবে ওঠাবসা শুরু হয়। অবশেষে মুখোমুখি উপস্থিত হয় ঘাতক ও তার শিকার। তারা উভয়েই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী। যিশুর ক্ষমাবোধের সঙ্গে তারা পরিচিত। শেষ পর্যন্ত সেই ক্ষমতাবোধই তাদের দ্বিধার শেষ দেয়াল ডিঙাতে সাহায্য করে। (ফেরদৌস: এপ্রিল ২০১০)

তারপর উপসংহার টেনেছেন একাত্তরের রাজাকার আলবদর যুদ্ধাপরাধীর প্রসঙ্গ এনে। হাসান ফেরদৌসের এতোক্ষণ ধরে রুয়ান্ডা কাহিনীর বলার উদ্দেশ্য তখন বোঝা যায়। এখানে একটা প্রশ্ন- হুটুরা রামদা নিয়ে আক্রমণ করলে টুটসিরা চুপ করে বসে ছিল কেন? আত্মরক্ষার জন্য তাদের যা যা হাতের কাছে আছে তাই নিয়ে হুটুদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল। কেন তারা তা করে নাই? হয়তো হত্যাকাণ্ড চলার সময় কোনো নেতৃত্ব গড়ে ওঠার অভাবে। ১৯৯৪ সালে হুটু প্রেসিডেন্টের হত্যাকাণ্ডের পরপরই ব্যাপক হারে টুটসি নিধন শুরু হয়। প্রায় মিলিয়ন লোক হত্যা করা হয় একশো দিনের মধ্যে। হাসান ফেরদৌস রুয়ান্ডায় বিচার প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরেননি। আংশিক চিত্র খাবলা মেরে তুলে ধরেছেন। তার ওপর একটা প্রামাণ্যচিত্র থেকে যাবতীয় রসদ নিয়েছেন। এর বাইরে যান নাই। আর যিশুর কথিত ক্ষমাবোধের কথা টেনে উনি পাঠককে একটা কিছু বোঝাতে চান। অথচ যীশু ক্ষমাবোধের দীক্ষা অপরিচিত ছিল না টুটসিদের কাছে। আর গীর্জায় প্রচুর হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেই সময়।

0a
(Longman: 2001)

হাসান ফেরদৌসের কলামের শেষ প্যারা পড়ি-

আমি জানি না এ তথ্যচিত্র থেকে আমাদের শেখার বা জানার কিছু আছে কি না। একাত্তরের ঘাতক ও দালালদের সরকারিভাবে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল, কিন্তু সে ক্ষমা ঘোষণার আগে আমাদের মতামত কেউ চায়নি। ক্ষমাপ্রাপ্ত সেসব ঘাতকের মনস্তাপের কথাও আমরা শুনিনি। আমরা, আমি নিজেও বরাবর ঘাতক ও খুনেদের প্রতি আমাদের অনিঃশেষ ঘৃণার কথাই বলে এসেছি। সারা পৃথিবীও যদি ক্ষমা করে, আমরা তাদের ক্ষমা করব না, এমন কথাও বলেছি। কিন্তু তারপর? তারপর কী?

প্রথম আলোতে সৈয়দ মকসুদ, আসিফ নজরুলের কলামের প্রতিক্রিয়া চোখে না পড়লেও হাসান ফেরদৌসের এই লেখার একটা প্রতিক্রিয়া ছাপা হয়েছে। বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া। প্রতিক্রিয়া লেখক কল্লোল মোস্তফা হাসান ফেরদৌসের কিছু তথ্য পাশে সরিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটা খন্ডচিত্র দেখিয়ে তার সাথে একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার প্রক্রিয়াকে সম্পর্কিত করা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন।

১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মাত্র ১০ হাজার জনের বিচার সম্পন্ন হয়। এই গতিতে বিচার চললে পুরো বিচারকার্য সম্পন্ন হতে সময় লাগবে আরও ১১০ বছর। এ রকম একটি বাস্তবতায় রুয়ান্ডার সরকার বিভিন্ন এনজিও ও চার্চের সহায়তায় ২০০১ সাল থেকে গাসাসা (Gacaca) নামে এক অংশগ্রহণমূলক বিচারব্যবস্থা চালু করে, যার মাধ্যমে প্রতিটি অঞ্চলে স্থানীয় পর্যায়ের সাধারণ অপরাধীদের ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধের ভিকটিমের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করা হয়।

