সামাজিক ব্যবসা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/১১/২০১০ - ১১:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সামাজিক ব্যবসা

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজ ছাড়া সে বেঁচে থাকতে পারে না। সমাজে নানা শ্রেণীর ও নানা পেশার লোক বাস করে। এক পেশার লোকের কাজে লাগে অন্য পেশার লোক। ফলে সৃষ্টি হয় নানামুখী ব্যবসা। ব্যবসায়ী কোম্পানী করে মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করে। - এই সব ক্লিশে বাক্য থেকে সামাজিক ব্যবসাকে আলাদা করতে গেলে কোম্পানী ও মালিক দুটিকে আলাদা করতে হয়। মালিক মুনাফা নিয়ে নিলে কোম্পানী অনেক সময় বাড়ে না। ফলে নয়া সামাজিক ব্যবসাতে মালিক মূলধন ফেরত নিতে পারলেও মুনাফা নিতে পারবেন না। মুনাফা কোম্পানীতে থেকে গেলে ব্যবসা বাড়ে। লালবাতি জ্বলার আশংকা কমে। কোম্পানী তার প্রোডাক্টের দাম কমাতে পারে। ফলে আমজনতার লাভ হয়।– এই সব প্রায় নতুন কথা পড়ে আমি আবার মার্ক্স সাহেবের কাজ নাড়াচাড়া করি। মার্ক্স বলে গেছেন- বাজার অর্থনীতির মূল চালিকা মুনাফা হলেও মুনাফা তুলে নিলে কোম্পানীর পতনের সুযোগ ঘটে। বাহ্‌।

দুরবিনে চোখ রাখবোনা

সেই একই সকাল। দাঁত ব্রাশ। বাথরুম। সেই একই পাউরুটি জেলি ডিমপোচ। রিকশার জন্য নিচে দাঁড়ানো। মগবাজারের মোড় থেকে বাস করে বনানী। ফুট ওভারব্রীজ দিয়ে না গিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হওয়া। অফিস। কিছু কাজ। দুপুরে হোটেলে খাওয়া। গরুর কালাভুনা ডাল লেবু ভাত। ঘুম ঘুম দুপুরে মনিটর কিছুটা ঝাপসা হওয়া। তিনটার দিকে চা। কলিগদের সাথে সিগারেট শেয়ার। প্রায় ছয়টায় আবার বনানীর মোড়। আটটার দিকে বাসায় ফেরা। টিভি। ভাত খাওয়া। শুতে গেলে বিছানা থেকে একটু একটু আকাশ দেখা। তারাগুলো বড্ড ছোট। দুরবিন নেই। সেখানে চোখও রাখি নি কখনো।

রাজধানীতে ১৩ গাড়িতে আগুন ১০টি ভাংচুর

প্রথম আলো খুলতেই ‘রাজধানীতে ১৩ গাড়িতে আগুন ১০টি ভাংচুর’ হেডলাইন চোখে পড়ে। এগুলোতে খুব একটা আগ্রহ হয় না। নিজের গাড়ি নেই। তাই কারো গাড়ি ভাংচুর পোড়ানো এসবে খুব একটা গা করি না। পাশের কলামে আর্ট পলের করা খরগোশের কান আর বোটাই পরা প্লেবয় লোগো লাগানো মানুষটার দিকে চোখ পড়ে। ভদ্দরলোক ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি। উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে জানা যায় তাঁর উদ্দাম পার্টি কাম প্লেবয় জীবন। অন্য একটা নথিতে মিলে- গভীর রাত পর্যন্ত হই-হুল্লোড় করায় বিশ্রামের সময় পান কম, তাই তিনি দৈহিক ও রাজনৈতিকভাবে দুর্বল। স্বভাবতই বারলুসকানি এসব অভিযোগ দক্ষ রাজনীতিবিদদের মতো উড়িয়ে দেন। রাজনীতির সাথে ক্ষমতা জড়িত। ক্ষমতা খুব কামার্ত জিনিস। উইকিলিকস্‌ সব কিছু বাদ দিয়ে বিশ্বের সব ক্ষমতাধরের ব্যক্তিগত জীবনে চোখ রাখলে নব্য কামসূত্র রচনা করতে পারে। আমি এইসব ভাবি। ভাবি না।


