ধ্বংসনগরী এরকোলানো

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ২০/১১/২০১২ - ৬:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

559508_10152241661755497_1558650946_n

৭৯ খৃস্টাব্দের ২৪ আগস্ট বিকেল - ভূমধ্যসাগর তীরের মুখরিত এক সমৃদ্ধ রোমান জনপদ এরকোলানো (Herculaneum), ব্যবসায়ী আর মৎস্যজীবীদের আবাসস্থল মূলত , বীর হেরাক্লেসের ( গ্রীক-হারকিউলিস) নামে নাম এর। শহরের একদিকে সাগর, অন্যদিকে দিগন্ত আড়াল করে আছে সবুজের বনে মোড়া এক পাহাড়। ১৭ বছর আগে একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সমগ্র এলাকা আর অদূরের ন্যাপোলি শহর কিন্তু বিশাল কোন ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয় নি কেউই। কিন্তু কারো জানা ছিল না সেই ভূমিকম্পই বুনে দিয়ে গেছে সর্বনাশের বীজ, ভূগর্ভে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে এমন কিছু কলকব্জা যে সময় ঘনিয়ে এসেছিল হিরোশিমার পারমাণবিক বোমার চেয়ে লক্ষগুণ শক্তিশালী বিস্ফোরণের। সেই বিকেলেই গত ৮০০ বছর ধরে নির্বিবাদে ঘুমিয়ে থাকা সবুজ পাহাড়টা ক্ষেপে উঠল যেন, কালো কালো ধোঁয়া বেরোল কিছুক্ষণ, এর পরপরই সেকেন্ডে দেড় মিলিয়ন টন লাভা আর অন্যান্য পদার্থ উদগীরণ করল ভিসুভিয়াস নামের পাহাড়টি, সেটি যে একটি আগ্নেয়গিরি তা কোনদিন টেরই পায় নি এর আগে পাহাড়ের পাদদেশে বসতি স্থাপন করা মানুষেরা। কয়েক মিনিটের মাঝে আশেপাশের অঞ্চলের তাপমাত্রা হয়ে গেলে প্রায় ৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস! এরকোলানোর যত নৌকা ছিল তার প্রায় সবগুলোতেই হতভম্ব কিছু মানুষ চটজলদি উঠে সাগরে ভাসিয়ে দিল জীবন রক্ষার শেষ চেষ্টা হিসেবে, বাকী মানুষেরা একই পরিণতি বরণ করল অদূরের পম্পেই নগরীর মানুষদের মত! ১৬,০০০ তরতাজা প্রাণ মুহূর্তের মাঝেই নাই হয়ে গেল এই দুই শহরে, বা বলা ভাল তাপে পুড়ে গেল। ধেয়ে আসা লাভাস্রোত, নানা খনিজের কাদা আর ছাইয়ের ২০ মিটার পুরু স্তরের নিচে তলিয়ে গেল এককালের সমৃদ্ধ এই নগরী।

এর ১৬০০ বছর পরে ১৭০৯ সালে কুয়ো খুড়তে গিয়ে কাকতালীয় ভাবে আবার সন্ধান মিলল হারিয়ে যাওয়া রোমান শহরের। জানা গেল করুণ ইতিহাসের সাক্ষী তিন শতাধিক নরকঙ্কালের, যাদের অনেকের মাথার খুলি পর্যন্ত বিস্ফোরিত হয়ে গেছিল সেই অসহ্য তাপমাত্রায়। তাদের মধ্যে ব্যপক পরিচিত পাওয়া আংটিওয়ালা মহিলার কঙ্কালটি (The Ring Lady) আবির্ভূত হল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকার মলাটে, বিশ্ব নতুন করে জানল এরকোলানোর গল্প।

ngm-1984-may-714

শুনতে চান ধ্বংস হয়ে যাওয়া সেই নগরের কাহিনী? অনুভব করতে চান দুর্ভাগা মানুষগুলোর মৃত্যুর আতঙ্ক? জানতে চান সেই সময়ের সমৃদ্ধ জীবনধারার কথা? চলুন তাহলে, ঘুরে আসা যাক এরকোলানো।

