স্বপ্ন নগরী ভেনিস

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ২০/১১/২০১১ - ৬:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

252062_10150752466145497_608590496_20264520_6466160_n

স্কুলে পড়ার সময় আমাদের র‍্যাপিড বইতে ছোট এক গল্প ছিল, বিশ্বের অন্যতম সেরা অভিযাত্রী মার্কো পোলোকে নিয়ে, স্রেফ পদব্রজেই বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ চষে ফেলেছিলেন প্রায় হাজার বছর আগে। এই পর্যটক শিরোমণির জন্ম নগরী ইতালির ভেনিস নগরীতে, বিশ্বের কাছে যার পরিচিতি খালের শহর বলে, হবেই বা না কেন, রাস্তার বদলে সরু সরু খালে ভর্তি এই আজব শহর, দেড় হাজার বছর আগে ভূমধ্যসাগরের বুকে যার গোড়াপত্তন হয়েছিল।

আরেকটু বড় হয়ে পড়লাম সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা আর শেক্সপীয়ারের মার্চেন্ট অফ ভেনিসের কিশোর সংস্করণ, সাইলক, পোর্শিয়া আর অন্যান্য চরিত্রের সাথে মাথার ভিতরে গেথে গেল জলের উপরে তৈরি বাস্তবের বুকে কল্পকথার সেই শহরটির কথা।

IMG_1169

ভেনিসকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে অবাস্তব শহর, সেই সাথে সবচেয়ে রোমান্টিকও! সে এক অন্য ভুবন, অনন্য তার রূপ, সেই সাথে এমন এক অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ভেনিস যে তার তুলনা কেবলমাত্র সে নিজেই। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে ভেনিসের মোট আয়তন মাত্র ৮ বর্গ কিমি, কিন্তু প্রায় ৪০০ সেতুর মাধ্যমে সংযুক্ত একশ সতেরটি ক্ষুদে দ্বীপের এই শহরে একবার প্রবেশ করলেই একে মনে হয় সীমাহীন, চারিদিকে কেবল জলেরই রাজত্ব।

IMG_0851

প্রায় ১৫০০ বছর আগে আত্তিলা নামের এক কিংবদন্তীতে পরিণত হওয়া হান দস্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য উপকূলবর্তী এলাকার জনগণ এই দ্বীপপূর্ণ জলাভূমিতে ক্ষুদে ক্ষুদে বসতি গড়ে করে বাস করতে আরম্ভ করে, আত্তিলা অন্তত সেই জলকাদা অধ্যুষিত ভূখণ্ডে ঘোড়ায় চেপে আক্রমণ করতে পারবে না এই আশায়। সেই থেকেই ধরণীর বুকে ভেনিসের যাত্রা শুরু।

IMG_1198

ভেনিসে বছরের ৩৬৫ দিনই (লিপিয়ারে ৩৬৬ দিন) পর্যটকদের ভিড়ে সরগরম, মানুষের ভিড়ে হাটাই মুস্কিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই লাখো লাখো লোকের মধ্যে শতকরা ৭৫ জনই বিমুগ্ধ দর্শনার্থী, যারা দিকভ্রান্ত হয়ে চলাচল করতে করতে দুচোখ ভরে পান করছে সেই রূপসুধা। এ এক অনন্য শহর যেখানে গাড়ী, ঘোড়া, বাস যাবতীয় স্থলযান অচল, শহরের যেখানে শেষ সেখানকার প্রান্তসীমায় রেলষ্টেশনে নামার পর থেকেই যাত্রা শুরু হয় পদব্রজে নতুবা নানা ধরনের জলযানে, এই সবার ভরসা।

IMG_0964

IMG_1036

এমন উদভ্রান্ত হয়েই হেটে চলেছি, কয়েক হাত পরপরই সরু সরু এক একটা খাল মাকড়শার জালের মত ভেনিসের বুক চিরে চলে গেছে, আর তাই বা বলি কি করে! আক্ষরিক অর্থে ভেনিস তো নির্মিতই হয়েছে এই জলভূমির উপরে! এর মাঝে আবার আছে শহরটিকে সমান দুই ভাগে ভাগ করা সবচেয়ে চওড়া খাল যা পরিচিত গ্র্যান্ড ক্যানেল নামে জগদ্বিখ্যাত, স্থাপনার জগতে এক অটুট বিস্ময় এই গ্র্যান্ড ক্যানেল।

IMG_0801

সেই সাথে খানিক পরপরই খাল বিধায় পারাপারের জন্য বাহারী সব সেতু। নয়ন জুড়ানো রঙ, নকশা, স্থাপত্যশৈলীর। এর মাঝে গ্র্যান্ড ক্যানেলের উপরের বিশাল সেতুটাই সবচেয়ে জমকালো।
ভেনিসে বসবাসরত সব পরিবারেরই নিজস্ব জলযান আছে, যা বাড়ীর সদর বা খিড়কি দরজার কাছে বাঁধা, নামী হোটেলগুলোরও প্রত্যেকেরই আছে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা।