মন্তব্য

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মুনাফা তোলা যায় না। পুনরায় বিনিয়োগ করতে হয়। এবং এক পর্যায়ে এটাও পতনকে তরান্বিত করে। কারণ একপর্যায়ে বিনিয়োগ আর কোনো মুনাফা দিতে পারে না। ওভারঅ্যাকুমলেশন ঘটে। তার মানে শালাদের ঝাড়ে বাড়তে দিলে, ভারে পইড়া যাবে। যায় না ক্যান ... এইটাই বিগ কোশ্চেন। ২ নম্বর আর ৩ নম্বরটা একসাথে লিখা যাইত। আসলে বার্লু মিয়ারও দুরবীনে চোখা রাখনের টাইম নাই। আর সেই হিসাবে, ২+৩=১, কারণ ওভার অ্যাকুমুলেশন পতনের মূল হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনি তো আরো সহজ কইরা বললেন। হাসি

এগুলা সব দুরবিনের গল্প। সামাজিক ব্যবসা একজন দুরবিন দিয়ে দেখে আমাদের সামনে হাজির করছেন। আর ব্যক্তিমানুষ দুরবিনে হাত দিতে পারছে না। তাই দেখছে না। আর বেশিরভাগ ক্ষমতাধরদের সময় নাই দুরবিনে চোখ রাখার।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার তো মনে হয় তিনটা মিলিয়েই একটা লেখা যেতো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পাণ্ডব স্যার যদি আমার লাইনে মন্তব্য করা ধরে তাইলে ক্যাম্নে কি?

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

স্যারেরা কি আর জানে, গরীবের মলা মাছ ভাগা দিয়াই বেঁচতে হয় মন খারাপ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মন্তব্যে লাইক মেরে গেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ইউনুস সাহেব না এই সামাজিক ব্যাবসা নিয়েই কি জানি করছেন ইদানিং???

--- থাবা বাবা!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনেও আব্জাব লেখা শুরু করলে কেম্নে কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপ্নে খেয়াল করেন নাই। দীর্ঘদিন ধরে আব্‌জাব্‌ ছাড়া কিছু লিখতে পারি না।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

রণদীপম বসু এর ছবি

হুম ! নিচের লিংকটা দেখতে পারেন।।।

সামাজিক ব্যবসা : নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন (প্রফেসর ইউনূসের সাক্ষাৎকার / ‘সাপ্তাহিক’)

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লিঙ্কের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আমার খুব খারাপ লাগে যখন দেখি ইউনুস এর মত অনুকরনীয় ব্যক্তিত্বরা তাদের নিজেদের সেট করা গাল ভরে বলা প্রিন্সিপাল থেকে দূরে সরে যায়। 2.25 মিঃ থেকে 3 মিঃ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে শোনেন। আবার 20.50 মিঃ রিপিটেশন শোনেন। Creating a world without poverty: social business and the future of capitalism By Muhammad Yunus, Karl Weber বই টার ১৩৮ পাতায় দেখেন (গুগুল এ সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে) নিজেই আবার শিকার করছেন যে ডানোন আসলে ১% ডিভিডেন্ট নেয়। আশা করি নতুন কম্পানি গুলোর সাথে ভেঞ্চারে যাবার সময় তার নিজের প্রিন্সিপাল জিরো % ডিভিডেন্ট এর ব্যাপারে অনঢ় থাকবেন। বিশ্ববিখ্যাত বড় এবং মাঝারি কম্পানি গুলো নোবেল বিজয়ী জনপ্রিয় ইউনুস কে যেন তাদের মার্কেটিং এর ক্রিয়েটিভ টুল হিসাবে অপব্যাবহার না করতে পারে সেই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কেননা জয়েন্ট ভেঞ্চার গুলো সামজিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্বপ্রকাশ করলেও মুল কম্পানিটি কিন্তু প্রফিট ম্যাক্সিমাজিং মুল নীতি থেকে এক বিন্দুও সরে আসছে না। তাই আমার মনে সামাজিক ব্যাবসায় পার্টনার কম্পানির মুল ব্যাবসার ফ্রি অফ কস্ট প্রমোশন আর গ্রামীন তার এডভর্টাজিং কম্পানি হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দেয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বিশ্ববিখ্যাত বড় এবং মাঝারি কম্পানি গুলো নোবেল বিজয়ী জনপ্রিয় ইউনুস কে যেন তাদের মার্কেটিং এর ক্রিয়েটিভ টুল হিসাবে অপব্যাবহার না করতে পারে সেই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কেননা জয়েন্ট ভেঞ্চার গুলো সামজিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্বপ্রকাশ করলেও মুল কম্পানিটি কিন্তু প্রফিট ম্যাক্সিমাজিং মুল নীতি থেকে এক বিন্দুও সরে আসছে না। তাই আমার মনে সামাজিক ব্যাবসায় পার্টনার কম্পানির মুল ব্যাবসার ফ্রি অফ কস্ট প্রমোশন আর গ্রামীন তার এডভর্টাজিং কম্পানি হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দেয়।