66126_10152183436055497_1475964504_n

10282_10152187977915497_336494217_n

ইতালির নেপলস ( ন্যাপোলি) মহানগরী থেকে এরকোলানো যেতে ট্রেনে মাত্র কয়েক মিনিট লাগে, ভাড়াও অল্প, সেখানে নেমে মানে নতুনভাবে গড়ে ওঠা এরকোলানো শহরের রেলষ্টেশনে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম পুরনো এরকোলানো শহরের আরেক মাথায়, সাগর ছোঁয়ার আগে আগে, পদব্রজে যেতে মিনিট আটেক লাগতে পারে। যে কোন নতুন জায়গা পরখ করতে চাইলে আসলেই পায়ে হাঁটার কোন বিকল্প নেই, তাই শহরের মূল রাস্তা দিয়ে মাছের বাজার মাড়িয়ে পর্যটকদের পকেট হালকার জন্য থরে থরে সাজিয়ে রাখা পণ্যের দোকান পার হয়ে যখন সংরক্ষিত পুরনো শহরে পৌঁছলাম, অবাক হয়ে দেখি এরকোলানো আমার পায়ের নিচে!

424662_10152183435875497_1745187510_n

আক্ষরিক অর্থেই পায়ের নিচে! মনে পড়ল প্রায় ৬০ ফুট ছাইয়ের নিচে ছাপা পড়েছিল শহরটা, প্রায় দুই হাজার বছরে আশেপাশের উঁচু জায়গাতেই নতুন বসতি গড়ে উঠেছে, এখন নতুন করে অতীত খুঁড়ে বাহির করবার চেষ্টা করা হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া এরকোলানোকে। প্রথমেই টিকেট কাটতে হবে, এক এরকোলানোর জন্য আলাদা টিকেট, অথবা এরকোলানো, পম্পেই সহ মোটমাট যে ৫টা নগরী ভিসুভিয়াসের ছাইয়ের নিচে চাপা পড়েছিল সেগুলোর টিকেট একসাথে কেনা যাবে, তবে মেয়াদ ৩ দিনের, এর মাঝেই সব দেখে শেষ করতে হবে। দামের খুব হেরফের তা নয়, কিন্তু লম্বা লাইনে অপেক্ষার যন্ত্রণা এড়াতে ৫ শহরের টিকেট একেবারেই কিনে ফেলা ভাল।

9087_10152214394485497_1463388677_n

অদ্ভুত এক শহর, পোড়ো, খাঁ খাঁ করছে, অধিকাংশ বাড়ীর ছাদ নেই, প্লাস্টার সুরকি খসে পড়া দাঁত বাহির করা স্তম্ভ দেখা যায় সারি সারি, মাঝে মাঝে ফাঁকা জায়গায় এক টুকরো সবুজ বাগান, আর দূরে, নতুন গড়ে ওঠা শহরের পিছনে আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে খবরদারি করছে ভিসুভিয়াস।

543341_10152183436350497_1270647181_n

কেমন বিষণ্ণ, স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত যেন প্রতিটি ইট-কাঠ-পাথর। হ্যাঁ, কাঠও আছে, ২০০০ বছর আগের কাঠ, যা পরিণত হয়েছে অপচনীয় বস্তুতে এবং দর্শনীয় দ্রব্যে।

487439_10152183436135497_638055159_n

বেশ প্রশস্ত রাস্তা সেই সময়ের হিসেবে, দুপারে নানা ধরনের বাড়ী, কোনটা বাসগৃহ, কোনটা পানশালা, কোনটা খাবারের দোকান, কোথায় বা শহরের মানুষজনের সভার স্থান, স্নানাগার, উদ্যান।