টুটসি প্রেসিডেন্ট পল কাগামে এ প্রক্রিয়া সমর্থন করলেও ক্ষতিগ্রস্ত টুটসি জনগণ এ প্রক্রিয়াকে কতটুকু সমর্থন করেছে আর কতটুকু তাঁদের বাধ্য করা হয়েছে কিংবা এ প্রক্রিয়া আদৌ কোনো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা কি না, কিংবা রুয়ান্ডার হুটু-টুটসির জাতিগত সংঘর্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার ও তার দোসর রাজাকার-আলবদরের চালানো গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের সঙ্গে তুলনা চলে কি না, সে বিতর্কে না গিয়েও নিশ্চিন্তে বলা যায়, এটা স্রেফ আংশিক চিত্র। (রুয়ান্ডার এই সম্প্রতি প্রচেষ্টাকে অনেকে রাষ্ট্রশক্তির জোর করে সম্প্রীতির চেষ্টা বা ফোর্সড রিকনসিলিয়েশন বলছেন। এ বিষয়ে জ্যঁ হাজফেল্ড তাঁর দ্য অ্যান্টিলোপ স্ট্র্যাটেজি: লিভিং ইন রুয়ান্ডা আফটার দ্য জেনোসাইড-২০০৭ বইতে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কারণ গাসাসা যখন স্থানীয় পর্যায়ের অপরাধীদের বিচার চালাচ্ছে, জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনাল ফর রুয়ান্ডা (আইসিটিআর) ১৯৯৪ সালের নভেম্বর থেকে কাজ করছে গণহত্যার মূল হোতাদের বিচারের লক্ষ্যে। ২০১২ সাল নাগাদ এই বিচারকার্য শেষ হওয়ার কথা। এই ট্রাইব্যুনাল এখন পর্যন্ত রুয়ান্ডার গণহত্যার বিষয়ে ২১টি ট্রায়াল সম্পন্ন করেছেন এবং ২৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ২০০৯ সালে ট্রাইব্যুনাল গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে মোট ১১ ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত করে জেনারেল থিওনেস্তে বাগাসোরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এখন প্রশ্ন হলো, হাসান ফেরদৌস কী কারণে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে রুয়ান্ডায় গণহত্যার মূল হোতাদের এ চলমান বিচারপ্রক্রিয়াকে পুরোপুরি চেপে গিয়ে রুয়ান্ডার স্থানীয় সম্প্রদায়ের ছোট ছোট আদালতে চলমান বিচারকার্য এবং কথিত সম্প্রীতি-প্রক্রিয়াকে ‘যিশুর ক্ষমাবোধের’ উদাহরণ হিসেবে পাঠকের সামনে হাজির করলেন বিশেষত এমন একটা সময়, যখন বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি চলছে। (মোস্তফা: মে ২০১০)


গাসাসা কোর্ট চালু হয় ২০০১ সালে। এটা এক ধরণের কমিউনিটি ট্রায়াল। গ্রাসরুট লেভেলের। চালু করার প্রাথমিক কারণ – জেলখানার স্থান অপ্রতুলতা। এতো বিশাল সংখ্যক কারাবন্দীদের ভরণপোষণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গাসাসা কোর্ট চালু হবার পর সেটা রুয়ান্ডার জনসাধারণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। রক্তপিপাসু খুনীদের ক্ষমা করে দেয়ার ব্যাপারটা অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। (Aghion: 2002)

১৯৯৪ সালে গণহত্যা শেষে প্রায় দেড় লক্ষের মতো টুটসী খুনীদের গ্রেফতার করা হয় ( Lewis: 2010)। গাসাসা কোর্টের নানা সীমাবদ্ধতা আছে। বিচারকদের কোনো আইনী জ্ঞান নেই। একটা সাধারণ ট্রেনিং-ই ভরসা। তার ওপর আবার ঘুষ কেলেংকারী সহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে (...) । এছাড়া কিছু কিছু কমিউনিটিতে টুটসি হাতে গোনা। বা নেই বললেই চলে। সেখানে হুটু হত্যাকারীরা বিচারক সেজে বসেছে (Zorbas: 2008)

এই গণক্ষমার পক্ষে টুটসি প্রেসিডেন্ট পল কাগামে কাজ করছেন। সাম্প্রতিক নির্বাচনেও তিনি জয়ী হয়েছেন। ফলে নিজের পক্ষে ভোটার বাড়াতে হুটুদের কাছে টেনে নেয়ার কাজটা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করছেন। নিপীড়িত টুটসিরা রাষ্ট্রচালিত গাসাসা-র বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে কোন প্রতিরোধ করে নাই। তবে ক্ষোভ রাগ ঘৃণা এগুলো সরকার চেষ্টা করেও প্রশমিত করতে পারবে না। ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পল কাগামে জানান-

The genocide has a long history, if you know a bit of what happened in 1959 alone. There was a civil strife which led to many refugees moving out of the country in hundreds of thousands and tens of thousands of people being killed. More or less, genocide started around that time. There had been other genocides in 1963, 1967, 1973 and 1993. . . It has been taking place for quite a long period. A section of our population has always been targeted by the government and its forces. Huge sections of the population were wiped out from different parts of our country. This had been going on over thirty years. (Lewis: 2010)