IMG_0823

IMG_1214

সুবর্ণ যুগে ভেনিসে ৮০ ধরনের জলযান চলাচল করত, এর মধ্যে সেই মধ্য যুগ থেকে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও আকর্ষণ বজায় রেখে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক জলযান বলে খ্যাত গনডোলা। ইন্যুইটদের ( এস্কিমো) কথা বললেই যেমন কুকুরটানা স্লেজ গাড়ির কথা মানসপটে ভেসে ওঠে তেমন ভেনিস শব্দটা কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্রই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সরু সুসজ্জিত গনডোলা।

IMG_0943

IMG_0946

IMG_1104

গন্তব্যহীন ভাবে ঘুরতে ঘুরতেই দেখি সেখানকার ন্যাচারাল হিস্ট্রি জাদুঘরের সামনে হাজির হয়ে গেছি, টিকিটের বালাই নেয়, সদর দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই সোজা চোখ পড়ে কোটি বছর আগে সাগর দাপিয়ে বেড়ানো ইকথিওসরের জীবাশ্মের উপরে। বিশ্বের নানা কালে সংঘটিত প্রাকৃতিক পরিবর্তন আর জীবজগতের বিবর্তনের নমুনা থরে থরে সাজানো। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মনে হল ১১ কোটি বছরের পুরনো ৩৩ ফিট লম্বা সুপ্রাচীন কুমির সুপার ক্রোকের জীবাশ্ম, যার খাদ্য তালিকার অন্যতম ছিল নানা প্রজাতির ডাইনোসর!

এখানেই কোন বাড়ীতে জন্মে ছিলেন পর্যটক গুরু মার্কো পোলো, ১৭ বছর বয়সে ভেনিস ছেড়ে সুদূরের পিয়াসে বাবা-কাকার সাথে রওনা দিয়েছিলেন কুবলাই খানের চীনদেশের উদ্দেশ্যে, প্রথম দিককার একজন ইউরোপিয়ান হিসেবে চীনে যাবার পর দীর্ঘ ২৬ বছর পর আবার ফিরে আসেন ভেনিসে, বিশ্বকে শোনান তার অবিশ্বাস্য ভ্রমণ কাহিনী। ভেনিসের সবচেয়ে বিখ্যাত অধিবাসী হিসেবে তাকে বলা হয়ে থাকে, দর্শনার্থীরা খুজে বাহির করতে চান কোন বাড়ীতে থাকতেন এই ভ্রমণপিপাসু।

এখানেই হয়ত হেঁটে বেড়াতেন চিন্তামগ্ন বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, যিনি ভেনিসে স্বল্প সময়ের অবস্থান কালে বিশ্বের প্রথম ডুবুরীর পোশাকের নকশা করেছিলেন।

ভেনিসের বাড়ীগুলো আজো তেমনটাই আছে যেমন ছিল পাঁচশ বা হাজার বছর আগে, অনেক জায়গাতেই চুন পলেস্তারা খসে পড়েছে, ছাদটাও মনে হচ্ছে ভেঙ্গে পড়ার যোগাড় কিন্তু মহাকালের করাল গ্রাসকে অগ্রাহ্য করে টিকে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী।

IMG_0977

আর আছে মুখোশ, ভেনিসের রঙবেরঙের মুখোশগুলো এমনিই জগদ্বিখ্যাত, তার উপর প্রতিবছর ফেস্টিভ্যালের সময় দর্শনীয় চিত্র-বিচিত্র সব মুখোশ শোভা পায় প্রায় সবার মুখে। সারা বছরই চলে তার বিকিকিনি গোটা শহর জুড়ে বসা দোকানগুলোতে। কি বাহারি এক একটা মুখোশ, কোনটা কেবল চোখ ঢাকার জন্য, কোনটা বা পাখির সুতীক্ষ ঠোঁটের মত, কোনটা বিশালাকৃতির, কোনটা আবার পালকময়। ওস্তাদ লোকের হাতের কাজ, দেখেই শ্রদ্ধা হয় তার সুক্ষ রুচি আর সমন্বয়ের মুন্সিয়ানার প্রতি। কবি পাবলো নেরুদার মত ব্যক্তিগত মুখোশের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি অনেক দিন থেকেই, ভেনিসের একটা মুখোশ কিনেও ফেললাম সেই ভবিষ্যতের আশায়।

IMG_0845

ভেনিসের মাছের বাজারও এক অবশ্যদ্রষ্টব্য স্থান। বাড়ীর কাছে ভুমধ্য সাগরের নানা রঙের রূপোলী ফসল তো আছেই, আরও আছে সুদূর উত্তর সাগর আর আটলান্টিক থেকে আসা জাত-বেজাতের সব সামুদ্রিক প্রাণী। রকমারি শামুক, ঝিনুক থেকে শুরু করে অক্টোপাস, স্কুইড কি নাই সেখানে!

IMG_0862

হঠাৎ কানে এল পুলিশের ভোঁ ভোঁ সাইরেন, আরে পুলিশ আসবে কি করে এই জলময় ভূখণ্ডে! উত্তর মিলল তৎক্ষণাৎই, দ্রুতগতির দুটি স্পীডবোটে করে পুলিশ সাঁ করে সামনে দিয়ে জেমস বন্ড স্টাইলে উধাও হয়ে গেল!

