এসো নিজে করি ১০ - কিভাবে নরম মানুষ হবেন / How to be a moderate monkey (দ্বিতীয় পর্ব)

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ০৩/০৭/২০১৩ - ১০:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত পর্বে নরম স্বামী আর নরম সাহিত্যিক হওয়ার কায়দা শিখিয়েছি। বেশী কথা না বলে এই পর্বে নরম মুসলমান, নরম মানবতাবাদী, আর নরম দল হবার কায়দা শিখিয়ে কোর্স কমপ্লিট করি।

কিভাবে নরম মুসলমান হবেন How to be a moderate muslim

আমি আপনি আমরা শিক্ষিত সবাই প্রায় নরম মুসলমান। উগ্রতা নরম মুসলমানের পছন্দ নয়। এইসব উগ্রতা যারা করে তারা ধর্মকে ঠিক মত জানেনা। এদের দিয়ে ধর্মকে যাচাই করা ঠিক নয়। আপনার চোখের সামনে এসব হলে আপনি, না না দুষ্টামি করে না বলে মাথা ঝাঁকায়ে নামাজ পড়তে চলে যাবেন। ব্লগার রাজিবকে আমিও জবাই করি নাই, আপনিও না। জবাই এর খবর শুনে সামান্য শিউরে উঠেছি কিন্তু তার চেয়ে বেশী শিউরে উঠেছি ছোকরা কিসব লিখত সেগুলো পড়ে। সুতরাং শিউরে উঠা, শিউরে উঠায় কাটাকাটি হয়ে আমরা আবার নিরপেক্ষ হয়ে গেছি। জনৈক কবি বলেছেন, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে ইত্যাদি ইত্যাদি। হিন্দু কবির কথায় অত গুরুত্ব দেবার কিছু নেই।

মূল কথা হচ্ছে ছোট ছেলেকে আদর করুন। কে না জানে ইসলাম সবচেয়ে নতুন ধর্ম। বাড়ীর ছোট ছেলে, আদরের শিশু। সুতরাং একটু বেখেয়াল হলেই ছোট বাবুটা পড়ে গিয়ে অনেক ব্যথা পেতে পারে। এজন্য বাবুটাকে সামলানোর জন্য জামাত, হেফাজত ইত্যাদি নানা বেবিসিটারের প্রয়োজন। হিন্দু সনাতন ধর্ম , বুড়া ভাম, ঝুনা নারকেল। সুতরাং পড়ে গেলে ব্যথা পাবেনা, পেলেও কিছু আসে যায়না। বৌদ্ধ বেশি পাতলা ধর্ম। সাত দিনের বাসি পেপসির মত, কোন ঝাঁজ টাজ নাই, কোন চেত ভেত নাই। সুতরাং একেও একটু রগড়ে দিতে পারেন। কিছু বলবেনা কেউ। তবে অবশ্যই মাস্তানি যা করার নিজ এলাকায় থেকে করবেন। আবার বেশি ঈমানী জোসে বার্মা গিয়ে মাস্তানি করবেন না। প্যাঁদানি খাবেন। খেরেস্তানদের সাথে বেশি ফাজলামি না করাই ভালো। বড় আব্বা আমেরিকা কিন্তু ওয়াচিং।

মনে রাখবেন আপনার মা মা, অন্য সবার মা খালা। অন্য লোকের মা তার জন্য মা হতে পারে। কিন্তু আপনার কি আসে যায়। আপনার বড়জোর দূরসম্পর্কের খালা হতে পারে সে। সুতরাং নিজ ধর্মের অবমাননা অবমাননা মানে মায়ের অবমাননা, আর অন্য ধর্মের অবমাননা মানে খালার অবমাননা। মায়ের জন্য জীবন দেয়া যায়, নেয়াও যায়। দূরসম্পর্কের খালার জন্য বড়োজোর একটু আহা উহু করা যায়।

উগ্র লোকের ধর্মানুভূতি আর যৌনানুভূতির মধ্যে ব্যাপক মিল। দুইটাই আচমকা হটাত হটাত দাঁড়িয়ে যায়। নরম লোকেরা দুটিকেই চেপেচুপে রাখে। অসভ্যরা বাগিয়ে ঘুরে। আমাদের পাড়ায় একবার বিশাল হৈচৈ। এক বিশিষ্ট ভদ্রলোক বাসার কাজের মেয়েটির সাথে অকাজ করে ফেলেছেন। চশমা পরা, নামাজ পড়া, অফিস করা নিপাট ভদ্রলোক। কিন্তু ঐযে বললাম হটাত হয়তো দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো। প্রথমে পাড়ার সবাই খানিক ছিছি করলেও পরে দোষটা কাজের মেয়ের ঘাড়েই পড়ল। ঠিকমত ওড়না পড়েনা, সারাদিন খিলখিল করে হাসে, আজ হোক কাল হোক এমন তো একটা কিছু ঘটতোই। একইভাবে ধর্মানুভূতি হটাত দাঁড়িয়ে গেলে খোলা তরবারি নিয়ে বের হয়ে বেশ জবাই টবাই করে ফেলে লোকে। পাড়ার লোকে একটু ছি ছি করে বটে তবে সেইসাথে এই বলেও সহানুভূতি দেয় আহা এমন করে সুড়সুড়ি দিলে মানুষের তো একটু আধটু উত্তেজনা হতেই পারে।

