রিওর যীশু দর্শনে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ২১/০৪/২০১২ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

385625_10151479228075497_608590496_23867028_1319547384_n

সৌম্য দর্শন একজন আলিঙ্গনের জন্য দুই হাত বাড়িয়ে দাড়িয়ে আছেন পাহাড় চূড়োয়, ঠোটের কোণে স্মিত হাসি, মুখে অভয় প্রদানের চিহ্ন, চোখের দৃষ্টি কোথায় যেয়ে ঠেকেছে তা বলার উপায় নেই, কখনো মনে হয় সামনের অতলান্তিক মহাসাগরের নীলে কখনো মনে হয় অন্তহীন মহাকাশের দূরের কোন রূপোলী নক্ষত্রে। মানুষটি একা, দাঁড়াবার ভঙ্গিতে বন্ধুত্বের আহবানের সাথে সাথে খানিকটে একাকীত্বও মিশে আছে। কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপই নেই তার, দিন নেই, রাত নেই বছরের পর বছর রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় দাড়িয়ে আছেন তিনি ব্রাজিলের সমুদ্র তীরবর্তী এক বিশাল মহানগরীর কোটি মানুষের আশা ভরসার প্রতীক হয়ে। মহানগরীর নাম রিও দ্য জেনিরো।

ব্যস, বুঝে ফেলেছেন নিশ্চয়ই রিওর সেই বিখ্যাত যীশু মূর্তি নিয়ে কথা হচ্ছে ! আর সারা বিশ্বে স্ট্যাচু অব লিবার্টি বাদে আর কোন বিশালাকার মূর্তিই বা এত বিখ্যাত ! তার উপর আবার সম্প্রতি এটি বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্যে স্থান করে নিয়েছে বেশ ঢাক ঢোল পিটিয়েই। ধর্মপ্রচারকদের নিয়ে বালখিল্যতাজনক উৎসাহ নেই আমার কিন্তু এই সম্পর্কিত স্থাপত্য দেখার ইচ্ছে আছে ষোল আনা, বিশেষ করে প্রাচীন ইতিহাসময় হলে তো কথাই নেই, যদিও এই যীশুমূর্তি এমন প্রাচীন কিছু না। চলুন ঘুরে আসি, এই বিশ্বের বিস্ময়ের পাদদেশ থেকে।

প্রবল ঝড়ের কারণে বিমানযাত্রার দেরী হওয়ায় রিওতে প্রবেশ ঘটেছিল বেশ আঁধার রাতে, তখনই অনেক অনেক দূর থেকে চলন্ত অবস্থাতেই চোখে পড়েছিল এই বিস্ময়ের দিকে, গাঢ় আঁধারের মাঝে শূন্যে দাড়িয়ে আছে ধবধবে সাদা যীশু, বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে। আসলে বিশেষ ভাবে আলো ফেলা হয় মূর্তিটিতে যাতে আঁধারে একেবারে ফ্লোরেসেন্ট লাইটের মত ঝকঝক করে, আর দেখা যায় সবখান থেকেই।

আর দিনের আলোতেও রক্ষে নেই, রিওর যেখানেই যান না যেন, কোপাকাবানার সৈকতে, লাপার নাচের আসরে অথবা উপত্যকার ফাঁকে গজিয়ে ওঠা ফ্যাভেলায়, যীশুর পাথুরে নীরব দৃষ্টি তাড়া করবেই আপনাকে। পরিত্রাণ নেই সেখানে না যাওয়া পর্যন্ত।

431144_10151407250065497_608590496_23577305_274643310_n

অবশ্য যাবার ব্যবস্থা দুটি, এক সড়ক পথে, দুই উড়ে! সবসময়ের জন্য প্রস্তত আছে হেলিকপ্টার, আবহাওয়া ভাল থাকলেই যীশুর একেবারের নাকের ডগা থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে আপনাকে বিন্দুমাত্র ঘাম না ঝরিয়েই, সেইসাথে মুফতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন নগরীগুলোর একটির অপূর্ব আদিকচক্রবাল প্যানোরোমা, তবে মানিব্যাগ থেকে কয়েকশ ডলার ঝরে যাবে সেই কয়েক মিনিটেই। কাজে কাজেই সড়কে ফিরে আসি!

