টেক্সাস টেকের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক উইলিয়াম পোর্টনয় একটু স্ক্রু ঢিলে টাইপের লোক ছিলেন। বহু বছর মাস্টারি করে করে ওনার অবস্থা খুবই টাইট, সবাইকেই ছাত্র মনে করেন। আর সত্যি বলতে কি, আমি তো আসলেই ছাত্র তখন। আমি গিয়েছিলাম ওনার কাছে একটা কাজ পাওয়া যাবে কিনা জানার জন্য। উনি কাজ-টাজ, রিসার্চ এইগুলোর কাছে ধারেও গেলেন না।
“শোন কমিউনিস্টরা হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বদ, পৃথিবীটা ওরা না থাকলে অনেক ভালো হতো...যাবতীয় অনাচার আর...”
আমি যেই সময়ের কথা বলছি সেই সময়ে ৯/১১ ঘটেনি, সোভিয়েট ইউনিয়নের কোমর ভেঙে গেছে। মার্কিন দেশ তখন স্পাইক বাবরের ভাষায়...লুকিং ফর নিউ শত্রুজ। স্যার প্রাচীনকালে থাকেন - ওনার মাথা থেকে তখন পুরানো শত্রু দূর হয় নি, উনি কমিউনিস্টদের গালাগাল করেই যাচ্ছেন। বুয়েটে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন ব্যাপক জনপ্রিয়, যদিও বদলোকেরা ওদেরকে হারমোনিয়াম পার্টি বলে (কি বলব আর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বইতেও আছে এই নাম) কিন্তু ভালো ভালো সব ছেলেরাই এই দল করে। আমার অধিকাংশই বন্ধুই বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত। যদিও পাশ করার পরে বামপন্থী অথবা ডানপন্থী কেউই বেশি দেরি করে নি - বিপ্লবকে ক্যাফেটেরিয়াতে ফেলে লাফ দিয়ে এফ-১ ভিসা নিয়ে চলে এসেছে এই দেশে। বিপ্লবীরা সব্বাই পালিয়ে গেলে বিপ্লব ভায়া কিভাবে ক্যাফেটেরিয়া থেকে বের হবে? আমরা অবশ্য দোষ দেই জীবন ভাইয়ের – উনি বেরসিক মানুষ একদম রোমান্টিক নন, খালি খাটিয়ে মারেন। এই দেশে আমরা মন দিয়ে জীবন ভাইয়ের জন্য বেগার খাটি আর মনে মনে ভাবি অন্য কেউ হয়ত বিপ্লব ভাইকে নিয়ে যাবে দেশের আনাচে-কানাচে। কিন্তু সদ্য দেশ ছেড়ে আসাতে স্যারের এই গালাগাল আমার চামড়া ভেদ করে একটু ভেতরে প্রবেশ করায় একটু উষ্ণ হয়ে আমি জিজ্ঞেস করি, কমিউনিস্টদের অসুবিধাটা কোথায়?
“কমিউনিস্টরা আমাদের শত্রু ওদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে...ওরা হচ্ছে বদের হাড্ডি...ওরা কত মানুষ মেরেছে...”