ক্লাস এইটে থাকতে আমারও একবার এরকম হটাত দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো। আরে না না, ছি ছি,যৌনানুভূতি না, ধর্মানুভূতি। আমাদের ক্লাসের বড় পীর আব্দুল মতিনের মুরিদ হয়ে গেলাম। অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে, হটাত করে হুজুর হলে দুটি জিনিস অসহ্য লাগে রসিকতা আর ধর্ম না মানা লোকজন। কেউ একটু জোরে হাসলে আমার অসহ্য লাগত সেইসময়। মনে হত অন্যায় করছে কোন। সত্যিকারের ধার্মিকের সাথে রসিকতার কোন বিরোধ নেই বোধকরি। একবার এক মসজিদে সেইরকম এক ইমাম পেয়েছিলাম। ভদ্রলোক রীতিমতো স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান। খুৎবা দিতে দাঁড়িয়ে দারুণ কিছু রসিকতা করে ফেললেন। বাসায় বউ তাকে কিভাবে দৌড়ের উপর রাখে এ নিয়ে দারুণ কিছু রসিকতা করে ফেললেন। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে বেশীরভাগ ধার্মিকই বোধকরি গোমড়ামুখো ও খিটখিটে মেজাজের। আর সেকারণেই ধর্মের সাথে রসিকতার সম্পর্ক বৈরি। সুতরাং ধর্ম নিয়ে কোনরকম রসিকতা নয়, কোন সুড়সুড়ি দেয়া নয়। উত্তেজনায় রেপ টেপ করে ফেললে রেহায় পেয়ে যেতে পারেন এদেশে, কিন্তু রসিকতা করে রেহাই পাওয়া অসম্ভব।

কেউ কেউ বলতে পারে, ধর্মের অবমাননা নাস্তিক দিয়ে হয় না। এক ধর্মের অবমাননা হয় অন্য ধর্ম দিয়ে। আমি এখন পর্যন্ত কোন নাস্তিক এর মুখে শালা মালাউন গালি শুনি নাই, আমার আশেপাশের অনেক ধার্মিক লোকের থেকে শুনেছি। হারামজাদা মাল্লু আর কাল্লুদের জ্বালায় এই দেশে শান্তি পেলাম না (এই দেশ মানে বাংলাদেশ না, আমেরিকা) বলে নামাজ এর ওয়াক্ত পার হয়ে যাচ্ছে দৌড় দিতে দেখেছি লোকেদের। কোন নাস্তিককে মসজিদে আগুন দিতে দেখি নাই, আস্তিককে দেখেছি। কোন নাস্তিককে বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙ্গতে দেখি নাই, মন্দির পুড়াতে দেখি নাই। আস্তিককে দেখেছি। কোন নাস্তিককে ধর্মগ্রন্থ পুড়াতে দেখিনি, আস্তিককে দেখেছি।

তবে আপনি নরম মুসলমান হলে এইখানে এসে একটা কঠিন লজিক্যাল প্যাঁচ খেলতে পারেন। যেসব লোকে এসব অকাজ করছে তারা আসল(!) ধার্মিক নয়। যেই মুহূর্তে তারা অকাজ করলো সেই মুহূর্ত থেকে তারা নাস্তিক। সুতরাং সব দোষ নাস্তিকের।

যাইহোক, অত বেশী জ্ঞান না দিয়ে নরম মুসলমান হবার মূল কায়দাটা বলি। আমরা আইডিয়াল স্কুলে থাকতে এই কায়দা অনুসরণ করতাম। টুপি পরা বাধ্যতামূলক ছিল। আবার স্কুল থেকে বে হয়ে যেই কলোনির ভেতর দিয়ে বাসায় যেতাম সেখানে একটা গার্লস স্কুল ছিল। টুপি পরে ওখান দিয়ে গেলে মেয়েরা খি খি করতো। মান ইজ্জত এর ব্যাপার। আবার অন্যদিকে এমনকি স্কুলে আসার পথে বা ফেরার সময় যদি টুপি মাথায় না থাকার অপরাধে শিক্ষকের প্যাঁদানি খেত অনেকে। একদিকে মাইরের ভয়, অন্যদিকে ইজ্জত। আমরা তাই দ্রুত টুপি পরা ও খোলায় এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছিলাম। দূর থেকে স্কুলের কোন শিক্ষক মহোদয়কে দেখলে টুপি মাথায়, নাইলে পকেটে।

ব্লগার রাজীবকে কুপিয়ে কয়েক টুকরা করার পর দেখলাম অনেক বাঘা বাঘা প্রগতিশীল লোকেরা আস্তে করে পকেটের টুপিটা বের করে মাথায় পরে নিলো।

পরিশেষে তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি মনে রাখবেন, বেকুব এবং গোঁয়ার মুসলমান টুপি মাথায় পরে। চালাক আর নরম মুসলমান পকেটে রাখে। শুধুমাত্র যখন দরকার হয় ফট করে বের করে মাথায় পরে ফেলে। আবার পরক্ষণেই খুলে ফেলে। টু ইন ওয়ান। মাথাও বাঁচল, টুপিও বাঁচল। জানও বাঁচল, ইজ্জতও বাঁচল। ইহকালও বাঁচল, পরকালও বাঁচল।

কিভাবে নরম দল হবেন / How to be a monsoon party

আগের ত্যানা প্যাঁচানো টিউটোরিয়ালে লিখেছিলাম - আমার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা সিন্ড্রোমের কথা। এখন আর কষ্ট করে আপনার আব্বাকে টেনে মুক্তিযুদ্ধে নামাতে হবেনা। এখন আপনি নিজেই মাঠে নামতে পারেন। উল্টাপাল্টা বলে বা লিখে ধরা খেলে কথা শুরু করবেন, জানেন আমি দিন রাত এক করে শাহবাগে পরে থাকতাম। কত কষ্ট করেছি শাহবাগের জন্য কিন্তু শাহবাগ দুষ্টুটা আমাকে আমাকে কিচ্ছু দেয় নাই। "মনে রেখ আমিও ছিলাম" এর প্রমাণ হাজির করতে আপনি নিশ্চয়ই প্রথম দিকে গিয়েই মাথায় ফাঁসি চাই ফেট্টি বেঁধে ছবি তুলে রেখেছেন। যত্ন করে রেখে দিন ওই ছবি, যদি কোনদিন শাহবাগ সত্যি সত্যি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হয়ে যায় সেইদিন ওই ছবি হবে আপনার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট। আর শাহবাগ যদি মুখ থুবড়ে পরে তখন সেই ছবি ডাস্টবিনে ফেলে ক্যালাতে ক্যালাতে বলবেন, আমি তো আগেই বলেছিলুম ... ইত্যাদি।