IMG_0869

ঘুরতে ঘুরতে এখন যে ভিড়ের ঠ্যালায় ভেনিসের সবচেয়ে বিখ্যাত স্থাপত্য সেন্ট মার্কোর ক্যাথেড্রালের সামনে চলে এসেছি নিজেও বলতে পারব না।

IMG_1054

গমগমে জনসমুদ্র, ক্যাথেড্রালে ঢোকার লাইনটাতে কমপক্ষে হাজার তিনেক মানুষের ভিড়, যা চলে গেছে বিশাল চত্বরের উপর দিয়েই অদুরে দৃশ্যমান ভূমধ্যসাগরের ফেনিল ল্যাগুনের দিকে, নেপোলিয়ন এই চত্বরকেই ইউরোপের সবচেয়ে সুদৃশ্য ড্রয়িংরুম বলেছিল।

IMG_1092

IMG_1069

কাতারে দাঁড়ালেও পরে জানা গেল কাঁধের ব্যাগ নিয়ে ভেতরে ঢোকা সম্ভব নয়, কাজেই সেটা ভবিষ্যতের জন্য মুলতুবী রেখে চারপাশে মনের সাধ মিটিয়ে দেখে নিলাম মানবসৃষ্ট বিস্ময়,

IMG_1048

এর সিংহদরজার উপরে শোভা পাচ্ছে চারটি প্রমাণ আকৃতির অতুলনীয় শৈল্পিক সৌন্দর্যের অধিকারী ধাতব ঘোড়ার ভাস্কর্য, এগুলো প্রায় হাজার বছর আগে বাইজেন্টাইন স্রামাজ্যের প্রাণকেন্দ্র ইস্তাম্বুল থেকে লুট করে আনা হয়েছিল, সেই থেকে ভেনিসই এদের ঠিকানা।

IMG_1062

বাহিরের দেয়ালে বাইবেলের নানা কাহিনী সুক্ষ চিত্রকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

IMG_1043

কাছের ল্যাগুনে গনডোলা আর জেলে নৌকার ভিড়, দৃষ্টিসীমার মাঝে কিছু ক্ষুদে দ্বীপ নজরে আসল, সেখানে বিস্ময় জাগানিয়া নানা স্থাপত্যে সমাহার ও কাঁচের কারখানা, উৎসাহীরা দল সেখানে যাচ্ছে দল বেঁধে।

IMG_1096

IMG_0909

পদব্রজে এত ঘোরাঘুরির পর প্রবল ক্ষিদেকে সাথী করে ঢুকে পড়লাম এক ইতালিয়ান খাবারের দোকানে ( চুপিচুপি জানিয়ে রাখি, ভেনিস ইতালির সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর এবং বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল গুলোরও একটি! অথচ যেহেতু উত্তর ইউরোপ থেকে গেছি ইতালি যথেষ্ট সস্তা দেশ মনে হবার কথা! আসলে তাইই, কিন্তু ভেনিস নয়। যেখানে কফির দাম সাধারণ দোকানে ৫ ইউরো আর একটু অভিজাত দোকানে সাড়ে সাত ইউরো! সেখানে অন্যান্য খাবারের দামের কথা আর নাই বা বলি, হবে নাই বা কেন? সারা বছর এত পর্যটকের ভিড়! খাবারের মেন্যু হাতে নিয়ে মনে হলে পিজ্জার দেশে এসেছি, আর পিজ্জা খাব না? দিলাম পিজ্জার অর্ডার, সেই সাথে গলা ভেজানোর জন্য একেবারে তাজা কমলার রস। বিল মেটাবার সময় বোঝা গেল তাজা ফলের দামটাও বেশ ভারী।

IMG_1139

কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে আবার নগর পরিভ্রমণে, ভেনিসে যেহেতু কোন স্থলের যানবাহনের অস্তিত্ব নেই, তাই-ই হয়ত থেকে থেকেই বসার কাঠের বেঞ্চি সেই সাথে পকেট হালকা করার জন্য পানীয়ের দোকানের নানা লোভনীয় সমাহার।
IMG_0795

গ্র্যান্ড চ্যানেলের উপরের বড় সেতুটাতে দাড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ তন্ময় হয়ে, কৈশোরের স্বপ্ন নগরী ভেনিসে দাড়িয়ে আছি, সেতুর নিচ দিয়ে সাবলীল ভাবে মাঝিরা চলে যাচ্ছে নানা ধরনের জলযান নিয়ে, কি আশ্চর্য! চারপাশে সারা বিশ্বের সব দেশের মানুষ হাজির হয়েছে মনে হল, মহা হট্টগোলে চলছে ছবি তোলা।

