ক্লাস থ্রীতে উঠেই শুনি সাংঘাতিক এক ব্যাপার নাকি আসন্ন। চার বছরের আটকে থাকা পুরস্কার বিতরণী আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাকি অনুষ্ঠিত হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ভালো ভালো গান আর নাচ জানা ছেলেমেয়েদের নির্বাচন করা শুরু হবে খুব শীগগীর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সম্ভাব্য পাকিস্তান সফর নিয়ে দেশে-বিদেশে, বিশেষত বাঙালী ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে, সবিশেষ আগ্রহ গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লক্ষ্যণীয়। এখানে স্পষ্ট করে বলা ভালো যে, ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যেই এ-নিয়ে প্রবল বিতর্ক; সচেতন ক্রিকেটপ্রেমীরা (অর্থাৎ যাঁরা একইসঙ্গে দেশপ্রেমীও) নিষ্ঠার সঙ্গে এ-সফর বাতিল করার পক্ষপাতী, বিপরীতে ছাগু ক্রিকেটপ্রেমী (এরাও একইসঙ্গে দেশপ্রেমী; ফাঁরাক হচ্ছে, এদের দেশ পা
[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ইহা একটি হাতি-মার্কা লেখা]
সবাই বলে সময়টা অন্ধকার, সামনে পথ বন্ধুর, হতাশা আর গ্লানিতে মানুষ আকণ্ঠ নিমজ্জিত, ইত্যাদি। আমি অতটা নিরানন্দ চোখে দেখি না। হাজার রকম মতবাদ, মতামত, এবং বিপদ-আপদের মধ্যে এরকম আশার কথা বলায় সমালোচিত হতে হয় অনেক। সমালোচনা খুবই যৌক্তিক, কারণ যে-মানুষ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে তার কাছে পুকুর এবং মহাসাগরে কোনো তফাৎ নেই। আমরা যারা পাড়ে বসে নুড়ি কুড়াচ্ছি, তাদের এখনও আশাবাদের বিলাস আছে। আমি নিজে একটু বেহায়া এবং অনেকটা অলস কিসিমের মানুষ, তাই আশা এবং আশার বিলাস দুইটাই আছে। আমার আশার ভিত্তিটা খুবই বৈষয়িক। হতাশার অংশে যাওয়ার আগে এই আশার কথাটুকু বলে নেই।
শাহরিনা রহমান এ্যালানা কিংবা ব্লগের কাঠপুতুল গতরাতে বরিশাল যাচ্ছিলো। যাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছে। তাকে শিগগির ঢাকা এনে স্কয়ারে ভর্তি করা হবে বলে মাত্রই খবর পাওয়া গেছে। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
[আমি খুব দু:খিত এতোটুকু লিখে পোস্ট করার জন্য। কিন্তু এমন একটা সময়ে এমন একটা খবর দিয়ে এর চেয়ে বেশি লেখার সাধ্য আমার নেই।]
- নৃ
বিচারপতি নিজামুল হক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের কথোপকথন এবং মেইল হ্যাক হওয়াতে এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তার প্রতি আরো মনোযোগী হতে হবে। যদিও বিচারপতির বক্তব্য এবং ইমেইল হ্যাক করার জন্য সম্ভবত খুব উঁচু মানের টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়নি। বরং তাদের কোনো একজনের কম্পিউটারে ফিজিক্যাল অ্যাকসেস ছিলো,এমন কেউই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। কিন্তু ঘটনা যেভাবেই ঘটুক না কেন, সাবধান হওয়ার এখনই সময়। আমরা যারা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করি, খুব স্বাভাবিকভাবেই এর নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের খুব ভালো ধারণা নেই, এবং থাকলেও অনেকসময় তা মেনে চলি না। আমি নিজে কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশারদ না। মোটামুটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা,আগ্রহ এবং কর্মসূত্রে কিছুটা জ্ঞান লাভ হয়েছে। তার সুবাদেই এই ব্লগটাতে আমি নিরাপত্তার কিছু সাধারণ ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করবো।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর পক্ষ থেকে আমরা গভীর দুঃখ এবং ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছি যে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির চক্রটি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করার একটি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা অপরাধমূলকভাবে লঙ্ঘন করে কিছু ব্যক্তিগত কথপোকথন এবং ইমেইল হ্যাকিং করে এবং তা বিভিন্নভাবে বিকৃত করে দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে ছড়াতে শুরু করেছে। নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চিহ্নিত এই চক্রটি নানান রকম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা খুবই উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে এই বিভ্রান্তি প্রগতিশীল সংগঠনগুলির ভেতরেও ধীরে ধীরে তারা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে। পারষ্পরিক অবিশ্বাস এবং ভিত্তিহীন কাদা ছোঁড়াছুড়ির এই পরিবেশের সম্ভাব্য ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি - অবশ্যম্ভাবীভাবে এই ঘটনার মূল সুবিধাভোগী (beneficiary) এবং আসল অপরাধীর (অর্থাৎ স্বাধীনতাবিরোধী জামাত শিবির চক্রের) ওপর থেকে সবার মনযোগ সরে যাচ্ছে, যা তাদের এই গুরু অপরাধের দায়ভার থেকে পার পেয়ে যাওয়ার পথ উম্মোচিত করছে; হ্যাকিং ঘটনার প্রকৃত তদন্ত তার সঠিক দিকনির্দেশনা হারানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে; স্বাধীনতার পক্ষের সক্রিয় সংগঠনগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের বীজ বপনের মাধ্যমে স্থায়ী বিভেদ সৃষ্টির পরিবেশ তৈরী হচ্ছে যা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বৃহত্তর আন্দোলনেরই ক্ষতি করতে পারে।
একটা ঘটনার বিশ্লেষণ বিভিন্নভাবে করা সম্ভব। একবার স্বাস্থ্যগবেষণার খুঁটিনাটি বিষয়ক একটা সেমিনার শেষে আমাদের এক সহপাঠিনীর মন্তব্য: “কী অসাধারণ রমণী! কী সুন্দর তাঁর উপস্থাপনা!
[justify]জন গ্রিশামের দ্য ফার্ম পড়ছি। বহুদিন পরে থ্রিলার পড়া। টানটান উত্তেজনার বই। একবার ধরলে ওঠা যায় না।
[justify]সাধারণভাবে দেখলে আমাদের শরীরকে মনে হবে খুব সূক্ষ্ণ আর বিস্তারিত পরিকল্পনা করে তৈরি করা। কিন্তু এরকম সূক্ষ্ণ পরিকল্পনা আর এত আধুনিক ডিজাইনের এর পরেও আমাদের শরীরে হাজারো রোগ জীবাণু এত সহজেই বাসা বাঁধতে পারে কীভাবে? যে বিবর্তন প্রক্রিয়া প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে চোখ বা হৃৎপিণ্ডের মত জটিল অঙ্গ সৃষ্টি করতে পারল, সেই বিবর্তন কেন হার্ট অ্যাটাক বা আলঝেইমারের মত রোগগুলোকে সরাতে পারল না কেন?