কিছু কমন ডায়লগ মনে রাখুন, কোমল দল হবার জন্য সময় সুযোগমত এগুলো ঝেড়ে দিন।

I hate politics, I only love people.
আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
যেকোনো ধরনের উগ্রপন্থার ঘোর বিরোধী আমি - আস্তিক এর উগ্রপন্থা আর নাস্তিক এর উগ্রপন্থা
যেকোনো ধরণের হত্যার বিরোধী আমি - ৭১ এ গণহত্যা আর ২০১৩ তে হেফাজতকে গণহত্যা
হেফাজতি আর শাহাবাগি দুইটাই আমার অপছন্দ
আমি চেতনার ব্যবসায়ী আর ধর্মের ব্যবসায়ী দুটোকেই ঘৃণা করি

কোন মহামনিষী যেন বলেছিল, শান্তিকামি মানে যে শান্তির সাথে কামলীলা করতে চায়। নিরপেক্ষ মানে যে নীরবে বসে অপেক্ষা করে, সঠিক সময় ও সুযোগের। সুতরাং আপনিও নরম দল হয়ে I hate Awami/BNP/Jamat , আল আর রাজাকারস বলে শান্তির সাথে কামলীলা করতে থাকুন। আর সেই সাথে সঠিক সময় ও সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন। সবশেষে "কতিপয় দুষ্কৃতিকারী" শব্দটা ভালো করে মনে রাখুন ও প্রয়োগ করুন। কোনদলকে না ক্ষ্যাপিয়ে যে কোন অন্যায়ের জন্য দায়ী করুন "কতিপয় দুষ্কৃতিকারী" দেরকে।

মানুষ হবার জন্য মানবতা দরকার। নরম দলের মানুষের মানবতাবোধ মধ্যবয়েসি বিবাহিত পুরুষের যৌনতাবোধের মতই। নিজের বউকে দেখলে পিলিং আসে না পাশের বাড়ির কাজের বুয়াকে দেখলে উত্তেজনায় দাঁড়িয়ে পড়ে। হতেই পারে। কার কখন কিসে পিলিং আসে সেটা কি আগে থেকে বলা সম্ভব। এজন্য নরম মানবতাবাদী হতে হলে আপনাকে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার দেখলে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। আবার অন্যদিকে রামুতে বা সাতক্ষীরায় দুই চারটা হিন্দু বৌদ্ধ প্যাঁদানি খেলে বসে থাকতে হবে। আপনি তো আর রোকো সফ্রেদি না রন জেরেমি বা প্যান্থারের আসল পুরুষ না। সবসময় কি আর দাঁড়িয়ে থাকা যায়? কিছুদিন আগে কথা হচ্ছিল জনৈক নরম বা মৌসুমি মানবতাবাদীর সাথে। ভদ্রলোক ভয়ানক ক্ষিপ্ত দেশের এরকম নাজুক পরিস্থিতিতে। তিনি শান্তি চান। মানুষের কল্যাণ চান। বেশ সুন্দর সুন্দর কথা বলে তারপর যখন বললেন গত পাঁচই মে এর গণহত্যা ৭১ এর পঁচিশে মার্চকে ছাড়িয়ে গেছে তখন আমার হিক্কা উঠলো।

সে যাই হোক, কিভাবে মানবতা দেখাবেন সেটার একটু ডেমো দেখিয়ে বিদায় নেই। খুবই সহজ ব্যাপার। যেকোনো মৃত্যুকে আপনার সুবিধা অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করবেন। প্রথম ভাগের নাম, ইন্নালিল্লাহ। দ্বিতীয় ভাগের নাম, মার ডালা। উদাহরণ দেই। ব্লগার রাজীব মারা গেছে, বুয়েটের দীপ মারা গেছে। গম্ভীর মুখে বলুন, ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন। আল্লাহ এদের গুনাগাতা মাফ করে জান্নাত নসীব করুন। ব্যাস এরপর মুখে তালা। কেন মরল, কিভাবে মরল, কে কোপ দিল এইগুলা নিয়ে কেউ ত্যানা প্যাঁচাতে আসলে বলবেন, রাজনীতির সাথে পলিটিক্স মেশাবেন না দয়া করে। এবারে যাই দ্বিতীয় গ্রুপে। সাগর-রুনি মারা গেল। বিশ্বজিৎ মারা গেল। কি করবেন? মাটিতে আছড়ে পড়ুন। এরপর প্রথমে ডান পা আকাশে তুলে সজোরে মাটিতে ঠুকুন, মিলিটারি প্যারেড স্টাইলে। এরপর দুই হাত মাটিতে ফেলে মাথা নামিয়ে ক্রল করে সামনে আসুন। কেঁদে বলুন, মার ডালা, ও ও ও মার ডালা। এরপরে ডান হাত পেছনে নিয়ে পুরা বডি একটু মুচড়িয়ে এসে আবার সামনে আছড়ে পড়ুন। ক্রল করে একটু এগিয়ে আবার কেঁদে বলুন, মার ডালা, ও ও ও মার ডালা। জটিল মনে হচ্ছে? এইযে দেখুন এইভাবে মাধুরীর মতো করে।

খেয়াল রাখবেন, ঠিক মতো দিনের পর দিন মার ডালা সঙ্গীত গাইতে পারলে আপনার পছন্দের কয়েক লাখ মৃত্যুকে আপনি আপনার অপছন্দের একটি মৃত্যু দিয়ে ঢেকে দিতে পারবেন।