404520_10151207397205497_608590496_22919380_1352176917_n

সেই সাথে খেয়াল রাখতে হবে আবহাওয়ার কথা, দেখা গেল নিচে ঝকঝকে রোদে, কিন্তু ঐ প্যাঁচানো পাহাড়ের মাথায় উঠতে উঠতে যে মেঘের ভেলা এসে যীশুসহ সারা শহরকে হতভম্ব আপনার সামনে ডেভিড কপারফিল্ডের মত উধাও করে দেবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই, আবহাওয়ার পূর্বাভাস মন দিয়ে শুনে, সারা দিন মেঘমুক্ত আকাশ আর শুকনো বালির সৈকতের ( কর্দমাক্ত আকাশ আর মেঘাচ্ছন্ন মাঠ না আবার! ) প্রতিশ্রুতি পেলেই না যাওয়ার কথা উঠে!

এমন এক রোদেলা চনমনে আলো ভরা দিনেই আপাত আস্তানা লেবননের লেমন স্পিরিট হোস্টেল থেকে স্থানীয় ( লোকাল) বাসে চেপে করকোভাডো পাহাড়ে যাবার ট্রেন ষ্টেশনে পৌঁছালাম আমরা তিন মূর্তি, (করকোভাডো পাহাড়ের মাথাতেই যীশুমূর্তি অবস্থিত) , কিন্তু বিধি বাম! পর্যটকদের দল বিশাল লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে, পরের ট্রেনের টিকেট পেতে হলে অন্তত ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষা করতেই হবে! এই হল বেশী বিখ্যাত কিছু দেখতে যাবার সমস্যা- সবাই হাভাতের মত ছুটে যায় এই জিনিসগুলো দেখে সেগুলোর সাথে ছবি তুলতে, কাজেই অনেক বেশী বুদ্ধিমান ভ্রমণপিপাসু এমন মার্কামারা গন্তব্য এড়িয়েও চলেন সময় এবং অর্থ দুই-ই বাঁচানোর জন্য।

এই সময় যীশুর বার্তাবাহক হয়ে স্বর্গ না হলেও পাশের রাস্তা থেকে আবির্ভূত হলে সিনর আলভ্যারেজ লুইজ কস্টা ! পেশায় ট্যাক্সি চালক তিনি, একটি বিশেষ কোম্পানির পোশাক পড়ে আছেন, যারা দর্শনার্থীদের নিয়ে পাহাড়ের চুড়োয় নিয়ে যায় আবার ফেরৎ নিয়ে আসে, যীশুর কাছে কয়েক ঘণ্টা থাকার মাঝে বোনাস হিসেবে মিলবে পথের মাঝেখানে একাধিক জায়গার থামার সুযোগ, যেখানে ছবির মত সাজানা শহরটির ছবিতোলার অদ্বিতীয় সুযোগ তো মিলবেই আর আছে Tijuca বনের নিসর্গ উপভোগের সুযোগ!

430008_10151323042470497_608590496_23257220_975442424_n

এখন বলেন, রিও মহানগরীতে বন আসল কোথা থেকে? আসলে Tijuca বন সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরঘেঁষা বন যাকে ইংরেজিতে বলে Urban Forest, আর সেই করকোভাডো পাহাড় কিন্তু এই বনের মাঝেই অবস্থিত!

538673_10151479216780497_608590496_23867009_1700665929_n

তাই ট্রেন ধরার ঝামেলার বদলে সিনর কস্টার জানে সওয়ার হলে রথ দেখার সাথে সাথে কলা তো বেচা হবেই ফাঁকতালে রথে চড়ার আনন্দও উপভোগ করা যেতে পারে একাদশীর কৃষ্ণের মত ! তার ট্যাক্সির ভাড়াও যথেষ্ট ন্যায্য, আর কি চড়ে বসলাম হলদে- কালো ট্যাক্সিতে, প্যাঁচানো রাস্তা দিয়ে ঘুরে ঘুরে উঠতে থাকলাম পাহাড় শীর্ষে।

মাঝে দুইবার যাত্রা বিরতি নেওয়া হল, একবার বিশেষ এক জায়গায় থেকে রিওর রূপ উপভোগের জন্য, এক পাশে দেখা গেল বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম মারকানা, যেখানে একসময়ে ২ লক্ষ দর্শক একসাথে ফুটবল উপভোগ করতে পারত! এখন সেই ধারণক্ষমতা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে।

409464_10151206053125497_608590496_22914716_637730951_n

তখনও যীশু বেশ দূরে, কিন্তু তার আসে পাশে হেলিকপ্টারের দলের আনাগোনা বোঝা যাচ্ছে বেশ, সেই সাথে রসিক মেঘের দলের অবস্থানের কারণে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে শূন্যে ভেসে আছে কোন অলৌকিক জাদুকর!