অর্থাৎ উনি আর জাতিগত বিদ্বেষ চান না। গাসাসা-র কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ জনতার প্রতিক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছু স্টাডি হয়েছে। কিছু জনগণ সব ভুলে ক্ষমা করে দিতে আগ্রহী। কিন্তু বেশিরভাগ লোকের এই দগদগে ক্ষত শুকায়নি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর দেশের রাজনীতিবিদদের চাপে পড়ে এই প্রক্রিয়া তারা মেনে নিতে একধরণের বাধ্য হয়েছে। রুয়ান্ডার অর্থনীতি ভঙ্গুর। দেশের জনগণ শিক্ষিত নয়। ফলে তাদের প্রভাবিত করার নানা পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এখানে কিছু সাক্ষাৎকারের কথা দেয়া হল।

As Olive, a Hutu widow whose Tutsi husband died during the genocide told me, “All these confessions are a program of the government. Hutu confess to get free. But we know what happened! We were there in 1994. Not all who killed get justice – the government pardons them for reconciliation. Not all who didn’t kill go free – the government puts them in prison for reconciliation. What kind of peace is this? It is not from the heart.” ()

2211aa
(Zorbas: 2008)

321aa
(Zorbas: 2008)

31aaa
(Zorbas: 2008)

বাংলাদেশ ত্রিশ লক্ষ লোকের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছে। এই স্বাধীনতা কারো দান নয়। যুদ্ধের সময় কিছু রক্তপিপাসু লোভী যুদ্ধাপরাধী পাকবাহিনীর দোসর হয়ে কাজ করেছে। হত্যাকান্ড, লুন্ঠন, ধর্ষণ সহ যাবতীয় সব অপরাধ তারা সম্পন্ন করেছে। রুয়ান্ডায় গণহত্যাকারীদের সাথে এদের তুলনা প্রতিতুলনা না করেও একটা কথা বলা যায়- বাংলাদেশের রাজাকার বাহিনীর যুদ্ধাপরাধীরা দেশদ্রোহী। বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিল এরাই। স্বাধীনতা অর্জনের এতো বছর পরেও তাদেরকে সাজা দেয়া যায় নি। দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের একটি এই যুদ্ধাপরাধীদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। সব পেরিয়ে এ সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দেয়ার একটা ব্যবস্থার উদ্যোগ নিচ্ছে তখন রাজাকার আলবদরদের মুখপাত্র পত্রিকাগুলো নানামুখী প্রচারণা চালাচ্ছে। দেশের প্রথমসারির দৈনিক প্রথম আলোতে সৈয়দ আবুল মকসুদ, আসিফ নজরুল, হাসান ফেরদৌস যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে লেখা অব্যাহত রেখে আমাদের জাতিগতভাবে এম্নেসিয়া আক্রান্ত করার চেষ্টা জারি রেখেছেন। আমরা সেটা হজম করছি। ধিক আমাদের।

সূত্র


১। Aghion, Anne, director. Gacaca: Living Together Again in Rwanda? First Run/Icarus Films, New York: 2002
২। Rudolf, Joseph, ed. Encyclopedia of Modern Ethnic Conflict. Westport: Greenwood, 2003
৩। Lewis , Jacqueline,Mass Graves and a Thousand Hills: University Student Perspectives on the Gacaca Courts in Post-Genocide Rwanda, Inquiry Journal: Spring, 2010
৪। Zorbas, Eugenia, What does reconciliation after genocide mean? Public transcripts and hidden transcripts in post-genocide Rwanda, Journal of Genocide Research: 2009, 11(1), March, 127-147
৫। Buckley, , Remembering to Forget: Chosen Amnesia as a Strategy for Local Coexistence in Post-Genocide Rwanda, Journal of the International African Institute, Vol. 76, No. 2 (2006), pp. 131-150
৬। Katongole, Emmanuel M. , Mirror to the Church: Resurrecting Faith after Genocide in Rwanda, Zondervan, February 1, 2009
৭। Larson, Catherine Claire, As We Forgive: Stories of Reconciliation from Rwanda, Zondervan , January 27, 2009
৮। Zorbas, Eugenia, What does reconciliation after genocide mean?, African Journal of Legal Studies, 2004(1), 29-52
৯। Sarkin, Jeremy ,The Tension between Justice and Reconciliation in Rwanda: Politics, Human Rights, DueProcess and the Role of the Gacaca Courts in Dealing with the Genocide, Journal of African Law, Vol. 45, No. 2 (2001), pp. 143-172
১০।Longman, Timothy, Church Politics and the Genocide in Rwanda, Journal of Religion in Africa, Vol. 31, Fasc. 2, Religion and War in the 1990s (May,2001), pp. 163-186


--

যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী।।৪।।


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

গবেষণা এবং লেখা খুবই ভাল হয়েছে। এই হাসান ফেরদৌস এ ধরনের আর কোনো বক্তব্য দেন নি? বা এই বক্তব্যটার সমালোচনা উঠলে সেটাকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেন নি?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মে মাসের পেপার দেখলাম। নাই।

আম্রিকায় বা ইউরোপে প্রতিক্রিয়ার জবাব দেয়া লেখকের দায়িত্বে পড়ে। আমাদের দেশে হাসান ফেরদৌস থেকে শুরু করে তথাকথিত স্টার লেখকেরা প্রতিক্রিয়া লেখকদের আবাল মনে করেন। ফলে উত্তর দেয়ার ঠেকা তাঁদের নেই। এভাবেই চলে আসছে। মন খারাপ

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

শ্যাজা এর ছবি

বক্তব্য বলিষ্ঠ, পরিবেশনাও সুন্দর।

------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...

