১.
বাবলুর জন্মের সময় আম্মা মারা যান।
[justify]ভাবছিলাম কত আর নিজের কথা লিখা যায়। সবই লিখে ফেলেছি প্রায়, সব কথাই হয়েছে বলা। বলার মত যত কথা ছিল এতদিনে সব ফুরিয়ে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু জীবনটা যেন দিগন্তরেখার মত, অই যে শেষ-প্রান্তটা দেখা গেল বলে ও আসলে শেষটা দেখা যায়না কখনোই। থিসিস জমা দেয়ার পর জব হয়ে গেল বলে ভাবছিলাম জীবনে এবার বুঝি একটু স্থিরতা এলো। এই অনাবিল সুখের আকাশে ভাসতে ভাসতেই ধাক্কার মত এক টুকরো কালো মেঘ আমাকে ছু
বৃষ্টির ঘ্রাণ পাচ্ছি,
জলের ঘ্রাণ পাচ্ছি,
জলমগ্নতায় কার অতল হৃদয়ের
কলরব শুনতে পাচ্ছি ।
এ কার নুপুর-নিক্কণ সকরুণ সুরে
আজো কাঁদে করোতোয়ার কচুরীর দামে?
রেণুকা? সে তো চৌদ্দ বছর আগেই
ভোকাট্টা হয়ে গেছে গোলাপী ঘুড়িটার মতো!
সেই ঘুড়ি, সেই নিরুদ্দেশ ঘুড়ি কতবার ছলে-বলে
আছড়ে পড়েছে রেনুকাদের ছাদে।
যতবারই কুড়োতে গিয়েছি
ততবারই বিদ্ধ হয়েছি শান্ত গভীর দু’চোখের মায়ায়।
জায়গাটা প্রথম থেকেই একদম পছন্দ হয়নি আমার। সারাজীবন শুনে এসেছি, সুইজারল্যান্ড হচ্ছে পৃথিবীর বুকে স্বর্গের নমুনাবিশেষ। আশা ছিল, না জানি কি দেখব। মোটামুটি হতাশই হলাম। দীর্ঘ বিমানযাত্রা অবশ্য একটা কারন হতে পারে। জোহানেসবার্গ থেকে জুরিখ পর্যন্ত সাড়ে এগারো ঘন্টা, তারপর একঘন্টার বিরতিতে জেনেভার দিকে উলটোপথে আরেকটা ফ্লাইট, জেনেভা থেকে পৌণে একঘন্টার ট্রেন জার্নি, সবমিলিয়ে ক্লান্তির চূড়ান্ত সীমায় প
চুয়েট বন্ধ প্রায় একমাস হতে চলল। গত একমাসে ধরে ভার্সিটিতে কোন উপাচার্য নেই, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নেই, উপ-উপাচার্যও নেই – উপাচার্য নেই তাই ক্লাসও নেই। ক্লাস নেই, তাই ছাত্ররাও নেই। আমরা সবাই রাজা আমাদের এই ‘নেই’ এর রাজত্বে।
এক।
আলুবাজ
কবি বড় বাজে
বড় বাজে কবি
শব্দের পর্দাটা সরালেই আ-কথা কু-কথা
গতকাল বুধবার সকালে বেদখলকৃত সরকারী জমি উদ্ধারে বনানী এলাকার করাইল বস্তি উচ্ছেদ অভিযান চালায় ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেটোপলিটন পুলিশের ৪ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়। সরকারী ভাষ্যমতে বেদখলকৃত ১৭০ শতাংশ জমির মধ্যে ৮০ শতাংশ বিটিসিএলের মালিকানাধীন ও ৪৩ শতাংশ পিডব্লিইডি’র এবং বাকি জমি আইসিটির।
বারান্দাটাই যত নষ্টের গোড়া। বাড়িটা ওদের হলেও বারান্দাটা ছিল আমাদের। আমাদের বটে তবে ওদেরও যাতায়াত আছে। বারান্দার একপাশ দিয়ে ছাদে যাবার সিঁড়ি, ছাদে যাবার সময় এই বারান্দার রেলিং ধরে খানিকটা জিরিয়ে নেয়া যায়। সামনে সবুজ গাছের আড়াল।
ভূমিকা
আমি বিজ্ঞানী রণক্লান্ত, আমি সেইদিন হব শান্ত, যবে ...। নাহ, আমার শান্ত হবার কোন উপায় সত্যিকারের বিজ্ঞানীরা রাখেন নাই। তারা অক্লান্তভাবে বিজ্ঞান চর্চা করে যাচ্ছেন, আর আমার মত বিজ্ঞানের মুগ্ধ দর্শক, পাঠক, উপকারভোগীকে অশান্তিতে রেখে চলেছেন। সেই অশান্তি আমি সচলায়তনে ছড়িয়ে দিতে চাই।
সচলায়তন পড়ি অনেক দিন ধরে, কিন্তু অনেক ব্যাপারেই কম জানি আর বুঝি বলে অংশ গ্রহন করতে সংকোচ হয়। ভুলভাল কিছু বলে বসলে বিজ্ঞ সচলরা কিভাবে তুলা ধুনে দেন, তা তো রোজই দেখি। আগেকার দিনে শুনেছি দূত রাজার দরবারে ঢুকে বলত, ভয়ে বলব না নির্ভয়ে। আমারও তাই সচলায়তনের কাছে জিজ্ঞাসা, ভয়ে লিখব না নির্ভয়ে। ভয়ে ভয়ে একটি লিখা দিচ্ছি, জানি না ছাপা হবে কি না। যদি ছাপা হয়, আরও একটি লিখব। সেটি ছাপা হলে আরও একটি। সেটি ছাপা হলে ... এভাবে চালিয়েই যাব। তারপর সেইদিন হব শান্ত, যবে ...।
জোসেফকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিলাম আমি।