IMG_0901

এই ভিড়েই খানিকটা তিতিবিরক্ত হয়ে ঢুকে পড়লাম এক গলির মধ্যে, সার বেঁধে কংক্রিটের ব্লক বসানো সারা রাস্তায়, চলে গেছে ভিতরের দিকে, এর মাঝে কজন ভিড় করে আছে রাস্তার মাঝখানে। দেখি এক লাল পাথরের স্ল্যাবকে ঘিরে এত ভিড়, কি ব্যাপার , এমন লাল পাথরতো আর চোখে পড়ে নি! শোনা গেল ৫০০ বছর আগে প্লেগ মরণব্যধি হিসেবে ভেনিসে দেখা দেয়, প্লেগের আরেক নাম ছিল ব্ল্যাক ডেথ বা কালো মৃত্যু। ধারণা করা হত আগাগোড়া এক মস্ত কালো আলখেল্লা পড়ে এই মৃত্যুরূপী শয়তান মানুষ শিকার করে বেড়ায় ( আমাদের অঞ্চলের আগের যুগের ওলাওঠা, শীতলাদেবীর সাথে কি আশ্চর্য মিল!)। কিন্তু এই ব্ল্যাক ডেথই এসে থেমে গিয়েছিল এই নির্দিষ্ট জায়গায়, সেই স্মরণেই এখানে স্থাপন করা হয় লাল পাথরের স্মারক,২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও বোমারু বিমানগুলো এই পাথরের অন্য পাশে কোন অজ্ঞাত কারণে বোমা বর্ষণ করে নি! এভাবেই বুঝি লোকবিশ্বাসের কিংবদন্তীর তৈরি হয়!
IMG_0916

ভেনিসে দারুণ ভাবে আকর্ষণীয় ক্যাথেড্রাল, জাদুঘর আর ভবনের সংখ্যা এত বেশী যে মাত্র কয়েকদিনে এর অর্ধেক দেখাও অসম্ভব। তাও প্রয়াস চালালাম, যদিও জানি বেশী সুখাদ্য একসাথে খেলে বদহজম হবার যেমন সমূহ সম্ভাবনা, তেমন বেশী সংখ্যক দর্শনীয় বস্তু অল্প সময়ের মাঝে দেখলে মনের পর্দায় সবগুলো উপরই চাপ পড়ে।

IMG_0794

তবে অনেক জায়গায়ই ভেনিস একেবারে একরকম দেখতে। অনেকখানি হেটেও মনে হল হয়ত গোলকধাধার চক্করে পড়ে একই জায়গায় ঘুরে ঘুরে আসছি! এর মধ্যে কয়েকবার ফিরতি পথ ধরতে হল সামনে খাল পড়ার জন্য, অন্য যে কোন শহরে একে কানাগলি বলতাম, কিন্তু ভেনিসে কি বলে অভিহিত করি!

IMG_0813

প্রাতঃনমস্য সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি ফেলুদার অবিস্মরণীয় ছোট গল্প টিনটরেটোর যীশু নিশ্চয় পড়া আছে আপনার, ভেনিসের অন্যতম বিখ্যাত অধিবাসী রেনেসাঁ যুগের অন্যতম সেরা চিত্রকর ওস্তাদ আঁকিয়ে জ্যাকোপ্পো তিনতোরেত্তোর ( মানে ছোট্ট ধোপা, ওনার বাবা পেশাগত ভাবে ধোপা ছিলেন) জীবনের সুদীর্ঘ ২৪ বছর কেটেছে সান রোক্কোর গির্জায়। তারই ফলশ্রুতিতে সান রোক্কোর দেয়ালে আর ছাদে বিশ্বের অতি বিখ্যাত মনকাড়া কিছু চিত্রকলা আমরা দেখতে পাই, এর প্রায় সবগুলোতেই বর্ণিত হয়েছে বাইবেলের নানা ঘটনা। সান রোক্কোর গির্জাতে ঢোকার পর আসলেই চোখ কপালে তুলতে হল কারণ সুউচ্চ ছাদ ভরে আছে তীব্র সম্মোহন ক্ষমতার অধিকারী পেইন্টিংগুলোতে, আবার মেঝের কিছু জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বিশালাকৃতির আয়না, যাতে দর্শনার্থীরা উপর পানে তাকিয়ে ঘাড় ব্যাথা না করেও আয়নার প্রতিফলিত সেই অপার্থিব সৃষ্টি উপভোগ করতে পারেন। এর মাঝে আলাদা করে ক্রুশবিদ্ধ যীশুর বিশাল চিত্রকর্মটির কথা বলতেই হয়।

তড়িৎগতিতে শেষ হয়ে আসছে তিলোত্তমা নগরীতে অবস্থানের দিনগুলি, ক্যামেরায় এই অদ্বিতীয় স্বপ্নলোকের দৃশ্যপট ধারণ করতে করতেই চলে গেল সিংহভাগ সময়, শেষের দিন সারা সন্ধ্যা গ্র্যান্ড ক্যানেলের পাড়ে বসে গোধূলিসূর্যের মৃদু আলো উপভোগ করতে করতে মনে হল, আহা, জীবন কতই না সুন্দর!
IMG_1038


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি

মি টু ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি
রু (অতিথি) এর ছবি

কেমন যেন ভাবে ধরলো!