শেষকথা

মাঝে মাঝেই মনে হয় এই দুনিয়ার যত ভেজাল যত গ্যাঞ্জাম তা চরম বদমাইশ কিছু লোকের কারণে না, সবকিছুর মূলেই বরং এই মডারেট মাঙ্কিরা। এদের কানের কাছে যদি দিনরাতও ৭১ এর গল্প শোনানো হয়, এদের উত্তেজনা জাগে না। ক্ষেপে গিয়ে যদি কাউকে অন্ধ আক্রোশে পাকিস্তানী বেজন্মা শুয়োর বলি, এরা নড়েচড়ে বসে। ব্লগে, ফেসবুকে তরুণ সমাজের গালিগালাজের কারণে সমাজ রসাতলে যাচ্ছে বলে ছি ছি করে। যেই পাগলী বীরাঙ্গনা জানেনা বীরাঙ্গনা মানে কি, এমনকি জানেনা স্বাধীনতা মানে কি তার কাহিনী পড়ে আমার চোখে জল আসে না অন্ধ আক্রোশে মুখ দিয়ে অশ্রাব্য গালি আসে। দুকূল রক্ষা করে লিখে যাওয়া কলম বেশ্যাদের কলাম পড়ে আমার মুখে অশ্রাব্য গালি আসে। গালি দিলে নরম মানুষেরা আঁতকে উঠে বলে, এই ব্লগ ফেসবুকিয় নতুন প্রজন্ম কিছু পারেনা, পারে খালি মুখ খারাপ করতে আর নেতিবাচক কথা বলতে, সমালোচনা করতে। শুয়োরের দল এসির বাতাস খেতে খেতে দেশ রসাতলে যাচ্ছে ছ্যা ছ্যা করতে করতে কফির কাপে চুমুক দেয় আর আফসোস করে আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম বলে। উপস, গালি দিয়ে ফেললাম বুঝি। ভুলে যান, ভুলে যান। আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা মিলে মিশে এক হই, আলোর পথে যাই, সৌন্দর্যের চর্চা করি। আসুন আমরা নরম মানুষ হই। আমাদের কাছে এই দুনিয়ার সকলই ভালো। আসুন সকল ভালো মিলেমিশে এক হই। বরং সুকুমার রায়কে দিয়েই এই লেখা শেষ করি।

দাদা গো! দেখ্ছি ভেবে অনেক দূর
এই দুনিয়ার সকল ভাল,
আসল ভাল নকল ভাল,
সস্তা ভাল দামীও ভাল,
তুমিও ভাল আমিও ভাল,
হেথায় গানের ছন্দ ভাল,
হেথায় ফুলের গন্ধ ভাল,
মেঘ-মাখানো আকাশ ভাল,
ঢেউ- জাগানো বাতাস ভাল,
গ্রীষ্ম ভাল বর্ষা ভাল,
ময়লা ভাল ফরসা ভাল,
পোলাও ভাল কোর্মা ভাল,
মাছপটোলের দোলমা ভাল,
কাঁচাও ভাল পাকাও ভাল,
সোজাও ভাল বাঁকাও ভাল,
কাঁসিও ভাল ঢাকও ভাল,
টিকিও ভাল টাক্ও ভাল,
ঠেলার গাড়ী ঠেলতে ভাল,
খাস্তা লুচি বেলতে ভাল,
গিট্কিরি গান শুনতে ভাল,
শিমুল তুলো ধুনতে ভাল,
ঠান্ডা জলে নাইতে ভাল।
কিন্তু সবার চাইতে ভাল-
পাঁউরুটি আর ঝোলা গুড়।


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

আমার মার ডালা নৃত্য লেখায় ঠিকভাবে আসছে না বলে এইখানে দিলাম ...

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সত্যপীর এর ছবি

উদাস অন ফায়াঢ় গুল্লি

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

মার ডালাআআআআআ

চরম উদাস এর ছবি

মার ডালাআআআআআ ... মার ডালাআআআআআ

অন্যকেউ এর ছবি

গা চিড়বিড় করে জ্বলে মডারেট দেখলে। শান্তিকামী মডারেটদের পেছনফুটোর ভেতরপানে গুল্লি

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

চরম উদাস এর ছবি

হ, আমারও

কল্যাণ এর ছবি

চলুক গুল্লি কোলাকুলি ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস এর ছবি

আপনাকে জীবিত দেখে ভালো লাগতেছে দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

ধর্মের অবমাননা নাস্তিক দিয়ে হয় না। এক ধর্মের অবমাননা হয় অন্য ধর্ম দিয়ে। আমি এখন পর্যন্ত কোন নাস্তিক এর মুখে শালা মালাউন গালি শুনি নাই, আমার আশেপাশের অনেক ধার্মিক লোকের থেকে শুনেছি। হারামজাদা মাল্লু আর কাল্লুদের জ্বালায় এই দেশে শান্তি পেলাম না (এই দেশ মানে বাংলাদেশ না, আমেরিকা) বলে নামাজ এর ওয়াক্ত পার হয়ে যাচ্ছে দৌড় দিতে দেখেছি লোকেদের। কোন নাস্তিককে মসজিদে আগুন দিতে দেখি নাই, আস্তিককে দেখেছি। কোন নাস্তিককে বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙ্গতে দেখি নাই, মন্দির পুড়াতে দেখি নাই। আস্তিককে দেখেছি। কোন নাস্তিককে কোরআন ধর্মগ্রন্থ পুড়াতে দেখিনি, আস্তিককে দেখেছি। উত্তম জাঝা!

চরম উদাস এর ছবি

ব্রাজিলের গুপন ছবি কই??

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

গুল্লি গুল্লি

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শমশের এর ছবি

চরম উদাস রকস
গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

চাল্লু

দ্রোহী এর ছবি

নিরীহ মানুষ  এর ছবি

বিশ্ব ভালবাসা দিবসের কোন অনুষ্ঠান নাকি

নিরীহ মানুষ  এর ছবি

কিভাবে সম্ভব !