সংসপ্তক এর ছবি

দারুন! চলুক
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

মুস্তাফিজ এর ছবি

এখানে একটা প্রশ্ন- হুটুরা রামদা নিয়ে আক্রমণ করলে টুটসিরা চুপ করে বসে ছিল কেন? আত্মরক্ষার জন্য তাদের যা যা হাতের কাছে আছে তাই নিয়ে টুটসিদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল।

এখানে একটা প্রশ্ন- হুটুরা রামদা নিয়ে আক্রমণ করলে টুটসিরা চুপ করে বসে ছিল কেন? আত্মরক্ষার জন্য তাদের যা যা হাতের কাছে আছে তাই নিয়ে হুটুদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল। হবে

...........................
Every Picture Tells a Story

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বিশ্রী রকমের একটা টাইপো। ঠিক্করে দিলাম।

ধন্যবাদ, বস্‌।

-------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সুপার কাজ হইসে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রানা মেহের এর ছবি

হাসান ফেরদৌস লোকটাকে পছন্দ করতাম।
এই কলাম পড়ে এতো মেজাজ খারাপ হয়েছিল।
-------------------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কামরুল হাসান রাঙা [অতিথি] এর ছবি

জামাতীরা এভাবেই নিজ পরিচয় লুকিয়ে রেখে কাজ করে যাচ্ছে, তবে ইদানীং ঠ্যালায় পড়ে কেউ কেউ গর্ত থেকে বের হতে বাধ্য হচ্ছে।

তথ্যবহুল সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

কুলদা রায় এর ছবি

হাসান ফেরদৌসের সঙ্গে দুবার কথা হয়েছে জ্যাকমন হাইটসে। বেশ জাকালো চুল। সুন্দর করে কথাও বলেন। নানা অনুষ্ঠানে আলো করে থাকে। জাতি সঙ্ঘে চাকরি করার সুবাদে নানা ধরনের লোকের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পান। নানা তথ্য সংগ্রহ করারও সুযোগ মেলে তার এন্তার।
তার লেখাগুলো অধিকাংশই অনুবাদ ধরনের। নিজের নামে চালিয়ে দেন। টেকনিকটা মন্দ নয়।
মাঝে মাঝে লেখার মোহে পড়ে কি লিখছেন বোধ করি নিজেও বুঝতে পারেন না।
এই ধরনের মোহবাজ বা বিরিঞ্চি বুদ্ধিজীবীর তালিকা কম নয়।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসান ফেরদৌসের ইন্টারনেট ঘেঁটে আর বইয়ের ফ্ল্যাপ পড়ে কলাম লেখার অভ্যাস আছে। তাঁর কলামগুলোতে প্রচুর ফাঁক ফোকর।

পাকিস্তানের প্রতি উনার আগ্রহ ব্যাপক। জেনারেল মিঠা ও এক ইন্দুর গল্প কলামে লিখেছেন-

জেনারেল আবুবকর মিঠার দীর্ঘ, সম্ভবত অতিদীর্ঘ স্মৃতিকথা আনলাইকলি বিগিনিংস-এর (অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ইসলামাবাদ, ২০০৮) দুই-তৃতীয়াংশ পড়া পর্যন্ত এই পাকিস্তানি জেনারেল সম্বন্ধে আমার এক ধরনের ইতিবাচক মনোভাবই গড়ে উঠেছিল।...

জনাব ফেরদৌস এক পাকিস্তানি জেনারেলের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কথা বলেন আলু পত্রিকায়। আর কলামে যা লিখেছেন ইন্টারনেটে সেসব তথ্য এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে।

http://www.jazbah.org/tehreemam.php
http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/8177057.stm
http://bourgeononline.com/?p=85
http://www.dawn.com/wps/wcm/connect/dawn-content-library/dawn/in-paper-magazine/books-and-authors/the-forgotten-hero
http://www.thehindu.com/2009/06/23/stories/2009062361492000.htm


-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দ্রোহী এর ছবি

'ন্যাজ' কি আর সারাজীবন লুকিয়ে রাখা সম্ভব?


কাকস্য পরিবেদনা

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

চ্রম!