তারেক অণু এর ছবি
ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি
শিশিরকণা এর ছবি

আমি বড় হয়ে ইউরোপ যাব।

মার্কো পোলোর বাড়িতে গিয়ে গুরুর পদধুলি নিয়ে আসেন নাই? কেম্নে কী?

এই ফাঁকে আরেকটা কথা বলি, ইবনে বতুতা যেই দেশে যাইতেন সেইখানেই একজন বিবি আহরণ করতেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি
কালো কাক এর ছবি

আমাদের অণু ভাই শুধুই জ্ঞান আহরণ করেন দেঁতো হাসি
পুলিসের অংশটুকু পড়ে ইটালিয়ান জব মুভিটার কথা মনে হলো।

তারেক অণু এর ছবি
গৌতম এর ছবি

আচ্ছা, এই যে এতো মানুষের হিংসা পান, পেট ব্যাথা করে না?

ওঁয়া ওঁয়া

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তারেক অণু এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

এই পোস্ট আমি পড়ি-ই নি। মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শিশিরকণা এর ছবি

আমিও, পোস্ট দেখার পরই হিংসা আর হতাশা মিলে হিতাংশায় মন বেগুনী হয়ে গেল। আধা বেলা মেজাজ খারাপ করে বসে থাকার পর শেষমেশ আর লোভ সামলাইতে পারি নাই।
সবাই মিলে তারেক অণুরে বর্জন করি। উনি হিংসাত্মক মনোভাব ছড়ায় জনগণকে উস্কে দিচ্ছেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি

পড়ে ফেলেন তিথী, এটুকু বলে রাখি চাঁদনী রাতে গনডোলা ভ্রমণের কথা এতে নেই হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

জয়ন্তী এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি
শিশিরকণা এর ছবি

একবার মন্তব্য করে মনের ঝাল মিটে নাই, তাই দ্বিতীয়বার আসলাম।
বালিকাবেলার ক্রাশ জনৈক ক্রিকেটার বিয়ে শাদী করে ফেলায় যেরকম ফিলিং হয়েছিল, আপনার ভেনিসীয় পোস্ট দেখে সেইরকম লাগলো। আপনি বড় দাগা দেন মনে!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস এর ছবি

আশরাফুল না শাহাদাত ? চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি
শিশিরকণা এর ছবি

আমার বালিকাবেলায় এরা শিশু ছিল। শাহাতাদ যে এমন ইস্মাট হবে বড় হলে তা কি আর জানতাম। নান্নু আকরামদের যুগে চিন্তা করেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

হাঁ হাঁ হো হো হো বিয়ে তো করত ওরা সবাই ! নোবেল থেকে শুরু করে বুলবুল!

কালো কাক এর ছবি

আতাহার আলী? চোখ টিপি

তারেক অণু এর ছবি
শিশিরকণা এর ছবি

জ্বি না। উনি আরও বড় দাগা দিয়ে প্লেন ক্র্যাশ করে মরিয়াছেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

আরে দাগা দিব কেন। এরপরে যখন ভেনিস যাবেন ঘুরতে কত সহজ হবে, এটা চিন্তা করেছেন?

শিশিরকণা এর ছবি

কচু হবে!! কেম্নে গেলেন, কোন পেলেন টেরেন ধরলেন, কই থাকলেন, কোথায় খেলেন, মোটমাট কেমন খরচ হইল এইগুলাই বলেন নাই। খালি জানলাম পকেট ভারি না হলে চলবে না। নাকের সামনে মুলা ঝুলিয়ে দিয়ে কেটে পড়েন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

আরে ওইগুলা তো উছিলা ! পকেট ভারী হতেই হবে এমন কথা বলি নি, বলেছি ঐখানে দাম বেশী ! আমি বাহির থেকে খাবার কিনলেই তো হয় ! পেলেন যায় না সেখানে, নৌকা করে দূরের পেলেন বন্দরে যেতে হয় !

উজানগাঁ এর ছবি

না! শেষপর্যন্ত সচল ছাড়তে হবে আপনার জন্যে !

আপনার লেখার গতি আপনার ভ্রমণের মতোই। ছবিলেখা নিয়ে নাই বা বললাম! সেতো অনবদ্য আপনার ভ্রমণের মতোই মোহময়। ভালো থাকুন সবসময়।

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

Shakir Ahmed এর ছবি

লাভ নাই, লাভ নাই, হিতাংশায় পুরলে কিছুই হবে না, তারেক ভাইয়ের পেটও ব্যথা করবে না, আর বদনা প‌্যারেডও লাগবে না
হো হো হো
সুতরাং জাস্ট এনজয়.............