উনি ফাটা রেকর্ডের মত আবার শুরু করেন। ঠান্ডা যুদ্ধের কালে যারা বড় হয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই যন্তর-মন্তর কবলে পড়ে তারা হীরকের রাজাকেই ভগবান মানেন। ধোলাই করা মগজে যা ঢোকানো হবে - তা-ই একদম ছাপার অক্ষরে রয়ে যায় জীবনভর। শৈশবে সুরে সুরে কমিউনিস্টদের নিধনের গানও চলত সেই সময়ে। অদৃশ্য শত্রুর দিকে স্যারের ক্রমাগত হুংকারে আমার সেই ট্রাকের কথা মনে পড়ে যায়।
৯/১১ এর পরে আমেরিকানদের একটা সুবিধা হয়েছে। এতোদিন মার্কেটে কোনো শত্রু ছিল না - এইবার কাউকে আচ্ছামতো “পিট্টা লাল” করা যাবে। আর শত্রু যদি মহাপরাক্রমশালী না হয় তাহলে সেটা আরও ভালো একটা ব্যাপার। দুই ট্রাকের যেমন সংঘর্ষ সচরাচর হয় না - তেমনি মার্কিনদেশ যুদ্ধের জন্য কখনও তাদের সমান আকারের কাউকে বেছে নেয় নেয় না। পিষে ফেলার জন্য রিকশার চেয়ে ভালো কেউ আর নেই – এতে ক্ষতিও কম হয় তাই আফগানিস্তান আর ইরাকই ভালো। বোমাগুলোও তাজা থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে টেস্ট করা যায়। এক সঙ্গে এতো সুবিধা!
ট্রাকের জন্য যেমন ভালো ড্রাইভার লাগে ঠিক তেমনি মার্কিন দেশের সেই রকম চালক দরকার হয়। বুশ সাহেব ট্রাক ড্রাইভারের দায়িত্বটা খুব নিষ্ঠার সাথেই পালন করেছেন। যুদ্ধের আগে আগে মিডিয়াতে জেহাদি জোশ থাকলে ভালো - রাতে খাওয়ার পরে পাব্লিক একটু তাতিয়ে থাকবে - লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান মুডে। ইরাক যুদ্ধের আগে সবাই ফক্স চ্যানেলের মতো খবর দেয়। রাতের খাবারের পরে ঘন্টাখানেক যুদ্ধ দেখতে তেমন মন্দ লাগে না - ট্রাকের ভেতরে বসে যেমন রিকশা আর পথচারীর ছোটাছুটি দেখাটা বেশ মজার ব্যাপার।
“আচ্ছা এই যুদ্ধের কি দরকার ছিল...” প্রশ্নটা করলাম জেনিসকে। বেশ গোঁড়া ধার্মিক। ইসলামি ব্যাংকের মত যে খৃষ্টিয় ব্যাংক যে আছে সেটা ওনার কাছ থেকেই শোনা। পড়াশোনা করেছেন হাইস্কুল পর্যন্ত। বয়েস ষাটের ঘরে। খাঁটি টেক্সান।
“আরে ছিল ছিল – বাইবেল পড়লে বুঝতে। ইরাকের কথা অনেক অনেকবার আছে বাইবেলে...ওটা পবিত্রভূমি। ওটার উপর খৃষ্টানদের নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার।”
একই প্রশ্ন করেছিলাম জিমকে। চৌকষ ছেলে - মাস্টার্স করেছে কম্পিউটার প্রকৌশলে। ক্যালিফোর্নিয়ার ছেলে, কাজ করে আমাদের সাথেই।
“কাজটা একটু ইয়ে হয়ে গেছে - আল-কায়দার সাথে সম্পর্কটা ঠিক প্রমাণিত হয় নি...কিন্তু কাজটা উচিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা দরকার। ওইটাই বিষফোঁড়া এখন। ইনফ্যাক্ট ইরানকেও আক্রমণ করা উচিত। সিরিয়াকেও ছাড়াটা ঠিক হবে না...ইসরায়েল আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র ঠিকই – কিন্তু আমাদের আরও এলায়েন্স দরকার...”
“কিন্তু উত্তর কোরিয়াতো খুব ফালাফালি করছে - ওদেরকেও একটু কড়কে দেওয়া কি উচিত নয়...”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই...ওই জন্য তো আলোচনা, স্যাংশন ইত্যাদি আছেই...”