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই লেখাটা অনেক বেশি ভাল হইসে। কুলদা রায়ের মন্তুব্য থেকে বুঝতে পারলাম হাসান ফেরদৌসের লেখার মন্ত্র কি! ওইলেখার প্রতিক্রিয়ার পরে হা ফে কে আর কখনো এই লিয়ে লিখতে দেখিনি। যদিও অন্য এক লেখায় মৌদুদির প্রতি ভালবাসা বের হয়ে পড়েছিল। তাই কৌস্তভদার প্রশ্নটা আমারও। ওই লেখার প্রতিক্রিয়ার তার প্রতিক্রিয়া জানার ইচ্ছা। কারণ সে নিজেকে খোদ মস্কো থেকে পড়াশোনা করা সমাজতান্ত্রিক হিসেবে জাহির করত। আমার তাই আরো একটা প্রশ্ন, ইদানিং যা নগ্ন ভাবে আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে, কিভাবে এককালের বামেরা এত সহজে ডানে গিয়ে বসতে পারে!

অনন্ত

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

যাকিসুভালুতার্সাথেপ্রথমালু

দেঁতো হাসি

কাজী মামুন এর ছবি

ইট রাখার কোনো ইমো নাই?

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

কাজী মামুন এর ছবি

ইট রাখার ইমো হিসেবে এইটা কেমন হয় দেখুন তো-
single-brick

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

হিমু এর ছবি

শেষ প্যারায় আসিফ ইকবাল > আসিফ নজরুল হবে।

ম্যাওদুদুর বই নিয়ে ফেরদৌস সাহেবের বুকফাটা কান্না নিয়েও আলোকপাত করতে পারেন। যাকে বলে সে কাঁদনে আঁসু আনে সীমারেরও ছোরাতে টাইপ ব্যাপার।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিক্কর্লাম।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গবেষনা দেইখা ডরাইছি, তাই ৫ তারা দাগায়া ভাগছি তাড়াতাড়ি

তয় একটা কথা কওয়া দরকার, এই ব্যাটারে ৭১ এর রিক্যাপ দেওনের কাম (অর্থাৎ তারে হাত-পা বাইন্ধা বধ্যভুমিতে নিয়া গুলি করার ভাব নেয়া যায়), তারপর দেখুম উনার মতামত বদলায় কিনা! বোরখা খুইলা দেওনের লাইগা উত্তম জাঝা!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সিরাত এর ছবি

পড়লাম।

আমি একটা অত্যন্ত সাধারণ প্রশ্ন করি, যদিও এটার মধ্যেও চাইলে অনেক গন্ধ পাইলেও পাইতে পারেন। কিন্তু আপনি তো লিখলে কিছু প্রতিক্রিয়াও আশা করেন, তাই না? হাসি সুতরাং খুব পিছনে না ভেবে-চিন্তে লেখাও আশা করি খুব বেশি বিপদজনক কিছু হবে না।

লাস্ট লেখায় সুনীলরে ধুইলেন (আমি ঠিক একমত হইতে পারি নাই), আজকে হাসান ফেরদৌসরে (অনেক স্ট্রঙ্গার কেস)। আগে আরো লোকরেও ধুইসেন। মতভিন্নতা তো থাকবেই। শেষে ঠগ বেছে উজাড় গাঁ-এ বাকি থাকবে কে বলে আপনার মনে হয়? হাসি

প্রশ্নটা যদি বাঁকা শোনায়, প্লিজ, সেটা উদ্দেশ্য না। ছফা ছাড়া আপনার মতে রাইটলি গাইডেড কারা, এটার একটা আইডিয়া পেলে মন্দ হয় না। এ-ই!

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

কেইস বাই কেইস দেখা যায়। যেমন অমুক ক্ষেত্রে ক সাহেবের কথা বাতিল মানে এই না যে তমুক ক্ষেত্রেও ক সাহেবের কথা বাতিল। ফলে সুনীল বাবুর ভুল আছে মানে এই না সুনীল বাবু ঠগ, উনাকে বেছে ফেলে দেয়া হয়েছে। ভালো কথা বললে মাথা ঝাঁকাব, কিন্তু দুই নম্বরী কথা বললে আবার ধরা হবে। ব্যাপারটা এইরকম আরকি।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

বা এইভাবে চিন্তা করা যায়, মানুষ কার কথা শুনবে সেই চিন্তায় তো সে মুক্ত। শুভাশীষ ভাইয়ের গাঁ উজাড় মানে এই না যে তোমার গাঁও উজাড় হতে হবে চোখ টিপি

সিরাত এর ছবি

দারুণ লাগলো উত্তরটা। হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শেষে ঠগ বেছে উজাড় গাঁ-এ বাকি থাকবে কে বলে আপনার মনে হয়?