400859_10152187976610497_852951713_n

375852_10152187976185497_2097087411_n

কেবল মানুষগুলো জাদুবলে নেই হয়ে গেছে দৃশ্যপট থেকে , সেখানে ইতস্তত হেঁটে বেড়াচ্ছে ভ্রমণপিপাসুরা, খুঁটিয়ে দেখছে ক্ষয়ে যাওয়া প্রাচীন মোজাইক, চিত্রকর্ম, ভেঙ্গে পড়া প্রাচীর।

404086_10152201295460497_1805560068_n

230946_10152201295645497_1986266711_n

অধিকাংশ ঘরেই অবশ্য যাবার অনুমতি নেই, খননকাজ চলছে এখনো ব্যপক ভাবে, বিশেষ করে আংটি পড়া সেই মহিলাসহ সেই সময়ে মৃত কারো কঙ্কাল দেখার অনুমতি নেই গবেষক ছাড়া অন্যদের, বিশেষ করে সাগরের কাছের যে জায়গাটিতে সবচেয়ে বেশী কঙ্কাল পাওয়া গেছে (ধারণা করা হয়ে শেষ রক্ষা হিসেবে হতভাগ্য মানুষগুলো সেখানে গিয়েছিল নৌকায় উঠবার আশা নিয়ে) সেখানে প্রবেশ নিষেধ কড়াকড়ি ভাবে। কিন্তু দেখা মিলল ২০০০ বছরের প্রাচীন ধ্বংস প্রাপ্ত দুই নৌযানের,

254908_10152280234995497_1473778456_n

291869_10152280235145497_129574001_n

এবং মাছ ধরার কিছু বড়শির, যেগুলো ছিল ব্রোঞ্জের তৈরি।

21779_10152280235070497_823318955_n

কিছু কিছু ঘরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা অপরিসীম যত্ন, ধৈর্য ও কুশলতা নিয়ে সেই সময়ের সামান্যতম চিত্রকর্ম ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন তাতেই আভাস পাওয়া যায় এরকোলানোর অধিবাসীদের সূক্ষ রুচি এবং শিল্পবোধের। এবং সেই সাথে মন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে এই মনে করে যে কী অমূল্য সম্পদ আমরা হারিয়েছে ভিসুভিয়াস আর কালের যৌথ চক্রান্তে তা মনে করে, সেই সাথে আছে ঘুরে ফিরে মনে আসতে থাকা উত্তাপে মারা যাওয়া মানুষগুলোর মৃত্যুযন্ত্রণা।

374088_10152185936300497_552536905_n

72090_10152187975290497_289438957_n

46557_10152204743340497_563788964_n

32317_10152240682855497_606718309_n

বিশেষ ভাবে নজর কাড়ল কিছু স্নানাগারের দেয়ালের অপূর্ব নকশা, মুখোশ, মোজাইকের কাজ।

60237_10152195072970497_2044151034_n

550534_10152201295100497_2054724867_n

485649_10152185936375497_965784263_n

শুনেছি রোমান আমলে নাকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভাও এই স্নানাগারেই হত! সেখানে সাতার কাটা সম্ভব এমন বাথটাবের দর্শনও মিলে গেল।

311163_10152195072575497_1368814228_n

602395_10152195072515497_938843089_n

এমন এক জায়গার মেঝেতে মিলল সমুদ্র দেবতা নেপচুনের সাথে নানা জলজ প্রাণীর মোজাইকে আঁকা প্রতিকৃতি, বিশেষ করে আট শুঁড়ের অক্টোপাস আর দশ শুঁড়ের স্কুইডের নিখুঁত প্রতিরূপ মাথায় গেঁথে গেলে একেবারে।

253165_10152195072210497_819236752_n

598901_10152195072350497_331635_n

প্রাচীন এরকোলানোর যে স্থানগুলোতে বাগিচা ছিল সেখানে নতুন করে মাটি ফেলে নানা জাতের গাছ এবং ঘাস লাগানো হয়েছে, কিছুটা ফিরে এসেছে তাতে ইতিহাসে ঠাই করে নেওয়া মানুষগুলোর সুরুচির প্রমাণ। ফিরে এসেছে নানা জাতের পাখি এবং গিরগিটিরাও এই নতুন নতুন বাগানে, ফল দেখলাম একাধিক গাছের ডালে।