সাব্বির রহমান  এর ছবি

দেঁতো হাসি হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

কি কাণ্ড!! চাচামিয়াও দেখি তালি দেয় আমার লেখায়, কিন্তু উনি কি নরম মানুষ?? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উদাসীয় ভাষায় মনে কথা।

চরম উদাস এর ছবি

রণদীপম বসু এর ছবি

ওরে ওরে ! মার ডালা রে মার ডালা---! করছে কী !!

চলুক অভিনন্দন !!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু থিঙ্কু

তাপস শর্মা এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সহৃদয় এর ছবি

আমার চারপাশে খালি মডারেট আর মডারেট......গাছেরটাও খায় তলারটাও কুঁড়োয়।

চরম উদাস এর ছবি

হ, আমারও

লোকালয় এর ছবি

দারুন! ধন‌্যবাদ।

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

আরিফুর রহমান এর ছবি

নামটাই মডারেট, কাজে তো চরম বদ।

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই

সৈকত  এর ছবি

চরম হৈছে! একদম চরম!

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

বিলাস এর ছবি

অসাধারণ। গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রিয়াজ এর ছবি

শেষকথার প্রথম লাইনটা একটু অন্যভাবে বিজ্ঞানগুরু-ও বলেছিলেন।
http://sahajapower.files.wordpress.com/2010/10/albert-einstein.jpg[/img]

হাসি-ও আসে,আবার ভয়-ও হয় মানুষের এই রূপ দেখে।সত্য হচ্ছে সত্য,কিন্তু তা কি নির্মম!!
আপনাকে স্যালুট,ভাই,এমন একটা সিরিজের জন্য।

চরম উদাস এর ছবি

The world will not be destroyed by those who do evil, but by those who watch them without doing anything - উস্তাদ নমস্য

greendevil এর ছবি

ভয়ংকর সইতত !!

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম লেখা, বরাবরের মতই। বাঙ্গালী মডারেট মোছল্মান তালেবদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট বাদ পড়ে গেছে মনে করি --

ফার্স্ট ইয়ার (জিপিএ ৩.৭): "রাজনীতি? রাজনীতি করে খারাপ পোলাপানরা, আমি ঐসবে নাই", শালা আমার ক্লাসনোট কবে দিবি?

সেকেন্ড ইয়ার (জিপিএ ৩.৮): মুখে ফিনফিনে দাড়ি, "আজকে বাদ মাগরিব গাস্ত হবে, চলেন ভাই যাই -- এইসব দুনিয়ার পিছে ছুটে কি হবে? সিরাতুম-মুস্তাকিম থেকে যত দূরে যাবেন ততো অশান্তি"

থার্ড ইয়ার (জিপিএ ৩.৯৫): মাথায় টুপি, পরনে সফেদ জোব্বা, একমূঠো সুন্নতী দাড়ি। "আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ইসরাইল আর আমেরিকা কে লানত দিক, এদের হিদায়েত দ্যাও কিংবা ধ্বংস করে দ্যাও", "টুইন টাওয়ার ভাংসে ঠিক হইছে, জাহেলীর একটা সীমা আছে, এরা সীমালঙ্ঘনকারী", "আমেরিকা হইল দাররুল-কুফফার, মানে কাফির সাম্রাজ্য"

ফোর্থ ইয়ার(জিপিএ ৩.৯৯৯): প্রভাষক পদের গ্রীন সিগনাল এবং মেইলে এক আমেরিকান ইয়াহুদি প্রফেসরের আশীর্বাদ পাওয়ার পর -- নফল সহযোগে তাহাজ্জুদের কম্বো (ঐদিকে রেগুলার "বাদ-মাগরিব-গাস্ত"তো আছেই)। জানা গেল তাকে নাকি মাঝে মধ্যে হাতে "ব্যারন'স জি.আর.ই." বই নিয়ে এইদিক ঐদিক ইতিউতি করতে দেখা যায়।

ভিসা ইন্টারভিউ এর আগেঃ ইতিমধ্যে একজন প্রভাষক, আর ঐ ইয়াহুদী প্রফেসরের সাথে মেইলে কুলাকুলি-মোসাহাফা। ৪০+৪০ = ৮০ দিনের ডবল চিল্লা, ইজতেমায় কান্নাকাটি -- অশ্রুসিক্ত দাড়ি। পরে জানা গেল সেই প্রফেসর নাকি একজন সমকামী, ল্যাও ঠেলা।

ফ্লাইটের ৭ দিন আগেঃ ফ্রেঞ্চকাট/ গাল জুড়ে হমোজিনিয়াস ২.৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের কার্পেট সদৃশ্য দাড়ি। "হাদিসে আছে, ইল্ম অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যাইতে হবে। আর ম্যারিকানরা চীনাদের মত সাপ-ব্যাং খায় না, ওখানে মিডল ইস্টে/আরব জাহানের অনেক মুসলিম/মুসলিমারা আছেন। আমি যেইখানে থাকব, কাছের মসজিদ মাত্র ১৫ মিনিটের ওয়াকিং ডিস্টেন্স, শুনেছি ওইখানে নাকি মিডল ইস্টের মুসলিমারাও মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়েন, সুবহানাল্লাহ"।

পূনশ্চঃ শুধু তালেবান না, জাসদ/সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের পোলাপানদের ভিতরেও একই জিনিস দেখেছি, তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন বিধায় তাদের ডায়ালগ আর আচরণ ভিন্ন, কিন্তু মূল সুর একই। শুধুমাত্র তালেবানদেরকে খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছি বলে বলতে পারলাম।

mamun এর ছবি

৩৯। মন্তব্য ভাল লাগল।

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

আলতাইর এর ছবি

মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। আমার মনে আছে, ছোটবেলায় বিশাল একটা গ্যাং ছিলো আমাদের। ওইখানে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ সবাই ছিলো। ঈদ-দুর্গাপূজা-লক্ষ্মীপূজায় সবাই মিলে পটকা ফাটানো হতো, সবার বাসা থেকে অন্য বাসায় ফিরনি-পায়েস-সন্দেশ বিনিময় হতো। তখন তো কারো অনুভুতিতে আঘাত আসে নাই... নাকি খাওনের টাইমে অনুভুতি'র কথা খেয়াল থাকে না ?? চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