সারফেস লেভেলে প্রশ্ন যৌক্তিক। আমার মতে, উত্তর হলো ঠগ বাছার পরে যা বাকি থাকে, তা-ই যথেষ্ট। এখানে মতভিন্নতার দোহাই আরোপ করা যায় না। মতভিন্নতা তখন আসে, যখন কোনো উদ্দেশ্যসাধনের জন্য একাধিক ভিন্ন মতামত প্রয়োগ করা যেতে পারে, যেখানে প্রত্যেকটা মতামতই কারো মাথায় বাড়ি দেয় না। এজন্যই অন্যায়ের সমর্থনে ব্যক্ত মতকে মতভিন্নতার মর্যাদা দেয়া যায় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সিরাত এর ছবি

কিন্তু আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে শুভাশীষদার কাকে এইসব ব্যাপারে ওনার সাথে মতের মিল ভাল আছে বলে মনে হয়? হাসান ফেরদৌস পর্যায়ের আর কোন কলামিস্ট? উনি অবশ্য একজনের নাম উল্লেখ করেছেন যিনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, কিন্তু উনি তো রেগুলার কলামিস্ট না। বা, আপনি যা বললেন: ঠগ বাছার পর কি বাকি থাকে?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ঠগ বাছার পরে বাকি থাকে 'মানুষ'। পত্রিকার কলামিস্টদের কে ঠগ, কে ঠগ না, সেই আলোচনায় না গিয়েও বলা যায়, মানুষের সিংহভাগই ঠগ না এবং মানুষ নিজেকে ফলো করাটা পত্রিকার কলামিস্টদেরকে ফলো করার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

মানুষের সিংহভাগই ঠগ না এটার প্রমাণ মানুষের টিকে থাকা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সিরাত এর ছবি

তার মানে কি ডিসপ্রপোরশনেটলি ঠগ লোকেরা পত্রিকায় কলাম লিখে? বা ধরেন বই লিখে খ্যাতি অর্জন করে?

ব্লগাররা, বা জনপ্রিয় ব্লগাররা কি 'সাধারণ' মানুষের মধ্যে পড়েন?

আমরা কি ধরতে পারি/ ধরে নিবো এই পুরো গ্রুপটিই 'সাধারণ' মানুষের চেয়ে বেশি এজেন্ডা-ড্রিভেন?

সিরাত এর ছবি

এখানে বলে রাখা দরকার যে আমি শুভাশীষদার বিশ্লেষণকে অপ্রয়োজনীয় বলছি না, মনেও করছি না। এ লেভেলের বিশ্লেষণ দরকার তো বটেই, এওয়ারনেস বাড়ায়।

কিন্তু বিশ্লেষণ সবসময় পুরো কনটেক্সটটা কি বলতে পারে? একেকজন একেকটা জিনিস একেকভাবে নেয়। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ শেষ লেখাটা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন উপন্যাসের এওয়ারনেসটা দিয়েছেন শুভাশীষদা আমাকে। পড়ে (এখনো শেষ করি নাই) আমার প্রতিক্রিয়া ওনার সাথে মিলে নাই। ওনার লেখা আমার নিটপিকিং ধরনের মনে হইসে, তাই বলে উপভোগ করি নাই তা-ও না। কিন্তু আমার মনে হইসে এভাবে চাইলে আরো অনেক জিনিসেই খুঁত ধরা যায়; সে হোক পূর্ব-পশ্চিম বা দুই পৃষ্ঠার একটা গল্প। আমি বরং চাইবো সুনীল আরো লিখুক!

কেবল এই। হয়তো এখানে আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড বা অনুমিতির তারতম্য আছে।

চালায় যান শুভাশীষদা! হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার ব্যক্তিগত মত বলি:

তার মানে কি ডিসপ্রপোরশনেটলি ঠগ লোকেরা পত্রিকায় কলাম লিখে? বা ধরেন বই লিখে খ্যাতি অর্জন করে?

খ্যাতির বিষয়টা অনেকটাই বাণিজ্যিক। একজন লেখক বা একজন কলাম লেখক তার পণ্য (এক্ষেত্রে, লেখা)কে মানুষের কাছে যতোটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারবে, মোটাদাগে ততোটাই খ্যাতি সে পাবে। এই মার্কেটিংয়ের কাজটা সততার সাথেও হতে পারে, ঠগবাজি করেও হতে পারে। প্রসঙ্গত, লেখার মান বা আকর্ষণ এই মার্কেটিং পলিসির একটা নিয়ামকমাত্র, তার বেশি কিছু নয়।

ব্লগাররা, বা জনপ্রিয় ব্লগাররা কি 'সাধারণ' মানুষের মধ্যে পড়েন?

ব্লগাররাও সাধারণ মানুষ। কারণ, সাধারণ মানুষ কথা বলতে চায় এবং ব্লগারদের কাজও কথা বলা। কথা বলার আবার কয়েকটা স্টেপ আছে। যেমন, ১) চিন্তা করা, ২) চিন্তাকে ভাষায় রূপান্তর করা, ৩) ভাষায় রূপান্তরিত চিন্তাকে অডিয়েন্সের সামনে তুলে ধরা। প্রায় প্রত্যেকটা মানুষই ১ নম্বর স্টেপ পর্যন্ত যায়, অনেকে ২ নম্বর পর্যন্ত যায় আর ব্লগাররা ৩ নম্বর স্টেপও পালন করে। জনপ্রিয় ব্লগাররা সচেতনে বা অবচেতনে মার্কেটিংটা ভালোভাবে করে।

আমরা কি ধরতে পারি/ ধরে নিবো এই পুরো গ্রুপটিই 'সাধারণ' মানুষের চেয়ে বেশি এজেন্ডা-ড্রিভেন?