তারেক অণু এর ছবি
হিমু এর ছবি

লোকমান হত্যা মামলায় তারেক অণুকে গ্রেফতারের আবেদন জানাচ্ছি। আমরা সবাই সাক্ষী দিব।

নিটোল এর ছবি

হ, আমিও দিব। চলুক

_________________
[খোমাখাতা]

তারেক অণু এর ছবি

লোক মান, এইটা একটা কথা হল, নিজামি- আযম হলেও বোঝা যেত অ্যাঁ

চরম উদাস এর ছবি

আমিও দিব। রিমান্ডে নিলে দুই ডজন উটপাখির ডিমও কিনে দিব।

তানজিম এর ছবি

ঐ উটপাখির ডিমগুলো সিদ্ধ করার দায়িত্ব আমার।

তারেক অণু এর ছবি

ভুল করলেন উদাস দা, মনে পড়ে গেল আফ্রিকার সবচেয়ে সুন্দর শহর থেকে উটপাখির ডিম কেনার ঘটনা, পোষ্ট দিচ্ছি শীঘ্রই !

তিথীডোর এর ছবি

খালি পোস্টটা দিয়েই দেখেন, 'পিট্টা লাল করে দেব'। শয়তানী হাসি

একটু বিরতি দেন না রে ভাই, মানুষের দীর্ঘশ্বাস ভুলতেও তো দুটো দিন সময় লাগে.. নাকি?
জানি সবাই আমরা ঘনাদা কিংবা অণুদা হতে পারবো না, তবুও... [গভীর ফিলোসফিক ভাবের ইমো]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শিশিরকণা এর ছবি

এখন তো খালি পোস্ট দিচ্ছে। এরপর লাইভ টেলিকাস্ট শুরু হবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

আপনের মুখে ভেনিসের সুবাসিত হাওয়া বহিত হোক ( মাছবাজারেরটা বাদ দিয়ে)

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আমি সাক্ষী!!


_____________________
Give Her Freedom!

মেঘা এর ছবি

আমিও দিবো। এই লোকটা দিন দিন নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি
সুপ্রিয় দেব শান্ত এর ছবি

গতকালেরটাই এখন ভালো করে হজম করতে পারলাম না। তার উপর আজ আরেকটা ................

আপনার চোখে ফুল চন্দন পড়ুক।

তারেক অণু এর ছবি

হা হা, দারুণ বলেছেন তো, একেবারে চোখে !

নিটোল এর ছবি

লেখা পড়ে ... ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া

_________________
[খোমাখাতা]

তারেক অণু এর ছবি

আবার কি হল ! রসগোল্লার কথা মনে পড়ছে! কোলাকুলি

জাহামজেদ এর ছবি

কবে যে ভেনিস যামু। আপাতত তালগাছটা আপনাকে দিলাম আপনারে দিলাম...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। দেশে তালগাছের বড়ই অভাব ইদানীং।

তাপস শর্মা এর ছবি

যাচ্ছালা !! মন মতি ভালো ঠেক্তাছেনা । এই রে অনু খোকা তোর মনে কোন দুক্ষু টুক্ষু আছে কিনা বল দিকিনি একটু , নইলে সব্বাইকে এমন ঝাপ্পি দিচ্ছিস কেন রে ? বলি ভেনিস গিয়ে প্রেরেম পিরিতির কোন কিছু হয়েছিল নাকি। আমার এদিকে বড্ড দুচ্চিন্তা হচ্ছে। ওরে তোমরা কে কোথায় আছো এইবার এই বাচ্চাটার জন্য কেউ কিছু করো। আহা রে দেখো বিদেশ বিভূঁইয়ে ঘুরতে ঘুরতে বেচারি কেমন হয়ে যাচ্ছে। আহা রে, সবাই কত্ত শাপ শাপান্ত নেয়। বলি সচল চত্বরে কোনো মোহিনীর আবির্ভাব কবে ঘটবে যে আমার অনুর দুক্ষু ঘোচাবে।

তারেক অণু এর ছবি

একটা কথা আছে দাদা, যার মনে যা= ফাল দিয়ে ওঠে তা !
আপনার ঘটনা কি, ঝেড়ে কাশুন তো !

তাপস শর্মা এর ছবি

হায় হায় । বলে কী। শেষে এই অপবাদ। বলি মুরুব্বি মানুষের জন্য এরকম কথা বললে গুনাহ হয় ব্যাটা চোখ টিপি

এই নেও ঝাইরা কাশলাম - উঁহু উঁহু শয়তানী হাসি

তারেক অণু এর ছবি

বুঝছি, ইদানীং আপনি করাত দিয়ে খাট কাটার চিন্তা করছেন- চাল্লু

মন মাঝি এর ছবি

দারুন! মাচু পিচুর খবর কি ?

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

জানুয়ারির প্রথমে। যাওয়া ঠিক আছে, কিন্তু ফেরা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে, মানু দেখে ফিরব না টিটিকাকা দিয়ে এখনো পরিষ্কার না।

আশরাফ এর ছবি

ভালো লাগলো। ছবি গুলু সুন্দর। কিনটু ভেনিস ফিলম ফেসটিভাল'র লীডো বীচ বাদ পরে গেল মনে হয়। লীডো'র দিক্ টা ভীড কম।

ভেনিস গেলাম এই বছর জুনে । মনে হল কিচুটা overrated, বিশেষ করে রাতের ভেনিস দেখে হতাশ হলাম ।

তারেক অণু এর ছবি

হুমম, ভিড় বেশী থাকলেও এমন হয় কিন্তু, আর জুন, জুলাই হচ্ছে ভিড়ের আর গরমের সময় !

