শনির দশা!

স্বপ্নহারা এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নহারা (তারিখ: শনি, ১৫/০৮/২০০৯ - ৪:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কয়দিন ধইরা বড় বিপদে আছি! মুরুব্বিগো কাছে শুনছিলাম, শনির দশা হইলে এমন হয়; রাহুর দশায় মানুষ মরতেও পারে, তয় শনির দশায় না মরলেও ভোগান্তির শেষ থাকেনা। যাউগগা, পুরা ঘটনা খুইলা কই!

।।

গত শুক্রবার ব্যাংক ডাকাতি দেখলাম! গেছিলাম একটা চেক জমা দিতে; আমার ইউনিভার্সিটির পাশের মলে টিডি ক্যানাডা ট্রাস্ট ব্যাংকে। লাইনে খাড়াইয়া আছি- আমার সামনে দুই বালক-বালিকা প্রেম করতাছিল, আর তিনখান চাইনিজ বাচ্চা এদিক সেদিক লাফাইতাছিল।
ওইগুলান দেখতাছিলাম- হঠাৎ কইরা সব টেলার আর ব্যাংকের ম্যানেজার আইসা দরজা আটকাইয়া দিল। আর তাগো সবচে সুন্দর দাঁত কেলানি সহ (আমি সিউর এইটা তারা বহুবার প্র্যাক্টিস করসে!) জীবনের সবচে মধুর ভাষায় কইল, 'আমরা এইমাত্র লুট হইছি'। প্রথমে বুঝি নাই, ভাবছি ম্যানেজার বুঝি প্রোমোশন পাইসে! নাইলে এত্ত হাসিমুখে এমন কথা কেউ কইতে পারে?! আমার দুই হাত দূরত্বে খাড়াইয়া এক রোদচশমা-কালা টুপি পড়া লোক চাইর হাজার ডলার লইয়া গেছে গা! কিছু করা ত দূরের কথা কিছু টেরও পাই নাই!

আমগোরে মামা-মামীরা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হইতাছে বইলা ব্যাংকের সবাই প্রতি মিনিটে দুইবার কইরা দুঃখপ্রকাশ করতাছিল। মামা-মামীরা আসার পরে আমগোরে জবানবন্দি দিতে কইল- আমিতো কিছু বুঝিই নাই, তাই কইলাম কিচ্ছু দেখি নাই। টেলার মহিলা খুব সুন্দর কইরা সব দিয়া দিছে; এইখানে ব্যাংকে সব ইন্সুরড করা থাকে আর টেলারগোরে ট্রেনিং দেয়া থাকে যাতে খুব ভদ্রভাবে দিয়া দেয়। কেউ একটু সাহস দেখাইলে তার চাকরি 'নট'!

মামারা আইসা ১ ঘন্টায় সবার জবানবন্দি দিয়া ছাইড়া দিল! আমার সামনের প্রেমিক-বালক নাকি কি দেখছিল; সে সাক্ষী দিল! আমার পাশের ভদ্রমহিলা কইল, "আমরা খোদার কপাল লইয়া আইছি, তাই নন-ভায়োলেন্ট ব্যাংক-ডাকাতি দেখলাম"। এদিকে আবার সেই মহিলার বর আর বান্ধবী বাইরে গাড়িতে অপেক্ষা করতাছিল। ডাকাইত বেটা সব তার ব্যাকপ্যাকে নিয়া যাওয়ার সময় ব্যাগের মুখে জীপার লাগাইতে ভুইলা গেছিল! কী কী জিনিস নাকি বাইর হইয়া যাইতাছিল, সেইজন্য তারা দুইজন অই ব্যাটারে থামাইয়া ব্যাগের মুখ বন্ধ করতে কইছে। ডাকাইত ব্যাটা নাকি তাগোরে আবার 'অনেক ধন্যবাদ' জানাইছে!!