এখানে গ্রুপ বলতে লেখকদেরকে বুঝায়, এটা ধরে নিয়ে বলা যায়, সাধারণ মানুষদের তুলনায় এরা বেশি এজেন্ডা-ড্রিভেন না; বরং এরাও সাধারণ মানুষেরই অন্তর্গত। সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনোকিছু অর্জনের যে ইচ্ছা তাকে চালিত করে, একজন লেখক, কলামিস্ট বা ব্লগারের ক্ষেত্রেও একই ইচ্ছা তার চালিকাশক্তি হয়। সফলতা সবসময় চালিকাশক্তির মাত্রা (এজেন্ডা-ড্রিভেন হওয়ার মাত্রা)র ওপর নির্ভর করে না। এটাও একটা নিয়ামকমাত্র। এবং এরকম অসংখ্য নিয়ামক, যাকে প্রচলিত ভাষায় 'ভাগ্য' নাম দেয়া হয় অথবা 'সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে উপস্থিতি' জাতীয় প্রবচন দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়, তার সম্মিলিত যোগফলই সফলতা বা খ্যাতি লাভ। মানুষ হিসেবে আমাদের একেবারে সীমিত অভিজ্ঞতা ও অর্জিত জ্ঞানদ্বারা আমরা জানা নিয়ামক (যেমন, কঠোর পরিশ্রম, মানসিক চালিকাশক্তি, শর্টকাট ইত্যাদি)গুলো ম্যাক্সিমাইজ করার চেষ্টা করি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কাজী মামুন এর ছবি

কুলাদা দাদার মন্তব্য দেখলে মনে হতে পারে নিরিহ, কিন্তু আমার কাছে অত নিরিহ মনে হয় না লোকটারে!

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশে যুদ্ধপরাধিদের বিচার প্রক্রিয়া হিসেবে যা হচ্ছে তাহল পরিকল্পিত এই হত্যা কাণ্ড সংঘটনের পরিকল্পনার সাথে জড়িত এদেশিয় নাগরিকদের (!) বিচার অর্থাৎ মূল Ideologue দের বিচার কার্য সম্পাদন করার কাজ। যেহেতু ব্যাপক হারে ধর পাকড় করে বিচার কার্য করা তো হচ্ছে না সেহেতু হাসান সাহেবের রুয়ানডার কমিউনিটি আদালত গঠন , ক্ষমা এই সব ট্যাঁনা পেচানি আলুচনা সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কোন লক্ষ্য পূরণ করবে না। হাসান সাহেবের উচিত হলিউডি মুভি বাদ দিয়ে পল ফ্রিডমেনের Rwanda- Do Scars Ever Fade প্রমান্যচিত্রটি দেখা

পোষ্টের ব্যাপক তথ্যের সংযুক্তি ও গবেষণা আসলেই ভালো লেগেছে বিশেষ করে চার্চ এর এই গণহত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টা এই তথ্যটি আমার আগে জানা ছিল না ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সিরাত,

কিন্তু আপনি তো লিখলে কিছু প্রতিক্রিয়াও আশা করেন, তাই না?

প্রতিক্রিয়া অবশ্যই আশা করি। আমার যুক্তির বিপরীতে যুক্তি থাকতেই পারে। সেটা আসুক।

লাস্ট লেখায় সুনীলরে ধুইলেন (আমি ঠিক একমত হইতে পারি নাই), আজকে হাসান ফেরদৌসরে (অনেক স্ট্রঙ্গার কেস)।

সুনীলকে নিয়ে লেখাটা সমালোচনা টাইপের ছিল। উনি ইতিহাস বিকৃত করেছেন। বাংলাদেশের নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এগুলো সিরিয়াস বিষয়। তারপর অনর্থক রাসেলের ঘটনা মনগড়া গালগল্প দিয়ে ফেনিয়েছেন। আপনি বলছেন- একমত হতে পারি নাই। ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়।

হাসান ফেরদৌসের ইঙ্গিতগুলো ভয়ানক। প্রথম আলোর খ্যাতিমান কলামলেখকের কলম থেকে জামাত তোষণ শোনা যাচ্ছে ভাববাচ্যে। এগুলো ধরিয়ে দেয়া উচিত। আমি উনার লেখার খুঁতগুলো নিয়ে লিখেছি। ব্লগ একটা উন্মুক্ত মাধ্যম। আমার যুক্তির বিপরীতে যুক্তি দেখালে সেটা ব্লগে আসবে। ধুইলেন টাইপের উপরসর্বস্ব অভিযোগ না করে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আলোচনা করুন। অন্যরাও করতে পারেন। হাসান ফেরদৌসের কলাম পড়তে ভালোবাসেন এইরকম লোক তো কম না।

আগে আরো লোকরেও ধুইসেন। মতভিন্নতা তো থাকবেই। শেষে ঠগ বেছে উজাড় গাঁ-এ বাকি থাকবে কে বলে আপনার মনে হয়?

