আমন্ত্রণ পোস্ট- আদিবাসী দিবসে আলোকচিত্র প্রদর্শনী "বিশ্বভরা প্রাণ "

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ০৬/০৮/২০১৪ - ১১:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Brochure-c1

৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। সেই উপলক্ষে ৮ আগস্ট, শুক্রবার, বিকেল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশের আদিবাসীদের উপরে তোলা আলোকচিত্রের প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হবে।

আলোকচিত্রগ্রাহক - ইনাম আল হক, এম এ মুহিত, তারেক অণু।

(উল্লেখ্য পাখিবিশেষজ্ঞ, অভিযাত্রী ইনাম আল হক গত চার দশক ধরে দেশের নানা প্রান্তে বিশটির অধিক আদিবাসী জাতির আলোকচিত্র ধারন করেছেন।)

উদ্বোধন করবেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার, চিত্রকর কনকচাঁপা চাকমা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্মকর্তা গঞ্জালো সেরণা।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার।

স্থান - ধানমণ্ডির দৃক গ্যালারী ( ধানমণ্ডি ২৭-এর নান্দোস-এর পাশের রাস্তায়)

সময়- প্রদর্শনী চলবে একটানা ৮ দিন, ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। সময় বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা।

(কেবল উদ্বোধনের দিন বিকেল সাড়ে চারটায় গ্যালারী উম্মুক্ত করা হবে। )

আপনারা সবান্ধবে আমন্ত্রিত। এবং অবশ্যই আপনার আদিবাসী বন্ধুটিকে জানান এই প্রদর্শনী সম্পর্কে।

p1-

1

3

4

5

6

7

8

9

10

11

12

13


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

শুভ হোক এই যাত্রা। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

দেখা হবে-

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ হাততালি । ২ আর ৩ নং ছবি দুটা দেখে মুগ্ধ হলাম চলুক

ফাহিমা দিলশাদ

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, চলে এসেন

মেঘলা মানুষ এর ছবি

(কেবল উদ্বোধনের দিন বিকেল সাড়ে টায় গ্যালারী উম্মুক্ত করা হবে। )

সময়টা বাদ পড়েছে, অণু ভাই।

তারেক অণু এর ছবি

ঠিক করে দিলাম, ধন্যবাদ

দীনহিন এর ছবি

অপূর্ব, অণু ভাই!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, চলে আসুন, দেখা হবে

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ছবিগুলো অসাধারন! আপনার তোলা কোনটি?

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আদিবাসী অভিধাটি কি সঠিক?

তারেক অণু এর ছবি

আছে অনেকগুলোয়, মোট ছবি ৬০টির উপরে

তারেক অণু এর ছবি

চলে এসেন, বাকীগুলোরও দেখা মিলবে-

অতিথি লেখক এর ছবি

অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন এবং বেশ সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তরটি। আদিবাসি অভিধাটি বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে ভুল। উপজাতীয় সঠিক। উপজাতীয়কে যখন আদিবাসি নামান্তরে প্রানান্ত চেস্টা করা হয়, তখন সেটা করা হয় উদ্দেশ্যপ্রনদিত ভাবে। উদ্দেশ্যটা জানতে হলে আদিবাসী হলে সুবিধা সমুহ কি কি জানাই যথেস্ট। কল আ স্পেড, আ স্পেড, পানি ঘোলা কইরা লাভ কি?

