ষোড়শ শতাব্দীতে কাম-কলা এবং নন্দনতত্ত্বের পীঠস্থান প্যারিসে একটা জনপ্রিয় বিনোদন ছিল 'বেড়াল পোড়ানো'। ঐতিহাসিক নরমান ডেভিসের তথ্য অনুযায়ী, একটা বেড়াল ছানাকে সিলিং হতে রশিতে ঝুলিয়ে, আস্তে আস্তে ঝলসে, পুড়িয়ে, কাবাব বানিয়ে পরিশেষে ভস্মীভূত করে ফেলা হতো। আর সেই দৃশ্য দেখে স্যাডিস্ট আনন্দে খিক খিক করে হাসতেন রাজা, রানি, মন্ত্রী-আমলা আর দেশের 'সুশীল' সমাজ। বেড়ালের কষ্ট যত বেশী হতো , শিল্...
চলচ্চিত্র বার্তা - জন কিউ
(প্রজাপতি)
অনেক দিন ধরে সচলে নানাজনের লেখা মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে যাচ্ছি । পাঠক হিসেবে দিন পার করে দিবো ভাবছিলাম , কিন্তু আশে পাশে কয়েকজন সচলাসক্তের প্ররোচনায় আজকে কিছু একটা লেখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছি। কি লিখবো তা নিয়ে অনেক দ্বন্দ আর অসারতা, তা কাটিয়ে উঠতে পারছি না, তাই ভাবলাম, কয়েকদিন আগে আমার দেখা একটি ছায়াছবির উপর গৌরচন্দ্রিকা করব।
...
আমার মত আবুগাবু মানুষেরা যখন চিন্তা করে কিছু বলতে যায় তখন দুইটা ব্যাপার হয়,
১। চিন্তা করতে পারার আনন্দ ও উত্তেজনায় যা নিয়ে চিন্তা করতে হবে সেটার কথা বেমালুম হাওয়া হয়ে যায় স্মৃতি থেকে,
২। অথবা কোনও জাদুর বলে তা যদি মনেও থাকে তাহলেও অনেক সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জড়ো করতে করতে পুলসিরাত যখন পার হবার সময় আসে তখন সে উলটা দিকে দৌড় দেয়...
আমি অবশ্য সনদপ্রাপ্ত সেসব আবুগাবুর থেকে একটু আ...
(এই লেখাটা বেশ আগে লেখা। ভয়ে দেই নাই, মনে করছি কেউ পড়বে না। এখন কেন জানি সাহস হচ্ছে। দিয়াই দেখি।)
কয়েকদিন আগে কার লেখায় জানি (তুলিরেখার মনে হয়) সাইফুল আকবর খান ভাইসাহেব ভেগোলজি নামে একখান কনসেপ্টের কথা কইছিলেন। মনের সুখে আবোলতাবোল লেখা, উহাকেই নাকি বলে ভেগোলোজি (যদিও আমি একটু ঢিলা বিধায় ভুল বুঝিতে পারি; কি আছে জীবনে?!)। আমার বড়ই মনে ধরছে কনসেপ্টটা!
লিখার সবসময় টপিক থাকতে হবে ...
আশি বছর বয়সী এই জার্মান বুড়ো এবং তার স্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি? তাদের সাথে দেখা হওয়ার আগে তা ঘুণাক্ষরেও অনুমান করার উপায় ছিল না।
হঠাৎ করেই এক দাওয়াতে পরিচয় তাদের সঙ্গে। উনি প্রথমেই উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন যে তার ইংরেজী জ্ঞান খুবই সীমিত। ওনার স্ত্রী একেবারেই পারেন না, তাই আমাদের কারও কারও কথা অনুবাদ করে দিতে হচ্ছিল। পাশে বসেছিলাম বলেই অনেক কথা বলার সুযোগ হলো এব...