403070_10151190666460497_608590496_22861831_532914680_n

যদিও সাথের পাড় নাস্তিক ইয়াইয়াস সেরণা মুচকি হাসি দিয়ে বলল- যীশু বাবা মনে হচ্ছে ব্যাঞ্জি জাম্পিং দেবার জন্য দাঁড়িয়েছে!

আরেকবার দাঁড়ানো হল রাস্তার পাশেই এক ঝাঁকড়া গাছের ডালে দুটো ছোট্ট বাঁদর দেখায়, একেবারে ক্ষুদে প্রজাতির, কয়েক ইঞ্চি মাত্র লম্বা, ঝুলে থাকা লেজটা দেহের সমানই বলা চলে! কিন্তু বেশী মাত্রায় লাজুক আর ক্ষিপ্রতার দিক থেকে স্পাইডারম্যানের পরদাদাকে হার মানানো জীবদুটো জাদুবলে উধাও হয়ে গেল ঘন সবুজ বনে!

এর পরে থামা হল একেবারে পাহাড়ের মাঝামাঝি এক বিশেষ বাসস্টপে, যেখান থেকে এক মাত্র অনুমতিপ্রাপ্ত মাইক্রোবাস উপরে যেতে পারে, তাতেই মুরগীর খাঁচার মত চাপাচাপি করে কয়েক মিনিটের যন্ত্রণা সয়ে আমরা পৌঁছালাম যীশুর পাদদেশে।

425839_10151303050060497_608590496_23207257_955135582_n

বেশ ছড়ানো জায়গা, সেখানে কিছু রেস্তোরাঁ আর রকমারি দোকানের অবস্থান, এবং সেখানে মূল দ্রব্য অবশ্যই নানা পদার্থের, নানাকৃতির যীশুর ক্ষুদে মডেল।

427534_10151323044905497_608590496_23257241_1813310222_n

আর সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে ১৩০ ফুট লম্বা এবং ৯৮ ফুট চওড়া( মানে ছড়ানো হাতের মাপ অনুযায়ী) মূর্তিটার পিছন দিক, মনে হল তার মাথায় কি যেন কাটার মত বসানো আছে ? কাঁটার মুকুট নাকি!

401220_10151210250155497_608590496_22928101_1194510273_n

সাথের দূরবীন দিয়ে ফোকাস করতে দেখি মুকুট নয় কিন্তু বেশ কয়েকটা অ্যান্টেনা জাতীয় ধাতব শলাকা, নিশ্চয়ই কোন ব্যবহারিক কাজের জন্য। তার পাশের সিঁড়ি বেয়ে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করে অবশেষে পৌঁছানো গেল বিশ্বের বিস্ময়ের নিচে, চোখ তুলে তাকালাম পাথুরে মুখের দিকে, সেখানে তখনো হেলিকপ্টারের ভিড়, আর চারপাশে গিজগিজ করছে মাছের বাজারের চেয়েও ভয়াবহ জনতার দঙ্গল, মোটামুটি সবাইই ব্যস্ত যীশুর মূর্তির সামনে তারই দুহাত ছড়ানো ভঙ্গিমায় দাড়িয়ে একটা মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দী করা।

IMG_8340

IMG_8337

IMG_8388

ব্যক্তিগত অভিমত ব্যক্ত করার অভয় দিলে বলতে পারি, আমার প্রথমেই মনে হল এটি এত জনপ্রিয় কেন! সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৩০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ৬৩৫ টন ওজনের মূর্তিটির চেয়ে আরও বড় যীশুমূর্তি বিশ্বে আছে চার খানা, তাদের কোনটাইতো এত জনপ্রিয় নয়! কিন্তু ১৯২২ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হবার পর ১৯৩১ সালে যীশু দুহাত মেলে দাঁড়াবার পর থেকেই এই বিশেষ স্থানটির জনপ্রিয়তা ব্যপক- এটি কি এর সামনের-পিছনের অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্যের জন্য? নাকি বারংবার অসংখ্য চলচ্চিত্র- কার্টুন- পত্রিকায় এর ছবি আসার জন্য!