তারেক অণু এর ছবি

বাঙালি ছাড়া বাংলাদেশে যে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী রয়েছে তাদের ব্যাপারে বাংলাদেশীদের অনাগ্রহ এবং নির্বিকারত্ব আমাকে সব সময় খুবই ভাবিত করে। এ নিয়ে যে সাধারণ একটা অজ্ঞতা রয়েছে, সে ব্যাপারে আশ্চর্যজনকভাবে খুব কম মানুষই চিন্তিত। অন্য সব বিষয়ে খুবই সচেতন, সহানুভূতিশীল অনেক বাঙালিকে আমি দেখেছি প্রকাশ্য আলোচনায় নিজ দেশেরই নাগরিক চাকমা, গারো, রাখাইন, মারমা, সাঁওতাল, খাসিয়া এদেরকে উপজাতি বা আদিম জাতি বলে সম্বোধন করতে। এ ধরনের শব্দগুলো সমাজবিজ্ঞানীরা অনেক আগেই পরিত্যাগ করেছেন। কারণ এতে ঊনবিংশ শতাব্দীর জাতিবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ পায় এবং প্রমাণ হয় যে যিনি এই শব্দ ব্যবহার করছেন তিনি তাদেরকে নিজের চেয়ে হীন গোত্রের মনে করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে এই ধরনের মনোভাব লক্ষ করা খুবই দুঃখজনক, কারণ বাংলাদেশীরা গর্ব করে এই নিয়ে যে তাঁরা পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল বাঙালিদের ব্যাপারে পাকিস্তানিদের ঠিক এই মনোভাবের কারণে। পাকিস্তানিরাও বাঙালিদের মনে করত হীন জাতি। অবাঙালি জাতিগোষ্ঠীর ব্যাপারে বাঙালিদের অসচেতনতা মূলত জন্ম নিয়েছে অজ্ঞতা থেকে এবং নিজেদের ব্যাপারে এক ধরনের উচ্চমন্যবোধ থেকে। তবে ১৯৭১-এ বাঙালিদের ব্যাপারে পাকিস্তানিদের অসচেতনতার মতো এটিও অনেকটা সচেতন অজ্ঞতা। ---- ভিলেম ভ্যান সেন্ডেল ( সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন শাহাদুজ্জামান)

মন মাঝি এর ছবি

চলুক
অতিথি লেখকের মন্তব্যের চমৎকার জবাব হয়েছে!
তবে আব্দুল্লাহ এ.এম ভাইয়ের মূল প্রশ্নটার জবাব কিন্তু হইলো না। হাসি
এই পোস্টের স্পিরিটের সাথে এই আলোচনা ঠিক খাপ খায় না, তবে আলাদা একটা পোস্টে বিষয়টা আলোচনা করতে পারলে ভাল হয়। অনেকের মত আমার মনেও বেশ কিছু অমীমাংসিত প্রশ্ন আছে। এটা বোধহয় আমাদের জন্য এড়িয়ে যাওয়ার মত আলোচনা না।

****************************************

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বাংলাদেশে বাঙ্গালী ছাড়া অন্যান্য যে সকল নৃ-জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের ব্যাপারে সাধারনভাবে বাঙ্গালীদের অজ্ঞতা, অসচেতনতা এবং লঘুকরন প্রবণতা সংগত কারনেই অত্যন্ত লজ্জাস্কর, বেদনাদায়ক এবং অপরাধ মূলক। বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রতি যে অবমাননা এবং নিপীড়ন চলেছে, চলছে, এবং তাদের সাথে সর্ব মহল থেকে যে বিশ্বাসভঙ্গ করা হয়েছে, হচ্ছে, তা কোন ক্রমেই সমর্থনযোগ্য নয়। আপনি এবং আপনার মত সামান্য কিছু মানুষ যে তাদের ব্যাপারে শুধু ভাবনা চিন্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকরী কিছু করার চেষ্টা করছেন, তার জন্য কোন প্রশংসা বাক্যই যথেষ্ট নয়। কিন্তু সে প্রচেষ্টায় তাদের আদিবাসী অভিধায় ভূষিত করার প্রবণতাও একটি ভিন্ন মাত্রার ভ্রান্তি বলে মনে হয়।
সাধারনভাবে ইংরেজি অ্যাবরিজিন অর্থে এখন আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা মহাদেশীয় আমেরিকার ক্ষেত্রে অ্যাবরিজিন যে অর্থে প্রাসঙ্গিক, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা মোটেই সেই অর্থে প্রাসঙ্গিক নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা আমেরিকায় ঔপনিবেশিক ইউরোপীয়রা সে অঞ্চলগুলি দখল করেছে, সেখানকার অধিবাসীদের হত্যার মাধ্যমে প্রায় নির্মূল করে নিজেদের সেখানে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে বহু আগে এরিয়ানরাও প্রায় সেভাবেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু বাঙ্গালীদের উদ্ভব সে ভাবে হয় নি। এরিয়ানদেরও আগমনের আগে বাংলায় প্রোটো বাঙ্গালীদের উৎপত্তি হয়েছে কাউকে উচ্ছেদ কিংবা নির্মূলের মাধ্যমে নয়, জাতিগত সংমিশ্রণ তথা মিলনের মাধ্যমে।
বৃহত্তর বাংলায় বাংলা ভাষায় আদিবাসী অভিধাটির প্রথম ব্যবহার শুরু হয়েছে পশ্চিম বাংলায়, এ ছাড়া হিন্দি ভাষাভাষী উত্তর ভারতেও এটি বহুল ব্যবহৃত। সেখানে এটির ব্যবহার অসংগত নয়, কারন যাদের এ অভিধায় অভিহিত করা হয়, সেই মুন্ডারী, দ্রাবিড়, এমনকি হিন্দি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীই সেসব অঞ্চলের আদি জনগোষ্ঠী। সেসব অঞ্চলে তাদের বসবাস বহু সহস্র বছর ধরে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন, এই ভুখন্ডে যারা আদিবাসী ছিল, হাজার হাজার আগেই তারা বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এখন বাঙ্গালী ছাড়া অন্যান্য যে সকল নৃ-জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, এখানে তাদের আগমন বাঙ্গালীদের উদ্ভবের অনেক পরে। এমনকি সাঁওতাল জনগোষ্ঠী প্রোটো-বাঙ্গালী জাতি গঠনের প্রধান উপকরণ হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসরত সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে আগমন বল্লাল সেনের রাজত্বকালে।
অ্যাবরিজিন থীমটি পাশ্চাত্য মনিষীদের(?)। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা মহাদেশীয় আমেরিকায় তাদের পূর্ব-প্রজন্মের দুষ্কৃতি হয়ত তাদের মাঝে মধ্যে মনে পড়ে, কাউকে কাউকে হয়ত পীড়াও দেয়। সে জন্যই তারা ইউনিসেফ আর আইএলও তে রেজ্যুলুশন গ্রহন করে। সে সব রেজ্যুলুশনে অ্যাবরিজিন তথা আদিবাসীদের জন্য অভাবনীয় রকমের অধিকারের কথা লিপিবদ্ধ করা হয়। অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকার অ্যাবরিজিনরা কোন দিনই সে সব অধিকার লাভ করবেন না, কিন্তু বাংলাদেশে আদিবাসীদের জন্য পাশ্চাত্যের মনিষীরা রীতিমত কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করে যাবেন। আর আলু পত্রিকার সহায়তায় বাংলাদেশের কিছু সুশীল মানবাধিকারবারী সে কান্নায় পো ধরে রাখবেন।