পরে ব্যাংকের থেইকা ফিরার পরে এক সহকর্মী কইল, "তুমি লটারী কিন; এইবার মিলিয়ন ডলার নিশ্চিত"। এই অর্থনৈতিক দুর্দিনে ব্যাংক ডাকাতি নাকি অনেক বাইড়া গেছে। দুই সপ্তাহ আগে ক্যালগেরীর নর্থ-ইস্টে ব্যাংক ডাকাতি কইরা ১৫০ ডলার লইয়া গেছে! আর এখন 'রেসিজম' এর ভাবটাও বাইড়া গেছে; আমার যা গায়ের রঙ তাতে যদি কাউরে মারতে হইত প্রথম বান্দা আমি হইতাম এতে কোন সন্দেহ নাই। তাছাড়া আমি-ই আছিলাম ডাকাইতের সবচেয়ে কাছের ব্যক্তি! মন খারাপ

জীবনে অনেক কিছু দেইখা ফালাইছি! চক্ষের সামনে গুলি কইরা মারতে দেখছি (বুয়েট ক্যাফের সামনে ঠিকাদার রাশেদ), চক্ষের সামনে বহু লোক মরতে দেখছি (ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউ-তে এক বন্ধুর জন্য চাররাত থাকতে হয়েছিল), বুয়েটে সনির মৃত্যু দেখছি, পুলিশের মাইর খাইছি, পিছে টিকটিকি লইয়া ঘুইরা বেড়াইছি, শহীদ মিনারে বুটের লাত্থি খাইছি, পুলিশ-এনএসএফ এর লগে মারামারি করসি, পলাইয়াও ছিলাম তিনদিন, একটাকা চুরি কইরা মায়ের হাতে তিনঘন্টা পিটন খাইছি; আরো কত্ত কত্ত এক্সপেরিয়েন্স! ব্যাংক ডাকাতিডা দেখন বাকি আছিল...

এখন লিস্ট করতাছি কি কি দেখন বাকি আছে...খুব ভয়ে আছি!

।।

আমার চেহারার মইধ্যে মনে হয় কিছু একটা আছে...নূরাণী লোকজন আমারে সবসময় খুব ভালা পায়। হেই ছোট্টবেলার থেইকা দেখতাছি...এরা আমার মইধ্যে সবসময় স্পিরিচুয়ালিটির অভাব স্পষ্ট দেখতে পায়! ছোট থাকতে একবার মতিঝিল বালুর মাঠে খেলার সময় এক খোদার বান্দা আমারে মসজিদে টাইনা লইয়া গিয়া নামায পড়াইছিল! কতকিছু কইলাম কিছুতেই বুঝেনা! আরেকবার, টিএন্ডটি মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ খেলতাছি...খেলায় প্যান্ট ভিজা যায় টাইপের উত্তেজনা! আমি ব্যাটিং করতাছিলাম...হঠাৎ দেখি মাঠ পুরা ফাঁকা! আমি একলা পিচে খাড়াইয়া আছি...আমার পার্টনারশুদ্ধা গায়েব! এক মিনিটের মইধ্যে বুঝলাম কেন সব হাওয়া! পাশের মসজিদে পাকিস্তান থেইকা কেডা জানি আইসে বয়ান করতে...আমারে জোর কইরা লইয়া যাইতে চায়। না বুইঝা কইয়া দিলাম, ভাই আমিতো হিন্দু। ফলাফল- একঘন্টা নসিহত শুইনা ছাড়া পাইলাম!!

বহুজায়গায় তাবলীগের লোকজন আমারে বহুবার ধরছে; কারো প্রতি কোন অভিযোগ বা বিরক্তি নাই...প্রত্যেকবারই আমি ধৈর্য ধইরা সব কথা শুনছি; আমার বাপ-মা'র কথাও জীবনে এমন ধৈর্য ধইরা শুননের টাইম পাই নাই। আমার অভিযোগ আমার চেহারা লইয়া...মন খারাপ কি লেখা আছে এই খোমায়?!!