602380_10152183436535497_1619843061_n

9247_10152185935975497_1677372584_n

প্রাচীন শহরটির সকল পণ্যের দোকানের সামনেই লেখা থাকত যে সেটা কিসের দোকান- কামারের, কুমোরের, দেহব্যবসার, খাবারের, নাকি পানীয়ের। এমন এক দেয়াল জুড়ে দেখলাম বিশাল সব কুঁজোর নিখুঁত ছবি, এত্তো বড় কুঁজো থেকে পানীয় খেতে নিশ্চয়ই ওবেলিস্ক আকৃতির লোকজনেরা, তবে সত্য কথা বলতে ছবি দেখেই প্রিয় বন্ধু ক্যাপ্টেন হ্যাডকের মতো তেষ্টা পেয়ে গেল বেশ খানিকটা।

26624_10152204742695497_1100821873_n

299421_10152204742530497_1301750586_n

230918_10152195072800497_1630163404_n

মনে পড়ল উদভ্রান্তের মত ঘুরতে ঘুরতে নেহাত কম হাঁটা হয় নি, প্রায় সব মূল রাস্তা পায়ে দলা হয়েছে, এবার আসলেই গলা ভেজাবার পালা। আর এরকোলানোর আদি জীবনযাত্রা সম্পর্কে এখনো খুব বেশী জানা যায় নি, যেমনটা গেছে পম্পেই সম্পর্কে, দরকার আরও অনেক নিবিড় গবেষণা এবং প্রচুর সময়ের। আশা করা যায় এর পরের বার আবার ইতালির এই প্রান্তে আসলে নতুন পাওয়া তথ্যগুলো দিতে পারব, আপাতত চলুন, বের হওয়া যাক নতুন এরকোলানোর উদ্দেশ্যে!

374503_10152280235250497_1989856084_n

[এই পোস্টটি অনেক দূরে থেকেও কাছের মানুষ হয়ে ওঠা জুন্নুনুর ভাইয়ের ( সহব্লগার জুন) জন্য।]


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এত বড় শহর ছিল মাটির নিচে! ভাবতে অবাক লাগে। ইতালির এই প্রান্তের আরও তথ্য নিয়ে লেখেন অনু দা।

ছবিগুলো দারুণ , বিশেষ করে আপনার টি শার্টের পিছনের বাংলাদেশ লেখাটা । চলুক

অমি_বন্যা

তারেক অণু এর ছবি

পম্পেই আসিতেছে

পদব্রজী এর ছবি

পম্পেই এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম----

তারেক অণু এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম আমিও

সত্যপীর এর ছবি

মদের জালার সাইজ দেইখা ডরাইলাম!

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

ডরাইলেই ডর, হান্দাইয়া দিলে কিয়ের ডর? খাইছে

গৃহবাসী বাঊল

তারেক অণু এর ছবি
দীপ মণ্ডল এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি

কিন্ত মদখোরের সাইজ যদি অবেলিস্কের মত হয় !

অতিথি লেখক এর ছবি

নৌকাগুলো এখনো আছে! কী দিয়ে বানানো ভাই?
_________
(সচল ফারহান)

তারেক অণু এর ছবি

কাঠের তৈরি

তাপস শর্মা এর ছবি

দারুণ। হাসি

তারেক অণু এর ছবি
তীরন্দাজ এর ছবি

ইতালির অনেক জায়গায় গেলেও ওদিকটায় যাওয়া হয়নি। সামনের বছরে যাবো।

বরাবরের মতোই সুন্দর লেখা আপনার।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই যাবেন, তবে নেপলস খুব আলাদা ধরনের ইতালি মনে হয়েছে আমার কাছে

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
শাব্দিক এর ছবি

স্নানাগারে সভা? চিন্তিত
ছবি দেখে ভ্রমণের তেষ্টা পেয়ে গেল।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তারেক অণু এর ছবি

দেঁতো হাসি আমারও চোখ টিপি
আরে ভাই শৌচাগারে সভা হতে পারে, আর স্নানাগার!