আলতাইর এর ছবি

কাঁচকলা দ্যাখাচ্চেন? রেগে টং রেগে টং

চরম উদাস এর ছবি

নাহ, পক্ক কলা

সাব্বির রহমান  এর ছবি

হাততালি গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাসনীম এর ছবি

গুরু গুরু

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

স্যাম এর ছবি

গুরু গুরু
গুরু গুরু
গুরু গুরু
অঅঅঅসাধারণ

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

কৌস্তুভ এর ছবি

নাহ এইটা উদাসীয় হয়নি ঠিকমত। বেড়ানোর সঙ্গীর চার্ট বা স্ত্রীর প্রশ্নের প্রকারভেদ এসব উপাদেয় কিছু সৃষ্টিশীল সংযোজন না থাকলে কি চলে? অনেক সিরিয়াস হয়ে গেছে।

চরম উদাস এর ছবি

আগের আর এই পর্ব মিলে আসলে লেখাটা একটা লেখাই ছিল। তাই আগের ভাগে সব চিনি পড়ে এই ভাগে লঙ্কা একটু বেশি পড়ে গেছে খাইছে

শুভায়ন এর ছবি

মন খারাপ

তাও উত্তম জাঝা! হয়েছে

অতিথি লেখক এর ছবি

গুল্লি

কিছুই কওয়ার নাই!!!

----------------
সুবোধ অবোধ
---------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এক্কেরে আপনে মারডালা ।

চরম উদাস এর ছবি

নিটোল এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

_________________
[খোমাখাতা]

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

হুমায়ুন কবির এর ছবি

গুরু গুরু
গুরু গুরু
অসাধারণ লেখা,হ্যাটস অফ।ভাগ্যিস এই মডারেট মাঙ্কিরা ৫২,৬৯ আর একাত্তুরে ছিলোনা।

চরম উদাস এর ছবি

থাকলেও এত বেশী ছিলনা

হুঁকো মুখো হ্যাংলা এর ছবি

যাইহোক, অত বেশী জ্ঞান না দিয়ে নরম মুসলমান হবার মূল কায়দাটা বলি। আমরা আইডিয়াল স্কুলে থাকতে এই কায়দা অনুসরণ করতাম। টুপি পরা বাধ্যতামূলক ছিল। আবার স্কুল থেকে বে হয়ে যেই কলোনির ভেতর দিয়ে বাসায় যেতাম সেখানে একটা গার্লস স্কুল ছিল। টুপি পরে ওখান দিয়ে গেলে মেয়েরা খি খি করতো। মান ইজ্জত এর ব্যাপার। আবার অন্যদিকে এমনকি স্কুলে আসার পথে বা ফেরার সময় যদি টুপি মাথায় না থাকার অপরাধে শিক্ষকের প্যাঁদানি খেত অনেকে। একদিকে মাইরের ভয়, অন্যদিকে ইজ্জত। আমরা তাই দ্রুত টুপি পরা ও খোলায় এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছিলাম। দূর থেকে স্কুলের কোন শিক্ষক মহোদয়কে দেখলে টুপি মাথায়, নাইলে পকেটে।

ব্লগার রাজীবকে কুপিয়ে কয়েক টুকরা করার পর দেখলাম অনেক বাঘা বাঘা প্রগতিশীল লোকেরা আস্তে করে পকেটের টুপিটা বের করে মাথায় পরে নিলো।

পরিশেষে তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি মনে রাখবেন, বেকুব এবং গোঁয়ার মুসলমান টুপি মাথায় পরে। চালাক আর নরম মুসলমান পকেটে রাখে। শুধুমাত্র যখন দরকার হয় ফট করে বের করে মাথায় পরে ফেলে। আবার পরক্ষণেই খুলে ফেলে। টু ইন ওয়ান। মাথাও বাঁচল, টুপিও বাঁচল। জানও বাঁচল, ইজ্জতও বাঁচল। ইহকালও বাঁচল, পরকালও বাঁচল।

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আয়নামতি এর ছবি

ধুরো মজারু সাহিত্যমানের কিছু পাবো বলে পড়তে এলাম, কিসব সিরিয়াস কথাবার্তা রেগে টং রাজনীতির সাথে পলিটিক্স মিশায়ে ছেড়াবেড়া এক্কেবারে! ওসব নিয়ে ভাববার অনেকেই আছে। আম্রা বরং কিভাবে সাহিত্য লেখায় হাত পাকানো যায়। সচলের গলায় চিপা দিয়ে কেম্নে টেটাটুকা আদায় করা যায় সেসবে মন দেই। আই হেইট পলিটিক্স রে শয়তানী হাসি তবুও বুকা মেয়েটা কী বলতেছে দেখেন চিন্তিত
http://www.youtube.com/watch?v=x-ikHG3uS1M

চরম উদাস এর ছবি

হ , আই আলসো হেট ডুয়িং পলিটিক্স উইথ রাজনীতি খাইছে

কড়িকাঠুরে  এর ছবি

গুরু গুরু ... আমনে নমস্যঃ

এই মডারেট *##*@@ গুলারেই চারপাশে বেশি দেখি... স্কুল কলেজে একসাথে পড়া পোলাপানই হোক আর ছোট বড় ভাই টাই হোক। পাড়া-প্রতিবেশি অমুক-তমুক এখানে-সেখানে পথে-ঘাটে, কী করমু আর "নিরপেক্ষ"রে একটা গালি হিসেবেই ব্যবহার করি।

চরম উদাস এর ছবি

নিরপেক্ষ মানে নীরবে অপেক্ষ হাসি

ক্ষুদ্র সত্তা এর ছবি

এক্কেরে ফাডায়ালাইছেন। কোপা শামসু চলুক গুল্লি
মমিনরা দাড়ায়া পড়ছে, মানে সিজদায় আর কি! কস্কি মমিন!