উনি নিজেরটা না বুঝে অন্যের দ্বারা ব্যবহৃত হবেন- উনার কাজকারবারের সাথে এই ব্যাপারটা যায় না।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সজল এর ছবি

লিংক মন খারাপ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ডকুটা দেখতেছি।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

২ নম্বরটা ভাবছিলাম ক্যামুর বইয়ের বর্তমান সময়ের নায়কের বর্ণনা, ১নম্বর মনে হইলো জনাব পুরষ্কার প্রাপ্ত নতুন বোতলে পুরনো সুধা ঢালছেন আর ৩ নম্বর এর "ক্ষমতা খুব কামার্ত জিনিস।" লাইনটা জটিল লাগলো।


আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা


love the life you live. live the life you love.

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

আরিফ জেবতিক এর ছবি
জি.এম.তানিম এর ছবি

আলোচনাটি পরলাম। কিছু জিনিস পরিস্কার না। আলোচক ইউনূসের সাথে তুলনায় মাদার তেরেসাকে টেনে আনলেন। সামাজিক ব্যবসা যে চ্যারিটি নয় সেটা তো জানা কথা, কিন্তু পুরো আলোচনার সুরে মনে হলো ইউনূস কেনো চ্যারিটি করছেন না সেটাই লেখকের প্রশ্ন। দাম দিয়ে দই কেনার কথা বললেন, কিন্তু সেটার দাম যে বাজারের অন্য দইয়ের চেয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সেটা চেপে গেলেন। লেখার আরেক অংশ পড়ে মনে হলো আর্সেনিকমুক্ত পানি খাওয়ার তেমন প্রয়োজনই নেই, পুরোটাই হোক্স একটা।

গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছেন অথবা সব হারিয়েছেন এমন লোকের হার কত? এসব ব্যাপারে উপাত্ত পাওয়া যাবে কোথাও? ইউনূস দেখান গরু পালন করে সমৃদ্ধ পরিবার, তার বিপরীতের লোকেরা দেখান বাড়ির চাল খুলে নেওয়ার কথা। দু'টোর মধ্যে কোনটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা? এ ধরনের তথ্য ছাড়া এই আলোচনা কখনই সমাপ্তি পাবে না।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

টেলিনরের সাথে প্রফেসর ইউনূসের গ্রামীন টেলিকমের শেয়ার সংক্রান্ত ঝামেলা হয়েছিল। নরওয়ের সরকারি চ্যানেলে দেখানো ডকুটা কিছুটা উদ্দেশ্যমূলক কিনা এই নিয়ে কিছুটা দোনামনায় আছি। ডকুতে যা দেখানো হয়েছে (দশ কোটি ডলার সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি ছাড়া) সেগুলো নতুন কিছু নয়। ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারা গ্রাহকদের দুরবস্থা, চড়া সুদ, ঋণ নেয়ার চক্র থেকে বের হতে না পারা সম্পর্কিত তথ্যগুলো নতুন নয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছেন অথবা সব হারিয়েছেন এমন লোকের হার কত? এসব ব্যাপারে উপাত্ত পাওয়া যাবে কোথাও? ইউনূস দেখান গরু পালন করে সমৃদ্ধ পরিবার, তার বিপরীতের লোকেরা দেখান বাড়ির চাল খুলে নেওয়ার কথা। দু'টোর মধ্যে কোনটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা? প্রফেসর ইউনূস কিভাবে এটা ট্যাকেল করেন দেখি।

