প্রথম আলোর সাম্প্রদায়িকতা

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০১/২০১৪ - ১১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক কথা বলা যায়। সুন্দর করে, আবেগ দিয়ে, হিউমার দিয়ে, যুক্তি দিয়ে। আজ বরং তা বাদ দেই। সহজ কথা সহজে বলি। প্রথম আলোর সাজিদ হোসেন এর তোলা এই ছবিটি দেখেছেন সবাই আশা করি।

সবাই লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিচ্ছে, যাদের প্রায় সবাই শাঁখা সিঁদুর পরা হিন্দু মহিলা। নির্বাচনে ভোট কি শুধু হিন্দুরাই দিয়েছে? হিন্দু ধর্মালম্বীদের এভাবে হাইলাইট করার উদ্দেশ্য কি? এসব নিয়ে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হয়ে গেছে এর মধ্যেই। সে কথা নতুন করে বলতে এ লেখা লিখছি না। লিখছি সহজ একটা প্রশ্ন তুলতে। এই ছবিটি কি এডিট করা? ছয় আর সাত নাম্বার মহিলার কপালের সিঁদুর কি সিঁদুর দিয়েই দেয়া না ফটোশপ দিয়ে দেয়া?

কদিন ধরে নানা রকমের গণতন্ত্র দেখতে দেখে ত্যক্ত, বিরক্ত, ক্লান্ত। আপাতত ইমেজ প্রোসেসিং করে প্রমাণ করার শক্তি বা সামর্থ্য নেই। পাঠকের হাতে ছেড়ে দিলাম সেই দায়িত্বটুকু।

সাদা চোখে দেখে দুটি সম্ভাবনার কথা মনে হয়।

১। ষষ্ঠ ও সপ্তম মহিলার কপালে হালকা সিঁদুর ছিল, প্রথম আলো ভালোবেসে একটু তুলি বুলিয়ে সেটাকে প্রকট করেছে।
২। কোন সিঁদুর ছিলোনা, প্রথম আলো তাদের সিঁদুর দিয়ে দিয়েছে।

এমন করার উদ্দেশ্য কি তা খুলে বলার প্রয়োজন নেই। তবে দুটোর যে কোন একটি যদি ঘটে তবে তার জন্য প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস করার দাবী জানাই। গত কয়দিনে হিন্দু সম্প্রদায় এর উপর যা অন্যায় অত্যাচার হয়েছে তার প্রতিটির দায়ভার কাঁধে দিয়ে আমার দেশের চেয়েও শতগুণ ভয়ঙ্কর এই প্রোপ্যাগান্ডা মেশিন এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।

(ছবি ও তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য প্রতীক দাশ এর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা)

আপডেট ১ - Image Error Level Analysis with HTML5 দিয়ে করা একটি দ্রুত পরীক্ষা

এটি কিভাবে কাজ করে প্রথম ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন।

এবারে প্রথম আলোর ছবি -

আপডেট ২ - রায়হান জামিল এর তৈরি করা এই ভিডিওটি যোগ করা হল

প্রথম আলো - হলুদ সাংবাদিকতার শীর্ষে Prothom Alo Image Editing from Hasan Mahmud on Vimeo.

আপডেট ৩ - লেখা থেকে সংখ্যালঘু শব্দটি তুলে দিলাম। এই বর্ণবাদী শব্দটি এখন থেকে সজ্ঞানে আর ব্যবহার করবো না।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এর পরেও কি প্রথম আলুর বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নিবে না? এটার কি জবাবদিহিতা হবে না? এই প্রশ্নটা প্রথম বার পড়ে আর দেখে মনে হয় কিন্তু বাস্তবতায় ফিরে আসলে আর এমন প্রশ্ন জাগে না? হিন্দুদের বাড়ি ঘরে আগুন দেওয়াতো আর নতুন না, প্রতিবারি ভোটের পর এই জাতীয় উৎসব পালন করা হয়। এটা এখন নির্বাচনকালীন দেশের জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমি কোনদিন শুনি নাই, দেখি নাই এমন কাজে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যারা আগুন দেয় তাদের প্রতি যতটুকু ঘৃনা জন্মায় তারচেয়ে কোন অংশে কম ঘৃনা জন্মায় না যারা এই ঘটনাকে বার বার ঘটার সুযোগ করে দেয়। মন খারাপ