তানভীর রাব্বানী এর ছবি

হ স্নানাগারে সভা হওনের নিয়মডা ফিরায়ে আনা দরকার। স্যুটটাই পইড়া মিটিং করতে করতে টায়ার্ড হইয়া গেসি!

তারেক অণু এর ছবি
শাব্দিক এর ছবি

হো হো হো

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তারেক অণু এর ছবি
নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভাবতেছি আপনার লেখা আর পড়বো না। নইলে বই বের হলে দেখবো কি, কিনবো কি?
চোখ বন্ধ করে কমেন্ট করলাম খাইছে

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

না না, বই বেরোলেও অন্য ধরনের হবে! লেখা না পড়লে কিসের কি--

স্যাম এর ছবি

বই কবে বের হচ্ছে?

তারেক অণু এর ছবি

হয়ত ২০১৩র বইমেলাতে

স্বপ্নহারা এর ছবি

গুরু গুরু

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

তারেক অণু এর ছবি

ক্যান, আসবেন নাকি হে বিজ্ঞানী?

স্যাম এর ছবি

মানে কি? মানে আগামী বইমেলাতেই? দারুণ খবর - তারমানে এদ্দিনে প্রেস এ চলে গেছে? প্রকাশক? - কিন্তেই হবে!

স্যাম এর ছবি

দারুন!!!

তারেক অণু এর ছবি
সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

শুনেছি রোমান আমলে নাকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভাও এই স্নানাগারেই হত! সেখানে সাতার কাটা সম্ভব এমন বাথটাবের দর্শনও মিলে গেল।

আজব তো!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

জানা হলো আরও একটা নতুন বিষয়। ছবিগুলো চমৎকার ! চলুক

তারেক অণু এর ছবি

আজব হলেও গুজব নয় দেঁতো হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

এবারের লেখাটায় কেমন একটা অতৃপ্তি রয়ে গেল। আসলে আপনার কাছ থেকে বেশি বেশি পেতে পেতে প্রত্যাশা বেড়ে গেছে হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তারেক অণু এর ছবি

বেশী ছোট হয়ে গেছে মনে হয়!

জুন এর ছবি

পাঁঠা খুশ হুয়া। দেঁতো হাসি

কোলাকুলি কোলাকুলি কোলাকুলি

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

তারেক অণু এর ছবি
স্বপ্নহারা এর ছবি

আপনার সব লেখা-সব ছবিই মন দিয়ে পড়ি-দেখি। কমেন্ট কম করি, কারণ এত অসাধারণ সব জায়গা আর ইতিহাস তুলে আনেন, সবাই মুগ্ধ হতে বাধ্য!

কী ভয়ংকর এক ইতিহাস! পম্পেই সম্পর্কে জানতাম, এরকোলানো নিয়ে কখনো পড়িনি।

যাওয়ার আগে একরাশ হিংসা দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

তারেক অণু এর ছবি

পম্পেই আসিতেছে--

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

অধিবাসীরা জানতোই না যে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি!

তারেক অণু এর ছবি

নাহ, ভেবেছিল নিরীহ পাহাড়!

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি
মন_মাঝি_(অফ্লাইন) এর ছবি

চলুক

হেরাক্লেস = গ্রীক (HERR-ə-kleez; Ancient Greek: Ἡρακλῆς, সূত্র)
হারকিউলিস = রোমান (সূত্র)

তারেক অণু এর ছবি

হুম

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

পড়তে পড়তে আর ছবি দেখতে দেখতে মনটা কেমন বিষণ্ণ হয়ে গেল। কত মানুষ এর জীবন আর স্বপ্নের সমাধি হয়েছে কিছু বুঝে ওঠার আগেই...ধুকে ধুকে মরবার চেয়ে হয়ত এমনি ভাল। কে জানে।...দেশে দেশে একদল মানুষরুপি হায়েনার হাতে মৃত শিশুদের রক্তাক্ত ছবি দেখতে দেখতে মনে হয় পুরো জগত টাই এরকোলানো হয়ে যাক। তাহলে অন্তত কাউকে আপনজন হারানোর শোক সহ্য করতে হবে না মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি
সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