মন মাঝি এর ছবি

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আদিবাসী অভিধাটি কি সঠিক?

এই বিষয়ে আপনি নিজেই একটা পোস্ট দিন না।

****************************************

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, এই পোষ্টে এই বিষয়ের অবতারনা করাটা আমার ঠিক হয় নি। অনেকদিন থেকেই ভাবছি এই বিষয়ে একটা পোষ্ট দেব, কিন্তু ঠিক সময় করে উঠতে পারছিলাম না। দেখি.......

গান্ধর্বী এর ছবি

ছবিগুলো দুর্দান্ত!

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

তারেক অণু এর ছবি

কাল সব টাঙানো হয়েছে, ৬০এর অধিক ছবি।

এক লহমা এর ছবি

চলুক
প্রতিটি ছবিই সুন্দর!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তারেক অণু এর ছবি

এটা তো কেবল পুস্তিকাটা !

হাসিব এর ছবি

খানাপিনার কথাতো কোথাও দেখলাম না!

তারেক অণু এর ছবি
বন্দনা এর ছবি

ছবিগুলা বেশ সুন্দর, কিন্তু যেতে পারবোনা মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

হেইল সিঙ্গাপুর !

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিগুলো খুব সুন্দর , আমার খুব ভালো লেগেছে হাসি

paharipakhi

তারেক অণু এর ছবি

চলে এসেন-

তাসনীম এর ছবি

শুভ কামনা রইল। দেশে থাকলে অবশ্যই যেতাম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারেক অণু এর ছবি

আপনার পিচ্চিদের দেখিয়েন ছবিগুলো , পরে আপ করব

অতিথি লেখক এর ছবি

নিচের ছবিটা এখান থেকে নেয়া। চারদিকে হাঁটুর জয়জয়কার! মন খারাপ

--সাদাচোখ
sad1971এটymailডটcom

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক শুভেচ্ছা রইল।

অতিথি লেখক এর ছবি

এতসব ভালো ভালো ছবি তুলেছেন আপনারা। ঢাকায় থাকলে অবশ্যই দেখতে যেতাম।

গোঁসাইবাবু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।