মাসুদ সজীব

চরম উদাস এর ছবি

তাড়াহুড়ো করে লেখা দিয়ে ঘুমাতে গেলাম। আমি যেহেতু সংখ্যালঘু না তাই আমার ঘুমের ব্যাঘাত হয় না। কাল সময় পেলে আরও সব ইমেজ প্রসেস করেটরে দেখবনে ঘটনা কি ও কেন?? আশা করি পাঠক এর মধ্যে তাদের মূল্যবান মতামত যোগ করবেন।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এখন গালি দিলেও আমিষুল হক তার স্ট্যাটাসে লিখবে, 'দুইপক্ষই দুষ্ট' তারা খালি ঘৃণার চর্চা করে। এরাই আমাদের সভ্য সমাজের হোমরা চোমরা ব্যক্তি।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মিঠুন তলাপাত্র এর ছবি

আসলেই পথ হারায় নি প্রথম আলো। নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করছে। ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

নাহ,
মাথায় টুপি পরার হবার দরকার নেই, প্রআলো ফটোশপ দিয়ে টুপি বসিয়ে দেবে,
গলায় কারো ক্রুশ পরারও কোন দরকার নেই, ফটোশপ দিয়ে গলায় ক্রুশ ঝুলিয়ে দিয়ে প্রআলো।

সেদিন কি বেশি দূরে যখন প্রআলো হলিউড সমমানের গ্রাফিক্স/CGI ইফেক্ট দিয়ে নিউজ রিপোর্ট বানিয়ে টিভি চ্যানেলে সরবরাহ শুরু করবে?

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

৪০০ মানুষের ঘর পোড়ানোর উঙ্কানি দাতা হিসেবে মতি কে গ্রেফতার করা হোক,শয়তানের বাচচা
ইসরাত

কল্যাণ এর ছবি

দারুণ! সব রকম কৃমি পুতুমালোয় জমা হইছে।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তীরন্দাজ এর ছবি

‌‌ছবিগুলোর রঙ এর বিন্যাস দেখেই বোঝা যায়, ইচ্ছাকৃত ভাবেই সাজান হয়েছে। প্রথম আলুর জন্যে ঘৃণা। উস্কানির অভিযোগে ওদের কঠোর শাস্তি দাবী করি।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ঘৃণা ঘৃণা ঘৃণা
থুঃ থুঃ থুঃ
মতিউর রহমান এন্ড কোং একটা অভিশাপ।

---------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুঁ, মাহফুজ, মতিউর, মাহমুদ সবগুলা নামই ক্যেম্নে জানি "ম" দিয়ে শুরু... আবার "মা" লিখতেও দেখি "ম" লাগে... এদের জন্য সবচেয়ে মানানসই খাঁটি বাংলা গালিটাও কি এই দুঃখেই "ম" দিয়ে শুরু? মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আনু-আল হক এর ছবি

চলুক

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

জঘন্য!!!
এই রিপোর্টার নিউজ এডিটর সবগুলাকে জুতানোর পাশাপাশি প্রথম আলোকে কারণ দর্শাও নোটিশ সহকারে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ প্রতি এক কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দাবী করা উচিত।

এখন ভাবতেও লজ্জা হয় এই আমি পাঁচ বছর আগেও প্রথম আলোর পাড় পাঠক ছিলাম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

ফটুশপ মেরে বদলে যাউ, বদলে দাউ লইজ্জা লাগে
কিন্তু আমরা কি এই ফটুশপ চেয়েছিলাম! চিন্তিত

- শ্রাবস্তী

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ফটোগ্রাফির সাথে জড়িত থাকার কারণে এইসকল কিছু ফটোসাংবাদিকদের কাছ থেকে 'ছবি এডিটিং' নিয়ে অনেক নসিহত শুনতে হয়েছে। ঐশী বাণীর মতো এগুলোর গায়ে হাত দেয়া যাবে না, এডিটিং-এর ব্যাপারে এদের অচ্ছুৎ অবস্থান দেখলে এমনটাই মনে হয়। তো কোথায় আজ সেই 'বস্তুনিষ্ঠতা'??? শালার ISI এর ট্যাকা খাওয়া মইত্যা চুরা এখন কার ঠ্যাং ধরতে যাবে???