মিলু এর ছবি

উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি
লাবন্যপ্রভা এর ছবি

চলুক গুরু গুরু উত্তম জাঝা! গুল্লি হাসি

তারেক অণু এর ছবি
ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

Pulling My Hair Out

তারেক অণু এর ছবি
তানিম এহসান এর ছবি

টিনটোরেত্তোর ছবি দিলেন না একটা!

তারেক অণু এর ছবি

তোলার অনুমতি ছিল না রেগে টং

সুমাদ্রি এর ছবি

দারুণ সব ছবি। এ বছরের জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল মনোহর এ নগরীতে। গোলক ধাঁধার চক্করে পড়ে সারাটি দিন উদ্দেশ্যহীন ঘুরেছি, একই পথেও বারবার এসে পড়েছিলাম। ম্যাপ একটা ছিল বৈকি, তবে খুব একটা কাজে আসেনি। সান মারকোর ক্যাথেড্রালের পাশের লাল ইটের বিশালকায় গম্বুজটির ছবি কই? আমি শত শত ছবি তুলেছিলাম, মায় মাছের বাজারের পর্যন্ত। ব্রাতিস্লাভার চোর আমার সাধের নিকনখানা নিয়ে ভেগে যাওয়ায় আমার মাথার চুল আর অবশিষ্ট নেই এখন আর। ও দুঃখ সারাজীবনেও ভুলবনা। ভেনিস, আহা আর কোনদিন কি হবে দেখা সেই মায়াবী রূপ! যাত্রা অব্যহত থাকুক বাংলার পোলোর। শুভকামনা।

তারেক অণু এর ছবি

আহাহ ! কি দুঃখজনক! ব্রাতিস্লাভাতেই এই অকাজ ঘটল! সমস্যা। আমারও প্রথম বার হিমালয় দর্শনের ছবি মেমরি থেকে মুছে যাবার দুঃখ এখনো ভুলতে পারি নাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনে ঢাকা গেছেন কখনো? চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কালো কাক এর ছবি

আসেন আমরা ফকিরাপুল ভ্রমণ, স্বপ্নের চাংখারপুল, লোহার পুলে ৫মিনিট, শান্তিনগর মোড়ে পানির তলে; এসব লেখা দেয়া শুরু করি। এগুলাতে আইসা অণু ভাই ওঁয়া ওঁয়া করবো। চাল্লু

মরুদ্যান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আশালতা এর ছবি

হ, দুহাজার এগারো সালের ঢাকা আসলেও একটা দেখার মত জায়গা।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু এর ছবি

ঢাহা শহর আইস্যা আমার আশা ফুরাইছে, হায় লাল লাল, নীল নীল বাত্তি দেইখ্যা গুল্লি

ন এর ছবি

ভানিসের লোকেরা যে এই বাড়ি থেকে ও বাড়ির জানালায় লম্বা বাঁশের মধ্যে কাপড় শুকাতে দেয়, তা দেখে খুব আমোদ পেয়ে ছিলাম। কাপড় গুলো খালের মধ্যে কেন পরে যায় না, ভেবে অবাক হয়েছি। এমন কোন ছবি থাকলে আপলোড দিয়ে দেন। গনডোলা ভ্রমণ করেন নি, যা ভাড়া উফ! আমার সাধ্যের বাইরে

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই ভাড়া খুব বেশী !

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আহা ভেনিস স্বপ্নের নগরী, আহা গন্ডোলা প্রেমের পারিজাত তরী। তারেক অণুর বর্ণনা ও ছবিতে পুনর্বার তোমায় দেখতে পেলাম।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি

আপনি কোথায় এখন! চীনের ছবি কবে দেখব! কলোসিয়াম নিয়ে পোষ্ট কই কবির!

আশালতা এর ছবি

ভেনিসের গন ডোলার কথা শুনলেই আমার কেন যেন মাসুদ রানার কথা মনে হয়ে যায়। সেই যে প্রতিশোধ নিতে গনডোলায় চেপে কি মারামারি...

অটঃ আমি কিন্তু অণুকে মোটে হিংসা মিংসা কিচ্ছু করিনা। ওইসব করতেও তো যোগ্যতা লাগে, নাকি ? হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু এর ছবি

সত্যি, দারুণ সব বই ছিল রানার ভেনিস নিয়ে! পিয়েত্রো পরিবার নিয়ে একটা ২ খন্ডের ছিল, জোশ!
তবে ভেনিস যখনই গেছি আমার মাথায় সবার আগে এসেছে ঝান্ডুদা।

আশরাফ এর ছবি

মাসুদ রানার সেই বইএর নাম বিদেশি গুপ্তচর। সেকি টান টান উত্তেজনা আর রমান্চ।

তারেক অণু এর ছবি

আমার মতে রানার অন্যতম সেরা বই বিদেশি গুপ্তচর, সেরা তিনে না হলেও সেরা পাঁচে থাকা উচিত।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

তুলনা নাই গো দাদা!!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

ভেনিস তো তুলনাহীনাই!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভাল জিনিস তারিয়ে তারিয়ে চাখতে একটুতো সময় লাগে। আপনিতো ২৪ ঘন্টাও সময় দিচ্ছেননা। একটু রয়ে সয়ে।

ছবি ও বর্ণনা ভাল লাগলো।

তারেক অণু এর ছবি

দিয়ে দিই কয়দিন, সামনে মাস থেকে আবার জঙ্গলেই মঙ্গল !