গবেষণা অনেকে করেছেন। কিছু কিছু উপাত্ত সেখানে আছে। গরু পালন করে সমৃদ্ধ হওয়ার বিপরীতে বাড়ির চাল খুলে নেয়ার উদাহরণ অজস্র। দুই পাল্লাই ভারি হবে। এগুলো নির্ভর করে ঋণগ্রহীতা গরীব মানুষের সক্ষমতার উপর। এদের কেউ কেউ ভালোভাবেই ঋণ শোধ করে এই চক্র থেকে বেরিয়ে এসেছে, আর অনেকেই বছরের পর বছর এই চক্রে পড়ে আছে।

প্রফেসর ইউনূস চ্যারিটি খুলে বসেন নি এটা নিজেই জানিয়েছেন। ব্যবসা করতে এসে দয়া দাক্ষিণ্য কম করেছেন বলেই তাঁর ব্যবসার এতো পসার। গরীব মানুষ ঋণ নিয়ে সক্ষম মানুষ হয়ে ঋণচক্র থেকে বেরিয়ে আসলে তাঁর একজন গ্রাহক কমে যায়। একটা ব্যাংক চাইবে না তার গ্রাহক কমে যাক। ইউনূস সাহেব ও চাইবেন না। উনার যাবতীয় ভালো ভালো কথার বিপরীতে এই কথাটা মাথায় রাখলে অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা হয়ে যায়।


-----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

দুরবিনে না হয় আমার চোঁখ নাই কিন্তু যে আমাকে দুরবিন দিয়ে দেখাচ্ছে সে ঠিকমত দেখাচ্ছে কিনা এটাই হল কথা। এর পরের কথা হল, সবাই আমাদের দিয়ে নাচাগানা করে কিন্তু আমরা যে এক কাঠি এগিয়ে এ কাজ করি এটা খেয়াল থাকে না।

সবই আসলে ভ্রান্ত ধারমা। এর চেয়ে বরং সামাজিক ব্যবসার মুনাফা দিয়ে দুরবিন কিনে বারলুস্কনি দেখি।

অনন্ত

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এর চেয়ে বরং সামাজিক ব্যবসার মুনাফা দিয়ে দুরবিন কিনে বারলুস্কনি দেখি।

ভালো কইছেন।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এইবারের দৃশ্যকল্পগুলা ভাল্লাগসে। এমন ধরাছোঁয়ার মাঝে চিন্তা করাই ভালো, আবজাব ম্যাকিয়াভেলি আর নোয়াম চমস্কি টাননের দরকার নাই। দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ছব অপপ্রচার। চমস্কি আমি পড়িই নাই, লিখুম কোন হান থেইকা। খাইছে

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সামাজিক ব্যবসাঃ ফুল থেকে মৌমাছি মধু আর মাকড়শা বিষ আহরণ করে। তাতে ফুলের কিছু যায় আসেনা, বদনামও হয়না। একইক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ (মুনাফা বা নতুন পুঁজি বা উভয়টাই) অধিকতর মুনাফার নিশ্চয়তা দেয়না। বিনিয়োগ বাজারের ধারণক্ষমতা সম্পৃক্ততায় পৌঁছালে মুনাফার উপযোগিতা হ্রাস পায়। সব ব্যবসাই সামাজিক, তাতে নতুন তকমা লাগানো হোক বা না হোক, কারণ তা কিছু না কিছু কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। মুনাফার হারের উপর ভোক্তার নিয়ন্ত্রণ থাকেনা বলে নয়া সামাজিক হোক আর পুরনো অসামাজিক হোক, যে কোন ব্যবসাই জনবিরোধী হয় যখন তার মুনাফার হার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।