409296_10151196338480497_608590496_22876910_1703819102_n

বিশালাকার মূর্তিটি নিরেট, কেবল নিচ থেকে দেখা যায় কাছে গেলে, ভিতরে যাবার কোন উপায় নেই। সেখানে মিনিট পনের থাকতেই বেড়া ভাঙ্গা ভেড়ার পালের মত শুভ্র মেঘের দল ছুটে এল নানা উপত্যকার ফাঁক দিয়ে নিজেদের রাজত্ব বিস্তার করতে করতে।

395791_10151272651970497_608590496_23125268_1482819882_n

খানিক পরেই যীশুকে মন হল রহস্যময় কোন আগন্তক, যার মুখমণ্ডল ঘিরে আছে পাতলা মেঘের পর্দা।

404444_10151341348250497_608590496_23320668_1212650116_n

সেই সাথে চোখ পড়ল তার বিশাল হাতের পাঁচ আঙ্গুলের দিকে, নিখুঁত কাজ বটে কিন্তু কেমন যেন প্রাণহীন, ভাস্কর্যকলার সৌষ্ঠব, মাধুর্য অনুপস্থিত সেখানে। ভাবছি, যীশু আমার মনের কথা টের পেলে ঐ হাতের একটা থাবড়া দিলেই আমার ২৮ দাঁতের হাসি তো বটেই চরম উদাসের ছবির দুই ওরাং ওটাং শিশু পর্যন্ত ফোকলা মুখো হয়ে যাবে।

421226_10151407250310497_608590496_23577308_1478895215_n

421622_10151407250160497_608590496_23577307_2037634417_n

সেই সাথে বলতেই হবে খৃস্টান ধর্মকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যে কদর্য ইতিহাস রচনা করেছিল উপনিবেশিক প্রভুরা তার গণ্ডী থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি ল্যাতিন আমেরিকা। যত্রতত্র গির্জা স্থাপন করে, যীশুর মূর্তি গড়ে, ক্রুশের ভয় দেখিয়ে তারা দখল করে নিয়েছিল দুইটি মহাদেশ। যীশু নামের কেউ যদি বলেও থাকে ২০০০ বছর আগে, কেউ তোমার একগালে চড় মারলে অপর গালটিও এগিয়ে দিও, সেই শান্তির বাণী ভুলে সন্ত্রাসময় কলঙ্কই রচনা করে গেছে ইউরোপিয়ানরা। এখনো করে যাচ্ছে তাদের বংশধরেরা, যে দেশে মানুষ না খেয়ে থাকে আকছার, সেখানে গড়া হয় এমন হাজার গির্জা আর বিশালাকার ক্রুশ। যার উপরে ক্ষুদ্ধ হয়ে এই ব্রাজিলেরই বিখ্যাত রেভারেন্ড হেলডের কামারা বলেছিলেন "When I give food to the poor, they call me a saint. When I ask why they are poor, they call me a communist."

তাই আমরা এসেছি কোন পুণ্য অর্জনের মিথ্যে আশায় নয় কেবলমাত্র বিখ্যাত একটি স্থাপত্যকে কাছে থেকে দেখার জন্য। সেখানেও ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর মেঘের দল বিশ্বাসঘাতকতা করাই সেই অবস্থানটুকুও সংক্ষিপ্ত করে কিছু মুহূর্ত ফ্রেমবন্দী করে আবার নিচের পানে-

395896_10151199757215497_608590496_22887910_1842121518_n


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

হাততালি

তারেক অণু এর ছবি

এতো তালি কেন গো দাদা! দাঁত ঠিক আছে তাই নাকি ! দেঁতো হাসি

অবনীল এর ছবি

চলুক

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

তারেক অণু এর ছবি

তোর নাম মনে হয় ফাঁকিবাজের তালিকায় দেখলাম! লেখা দে জলদি---

পথখোঁজা পথিক  এর ছবি

অনেক প্রিয় এক স্থাপত্যের সুন্দর একটি বর্ণনা। একদিন যদি .........