মেট্রিক পরীক্ষার প্র্যাক্টিক্যালের আগে শহিদবাগের এক বন্ধুর বাসার সামনে বইসা পুলাপাইনের প্র্যাক্টিক্যাল খাতা সাইন করতেছিলাম; অইটা স্যারেরই করার কথা কিন্তু উনি উপহার বা পয়সা ছাড়া আর করবেন না ঘোষণা দেওয়ায় তার পক্ষের প্রতিনিধি হিসাবে আমি-ই কইরা দিতাছিলাম! আমার নিজের খাতার সব স্বাক্ষরই ছিল 'অরিজিনাল'; তাই ডেটগুলা আর অইদিনের সিগনেচারের ধরন দেইখা চার বন্ধুর খাতার নাম্বার নিশ্চিত করতাছিলাম। হঠাৎ তাবলীগের এক বিশাল দল আইলো; লগে লগে আমার দুই দোস্ত (!!!) হিন্দু আর আরেকজন বৌদ্ধ হইয়া গেল!! বিপাকে পড়লাম আমি, আর যেই বন্ধুর বাসা, সে। কিছুক্ষণ পরে তার পেটে বিপুল যন্ত্রণা শুরু হওয়ায়...আমি একলাই আধঘন্টা ধইরা বেহেশতের পথ পরিষ্কার করলাম!

এইবার এখনকার কথা কই, গত দুই সপ্তাহে আমারে এইখানে দুইবার খ্রিস্টান আর ইহুদি ধর্মপ্রচারকগো পাল্লায় পড়তে হইছে। বাসা থেইকা বাইর হইয়া বাস-স্টপে খাড়াই আছি, রবিবার দিন সকাল সাতটা বাজে। রাস্তায় জনমানব দূরের কথা- কোন প্রাণীর চিহ্ণও নাই। হঠাৎ কোনদিক থেইকা এক ভদ্রলোক আইসা খুব সুন্দর ও ভদ্রভাবে আমারে অনুরোধে ট্রেন গিলাইয়া দিল; হাতে কয়খান বই-ম্যাগাজিন ধরাইয়া অতীব ভদ্রভাবে কইল - 'জিহোভা' হইল আসল গড।

আরেকদিন বিকালে গেছি সেই নর্থ-ইস্টে; যেইটা পুরা ব্রাউন (বাংলাদেশী-ইন্ডিয়ান) আর বাঁধাকপি (শিখ) পাড়া! বউ একটু দূরে বইসা অপেক্ষা করতাছে-এক দোস্ত আমগোরে তুইলা নিব ট্রেন-স্টেশন থেইকা। হঠাৎ আরেক ভদ্রলোক আমার মধ্যে স্পিরিচুয়ালিটির স্পষ্ট অভাব দেখতে পাইল! কিছুক্ষণ তার ভদ্র-আলাপ শুনলাম...ম্যাগাজিন-পুস্তিকা গ্রহণ করার পর যীশুর প্রতি বিপুল ভক্তি দেখাইয়া ছাড়া পাইলাম। তাও আবার বাউনপাড়া নর্থ-ইস্টে- রিক্সার তলে পইড়া মরা এরচেয়ে সম্মানজনক!!

তবে সবক্ষেত্রে একটা জিনিস কমন পাইছি...খোদা-ভগবান-গড-এর কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার বা অন্য ডিপার্টমেন্ট তত ভাল না হইলেও সেলস এন্ড মার্কেটিং-এর লোকজন কাজের সময় বেজায় ভদ্র; এত নম্র-মিষ্টকথার লোক অন্যসময়-অন্যযায়গায় পাওয়া দুষ্কর!