গাঁয়ে অনেক লোক আছে। উজাড় হবার সম্ভাবনা কম। ধ্রুব বর্ণনের যুক্তিটা পছন্দ হয়েছে। আমার গাঁ না হয় উজাড়, আপনার নিজের ব্যক্তিগত গাঁ ফরহাদ, আসিফ, উমর, মকসুদ, ফেরদৌসকে দিয়ে ভরিয়ে রাখতে পারেন। প্রথম আলোর এতো এতো গুণমুগ্ধ পাঠকের সাথে মিশে যেতে পারেন। মানা করছে কে?

-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সিরাত এর ছবি

আমার গাঁ না হয় উজাড়, আপনার নিজের ব্যক্তিগত গাঁ ফরহাদ, আসিফ, উমর, মকসুদ, ফেরদৌসকে দিয়ে ভরিয়ে রাখতে পারেন।

সেটা তো আমি বলি নাই, শুভাশীষদা। আপনি বেছে বেছে এই লোকগুলির নাম বললে ক্যামনে কি?

বাকি উত্তরের ব্যাপারে আসলে আমার কিছু বলার নেই। পয়েন্ট-বাই-পয়েন্ট বলার মত আসলে জ্ঞান/কনটেক্সট/তেজ নাই। সুতরাং বলি নাই। কিন্তু আপনিই তো বললেন যে ব্লগ উন্মুক্ত মাধ্যম, তাই নিজের মতামত নিজেরমত একটু 'উপরসর্বস্ব' ভাবেই দিসি। বুঝাই যাচ্ছে আপনার খুব একটা ভাল লাগে নাই। কি আর করা।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

সিরাত ,
আমি একসময় নিয়মিত কলাম পড়তাম , এখন ব্লগ পড়ি । ...টের .াল আবদুল্লাহদের ালছাল কলাম ইগ্নোর করাই ভালু মনে করি। বলাবাহুল্য , ঠগ বাছতে গাঁ উজার আগেই হয়েছে । বুদ্ধিজীবিদের (ব্যতিক্রমবাদে) একাংশের প্রকাশ্য পাকিস্তানপন্থা , অন্য অংশের প্রগতিশীলতার মুখোশ পড়ে তলে তলে আইউব- মোনায়েমের খুদ কুড়ো কামাই এমনকি ’৭১র উত্তাল মার্চেও তাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সংশয় -দোদুল্যমানতা-বিভ্রান্তিকে এড়িয়ে আমরা ঠিকই এগিয়ে গেছি বিজয়ে ।

জয় বাংলা !

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনি যখন সিরিজ লিখছেন, জানতে ইচ্ছা করছে, আপনার নেক্সট প্ল্যান কি? মানস চৌধুরী দেখলাম অনেক চিন্তাশীলভাবে(!) যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে বলতে না বলার ব্যাপারটি করেছেন| তবে যে ব্যাপারটা এখানে চিন্তার, সরকারের এই বিচারের ব্যাপারে সততা| জামাত নেতাদের বন্দী করার পর যুদ্ধাপরাধ বিচারের সামাজিক আন্দোলনটা এখন মোটামুটি শান্ত হয়ে গেছে| কিন্তু আমরা লক্ষ্যপাণে এগুলাম কি? এগুলো চিন্তার বিষয়ে| প্রয়োজনে সরকারকে আবার চাপে রাখার কৌশল এবং করণীয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে| আমাদের বরাহ শিকার আন্দোলন আবার চাঙ্গা করা প্রয়োজন| এই শান্ত সমাহিত সময়ে ব্যাপারটা নিয়ে সমধিক গুরুত্ব নিয়ে লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ|

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপাতত সিরিজটা চালু রাখাই প্ল্যান। হাসি

মানস চৌধুরীর লেখা অনিন্দ্য রহমানের কল্যাণে পড়া হয়েছিল। এটা নিয়ে পরে বিস্তারিত বলবো।

যুদ্ধাপরাধ বিচারের সামাজিক আন্দোলন থিমিয়ে আসলে সরকারও গড়িমসি করবে। আন্দোলন তীব্রভাবে চাঙ্গা করা প্রয়োজন।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সাবাস, বুদ্ধিবেশ্যা হাসান ফেরদৌস। নিজের মান রাখছেন।

আয়নামতি1 এর ছবি

প্রথম প্যারাটা দু'বার এসেছে, ঠিক করবেন? হাসান ফেরদৌস আর আক্তার ফেরদৌস একই লোক নাকি? .........কী চমৎকার! হীরক রাজার দেশের কথা মনে হলো। এরা সেই গবেষকের মত মগজধোলাইয়ে নেমেছে। ধিক্কার জানানোর ভাষাও নাই......

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিক্কর্লাম। থ্যাঙ্কু। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।