মতি নামক এই জঘন্য গিরগিটিটার উচিৎ শাস্তি দাবী করছি।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

স্যাম এর ছবি

৬ এবং ৭ জুম না করেই বোঝা যাচ্ছে অস্বাভাবিক!
আমার বেশ খটকা লেগেছে ৫ নিয়ে - তার কপালে বা মাথার তালুতে সিঁদুর না থেকে আছে চুলের উপর অল্প একটু!!
রঙ হিসেবে এত অস্বাভাবিক যে 'স্বাভাবিক' ভাবতে গেলে ভাবতে হবে অন্তত ৪ জন একই কৌটার সিঁদুর ব্যবহার করেছেন!!!
একটু হলেও চুলের আশেপাশে সিঁদুর ছড়িয়ে থাকার কথা এই ছবিটার মত - এমনকি আলুর ছবির ৮ নাম্বার মহিলার মাথায় তা দূর থেকেও বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু ৬/৭ এ কেমন জিওমেট্রিক!!!!

স্পর্শ এর ছবি

সপ্তম মহিলার বড় টিপটা কপালের উপর সেটে থাকলে এই অ্যাঙ্গেল থেকে বৃত্তাকার টিপকে আরো চ্যাপ্টা (উপবৃত্তাকার) দেখানোর কথা। আর ছবির ডেপ্থ অফ ফিল্ডের কারণে সামনের দিকের ফোকাসে থাকা অবজেক্টের রং গুলোর স্যাচুরেশন বেশি হয় (উজ্জল হয়)। যত পিছনে যাবে রং তত ধুসরতর (ম্লান) হতে থাকবে। তৃতীয় মহিলার কপালের টিপ যতটা লাল দেখাচ্ছে, তার পরে চতুর্থ, পঞ্চম জনেরটা অতটা লাল দেখাবে না। এভাবে অষ্টম নবম জনের কাছে গিয়ে লাল রং তার ঔজ্জল্ল অনেকখানি হারানোর কথা। কিন্তু ষষ্ঠ এবং সপ্তম জনের কপালের লাল রং এই ধারা মানেনি। হঠাৎ করেই লালের মাত্রা বেড়ে গেছে। ষষ্ঠ মহিলার কপালের খুদে টিপটার মতোই ম্লান হবার কথা তার সিঁদুরের রং। ফটোশপে সামনের দিকের কারো মাথা থেকে রং পিক করে এনে বসিয়ে দিলে এমন অমিল ঘটে। ফটোটার মূল ভার্সন কারো কাছে থাকলে কালার পিকার দিয়ে রেড কম্পোনেন্টের এর ভ্যালু চেক করলেই গড়মিলটা ধরতে পারবেন।

সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে শাখা-সিঁদুরের উপর জোর দিতে গিয়ে ছবিটাকে রিটাচ করেছে প্রথম আলো। হীন উদ্দেশ্যে তারা শুধু হিন্দু মহিলা ভোটারদের এক দলকে খুঁজে বের করেই খ্যান্ত দেয়নি। ব্যাপারটা যাতে কারো চোখ এড়িয়ে না যায়, সেই ব্যবস্থাও নিয়েছে পুরোদমে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কাছে ৫ নং টাও খটকা লেগেছে। শুধু চুলের উপর হালকা করে সিঁদুর দেয়া।

সুবোধ অবোধ

হিমু এর ছবি

এই ছবিটা প্রথম আলো নিজেদের ফেসবুক পেইজে তুলে দেওয়ার পর সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের উদ্দেশ করে শত শত অশ্লীল মন্তব্য পড়েছে। সেসব মন্তব্যে মধ্যে হিন্দুদের প্রতি আক্রমণের আহ্বানও ছিলো। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে সেসব মন্তব্যকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। গতকাল এ নিয়ে ফেসবুকে শোরগোল হওয়ার পর তারা প্রথমবারের মতো ইন্টারভিন করে।

"আমার দেশ" এর মাহমুদুর আটক হওয়ায় তার কাজটা মতি করে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি দেওয়া মতিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মতি চুরা কে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি সহ পাকিপন্থী মনোভব নিয়ে দিনের পর সংবাদের নামে সাধারন মানুষজনের ব্রেইন ওয়াশ করার জন্য।
ধিক্কার প্রথম আলু।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লেখায় - চলুক

আলু শালাকে শুলে চড়ানো উচিৎ!!