।।

দুই সপ্তাহ আগে সেই নর্থ-ইস্টে শনিবারে ভোর বেলায় যাইতেছিলাম; গাড়ির ইন্স্যুরেন্স কমানোর ক্লাস করতে। বাসে তেমন লোকজন আছিলনা- হঠাৎ এক নেটীভ রেডনেক আইসা আমার পিছে বইল। ব্যাটার সাড়ে ছয় ফুট লম্বা-বিশাল দেহ; আমারে গালি দেওন শুরু করলো!
আমি কেন তার গোপন-অঙ্গের যত্ন নিতেছিনা, সে ঐগুলান আমার মুখে ঢুকাইতে চায়; আমারে আচ্ছামতন করতে (!) পারলে তার কত শান্তি হইত; আমি কেন দেশে ফেরত যাইতাছি না; আমারে সে থুতু দিলে তার মুখের অপমান হইত কিনা; ব্রাউন লোকজন সবগুলানরে সে লাগাইতে(!) চায়...ইত্যাদি অতি-তথ্যবহুল গালি পনের মিনিট ধইরা না শুনার ভান কইরা শুনলাম। এরপর সে আমার খোমা তাক কইরা যখন ঘুষি মারতে চাইল- মেজাজ ভীষণ খারাপ হইল। দুই-তিনটা কথার জবাব দেওনের পর সে আরো খেইপা গেল। ঐদিকে এক সাদা বুড়া আমারে হাত আর চোখের ইশারায় তর্ক করতে না করল- তখন তারে পুলিশের ভয় দেখানোয় সে পুলিশের বাল'ও ছিঁড়ে না এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাইয়া (কথা সত্য, পুলিশ এদেরকে কিছুই করেনা) বাস থেইকা নাইমা গেল!

এইটা যদি শনির দশা না হয় তাইলে কী?!

।।

সচলে অনেকে অনেক স্বপ্নের অনেক ইচ্ছার কথা কয়; কত সুন্দর-সুন্দর স্বপ্নের কথা শুনি। তয় আমার একটা বদ স্বপ্ন ছিল- জীবনে একবার ছিনতাই করার; ছিনতাই করতে কেমন লাগে দেখনের লাইগা! জীবনে একবারও করতে পারলাম না; এমনকি ভাইয়ের হাতের থেইকা ছোটবেলায় কোনকিছু একবারের লাইগাও কাইড়া নিতে পারি নাই...আফসোস। ওহ- তয় জীবনে একটা জিনিস ছিনতাই করছি! আমার শ্বশুরের একমাত্র কন্যার দিলে ভালবাসার বন্দুক ঠেকাইছিলাম...খাইছে

এইবার আমার আরেকটা স্বপ্নের কথা কই। আমার ব্যাপক ইচ্ছা- একবার জামায়াতের এক কাউন্সিল/সমাবেশে (যেইখানে সব জামায়াত নেতাগুলান থাকব) একটা স্টেনগান দিয়া ব্রাশফায়ার করনের! কমপক্ষে যদি নেতাগুলান সহ দুইশ লোক মারতে পারি...হেভী মজা লাগবো! আমি দরকারের সময় ছাড়া খুব নরম দিলের মানুষ- একটা পিপঁড়া বা তেলাচুরা বা মশাও মারিনা। তয় এই ব্যাপারে, বিশ্বাস করেন, আমার হাত কাঁপার তো প্রশ্নই নাই- বুকও কাপঁবোনা; একটুও মায়া হইবো না! আমারে 'সিক' কইয়া গালি দিবেন- দেন, আপত্তি নাই। আমার জীবন আমি সার্থক ভাবমু...দেঁতো হাসি


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

ওহে ছোকরা, মাথাগ্রম ইশতিও তোমার মতো এরকম এক খায়েশ পোষণ করেছিলো, এক শিবিরের বাচ্চার হাতে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত হওয়ার পর। ছাগুর দল রটায় দিলো, আমরা নাকি রাজাকার মারার জন্য চান্দা তুলতেসি। এক বোকাচোদার্শনিক (উনি কর্পোরেটের ভাড়াটিয়া দার্শনিকবৃত্তি করেন, যে পয়সা দেয় তার ইসে চাটেন) এই কাহিনী শুনে পত্রিকায় গল্প পর্যন্ত ফেঁদে বসছিলো, আমাদের হঠকারিতার রগরগে বর্ণনা দিয়ে। কীভাবে আমাদের শায়েস্তা করা উচিত, সেসম্পর্কেও মত দেয়া হয়েছিলো। এই ইতিহাস আবারও পুনরাবৃত্ত হয় কি না কে জানে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

কন্কি! ঐ বিশিষ্ট লেখার কোনো লিঙ্ক আছে?

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

এখানে পাবেন...