পম্পেই এর কথা জানতাম, এরকোলানোর কথা জানা ছিলনা। এই ধরনের ঘটনাগুলো পড়লে আমার মন খারাপ হয়। সেখানেও একদিন মানুষ ছিল, কথা ছিল, গল্প, গান, আনন্দ, উৎসব সব ছিল। হঠাৎ করে সব থেমে যাওয়া, আগের মুহূর্তেও কেউ জানতে পারেনি। হয়ত তখন বিষণ্ণ কোন বালিকা আকাশ দেখছিল, কোন কবি কবিতা লিখছিল, কোন মা তার সন্তানকে আদর করছিল, কোন ভাই তার বোনকে জ্বালাতন করছিলো, কোন প্রেমিক তার ভালবাসার মানুষের জন্য সুর বাঁধছিল, কোন বাবা দিন শেষে বাড়ি ফিরছিল-- সব হঠাৎ করেই একদম শেষ। কি ভয়ংকর!!!

আপনি কি সুন্দর কত কি দেখে বেড়ান অনুদা ! হাততালি

লেখা বরাবরের মতই উত্তম জাঝা!
ছবিগুলো দেখে উদাস হয়েছি মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

কতটা অসহায় মানুষ, তবুও আমাদের মতি হয় না ক্ষমতার লড়াই থেকে সরবার মন খারাপ

রংতুলি এর ছবি

চলুক হাসি

তারেক অণু এর ছবি
তানিম এহসান এর ছবি

নতুন কোথাও যাচ্ছেন নাকি আবার? ভালো থাকুন, শুভকামনা। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

যাচ্ছি তো! বাংলাদেশে!

Asraful Kabir এর ছবি

#দারুন প্রিয় অণুদা, এককথায় অসাধারনস! খুব ভাল লেগেছে লেখাটি, অভিনন্দন আপনাকে। উত্তম জাঝা!

#আনন্দের ক্ষণ কারন পম্পেই আসিতেছে দিনগুলো তাড়তাড়ি বয়ে যায়না কেন? বাঘের বাচ্চা

আশরাফুল কবীর

তারেক অণু এর ছবি
মাধুকরী এর ছবি

আহ ! মন ভরে গেল। এতো বছর আগেও কি অপূর্ব ছিল হাতের কারুকাজ , কি শৈল্পিক বোধ ! কি রুচি ! কত উন্নত জীবনাচরণ ! ভেবে অবাক হয়ে গেলাম !
এতদিন শুধু ভিসুভিয়াস-এর নাম শুনেছি । আজ সচিত্র তার ভয়াবহতার নজিরও দেখলাম । সেইসব মানুষগুলোর মুহূর্তের মাঝে কি পরিণতি হয়েছিল ভাবতেই গা শিউরে উঠল ।
আর সেই সব গবেষক কর্মীদের স্যালুট যারা এতো নিখুঁতভাবে শহরগুলোকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন ।

সেই সাথে তারেক অনুকেও হাটস অফ , তার চোখেই তো দেখতে পেলুম । আশা রাখছি আরও দেখার ।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য অনু ।

তারেক অণু এর ছবি

পরের পর্বে সেই মানুষগুলোরও ছবি দেখবেন!

কেবল ভিসুভিয়াস নিয়ে কিন্তু একাধিক পোষ্ট আছে।

মাধুকরী এর ছবি

অপেক্ষায় থাকলাম ।

তারেক অণু এর ছবি
নিরীহ মানুষ  এর ছবি

মানুষ গুলো নাই হয়ে গেল … তাদের শেষ আনুভূতি গুলো কেমন ছিল … ভাবতেই ..মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

ভয়াবহ মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।