____________________________

porag07 এর ছবি

সারা বাংলায় ভোট পড়ল ৪০%। আর তার মাঝে ১% হিন্দু আছে কিনা সন্দেহ। অথচ সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর জন্য বেছে বেছে এই ফটোটাকেই ফার্স্টপেইজে দেওয়া হইছে। কি ধরণের সাংবাদিকটা এটা??

হিমু এর ছবি

গোয়েন্দাদের উচিত প্রথম আলোর সাংবাদিকদের সঙ্গে জামাতশিবিরের যোগাযোগ খতিয়ে দেখা।

ডিসেম্বরের ১২ তারিখে প্রথম আলোর অনলাইন পাতায় একটা খবর আসে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রীর সাবেক এপিএস শিবিরের হামলা থেকে আত্মরক্ষার জন্য পিস্তল থেকে গুলি ছুঁড়ছেন। শিবির তার বাসার পাশের ব্যাঙ্কে আগুন দিয়ে তার বাসাতেও হামলা চালানোর সময় তিনি গুলি চালান। প্রশ্ন হচ্ছে, গোলাগুলির মধ্যে এই ছবি তুললো কে? যদি সাংবাদিক তুলে থাকে, তাহলে প্রশ্ন ওঠে ঐ সাংবাদিক এই হামলার সময় কোন সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে ওখানে উপস্থিত হলেন? আর যদি শিবিরের হামলাকারীরাই ছবি তোলে, তাহলে প্রশ্ন, সে ছবি প্রথম আলোর হাতে এলো কীভাবে?

উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের [url=www.prothom-alo.com/bangladesh/article/97159/গুলি_করে_শিবিরের_হামলা_ঠেকালেন_অর্থমন্ত্রীর_সাবেক]১৩ তারিখে পত্রিকায় ছাপা হওয়া খবরে[/url] ছবিটা দেওয়া হয়নি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক।

সুবোধ অবোধ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আইসিটি আইনে ব্লগাররা গ্রেফতার হয়, কিন্তু এভাবে উস্কানি দেয়ার পরও মতিচুর এসি কেবিনে বসে জুস খায়। সত্যিই সেলুকাস, বিচিত্র এই দেশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

দিনে কিংবা রাতে যখনি আগুন দেয়া হচ্ছে বাড়ি ঘরে তখন কেন প্রথম আলুর সাংবাদিক সেই আগুন দেওয়া মানুষগুলোর ছবি তুলতে পারে না। ঠিকিতো পারে কোথায় কোন অর্থমন্ত্রীর এপিএস এর আত্নরক্ষার ক্ষেত্রে গুলি চালাচ্ছে সেই ছবি তুলে দিতে? সাংবদিক কি করে জানলো ওই এপিএসের উপর আক্রমন হবে? অথচ নির্বাচনের পরে হিন্দুদের উপর আক্রমন হবে এটাতো সবাই জানে তবুও কেন সেই সহিংসতাকারীদের কোন ছবি আসেনা প্রথম আলুতে। আমারা এমন একটা জাতি যে জাতির বেশিভাগ সদস্য কোন প্রশ্ন ছাড়া যা খাওয়ানো হয় তাই খায়, যা বিশ্বাস করতে বলা হয় তাই বিশ্বাস করে। কোন প্রশ্ন করে না, প্রশ্ন মনে আসে না? সেই জাতিকে এমন নিয়ে এমন ছেলেখেলা খেলাই যায়।

মাসুদ সজীব

মাসুদ সজীব

শব্দ পথিক এর ছবি

বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে প্রথম আলো গোষ্ঠীর নাক গলানোর যে চেষ্টা সেটাকে আমলে নিয়ে যতো দ্রুত সম্ভব একটি তদন্ত শুরু হওয়া দরকার। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া এবং মিথ্যে তথ্য প্রকাশ করার দায়ে এখনই প্রথম আলোর প্রকাশক, সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়া উচিত। এই একটি পত্রিকা দেশের কী পরিমান ক্ষতি করে যাচ্ছে তা হিসেবের বাইরে।

মতিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য আমাদের চাপ সৃষ্টি করা উচিত।

----------------------------------------------------------------
''বিদ্রোহ দেখ নি তুমি? রক্তে কিছু পাও নি শেখার?
কত না শতাব্দী, যুগ থেকে তুমি আজো আছ দাস,
প্রত্যেক লেখায় শুনি কেবল তোমার দীর্ঘশ্বাস!''-সুকান্ত ভট্টাচার্য

বড়মিয়া এর ছবি

মতি হারামজাদার চরিত্র নিয়া কিছু কইতাম চাই না।যেইিদন ক্যামেরার সামনে মেয়েটি গল্পটা ছাপাইল হেইদিন পন করছি,টয়লেট পেপার না থাকলে দরকার হইলে পানিতে ঝাপ দিমু ,তয় প্রথমালু দিয়া পাছা মুছতাম না

অতিথি লেখক এর ছবি

মতিভ্রষ্ট মতি’র সুমতির ব্যাবস্থা গ্রহন করা হোক!
---অভয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্রথম আলোর সাম্প্রদায়িকতা নোতুন কিছু না, এটা তাদের ধারাবাহিকতারই অংশ।

প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রত্যেকটা শব্দ, দাড়িকমা পর্যন্ত হিসাব করে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ছাগুমত সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত। আমার দেশের কাজটা আরো দক্ষতার সাথে তারা করে যাচ্ছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আলুর মতিচুরকে "রোসমা" দন্ড দেয়া হোক!

এক লহমা এর ছবি

ফটোশপ-এর-ই মত দেখাচ্ছে। কিন্তু ফটোশপ হয়ে থাকুক আর না থাকুক, নির্মম উস্কানীটা যে হয়েছে তাতে ত কোন সন্দেহের জায়গা দেখি না।
দৈনিকটিতে দিনের পর দিন যে ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাতে তাদের এই ন‌্যক্কারজনক আচরণ আর অপ্রত্যাশিত লাগে না। কোন ভয়ংকর পরিণতির দিকে যে দেশকে এরা নিয়ে চলেছে!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

শামীম এর ছবি

লেখাটার ইংরেজি ভার্সান নাই?

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

আয়নামতি এর ছবি

ধিক্কার!
'প্রথম আলো' না পড়লে আমরা কী অন্ধকারে ডুবে যাবো???

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একটা দুটা না, সবগুলো সিঁদুর আর টিপ হয় পরে যুক্ত করেছে অথবা টাচ করে উজ্জ্বল করেছে। এই যে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ এর দায় ভার অনেকখানি প্রথম আলোর উপর বর্তায়। ছিহ্....

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক , গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় এডিট ফেডিট ফতুশুপের রমরমা চাহিদা

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ফটোফরেনসিকস নামের আরেকটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অ্যনালাইজ করলাম।
http://fotoforensics.com/analysis.php?id=b67773a21afa6506beda2e74bc3a5f213729ec4c.475992

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

৫নং নারীকে নিয়ে আরো কথা আছে। তিনি হালকা গোলাপী রঙের যে কাপড়টি পরে আছেন সেটি শাড়ি নয়। তাঁর শাড়ি বোঝা যাচ্ছে মাথায় টানা ঘোমটা আর তাতে দৃশ্যমান পাড় থেকে। এবং এটি শীতের চাদরও নয়। এটি হচ্ছে সেই চাদর যেটা শীত-গ্রীষ্ম বারোমাস আজকাল মুসলিম নারীরা পরে থাকেন পর্দার অনুষঙ্গ হিসেবে। তাঁর ঘোমটা টানা, পর্দার অনুষঙ্গ চাদর প্রমাণ করে তিনি মুসলিম। তাঁর সিঁথির বদলে ডানপাশের চুলের ওপর টানা সিঁদুরের দাগ দেয়া এবং কপালে সিঁদুরের ফোঁটা না থাকা প্রমাণ করে এই সিঁদুরের দাগ ছবি তোলার পর লাগানো হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলে মামলা করার পদ্ধতি কী? যারা আইন জানেন তারা এটাও জানান এটিকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে কিনা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গান্ধর্বী এর ছবি

ছিঃ হলুদ আলো!