দুরবিনে চোখ রাখবোনাঃ এখানে শেষ বারের টুকুন গল্পের মতো আবার কালচক্রের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে।

রাজধানীতে ১৩ গাড়িতে আগুন ১০টি ভাংচুরঃ গাড়ি ভাঙচুর, পত্রিকার নিউজ মেকআপ, বার্লোসকুনির মতো রাজনীতিবিদ, উইকিলিক্‌স, আমি। সমান্তরাল ভাবে বহমান পাঁচটা ধারা। কেউ কেউ কাউকে স্পর্শ করে হয়তো, তবে আপাতদৃষ্টিতে স্পর্শের বাইরে।

সমান্তরাল ধারার এই চিন্তাটা বড় সাইজের কাজের জন্য ভালো। সেখানে কালচক্র ঢুকে যাবে অবধারিতভাবে, ঠেকানোর উপায় নেই। আর ব্যবসা-মুনাফা-জোচ্চুরি এগুলো ঢুকে পড়েনা এমন কোন জায়গা আছে? তাই সংক্ষেপে আগের মন্তব্যটা করেছিলাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পাণ্ডবদা,

বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সাদাকালোরঙ্গিন এর ছবি

ড: ইউনুসের সামাজিক ব্যবসার মূল প্রতিপাদ্য কিন্তু ব্যবসাই শুধু পার্থক্য হচ্ছে তার সামাজিকীকরণ। কারনটাও খুব পরিষ্কার, ব্যবসা সাসটেইনেবল কিন্তু দান বা উদারতা সাসটেইনেবল নয়। এই ব্যবসার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো পুঁজিপতির মুনাফা লোভে রাশ টেনে দিয়ে সেই লোভের অংশটুকু দিয়েই সামাজিক ব্যবসায়ী কোম্পনীর বিকাশ ও বিস্তারে সাহায্য করা। পুঁজিপতি মুনাফা করলে সেই মুনাফায় কোম্পনীর কোন নিয়ন্ত্রন থাকে না, এই নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠাই সামাজিক ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য।

ডানোনের শক্তি দই প্রজেক্টের ব্যাপারে ড: ইউনুস যেভাবে বলেছেন যে দইগুলোতে মাইক্রো নিউট্রিনো যুক্ত করা আছে যার একটি শিশুর এক সপ্তাহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম। একটা কথা এখানে স্মরনীয় শুধুমাত্র তিন বেলা ভাত, মাছ কিন্ত সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করেনা।

রাষ্ট্র এই করবে, রাষ্ট্র সেই করবে। রাষ্ট্রের অবশ্যই উচিত মৌলিক চাহিদার সব যোগান দেওয়া কিন্তু সব মৌলিক চাহিদার যোগানদাতা রাষ্ট্র কিন্তু ইউটোপিয়াই। পক্ষান্তরে ড: ইউনুস কিন্তু বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই ব্যবসার কথা বলেছেন। উনি এখানে রাষ্ট্রের উপর কিছু চাপিয়ে দেননি। রাষ্ট্র যদি গরীবের জন্য পানির ব্যবস্থা করে সেটা ভাল, কিন্তু রাষ্ট্র কোন একদিন গরীবের জন্য পানির ব্যবস্থা করবে বলে এখনকার গরীবরা যে নিরাপদ পানি পাবে না সেটা কেন ভাবছেন ?

সামাজিক ব্যবসা হবে ভিশন নিয়ে। এডিডাসের সাথে প্রকল্পে সবাইকে খুব কম মুল্যে জুতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রের সাথে তো কোন বিরোধ নেই। বরং আরো রাষ্ট্রকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে যে যদি এডিডাস কম মূল্যে জুতা দিতে পারে তবে রাষ্ট্র কেন পারবে না ?