চোখে ভেসে উঠে - ট্রাকের ভয়ে রিকশা, পথচারী, মিশুক ইত্যাদি ধাববান। কিন্তু ট্রাকের ভয়ে কোনোদিন আরেকটা ট্রাককে ছুটতে দেখিনি। তাই মার্কিন ট্রাক থামাতে হলে রাস্তায় দরকার হবে আরেকটি বড়সড় ট্রাক। সোভিয়েট ট্রাকের চাকা পাংচার হওয়ার পরে এই বিশ্ব এখন নতুন ট্রাকের অপেক্ষায়। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আজ একটাই ট্রাক – তার গর্জন সব রাস্তাতেই ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে তালিবান নিধন সকল ব্যাপারেই ওদের কিছু বলার আছে। আগামীতে হয়তো মার্কিনিরা আমাদের পয়ঃনিষ্কাশন প্রনালী নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দিবে। আজ যে বন্ধু আগামীকাল সে হয়ত হবে পয়লা নম্বরের শত্রু। সোপ অপেরার মতই অষ্টভুজ প্রেম আর ঘৃণামিশ্রিত অন্তহীন গল্পের মত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি।
শৈশবেই বুঝেছিলাম যে ট্রাকের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্রাকে চেপে বসা - ঠিক তেমনি আমেরিকার বিদেশনীতির হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই দেশে পাড়ি জমানো। তাই ঠিক কাজটাই করেছি, এক সুন্দর সকালে এই দেশের প্লেনে চেপে বসেছি। সুতরাং আপনিও যদি এই ভয়ে ভীত থাকেন – তবে তো জেনে গেলেন কি করতে হবে...দ্রুত ভিসার ফর্মটা পূরণ করে ফেলুন।
স্যামচাচার ট্রাক বলে কথা...সবাইকে উঠতে দেয় না যদিও...কিন্তু উঠলে কেউ নামতে চায় না...এর চেয়ে ভালো বাহন আর কোথায় পাবেন?
###
মন্তব্য
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটু সিরিয়াস হইছে এই পর্বটা। কিন্তু তাও মারাত্মক! [বাকি ১৪টা কই ]
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সব্বোনাশ...এইবার কারও লেখা মেরে নিজের নামে ছাড়তে হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার লেখা মাইরা ছাড়েন। আমার নাম হোক
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ট্রাকের ধাক্কা একবার খেয়েছিলাম।
আসলে ধাক্কা দেয়নি। রিকশা কে একটু 'টাচ' করেছিল।
তাতেই রিকশার একসাইড ভাঙা আর আমি পড়তে পড়তে বেঁচে গেছি।
বাকি লেখা গুলোও তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলুন তাসনীম ভাই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ট্রাকের চুম্বনও মারাত্মক জিনিস...আমি নিজেও একবার আলিঙ্গন থেকে বেঁচেছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সময় পেলে সেই গল্পও হয়ে যাক।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চমৎকার লাগলো। সত্যিকারের মার্কিন মুল্লুকের ছাপ আছে লেখাতে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি ট্রাকের পিঠে চড়েছি, নিজের চোখের সামনে উল্টাতেও দেখেছি - একেবারে তেলাপোকার মত চিৎপটাং ! হা হা...
তবে শ্যম চাচার ট্রাক অত সহজে উল্টাবে না এটা ঠিকই। সুতরাং তার পিঠে চড়ে বসাই বুদ্ধিমানের কাজ...
যথারীতি সুপাঠ্য লেখা।
অতিকায় ট্রাক উলটে গেলে ব্যাপার খুব পুঁদেচ্চেরি হয়ে যায়। ধন্যবাদ মনমাঝি (আপনি কি নিকধারী মনমাঝি?)।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ্যাঁ। লগ-ইন না করলে হুবহু নিকটা নেয় না।
আর কত কোট করব... সবটাতেই
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইচ্ছা করছে আপনার এই লেখাটা ঠিক আপনার নিজের বর্ণনা স্টাইলের পুরা রস ধরে রেখে যদি অনুবাদ করে বন্ধুদেরকে পড়াইতে পারতাম...!