তারেক অণু এর ছবি

সেই একদিন দূরে না, এটুকুই বলি শুধু-

তানিম এহসান এর ছবি

বেশি জনপ্রিয়তা, কারণ মনে হয় এটাকে মেঘ ঘিরে রাখে, আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকার একটা ব্যাপার আছে, আছে রহস্যময়তা। সব ধর্মগুলোই রহস্যময়তা আশ্রয়ী; তবে মেঘের আড়ালে উঁকি দেয়া ছবিগুলোতেই স্থাপত্য হিসেবে এটিকে বেশি নয়নাভিরাম লাগছে।

ব্রাজিলের অনেকগুলা পোস্ট পেলাম আপনার কাছ থেকে, ফিনল্যান্ড এর উপর আরো বিস্তারিত আলোকপাত চাই, আর চাই আপনি ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

তারেক অণু এর ছবি

কি কাকতাল তানিম ভাই! ফিনল্যান্ড নিয়ে একটা লেখায় হাত দিব ভাবছিলাম কেবল, তবে বিশাল লেখা হবে, তাই সময় লাগবে !
হতে পারে, তবে হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবিতে যীশু সহ রিও দেখতে দুর্দান্ত লাগে।

মন মাঝি এর ছবি

চলুক

****************************************

তারেক অণু এর ছবি
হাসান এর ছবি

দারুন বর্ণনা আর ছবি । অনেক ভাল লাগলো ।

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা !

সৌরভ কবীর  এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। সামনে দুহাত ছড়িয়ে তোলা ছবি আপনারটা কই?

তারেক অণু এর ছবি

হে হে, আরে সব একবারে নাই বা দিলাম !

achena এর ছবি

জটিল হয়েছে ছবিগুলো। মারকানা স্টেডিয়াম এর ছবি তুলেন নাই???

তারেক অণু এর ছবি

তুলেছি তো বটেই, যদিও অনেক দূর থেকে। পরের অন্য পোস্টে দিব।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হাততালি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

পরের ছড়া কবে লিখবেন !

তানজিম এর ছবি

আপায় দেহি আম্নেরে বুকে আয় বাবুল কইয়া ডাকে, সাড়া দিছেন্নি?

তারেক অণু এর ছবি

লইজ্জা লাগে ইয়ে মানে, কিছু কথা উহ্য থাকাই ভাল।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ছলবে না! ছলবে না!
এইসব কথা উহ্য রাখলে ছলবে না। চোখ টিপি
ভীষণ ভীষণ ভালো লাগলো পড়তে। আর দেখতে তো বটেই। দেঁতো হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তারেক অণু এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি

এই অন্যায় ছৈলত ন। জবাব দিতি হপে!! মন খারাপ নইলে আবার বিপ্লব শুরু হয়ে যাবে কিন্তু খাইছে

তারেক অণু এর ছবি

শেষ বার আবার কবে হইছিল অ্যাঁ

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হো হো হো

তারেক অণু এর ছবি
কল্যাণ এর ছবি

হাততালি চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তারেক অণু এর ছবি
পরী  এর ছবি

চমৎকার! হাততালি

"When I give food to the poor, they call me a saint. When I ask why they are poor, they call me a communist." --- রেভারেন্ড হেলড কে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই কথাতির জন্য। চলুক

তারেক অণু এর ছবি

সাহসী মানুষতো তাই বলতে পেরেছেন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

কামারার কথাটা কিন্তু দারুণ

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই, অনেকের জন্যে যদিও নিদারুণ!

স্যাম এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
সুলতান এর ছবি

তারেকনু ভাই,
আপনি দুনিয়ার সব জাইগা ঘুরে ঘুরে দেখেন আর এইরকম ছবি দেন, শুভ কামনা আপনার জন্য। (নিজে তো পারবনা তাই হিংসা করা বাদ দিয়ে শুভকামনা)

তারেক অণু এর ছবি

কোন ব্যাটা বলেছে পারবেন না! শুধু ট্রাই দেন একবার-

সুলতান এর ছবি

আপনি বলতেছেন তাইলে।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই! ২০০ বার বললাম, প্রস্তত হন==

অমি এর ছবি

লেখা-ছবি দুইই দুর্দান্ত, তবে অনু ভাই, আপনার লেখাগুলোতে অবচেতন ভাবেও কোন তারিখের উল্লেখ থাকে না, এটা একটু খারাপ লাগে।