সমালোচকরা বলছে পুষ্টি পাওয়ার জন্য গরীবকে বাড়তি খরচ করতে হবে। খরচতো করতেই হবে নাহলে পুষ্টি আসবে কোথা থেকে ? পুষ্টি বিতরন রাষ্ট্র করলেও তো খরচ করতে হতো। সেই খরচ আসত কোথা থেকে , ট্যাক্স থেকেই তো তাই না ? ট্যাক্স কি খরচ নয় ? এডিডাসের ১০০ টাকার জুতা কিনতে হলে তো ১০০ টাকা খরচ করতে হবে কারন এটাতো দান নয়। বরং ড: ইউনুসের বিজনেস মডেলের কৃতিত্ব এখানে জুতার খরচ ১০০ টাকায় নামিয়ে আনা, যেটা মুনাফা লোভী ব্যবসায় অসম্ভব হতো।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

একলগে সাদা কালু আর রঙিন দেখানোয় সব কিছুতেই এখন ধান্দা দেখতেছি, আপনে বরং পরথমে খালি সাদাকালুতেই কন, হেইটা বুঝনের পর ২য় দফায় রঙিন কাহিনী কন, নাইলে আমার মতন ম্যাংগো পাবলিকের বুঝতে বিরাট অসুবিধা!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাদাকালোরঙ্গিন এর ছবি

আপনি পাকা ম্যাংগো। তাই যা বুঝাইনি তার চেয়ে মনে হয় বেশিই বুঝেছেন। তাই ধান্ধা দেখেন।

সাদাকালোরঙ্গিন এর ছবি

আপনি পাকা ম্যাংগো। তাই যা বুঝাইনি তার চেয়ে মনে হয় বেশিই বুঝেছেন। তাই ধান্ধা দেখেন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই লেখায় আপনার মন্তব্য খেয়াল করেছি। হাসি

সামাজিক ব্যবসাতে ভেওলিয়াডানোনএডিডাসইন্টেল এগুলোরে ঢোকানোর মাজেজা বোঝার চেষ্টা করছি।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সাদাকালোরঙ্গিন এর ছবি

ঠিক ধরেছেন। ঐপোষ্টেও প্রশ্নগুলোর উত্তর পাইনি।

এমন তো নয় যে সামাজিক ব্যবসা মানেই বড় বেনিয়া কোম্পানী। এটা তো সবার জন্যই উন্মুক্ত। ডানোন, এডিডাস, বা ইন্টেলের মত মুনাফালোভী কোম্পানী যদি রহিম করিম , যদু মধু কে সহজলভ্য পানি, জুতা বা প্রযুক্তি দেয় তাহলে কেন ঢোকানো যাবে না এটাও বুঝতে পারছিনা। নাকি রহিম করিম যদু মধুর নিয়তিই সরকারী সাহায্যের আশা্য় জীবন পার করে দেওয়া ? সমালোচনার চেয়ে সমাধান ম্যাঙ্গো পাবলিকের বেশি জরুরী।

দ্রোহী এর ছবি

প্যাট ভইরা ভাত খাইতে পারলেই দুইন্যাটা শান্তি শান্তি লাগে।


কাকস্য পরিবেদনা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লগে একটু কাঁচামরিচ আর পেইজ দিবাইন্না?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দুগাখাইতেচাই।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সুরঞ্জনা এর ছবি

ভাল লেগেছে স্যার।
হাসি
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ধন্যবাদ, স্যার।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

"চৈত্রী"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

তাসনীম এর ছবি

ভাল্লাগছে হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

হুমম
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দুর্দান্ত এর ছবি

মার্ক্সের "বাজার অর্থনীতির মূল চালিকা মুনাফা হলেও মুনাফা তুলে নিলে কোম্পানীর পতনের সুযোগ ঘটে।" তত্বটির নির্দেশিত সমস্যা আঠারো শতকের বাসেল ২ বা গ্যাপ এর মত হিসাবরক্ষন পদ্ধতিগুলো কিছুটা মিটিয়েছে মুনাফার আইনি সংজ্ঞা পরিমার্যনা করে। তাই বাজারে যে কোম্পানির শেয়ার ছাড়া আছে, অথবা যেসব ব্যাক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসব পদ্ধতি ব্যাবহার করে, সেগুলো থেকে মুনাফা চুষে নিয়ে কোম্পানীর লালবাতি জ্বালানো সম্ভব নয়। দেশের বাইরে থেকে বিনীয়োগ আনা হলেও মোটামুটি নিশ্চিত যে তারা ঐসব পদ্ধতির পাকাপোক্ত প্রয়োগ চাইবে। সুতরাং মার্ক্সে তত্বটির প্রয়োগিক এলাকা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে।