গত পরশু সচলের জন্মদিন গেল, কত অসাধারণ অনেকগুলো লেখাই না আসলো, তাই ভয়ে ভয়ে এই লেখাটা আজকে দিলাম, সূর্যের পাশে মোমবাতি জ্বালানোর ব্যর্থ প্রয়াস না করে একটু পরিবেশ হালকা হয়ে আশার অপেক্ষা করতে লাগলাম, কিন্তু সে সময় যেন আর আসে না। আমি বসে বসে মনে করার চেষ্টা করতে লাগলাম, যখন সচল সচল করে সবার মাথা খারাপ করতাম না, তখন কি করতাম? তখন মনে পড়ল গল্পের বই, ছায়াছবি, পিএসথ্রি তে ভিডিও গেম, এরক...
থ্রি-ডি চিত্রকলার সাথে কারো কারো হয়তো ইতোমধ্যেই পরিচয় ঘটেছে। খুব সাম্প্রতিক কালের ভিন্ন মাত্রার চিত্রকলা হিসেবে একে অভিহিত করা যেতেই পারে। এডগার মুলার নামের একজন অতি বিখ্যাত থ্রি-ডি চিত্রশিল্পির আঁকা কিছু ছবি নিয়েই আজকের এই ছবিব্লগ।
এডগার মুলারের আঁকা চিত্রকর্ম বিভিন্ন দেশে রয়েছে। যেমন কানাডা, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ইত্যাদি ইত্যাদি। ক্যানভাস হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন শহ...
ক'দিন ভীষণ গ্রীষ্ম চলেছে, রোদ ছিল একেবারে যাকে বলে চাঁদিফাটা, সব যেন শুকিয়ে যাবে, গলে যাবে। দুপুরের পিচরাস্তার দিকে তাকানো যেতো না, এত ঝিকঝিক রোদ ঠিকরে আসতো।
চাতকপ্রত্যাশায় আকাশের দিকে চেয়ে থাকতো সবাই, আসে কি মেঘ? আসে কি, সে আসে কি? কিন্তু কোথায় কি? এক চিলতা দুই চিলতা হালকাফুলকা মেঘেরা আসতো যেতো, বর্ষণসম্ভবাদের দেখা নাই।
তপতপে দিন আসে, তপতপে দিন যায়। সন্ধ্যার পরে লোকে পুকুরের ...
আমি বড় সমস্যায় আছি। সচলায়তনের জন্য একটা দুইটা না, সাতখান লেখা একবারে ড্রাফট কইরা বইসা আছি, কিন্তু দিতারিনা! ক্যান? কারন হয় লেখার ড্রাফট অফিসে ফালায় আসি, নাইলে বাসায় এক এক কম্পিউটারে এক এক লেখা (আমার রুমে তিনখান ফুললি ফাংশনাল কম্পিউটার, ইউএসবিতে আর কতই বা লমু! ল্যান করা ছিল, কিন্তু তার খাঁটের তলে, টানতে ইচ্ছা করতেছে না)। ফলে প্রতিবারই নতুন লেখা লিখা লাগে। কি যে সমস্যা!
ভাবছিলাম দর্...
সব গাঁয়েই একটা পাগলা থাকতে হয়, পাগলা বা খাদক কিসিমের উদ্ভট কেউ না থাকলে গ্রামের ইজ্জত থাকেনা, নিস্তরঙ্গ জীবনযাত্রা আরো নিরামিশ হয়ে যায়। ধলপুর গ্রামের বিখ্যাত জগু পাগলা হঠাৎ করে একদিন বিনা মেঘে বজ্রপাতে মারা গেল। পার্ট টাইম পাগল বেচারা ছিল ধান ক্ষেতে, গ্রামের আরও কিছু কিষানের সাথে মিলে ধান কাটছিল, হঠাৎ কাচির ভুল পোচে তার ডান হাতের বুড়া আঙ্গুলের অর্ধেক নাই হয়ে গেল, জগু পাগলা ডান হ...