যাক গে, আপনি নিজেই করেন কখনো, তারপর ব্যক্তিগত ব্লগে রেখেন... সবাইকে পড়াতে ইচ্ছা করছে... ক্লাসিক হচ্ছে আসলে! কিন্তু ভাইয়া, আপনি যে এইরকম লিখছেন, আম্রিকা তা জানলে আপনাকে আর থাকতে দিবেনি ঐখানে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ। বের করে দিলে মন্দ হবে না - আমার আর কষ্ট করে বের হতে হবে না, এই দেশে ঢোকার চেয়ে বের হওয়াটে ঢের কষ্টের ব্যাপার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি চমৎকার লেখা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এটা তোমার কাছ থেকে শেখা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কমপেরিজনটা জটিল লাগছে। আপনার লিখা পড়ে একবার ট্রাকে উঠতে মন চাচ্ছে, আবার আমেরিকা গিয়ে বসবাস ও করতে ইচ্ছে করতেছি।কিন্তু আমি ঘরের মানুষ ঘরে ও ফেরত যেতে চাই, এখন কি করা যায় ।
ধন্যবাদ বন্দনা। হাচল হওয়াতে শুভেচ্ছা। ফেরার আগে কিছুদিন ট্রাকে ভ্রমণ করে নিতে পারেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা যথারীতি সুখপাঠ্য তাসনীম ভাই।
অট: আমেরিকার সব কয়টি অঙ্গরাজ্যই কি উল্লেখিত 'খাঁটি টেক্সান' মতবাদে চালিত/জনপ্রিয়?
ওই লাইনদুটির টোনটা যেন কেমন লাগলো এ জন্যই জিজ্ঞাসা।
love the life you live. live the life you love.
ধন্যবাদ তারাপ।
ইরাক যুদ্ধের সময় এই দেশের কিছু লোক এর বিরোধিতা করেছিলেন - কিন্তু মেজরটি এর পক্ষে ছিলেন - ডেমোক্র্যাট, রিপাব্লিকান, গোঁড়া, লিবারেল নির্বিশেষে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
-লম্ফ মন্তব্য ঘ্যাচাং -
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার প্রতিটা লেখাতে একটা থিম থাকে এই ব্যপারটাই খুব মজার
বরাবরের মতই ভালো লাগল তাসনিম ভাই
[একটা কথা কানে কানে বলে যাই আপনি আমার সব চেয়ে প্রিয় ব্লগারদের মাঝে একজন, আমার আই প্যাডের প্রথম ই বুক আপনার লেখা স্মৃতির শহর]
ভালো থাকবেন সব সময়
মাহমুদ
জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
জেনে দারুণ লাগলো মাহমুদ - আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি সচলে লেখা দিয়েছিলেন একবার, এরপর আর দেখিনি, সময় করে লিখুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লিখার স্টাইলটা বেশ !