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

অতিথি লেখক এর ছবি

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এখনো পর্যন্ত '' প্রথম আলো ও এর সম্পাদক বৃন্দের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে না ''- এই মর্মে কোন রুল জারি করল না কেন ?
এটা দেখে আমি বিস্মিত । না হলে ব্লগের চিৎকার, কি চিৎকার হয়েই থাকবে ?

রাজর্ষি

অতিথি লেখক এর ছবি

আজ সময় হয়েছে প্রথমালুকে গুড়িয়ে দেওয়ার, বর্জন করার। এরা নিজেদেরকে মুই কি হনুরে ভাবা শুরু করেছে।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

mehdi এর ছবি

Ai pic ta je edit kora ta deklae buja jay. kono image analyser er dorker nai.

ফটুশপ মেরে বদলে যাউ, বদলে দাউ :v

অতিথি লেখক এর ছবি

এই নোংরামীর পরে আর কি বলা যায়? এই ব্লগ শুধু ফেসবুকে শেয়ার করলে হবে না, সবাইকে হাতে ধরে দেখান প্রথম আলোর কুকীর্তি।
রু

মন মাঝি এর ছবি

একরম আলু আছে যাকে বলে - শাকালু। কারুনবাজারের আলুকে তাহলে কি বলব?

****************************************

হাসিব এর ছবি

প্যান্ট পরলেই কি আর পুটু দিয়ে ওঠা ধোয়া ঢাকা যায়রে মমিন!

হিমু এর ছবি

প্রকাশিত আলোকচিত্রে কোনো কিছু সংযোজন বা বর্জন করা প্রথম আলোর সাংবাদিকতা-সংক্রান্ত নীতিমালা সমর্থন করে না?

আল্লাহ গো, তাই? কিন্তু এখানে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি?

হাসিব এর ছবি

ঘোষণার নিচে বলদবলদ সব কমেন্ট এ্যালাউ করছে। বাঙালিকে দেখায়ো না আঙুল, হয়ে যাবে নিজেই ভন্ডুল

হাসিব এর ছবি

লে হালুয়া। সব কমেন্ট মুছে এখন কমেন্ট অফ করে ফেলেছে।

হাসিব এর ছবি

সূত্রঃ ইন্টারনেট

অরজিনিয়াল

শেহাব এর ছবি

আমার বন্ধু পিয়াস প্রথম আলোর ব্র্যান্ডের ব্যাপারটি দেখে। ওর প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে ওই ফটোগ্রাফারের পুরো কালেকশনটিই আছে। মূল ছবিটি এটি। দেখে মনে হচ্ছে সিঁদুরের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো হয়নি কিন্তু কনট্রাস্ট বাড়ানো হয়েছে। কনট্রাস্ট বাড়ানো মনে হয় সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু ফটো এডিটর ২৬টি ছবির মধ্যে এটিই কেন নির্বাচন করে কনট্রাস্ট বাড়ালেন সেটি একটি ভালো প্রশ্ন। তারউপর সেই পেইজের মন্তব্য সেকশনে হিন্দুদের উপর আক্রমণকে উস্কে দেয়ার মত অনেক কমেন্ট মডারেশনের বেড়াজাল পার হয়ে এসেছিল কেন সেটি আরেকটি প্রশ্ন।

চরম উদাস এর ছবি

পুরো এ্যালবাম দেখে আমারও এমন মনে হয়েছে। ব্রাশ এর কোন কাজ করা হয়নি (আমি এক্সপার্ট না, যতটুকু বুঝি তা দিয়ে বললাম)। কিন্তু কালার টেম্পারিং করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে।

ফেসবুকে দেয়া মূল ছবি এটা (আপনার লিঙ্ক থেকে যেটা পেলাম) -

আর প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সন থেকে পাওয়া এটা -

এই দুটো ছবি পাশাপাশি দেখলে কি মনে হয়??