স্বপ্নহারা এর ছবি

হেহে বস, আমি জ্ঞান হওয়ার পর থেইকা এই খায়েশ পুইষা রাখসি...আর জীবনে আমি কোনকিছু ডরাইনা (নিজের বাপ আর সাপ ছাড়া!) এইটাত মনে হয় যারা আমারে চিনে বুঝার কথা...দেঁতো হাসি আমারে দিলে আমিও দিমু...

হিমু ভাই, সত্যি করে বলি...মনে হয় একটা সামনা-সামনি যুদ্ধ দরকার, অনেক বড় যুদ্ধ। অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে...এই ভাইরাসদের শেষ করা দরকার! নাহলে মহামারীর যে রূপ দেখছি...মন খারাপ

সিরাতের লেখাটা পড়ে মতামতটা এখানে দিলাম...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

একদিন যুদ্ধাপরাধীরা মরবে বয়সের ভারে। তারপর জামাত-শিবির আরো অ্যাটাকিংভাবে আগাবে। যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি হয়তো তৈরী করা সম্ভব, কিন্তু অ্যালায়েন্স?

সিরাতের মতো মানুষ আরো তৈরী হওয়া দেখছি। রাষ্ট্রীয়পর্যায়ে হয়তো একদিন 'কিশোর কন্ঠ' আর 'ফুলকলি' (জামাতের শিশু মগজ ধোলাই প্রকল্প। নাম ভুল হলে ঠিক করে দিয়েন) এর জন্য লেখা চাওয়া হবে, হামদ-নাত অনুষ্ঠিত হবে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনের লেখাটা অনেক গোছানো রসের, ভালো লেগেছে।
@ ছায়ামুর্তিঃ লিঙ্কের লেখাটিও পোরে নিলাম। ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

স্নিগ্ধা এর ছবি

শনির দশা, একদম শনির দশা!!!!

আপনাকে জীবনে এত্তোবার কেন বেহেশ্তের পথ পরিষ্কার করতে হইসে?! এমনকি এখানেও? আমার বাসায় বেল দিয়ে যারা মিষ্টি হেসে যিশুর বাণী প্রচার করার উদ্দ্যেশে মুখটা সবে ইট্টু খুলেন, আমি ততোধিক মিষ্টি (হ্যাঁ, হ্যাঁ রে বাবা, চাইলে আমিও পারি !) হাসি দিয়ে তাদের বলি - "বাই বাই, খুদাপেজ"!

স্বপ্নহারা এর ছবি

কি করমু আপু, চেহারাডায় মনে হয় আমি দোজখী লেখা আছে...অথবা বেকুব একটা ভাব আছে! হ, আপু...শিখতাছি...এইদেশে আইসা ভদ্রতা শিখছি, এখন এগুলাও শিখতেছি। টেলিমার্কেটিং এর লোকজনরে ঝাড়ি দিতে পারি এখন...দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নিশ্চিত শনির দশা চোখ টিপি

ব্রাশ ফায়ার টায়ার ভুলে যান। এসবে কাজ হবেনা। সঠিক পথেই এগুনো ভালো। বিচার কাজ শুরু হোক, আশা করি আগামী ৫বছর পর এসব চিন্তা আর করতে হবেনা।

রাগিব এর ছবি

গত সপ্তাহের খবর -

আম্রিকাতে এক ব্যাংকের কর্মচারী (টেলার) ব্যাংক ডাকাতকে ধাওয়া করে পাকড়াও করেছিলো, তার পর পুলিশের জিম্মায় তুলে দেয়।

পরেরদিন এসে দেখে তার চাকুরি নট।

না, ঐ ডাকাত মামা-চাচার জোর খাটায়নি, এটা ব্যাংকেরই পলিসি। ডাকাত ছুরি, বন্দুক যদি নাও দেখায়, কেবল কাগজে লিখেও জানায় যে তার টাকা চাই, সুড়সুড় করে টাকা দিয়ে দিতে হবে। যা করার পুলিশ করবে, "আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না", ইত্যাদি ইত্যাদি।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

উত্তম জাঝা!... চ্রম হইসে... দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------
একটি বাদরে, কি যে আদরে, খাচ্ছিল দোলা, ডাল ধরে ধরে!!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মণিকা রশিদ এর ছবি