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মরুদ্যান এর ছবি

গুল্লি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তুলিরেখা এর ছবি

চারিদিকে মডারেট মাংকি(কোনোকোনোটা আবার এককাঠি বাড়া, হাওয়ামোরগের মত, সুবিধা বুঝে একবার লাফায় ডাইনে, আবার একটু পরেই হাওয়া ঘুরে গেলে লাফায় বাঁয়ে) দেখতে দেখতে তিতিবিরক্ত, এখন আপনার লেখা পড়ে হেসে বাঁচলাম। হো হো হো

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

মেঘা এর ছবি

চলুক উত্তম জাঝা!

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ইসমাইল এর ছবি

শুধু পাঠক হয়ে থাকা আর সম্ভব হল না, অসাধারণ লেখা।

টুপি-কাহিনী আমাকে চট্টগ্রামের মুসলিম হাইস্কুলে পড়ার সময়কালের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে।

সুপারমার্কেটে হালাল মাংস কেন নাই, এই ইস্যুতে দু:খে চোখে পানি এনে ম্যাকডোনাল্ডে গিয়ে নাস্তা করা পাবলিক জাপানেও কম নাই। আশেপাশে মার ডালা ও ও মার ডালা টাইপ পাবলিকের সংখ্যা কেন জানি বেড়ে যাচ্ছে, যাই কই!!!!

চরম উদাস এর ছবি

সুপারমার্কেটে হালাল মাংস কেন নাই, এই ইস্যুতে দু:খে চোখে পানি এনে ম্যাকডোনাল্ডে গিয়ে নাস্তা করা পাবলিক জাপানেও কম নাই।

চলুক , এখানেও একই অবস্থা

শিশিরকণা এর ছবি

ম্যাকডোনাল্ডের বারগার আল্লাহু আকবর বলে ছুরি দিয়ে কাটার ভঙ্গি করলে সেটা হালাল হয়ে যায়, এই ফতোয়া জানেন না?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

রিক্তা এর ছবি

ভাই আপনাকে গুরু গুরু
আপনি বিশাল জনপ্রিয় ব্লগার। বেশিরভাগ মানুষই জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য নরম মুস্লমানের নামও মুখে আনতো না।আপনি যে সেইটা করেন নাই তা দেখে খুব আশা পেলাম।

লেখায় হয়তো রস একটু কম হয়েছে, আপনার অন্য লেখার চেয়ে কিছুটা অগোছালোও হয়েছে। কিন্তু লোহা গরম থাকতে থাকতেই কাজ সারতে হয়।পাঁচ তারা প্রতিবার চুপেচাপে দেই এইবার বলে দিলাম।

আপনি কিন্তু আবার অফিস টাইমে (কানাডা) পোস্ট দিছেন ওঁয়া ওঁয়া

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

চরম উদাস এর ছবি

কই জনপ্রিয়?? কেউ টেকাটুকা তো দেয় না। খালি লাইক আর কমেন্ট বেঁচে কি মুড়ি খামু ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম চউদা। আম্নে অদ্ভুদ।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন, প্রতিটা লাইন কোট করার মত। গুরু গুরু
আইডিয়াল স্কুল এর কথা শুইনা আনন্দ পাইলাম, ছেলেরা ত তুপি খুলতে পারতো কিন্তু আমাদের ত আর ঘোমটা খোলার উপায় ছিল না, একবার এক স্যার রাস্তায় ঘোমটা ছাড়া দেইখা ক্লাস এ শাস্তি দিছিল।
চারপাশে মোডারেট দেখতে দেখতে আমি এখন চুপ হয়ে গেছি, যে যাই বলুক কমেন্ট করি না।

ইসরাত

চরম উদাস এর ছবি

আপনেও তাইলে আইডিয়াল দেঁতো হাসি

(Md.) Isaac Rabin এর ছবি

কি যেন বলবো তবে ভাষা খঁুজে পাচ্ছিনা।

রিপন মজুমদার এর ছবি

প্রানপণ চেষ্টা করেছি না হেসে পোষ্টটি পড়ার জন্য। কিন্তু "মার ডালা" পর্যন্ত এসে আর পারিনি।

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

ক্লোন৯৯ এর ছবি

গুরু গুরু মাআআর ডালা

চরম উদাস এর ছবি

মার ডালাআআআআ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

এক্কেবারে চৌ(চউ)দাসীয় হয়েছে - রসের কমতি থাকলেও এক্কেবারে বুলস আই প্রতিটি বাক্য!!

চরম উদাস এর ছবি

রসের ঠিল্লা মনে হয় প্রথম পর্বে শেষ হয়ে গেছে মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু
লেখা যেমন হওয়ার কথা, তেমন-ই হইসে - চরম। কিন্তু এইবারে, উদাসী হাওয়াটা খানিকটা ঘূর্ণা খায়া গেসে। তয়, মাঝে মাঝে এমন ঘূর্ণা খাওয়া ভাল। (প্রেশার-কুকার থিয়োরী না কি একটা যেন আছে, বিস্তারিতে যাইবার পারলাম না - আইলসা মানুষ তো)
- একলহমা

চরম উদাস এর ছবি

হ, লঙ্কা মনে হয় বেশী ছিল

নজমুল আলবাব এর ছবি

বেশিরভাগ বাংগাল কান্ধে একটা করে ছাগল নিয়ে ঘুরে। তাই কথার মাঝখান দিয়ে প্রায়শ মে মে শব্দ শোনা যায়।

চরম উদাস এর ছবি

আমি ভাবছি দুই কান্ধে দুই ছাগল নিয়ে ঘুরে

অতিথি লেখক এর ছবি

মার ডলা! ডলা মার!! ডলাই মলাই এর ছবি এবং ভিড্যুও আছে, দিমু?