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আমি ট্রাকে না চড়লেও ট্রাকের আশেপাশেই আছি।
তবে ট্রাকে পাশে থাকা অবশ্য বিপদের ব্যাপারও। একবার রিকশায় থাকা অবস্থায় ট্রাকের আঁচড় লেগেছিল আঙুলে, হাত ছিলেটিলে পুরা একাকার অবস্থা হয়েছিল তখন। সে থেকে ট্রাক বড্ড ভয় পাই। তাই ট্রাকে চড়তেও চাই না।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ। ট্রাকের বন্ধু হতে নেই - শত হস্তে দূরে থাকুন - এই লেখাটা দেখেন নি পেছনে?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কোট দিতে গেলে প্রায় সব লাইনই তুলে দিতে হবে। তবে এই একটা না দিয়েই পারলাম না,
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ লাগলো, খুবই সুন্দর লেখা । ঢাকার পথে দিনের বেলায় যেমন এখন আর ট্রাকের দাপট নেই তেমনিভাবে হয়তো দুনিয়াজুড়ে মার্কিনিদের দাপটও একদিন শেষ হয়ে যাবে ।
তখন হয়তো অন্যকোনো ট্রাক আসবে রাস্তায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব খুব ভালো লাগলো একটা থিম ধরে শেষে এসে অপেক্ষায় দাড় করিয়ে রাখা, পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ তানিম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি কখনও ট্রাকে উঠিনি,এখন ত ট্রাকে উঠতে ইচ্ছা করছে, অনেক মজা পেলাম লেখাটা পড়ে
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগল । ট্রাকের সাথে তুলনাটা চমতকার হয়েছে।
ধন্যবাদ উদাস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ট্রাক খুব খারাপ
ট্রাক আসলে ট্রাকের মতো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একে বারে খাটি কথা-
"ইরাক যুদ্ধের সময় এই দেশের কিছু লোক এর বিরোধিতা করেছিলেন - কিন্তু মেজরটি এর পক্ষে ছিলেন - ডেমোক্র্যাট, রিপাব্লিকান, গোঁড়া, লিবারেল নির্বিশেষে।"
শুধু শুধু বুশ সাহেবকে দোষ দিয়ে লাভ কি?
ক্যাসিও বাবর থোড়া জেল বাবর উপরে স্পাইক বাবর এখন জেলে গাইছে, "মা, আমি বন্দি কারাগারে.."।
ধন্যবাদ।
এম আব্দুল্লাহ
ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ। বাবর কি এখনো জেলে নাকি? আমি তো ভেবেছিলাম জামিন টামিন নিয়ে বের হয়ে এসেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
How to write in bangla ?? i cant find any option
জানালা - মন্তব্যের ঘরের উপরে অনেকগুলো আইকন দেখবেন। ওখানে "অ" এর ছবিওয়ালা একটা আইকন পাবেন - ওটাতে ক্লিক করলে বাংলা লিখতে পারবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ পর্যবেক্ষণ তাসনিম ভাই, ট্রাকের উপরে চড়ে বসতে হবে, ঠিকি তো!!! শৈশবে আম্মু বলতো ট্র্যাক হল সাক্ষাৎ আজরাইল, তখন ঢাকার রাস্তায় মহারাজের অবাধ বিচরণ ছিল, আম্মুর সতর্কতাটাও বেশি ছিল আমাদের নিয়ে!!! বহুদিন হয়েছে ঢাকায় দিনের বেলায় এই দানবের দেখা পেতে হয় না, তবে হাইওয়েতে গেলেই আবার এরা অতি পরিচিত রূপে হাজির!!! এটা উল্টে ফেলছে, সেটা পিষে ফেলছে................
এদের গ্রীবায়চড়ে যদি একটু নিয়ন্ত্রণ করার উপায় থাকতো তবে আরো ভালো হত, তাহলে হয়তো কয়েকটা নিরীহ রিকশা-ভ্যান বাঁচানো যেত!!!!
___________________________
Ode to the West Wind (Shelley)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এখনো কি দিনের বেলায় ঢাকা শহরে ট্রাক চলা বন্ধ?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শুভেচ্ছা নিন।
জ্বি ভাইয়া, দিনে বন্ধ, তবে রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত তাহারা আবার সদর্পে রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করে............
"নিউট্রন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না "
লেখায়
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতই ভালো হয়েছে....
ধন্যবাদ ধৈবত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই একটা লেখা পড়ে দিনটা ভালো হয়ে গেলো।
আপনি অসাধারণ লেখেন তাসনিম ভাই।
হ্যাটস অফ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ধন্যবাদ সুরঞ্জনা
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পথে নামতে হলে ট্রাক হওয়াই তো ভাল তবে স্যাম ট্রাকের ভেতরে সবার সমান সুযোগ এটা মানতে হবে।
-ঘ্যাচাং-
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লাগলো
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ পাঠিকা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অতুলনীয় তুলনা
নতুন মন্তব্য করুন