[justify]
আমি একটা ভাষাই মোটামুটি জানি। সেটা যে কোন ভাষা - আর বিশদে না বললেও চলে। বহু বছর ধরে চেষ্টা করেও ইংরেজি ভালো মতো আর শিখে ওঠা হয় নি। এর অন্যতম প্রধান একটা কারণ মনে হয় আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা। স্কুলে খন্দকার স্যার পিলে চমকানো সব বাগধারা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে দিতেন। যেমন - চোরের মন পুলিশ পুলিশ। ভেবেচিন্তে বন্ধু জুনায়েদ লিখলো - থিফ'স মাইন্ড পোলিস পোলিস। অবধারিতভাবে গাঁট্টা নেমে এলো মাথার উপর। মাত্র চার ফুট দশ ইঞ্চি হাইটের খন্দকার স্যার মাথার ছয় ইঞ্চি উপর থেকে এমন দুর্দমনীয় গাঁট্টা কীভাবে মারতেন সেটা আজও ভেবে বার করতে পারিনি। অনেক মারপিটের পরে শিখলাম – দ্য পেশেন্ট হ্যাড ডাইড বিফোর দ্য ডক্টর কেইম। এই বিদ্যা প্রয়োগ করার মতো পরিস্থিতি আজও তৈরি হয় নি। আমার চেনা-জানা সব্বাই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েই ফিরে এসেছেন, আশা রাখি ভবিষ্যতেও আসবেন।
‘ও আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিল,’বলতে বলতে জানালার বাইরে চোখ রাখল রায়হান।অন্ধকারে মৃদুমন্দ বাতাসে দুলতে থাকা নারকেলের পাতাগুলোর দিকে শূণ্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,’ওর নাম ছিল শহীদ সোবহান।ওর বাবা ছিলেন সোবহান চৌধুরী,আরামবাগের এমপি।আমরা সবাই এ তাকে মস্ত সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই জানতাম।’
মানুষের ভীড়ে বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র্য অনেক আগেই হুমকীর সম্মুখীন। সুন্দরবন তার সৌন্দর্য হারিয়েছে মানুষেরই কল্যাণে!!
প্রায় আদিম যুগের কথা। ঠেঙ্গামারা গ্রামের লোকজন তখন মাত্র মোটা ধুতির উপর পিরান পরতে শিখেছে। তার আগে পুরুষকুলের সবাই উদলা গায়ে থাকতো। শীতকালে সেটা কষ্টকর হলেও গরমে আরাম ছিল। শীতকালে বয়স্কদের শিয়রে একটা করে 'আইল্লা' দেয়া হতো। 'আইল্লা' হলো জ্বলন্ত কয়লাপূর্ন পোড়ামাটির ভান্ড, যাকে মোবাইল ফায়ারপ্লেসও বলা যায়। এর সুবিধা হলো যেখানে খুশী সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়। এমনকি সাবধানে কাঁথার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়া যায় শীতক
আমার বালকবেলায় পুঁজোর ছুটিতে আব্বা আমাদেরকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। তখন রেলগাড়িতে করে আমাদের গ্রামের বাড়ি যেতে হত। সে সময় বাংলাদেশে (তদানিন্তন পূর্ব-পাকিস্তান) আন্তজেলা সড়ক যোগাযোগ ছিলনা বললেই চলে। তখনকার দিনে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল রেলপথ ও নৌপথ।
আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি ‘নেশাগ্রস্ত’ নন?
কিছু টেস্ট করে দেখে নিতে পারেন:
১। স্মোকারদের যেমন একটু পরপর সিগারেটের তৃষ্ণা তৈরী হয়, আপনারও কি একটু পরপর ফেসবুক তৃষ্ণা তৈরী হয়, লগ-ইন করার জন্য অস্থির অস্থির লাগে?
২। ফেসবুকে লগ-ইন করে উপরের বামদিকে লাল রঙ এবং কিছু সংখ্যা (নটিফিকেশন) না দেখলে কি আপনার মনে রাজ্যের হতাশা ভিড় করে? আর লালের মধ্যে বড় বড় সংখ্যা দেখলেই কি আনন্দে মন ভরে উঠে?
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মানুয়েরা হঠাৎ জেগে উঠেছে। মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন এর মত আরব্য রজনির দেশগেুলোতে মানুষের এই আত্কা জেগে উঠার নেপথ্য কারন কি?
গতবছর রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ঘুরে অবশেষে স্বপ্নের কক্সবাজার আসলাম। কক্সবাজারের মূল আকর্ষণ সূর্যাস্ত। কিন্তু আমাদের কপাল এতই খারাপ ছিল যে দুইদিন থেকেও এই চরম দৃশ্য দেখতে পারিনি। সূর্য মামা আসল সময়ই মেঘের আড়াল থেকে বের হয়নি। যাইহোক কাঁচা হাতের তোলা কিছু ছবি শেয়ার করে আমার সাহসের পরিচয় দিলাম !
(১)
বাটনে চাপ দিতেই মোবাইলের ওপাশ থেকে নারী-কণ্ঠের রিনিঝিনি বেজে ওঠলো- দাদা কেমন আছেন ?
জী ভালো। আপনি কেমন আছেন ?
জী আমিও ভালো। তো দাদা, আপনাকে রিং করেছি একটা প্রয়োজনে !
বলেন ?
দ্রব্যমুল্য লাফিয়ে বাড়ে
সংযমের মাস রমজানে
কোথায় কিসে গলদ সেটা
আমজনতা কম জানে ।
আমজনতা ক্ষোভে ফাটে
কবিও ভীষন চমকান
যখন শুনে, মন্ত্রী বলে
“রোজার মাসে কম খান” ।