তবে সামাজিক হোক, কমেডি হোক আর পৌরানিক হোক, সাদাকালো হোক বা আংশিক রঙিন, বানিজ্যে উদ্যোক্তার একটি পরিতৃপ্তি থাকতেই হবে। কেননা জোর করে তো কোন উদ্যোক্তাকে বানিজ্য করানো যাবেনা। কেউ পরিতৃপ্ত হয় টাকায়, কেউ তারা গুনে আর অন্যেরে ক্ষমতা পেয়ে। সেই হিসাবে দালাই লামা তার মুনাফা গোনে কতজন মানুষ স্বাধীন-তিব্বত মিছিলে গিয়ে তাকে তিব্বতের রাজা হবার পথে আরেকটু এগিয়ে দিল সেটা দিয়ে, আর নেপোলি-সাইরাকুসা'র মাফিওসো বসেরা তাদের মুনাফার হিসাব করে তাদের অঙ্গুলীহেলনে কতজন মানুষ উঠবস করে, সেটা দিয়ে। সেসব হিসাবে বিলগেট্স, দালাইলামা, আর ইতালীর মাফিয়ে, এরা সকলেই সফল সামাজিক উদ্যোক্তা, কি বলেন?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মার্ক্স পুঁথিগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাঁর জ্ঞানকে সূত্রবদ্ধ করেছেন। মাঠ পর্যায়ের উপাত্ত তাঁর লেখার কম পাওয়া যায় বলে মার্ক্স অনেক জায়গায় সীমাবদ্ধ। আবার কিছু জায়গায় মার্ক্সের তত্ত্বকে মাঠ পর্যায়ে আনা যায়। আর মুনাফা বড্ড পুঁদিচ্চেরি ব্যাপার।

প্রশ্নের উত্তর- হ্যাঁ। সুদ্যোক্তা। ব্যবসায়ী। মানবহৈতেষী। মুনাফাখোর। দুরবিনওয়ালা। দূরধর্ষী। দেঁতো হাসি

------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভালোমন্দ মিলিয়ে আমি ড. ইউনুসকে পছন্দই করি। এমনকি সকালে কালের কন্ঠের রিপোর্টটা পড়ার পরও পছন্দ কমেনি।

কিন্তু ডানোনের সাথে ড.ইউনুসের সামাজিক ব্যাবসার কারিগরিটা কেন যেন আমার নাপছন্দ। কেন পছন্দ নয়, সেটাও এখনো বুঝতে পারছি না। শক্তি দইয়ের দাম দোকানী বেশী রেখেছিল বলে? নাকি আমার কন্যা শক্তি দই খেয়ে ওয়াক করে ফেলে দিয়েছে বলে?

আবার মনে পড়লো, ইদানীংকার টিভি বিজ্ঞাপনের একটা ট্রেন্ড....ভালো জিনিসের দাম একটু বেশীই হয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কামেল লোকদের পছন্দ করা খ্রাপ না।

ডানোন গ্রামীণ শক্তি দই প্রকল্প বগুড়ার দইশিল্পের কি হাল করেছে জানি না। কারো কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকলে জানায়েন।

ভালো জিনিসের দাম একটু বেশীই হয় মেসেজ ঢুকিয়ে দেয়া বিজ্ঞাপনের পণ্য একটু বেশি খারাপ হয়। অর্থনীতিবিদ আকবর আলী খান এই ট্রেন্ডের নাম দিয়েছেন শুয়োরের বাচ্চার অর্থনীতি

-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

ভালো লেগেছে লেখাটা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।