আব্দুল্লাহ এ এম

চরম উদাস এর ছবি

হ, দেন দেখি

আরেফিন এর ছবি

ভাই, দুর্দান্ত দুর্দান্ত দুর্দান্ত। যেই কথাগুলো কখনই সাজিয়ে বলতে পারিনা, ঠিক সেই কথাগুলো আপনি কিভাবে এত সুন্দর করে লিখেন তাও আবার সঙ্গে চরম হিউমার। নাহ! আপনার লেখা যতই পড়ি ততই হতাশ হয়ে যাচ্ছি। এ জীবনে আর হলোনা। স্যালুট বস।

চরম উদাস এর ছবি

লা লিখেই বলেন হলনা, ফাঁকিবাজি না করে লেখা দেন। তারপর দেখি হল কি হলনা খাইছে

ফয়সাল ইজা এর ছবি

ডরাইলেই ডর গুরু গুরু সত্য বাচনের জন্য লেখা -গুড়- হয়েছে

আমগো কি আম্নে লেখবেন। আমারা লাইকামু চলুক , হাত্তালি দিমু হাততালি , কাগু জোশ লেখা লেইখচেন বইলে চেল্লামু হো হো হো , খোমাবুকে শেয়ার দিমু দেঁতো হাসি , শুধু নিজেরডায় না বন্ধুবান্ধব বেকটির খোমাবুকের বেড়ায় লটকাইয়া দিমু চাল্লু

তাখার পর আম্নেরে নাস্তিক উপাধি দিয়া কেডা কোপাইলো, নাকি সরকার বাহাদুর ফাটক করল হ্যাতে মোগো বইয়াই গ্যাছে! চরম-গরম-মরম-খড়ম তায় উদাস, ও বাউরে এতি ক্যাডা? আমারা নরম মানুষ খালি ধরম লইয়া থাকি এগুনরে চিনি না।

চরম উদাস এর ছবি

আমি কইলাম হাজী মানুষ, আমারে নাস্তিক কইলে খবর আছে চাল্লু

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই পোস্টের প্রথম পাঠক আমি। কিন্তু তখন নানাবিধ এইচটিটিপি এররের কারনে মন্তব্য করতে পারি নাই। কী বলতে চাইছিলাম ভুলে গেছি।
খাড়ান, আরেকবার পড়ে বলতেছি আপনি আমার কী কী অনুভূতিতে আঘাত দিছেন চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

চরম উদাস এর ছবি

জলদি জলদি বলেন কই কই ব্যথা পাইলেন, মলম দিয়া দেই

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারে মাইরালা । মার ডালা আ আ ।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

আইলসা  এর ছবি

বস আইডিয়ালের নিহি, আগে কইবেন তো? হক মওলা আর জাঙ্গির মুনসীর মাইর মনে আছেনি?? বস আইডিয়াল নিয়া একটা লেখা দিয়েন-আব্দার থাকলো।

লেখা জম্পেস হইছে, তয় শেষকথাটা চরম লাগলো- আবার সুকুমার পড়তে হইবেক- সবার চাইতে ভালো পাউরুটি আর ঝোলাগুড়...

মডারেট মুসলিমদের কথায় মডারেটারদের অনূভুতি আহত না হইলেই হয়!

চরম উদাস এর ছবি

হ, আইডিয়ালের ক্ষণিকের অতিথি

তানিম এহসান এর ছবি

মাঝে মাঝেই মনে হয় এই দুনিয়ার যত ভেজাল যত গ্যাঞ্জাম তা চরম বদমাইশ কিছু লোকের কারণে না, সবকিছুর মূলেই বরং এই মডারেট মাঙ্কিরা। চলুক চলুক

অঅসাধারণ

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দেবজিত এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফরহাদ হোসেন মাসুম এর ছবি

এসো নিজে করি, চলুক !! বাঘের বাচ্চা

চরম উদাস এর ছবি

চলবে

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

লেখায় সত্যের পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে, দাদা!

সর্বত্রই শুয়োরের বাচ্চারে শুয়োরের বাচ্চা বলার অধিকার চাই!


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই

অতিথি লেখক এর ছবি

ওরে ভাই
উদাস বানায়া দিলেন ।
এরকম আরও গরম গরম জিনিস চাই ।
+++++++++++++

নিক: আততায়ী

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

আগেই পড়েছিলাম। এখন জানান দিতে এলাম। লেখাটি ভীষণ সত্য গুরু গুরু

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

দুপুরের দিকে এসে একটা মন্তব্য দিয়েছিলাম। পোস্ট হয় নি দেখি।

আবার তাই আপনাকে কুর্নিশ জানিয়ে যাই। সত্য কথাগুলো বড় অকপটে বলে ফেলতে পারেন গুরু গুরু

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ

সাবেকা এর ছবি

লেখাটা আগের চেয়ে একটু কম মজার হয়েছে,হাস্তে হাস্ততে গিয়েও ঠিক হাসি আসেনাই, কিন্তু লেখাটার প্রতিটি শব্দ এতোই সত্য, ভাবলে হতাশ লাগে মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

রিপন মজুমদার এর ছবি

লিখাটি এক সাথে তিনজনকে পড়ে শুনিয়েছি। অর্ধেক পার না হতেই এদের মধ্যে দু'জন হাসতে হাসতে পেট চেপে ধরে শুয়ে পড়েছে। অপরজনও হেসেছে কিন্তু বড় কষ্টের সেই হাসি।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ম্যাঁও বলে আমি ইঁদুর খাইনা! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস এর ছবি

চিন্তিত

রানা মেহের এর ছবি

আপনি আসলেই চরম লোক

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই এমন ত্যানাই পেচাইলেন যে পড়ে শেষ করতে পারছিলাম না । খুব ভাল লাগল পড়ে । ভাল লিখেছেন।

#হিমেল খালেদ #

অতিথি লেখক এর ছবি

কোলাকুলি করতে হবে সবার সাথে,সম্পর্কে ও নরম হতে হবে।
গুরু গুরু
গুরু গুরু
গুরু গুরু

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।