সবাই শুধু ফেসবুকে অরিজিনাল ছবি দেখাচ্ছে। ছবির যেই ভার্সনটা (হোক সেটা শুধুমাত্র কনট্রাস্ট বাড়ানো অথবা অন্য কিছু) অনলাইন পেপারে দেয়া হয়েছে সেই ভার্সনের মূল কপি কি কেউ দিতে পারে?

অতিথি লেখক এর ছবি

মূল ছবি

চ্যানেল টেস্ট
(ফটোশপ করা অংশ ছবি থেকে কিছুটা আলাদা দেখাচ্ছে, কোণা বোঝা যাচ্ছে)

চ্যানেল মিক্সার টেস্ট
(ফটোশপ করা অংশ গাঢ় দেখাচ্ছে)

লেভেল মিক্সার টেস্ট
(ছবিতে রুলার দিয়ে দাগ দেওয়া যেখানে ব্রাশ-স্ট্রোকের 'কোণা' গুলো হাইলাইটেড)

মজার বেপার হচ্ছে এই এনালাইসিস কমেন্ট করার অপরাধে পাকির আলোর সাংবাদিক শরিফুল হাসান কমেন্টকারীকে ফেসবুকে ব্লক মারে।

চরম উদাস এর ছবি

চমৎকার সংযোজন হাততালি । কোন সফটওয়্যার দিয়ে টেস্ট করেছেন সেগুলার খানিক ডিটেইলস জানালে আমি আপনার কাজটুকু মূল পোস্টে জুড়ে দিতে পারি।

হাসিব এর ছবি

আলুর ছবি

আনন্দবাজার পত্রিকার ছবি

কোনটা সত্য?

স্পর্শ এর ছবি

আনন্দবাজার তো এইসব নাশকতা যে হিন্দুদের উপর ঘটেছে সেটাই পুরোপুরি চেপে গেছে দেখছি।
সম্ভবত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিষয়ক সতর্কতা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস এর ছবি

অ্যাঁ

হাসিব এর ছবি

আমার ধারণা আবাপরে চেপে ধরলে ওরা বলবে ঐ মহিলা সিদুর মুছে তাদের জন্য নতুন করে পোজ দিছে। প্রমানস্বরূপ কমেন্ট বক্স অফ রেখে আমরা এরকম করি না - এই মর্মে একটা নিউজও খিচে দিতে পারে।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

প্রথমটাই সত্য। আনন্দবাজার দাঙ্গা ঠেকাইলো মনে হয়!


_____________________
Give Her Freedom!

হাসিব এর ছবি

ছবিটা না দিলে কী হতো? চুরিদারির আশ্রয়টা না নিলে নিউজটাতে ঘাটতি পড়তো কোথাও?

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

স্বার্থসিদ্ধিতে ইমেজ পোস্ট প্রসেসিং করবে না এইরকম নীতিবান পত্রিকা কৈ পাওয়া যাবে হাসিব ভাই?


_____________________
Give Her Freedom!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একমত।

মন মাঝি এর ছবি

না-খুশি কা মাণ্ডি আর পেহলি রোশনির মধ্যে পার্থক্য মনে হয় এটাই - একটা অন্য দেশে গ্যাঞ্জাম লাগায় বা তাতে ধুয়া দেয়, আরেকটা নিজের দেশেই। অনেকটা ক্লাইভ আর মীর জাফরের পার্থক্যের মত।

****************************************

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সচল তানভীর ভাই জানালেন আনন্দবাজার এখন সিঁদুর দেয়া প্রথম আলোর ছবি আপলোড করেছে। তাই এই লিংক থেকে দুটো ছবি একই দেখা যাচ্ছে। আনন্দবাজার কি প্রথম আলোর পীঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছে?

ফেইসবুকে জনগন আগেই স্ক্রীনশট নিয়ে রেখেছিলো। এই খানে তার কপি:

চরম উদাস এর ছবি

চুরায় চুরায় মাসতুতো ভাই বাগধারার মানে এতদিনে বুঝলাম ইয়ে, মানে...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
হিমু এর ছবি

অর্থাৎ ছবির ব্যাপারে প্রথম আলো আর আনন্দবাজারকে আর বিশ্বাস করার উপায় থাকছে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।