২০১৬ খ্রীষ্টাব্দ । ব্রিটিশ মিউজিয়াম।
‘এইটা কী বাবা?’ পাথরের মূর্তিটাকে দেখাল বিলি।
‘মিশরের পুতুল বাবা,’ বিলির বাবা হাসলেন, ‘কত রকমের খেয়াল ছিল ওদের। যা খুশি লিখে রেখেছে দেখ পুতুলের গায়ে।’
‘কী লিখেছে বাবা?’
‘কী আর লিখবে? কেবল সভ্য হয়েছে লোকগুলো! লিখতে শিখেছে এটাই তো বেশি! চল এখানে সময় নষ্ট করে আর লাভ নেই।’
৩০১৯ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ। মিশর।
একজন প্রবীন সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশে আপনি সন্মান পান। আপনি একজন আইন প্রণেতা, আইন জানেন, কিন্তু কতটুকু মানেন তা নিয়ে আমার সংশয় দেখা দিচ্ছে। কয়েক মিনিট আগে বিটিভি-তে দেখলাম বিদেশী লিবারেশন ফ্রেন্ডদের সন্মাননা জানাতে বাংলাদেশ লিবারেশন এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে আপনি যেভাবে হাতাকাটা কোটের পকেটে দুইহাতের কব্জী পর্যন্ত ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতে করে আপনার দৃষ্টি আ
[বিরক্তি চেপে সহ্য করে থাকা ভদ্রলোকের একটা গুন। আমি ভদ্রলোক নই বলেই এই গুনটা আমার নেই। তাই প্রচন্ড বিরক্তির সাথেই নাগরিক বিরক্তিমূলক লেখাটা লিখছি।]

মফস্বলের আলো আঁধারির মধ্য গল্প বলার আত্বীয় স্বজন থেকে দূরে, মোটামুটি পাড়া-পড়শীদের সাথেই বড় হয়েছি আমরা, অত্যন্ত বাস্তববাদী মায়ের তিক্ষ্ণ নযরদারীর মধ্য। শহুরে নীতি নিয়মের মধ্যে বড় হওয়া আমাদের চেনা জানার সীমানা ছোট হলেও কল্পনার জগতটা কিন্ত সমৃদ্ধ ছিল, গল্পের বই এর কল্যানে। রহস্যময় জগতের মতই আকর্ষনীয় ছিল কুচ কুচে কালো বেড়াল, সাপ, পেঁচা, বাদুর সাঁঝের আধারে বন্ধুদের কাছে শোনা সেই ‘তেনাদের’ গল্প। এমনিতেও বাস্তবের কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা অনেক সময়ই রহস্যময় রয়ে যেত ঐ আমলে। আজকের এ লেখাটা স্মৃতি থেকেই ঐ রকমের একটি লেখা।
চিমার মতোই চামাররা সব--চামর দুলিয়ে হাতে
কামড়টা দেয় পশ্চাত থেকে, টের পাওয়া যায় রাতে!
কামড় খেয়েও পামর যেগুলো দন্ত কেলিয়ে হাসে...
তাদেরকে বলি, ধান্দাটা ছেড়ে মন দে এবার ঘাসে!
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্য কেউ নয়। অন্য কোনো দিন নয়। খবরটি প্রচারিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখেই। নিচে এবিসি নিউজের দুটো ভিডিও ক্লিপে দেখুন সেদিনের স্বাধীনতা ঘোষণার খবরটি।
প্রথম নিউজ--
হারিয়ে গিয়ে চিরদিনের থাকার খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলা পূর্বসুরীরা আমার,
জানি না কেন হঠাৎ তোমাদের সাথেই কথা বলতে ইচ্ছা করল! খবরের কাগজগুলো তোমাদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে থেকে থেকে, খবরে তোমাদের পুরনো ছবি, তোমাদের নিয়ে লেখা কেবল টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অনেক অনেক কঠিন সেই দিনগুলোতে, আমাদের সাধ্য কি তোমাদের মত করে ভাবতে পারি, বুঝতে পারি, দেখতে পারি? কেবল জানতে চাইতে পারি- তোমাদের কথা, তোমাদের হারিয়ে ফেলার কথা, তোমাদের ফিরে পাওয়ার কথা।
শুনেছি আপনজনেরা হারিয়ে যান না কখনো, ওঁরা ফিরে ফিরে আসেন। চলে গিয়েও। ফেলে যাওয়া আপনজনদের আড়াল থেকে চুপটি করে দেখে যান- ওদের খুশিতে ওঁরাও শান্তি পান, দুঃখে ওঁদেরও মন ভার হয়।
১.
ধড়ফড় করে মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠলেন আমজাদ সাহেব। সেই একই দুঃস্বপ্ন। আবারো। প্রকাণ্ড একটা মাঠে তিনি দমবন্ধ করে পাগলের মত দৌড়াচ্ছেন; দুই কোলে দুটো বাচ্চাকে নিয়ে। পেছন পেছন অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় ধেয়ে আসছে ভয়ালদর্শন একটা কালো গুইসাপ। কোলের বাচ্চা দুটোর কালো চোখ, কালো রঙ। দুইজনে অলটার্নেট করে করে নিয়মিত বিরতি দিয়ে বলে যাচ্ছে- ইয়াক, বাবা, তোমার গায়ে ঘামের গন্ধ।
আমজাদ আলীর গুইসাপ ভীতির শুরুটা একেবারে বাচ্চাবয়সে। যে বয়সে মানুষ জোনাকি দেখে মুগ্ধ হয়, ইঁদুর দেখে মুগ্ধ হয়,
হিমালয় - বিরক্তিকর হলদে দেওয়াল গুলো থেকে বাঁচতে আমি বার বার পালাই যেখানে, সেই বরফ ঢাকা পাহাড়, সেই ঘন কালচে সবুজ জঙ্গলের রাস্তা আর তারা ভরা আকাশের হাতছানি। কখনো আপিসে লুকিয়ে একদিন দুদিনের ছোট ট্রিপ, কখনো ব্যাগ কাঁধে বাড়ির সবাইকে টেনশনে ফেলে লম্বা হাঁটা। এরকমই এক হাঁটার দিন এসেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যাওয়ার জায়গা ছিল অডেনস কল - গঙ্গোত্রি রেঞ্জ এবং যোগিন রেঞ্জ যেখানে মিশছে সেই জায়গাটা (৫৫০০