[লেখাটি মাসদেড়েক আগে লিখে ড্রাফট করে রাখা। এখন খুব যুতসই সময় মনে হল সবার সাথে শেয়ার করার জন্য]
এই মনে করেন আপনি অনলাইনে কাজকর্মে মাঝারি থেকে বেশীরভাগ অংশই সারেন। আপনার আত্মীয় স্বজন আর বন্ধু বান্ধবের সামাজিকতার একটা বড় অংশও ফেসবুকের কল্যাণে তেমন সমস্যার না। আর কাউকে চটজলদি পেতে হলে তো মোবাইল আছেই এক রিং দিলেই পৃথিবী হাতের মুঠোয়...
অন্ধকারের আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটা ছায়া অস্পষ্ট নিপুণ শব্দে চমকে দিলো আমাদের। এতে আমার হাত থেকে খসে পড়ল হলদে আলো ছড়াতে থাকা মোবাইল ফোনটা, মুখ গুঁজে দিলো ঘাসে; আর তাই ভোঁতা শোনাতে লাগলো ওটায় বাজতে থাকা গানটা।
"কিসের আওয়াজ?" ভুরু কুঁচকে কয়েক হাত দূরে ঝোপটার দিকে তাকিয়ে বললাম আমি।
"রাতের মফস্বলের অসংখ্য বেনামী, অচেনা, গন্ধহীন শব্দগুলোর কোনো একটা হবে হয়ত......।" দাড়ি চুলকে বলে উঠ...
সচলে এই আমার প্রথম পোস্ট। নির্দিষ্ট কোন প্ল্যানিং ছিল না; সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম...রাত্রি জাগরণের মুসাফির-মুসাফির ভাব আর চায়ের তৃষ্ণা,- দুটোই ছিল চোখেমুখে। মুজগুন্নী মহাসড়কে অনেক শান্তিপ্রিয় মানুষ,- প্রৌঢ়, বৃদ্ধ, বোরখা-আটকা মহিলা এমনকি কিশোরীরা- ঘোরলাগা একটা শান্তিতে হেঁটে বেড়াচ্ছে এইসব দেখতে দেখতে আমারো একটা পরিব্রাজক-পরিব্রাজক অনুভূতি হচ্ছিল। মুজগুন্নী পার্কের উত্তরপা...
স্বর্গদূত আনিসাইল একটি ঢ্যাঁড়া পিটাইতে পিটাইতে নন্দন কাননের বাজারে গোল হইয়া চক্কর মারিতে মারিতে তারস্বরে চিৎকার করিতেছিল, "আদমের আরারাত বিজয়! আদমের আরারাত বিজয়! ভাইসব, এইক্ষণে সাপ্তাহিক চান্দের আলো ক্রয় করিয়া পাঠ করুন এই অত্যাশ্চর্য সংবাদ! আদমের আরারাত বিজয়! আদমের আরারাত বিজয় ...!"
বাজারে দক্ষযজ্ঞ হুলুস্থুলু লাগিয়া গেল।
সাপ্তাহিক চান্দের আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় অমানুষিক বৃহদা ...
[justify]
মিনাক্ষী বসু .. মিনাক্ষী বসু …
নীচ থেকে হোস্টেল ইনচার্জের গলা শোনা যায়।এত সকালে ডাক শুনে কিছুটা বিরক্ত নিয়েই মিনাক্ষী এগিয়ে যায় বারান্দায়, নীচে তাকাতে ইনচার্জ জানায় তিন দিন ধরে তিনি তাকে খুঁজছেন, তার একটা চিঠি এসেছে। দৌড়ে গিয়ে চিঠিটা নিয়ে আসে সে। চিঠির উপরে জীবনের নাম দেখাতে মিনাক্ষীর মন আনন্দে নেচে উঠে। রুমে ফিরতেই উর্মি তাড়া দেয় ক্লাসে যাবার জন্য। মনটা যতটা খুশি হয়েছিল, ...