তারেক অণু এর ছবি

অধিকাংশ লেখাতেই তারিখ ইচ্ছে করেই দেয়া হয় না, কিন্তু কিছু লেখাতে দিন, তারিখ, সেকেন্ড পর্যন্ত উল্লেখ করি কিন্তু, মূল কারণ হচ্ছে যেন পড়ার সময় মনে এটি বর্তমানের ঘটনা, তাহলে পড়তে একটা আলাদা মজা লাগে।

আবার যেমন দেখুন মাচু পিচু ছবির ব্লগটা সেখানে বসেই লেখা কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরেরটা ১০ বছর পরে! তাই সাধারণত এমন ভাবে লেখার চেষ্টা করি যাতে মনে হয় ভ্রমণটা শেষ করেই লেখাতে হাত দিয়েছি।

ইমা  এর ছবি

বিশ্বের আর ও একটি বিস্ময়ের পাদদেশ থেকে ঘুরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম চলুক

তারেক অণু এর ছবি

পপ্পন শেষ করুন জলদি, পরের বিস্ময় প্রস্তত!

ইমা  এর ছবি

নো চিন্তা আমি ও প্রস্তত দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি
সুমাদ্রী এর ছবি

বরাবরের মতই সুপাঠ্য বর্ণনা। নেট দূর্বল থাকায় এ যাত্রায় ছবিগুলো দেখা গেলনা, পরে দেখে নেব। ভাল থাকুন।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা, আপনি ইউ এন অফিসে না? নেট দুর্বল কেন !

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

অনেক দিনের আগ্রহ মিটলো আপনার এই লেখায়- না জানিয়ে পারলাম না! আপনার সাথে যেনো আমিও ঘুরে এলাম সেখান থেকে হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

তারেক অণু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপা, আশা করি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক চলুক চলুক
এবারও আমি গুল্লি চালামু ভাইডি। গুল্লি আর তুমি কাকে সামনে দাঁড় করাবা সেটাতো জানোই দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

এত গুল্লি, না উদাস হইতে দিলা না !

বন্দনা এর ছবি

কবে যে যাবো এইসব জায়গায়।।লেখা বরাবরের মত ব্যাপক হয়েছে অনুদা।

তারেক অণু এর ছবি

খুব তাড়াতাড়ি , কোন সন্দেহ নাই।

ধুসর জলছবি এর ছবি

এ জন্মে তো হবে না। ভাবছি পরজন্মে বিশ্বাস করা শুরু করব চিন্তিত এবং পরজন্মে আমি তারেক অণু হয়ে জন্মাব হাসি । নাইলে ঈশ্বরের খবর আছে রেগে টং

তারেক অণু এর ছবি

খামোখা আর কাম নাইক্যা !

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আমার খুব ইচ্ছে, একদিন পাহাড়ে যাব, এইরকমভাবে দুইহাত ছড়িয়ে বাতাসকে আকঁড়ে ধরব পরম নির্ভরতায়।
অনেক ধন্যবাদ, এই বিষয়ে লেখার জন্য। আপনার লেখা আর ছবিগুলো বরাবরের মতই, অসাধারন! হাততালি

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই যাবেন! কিন্তু সাবধানে---

শহরবন্দী এর ছবি

লেখা হাততালি । মেলাদিনের সখ রিওতে যাবো, কবে যে যাবো আল্লা মালুম।

অনু ভাই একবার ব্রেমেন আইসেন। ভাল্লাগবে শহরটা, নতুন আর পুরান মিলানো শহর। আপনার লগে দেখা করার সখ মেলাদিনের।

তারেক অণু এর ছবি

জানাব! বুন্দেসলিগা জমে উঠুক, চলে আসব --

শহরবন্দী এর ছবি

আইচ্ছা

তারেক অণু এর ছবি

আপনের ইমেইল টা দিয়েন, অথবা ফেসবুক !

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমার যৌবনে নেটের সুবিধা ছিলোনা তাই বইপুস্তক পড়েই যেটুকু জানা। আর এখন বয়সের কারনে আর নেট ঘাটাঘাটিতেও আগ্রহ নেই। আর স্বাস্থ্যগত কারনে ঘোরাঘুরিও সম্ভব নয়। তাই আপনার পোস্ট দেখে-পড়ে অনেক সাধ মিটাই।

তারেক অণু এর ছবি

আপনার সবসময়ের উৎসাহের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

বরাবরের মতই দারুণ।

তারেক অণু এর ছবি
রংধনুর কথা এর ছবি

ভালো লাগলো।।। হাততালি

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।