"আমার অভিযোগ আমার চেহারা লইয়া... কি লেখা আছে এই খোমায়?!!"
এই একই সমস্যা আমার। খোমায় যে কী লেখা আছে বুঝি না! যেখানেই যে পায়, মনের সুখে উপদেশ দিয়ে যায়, আমি ধৈর্য ধরে শুনি। ... হা, এই জেহোভার পুত্র-পুত্রীরা আমারেও ধরছে এখানে। বাড়ী আসে, বাইবেল খুলে ২/৪ লাইন পড়ে, সেই বিশেষ লাইন নিয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য বেশ সময় নিয়ে ঝাড়ে, আমি বিগিলিত মুখ করে শুনে যাই...। ভাই, আপ্নের তো আমার মতন দশা!
মজা হয়েছে লেখা।

........................................
......সবটুকু বুঝতে কে চায়!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

স্বপ্নহারা এর ছবি

ধন্যবাদ আপু...কথাগুলো মজা করে লিখলেও খুবই সত্যি! আমি কোনদিনই ভদ্র ছিলাম না, দুর্মুখ-ঠোঁটকাটা হিসেবে খুব সুনাম- তবু এদের সাথে কখনো দুর্ব্যবহার করিনি। এইদেশে এসে কিছু ভালমানুষের সংস্পর্শে এসে 'পোলাইট' হইছি...এখন এক ক্যানাডীয়ানের কাছে টেলিমার্কেটিং আর এই টাইপের ভেজাল এড়ানোর ট্রেনিং নিতেছি...দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মণিকা রশিদ এর ছবি

শিক্ষার সারমর্মের ভাগ দিলে বড়ই উপকৃত হইতাম।

........................................
......সবটুকু বুঝতে কে চায়!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আপনি ক্যালগেরি থাকেন? বেশ। মন্ট্রিয়ালের দিকে আসবেন নাকি কখনো?

তবে সবক্ষেত্রে একটা জিনিস কমন পাইছি...খোদা-ভগবান-গড-এর কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার বা অন্য ডিপার্টমেন্ট তত ভাল না হইলেও সেলস এন্ড মার্কেটিং-এর লোকজন কাজের সময় বেজায় ভদ্র; এত নম্র-মিষ্টকথার লোক অন্যসময়-অন্যযায়গায় পাওয়া দুষ্কর!

হাসতে হাসতে মারা গেলাম!
আপনার এই লেখাটা দারুণ! খুবই চমৎকার একটা লেখা!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

স্বপ্নহারা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। এই সামারে যাব ভাবছিলাম কিন্তু একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর নানা ঝামেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় যাওয়া হয়নি। আমার অনেক বন্ধু আছে ওখানে; মন্ট্রিয়লের লাইভলি নাগরিক জীবনের কথা অনেক শুনি...খুব শিগগিরি একদিন চলে যাব বেড়াতে।

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন.. গোছানো সমযোপযুগী এবং রসালো একটা লেখা। পড়া শেষ করার পরও স্বাদ লেগে আছে।

সঙ্গে আছে রিপু ষোল আনা জন,
তারা সদাই করে জ্বালাতন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, কঠিন লেখা দিসেন, হাসতে হাসতে পেট ফাইটা গেল বার বার। আমার কপাল খুবই ভাল, এখন পর্যন্ত রেড নেকের পাল্লায় পড়ি নাই কখনও। তবে ধর্মপ্রচারক এর পাল্লায় পড়সি কয়েকবার, ভং ভাং দিয়া পার পাইয়া গেসি প্রতিবারই। লেখায় উত্তম জাঝা!, শনিবার সকালে ৮টায় কামে আইসা মেজাজ ব্যাপক খারাপ হইসিল, লেখাটা পইড়া মেজাজটা ভালো হইল, দিলটাও খুশি হইল। ধন্যবাদ বস এমন একটা লেখা দেবার জন্যে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তাহমিনা এর ছবি

লেখা খুব ভালু হৈছে, সাথে আপনের একটা ছবি দিলে আরু ভালু হৈতো

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।