ঘুম নিয়ে ব্যাপক ঝামেলায় আছি। যখন ঘুমানোর দরকার তখন চোখ জোড়া অপলক টিভির দিকে চেয়ে থাকে। আবার যখন উঠা দরকার তখন কাঠালের আঠারমত চোখের পাতা লেগে থাকে। ঘুমের অনিয়ম আর খামখেয়ালীপনার কারণে জীবনের অবস্থা গুরুচরণ। ঘুমের স্বেচ্ছাচারিতায় সকালে যে দিন দশ মিনিট বিলম্বে বাসা থেকে বের হই সেদিন রাস্তায় জ্যামে আটকে পড়ার বিড়ম্বনার সাথে বোনাস টক হিসেবে যোগ হয় বসের গুরুগম্ভীর তিরস্কার। তারপর...
পাথরের শহরের যান্ত্রিক জীবন ছেড়ে চলুন ঘুরে আসি আজ ইছামতি নদীর তীরে অবস্হিত, নবাবগঞ্জ জমিদারবাড়ি থেকে। নবাবগঞ্জ জমিদারবাড়ি খ্যাত জজবাড়ি, নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপায় অবস্হিত।
যাওয়ার উপায়ঃ
ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জ জমিদারবাড়িতে আপনি অনেক ভাবেই যেতে পারেন, সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে আপনার সাথে যদি নিজের গাড়ি থাকে। ফ্যামেলি নিয়ে অথবা সব বন্ধুরা মিলে একজোট হয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন দারুন এক...
১।।
সোবহানবাগ মসজিদের ঠিক উল্টোপাশে আমি দাঁড়িয়ে আছি। আকাশের সূর্যটার তেজ বাড়ছে ধীরে ধীরে। সকাল প্রায় সাড়ে এগারটা। এরমধ্যেই ঘামে আমি একদম গোসল করে ফেলার মত অবস্থা। দ্রুত রাস্তা ক্রস করে এ আর প্লাজায় ঢুকি। প্লাজার এসি-টা বেশ ভাল। এতক্ষন বাইরের রোদে হেঁটে আসার পর এখন এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং মলের শীতল হাওয়া কেমন যেন একটা স্নিগ্ধ অনুভূতির সৃষ্টি করে। আমি উইন্ডো শপিং শুরু করি। ক...
[justify]
একটা অন্ধ বধির ট্রেন
আমরা সবাই অন্ধ বধির সেই ট্রেনের আরোহী। আমরা নানা বিষয়ে গল্প করি, হাসি। আমাদের মাঝে থেকে যাওয়া অন্ধকার ঘষে ঘষে আরো কালো করি। ট্রেনের বগিগুলোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হই। অন্ধ বধির ট্রেনের গতিতে, তার ক্রমাগত চলতে থাকায় আমাদের মুগ্ধতা বাড়ে। জানালাগুলো কালো রঙ করে দিয়ে আলোর নিশানার নিকুচি করি। পরে আবার গল্পে মাতোয়ারা হই। পরে একদিন আমাদের একজন ট্রেনের চেইন টান...
১.
মাথা ঘুরছে। সত্যিকারে ঘুরছে না, মাথাটা আসলে ব্যাথা করছে। ইদানিং নতুন কোন কাজ হচ্ছে না। খালি দিন রাত শুয়ে বসে কাটাচ্ছি, আর ভাবছি কি করা যায়। একটা বিজ্ঞাপন চিত্রের জন্য যন্ত্র সংগীত রচনা করতে হবে। আমার সামনে ডিরেক্টর সাহেব বসে নানা নির্দেশ দিচ্ছেন। এই রকম করে সুর করবা, ওই রকম যেন অনুভুতি হয় শুনার পর। আজকাল এখানেই সমস্যা হচ্ছে, মাথা থেকে নতুন কোন সুর বের হচ্ছে না। এই বিজ্ঞাপনটা এক...