সবজান্তা এর ছবি

অণু ভাই, আপনারে গুলি করবাম মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

হয়ত না, বুলেটপ্রুফ ! চাল্লু

মিনি এর ছবি

কেউ আমাকে আমার স্বপ্নের শহর জিজ্ঞেস করলে আমি ভেনিসের নামই সব সময় বলতাম।এখন পর্যন্ত স্বপ্নই রয়ে গেল।

তারেক অণু এর ছবি

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়--- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

বললে হয়তো কেউ বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু নীড়পাতায় ছবি এবং শিরোনাম দেখে ঠিক করেছিলাম যে আজ শুধুই কাঁদবো মন্তব্যর ঘরে। কিন্তু এখানে এসে সবাইকে একই কাজ করতে দেখে বুঝলাম যে আমরাই সংখ্যায় বেশি। সুখ শেয়ার করলে বারে, আর দুঃখ কমে। আমারটাও কমে এসেছে। ধন্যবাদ সকল সহকারী দুঃখী মন্তব্যদান কারি/নি দের।

মন খারাপ ইয়ে, মানে... ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি
মেঘা এর ছবি

অনুদা দিন দিন নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এমন হয় কি করে? পৃথিবী দেখেই যাচ্ছে আর আমি জীবনে কিছু দেখতেই পারছি না ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি

আরে, এটাই তো দেখার ইচ্ছেটাকে জাগিয়ে রাখবে, নাকি ভুল বললাম ! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাফি এর ছবি

কয়েকদিন আগেই জানেন, একটা ইতালীয়ান সিনেমা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম আরে তারেক অণু ভেনিস যায়নাই কেন!

আর আজ্কে দেখি পোস্ট আইসা পড়সে! মিয়া আপনে তো পুরাই অন্তর্যামী

তারেক অণু এর ছবি

হ , এহন বলমু নাহি আপনি কি নিয়ে চিন্তা করতাছেন ! দিব বাজারে মটকা ভেঙ্গে !

Fruhling এর ছবি

গেছিলাম। সেইরকম সুন্দর জায়গা। খুব শীঘ্রই আবার যাবার ইচ্ছে।

তারেক অণু এর ছবি
guesr_writer rajkonya এর ছবি

আচ্ছা ভাইয়া, আপনার কী খেয়ে দেয়ে কাজ কর্ম নেই? আপনি এতসব জায়গায় যান কখন? আর লেখেনই বা কখন? চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি

বেকার মানুষ

ওডিন এর ছবি

আমি খালি জানতে চাই কোথাও গেলে আপনার পাসপোর্ট দেখার পরে ওইখানে ইমিগ্রেশানের লোকজনের প্রতিক্রিয়া! দুনিয়ার সবজায়গার সিলছাপ্পরের বহর দেখে ওদের তো উলটায়া পড়ে যাওয়ার কথা!!!! অ্যাঁ

আর লেকাহ আর ছবি তো দুর্দান্ত! মনের এক কোনায় ছোট্ট একটা আশা এখনো বাঁচায়া রাখছি, কোন একদিন পুরা সিল্ক রুট ধরে যাবো, বেইজিং থেকে ভেনিস! দোয়া রাইখেন! হাসি

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই। সিল্ক রুট ! হবে হবে, আগে জানিয়েন! আমি মস্কো- বেইজিং ট্রেনে যেতে চাচ্ছি অনেক দিন ধরেই ,দেখা যাক। কিন্তু যাই করেন, ২০১৬ লাদাখ ! মনে রাইখেন!
আরে না, ইমিগ্রেশনের লোকেরা ফাজিল, ব্যাটারা সবুজ পাসপোর্ট দেখলেই হয়, ক্যাঁক করে পাকড়াও করে! রেগে টং

মরুদ্যান এর ছবি

গুল্লি

তারেক অণু এর ছবি
কল্যাণF এর ছবি

আমিও লাদাখ যামু ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি

চইল্যা আহেন, ২০১৬ সাল, সময় আছে। এর মাঝে পিচ্ছি ফৌজদার পয়দায়িশ হলেও সাবালক হয়ে যাবার কথা তত দিনে।

কল্যাণF এর ছবি

কস্কি মমিন! অভিযানের ভিত্রে আবার কাচ্চা-বাচ্চা-ক্যাও-ম্যাও ক্যান!!!!

তারেক অণু এর ছবি

দোষ তো আপনার ! এখন আবার জিগান ক্যান !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।